সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ও মৌলিক শিক্ষার মানদণ্ডে হিন্দুধর্ম

⌘K
  1. Home
  2. Docs
  3. সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ...
  4. ২১। আল্লাহর উপরে ঈমান এনে (বিশ্বাস করে) নবীদেরকে অবিশ্বাস করা কী যথেষ্ট হবে, কতিপয় হিন্দুরা যেমন করে?

২১। আল্লাহর উপরে ঈমান এনে (বিশ্বাস করে) নবীদেরকে অবিশ্বাস করা কী যথেষ্ট হবে, কতিপয় হিন্দুরা যেমন করে?

উত্তর: না।

নবীগণকে বিশ্বাস না করে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করা যথেষ্ট নয়; যতক্ষণ না সে আল্লাহর জন্য আত্ম-সমর্পনকারী (মুসলিম) হবে। আল্লাহর উপর ঈমান আনা, তিনিই সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা ও পরিচালক বলে বিশ্বাস করার কি অর্থ হতে পারে যখন তুমি তাঁর অহীকে অস্বীকার কর এবং তাঁর রাসূলগণকে প্রত্যাখ্যান কর?

এটি একটি বড় ধরনের কুফর।

প্রকৃতপক্ষে, যে ব্যক্তি আল্লাহর অহীকে প্রত্যাখ্যান করে, তার কাজের চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু নেই, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٖ وَنَكۡفُرُ بِبَعۡضٖ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُواْ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا١٥٠ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ حَقّٗاۚ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا١٥١﴾ [النساء: 150-151]

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতক-এর উপর ঈমান আনি এবং কতকের সাথে কুফরী করি’। আর তারা মাঝামাঝি একটা পথ অবলম্বন করতে চায়, (১৫০) তারাই প্রকৃত কাফির। আর আমরা প্রস্তুত রেখেছি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (১৫১) সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৫১।

সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর উপরে ঈমান আনে; অথচ নবীদেরকে অস্বীকার করে, সে প্রকৃতপক্ষেই কাফির বা অস্বীকারকারী।

সুতরাং নবীদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন একজন নবীকে অবিশ্বাস করে, সে আল্লাহর ব্যাপারেও অবিশ্বাসী; কারণ সে আল্লাহর অহীকে অস্বীকার করেছে। অতএব, আহলে কিতাবদের মধ্য হতে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা আল্লাহকে অবিশ্বাস (কুফুরী) করেছে; যেহেতু তারা মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে অবিশ্বাস করেছে।

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡمُشۡرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ شَرُّ ٱلۡبَرِيَّةِ٦﴾ [البينة: 6]

“নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরি করেছে তারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে; তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্টতম।” সূরা আল-বাইয়িনাহ, আয়াত: ৬। তাদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করানো বিষয়ে আল্লাহর হুমকি সত্য।

﴿وَأَصۡحَٰبُ ٱلۡأَيۡكَةِ وَقَوۡمُ تُبَّعٖۚ كُلّٞ كَذَّبَ ٱلرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِيدِ ١٤﴾ [ق: 14]

“ফলে তাদের উপর আমার শাস্তির অঙ্গীকার যথার্থভাবে আপতিত হয়েছে।” সূরা ক্বা-ফ, আয়াত: ১৪।

আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, জীবনদাতা, মৃত্যুদাতা শুধুমাত্র এগুলোর স্বীকৃতি প্রদান ইসলাম নয় এবং মুক্তিও নয়। বরং অবশ্যই তার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনতে হবে।

সুতরাং আল্লাহর অস্তিত্বের ঈমান আনা আর তাঁর নবীদেরকে অস্বীকার করা ঈমান বা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না। আর এটা আল্লাহর কাছে কিয়ামাতের দিন কোন উপকারেও আসবে না। সুতরাং আল্লাহর ইবাদাত করা এবং তাঁর সকল রাসূলের উপরে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই।

যদি শুধু আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করাই যথেষ্ট হত, তাহলে তিনি তাঁর রাসূলদেরকে পাঠাতেন না এবং তাঁর কিতাবসমূহও নাযিল করতেন না; কেননা সমগ্র মানুষেরাই তাদের প্রকৃতিগত কারণেই আল্লাহকে চিনে।

সুতরাং আল্লাহ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, পথ দেখিয়েছেন এবং রিযিক দিয়েছেন, তিনি তাঁর রসূল ও নবীদের মাধ্যমে যে শরী‘আত প্রণয়ন করেছেন সে অনুযায়ী তিনিই একমাত্র তোমার ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য।

সুতরাং, সকল নবী এবং তাদের মধ্যে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি মানুষের ঈমান আনা অত্যাবশ্যক।

    How can we help?