খ্রিস্টধর্ম

বাইবেলে বিধর্মীদের হত্যার নির্দেশ – এবং প্রয়োগ!

বাইবেলে বিধর্মীদের হত্যার নির্দেশ

তথাকথিত ‘ইসলাম বিদ্বেষী খ্রিস্টানরা’ ইসলাম সম্পর্কে যে সমস্ত মিথ্যা-অপপ্রচার গুলি করে থাকেতার মধ্যে একটি অন্যতম ঘৃণ্য ও মিথ্যা-অপপ্রচার হল “ইসলামিক জিহাদ প্রসঙ্গে” মূলত এটি তাদের নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ [বাইবেল] সম্পর্কে অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র! খ্রিষ্টান এবং ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে বলা হয়েছে অন্য ধর্মের লোকদেরকে হত্যা করতে ও ধাওয়া করতে। তাদের দেশ দখল করতে। এসব দেশ দখল করে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে। এসব ব্যাপারে ঈশ্বরের সরাসরি নির্দেশ আছে।এখন দেখা বাইবেলে জিহাদ প্রসঙ্গে কি বলা হচ্ছে।

The LORD is a man of war: The LORD is his name.[1]Exodus 15:3 KJV https://bible.com/bible/1/exo.15.3.KJV[2]যাত্রাপুস্তক ১৫ :৩

বাইবেলে জিহাদ প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে যে,

যারা ঈশ্বরের কথামতো নিজ তরবারী দ্বারা রক্তপাত করে না – তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। “যদি কোন ব্যক্তি প্রভুর নির্দেশ মতো তার তরবারি ব্যবহার এবং হত্যা না করে করে তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে।”[3]যেরেমিয়া (Jeremiah) ৪৮ : ১০

“প্রভু আমাকে বলেছিলেন, ‘অর্ণোন উপত্যকা অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য তৈরী হও| হিষ্বোনে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে পরাজিত করতে আমি তোমাদের সাহায্য করবো। তার দেশ অধিগ্রহণ করতে আমি তোমাদের সাহায্য করবো। সুতরাং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হও এবং তার দেশ অধিগ্রহণ করো।[4]দ্বিতীয় বিবরণ (Deuteronomy) ২ : ২৪

বাইবেলে ঈশ্বর অনুগামীদেরকে তরবারী দ্বারা শত্রুদেরকে শাস্তি দেবার বিধান দেয়া হয়েছে।

“হে ঈশ্বর অনুগামীরা, তোমাদের জয়কে উপভোগ কর! বিছানায় যাওয়ার পরে পর্য়ন্ত সুখী হও।লোকজনকে চিত্কার করে প্রভুর প্রশংসা করতে দাও এবং তাদের হাতে তরবারি ধরতে দাও। ওরা ওদের শত্রুদের শাস্তি দিতে যাক। ওরা ওই সব লোকদের শাস্তি দিতে যাক। ”[5][সামসঙ্গীত (Psalms) ১৪৯ : ৫-৭]

“তোমরা তোমাদের শত্রুদের তাড়া করে পরাজিত করবে এবং তরবারি দিয়ে তাদের হত্যা করবে। তোমাদের পাঁচ জন তাদের 100 জনকে ধাওয়া করবে এবং 100 জন ধাওয়া করবে 10,000 জনকে। তোমরা তোমাদের শত্রুদের পরাজিত করবে এবং তোমাদের অস্ত্র দিয়ে তাদের হত্যা করবে। “আর আমি তোমাদের প্রতি প্রসন্ন হব| আমি তোমাদের অনেক সন্তানসন্ততি দিয়ে আশীর্বাদ করব এবং তোমাদের সংখ্যায় বৃদ্ধি করব। আমি তোমাদের সঙ্গে আমার চুক্তি রক্ষা করবো।[6][লেবীয় পুস্তক (Levites) ২৬ : ৭-৯]

অনেকে বলবে যে – এগুলো তো যুদ্ধের সময়কার কথা। এখানে শুধুমাত্র দুষ্টু লোকদের হত্যা করতে বলা হয়েছে। সত্যি কি তাই? বাইবেলে ভালো করলে পড়লে দেখা যায় যে শুধু যোদ্ধাদের নয় বরং সকল নিরাপরাধ নারী, পুরুষ, শিশু, পশুপাখি – সকলকে হত্যা করতে বলা হয়েছে। আবার কখনো কখনো পুরুষদের হত্যা করে স্ত্রীলোকদের ও গবাদিপশু লুট করার কথা বলা হয়েছে।

অবিশ্বাসীরা ঈশ্বর অনুগামীদের দাস হয়ে থাকবে। এ রকম এত পরিমাণ আদেশ বাইবেলে আছে যে সব লিখলে একটা ছোটখাটো বই হয়ে যেতে পারে। অল্প কিছু উদাহরণ উল্লেখ করছি—2 তখন প্রভু যিহোশূয়কে বললেন,

“শোনো, আমি তোমাদের য়িরীহো দখল করতে দিচ্ছি। তোমরা রাজা আর শহরের সমস্ত য়োদ্ধাকে পরাজিত করবে।… 20 যাজকরা শিঙা বাজালেন। লোকরা শিঙার শব্দ শুনে চিত্কার করে উঠল।প্রাচীরগুলো ভেঙ্গে পড়ল। তারা সকলে দৌড়ে শহরের মধ্যে ঢুকে পড়ল। এই ভাবে ইস্রায়েলের লোকরা শহর দখল করে নিল। 21 শহরে যা কিছু ছিল সব তারা ধ্বংস করে ফেলল। জীবিত সব কিছুকেই তারা মেরে ফেলল। যুবক যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কাউকেই বাদ দিল না। গরু, মেষ, গাধা সকলকে তারা মেরে ফেলল।[7][যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ৬]

আরও উদাহরণ [8]যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ১১[9]দ্বিতীয় বিবরণ (Deuteronomy) অধ্যায় ২০[10]যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ১০[11]কাজীগণ / বিচারকচরিত (Judges) ১১[12]দ্বিতীয় বিবরণ অধ্যায় ২[13]সামুয়েল ১ (1 Samuel) অধ্যায় ১৫[14]বিচারকচরিত (Judges) অধ্যায় 14[15]বিচারকচরিত (Judges) অধ্যায় 15[16]সামসঙ্গীত (Pslams) ৬৮ : ২১-২৩[17]জবুর শরীফ/ সামসঙ্গীত (Pslams) ৫৮ : ১০-১১

বাইবেলে মূর্তিপূজকদের হত্যার নির্দেশ

তোমরা তাদের দেবতাদের সম্মুখে মাথা’নত করবে না বা তাদের আরাধনা করবে না। তোমরা তাদের আচার-অনুষ্ঠান অনুকরণ করবে না। তাদের নিঃশেষে ধ্বংস করবে এবং ভেঙ্গে ফেলবে তাদের শিলাস্তম্ভ গুলিও।[18]যাত্রাপুস্তক; ২৩ঃ২৪

কাজেই তোমরা বেলদেবের সমস্ত নবী, ভক্ত ও পুরোহিতদের আমার কাছে ডেকে আন। কেউ যেন বাদ না পড়ে। কারণ আমি বেলদেবের উদ্দেশে বিরাট এক যজ্ঞ করব। এই যজ্ঞে যে আসবে না তার মৃত্যুদণ্ড হবে। যেহু কিন্তু বেলদেবের ভক্তদের ধ্বংস করার জন্যই এই ছলনার আশ্রয় নিলেন।[19]রাজাবলি; ১০ঃ১৯

এলিয় জনতাকে আদেশ দিলেন, বেলদেবের ঐ নবীদের ধর, ওদের একটাকেও পালাতে দিও না। লোকেরা সব কটাকে ধরে ফেলল। এলিয় তাদের কিশোন নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে হত্যা করলেন।[20]রাজাবলি; 18:40

একমাত্র প্রভু পরমেশ্বর ছাড়া অন্য কোন দেবতার উদ্দেশে যে বলিদান করবে তাকে সমূলে ধ্বংস করতে হবে।[21]যাত্রাপুস্তক; 22:20

তোমাদের আরাধ্য ঈশ্বর প্রভু পরমেশ্বর যখন তোমাদের অধীনে এদের সমর্পণ করবেন এবং তোমরা এদের পরাজিত করবে তখনই তোমরা তাদের নিঃশেষে ধ্বংস করবে। তাদের সঙ্গে কোন সন্ধি করবে না বা তাদের প্রতি দয়া করবে না।[22]দ্বিতীয় বিবরণ; 7:2

কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলে, কিম্বা অন্য দেবতাদের নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে হত্যা করা হইবে।📌[সেই ভাববাদীকে হত্যা করা হইবে][23] দ্বিতীয় বিবরণ; 18:20

“ঠিক হলো,যে ব্যক্তি প্রভু ঈশ্বরের” সেবা করতে প্রতিবাদ করবে তা সে যতো গণ্যমান্য হোক বা সাধারণ কেউ হোক তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি মহিলা হলেও তাকে মার্জনা করা হবে না।”[24]2chronicles 15:12-13

যে মাবুদের নাম নিয়ে কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে। বনি-ইসরাইলরা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে। ইসরাইলীয়ই হোক বা তাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকই হোক, যে কেউ কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে।[25]লেবীয় ২৪ঃ১৬[26]দ্বিতীয় বিবরণ 7:5 , দ্বিতীয় বিবরণ 7:3 , যাত্রাপুস্তক 34:13 , দ্বিতীয় বিবরণ 7:26 , দ্বিতীয় বিবরণ 18:20, যাত্রাপুস্তক 23:24, ২ রাজাবলি 10:19 , যাত্রাপুস্তক 22:20, দ্বিতীয় বিবরণ … See Full Note

তাদের সঙ্গে তোমাদের আচরণ হবে এই প্রকার: তোমরা তাদের বেদীগুলি ভেঙ্গে ফেলবে, শিলাস্তম্ভগুলি চূর্ণ বিচূর্ণ করবে, আশেরা বিগ্রহগুলি উচ্ছেদ করবে এবং তাদের খোদাই করা মূর্তিগুলি আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে।[27]দ্বিতীয় বিবরণ; 7:5

তাদের সঙ্গে তোমরা বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না। তোমরা তাদের পুত্রদের সঙ্গে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দেবে না এবং তোমাদের পুত্রদের জন্য তাদের কন্যাদের গ্রহণ করবে না।[28]দ্বিতীয় বিবরণ; 7:3

তোমরা তাদের বেদী ও শিলাস্তম্ভগুলি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে ফেলবে। তাদের কাঠের তৈরী আশেরা মূর্তিগুলি উচ্ছেদ করবে।[29]যাত্রাপুস্তক; 34:13

এলিয় জনতাকে আদেশ দিলেন, বেলদেবের ঐ নবীদের ধর, ওদের একটাকেও পালাতে দিও না। লোকেরা সব কটাকে ধরে ফেলল। এলিয় তাদের কিশোন নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে হত্যা করলেন।[30]রাজাবলি-১; 18:40

কাজেই তোমরা বেলদেবের সমস্ত নবী, ভক্ত ও পুরোহিতদের আমার কাছে ডেকে আন। কেউ যেন বাদ না পড়ে। কারণ আমি বেলদেবের উদ্দেশে বিরাট এক যজ্ঞ করব। এই যজ্ঞে যে আসবে না তার মৃত্যুদণ্ড হবে। যেহু কিন্তু বেলদেবের ভক্তদের ধ্বংস করার জন্যই এই ছলনার আশ্রয় নিলেন।[31]রাজাবলি-২; 10:19

আর তুমি ঘৃণ্য বস্তু(মূর্তি) নিজের গৃহে আনবে না এবং পূজা করবে না, ফলে তার মত বর্জিত হও; কিন্তু তা একদম ঘৃণা করবে ও অবজ্ঞা করবে, যেহেতু তা বাদ দেওয়া জিনিস।[32]দ্বিতীয় বিবরণ; 7:26

কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলে, কিম্বা অন্য দেবতাদের নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে হত্যা করা হইবে।[33]দ্বিতীয় বিবরণ;18:20

“ঠিক হলো,যে ব্যক্তি প্রভু ঈশ্বরের” সেবা করতে প্রতিবাদ করবে তা সে যতো গণ্যমান্য হোক বা সাধারণ কেউ হোক তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। এমনকি মহিলা হলেও তাকে মার্জনা করা হবে না।”[34]2chronicles 15:12-13

যে মাবুদের নাম নিয়ে কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে। বনি-ইসরাইলরা তাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে। ইসরাইলীয়ই হোক বা তাদের মধ্যে বাস করা অন্য জাতির লোকই হোক, যে কেউ কুফরী করবে তাকে হত্যা করতেই হবে।[35]লেবীয়; ২৪ঃ১৬

আর্টিকেলে এমন অনেক কথাই উল্লেখ করিনি, অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে।অনেক খ্রিষ্টবাদী দাবি করতে চাবেন যে – এগুলো পুরাতন নিয়ম (Old Testament) এর কথা। সেগুলো ইস্রায়েলীয়দের ইতিহাস! কিন্তু এই কথা অযৌক্তিক এবং বাইবেলবিরোধী। তবুও যদি তর্কের খাতিরে ধরি এগুলো “বিধান” নয়। এগুলো “ইতিহাস” কিন্তু এই “ইতিহাস”গুলো কেন বা কিভাবে সৃষ্টি হল? এগুলো কি ইস্রায়েলীয়রা নিজ ইচ্ছায় করেছিল? নাকি কেউ তাদেরকে এগুলো করার আদেশ দিয়েছিল? এই ইতিহাস গুলোকে মানুষ নিজ ইচ্ছার দ্বারা তৈরি করেছিলনাকি ঈশ্বরের আদেশে এগুলো হয়েছিল?

উত্তরঃ অবশ্যই ঈশ্বরের আদেশেই এগুলো হয়েছিল।তাহলে যদি ঈশ্বরের আদেশেই এই গুলি হয়ে থাকে তাহলে ঈশ্বরের আদেশকে কী বলা হয়!!

উত্তরঃ অবশ্যই বিধান বা আইন বলা হয়।বাইবেলের পুরাতন নিয়ম (Old Testament) এবং নতুন নিয়ম (New Testament) উভয় স্থানেই বারংবার এটা বলা হয়েছে যেঃ ঈশ্বরের সকল আইন উত্তম এবং চিরস্থায়ী। এর কখনো বিলোপ হবে না। খোদ যিশুখ্রিষ্ট থেকে উক্তি আছে যে তিনি পুরাতন নবীদের শিক্ষা সামান্যতমও বাতিল করতে আসেননি। খ্রিষ্ট ধর্মের জনক সাধু পল পর্যন্ত বলে গেছেন যেঃ সকল গ্রন্থের কথাগুলোই শিক্ষনীয়। কাজেই খ্রিষ্টান প্রচারকরা বাইবেলের নৃশংস জিনিসগুলোকে ‘Old Testament এর আইন’, ‘ইস্রায়েলের ইতিহাস; আমাদের বিধান না!’ এসব কথা বলে যে অযুহাত দেন তা নিতান্তই অগ্রহণযোগ্য।

” একেবারে শুরু থেকে আপনার প্রত্যেকটি বাক্যকেই নির্ভর করা যাবে| প্রভূ এবং আপনার সমস্ত ভালো ও ন্যায্য বিধিগুলো চিরদিনই থাকবে| ” All your words are true; all your righteous laws are eternal. “[36][সামসঙ্গীত (Psalms); ১১৯ : ১৬০]

য়োহন বাপ্তাইজকের [John The Baptist / ইয়াহইয়া] সময় পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষার প্রচলন ছিল৷ তারপর থেকে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় সুসমাচার প্রচার করা শুরু হয়েছে৷ আর সেই রাজ্যে প্রবেশ করার জন্য সবাই প্রবলভাবে চেষ্টা করছে৷ তবে বিধি-ব্যবস্থার এক বিন্দু বাদ পড়ার চেয়ে বরং আকাশ ও পৃথিবীর লোপ পাওযা সহজ৷

” The Law and the Prophets were proclaimed until John.Since that time, the good news of the kingdom of God is being preached, and everyone is forcing his way into it.It is easier for Heaven and Earth to pass away than for the smallest part of the letter of the law to become invalid.”[37][লুক (Luke); ১৬ : ১৬-১৭]

“[যিশু বললেন] ভেবো না যে আমি মোশির বিধি-ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের শিক্ষা ধ্বংস করতে এসেছি৷ আমি তা ধ্বংস করতে আসিনি বরং তা পূর্ণ করতেইএসেছি৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি আকাশ ও পৃথিবীর লোপ না হওয়া পর্যন্ত বিধি-ব্যবস্থার বিন্দু বিসর্গও লোপ হবে না, বিধি-ব্যবস্থার সবই পূর্ণ হবে৷ তাই কেউ যদি এইসব আদেশের মধ্যে অতি সামান্য আদেশও অমান্য করে আর অপরকে তা করতে শিক্ষা দেয়, তবে সে স্বর্গরাজ্যে সব থেকে তুচ্ছ বলে গন্য হবে৷ কিন্তু যাঁরা বিধি-ব্যবস্থা পালন করে ও অপরকে তা পালন করতে শিক্ষা দেয়, তারা স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গন্য হবে৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি ব্যবস্থার শিক্ষক ও ফরীশীদের থেকে তোমাদের ধার্মিকতা যদি উন্নত মানের না হয় তবে তোমরা স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না৷ “Do not think that I have come to abolish the Law or the Prophets; I have not come to abolish them but to fulfil them. I tell you the truth, until heaven and earth disappear, not the smallest letter, not the least stroke of a pen, will by any means disappear from the Law until everything is accomplished. Anyone who breaks one of the least of these commandments and teaches others to do the same will be called least in the kingdom of heaven, but whoever practises and teaches these commands will be called great in the kingdom of heaven. For I tell you that unless your righteousness surpasses that of the Pharisees and the teachers of the law, you will certainly not enter the kingdom of heaven.[38][ মথি (Matthew); ৫ : ১৭-২০]

“সমস্ত শাস্ত্রই ঈশ্বর দিয়েছেন এবং অনুয়োগ, সংশোধন ও ন্যায়পরায়ণ জীবনযাপনের জন্য প্রতিটি বাক্যই সঠিক নির্দেশ দিতে পারে৷ য়েন তার দ্বারা ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক ও সমস্ত সত্ কর্মের জন্য সুসজ্জিত হয়৷ ” All Scripture is God-breathed and is useful for teaching, rebuking, correcting and training in righteousness, so that the man of God may be thoroughly equipped for every good work.”[39][তিমথিয়-২ (2 Timothy); ৩ : ১৬-১৭]

সম্রাট আলেকজান্ডার যেসব নগর জয় করেছে ও ধ্বংস করেছে – সেগুলো নিজ ইচ্ছায় করেছে। এর পেছনে কোনো আদর্শ ছিল না। বা ঐশ্বরিক নির্দেশ ছিল না। কাজেই সেগুলোকে আমরা নিছক ‘ইতিহাস’ বলতে পারি।কিন্তু বাইবেলে বনী ইস্রাঈলের ঘটনাগুলোকে কি এর সাথে মেলানো যাবে? ইস্রায়েল জাতির এই জিনিসগুলো যদি নিছক ইতিহাস হতো, যদি এর কোনো application না থাকতো – এগুলো তাহলে বাইবেলে এখনো আছে কেন? প্রাচীন চার্চ ফাদাররা কাউন্সিল করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুলোকে কেন বাইবেলে রাখলেন? [ আমি জানি যে এই যুগে কাউন্সিল হলে জীবনেও এখনকার চার্চ ফাদার বা প্যাস্টররা এই বইগুলোকে বাইবেলে রাখতেন না। কেননা মানুষের নিজের ইচ্ছা ও নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে যুগে যুগে খ্রিষ্টধর্মের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বদলেছে।]

ইসলামের সমালোচকরা এবার হয়তো বলতে চাবেন যে, ইসলামেও তো জিহাদের বিধান আছে। সেখানে কি নৃশংসতা নেই? আমি তাদেরকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলব যেঃ হ্যাঁ, ইসলামে আক্রমণাত্মক, রক্ষনাত্মক উভয় প্রকারের জিহাদ আছে। কিন্তু ইসলামের জিহাদের বিধান আর বাইবেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিধান মোটেও এক নয়। উভয়ের মাঝে আকাশ আর পাতালের ফারাক। চাইলে এ নিয়ে আলাদাভাবে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে (ইন-শা-আল্লাহ)। _______

বিঃদ্রঃ খ্রিষ্টীয় প্রচারকরা বারংবার প্রমাণের চেষ্টা করেন যে – আল কুরআনের আল্লাহ তা’আলা মোটেও বাইবেলের ঈশ্বর (Yahweh / YHWH) না। তারা মুসলিমদেরকে এক ভিন্ন ঈশ্বরের পুজক বলে দাবি করেন এবং এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালান।এই রক্তপিপাসু নীতির বাস্তবায়নেই মধ্যযুগে ক্রুসেডের সময়ে দেখা গিয়েছে। ১ম ক্রুসেডের সময়ে বাস্তবিকই ‘শত্রু’ মুসলিমদের রক্তে খ্রিষ্টীয় ক্রুসেডারদের ঘোড়ার পা ডুবে গিয়েছিলো, এত পরিমাণ রক্তপাত তারা পবিত্র জেরুজালেম নগরে করেছিলো। আধুনিককালেও এর প্রয়োগ অনেকে ঘটাচ্ছে। কিন্তু হোতাদের অস্বীকার ও মিডিয়ার কারুকার্যে তা অনেকেরই চোখে পড়ছে না। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের দ্বারা আরেকবার এটা বিশ্ববাসীর দৃষ্টিগোচর হলো।

    Footnotes

    Footnotes
    1Exodus 15:3 KJV https://bible.com/bible/1/exo.15.3.KJV
    2যাত্রাপুস্তক ১৫ :৩
    3যেরেমিয়া (Jeremiah) ৪৮ : ১০
    4দ্বিতীয় বিবরণ (Deuteronomy) ২ : ২৪
    5[সামসঙ্গীত (Psalms) ১৪৯ : ৫-৭]
    6[লেবীয় পুস্তক (Levites) ২৬ : ৭-৯]
    7[যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ৬]
    8যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ১১
    9দ্বিতীয় বিবরণ (Deuteronomy) অধ্যায় ২০
    10যোশুয়া (Joshua) অধ্যায় ১০
    11কাজীগণ / বিচারকচরিত (Judges) ১১
    12দ্বিতীয় বিবরণ অধ্যায় ২
    13সামুয়েল ১ (1 Samuel) অধ্যায় ১৫
    14বিচারকচরিত (Judges) অধ্যায় 14
    15বিচারকচরিত (Judges) অধ্যায় 15
    16সামসঙ্গীত (Pslams) ৬৮ : ২১-২৩
    17জবুর শরীফ/ সামসঙ্গীত (Pslams) ৫৮ : ১০-১১
    18যাত্রাপুস্তক; ২৩ঃ২৪
    19রাজাবলি; ১০ঃ১৯
    20রাজাবলি; 18:40
    21যাত্রাপুস্তক; 22:20
    22দ্বিতীয় বিবরণ; 7:2
    23 দ্বিতীয় বিবরণ; 18:20
    24, 342chronicles 15:12-13
    25লেবীয় ২৪ঃ১৬
    26দ্বিতীয় বিবরণ 7:5 , দ্বিতীয় বিবরণ 7:3 , যাত্রাপুস্তক 34:13 , দ্বিতীয় বিবরণ 7:26 , দ্বিতীয় বিবরণ 18:20, যাত্রাপুস্তক 23:24, ২ রাজাবলি 10:19 , যাত্রাপুস্তক 22:20, দ্বিতীয় বিবরণ 7:2, (2chronicles 15:12-13),(লেবীয়২৪ঃ১৬)
    27দ্বিতীয় বিবরণ; 7:5
    28দ্বিতীয় বিবরণ; 7:3
    29যাত্রাপুস্তক; 34:13
    30রাজাবলি-১; 18:40
    31রাজাবলি-২; 10:19
    32দ্বিতীয় বিবরণ; 7:26
    33দ্বিতীয় বিবরণ;18:20
    35লেবীয়; ২৪ঃ১৬
    36[সামসঙ্গীত (Psalms); ১১৯ : ১৬০]
    37[লুক (Luke); ১৬ : ১৬-১৭]
    38[ মথি (Matthew); ৫ : ১৭-২০]
    39[তিমথিয়-২ (2 Timothy); ৩ : ১৬-১৭]
    Show More
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button