ইসলামে দাসী-স্ত্রী এবং যৌন বিশুদ্ধতা

যদিও ইসলামে প্রকৃতপক্ষে দাসী শব্দটি নেই, ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায় আমরা দাস-দাসী বলতে যা সাধারণত যে চিত্র চিত্রিত করে থাকি মনের ভেতর সেটা আসলে খ্রিস্টান[1]Numbers 31/17-18; Exodus 21/7; 1 Kings 11/3 ও হিন্দুদের[2]See Here সাথে সম্পর্কিত। তো যেহেতু প্রচলিত শব্দ হলো দাসী তাই এই শব্দই ব্যবহার করছি। তো আজকে ইসলামে স্ত্রী ও দাসীর মধ্যে কয়েকটি তুলনামূলক পর্যালোচনা করতে চাই।
স্ত্রী, দাসী এবং ‘সহবাস’
আমরা সাধারণত যেটাকে বিবাহ বলে থাকি ইসলামী পরিভাষায় সেটাকে নিকাহ (نكاح), বা তাযবীজ (تزويج) বলা হয়ে থাকে। যার আভিধানিক অর্থ হল: মিলন (union), জোড়া সৃষ্টি করা (pairing)। নিকাহের প্রধানতম ও প্রাইমারি উদ্দেশ্যই যৌনমিলন। যৌনতা মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। এটি পূরণও হতেই হবে, আবার একই সাথে একে নিয়ন্ত্রণও করতে হবে। এই চাহিদা পূরণ ও একইসাথে নিয়ন্ত্রণের বিধিবদ্ধতা হচ্ছে নিকাহ, যার উদ্দেশ্যই দুই লিঙ্গের union-কে বৈধ করা।
নিকাহর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে যৌনসহবাস। কিন্তু ইসলামে দাস-চুক্তির উদ্দেশ্য সেটা নয়।
দাসী হচ্ছে দুই প্রকারঃ সাধারণ পরিচারিকা ও সুররিয়্যাহ (উপপত্নী)। ইসলামে দাসীদের সাথেও যৌনসহবাস হালাল করা হয়েছে স্ত্রীদের মতো। সেক্ষেত্রে দাসী পরিচারিকা থেকে সুররিয়্যাহ হয়ে যাবে।[3]কুরআন ২৩:৫-৭, ৪:২৪, ৩৩:৫০, ৭০:৩০
বিখ্যাত আলেম আবু-ওয়ালিদ আল-বাজি আল-মালিকী (মৃঃ ৪৭৪ হিজরি) লিখেছেন,
لأن مقصود النكاح الوطء وليس مقصود الملك الوطء
বিবাহের প্রাথমিক উদ্দেশ্যই যৌনসহবাস [হালাল করা], কিন্তু দাসীর অধিকার লাভের উদ্দেশ্য তা নয়।[4]আল-মুনতাহা শারহ আল-মুয়াত্তা ৪/৮২, দারুল কিতাব আল-ইসলামী, মিশর, ১৩৩২ হিজরি https://shamela.ws/book/6684/1116
ফুক্বাহায়ে কেরাম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন,
কোনো লোক যদি তার ডান হাত যার মালিক হয়েছে (কুরআনে দাসী বোঝাতে এই উপমা দেওয়া হয়েছে) তার সাথে সহবাস করে, তাহলে তাদের মধ্যেকার অধিকার বিবাহ চুক্তির মতো হয়ে যাবে। মাহরাম, গায়রে মাহরাম ইত্যাদি বিধিও প্রযোজ্য হবে।[5]শারহুল মিনহাজ ওয়া হাশিয়াতুল কালিউবি ৩/২৪৩, আল-মাউসূ’আহ আল-ফীক্বইয়্যাহ আল-কুয়েতিয়্যাহ ১১/২৯৯-৩০০ https://shamela.ws/book/11430/6875#p1
‘বিবাহ’ এবং ‘মালিকানা লাভ’
হাদিসে এসেছে,
নবী মুহাম্মদ (সা) বলেছেনঃ বিবাহের আগে তালাক নাই এবং মালিকানা লাভের আগে দাসমুক্তি নাই।[6]ইবনু মাজাহ ২০৪৮, আলবানীঃ হাসান সহিহ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=33045
অর্থাৎ, স্ত্রী হালাল হয় বিবাহ চুক্তির মাধ্যমে আর দক্ষিণহস্ত হালাল হয় মালিকানা লাভের চুক্তির মাধ্যমে। এটা হলো দুইটি চুক্তির পথের পার্থক্য। সমতুল্য কথা এখান থেকেও বোঝা যায়,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জোরপূর্বক আদায়কৃত তালাক ও দাসমুক্তি কার্যকর হবে না।[7]ইবনু মাজাহ ২০৪৬, তাহক্বীক আলবানীঃ হাসান https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=33043
হালাল সহবাস এবং সাওয়াবের কাজ
আমরা এবার অন্য আরেকটি হাদিস দেখতে পারিঃ
…নেককাজের নির্দেশ দেয়া, খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখা সদাক্বাহ্। নিজের স্ত্রী অথবা দাসীর সাথে সহবাস করাও সদাক্বাহ্।…[8]মুসলিম ১০০৬, আহমাদ ২১৪৮২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৮২৩, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৪৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৫৬, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ২৫৮৮, মিশকাত ১৮৯৮ … See Full Note
এখানেও স্ত্রী ও দাসীর সাথে সহবাস দুটিই সদকা। দাসী উপপত্নী হয়ে গেলে স্ত্রীর মতোই সহবাস পাওয়ার অধিকার লাভ করে সেই সুররিয়্যাহ (উপপত্নী)।
দায়িত্ব ও ভরণপোষণ
দায়িত্বের ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রেঃ
স্ত্রী | দাসী |
তোমরা যা খাবে তাদেরকেও (স্ত্রীদের) তা খাওয়াবে এবং তোমরা যা পরবে, তাদেরকেও তা পরিধান করাবে। তাদেরকে প্রহার করবে না এবং গালিগালাজ করবে না।[9]সুনানে আবু দাঊদ ২১৪৪ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59512 | …তোমাদের দাস-দাসীর মধ্যে যারা তোমাদের খুশি করে তাদেরকে তোমরা যা খাও তা-ই খেতে দাও এবং তোমরা যা পরিধান করো তা-ই পরতে দাও।…[10]সুনানে আবু দাঊদ ৫১৬১ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=62529 |
False Claim: যৌনদাসী
কিছু কিছু অসৎ ব্যক্তি ‘ইসলামে যৌনদাসী, ইসলামে যৌনদাসী’ বলে মাঠে ঘাটে চিৎকার করে থাকে। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। এনসাইক্লোপিডিয়ায় উল্লেখ আছে,
Sex slavery, condition in which one human being is owned by another and is forced or otherwise coerced into working in the sex trade. Activities associated with sex slavery include prostitution, pornography, child sex rings, sex tourism, and such occupations as nude dancing and modeling. Sex trafficking is the procurement and transport of the victims.[11]Britannica, The Editors of Encyclopaedia. “sex slavery”. Encyclopedia Britannica, 10 Aug. 2022, https://www.britannica.com/topic/sex-slavery. Accessed 17 November 2022.
যৌন দাসত্ব, এমন অবস্থা যেখানে একজন মানুষ অন্যের মালিকানাধীন এবং যৌন ব্যবসায় কাজ করতে বাধ্য বা অন্যথায় বাধ্য করা হয়। যৌন দাসত্বের সাথে যুক্ত কার্যকলাপগুলির মধ্যে রয়েছে পতিতাবৃত্তি , পর্নোগ্রাফি , চাইল্ড সেক্স রিং , সেক্স ট্যুরিজম এবং নগ্ন নাচ এবং মডেলিং এর মতো পেশা৷ যৌন পাচার হচ্ছে ভিক্টিম সংগ্রহ ও পরিবহন।
এটা কি ইসলামে আছে? যৌনদাসত্বের জন্য রিসেন্ট উদাহরণ টানা যেতে পারে সেক্যুলার ও মুক্তমনা ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা ইডেন কলেজের যৌন ব্যবসা।[12]যেমনঃ https://www.kalerkantho.com/online/national/2022/10/03/1189718 অথবা, ব্রাহ্মণদের দ্বারা হাজার বছর ধরে চলে আসা দেবদাসী প্রথার কথা টানা যেতে পারে।[13]See Here আর এদিকে ইসলামে দাসী যদি শুধুমাত্র যৌনকর্মের জন্যই থাকবে তাহলে কেন আপনি তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবেন, তাও আপনার সমপর্যায়ের। আবার ওদিকে তো দাসীকে দিয়ে যৌন ব্যবসাও করানো বন্ধ করে দিয়েছে ইসলাম।
…তোমাদের দাসীরা সতীত্ব রক্ষা করতে চাইলে তোমরা দুনিয়ার জীবনের সম্পদের কামনায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না।…[14]কুর’আন ২৪:৩৩
হালাল হওয়ার আগে সহবাস মানে ব্যভিচার
বিবাহের আগে স্ত্রীর (হবু) সাথে সঙ্গম যেমন ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত, তেমনই মালিকানা লাভের (ক্রয়সূত্রে হলে ক্রয়ের আগে, যুদ্ধসূত্র হলে কেন্দ্রীয়ভাবে বণ্টনের আগে) আগে দাসীর (যদিও হয় নি এখনো) সাথে সঙ্গম ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণস্বরূপ হাদিস থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করছি,
ধিরার বিন আল আজওয়ার ভুলক্রমে বণ্টনের আগেই একজন বন্দীনীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হোন।
তারপর অনুতপ্ত হয়ে খালিদ (সেসময় প্রধান সেনাপতি) কে বলেন উমার (রাঃ) কে এবিষয়ে চিঠি লিখতে। উমার (রাঃ) ফিরতি চিঠিতে তাকে রজমের মাধ্যমে হত্যা করতে বলেন।
উল্লেখ্য, এই চিঠি পৌঁছানোর আগেই ধিরার মৃত্যুবরণ করেছিলেন। [15]সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুনানুল কুবরা আল বায়হাক্বী ৯/১৭৭, হাদিস নং ১৮২২২ https://shamela.ws/book/7861/20727 [এই হাদিসে একজন মাকবুল রাবী রয়েছেন, তাই শাহীদ না পাওয়া … See Full Note
কারা কারা স্ত্রী হিসেবে নিষিদ্ধ সেরকম কারা কারা দাসী হিসেবে নিষিদ্ধ সেরকম নিয়মও আছে।
পিতার বিয়ে করা কেউ যেমন পুত্রের জন্য হারাম, তেমনই পিতা যদি তাঁর কোনো অধিনস্থের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলে তাহলে সেই দাসী পুত্রের জন্য হারাম।
বংশগতি ও যৌন বিশুদ্ধতা
ইসলাম বংশগতির ধারা বিশুদ্ধ রাখার জন্য সর্বোচ্চ নিয়ম করে রেখেছে।
যেমন নিজে বাবার পরিচয় দিয়ে বাচ্চা দত্তক নেওয়া নিষিদ্ধ[16]কুর’আন ৩৩:৪-৫, লালন পালন করলেও তার বাবার জায়গায় আপনার নাম বসাতে পারবেন না, সে তার বাবার নামেই পরিচিত হবে।[17]মিশকাত ৩৩১৫ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=68642
বিবাহের ছ’মাসের আগেই সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দিলে সেই সন্তান সেই স্বামীর সাথে যুক্ত করা হবে না।[18]https://www.islamweb.net/en/fatwa/390649/gave-birth-less-than-six-months-after-marriage
ঋতুবতী ও অন্যের গর্ভবতীর সাথে সহবাস হারাম
অন্যের গর্ভবতীর সাথে (আগের স্বামীর তালাক্বের পর/মারা যাওয়ার পর নতুন বিয়ে করলে) সঙ্গম নিষিদ্ধ। ঋতুবস্থায়ও নিষিদ্ধ। একই আইন প্রযুক্ত হবে দাসীর ক্ষেত্রেওঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো এক যুদ্ধে আসন্ন প্রসবা এক নারীকে দেখতে পেয়ে বললেনঃ সম্ভবতঃ এর মালিক এর সাথে সহবাস করেছে। লোকেরা বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি ইচ্ছা করেছিলাম সহবাসকারীকে এমন অভিসম্পাত করি যেন সে অভিশপ্ত অবস্থায় কবরে প্রবেশ করে। সে কিভাবে ঐ সন্তানটিকে তার উত্তরাধিকারী বানাবে যেটি তার জন্য হালাল নয়? আর সে কিভাবে এ সন্তানকে গোলাম বানাবে? অথচ তা তার জন্য বৈধ নয়।[19]সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৬ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59524[20]সহিহুল মুসলিম ইফাবা ৩৪৩১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=13042
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আওতাস যুদ্ধের বন্দী দাসীদের সম্বন্ধে বলেছেনঃ সন্তান প্রসবের আগে গর্ভবতীর সাথে সঙ্গম করা যাবে না। আর গর্ভবতী নয় এমন নারীর মাসিক ঋতু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সাথেও সঙ্গম করা যাবে না।[21]সুনানে আবু দাউদ ২১৫৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59525
যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য বৈধ নয় অন্যের ফসলে নিজের পানি সেচন করা। অর্থাৎ গর্ভবতী মহিলার সাথে সঙ্গম করা। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে তার জন্য বৈধ নয় কোনো বন্দী নারীর সাথে সঙ্গম করা যতক্ষণ না সে সন্তান প্রসব করে পবিত্র হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখে, তার জন্যও বৈধ নয় বন্টনের পূর্বে গনীমাত বিক্রয় করা।[22]সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৮ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59526
তো ভাই ইসলামের নিয়মে দাসী যদি শুধুই ‘যৌনদাসী’ হতো তাহলে এরকম নিয়ম কেন আসবে?
ইদ্দত
আমরা জানি স্বামী তালাক্ব দিলে স্ত্রীকে ৩ মাসিক পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়। যদি সন্তান হওয়ার থাকে তাহলে এই সময়ের মধ্যেই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাবে।
ঠিক তেমনই যুদ্ধবন্দিনীদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই নিয়ম।
হানাফী ফিকহশাস্ত্র অনুসারে,
When the army takes a woman captive followed by her husband who is also taken captive sooner or later and either the woman does not have menses during that period or has had upto three menses but she is not taken out of the Territory of War before her husband is taken, their marriage shall continue. Whosoever of the two is taken captive and brought to the Territory of Islam before the other, their marriage shall cease to exist.
কোনো স্ত্রীলোক ও তার স্বামীকে যদি একসাথে(কিংবা স্বামীকে আগে) বন্দী করা হয় ও মুসলিম এলাকাতে আনা হয় তাহলে সেই দুজনের বিবাহ অটুট থাকবে, আর সেই স্ত্রীলোকের সাথে অন্যকেউ সেসময় সঙ্গমের অধিকার লাভ করবে না।
স্বামী ছাড়া শুধু স্ত্রীলোকটিকে বন্দী করলে যতক্ষণ সেই যুদ্ধের এলাকায় থাকবে ততক্ষণ তাদের বিবাহ অটুট থাকবে, সেই এলাকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তিন মাসিক অপেক্ষা করতে হবে, তারপরেই তাকে রাষ্ট্র বণ্টন করতে পারবে। সেই স্ত্রীলোক সেই যুদ্ধের জায়গায় থাকলে, এর মধ্যেই তার স্বামী বন্দি হয়ে গেলে তাদের বিবাহ অটুট থাকবে।[23]ইমাম আবু হানিফার ছাত্র, মুঃ বিন আল হাসান আল শায়বানির লেখা থেকে নেয়া। দেখুনঃ Kitab Al-Siyar Al-Saghir – The Shorter Book on Muslim International Law, Translated by Mahmood Ahmad Ghazi, Islamic Research Institute, Islamabad, 1998 p.51 … See Full Note
হাদিস থেকে,
…যুদ্ধবন্দী দাসী যখন তাদের ইদ্দাতকাল সমাপ্ত করবে তখন তারা তোমাদের জন্য বৈধ।[24]সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৫ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59523
এরপরেও একদল বুদ্ধিজীবী দাসীকে ‘যৌনদাসী’ বলে আখ্যায়িত করবে। আসলে এদের মাথায় গোমূত্র এবং ইসলামফোবিয়া ছাড়া কিছু নেই!
এক নারী এবং একইসাথে একাধিক পুরুষের সহবাস নিষিদ্ধ
বিশুদ্ধতা রক্ষায় আরেকটি নিয়ম, ইসলামে কোনো নারী একইসাথে (তিন মাসিক সময়ের মধ্যে) একাধিক পুরুষের সাথে সঙ্গম করতে পারে না।
সেরকম ছিলো জাহেলী যুগের তিনটি বিয়ের দুটি যেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। জাহেলিয়্যাতের যুগে এমন বিয়েও হতো যেখানে এক নারী একাধিক পুরুষের সাথে একইসাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতো।[25]সহিহুল বুখারী, ইফাবা, ৪৭৫১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=5057
সেই অনুসারেই একাধিক মালিকানার দাসীর সাথে কেউই সঙ্গম করতে পারে না।
ইবনে ক্বুদামা আল-মাকদাসি (মৃ ৬২০) লিখেছেন,
কোনো একাধিক মালিকানাধীন দাসীর সাথে সঙ্গম জায়েজ নয়।[26]Al-Mughni, Matkaba al-Qahirah, Cairo, 1968, vol.6 p.64
মইনুল হক্ক্ব উল্লেখ করেছেন,
যখন কোনো দাসী একাধিক মালিকের সাথে যুক্ত হয়, তখন তাদের কেউই সঙ্গম করতে পারবে না।[27]Kitab al-Tabaqat al-Kabir vol.2 p.78 n.2 এ থাকা অনুবাদক স. মইনুল হক্বের দিয়ে রাখা ফুটনোট
ইসলামওয়েবের ফতোয়াতেও এমনটাই উল্লেখ করা আছে।[28]https://web.archive.org/web/20130514035028/http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=6186
দাসীতো শুধু যৌনকাজের জন্যই তাই না? শুধু শুধু কেন দাসীর সাথে যৌনতাকে স্বামী স্ত্রীর মতো নিয়মে বেধে ফেলা হচ্ছে?
দুই বোনকে একইসাথে বিয়ে হারাম
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন,
দুই বোনকে একত্র করা(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে)।[29]কুরআন ৪:২৩
এই আইন একই সাথে বিবাহের ও মালিকানা লাভের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দুই বোনকে একসাথে স্ত্রী (বিবাহ) হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেন না, একইসাথে উপপত্নী (বাঁদী থেকে) হিসাবেও গ্রহণ করতে পারবেন না।[30]ইসলামওয়ে ফতোয়া নং ৬১৯৯৭ https://ar.islamway.net/fatwa/61997/%D8%AA%D8%AD%D8%B1%D9%8A%D9%85-%D9%88%D8%B7%D8%A1-%D8%A7%D9%84%D8%AC%D8%A7%D8%B1%D9%8A%D8%A9-%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B4%D8%AA%D8%B1%D9%83%D8%A9
উম্মে ওয়ালাদ
দাসী যদি মনিবের সন্তান প্রসব করে তাহলে মনিবের মৃত্যুর সাথে সাথে সেই দাসী স্বাধীন হয়ে যায়। আর মনিব তাকে বিক্রিও করতে পারে না। এ সম্পর্কে পড়ুনঃ
দাসীকে বিবাহ দেওয়া ও বিবাহ করার তাগাদা
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।[31]কুরআন ২৪:৩২
হাদিসে আছে,
…যে লোকের সুন্দরী বাদী ছিল, সে তাকে উত্তম আচরণ ও আদব-কায়দা শিখিয়েছে এবং তাকে পরবর্তীতে মুক্ত করে বিয়ে করেছে শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য। তার সাওয়াবও দ্বিগুণ করা হবে।…[32]তিরমিজি ১১১৬ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=39980
আরো দেখতে পারেন [33]Mufti Muhammad Shafi’, Ma’ariful Qur’an- Translation by Muhammad Ishrat Husain, Karachi, n.d. vol.6 pp.423-424।
দাসীকে প্রহার করাও নিষিদ্ধ
আবূ ‘উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)- এর কাছে আগমন করলাম, ইতোমধ্যে একজন ক্রীতদাসকে মুক্ত করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন যে, তিনি মাটি থেকে একটি কাঠি অথবা অন্য কোন বস্তু নিয়ে বললেন, তাকে আযাদ করার মধ্যে তার সমতুল্য পুণ্যও নেই। কিন্তু আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি নিজ ক্রীতদাসকে চপেটাঘাত করল অথবা প্রহার করল, এর কাফ্ফারা হল তাকে মুক্ত করে দেয়া।[34]সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪১৯০ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=51273
দাসীর সাথে মনিবের সঙ্গমের অনুমতি কেন?
আল্লাহ আলিম। তিনি শ্রেষ্ঠ বিচারক। তিনি কেন কোনো কাজ করবেন সেটা আমরা জানি না, শুধু ধারণাই করতে পারি।
ফুক্বাহায়ে কেরামের মতে অধিনস্থ দাসীর সাথে সঙ্গমের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাব্য কারণঃ
- সীর সতীত্ব রক্ষা, যাতে তারা ব্যভিচারে না জড়ায়।
- মনিবেরও বিশুদ্ধতা/সতীত্ব রক্ষা।
- মনিবের সন্তানের জন্ম দিয়ে যাতে উম্মে ওয়ালাদ আইনের মাধ্যমে মুক্ত হয়ে যেতে পারে। ইত্যাদি।[35]আল-মাওসু’আহ আল-ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুয়েতিয়্যাহ ১১/২৯৭ https://shamela.ws/book/11430/6869#p1
তবে চাইলে দাসীর সাথে সঙ্গম থেকে বিরত থেক শুধুমাত্র পরিচারিকা হিসেবেও রাখা যায়, যেটা পূর্বে উল্লেখ করেছি আমরা।
অন্যের কাছে বিবাহিত নিজের দাসীর সাথেও সঙ্গম হারাম
দাসী অন্য কারো সাথে বিবাহিত থাকলে/বিয়ে দিয়ে দিলে তার সাথে সঙ্গম হারাম।
হাদিস থেকে পাই,
ابن ابی شیبہ
کتاب: سزاؤں کا بیان
باب: اس آدمی کے بیان میں جو اپنی باندی سے وطی کرلے درآنحالیکہ اس کا خاوند ہو
حدیث نمبر: 29152(۲۹۱۵۲) حَدَّثَنَا عِیسَی بْنُ یُونُسَ ، عَنِ ابْنِ أَبِی عَرُوبَۃَ ، عَنْ قَتَادَۃَ ، عَنْ رَجَائٍ ، عَنْ قَبِیصَۃَ بْنِ ذُؤَیْبٍ ؛ أَنَّ رَجُلاً وَقَعَ عَلَی جَارِیَتِہِ وَلَہَا زَوْجٌ ، فَضَرَبَہُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِئَۃً نَکَالاً۔
এক লোক তার দাসীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় যে কিনা আরেকজনের সাথে বিবাহিত ছিলো। তখন উমর (রাঃ) সেই লোকটিকে ১০০ বেতের শাস্তি দেন।[36]মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ, ২৯১৫২,২৯১৫৩ [সহিহ https://shamela.ws/book/333/34933]
এগুলোই বোঝায় ইসলামে দাসীর অবস্থান কী, ইসলামে দাসী বলতে কী বোঝায়!
কোনো পথভ্রষ্টের যদি আসলেই ‘যৌনদাসী’ জিনিস কী তা জানতে ইচ্ছে করে তাহলে খুঁজে দেখবেন, সেক্স স্লেইভ কাকে বলে। কারো যদি নিতান্তই মানসিক বিরূপ গঠনজনিত কারণে ‘যৌনদাসী’ বলতে খুব ইচ্ছে হয় সে যেন ‘যৌনস্বামী’ ও ‘যৌনস্ত্রী’ এই দু’টি শব্দের ব্যবহারে অভ্যাস করে নেয়।
আল্লাহ কি বিচারকদের শ্রেষ্ঠ বিচারক নন? কুর’আন ৯৫:৮
Footnotes
⇧1 | Numbers 31/17-18; Exodus 21/7; 1 Kings 11/3 |
---|---|
⇧2 | See Here |
⇧3 | কুরআন ২৩:৫-৭, ৪:২৪, ৩৩:৫০, ৭০:৩০ |
⇧4 | আল-মুনতাহা শারহ আল-মুয়াত্তা ৪/৮২, দারুল কিতাব আল-ইসলামী, মিশর, ১৩৩২ হিজরি https://shamela.ws/book/6684/1116 |
⇧5 | শারহুল মিনহাজ ওয়া হাশিয়াতুল কালিউবি ৩/২৪৩, আল-মাউসূ’আহ আল-ফীক্বইয়্যাহ আল-কুয়েতিয়্যাহ ১১/২৯৯-৩০০ https://shamela.ws/book/11430/6875#p1 |
⇧6 | ইবনু মাজাহ ২০৪৮, আলবানীঃ হাসান সহিহ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=33045 |
⇧7 | ইবনু মাজাহ ২০৪৬, তাহক্বীক আলবানীঃ হাসান https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=33043 |
⇧8 | মুসলিম ১০০৬, আহমাদ ২১৪৮২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৮২৩, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৪৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৫৫৬, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ২৫৮৮, মিশকাত ১৮৯৮ http://ihadis.com/books/mishkatul-masabih/hadis/1898 |
⇧9 | সুনানে আবু দাঊদ ২১৪৪ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59512 |
⇧10 | সুনানে আবু দাঊদ ৫১৬১ https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=62529 |
⇧11 | Britannica, The Editors of Encyclopaedia. “sex slavery”. Encyclopedia Britannica, 10 Aug. 2022, https://www.britannica.com/topic/sex-slavery. Accessed 17 November 2022. |
⇧12 | যেমনঃ https://www.kalerkantho.com/online/national/2022/10/03/1189718 |
⇧13 | See Here |
⇧14 | কুর’আন ২৪:৩৩ |
⇧15 | সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুনানুল কুবরা আল বায়হাক্বী ৯/১৭৭, হাদিস নং ১৮২২২ https://shamela.ws/book/7861/20727 [এই হাদিসে একজন মাকবুল রাবী রয়েছেন, তাই শাহীদ না পাওয়া পর্যন্ত একে সহিহ বলা যাচ্ছে না] |
⇧16 | কুর’আন ৩৩:৪-৫ |
⇧17 | মিশকাত ৩৩১৫ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=68642 |
⇧18 | https://www.islamweb.net/en/fatwa/390649/gave-birth-less-than-six-months-after-marriage |
⇧19 | সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৬ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59524 |
⇧20 | সহিহুল মুসলিম ইফাবা ৩৪৩১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=13042 |
⇧21 | সুনানে আবু দাউদ ২১৫৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59525 |
⇧22 | সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৮ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59526 |
⇧23 | ইমাম আবু হানিফার ছাত্র, মুঃ বিন আল হাসান আল শায়বানির লেখা থেকে নেয়া। দেখুনঃ Kitab Al-Siyar Al-Saghir – The Shorter Book on Muslim International Law, Translated by Mahmood Ahmad Ghazi, Islamic Research Institute, Islamabad, 1998 p.51 https://www.kalamullah.com/Books/Kitab%20al-Siyar%20as-Saghir.pdf |
⇧24 | সুনানে আবু দাঊদ ২১৫৫ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59523 |
⇧25 | সহিহুল বুখারী, ইফাবা, ৪৭৫১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=5057 |
⇧26 | Al-Mughni, Matkaba al-Qahirah, Cairo, 1968, vol.6 p.64 |
⇧27 | Kitab al-Tabaqat al-Kabir vol.2 p.78 n.2 এ থাকা অনুবাদক স. মইনুল হক্বের দিয়ে রাখা ফুটনোট |
⇧28 | https://web.archive.org/web/20130514035028/http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=6186 |
⇧29 | কুরআন ৪:২৩ |
⇧30 | ইসলামওয়ে ফতোয়া নং ৬১৯৯৭ https://ar.islamway.net/fatwa/61997/%D8%AA%D8%AD%D8%B1%D9%8A%D9%85-%D9%88%D8%B7%D8%A1-%D8%A7%D9%84%D8%AC%D8%A7%D8%B1%D9%8A%D8%A9-%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B4%D8%AA%D8%B1%D9%83%D8%A9 |
⇧31 | কুরআন ২৪:৩২ |
⇧32 | তিরমিজি ১১১৬ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=39980 |
⇧33 | Mufti Muhammad Shafi’, Ma’ariful Qur’an- Translation by Muhammad Ishrat Husain, Karachi, n.d. vol.6 pp.423-424 |
⇧34 | সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪১৯০ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=51273 |
⇧35 | আল-মাওসু’আহ আল-ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুয়েতিয়্যাহ ১১/২৯৭ https://shamela.ws/book/11430/6869#p1 |
⇧36 | মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহ, ২৯১৫২,২৯১৫৩ [সহিহ https://shamela.ws/book/333/34933] |
ওহে দাসীপুত্র দেখো বউ কেনাবেচা করা যায় না। কিন্তু দাসী কেনাবেচা করা যায়। তোমার নবীরও আযল করতে মজা লাগতো ।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৩৪/ ক্রয়-বিক্রয় (كتاب البيوع)
হাদিস নম্বরঃ ২২২৯
৩৪/১০৯. কৃতদাসীদের বিক্রয় করার বিবরণ।
২২২৯. আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, একদা তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা বন্দী দাসীর সাথে সঙ্গত হই। কিন্তু আমরা তাদের (বিক্রয় করে) মূল্য হাসিল করতে চাই। এমতাবস্থায় আযল- (নিরুদ্ধ সঙ্গম করা) সম্পর্কে আপনি কী বলেন? তিনি বললেন, আর তোমরা কি এরূপ করে থাক! তোমরা যদি তা (আযল) না কর তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে সন্তান জন্ম হওয়ার ফায়সালা করে রেখেছেন, তা অবশ্যই জন্ম নিবে। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০৮৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih
Check the article again!
Hey Mr. Mumin! I’ve checked your article again & again. But the topic of my questions is not described in your article.
অধিকন্তু, আমি যেসকল হাদীস দেখেছি (সহীহ) সেগুলোর সাথে আপনার বক্তব্যের সাংঘর্ষিকতা খুঁজে পাচ্ছি।
১) প্রথমত আপনার আর্টিকেলে দাসীকে স্ত্রীর সাথে তুলনা করছেন এবং সেই তুলনায় দেখাচ্ছেন যে দাসীর মর্যাদা একজন স্বাধীন স্ত্রীর চেয়ে কোনো অংশেই কম না ! অথচ ইসলামে দাসী কে যৌনসহবাসের কাজে বিক্রি করা যায় । আপনি কি একই কাজের জন্য আপনার স্ত্রীকে বিক্রি করতে পারেন?
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ ক্রয় – বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ১৩৮৬. ইসতিবরা অর্থাৎ জরায়ু গর্ভমুক্ত কি-না তা জানার পূর্বে বাঁদীকে নিয়ে সফর করা। হাসান বসরী (রঃ) তাকে চুম্বন করা বা তার সাথে মিলামিশা করায় কোন দোষ মনে করেন না। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, সহবাসকৃত দাসীকে দান বা বিক্রি বা আযাদ করলে এক হায়য পর্যন্ত তার জরায়ু মুক্ত কি-না দেখতে হবে। কুমারীর বেলায় ইসতিবরার প্রয়োজন নেই। আতা (রঃ) বলেন, (অপর কর্তৃক) গর্ভবতী নিজ দাসীকে যৌনাঙ্গ ব্যতীত ভোগ করতে পারবে। মহান আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত বাঁদী ব্যতীত, এতে তারা নিন্দনীয় হবেনা……। (২৩:৬)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ২০৯৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২২৩৫
২০৯৩. …
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
২) আপনি বলেছেন গর্ভবতী দাসীর সাথে যৌনসম্পর্ক করা যাবে না। অথচ উপরের হাদীসে অনুযায়ী যৌনাঙ্গ ব্যাতীত তাকে চুম্বনসহ মিলামিশার দ্বারা ভোগ করা যাবে যা উপরের হাদীসে রয়েছে।
৩) নাবালিকা দাসীর বয়ঃসন্ধিকাল উপস্থিত না হলেও মাত্র ৩ মাস অপেক্ষা করেই তার সাথে সেক্স করা যাবে।
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১২. আওযাঈ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী রাহি. কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, একটি লোক একটি দাসী ক্রয় করলো যে এখনো হায়েযে উপনীত হয়নি আর গর্ভধারণের মতো (বয়সও তার) হয়নি। এমতাবস্থায় সেই লোকটি কতদিন তার থেকে সম্পর্কহীন থাকবে? তিনি বললেনঃ তিন মাস।
তাহকিকঃ এর সনদ সহীহ।
তাখরীজঃ এটি ৯৫৬ (অনূবাদে ৯৫১) নং এ গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওযায়ী (রহঃ)
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১৩. এবং ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর বলেন, পঁয়তাল্লিশ দিন।
তাহকিকঃ এর সনদ সহীহ।
তাখরীজঃ এটি ৯৫৭ (অনূবাদে ৯৫২) নং এ গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাসীর (রহঃ)
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১৪. ইয়াহইয়া ইবনু বাশার হতে বর্ণিত, ইকরিমাহ বলেন, এক মাস।আব্দুল্লাহ কে জিজ্ঞেস করা হলো: এতদুভয়ের মধ্যে আপনার মত কোনটি? তিনি বললেন: তিনমাসই অধিকতর শক্তিশালী মত। আর একমাস যথেষ্ট।
তাহকিক: রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৪) ধরুন আপনার পরিবারের বিরুদ্ধে হিন্দুরা/বৌদ্ধরা/খ্রিষ্টানরা যুদ্ধ ঘোষণা করলো। আপনাদের প্রত্যেক পুরুষকে বন্দি করে আপনার স্ত্রী,মা,বোনের তুলে নিয়ে গিয়ে সেক্স করলো। তাদের যুক্তি, আপনাদের যুদ্ধে বন্দি করার কারণে আপনার পরিবারের সব নারী তাদের দাসী হয়ে গেছে । একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে আপনার কেমন লাগবে?
সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. বন্দী স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করা।
২১৫২. উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মায়সার …… আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধের সময় আওতাস্ নামক স্থানে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন। তারা তাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলা করে তাদেরকে হত্যা করে এবং তাদের উপর বিজয়ী হয়। আর এই সময় তারা কয়েদী হিসাবে (হাওয়াযেন গোত্রের) কিছু মহিলাকে বন্দী করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ¶¶কিছু সাহাবী তাদের সাথে অনধিকারভাবে সহবাস করা গুনাহ মনে করে, কেননা তাদের মুশরিক স্বামীরা তখন বন্দী ছিল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এই আত নাযিল করেনঃ (অর্থ) যে সমস্ত স্ত্রীলোকদের স্বামী আছে তারা তোমাদের জন্য হারাম। তবে যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী অর্থাৎ যেসব মহিলা যুদ্ধবন্দী হিসাবে তোমাদের আয়ত্বে আসবে তারা ইদ্দত (হায়েযের) পূর্ণ করার পর তোমাদের জন্য হালাল।¶¶
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
৫) স্ত্রীর সাথে আযল করার জন্য স্বামীকে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু দাসীর বেলায় অনুমতির কোনো দরকারই নেই বাহ্!
রেফ: সহিহ বুখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সপ্তম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৯, হাদিস নম্বরঃ ৩৮৩২
https://drive.google.com/file/d/1NknGvbW7W1wC69ST3A4T5JhkXn2Qb3Kf/view?usp=drivesdk
৬) সেক্স টয়ের মতো দাসীও অদল বদল করে ব্যবহার করা যায় যেটা স্ত্রী অদল বদল করে করা যায় না। এই গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যটিও আপনার আর্টিকেল এ অনুপস্থিত কেন? কেবলমাত্র ভালো ভালো কথা লিখলে মন্দ আর বিতর্কিতগুলো কোথায় ঠাঁই পাবে?
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৫১/ হিবা ও এর ফযীলত
পরিচ্ছেদঃ ৫১/৩৬. প্রচলিত অর্থে যদি কেউ বলে এই দাসীটি তোমার খিদমাতের জন্য দিলাম, এটি বৈধ।
وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ هَذِهِ عَارِيَّةٌ وَإِنْ قَالَ كَسَوْتُكَ هَذَا الثَّوْبَ فَهُوَ هِبَةٌ
কোন কোন ফিকাহ্ বিশারদ বলেন, এটি আরিয়ত হবে। তবে কেউ যদি বলে, এ কাপড়টি তোমাকে পরিধান করতে দিলাম, তবে তা হিবা হবে।
২৬৩৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বর্ণিত গ্রন্থ হতে বলেছেন, ইবরাহীম (আঃ) সারাকে সঙ্গে নিয়ে হিজরত করলেন। লোকেরা সারার উদ্দেশে হাজিরাকে হাদিয়া দিলেন। তিনি ফিরে এসে (ইবরাহীমকে) বললেন, আপনি কি জেনেছেন, কাফিরকে আল্লাহ পরাস্ত করেছেন এবং সেবার জন্য একটি বালিকা দান করেছেন।
ইবনু সীরীন (রহ.) বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, অতঃপর (সেই কাফির) সারার উদ্দেশে হাজিরাকে দান করল। (২২১৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৫৯)
بَابُ إِذَا قَالَ أَخْدَمْتُكَ هَذِهِ الْجَارِيَةَ عَلَى مَا يَتَعَارَفُ النَّاسُ فَهُوَ جَائِزٌ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَاجَرَ إِبْرَاهِيْمُ بِسَارَةَ فَأَعْطَوْهَا آجَرَ فَرَجَعَتْ فَقَالَتْ أَشَعَرْتَ أَنَّ اللهَ كَبَتَ الْكَافِرَ وَأَخْدَمَ وَلِيْدَةً وَقَالَ ابْنُ سِيْرِيْنَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْدَمَهَا هَاجَرَ.
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
৭) ইসলাম যদি ক্রীতদাসীদের গায়ে হাত তোলা নিষেধই করে থাকে তাহলে খামোখা কেন নবী একথা বলতে যাবেন যে, ” তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ক্রীতদাসীর মতো মারধোর করো না” ???????
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ – স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৪২-[৫] ’আব্দুল্লাহ ইবনু যাম্’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ক্রীতদাসীর ন্যায় স্ত্রীকে না মারে (অত্যাচার না করা হয়), অথচ দিনের শেষেই তার সাথে সহবাস করে।
অপর বর্ণনায় আছে- তোমাদের কেউ যেন ইচ্ছা করে স্ত্রীকে ক্রীতদাসীর ন্যায় মারমুখো না হয়, হয়তো দিন শেষে তার সাথে সহবাস করতে চাইবে; আর এতে সে অনাগ্রহ প্রকাশ করবে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বায়ু নির্গত হওয়ায় হাসি-ঠাট্টাচ্ছলের কারণে উপদেশ করলেন, যে কাজ নিজে কর অন্যের সে কাজে তোমরা কেন হাসবে! (বুখারী ও মুসলিম)
সহীহ : বুখারী ৪৯৪২, মুসলিম ১৪৭০
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু যাম‘আহ (রাঃ)
আসলে যার যেরকম ওয়ারল্ডভিউ আরকি, যেমন মিস্টার রাহুল ধর, আপনি আপনার হিন্দুধর্মে যা দেখে এসেছেন সেটাই সব জায়গায় দেখবেন এমন তো নয়।
১। এ প্রসঙ্গে ১.১ পার্টে লিখে দিয়েছি। অধিকার লাভের পদ্ধতি দুইরকম।
২। সেটা নিজের স্ত্রীর ক্ষেত্রেও করতে পারবে। তবে ভ্যাজাইনাল সেক্স যেটা, মূল সহবাস, সেটা করতে পারবে না, অন্যের অন্যের ফসলে পানি সেচন অবৈধ। আর এটা করতে হলেও ইসতিবরা কমপ্লিট করা লাগবে।
৩। ইসলামে নিয়ম হলো ক্ষতি আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রী নাবালিকা হলেও সে যদি পবিত্র সম্পর্ক স্থাপনের উপযুক্ত হয় তাহলে স্বামী তার সাথে কনজিউমেট করতে পারবে।
ইসতিবরা হলো একটা অপেক্ষাকাল, যেতে গর্ভে সন্তান্ত আছে কিনা তা বোঝা যায়, এই অপেক্ষা আবশ্যক। তারপরে যদি সে পবিত্র সম্পর্ক স্থাপনের উপযুক্ত হয় মনিব তাকে সুররিয়্যাহ রূপে গ্রহণ করে নিতে পারবে।
৪। হ্যা, অমুসলিমদের কারণেই দাসপ্রথার উদ্ভব, তারাই টিকিয়ে রেখেছিলো। যেখানে ইসলাম ক্রমান্বয়ে তা বিলুপ্তিকরণের দিকে নিয়ে গেছে।
৫। স্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হবে কিনা এটা ইখতিলাফি মাসআলা, তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি মাতৃত্বের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেটার সাথে সুররিয়্যাহর সম্পর্ক নেই।
৬। আসলে যে যেখান থেকে উঠে এসেছে সবকিছুই সেই চশমায়ই দেখতে পায়, যেমনঃ হিন্দুধর্মে সকল অব্রাহ্মণী মহিলা পাবলিক পতিতা, যেমন আপনি তো কায়স্থ, আপনার বাড়ির মহিলারাও এর মধ্যে পড়ছে – নারদ স্মৃতি ১৫.৭৮ (ইংলিশ রেফারেন্স 12.78)
এটা কোনো আলাদা স্পেসিফিক পয়েন্ট না যে আলোচনা করা লাগবে। এখানে আলাদা কোনো পয়েন্ট দেখতে পারছি না। আরেকজনকে হেবা করতেই পারি, যেহেতু তার মালিকানায় আমি রয়েছি।
৭। কারণ, সেসময়কার প্রচলিত কাফেররা দাস-দাসীদের মারাত্মকভাবে পেটাতো।
Abu Hurayrah (may Allah be pleased with him) said: I heard Abu’l-Qasim (peace and blessings of Allah be upon him) say: “Whoever accuses his slave when he is innocent of what he says will be flogged on the Day of Resurrection, unless he is as he said.” (Narrated by al-Bukhari, 6858)
Ibn ‘Umar (may Allah be pleased with him) manumitted a slave of his, then he picked up a stick or something from the ground and said: There is no more reward in it than the equivalent of this, but I heard the Messenger of Allah (peace and blessings of Allah be upon him) say: “Whoever slaps his slave or beats him, his expiation is to manumit him.” (Narrated by Muslim, 1657)
যথার্থই বলেছেন মিস্টার তাহসিন আরাফাত । যার যেরকম ওয়ার্ল্ডভিউ।
(১) যার ওয়ার্ল্ডভিউ কোনো জংধরা কিতাবের উপর নির্ভর করে না; সে হিন্দুধর্ম হোক বা ইসলামের; দাসপ্রথায় দাস কেনাবেচার বিধান দুটোতেই দেখতে পাবে খোলা চোখে; যেটা এই ব্যবস্থার মূল থিম – “একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে কেনাবেচা করা” ।
আর যাদের চোখে কিতাবের ঠুলি থাকার কারণে ওয়ার্ল্ডভিউ আন্ডারওয়ার্ল্ডের দাসব্যবসায়ী আর বেশ্যার দালালদের মতো হয়ে গেছে তাদের উদ্দেশ্য হলো এই মূল থিম এর কথা না বাড়িয়ে সেটা কতটা উপকারী তা ত্যানাপেঁচিয়ে বর্ণনা করা এবং মূল সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া। পারলে চটকদার কথাগুলো বাছাই করা। পছন্দমতো শব্দগুলোর অর্থ ওদল-বদল করা; কিংবা সনদ দুর্বল বলে বাতিল করে দিয়ে সর্বধর্মের প্রকৃত প্রভুর পূজা করা – আর সেই প্রভুটি হলেন Pick & Choose Fallacy.
অবশ্য এই বিষয়ে আপনার বা কি বলার থাকতে পারে মিস্টার আরাফাত? আপনার আল্লা মিয়া যা হালাল করেছে তা আপনার জন্য হালাল। এখানে বিবেক,বুদ্ধি,যুক্তি দিয়ে বিচার করার সুযোগ নাই। মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে অর্থ-সম্পদের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা সকল ধর্মের এবং ধর্মহীন সমাজের দাসপ্রথার সারবস্তু। মূল প্রসঙ্গ এখানেই। ইসলাম এই মূল প্রসঙ্গ এড়াতে পারবে না।
(২) “সেটা স্ত্রীর ক্ষেত্রেও করতে পারে। তবে ভ্যাজাইনাল সেক্স যেটা সেটা করতে পারবে না….”
আরে ভাইজান, কোথায় নিজের স্ত্রী আর কোথায় মুশরিকদের বন্দি করা সদ্য গর্ভবতী মহিলার (থুক্কু দাসী ওরফে আপনার দক্ষিণ হস্ত যার মালিক হয়েছে!) সাথে তুলনা [রেফ-১]! ভ্যাজাইনাল সেক্স ছাড়াও যৌন-আচরণের আরো বিবিধ পদ্ধতি আছে যা ঐ মুশরিকের স্ত্রীর সাথে প্র্যাক্টিকালি করা যাবে[রেফ-২] । আমি সেটার কথাই বলেছি। সদ্য বন্দি জীবিত স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর তার গর্ভবতী স্ত্রী্র উপর “পবিত্র অধিকার” লাভ করে তার ভ্যাজাইন বাদে তার বাকি শরীরে হাতাহাতি,চুম্বন করার নিষ্পাপ কোমল বিধান মনোমুগ্ধকর- আপনার দৃষ্টিতে। তাই পারলে হয়তো আপনিও কোনো জিহাদে জয়ী হয়ে জীবীত কোনো মুশরিককে বন্দি করে তারপর তার স্ত্রীর সাথে চালাতে পারবেন শরিয়তী কামলীলা। কিংবা গর্ভবতীর বেলায় কেবল চুম্বন আর দেহ মন্থনের মিলামিশা। আর আপনার সেই উদার ও পবিত্র ওয়ার্ল্ডভিউ নির্ধারিত হয়েছে ইসলামের আলোকে।
[রেফ: ১. সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৬/ ক্রয় – বিক্রয়
পরিচ্ছেদঃ ১৩৮৬; ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ২০৯৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২২৩৫
২০৯৩. …
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
রেফ-২. সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. বন্দী স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করা; হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) ]
(৩) // ইসলামে নিয়ম হলো ক্ষতি আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রী “নাবালিকা” হলেও সে যদি “পবিত্র সম্পর্ক স্থাপনের উপযুক্ত” হয় তাহলে স্বামী তার সাথে কনজিউমেট করতে পারবে।//
ভাইজান, আমার এতোদিন সংশয় ছিল ইসলাম অনান্য ধর্মগুলোর মতোই কতিপয় মরুদস্যুদের
দ্বারা প্রচারিত ধর্ম সেই ভুল ধারণা দূর হয়েছে। এই ধর্ম নিঃসন্দেহে আপনার আল্লা মিয়ার থেকেই এসেছে। আল্লা মিয়ার বান্দারা নাবালিকা বিয়ে না করলে তাঁর বিরাট অস্বস্তি হয় বোধহয়। আর্শের উপর এপাশ-ওপাশ করতে থাকেন হয়তো। “গর্ভধারণে অনপযুক্ত নাবালিকা দাসী” আপনার অধিকারে আছে কি না আর আপনি তিনমাস অপেক্ষা করে লাগিয়েছেন কি না জানা নেই। তবে যে নাবালিকা গর্ভ ধারণে অনপযুক্ত তাকে লাগানোটা মানবিক পর্যায়ে পড়ে কি পড়ে না সেটায় নজর দেয়ার আগে লাগানোর পূর্বে নাবালিকার যে”ইসতিবারা কমপ্লিট করতে হয়” আপনার নজর সেদিকেই গেছে। ( যার যেরকম ওয়ার্ল্ডভিউ)
যে নাবালিকা দাসী গর্ভধারণে অনপযুক্ত, যে এখনো হায়েযে উপনীত হয়নি সে কিভাবে আপনার আল্লা রাসুলের সমর্থনে এবং আপনার ভাষ্যমতে “নাবালিকা হলেও পবিত্র সম্পর্ক স্থাপনের উপযুক্ত” হয় তা আমার জানা নেই। মানুষ যা মান্য করে তার পক্ষেই ওকালতি করে। হয়তো আপনার পরিবারের পুরুষেরাও নাবালিকা দাসী রেখে তিন মাস অপেক্ষার পর তাদের সাথে যৌনসঙ্গম করে। বা ভ্যাগাইন বাদে শরীর স্পর্শ ও মন্থন করে! অধিকন্তু তাকে সুররিয়্যাহ’র মর্যাদা দেওয়া হলেও এবং অল্পকিছু অতিরিক্ত সুবিধা পেলেও তা কখনো একজন মুমিনের মুক্ত পত্নীর অধিকার ও মর্যাদার সমকক্ষ নয়। অতএব, যেই লাউ, সেই কদু।
/// পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ১২০. দাসীর ইসতিবরা’আ’
১২১২. আওযাঈ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুহরী রাহি. কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, একটি লোক একটি দাসী ক্রয় করলো যে এখনো ¶¶হায়েযে উপনীত হয়নি আর গর্ভধারণের মতো (বয়সও তার) হয়নি¶¶ এমতাবস্থায় সেই লোকটি কতদিন তার থেকে সম্পর্কহীন থাকবে? তিনি বললেনঃ তিন মাস।
তাহকিকঃ এর সনদ সহীহ।
তাখরীজঃ এটি ৯৫৬ (অনূবাদে ৯৫১) নং এ গত হয়েছে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওযায়ী (রহঃ)///
(৪) ¶¶”হ্যা, অমুসলিমদের কারণেই দাসপ্রথার উদ্ভব, তারাই টিকিয়ে রেখেছিলো। যেখানে ইসলাম ক্রমান্বয়ে তা বিলুপ্তিকরণের দিকে নিয়ে গেছে” ¶¶(?!)
ভাইজান, আল্লাহ কোরআনে যা হালাল করেছেন, ইসলামের চার খলিফারা পর্যন্ত যে প্রথার মহান দৃষ্টান্তগুলো রেখে গেছেন; এমনকি আপনার নবী পর্যন্ত যে বিধানের জন্য হাফসার বিছানায় ধরা খেয়েছেন; আপনারা সেই পবিত্র বিধানকে স্বেচ্ছায় বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন
এর মানে হলো ইসলামী পন্থাতেও দাসী-বাদীরা যথার্থ অধিকার পায় না। ইসলামের অসারতা উপলব্ধি করতে পারছেন বলেই রাসুলের এই সুন্নাহ কে আপনারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে চেয়েছেন।
কিন্তু আসলেই কি আপনারা দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেছেন? মানে দাসী বাঁদী রাখা আপনারা আর পছন্দ করেছেন না। কিন্তু তাই বলে দাসপ্রথার উদ্ভবের অভিযোগ আপনারা অমুসলিমদের উপর ঝাড়ছেন! অথচ সত্য হচ্ছে, ইসলামের দাবী মোতাবেক পূর্ব থেকে ইসলামেই দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। কীভাবে? ইসলামের দাবী অনুসারে আদম, মুসা, দাউদ, সুলায়মান এরা সকলেই ইসলামেরই নবী। আমরা সকলেই জানি যে, বিবি হাজেরাকে নবী ইব্রাহীম দাসী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন খিদমতের জন্য । একইসাথে, সুলায়মান নবীর কতজন দাসী ছিল, সেটিও জানা যায় আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া থেকে। ইসলামের নবীগণের সময়কালেই দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল। কোন নবীই স্পষ্টভাবে দাসপ্রথাকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে বলেননি বা নিষিদ্ধ করেননি। ইসলামের পূর্ব থেকেই পৌত্তলিকতা, মূর্তিপুজা, মদ খাওয়া, সুদ খাওয়া সহ অসংখ্য বিষয় প্রচলিত ছিল। সেই সময়ের সমাজ এগুলোতে নিমজ্জিত ছিল। অসংখ্য মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল সুদ মদ মূর্তিপূজার ওপর নির্ভরশীল। এগুল সব নিষিদ্ধ করতে পারলেও নবী মুহাম্মদ দাসপ্রথাকে চিরদিনের জন্য পৃথিবীতে নিষিদ্ধ করে দিতে একটিও সুস্পষ্ট আয়াত নাজিল করাতে পারেননি। যদি আমাকে দেখাতে পারেন যে ইসলাম সর্বজনীনভাবে কিয়ামত পর্যন্ত দাসপ্রথা রহিত করার কোনো বিধান দিয়েছে; আমি নাস্তিক সেই মূহূর্তে ইসলাম কবুল করে নিবো। “দাস প্রথা ইসলাম বিলুপ্ত করেনি বরং বিলুপ্ত করেছে জাতিসংঘ কনভেনশন”- না এই উক্তি আমার নয় বরং আপনার জাতভাই আলেমদের !
[ রেফারেন্স: ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত-১২, পরিচ্ছেদ- দাসদাসী, পৃষ্ঠা-২৯২-২৯৩ ; https://drive.google.com/file/d/1P3iHxYFifc1KK5tXNFnTyL2XHfFh5em6/view?usp=drivesdk ]
এমনকি তারা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে সারা পৃথিবীতে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর তারা মুশরিক,কাফিরদের স্ত্রী-কন্যা আর পুত্রদের দাস-দাসী হিসেবে নিযুক্ত করবে। কি জানি, আপনিও তো মুমিন, আপনিও কি আপনার প্রতিবেশী কোনো হিন্দু পরিবারের মহিলাদের নিজের দাসী বানানোর আকাঙ্ক্ষা রাখেন? অবশ্য এই ধরনের চিন্তাভাবনা “ইসলামী আন্ডারওয়ার্ল্ড ভিউ” মোতাবেক খারাপ না ।
ইসলামের প্রায় সকল আলেমই স্বীকার করেন যে, পৃথিবীতে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা হলে আবারো দাসপ্রথা ফিরে আসবে। কাফের মুশরিকদের হত্যা করে কিয়ামতের পূর্বে তাদের মা বোনকে দাসী বানিয়ে আমাদের মুমিন ভাইয়েরা সহবত করতে পারবেন।কোন ধরণের লাজলজ্জা না করে এই কথাগুলো তারা সরাসরিই বলেন, সরাসরিই বইতেও লেখেন। আমি জানি না, এই সমস্ত আলেম কীভাবে এই ধরণের কথা লেখেন! এদের কী একটুও সঙ্কোচ হয় না? আমাদের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ভাইদের মা বোনকে তারা যখন দেখেন, কী দৃষ্টিতে দেখেন আমি জানি না। নিশ্চয়ই এমন চিন্তা তার মাথায় আসে, কিয়ামতের আগে এইসব মা বোন সবাইকে গনিমতের মাল হিসেবে মুমিনরা ভোগ করতে পারবে! কী বীভৎস চিন্তা!
[ রেফারেন্স: কিয়ামতের আলামত- আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী; পৃষ্ঠা ৪৪; https://drive.google.com/file/d/1OtZudBUQWvhqGCTvGoCI-rRB_TCJzwu-/view?usp=drivesdk ]
আসলে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হবে কিভাবে যেখানে আপনার পেয়ারে নবী আর তার স্ত্রী দাসদের টাকার বিনিময়ে মুক্ত করে নিজেদের অধিকারভুক্ত করে নিতেন! কি অদ্ভুত সৌন্দর্য্য ইসলামের। একটি হাদীস এ দেখ যায়, আয়িশা বারীরার ওয়ালার অধিকারী হওয়ার জন্যেই বারীরাকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আয়িশা সরাসরিই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওয়ালার অধিকার আয়িশার থাকলে তাহলেই শুধুমাত্র সে বারীরার মুক্তির বাকি অর্থ প্রদান করবেন !
//সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২১/ দাসমুক্তি
পরিচ্ছেদঃ ১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৮। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা হামদানী (রহঃ) … আবু উসামা হতে, তিনি হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) হতে, তিনি নিজ পিতা হতে এবং তিনি আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন বারীরা (রাঃ) আমার কাছে এল। এরপর সে বলল, আমার মুনিব আমাকে প্রতি বছর এক উকিয়া করে নয় বছরে নয় উকিয়া (চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া) আদায় করার শর্তে আমাকে মুক্তিদানের চুক্তি করেছে। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আমি [আয়িশা (রা)] তাকে বললাম, তোমার মুনিব যদি এই শর্তে রাজী হয় যে, তোমার মুক্তিপণ এক সঙ্গে আদায় করে দিলে তোমার “ওয়ালা” আমার প্রাপ্য হবে তাহলে আমি তোমাকে মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি।
তখন বারীরা (রাঃ) এই বিষয়টি তার মুনিবের কাছে উত্থাপন করলে তাদের জন্য ’ওয়ালা’ ব্যাতিরেকে তারা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। এরপর সে আমার (আয়িশা (রা) এর) কাছে এসে তাদের কথা বলল। তিনি বলেন, আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম, তাহলে আল্লাহর কসম! আমি রাজী নই। আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি শুনলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এরপর তিনি বললেন, হে আয়িশা! তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও এবং তাদের জন্য ওয়ালার শর্তে রাবী হয়ে যাও। প্রকৃত পক্ষে ওয়ালা সেই পাবে যে মুক্তি দান করে। আমি (আয়িশা) তাই করলাম।
রাবী বলেন, এরপর সন্ধ্যাবেলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা ও তাঁর মহিমা ঘোষণা করলেন। এরপর বললেনঃ লোকের অবস্থা এই পর্যায়ে নেমে গিয়েছে যে, তারা এমন সব শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। স্মরণ রাখ, যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই তা বাতিল বলে গণ্য, যদিও শতবার শর্তারোপ করা হয়। আল্লাহর কিতাবের শর্তই যথার্থ, আল্লাহর শর্তই নির্ভরযোগ্য। তোমাদের মধ্যে কতক লোকের কি হয়েছে যে, তারা অপরকে বলে অমুককে মুক্ত করে দাও আর ’ওয়ালা’ গ্রহণ করব আমরা? অথচ “ওয়ালা” তো তারই যে আযাদ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)//
(৫) “স্ত্রীর কাছে অনুমতি নিতে হবে কিনা এটা ইখতিলাফি মাসআলা, তবে এক্ষেত্রে বিষয়টি মাতৃত্বের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেটার সাথে সুররিয়্যাহর সম্পর্ক নেই”
আযল করার ক্ষেত্রে স্বাধীন স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে কি হবে না এটা ইখতিলাফি মাসালা ঠিক আছে। তবে অধিকারভুক্ত দাসীর সাথে আযল করার জন্য দাসীর অনুমতি নেওয়া সাংঘর্ষিক। কারণ দাসীর ক্ষেত্রে আযল করার জন্য মাতৃত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। আর আযল করাই হয় যেন স্বাধীন স্ত্রী কিংবা অধিকারভুক্ত বাদী গর্ভবতী না হয়। আর সকল বাদীকে সুররিয়্যাহর মর্যাদা দিতে দেখছি আপনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন! অথচ স্বাধীন স্ত্রীর সহবাসে সন্তান লাভ করার হক থাকে যেটা বাদীর থাকে না এটা ভুলে যাবেন না। তাই আযল করার জন্য বাদীর অনুমতি লাগে না। বর্বর ধর্মের বর্বর যুক্তি।
[ রেফারেন্স: আশরাফুল হিদায়া, ইসলামিয়া কুতুবখানা, ৯ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬২৫
https://drive.google.com/file/d/1P8aQ1Go1oYFGmFjQ8kQ2AjCN-FTecCcp/view?usp=drivesdk ]
(৬) ¶¶আসলে যে যেখান থেকে উঠে এসেছে সবকিছুই সেই চশমায়ই দেখতে পায়, যেমনঃ হিন্দুধর্মে সকল অব্রাহ্মণী মহিলা পাবলিক পতিতা, যেমন আপনি তো কায়স্থ, আপনার বাড়ির মহিলারাও এর মধ্যে পড়ছে – নারদ স্মৃতি ১৫.৭৮ (ইংলিশ রেফারেন্স 12.78)
এটা কোনো আলাদা স্পেসিফিক পয়েন্ট না যে আলোচনা করা লাগবে। এখানে আলাদা কোনো পয়েন্ট দেখতে পারছি না। আরেকজনকে হেবা করতেই পারি, যেহেতু তার মালিকানায় আমি রয়েছি।¶¶
মূলত ৬ নং পয়েন্টে আমি বলেছিলাম কেন সেক্স টয়ের মতো দাসী কেনাবেচা করা হয়, স্ত্রী তো কেনাবেচা করা হয় না। স্ত্রীর উপর কি স্বামীর অধিকার নেই? তাহলে স্ত্রীকে কেন দাসীর মতো কেনাবেচা করতে পারে না? এতেই বোঝা যায় বাদী আর স্ত্রী কখনো সমপর্যায়ের হতে পারে না। এখন একজন নাস্তিকের ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন সেটা না জেনে আপনি যথাক্রমে Ad Hominem Fallacy এবং আংশিকভাবে Appeal to Hypocrisy র শরণাপন্ন হয়েছেন। একজন চার্বাক হিসেবে প্রচলিত হিন্দুধর্ম নিয়ে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই। তারা যা খুশি করুক সেটার দায়ভার আমি কেন নেবো? আর ইসলাম এবং হিন্দুধর্ম দুটোই আমার কাছে ঘৃণ্য। কিন্তু আপনি যেহেতু “ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণী কুযুক্তি
Ad Hominem Fallacy” নিয়ে আমাকে আক্রমন করেছেন তাই বাধ্য হয়ে এই বিষয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি
-a) আপনি নারদস্মৃতির রেফ দিয়ে দাবি করছেন হিন্দুধর্মের সকল অব্রাহ্মণী মহিলা পতিতা। অথচ স্মৃতি শাস্ত্রের বিধান অখন্ডনীয় হওয়ার প্রধান শর্ত হলো সেটার শ্রুতির সমর্থন থাকতে হবে নতুবা সেটা মানবকল্পিত(পৌরুষেয়) এবং বেদবিরুদ্ধ তকমা পেয়ে বাতিল হয়ে যাবে ( মনুস্মৃতি- ১২তম অধ্যায়, ৯৫,৯৬ তম শ্লোক) এখন আপনাকে আমায় দেখাতে হবে নারদস্মৃতির এই বিধান বেদ, বেদ এর অঙ্গীভূত ১১ উপনিষদ এবং বর্তমানে উপলব্ধ ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলোর দেওয়া বিধান সমর্থিত। যদি তা না হয় তাহলে ঐ নারদ স্মৃতির উক্ত শ্লোকটি বাতিল। আর যদি শ্রুতির থেকে প্রমাণ দেখাতে পারেন তবে এই নাস্তিকের ডর ভয় নেই। হিন্দুধর্ম পচানোর হাজারখানেক রেফারেন্স আমার সংগ্রহে আছে। আমি সেগুলোও বিলি বন্টন করতে ভালোবাসি।
b) আপনার শ্লোক দেখে মনে হচ্ছিল আসলেই ব্রাহ্মণী বাদে পৃথিবীর তাবৎ নারীদের পতিতা বলা হয়েছে (আপনার ভাষ্যমতে- অব্রাহ্মণী মহিলা পাবলিক পতিতা!)
অথচ শ্লোকে লেখা, যে নারী অব্রাহ্মণী, স্বামীর অবিশ্বস্ত, পতিতা এমন যে কারো সাথে একজন পুরুষ ইন্টারকোর্স করতে পারে! (কোড করুন, সকল অব্রাহ্মণী নারী স্বামীর অবিশ্বস্ত নয়। অথচ আপনি কেবলমাত্র একটি গুণ চয়েস করেছেন।)
A man may have intercourse with any woman, (not with a Brahmani ) who is disloyal to her husband , a prostitute, a female slave not shut up by her master and in general with woman of lower order – [Narad Smriti – Law, sloka78 ;page no 89 of book or page no. 120 of archive https://archive.org/details/naradiyadharmasa021669mbp ]
একজন নারী একই সাথে অব্রাহ্মণী কিন্তু অব্রাহ্মণী হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর বিশ্বস্ত হলে কখনো কোনো পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করতে পারবে না। সবগুলো কন্ডিশন পূরণ করতে হবে। হ্যা, এই শ্লোকটি জঘন্য এবং বর্বর। কিন্তু আপনি যেভাবে এটিকে ব্যাখ্যা করছেন তা কেবলমাত্র একটা কন্ডিশনের দিকৈ ইঙ্গিত করে তা হলো – অব্রাহ্মণী। অথচ অন্য কন্ডিশনগুলো আপনি বিচার করেননি। Pick and choose Fallacy.
তো অন্যের বাড়ির মহিলাদের দিকে যারা নজর দিয়ে এই বিধান রচনা করেছিল নিশ্চিতভাবেই আপনি তাদের সমগোত্রীয়। কারণ আপনার নজরও মুশরিক নারীদের দিকে। কবে তারা জিহাদের মাধ্যমে আপনাদের অধিকারে আসবে! নতুবা তাদের প্রতি নজর বৈধ করার জন্য আপনি নারদস্মৃতির পা ধরতেন না। আপনি ঠিকই বলেছেন, “আসলে যে যেখান থেকে উঠে এসেছে সবকিছুই সেই চশমায়ই দেখতে পায়”
আপনি উঠে এসেছেন আপনার মায়ের পায়ের নিচে ৭২ খানা হুরের সাথে খেলাধুলা করার অলীক স্বপ্ন নিয়ে।
c) জিমেইলের নামটি (রাহুল ধর) একটি ছদ্মনাম। তারপরও আপনি সত্যি সত্যি ধরে নিয়েছেন। অবশ্য বিশ্বাস করা না করা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত । যাইহোক, কিন্তু এই নামের পদবীর দোহাই দিয়ে আপনি কায়স্থকে অব্রাহ্মণ হিসেবে দাবি তুলেছেন। মূলত বর্ণাশ্রম, জন্মগত বর্ণবাদ এবং গোত্র এই তিনটি বিষয় আপনি একসাথে গুলিয়ে ফেলেছেন বা হয়তো গুলিয়ে ফেলতেই আপনি পছন্দ করেন! কিন্তু সমস্যা হলো গোত্র আর বর্ণ কিংবা জন্মগত বর্ণবাদ এক নয়। কায়স্থ গোত্রের মধ্যে বৈদ্য (বৈশ্য), ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয়, শুদ্র এই চারটা বর্ণই রয়েছে। এই চার বর্ণই বর্ণই কায়স্থ উপগোত্রীয় হতে পারে এবং তা জন্মগতভাবেই তাই কায়স্থ-গোত্রীয় ব্রাহ্মণদেরকেও মনুস্মৃতিতে উল্লিখিত অপর ব্রাহ্মণদের ন্যায় দ্বিজ (twice born) বলা হয়।
[ রেফ – Hutton, John Henry (১৯৬১), Caste in India: Its Nature, Function, and Origins। Indian Branch, Oxford University Press। পৃষ্ঠা 65।
https://books.google.com/books/about/Caste_in_India.html?id=cuHUAAAAMAAJ#%22twice+born%22
××××তো মূলপ্রসঙ্গে ফিরি। আমি এই ৬নং পয়েন্টে শরীয়াহ ব্যবস্থায় দাসীদের অবস্থানকে সেক্স টয় এর সাথে তুলনা করেছিলাম। সেক্স টয় যেমন স্পর্শ করে, কোমলতা, গন্ধ পরীক্ষা করে যৌনকাজের জন্য কেনা হয় ঠিক তেমনি দাসীও স্পেশালভাবে পর্যবেক্ষণ করে যৌনসঙ্গম করার জন্যও ক্রয় করা হয় এবং কেবলমাত্র এজন্যও দাসী ক্রয় করা যায় ইসলামে।
(ক) যৌনসঙ্গমের উদ্দেশ্য দাসী ক্রয় :
ইমাম কুদুরী তার গ্রন্থে বলেছেন, “অনেক সময় সম্ভোগের উদ্দেশ্যে দাসী কেনার সময় বগলে বা মুখে দুর্গন্ধ থাকলে, সেটির জন্য ক্রেতা সেই দাসীকে আবার ফেরত দিতে পারে। এটিও বলা আছে, দাসী একটি দ্রব্য এবং দাসীর ক্ষেত্রে দুর্গন্ধ থাকা একটি দোষ ।” [ রেফ: আল- মিসবাহুন নূরী শরহে মুখতাসারুল কুদুরী, প্রথম খণ্ড, ইসলামিয়া কুতুবখানা, পৃষ্ঠা ২৩০; https://drive.google.com/file/d/1P9cUv47Tg8y0jNQ10p2ATI_eCBipMwee/view?usp=drivesdk ]
(খ) দাসী খরিদের সময় যোনি পরীক্ষা:
“অনুরূপভাবে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো দাসীকে কুমারী হিসেবে ক্রয় করে। অতঃপর দেখে যে, উক্ত দাসীর কুমারীত্ব নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু বিক্রেতা কুমারীত্ব নষ্ট হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তাহলে এরূপ অবস্থায় বিষয়টি যাচাই করার জন্য এক পর্যায়ে দাসীর লজ্জাস্থান পরীক্ষার উদ্দেশ্যে দেখা বৈধ।”
[ রেফ : আশরাফুল হিদায়া, ইসলামিয়া কুতুবখানা, ৯ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৯৬
https://drive.google.com/file/d/1PApRey326yItVdoLEYTsC2fRqFDkDIDj/view?usp=drivesdk ]
(গ) দাসী মা এবং মেয়ের সাথে সহবাস :
ফিকহে ওসমান বা দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওসমানের ফিকহ গ্রন্থ অনুসারে, একই মালিক যদি মা এবং মেয়ে উভয়ের মালিক হন, তাহলে তিনি দুইজনার সাথেই সহবাস করতে পারেন। একে ওসমান হারাম করা পছন্দ করতেন না । যদিও খলিফা উমর এবং অন্যান্য কয়েকজন ইমাম এই কাজটিকে হারাম বলেছেন। অর্থাৎ এই কাজটির পক্ষেও দলিল রয়েছে, বিপক্ষেও দলিল রয়েছে।
[রেফ : ফিকহে ওসমান রাদিয়াল্লাহ আনহু, আধুনিক প্রকাশনী, পৃষ্ঠা ১৮০, ১৮১
https://drive.google.com/file/d/1PHVn67hRnlVT7_-7iaooCn8JmUQDZaE-/view?usp=drivesdk ]
(ঘ) বাবা-ছেলে-দাদা মিলেমিশে দাসী সেক্স
[রেফ: ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫০, ১৪৩
https://drive.google.com/file/d/1PJZct2BR1rhhPhPw2jAo378mVEii_666/view?usp=drivesdk ]
এতোকিছুর পর দাসীকে সেক্সটয় এর মতো ব্যবহার করা যাবে না বা সেক্সটয় বলা যাবে না এমন কথা বলা হারাম!
৭) দাসীদের গায়ে হাত তোলা নিয়ে আমি যে রেফারেন্স দিয়েছিলাম আপনি তার জবাবে বলেছেন – “কারণ, সেসময়কার প্রচলিত কাফেররা দাস-দাসীদের মারাত্মকভাবে পেটাতো।”
এখন আমি যদি আপনাকে হাদীস থেকে দেখাই নবীর সামনে দাসকে পেটানো হচ্ছে আর নবী মুচকি হাসছেন; তাহলে কি বলবেন?
সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ইহরা্ম অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নিজ গোলামকে প্রহার করলে।
১৮১৮. আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) …… আসমা বিনত আবূ বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (বিদায় হজ্জের সময়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমরা আরাজ নামক স্থানে উপনীত হলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাহন থেকে অবতরণ করলেন এবং আমরাও অবতরণ করলাম। আয়েশা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পার্শ্বে উপবেশন করেন এবং আমি আমার পিতা (আবূ বাকর) এর পার্শ্বে উপবেশন করি। আবূ বাকর (রাঃ) ও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাদ্য পানীয় ও সফরের সরঞ্জাম একই সংগে আবূ বাকরের একটি গোলামের নিকট (একটি উষ্ট্রের পৃষ্ঠে) রক্ষিত ছিল।
আবূ বাকর (রাঃ) গোলামের অপেক্ষায় ছিলেন (যেন খাদ্য-পানীয় গ্রহণ করা যায়)। কিন্তু সে এমন অবস্থায় উপস্থিত হল যে, সে উট তার সাথে ছিল না। তিনি (আবূ বাকর) জিজ্ঞাসা করেন, তোমার সে উটটি কোথায়? জবাবে সে বলল, আমি গতকাল তাকে হারিয়ে ফেলেছি। আবূ বাকর (রাঃ) বলেন, মাত্র একটি উট, তুমি তাও হারিয়ে ফেললে? রাবী বলেন, তখন তিনি তাকে মারধর করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে বলেনঃ তোমরা এ মুহরিম ব্যক্তির দিকে দেখ, কী করছে। রাবী ইবন আবূ রিয্মা বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ উক্তির চাইতে অধিক কিছু বলেননি যে, ‘তোমরা এ মুহরিম ব্যক্তির দিকে দেখ কী কাজ করছে, আর তিনি মুচকি হাসছিলেন।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) //
আবার রাসুলের সামনে আয়েশার একজন দাসীকে সত্য বলার জন্য আলী ও দাসীর গলা টিপে ধরেছিলেন। নবী মোহাম্মদ উপস্থিত থেকেও কোনো বাঁধা দেননি।
[ রেফ: সিরাতুন নবী (সাঃ), ইবনে হিশাম, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩০৯, ৩১০
https://drive.google.com/file/d/1PNo4JIyVR1mBFnen4ZUsqIlzN_5YDxcw/view?usp=drivesdk ]
ইসলাম কুরআন এবং সুন্নাহ নির্ভর। ঐশীগ্রন্থ আল-কুরআনের সাথে কতিপয় মানুষের দুর্বল মনপ্রসূত ভাবনার কোনো তুলনাই যায় না।
—
ইসলামের মূল থিম হলো সকল বাতিল ইলাহকে ত্যাগ করে এক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ, সেই পদ্ধতিতে যে পদ্ধতিতে আমাদের গাইড করেছেন তিনি।
দাস-আইন একটশাখা প্রশ্ন মাত্র। মূল থিম তাওহীদ-রিসালাত নিয়ে তেমন একতা আলাপে দেখা যায় না অমুসলিমদের।
—
অমুসলিমদের প্রশ্নগুলো হয় এমনভাবেঃ তারা একটা স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়ে নেয় নিজেদের মতো। সেই স্ট্যান্ডার্ড এর সত্যতার ব্যাপারে কখনোই কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারে না। তবে সেই স্ট্যান্ডার্ড কে সত্য বলে আগেই ধরে নিয়ে বাকিগুলোকে বিচার করতে চায়।
ইসলামের কোনো বিষয়ে আপত্তি জানাতে হলে আগে নিজের স্ট্যান্ডার্ড সত্য প্রমাণ করতে হবে, তারপর প্রশ্ন। তার আগে কোনো আপত্তি বৈধ নয়।
/*
তাদের উদ্দেশ্য হলো এই মূল থিম এর কথা না বাড়িয়ে সেটা কতটা উপকারী তা ত্যানাপেঁচিয়ে বর্ণনা করা এবং মূল সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া। পারলে চটকদার কথাগুলো বাছাই করা। পছন্দমতো শব্দগুলোর অর্থ ওদল-বদল করা; কিংবা সনদ দুর্বল বলে বাতিল করে দিয়ে সর্বধর্মের প্রকৃত প্রভুর পূজা করা – আর সেই প্রভুটি হলেন Pick & Choose Fallacy.
*/
অতএব এই একটি নতুন দাবি এসে পড়লো, যে যে সম্পর্কে জানে না সে সম্পর্কে নিত্য নতুন দাবি কোথা থেকে যে এসে পড়ে! সনদ-উসুল সম্পর্কে ব্যাসিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। তবে অমুসলিমদের জন্য নয়।
—
অতঃপর দাবি করা হলো /* আরে ভাইজান, কোথায় নিজের স্ত্রী আর কোথায় মুশরিকদের বন্দি করা সদ্য গর্ভবতী মহিলার (থুক্কু দাসী ওরফে আপনার দক্ষিণ হস্ত যার মালিক হয়েছে!) সাথে তুলনা */
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো মুসলিমরা নিজেদের দ্বীন নিজেদের উসুলে তুলনামূলক আলোচনা করলেও আপত্তি দেখা যায় অমুসলিমদের!
কিংবা বলা হলোঃ /* ভ্যাজাইনাল সেক্স ছাড়াও যৌন-আচরণের আরো বিবিধ পদ্ধতি আছে যা ঐ মুশরিকের স্ত্রীর সাথে প্র্যাক্টিকালি করা যাবে[রেফ-২] । আমি সেটার কথাই বলেছি। সদ্য বন্দি জীবিত স্বামীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার পর তার গর্ভবতী স্ত্রী্র উপর “পবিত্র অধিকার” লাভ করে তার ভ্যাজাইন বাদে তার বাকি শরীরে হাতাহাতি,চুম্বন করার নিষ্পাপ কোমল বিধান মনোমুগ্ধকর- আপনার দৃষ্টিতে। তাই পারলে হয়তো আপনিও কোনো জিহাদে জয়ী হয়ে জীবীত কোনো মুশরিককে বন্দি করে তারপর তার স্ত্রীর সাথে চালাতে পারবেন শরিয়তী কামলীলা। কিংবা গর্ভবতীর বেলায় কেবল চুম্বন আর দেহ মন্থনের মিলামিশা। */
ইসলামে দাস আইনের ব্যাপারে প্রচুর জানার ঘাটতি আছে কমেন্টকারীর। কেন্দ্র কর্তৃক বিভাগ না হলে তা সেটা পাবে না। যা হোক এ সম্পর্কে মূল পোস্টেই আলোচনা হয়ে গেছে তাই এটি নিয়ে আর কথা বাড়ানোর দরকার মনে করছি না। আতা (রঃ)ফীক্বহী মত উল্লেখ করা হলো এর পর। মুসলিমরা নিজেদের দাসীর সাথে সহবাস করলে আপত্তি জানায় প্রবাসী ব্লগ থেকে ইসলাম শিক্ষা(!) নেওয়া কোনো কমেন্টযোদ্ধা! তারপর সুনান-ই-আবু দাঊদ থেকে আংশিক রেফারেন্স দেওয়া হলো, যদিও তা মূল পোস্টেই উল্লেখ করা হয়ে গেছে।
—
তারপর কিছু বাল(্য)সুলভ মন্তব্য করা হলো। ইসলামে বিবাহের ক্ষেত্রে দেখার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কুফু মিল হওয়া, আর্থিক-সামাজিক-বয়সে সামঞ্জস্য থাকা ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
তবে কমবয়সে বিয়ে দিলে যদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বেনেফিট হয়, কল্যাণের পরিমাণ বেশি থাকে, না দিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাক তাহলে সেটার বৈধতা রয়েছে।
অতঃপর প্রসঙ্গ আসলো এই বিবাহের ক্ষেত্রে/ কিংবা কোনো নাবালিকা দাসীর মালিকানা লাভ করে ফেললে তার সাথে সহবাসের বিধান কী হবে তা নিয়ে। কিছু আলেম যদিও এর জন্য বয়ঃসন্ধিকে অবশ্য শর্ত দিয়েছেন, তবে বেশিরভাগ আলেম এ দিকে গিয়েছেন যে মেয়ে যদি সক্ষম হয়, এবং ক্ষতি না হয় সে ক্ষেত্রে সহবাসের বৈধতা আছে, ইসলাম ক্ষতিকর কিছুকে সমর্থন করে না।
—
অতএব ফটাফট দাবি /* ভাইজান, আল্লাহ কোরআনে যা হালাল করেছেন, ইসলামের চার খলিফারা পর্যন্ত যে প্রথার মহান দৃষ্টান্তগুলো রেখে গেছেন; এমনকি আপনার নবী পর্যন্ত যে বিধানের জন্য হাফসার বিছানায় ধরা খেয়েছেন; আপনারা সেই পবিত্র বিধানকে স্বেচ্ছায় বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন
এর মানে হলো ইসলামী পন্থাতেও দাসী-বাদীরা যথার্থ অধিকার পায় না। ইসলামের অসারতা উপলব্ধি করতে পারছেন বলেই রাসুলের এই সুন্নাহ কে আপনারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করতে চেয়েছেন। */
মার্ক করা দু’টি অংশ যদি দেখি, ধরা খাওয়া কী? ধরা খাওয়া কি হালাল কোনো কিছুর জন্য প্রযোজ্য। এই হাজার বছরে কোনো মুসলিম আলেম কী এহেন মতামতের বৈধতা দিয়ে গেছেন?
দ্বিতীয় মার্ক করা লাইনে কমেন্ট যাজ্ঞিক নিজে আদৌ বুঝেছে কী বলেছে! আদৌ কি রহিত এবং বিলুপ্তির পার্থক্য বোঝে?
/* যদি আমাকে দেখাতে পারেন যে ইসলাম সর্বজনীনভাবে কিয়ামত পর্যন্ত দাসপ্রথা রহিত করার কোনো বিধান দিয়েছে; আমি নাস্তিক সেই মূহূর্তে ইসলাম কবুল করে নিবো */ আপনাকে ধরে রেখেছে কে? আমরা কখনোই সেটা প্রমাণ করতে যাবো না। এবং সেটা জেনেই এহেন হাস্যকর দাবি তুলেছেন। একই উল্টো দাবি কতোই তোলা যায়।
—
আগেই পরিষ্কার করে রাখা ভালো, হানাফী ফীক্বহ বোঝার জন্য হানাফী আলেমগণের শরণাপন্ন হতে হবে, এই পোস্টকারীর এক্সপার্টাইজ হাম্বলী ফীক্বহে।
যা হোক, হানাফী ফীক্বহের কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে দাবি করা হলো ““দাস প্রথা ইসলাম বিলুপ্ত করেনি বরং বিলুপ্ত করেছে জাতিসংঘ কনভেনশন””, আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ দিয়েও এহেন কথা খুঁজে পাইনি, নিজের মতো এরকম বুঝে নিলেই সমস্যা।
—
মুশরিক দাসীর সাথে সহবাস বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে ঈমান আনে। যা হোক, আমি কমেন্ট দেখে যা আশা করেছিলাম, লিংকে গিয়ে হতাশ হয়েছি। লেখা হলোঃ
/* এমনকি তারা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে সারা পৃথিবীতে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর তারা মুশরিক,কাফিরদের স্ত্রী-কন্যা আর পুত্রদের দাস-দাসী হিসেবে নিযুক্ত করবে। কি জানি, আপনিও তো মুমিন, আপনিও কি আপনার প্রতিবেশী কোনো হিন্দু পরিবারের মহিলাদের নিজের দাসী বানানোর আকাঙ্ক্ষা রাখেন? অবশ্য এই ধরনের চিন্তাভাবনা “ইসলামী আন্ডারওয়ার্ল্ড ভিউ” মোতাবেক খারাপ না ।
ইসলামের প্রায় সকল আলেমই স্বীকার করেন যে, পৃথিবীতে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা হলে আবারো দাসপ্রথা ফিরে আসবে। কাফের মুশরিকদের হত্যা করে কিয়ামতের পূর্বে তাদের মা বোনকে দাসী বানিয়ে আমাদের মুমিন ভাইয়েরা সহবত করতে পারবেন।কোন ধরণের লাজলজ্জা না করে এই কথাগুলো তারা সরাসরিই বলেন, সরাসরিই বইতেও লেখেন। আমি জানি না, এই সমস্ত আলেম কীভাবে এই ধরণের কথা লেখেন! এদের কী একটুও সঙ্কোচ হয় না? আমাদের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ভাইদের মা বোনকে তারা যখন দেখেন, কী দৃষ্টিতে দেখেন আমি জানি না। নিশ্চয়ই এমন চিন্তা তার মাথায় আসে, কিয়ামতের আগে এইসব মা বোন সবাইকে গনিমতের মাল হিসেবে মুমিনরা ভোগ করতে পারবে! কী বীভৎস চিন্তা! */
যতক্ষণই ডিফেন্সিভ অবস্থানে ছিলাম ততক্ষণই হেসেছেন। আসুন এই কথাগুলোর প্রমাণ চাইঃ
ইসলামে দাসী-এবং সহবাস বিষয়ে সকল অপপ্রচারের উত্তরঃ
—
/* আসলে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হবে কিভাবে যেখানে আপনার পেয়ারে নবী আর তার স্ত্রী দাসদের টাকার বিনিময়ে মুক্ত করে নিজেদের অধিকারভুক্ত করে নিতেন! কি অদ্ভুত সৌন্দর্য্য ইসলামের। একটি হাদীস এ দেখ যায়, আয়িশা বারীরার ওয়ালার অধিকারী হওয়ার জন্যেই বারীরাকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আয়িশা সরাসরিই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওয়ালার অধিকার আয়িশার থাকলে তাহলেই শুধুমাত্র সে বারীরার মুক্তির বাকি অর্থ প্রদান করবেন !
//সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২১/ দাসমুক্তি
পরিচ্ছেদঃ ১. মুক্তদাসে অভিবাবকত্ব হবে মুক্তিদাতার
৩৬৩৮। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা হামদানী (রহঃ) … আবু উসামা হতে, তিনি হিশাম ইবন উরওয়া (রহঃ) হতে, তিনি নিজ পিতা হতে এবং তিনি আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, একদিন বারীরা (রাঃ) আমার কাছে এল। এরপর সে বলল, আমার মুনিব আমাকে প্রতি বছর এক উকিয়া করে নয় বছরে নয় উকিয়া (চল্লিশ দিরহামে এক উকিয়া) আদায় করার শর্তে আমাকে মুক্তিদানের চুক্তি করেছে। আপনি আমাকে সাহায্য করুন। আমি [আয়িশা (রা)] তাকে বললাম, তোমার মুনিব যদি এই শর্তে রাজী হয় যে, তোমার মুক্তিপণ এক সঙ্গে আদায় করে দিলে তোমার “ওয়ালা” আমার প্রাপ্য হবে তাহলে আমি তোমাকে মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য করতে পারি।
তখন বারীরা (রাঃ) এই বিষয়টি তার মুনিবের কাছে উত্থাপন করলে তাদের জন্য ’ওয়ালা’ ব্যাতিরেকে তারা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। এরপর সে আমার (আয়িশা (রা) এর) কাছে এসে তাদের কথা বলল। তিনি বলেন, আমি তাকে ধমক দিয়ে বললাম, তাহলে আল্লাহর কসম! আমি রাজী নই। আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি শুনলেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এরপর তিনি বললেন, হে আয়িশা! তুমি তাকে খরিদ করে মুক্ত করে দাও এবং তাদের জন্য ওয়ালার শর্তে রাবী হয়ে যাও। প্রকৃত পক্ষে ওয়ালা সেই পাবে যে মুক্তি দান করে। আমি (আয়িশা) তাই করলাম।
রাবী বলেন, এরপর সন্ধ্যাবেলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা ও তাঁর মহিমা ঘোষণা করলেন। এরপর বললেনঃ লোকের অবস্থা এই পর্যায়ে নেমে গিয়েছে যে, তারা এমন সব শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই। স্মরণ রাখ, যে শর্ত আল্লাহর কিতাবে নেই তা বাতিল বলে গণ্য, যদিও শতবার শর্তারোপ করা হয়। আল্লাহর কিতাবের শর্তই যথার্থ, আল্লাহর শর্তই নির্ভরযোগ্য। তোমাদের মধ্যে কতক লোকের কি হয়েছে যে, তারা অপরকে বলে অমুককে মুক্ত করে দাও আর ’ওয়ালা’ গ্রহণ করব আমরা? অথচ “ওয়ালা” তো তারই যে আযাদ করে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)// */
এখানে কমেন্ট যোদ্ধা কি আসলেই বুঝেছে ওয়ালা মানে কী? যে দায়িত্ব নিয়ে কাওকে মুক্তির ব্যবস্থা করছে সে এখানে ওয়ালার অধিকার পাবে। ওয়ালার একটি অংশ আযাদ সূত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকার। মানুষের মৃত্যুর পর যেমন সন্তানরা তার সম্পত্তি পায়, তেমনই দাস মুক্ত করলে দাসের সম্পত্তির উত্তরাধিকার মুক্তিদাতা মালিক পায়।
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=26207
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=26220
http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=26637
ওয়ালা কোনো প্রকার বিনিময় নয়।
—
আযল করার অনুমতির ব্যাপারে ঠিক ধরেছেন যেই কারণে দাসীর থেকে অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। তবে প্রমাণহীনভাবে শেষে একটা মতামত রেখেছেন, “বর্বর ধর্মের বর্বর যুক্তি।” সেটাকে সত্য প্রমাণিত মাপকাঠি দিয়ে প্রমাণ করে যাবেন।
—
আচ্ছা হিপোক্রেসি কখন অপরপক্ষের হিপোক্রেসি ফ্যালাসির উপর প্রাধান্য পায়, এবং কখন ফ্যালাসি হয় না সেই জ্ঞান কি আদৌ আছে?
—
/*
-a) আপনি নারদস্মৃতির রেফ দিয়ে দাবি করছেন হিন্দুধর্মের সকল অব্রাহ্মণী মহিলা পতিতা। অথচ স্মৃতি শাস্ত্রের বিধান অখন্ডনীয় হওয়ার প্রধান শর্ত হলো সেটার শ্রুতির সমর্থন থাকতে হবে নতুবা সেটা মানবকল্পিত(পৌরুষেয়) এবং বেদবিরুদ্ধ তকমা পেয়ে বাতিল হয়ে যাবে ( মনুস্মৃতি- ১২তম অধ্যায়, ৯৫,৯৬ তম শ্লোক) এখন আপনাকে আমায় দেখাতে হবে নারদস্মৃতির এই বিধান বেদ, বেদ এর অঙ্গীভূত ১১ উপনিষদ এবং বর্তমানে উপলব্ধ ব্রাহ্মণ গ্রন্থগুলোর দেওয়া বিধান সমর্থিত। যদি তা না হয় তাহলে ঐ নারদ স্মৃতির উক্ত শ্লোকটি বাতিল। আর যদি শ্রুতির থেকে প্রমাণ দেখাতে পারেন তবে এই নাস্তিকের ডর ভয় নেই। হিন্দুধর্ম পচানোর হাজারখানেক রেফারেন্স আমার সংগ্রহে আছে। আমি সেগুলোও বিলি বন্টন করতে ভালোবাসি।
b) আপনার শ্লোক দেখে মনে হচ্ছিল আসলেই ব্রাহ্মণী বাদে পৃথিবীর তাবৎ নারীদের পতিতা বলা হয়েছে (আপনার ভাষ্যমতে- অব্রাহ্মণী মহিলা পাবলিক পতিতা!)
অথচ শ্লোকে লেখা, যে নারী অব্রাহ্মণী, স্বামীর অবিশ্বস্ত, পতিতা এমন যে কারো সাথে একজন পুরুষ ইন্টারকোর্স করতে পারে! (কোড করুন, সকল অব্রাহ্মণী নারী স্বামীর অবিশ্বস্ত নয়। অথচ আপনি কেবলমাত্র একটি গুণ চয়েস করেছেন।)
A man may have intercourse with any woman, (not with a Brahmani ) who is disloyal to her husband , a prostitute, a female slave not shut up by her master and in general with woman of lower order – [Narad Smriti – Law, sloka78 ;page no 89 of book or page no. 120 of archive https://archive.org/details/naradiyadharmasa021669mbp ]
একজন নারী একই সাথে অব্রাহ্মণী কিন্তু অব্রাহ্মণী হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর বিশ্বস্ত হলে কখনো কোনো পুরুষ তার সাথে ইন্টারকোর্স করতে পারবে না। সবগুলো কন্ডিশন পূরণ করতে হবে। হ্যা, এই শ্লোকটি জঘন্য এবং বর্বর। কিন্তু আপনি যেভাবে এটিকে ব্যাখ্যা করছেন তা কেবলমাত্র একটা কন্ডিশনের দিকৈ ইঙ্গিত করে তা হলো – অব্রাহ্মণী। অথচ অন্য কন্ডিশনগুলো আপনি বিচার করেননি। Pick and choose Fallacy.
*/
যাক নিজেকে এক্স-হিন্দু দাবি করছেন অথচ হিন্দুইজম নিয়ে তেমন কোনো আইডিয়াই নেই দেখা যায়। আপনাকে অসমর্থিত দেখাতে হবে, আমাকে না। যা হোক, এখানে ইনডিভিজুয়ালি আলাদা গুণেই পাবলিক প্রোডাক্ট হয়। ইংলিশ অনুবাদই পড়ে দেখতে পারেন কেউ একইসাথে এ গুণ(!)গুলো পায় না। সুবিদার্থে বাংলা অনুবাদ দিয়ে দিচ্ছিঃ
এরপর স্বভাবজাত কিছু মন্তব্য করে নিশ্চয়ই অতীত বিষ মিটালেন আপনার পূর্বের ধর্মের কারো প্রতি যে আপনার ফ্যামিলির সাথে আপনার নিজের ধর্মের আইন মিটিয়েছে, কিংবা আপনার নিয়োগকারী পুরুষটির প্রতি!
—
/* ××××তো মূলপ্রসঙ্গে ফিরি। আমি এই ৬নং পয়েন্টে শরীয়াহ ব্যবস্থায় দাসীদের অবস্থানকে সেক্স টয় এর সাথে তুলনা করেছিলাম। সেক্স টয় যেমন স্পর্শ করে, কোমলতা, গন্ধ পরীক্ষা করে যৌনকাজের জন্য কেনা হয় ঠিক তেমনি দাসীও স্পেশালভাবে পর্যবেক্ষণ করে যৌনসঙ্গম করার জন্যও ক্রয় করা হয় এবং কেবলমাত্র এজন্যও দাসী ক্রয় করা যায় ইসলামে।
*/
এখানে খুব সুন্দর করে False Equivalence ফ্যালাসি খাটানো হয়ে গেলো। আপনার ক+খ নম্বর কথা সম্পর্কে এখানে জানতে পারবেন। ইসলামে ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতারণা অবৈধ।
গ – মা-মেয়ের সাথে একত্রে যৌনসহবাস ইসলামে হারাম – এটাই জানা কথা। সনদসহ আরবি ইবারত দিতে হবে, অথবা কিতাবের রেফারেন্স দিতে হবে। উক্ত কিতাবে তো কোথাও বিয়ের কথা আসে নি, ব্যভিচারের কথা এসেছে, যার মাধ্যমে উত্তরাধিকারী মেয়ে হয় না। ব্যভীচারীর বীর্য থেকে সৃষ্ট নয় এমন মেয়ে হারাম নয়, সে নিজের মেয়েও নয়।
ঘ – এখানে কোথাও বলা হয় নি যে যুক্ত মালিকানার দাসীর সাথে সহবাস হালাল, এটা সন্তানের মাসআলা। অবশ্য, চেরিপিকিং করা কাফের স্বভাব।
—
দাস-দাসী প্রহার?
উল্লেখিত হাদিসের সনদ যঈফ (كتاب المسند المصنف المعلل 36/26 https://shamela.ws/book/16953/37394#p1 ), মতভেদে হাসান (শাইখুল আলবানী)। এটা আলাদা আলোচনার বিষয়। যা হোক, আমি তো একই হাদিসে উল্টো পেলাম বিরত থাকা উচিতঃ
ইবনে মাজাহ ২৯৩৩
আলেমগণও এই অর্থেই নিয়েছেনঃ
– كتاب جامع الأصول ৩/৯৭ https://shamela.ws/book/25800/1570
– كتاب بذل المجهود في حل سنن أبي داود 7/174 https://shamela.ws/book/14601/4127
আর এটা পেটানোর পর্যায়ে পড়ে না শাসনের পর্যায়ে পড়ে, ইফাবার অনুবাদে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে।
– كتاب شرح الزرقاني على المواهب اللدنية بالمنح المحمدية 11/358
– الموسوعة الفقهية الميسرة في فقه الكتاب والسنة المطهرة 4/331 https://shamela.ws/book/35096/1538#p1
—
সীরাতে ইবনে হিশামের উক্ত ঘটনাটিতে (https://shamela.ws/book/23833/1038#p1) ‘আঘাত করলেন’ মতনে আসা বর্ণনার সনদ নিশ্চিত নয়, তবে ধমক দিলেন কথাটি প্রমাণিত (كتاب السيرة النبوية كما جاءت في الأحاديث الصحيحة 3/45 https://shamela.ws/book/123668/724)।
Great reply.
কিন্তু হানাফী, মালিকি ও হান্বালী মাজহাব মানে মেজরিটির মত হচ্ছে আজলে স্ত্রীর অনুমতি লাগবে।
আর, আজল করলে কি মেয়েরা পুরোপুরি তৃপ্তি পায়না?
।
যুদ্ধ বন্দি স্ত্রীলোকেদের স্বামী জীবিত থাঅলেও তাদের সাথে সেক্স করে তোমার মতো মুমিন পয়দা করা যায়।
সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৬/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯. বন্দী স্ত্রীলোকের সাথে সহবাস করা।
২১৫২. উবায়দুল্লাহ্ ইবন উমার ইবন মায়সার …… আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়নের যুদ্ধের সময় আওতাস্ নামক স্থানে একটি সৈন্যদল প্রেরণ করেন। তারা তাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলা করে তাদেরকে হত্যা করে এবং তাদের উপর বিজয়ী হয়। আর এই সময় তারা কয়েদী হিসাবে (হাওয়াযেন গোত্রের) কিছু মহিলাকে বন্দী করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু সাহাবী তাদের সাথে অনধিকারভাবে সহবাস করা গুনাহ মনে করে, কেননা তাদের মুশরিক স্বামীরা তখন বন্দী ছিল। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এই আত নাযিল করেনঃ (অর্থ) যে সমস্ত স্ত্রীলোকদের স্বামী আছে তারা তোমাদের জন্য হারাম। তবে যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী অর্থাৎ যেসব মহিলা যুদ্ধবন্দী হিসাবে তোমাদের আয়ত্বে আসবে তারা ইদ্দত (হায়েযের) পূর্ণ করার পর তোমাদের জন্য হালাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
Check the article again.
।
ভাই, shamela তে কিভাবে কিতাব দলিল খুঁজবো? আমি আরবি পারি না তো
আপনাদের ওয়েব সাইট নষ্ট করার জন্য হিন্দুরা উঠে পরে লেগেছে,, আপনারা আরোও ওয়েব সাইট খুলুন,
এবং সাবধানতা অবলম্বন করুন,,
হিন্দু আর নাস্তিকরা ভাই ভাই