খ্রিস্টধর্ম

বাইবেলে কুরআন নাজিল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী

Contents Hide

বাইবেলে দুটি অংশ। যথাঃ

  1. পুরাতন বিধান (হিব্রুতে তাওরাত וְתוֹרַ֥ת [1]যেরেমিয়া 8:8 https://www.sacred-texts.com/bib/tan/jer008.htm#008‌)
  2. নতুন বিধান (গ্রিকে διαθήκη, diathēkē (দিয়াথিকি) এবং আরবিতে العهد الجديد[2]আলিহাদ আলজাদিদ উল্লেখ আছে মার্ক 14:24 https://www.sacred-texts.com/bib/poly/g1242.htm‌)

ইহুদিদের কিতাবে হিব্রুতে তাওরাত শব্দ ঠিকমতো পাওয়া গেলেও Gospel বা New Testament কখনোই আরবিতে ইঞ্জিল হয় না।প্রতারক[3]https://youtu.be/IWnIzhuIlrY খ্রিস্টানরা তাদের নিউ টেস্টামেন্টকে ইঞ্জিল দাবি করে মুসলিমদের কাছে প্রচার করে। আর ওদিকে বাইবেলের প্রথম ৫টা বইকে ইহুদিরা তৌরাত বলে।

কুরআন নাজিল সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

وَإِنَّهُ‌و لَفِى زُبُرِ ٱلْأَوَّلِينَ

পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও নিশ্চয় এর (কুরআনের) উল্লেখ আছে।[4]কুরআন, সূরাহ আশ-শু’আরা ২৬:১৯৬

এবং কুরআনও পূর্ববর্তী কিতাবগুলোকে সত্যায়িত করে,

قَالُواۡ يَٰقَوْمَنَآ إِنَّا سَمِعْنَا كِتَٰبًا أُنزِلَ مِنۢ بَعْدِ مُوسَىٰ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِىٓ إِلَى ٱلْحَقِّ وَإِلَىٰ طَرِيقٍ مُّسْتَقِيمٍ

(ফিরে গিয়ে) তারা বলল- হে আমাদের সম্প্রদায়! আমরা একটি কিতাব (এর পাঠ) শুনেছি যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, তা পূর্বেকার কিতাবগুলোর সত্যতা প্রতিপন্ন করে, সত্যের দিকে আর সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে।[5]কুরআন, সূরা আল-আহক্বাফ ৪৬:৩০

অন্যত্র এসেছে,

وَمِن قَبْلِهِۧ كِتَٰبُ مُوسَىٰٓ إِمَامًا وَرَحْمَةًۚ وَهَٰذَا كِتَٰبٌ مُّصَدِّقٌ لِّسَانًا عَرَبِيًّا لِّيُنذِرَ ٱلَّذِينَ ظَلَمُواۡ وَبُشْرَىٰ لِلْمُحْسِنِينَ

আর এর পূর্বে এসেছিল মূসার কিতাব পথপ্রদর্শক ও রহমতস্বরূপ। আর এটি (কুরআন) তার সত্যায়নকারী কিতাব, আরবী ভাষায়; যাতে এটা যালিমদেরকে সতর্ক করতে পারে এবং তা ইনসাফকারীদের জন্য এক সুসংবাদ।[6]কুরআন, সূরা আল-আহক্বাফ ৪৬:১২

কুরআন হলো অগ্নিময় শরীয়ত এবং নবীর ১০ হাজার সাহাবী

এবার আসুন দেখি বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে কুরআনের কথা উল্লেখ আছে কিনাঃ

আর আল্লাহ্‌র লোক মূসা মৃত্যুর আগে বনি-ইসরাইলকে যে দোয়া করলেন তা এই: তিনি বললেন, মাবুদ সিনাই থেকে আসলেন, সেয়ীর থেকে তাদের প্রতি উদিত হলেন; পারণ পর্বত থেকে তাঁর তেজ প্রকাশ করলেন, অযুত অযুত (কিংবা, দশ হাজার সাধুকে নিয়ে এলেন[7]দ্বিতীয় বিবরণ 33:2 BERV https://bible.com/bible/3150/deu.33.2.BERV[8]Deuteronomy 33:2 KJV https://bible.com/bible/1/deu.33.2.KJV‌) পবিত্র লোকদের কাছ থেকে আসলেন; তাদের জন্য তাঁর ডান হাতে অগ্নিময় শরীয়ত ছিল।[9]দ্বিতীয় বিবরণ 33:1‭-‬2 BACIB https://bible.com/bible/809/deu.33.1-2.BACIB

এখান থেকে যা বলা যায়,

  • পারণ পর্বত হলো মক্কারই হিব্রু নাম, কিংবা মক্কার কোনো পাহাড়[10]মুজামুল বুলদান (৩/৩০১)., এটা জানা কথা।
  • মুহাম্মদ (ﷺ) এর দশ হাজার জন সাহাবী নিয়ে মক্কা বিজয় করার কথা এই দশ হাজার লোকের সাথে মিলে যায়।
  • এবং আমরা জানি কুরআন ইসলামী শরিয়তের উৎস।

কুরআনে বলা,

আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।[11]সূরা আল আ’লা ৮৭:৮

নবী নিজ থেকে কিছু বলবেন না

কিন্তু আমি হুকুম দিই নি এমন কোন কথা যদি কোন নবী আমার নাম করে বলতে সাহস করে কিংবা সে যদি দেব-দেবীর নামে কথা বলে, তবে তাকে হত্যা করতে হবে।’[12]দ্বিতীয় বিবরণ 18:20 MBCL

কুরআনে বলাঃ

এটা বিশ্বপালনকর্তার কাছ থেকে অবতীর্ণ।
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত,
তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম,
অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।
এটা খোদাভীরুদের জন্যে অবশ্যই একটি উপদেশ।[13]সূরা আল হাক্বক্বাহ, ৬৯:৫০

আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।[14]সূরা আল আনকাবুত, ২৯:৪৮

কুরআন হবে আল্লাহর নাজিলকৃত নূর

বাইবেলের নবী হাবাকুক-এর সহিফায় বলা আছে,

আল্লাহ্‌ তৈমন থেকে আসছেন, আল্লাহ্‌ পাক পারণ পাহাড় থেকে আসছেন। তাঁর মহিমা আসমান ছেয়ে যায়; দুনিয়া তাঁর প্রশংসায় পরিপূর্ণ। সূর্যের মতই তাঁর উজ্জ্বলতা; তাঁর হাত থেকে আলো ঠিক্‌রে পড়ে, সেখানে তাঁর শক্তি লুকানো আছে।[15]হাবাক্কুক 3:3‭-‬4 MBCL
https://bible.com/bible/95/hab.3.3-4.MBCL

এখানে আল্লাহর হাতে থাকা আলোই হচ্ছে কুরআন। কুরআনে অসংখ্য জায়গায় কুরআনকে আলো বলা হয়েছে। যেমন, আল্লাহ বলেনঃ

فَئَامِنُواۡ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۧ وَٱلنُّورِ ٱلَّذِىٓ أَنزَلْنَاۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

কাজেই (এ অবস্থার কথা চিন্তা ক’রে) তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলের প্রতি আর সেই নূর (কুরআন)-এর প্রতি যা আমি অবতীর্ণ করেছি। তোমরা যা কর সে ব্যাপারে আল্লাহ পুরোপুরি অবগত।[16]কুরআন, সূরা তাগাবুন ৬৪:৮

কুরআন নাজিল হবে নিরক্ষর নবীর ওপর

আল্লাহ কুরআনে বলেনঃ

ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلرَّسُولَ ٱلنَّبِىَّ ٱلْأُمِّىَّ ٱلَّذِى يَجِدُونَهُ‌و مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِى ٱلتَّوْرَىٰةِ وَٱلْإِنجِيلِ يَأْمُرُهُم بِٱلْمَعْرُوفِ وَيَنْهَىٰهُمْ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ ٱلْخَبَٰٓئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَٱلْأَغْلَٰلَ ٱلَّتِى كَانَتْ عَلَيْهِمْۚ فَٱلَّذِينَ ءَامَنُواۡ بِهِۧ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَٱتَّبَعُواۡ ٱلنُّورَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ مَعَهُ‌وٓۙ أُوۡلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُفْلِحُونَ

যারা প্রেরিত উম্মী (নিরক্ষর) নবীকে অনুসরণ করবে যা তাদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইনজীলে তারা লিখিত পাবে। সে তাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয়, অসৎ কাজ করতে নিষেধ করে, পবিত্র বস্তুসমূহ তাদের জন্য হালাল করে, অপবিত্র বস্তুগুলো তাদের জন্য নিষিদ্ধ করে, তাদের থেকে গুরুভার সরিয়ে দেয় আর সেই শৃঙ্খল (হালাল-হারামের বানোয়াট বিধি-নিষেধ) যাতে ছিল তারা বন্দী। কাজেই যারা তার প্রতি ঈমান আনে, তাকে সম্মান প্রদর্শন করে, তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আর তার উপর অবতীর্ণ আলোর অনুসরণ করে, তারাই হচ্ছে সফলকাম।[17]কুরআন, সূরা আল-আ’রাফ ৭:১৫৭

এ ব্যাপারে বাইবেলে নবী ইশাইয়ার বৃহৎ সহিফায় বর্নিত আছে,

এই গোটা দর্শনটাই তোমাদের কাছে কেবল সীলমোহর করা গুটানো-কিতাবের মত হয়েছে। যে তেলাওয়াত করতে জানে তাকে যদি সেই কিতাবটা দিয়ে বলা হয়, “দয়া করে এটা তেলাওয়াত করুন,” তবে জবাবে সে বলবে, “আমি পারব না, কারণ এটা সীলমোহর করা হয়েছে।” কিংবা যে তেলাওয়াত করতে জানে না তাকে কিতাবটা দিয়ে যদি বলা হয়, “দয়া করে এটা তেলাওয়াত করুন,” তবে জবাবে সে বলবে, “আমি তেলাওয়াত করতে জানি না।”[18]ইশাইয়া 29:11‭-‬12 MBCL
https://bible.com/bible/95/isa.29.11-12.MBCL

হবহু একই ঘটনা হাদিসে পাই-

উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে তাঁর নিকট ওয়াহী আসলো। তাঁর নিকট ফেরেশতা এসে বললো, ‘পাঠ করুন’। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “আমি বললাম, ‘আমি পড়তে জানি না। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ অতঃপর সে আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলো যে, আমার খুব কষ্ট হলো। অতঃপর সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, ‘পাঠ করুন’। আমি বললামঃ আমি তো পড়তে জানি না’। সে দ্বিতীয় বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমনভাবে চাপ দিলো যে, আমার খুব কষ্ট হলো। অতঃপর সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, ‘পাঠ করুন’। আমি উত্তর দিলাম, ‘আমি তো পড়তে জানি না’। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অতঃপর তৃতীয়বারে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। তারপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পাঠ করুন আপনার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত পিন্ড থেকে, পাঠ করুন, আর আপনার রব অতিশয় দয়ালু”- (সূরা আলাক্ব ৯৬/১-৩)। অতঃপর এ আয়াত নিয়ে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- প্রত্যাবর্তন করলেন। তাঁর হৃদয় তখন কাঁপছিল।[19]সহিহুল বুখারী হাঃ ৩, ৩৩৯২, ৪৯৫৩, ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৬৯৮২; মুসলিম ১/৭৩ হাঃ ১৬০, আহমাদ ২৬০১৮

নিরক্ষর নবীর নামসহ তার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ এবং তার স্বজাতি হবে মুশরিক তথা পৌত্তলিক

নবীর (ﷺ) আহমদ নাম মর্ডান হিব্রুতে אחמד হয়, কিন্তু নরমাল যবর যের পেশ যুক্তহিব্রুতে এতমাখ(אֶתְמָךְ־) উচ্চারন হয়।

Modern Hebrew – Isaiah 42:1[20]https://www.wordproject.org/bibles/he/23/42.htm#0 তে আছে,

  • הן(হেন-তুলে ধরি)
  • עבדי(আব্দি- আমার বান্দা)
  • אתמך(আহমেদ)
  • ־בו(বো-যাকে)
  • בחירי(বিহিরি-মনোনীত করেছি)
  • רצתה(রাশেতাহ-তার উপর সন্তুষ্ট)
  • נפשי(নাফসি-আমার আত্না)
  • נתתי(নাতাতি-আমি রেখেছি)
  • רוחי(রুহি-আমার আত্না)
  • עליו(এলোহ-দিয়েছি তাকে)
  • משפט(মিসপাত-সে বিচার করবে)
  • לגוים(লাগোউইম-অইহুদি­দেরক)
  • יוציא(ইয়োসি-তিনি ফিরিয়ে আনবেন)

এখানে শুরুতে বলা আহমদ অইহুদিদের বিচার করে আনবেন। আহমদ হলো কুরআনে বর্ণিত নবী (ﷺ) এর আরেক নাম[21]কুরআন ৬১:৬।আমরা জানি আরবে পৌত্তোলিকদের তিনি বিচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, তাদের অনেককে ইসলামে ফিরিয়ে এনেছেন, তারা ছিলো অইহুদি।

বাইবেলের ইসাইয়ার কিতাবে এর পরের অনুচ্ছেদে বলাঃ

“আমি মাবুদ তোমাকে ন্যায়ভাবে ডেকেছি; আমি তোমার হাত ধরে রাখব। আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং আমার বান্দাদের জন্য তোমাকে একটা ব্যবস্থার মত করব আর অন্যান্য জাতিদের জন্য করব আলোর মত। তুমি অন্ধদের চোখ খুলে দেবে, জেলখানা থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে আর সেখানকার অন্ধকার গর্তে রাখা লোকদের বের করে আনবে। “আমি মাবুদ, এ-ই আমার নাম। আমি অন্যকে আমার গৌরব কিংবা মূর্তিকে আমার পাওনা প্রশংসা পেতে দেব না। দেখ, আগেকার ঘটনাগুলো ঘটে গেছে আর এখন আমি নতুন ঘটনার কথা ঘোষণা করব; সেগুলো ঘটবার আগেই তোমাদের কাছে তা জানাচ্ছি।”[22]ইশাইয়া 42:6‭-‬9 MBCL https://bible.com/bible/95/isa.42.6-9.MBCL

অন্যত্র আছে,

আমি পাহাড়-পর্বতগুলো গাছপালাহীন করব আর সেখানকার সমস্ত গাছপালা শুকিয়ে ফেলব; আমি নদীগুলোকে দ্বীপ বানাব আর পুকুরগুলো শুকিয়ে ফেলব। আমি অন্ধদের তাদের অজানা রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাব, যে পথ তারা জানে না সেই পথে তাদের চালাব। তাদের আগে আগে আমি অন্ধকারকে আলো করব আর অসমান জায়গাকে সমান করে দেব। এ সবই আমি করব, নিশ্চয়ই করব। কিন্তু যারা খোদাই করা মূর্তির উপর ভরসা করে, যারা ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলোকে বলে, ‘তোমরা আমাদের দেবতা,’ আমি তাদের ভীষণ লজ্জায় ফেলে ফিরিয়ে দেব।[23]ইশাইয়া 42:15‭-‬17 MBCL https://bible.com/bible/95/isa.42.15-17.MBCL

কুরআনে অসংখ্য জায়গায় নবী (সাঃ) এর পৌত্তলিক জাতিকে মূর্তি নিষিদ্ধ কথা বলা হয়েছে বার বার। যেমনঃ

وَإِذَا رَءَاكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاۡ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَٰذَا ٱلَّذِى يَذْكُرُ ءَالِهَتَكُمْ وَهُم بِذِكْرِ ٱلرَّحْمَٰنِ هُمْ كَٰفِرُونَ

কাফিররা যখন তোমাকে দেখে, তখন তারা তোমাকে একমাত্র উপহাসের পাত্র হিসেবেই গণ্য করে। (আর তারা বলে) ‘এই কি সেই লোক যে তোমাদের দেবতাগুলোর ব্যাপারে কথা বলে? অথচ এই লোকগুলোই ‘রহমান’ (শব্দটির) উল্লেখকে অগ্রাহ্য করে।[24]কুরআন, সূরা আল-আম্বিয়া ২১:৩৬

নবী (ﷺ) বন্দীদের মুক্তি দিবেন

কুরআনে আছে,

[নিরক্ষর নবী] তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল।[25]সূরা আারাফ ৭ঃ১৫৭

তেমনি বাইবেলেও বলা,

তুমি অন্ধদের চোখ খুলে দেবে, জেলখানা থেকে বন্দীদের মুক্ত করবে আর সেখানকার অন্ধকার গর্তে রাখা লোকদের বের করে আনবে।[26]ইশাইয়া 42:6‭-‬9 MBCL

নবী (ﷺ) এর জাতি আরবকে পূর্ব ইস্রায়েল ঘোষনা নবী ইসমাইল (আঃ) এর পুত্র কেদর বা কায়দার বংশ হিসেবে

মরুভূমি ও শহর, পূর্ব ইস্রায়েলের কেদরের গ্রামগুলি প্রভুর প্রশংসা কর। শেলাবাসীরা আনন্দগীত গাও! পর্বতশৃঙ্গ থেকে তোমরা গেয়ে ওঠ। তারা প্রভুকে মহিমাম্বিত করুক। দূর দেশের লোকরা প্রভুর প্রশংসা করুক।[27]যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 42:11‭-‬12 BERV
https://bible.com/bible/3150/isa.42.11-12.BERV

ইশ্মায়েলের বংশ বৃত্তান্ত এই: অব্রাহাম ও হাগারের পুত্র ছিলেন ইশ্মায়েল। (হাগার ছিলেন সারার মিশরীয় দাসী।) ইশ্মায়েলের পুত্রদের নামগুলো হল: প্রথম পুত্র ছিল নবায়োত্‌, তারপর জন্মায় কেদর, তারপরে যথাক্রমে অদ্বেল, মিবসম্,…[28]আদিপুস্তক 25:12‭-‬13 BERV https://bible.com/bible/3150/gen.25.12-13.BERV

আরব সম্বন্ধে দুঃখের বার্তা: দদান থেকে এক দল ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার জিনিসপত্র পশুর টানা গাড়িতে (ক্যারাভান) চাপিয়ে নিয়ে আসছে। আরবের মরুভূমিতে কিছু গাছের কাছে তারা রাত কাটাল। সদাপ্রভু আমায় বলেছিলেন যে এইসব ঘটবে। প্রভু বলেছিলেন, “এক বছরের মধ্যেই, যেভাবে একজন ভাড়াটে সহকারী সময় গোনে, কেদরের সমস্ত গৌরব অদৃশ্য হয়ে যাবে। সে সময় শুধু কয়েকজন তীরন্দাজ, কেদরের মহান সৈন্যরা বেঁচে থাকবে।” কারণ প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেছেন![29]যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 21:13‭, ‬16‭-‬17 BERV https://bible.com/bible/3150/isa.21.13-17.BERV

অন্যান্য সিরাতে পাই কেদর (আরবিতে কায়দার) থেকে এসেছে নবী (সঃ) এর বংশ কুরাইশ আরব। আরব পূর্ব ইস্রায়েল হওয়া কারনে বনিইস্রায়েল তার বিপরীত ইস্রায়েল হবে এটা স্বাভাবিক। পূর্ব ইস্রায়েল বলার মূল কারন হলো ইসহাক (আঃ) আগে জন্ম ইসমাইল (আঃ)-কে বাইবেলের ইশাইয়া অধ্যায়ের আলোকে পূর্ব ইস্রায়েল বলা হয়েছে। আরবিতে ইস্রায়েল অর্থ আল্লাহর যোদ্ধা। আল্লাহ বিরোধী প্রত্যেক লোকদের বিরুদ্ধে যাবে ইসমাইল (আঃ)। কারনে কুরআনে বলাঃ

وَٱذْكُرْ فِى ٱلْكِتَٰبِ إِسْمَٰعِيلَۚ إِنَّهُ‌و كَانَ صَادِقَ ٱلْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولًا نَّبِيًّا

এ কিতাবে উল্লেখিত ইসমাঈলের কথা স্মরণ কর, সে ছিল ওয়া‘দা রক্ষায় (দৃঢ়) সত্যবাদী, আর ছিল একজন রসূল ও নবী।[30]সূরা মারইয়াম, ১৯:৫৪

আমরা এটাও জানি মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারে ইহুদি খ্রিস্টানদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের সামনেই মুসলিমরা ফিলিস্তানে বসতি স্থাপন করে। যাইহোক ইসমাইল (আঃ) এর মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে ব্যাপকভাবে বুঝানো হয়েছে। ইসমাইল (আঃ)কে ইসহাক (আঃ)এর আগে যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করা আছে King James Version (KJV) তে…

And the angel of the LORD said unto her, Behold, thou art with child, and shalt bear a son, and shalt call his name Ishmael; because the LORD hath heard thy affliction. And he will be a wild man; his hand will be against every man, and every man’s hand against him; and he shall dwell in the presence of all his brethren.[31]Genesis 16:11‭-‬12 KJV https://bible.com/bible/1/gen.16.11-12.KJV

অনুবাদঃ
তখন সদাপ্রভুর ফেরেশতা তাকে বললেন, “দেখ, তুমি গর্ভে আছ, আর তোমার একটি ছেলে হবে এবং তার নাম রাখবে ইসমাইল। কারণ সদাপ্রভু তোমার দুঃখের কথা শুনেছেন। আর সে বন্য মানুষ হবে; তার হাত প্রত্যেক মানুষের বিরুদ্ধে এবং প্রত্যেক মানুষের হাত তার বিরুদ্ধে হবে; এবং সে তার সমস্ত ভাইদের সামনে বাস করবে৷

তৌরাতে বলা মূসার মতো নবী হলেন পূর্ব ইস্রায়েলের পয়গম্বর মুহাম্মদ (সঃ)-

আমি তাদের ভাইদের মধ্য থেকে তাদের জন্য তোমার মত একজন নবী দাঁড় করাব। তার মুখ দিয়েই আমি আমার কথা বলব, আর আমি যা বলতে তাকে হুকুম দেব সে তা-ই তাদের বলবে। সেই নবী আমার নাম করে যে কথা বলবে কেউ যদি আমার সেই কথা না শোনে, তবে আমি নিজেই সেই লোককে দায়ী করব। কিন্তু আমি হুকুম দিই নি এমন কোন কথা যদি কোন নবী আমার নাম করে বলতে সাহস করে কিংবা সে যদি দেব-দেবীর নামে কথা বলে, তবে তাকে হত্যা করতে হবে।’ “কোন একটা কথা সম্বন্ধে তোমরা মনে মনে বলতে পার, ‘মাবুদ এই কথা বলেছেন কিনা তা আমরা কি করে জানব?’ কোন নবী যদি মাবুদের নাম করে কোন কথা বলে আর তা যদি অসত্য হয় কিংবা না ঘটে, তবে বুঝতে হবে সেই কথা মাবুদ বলেন নি। সেই নবী দুঃসাহস করে ঐ কথা বলেছে। তাকে তোমরা ভয় কোরো না।[32]দ্বিতীয় বিবরণ 18:18‭-‬22 MBCL

পূর্ব ইস্রায়েল তথা আরবে মূসা মতো নবী জন্মাবে কিন্ত বনিইস্রায়েলে জন্মাবে না

আজ পর্যন্ত বনি-ইসরাইলদের মধ্যে মূসার মত আর কোন নবীর জন্ম হয় নি যাঁর কাছে মাবুদ বন্ধুর মত সামনাসামনি কথা বলতেন।[33]দ্বিতীয় বিবরণ 34:10 MBCL

কুরআন নাজিলের পর ইহুদি-খ্রিস্টানদের স্বভাব যেমন হবে

আল্লাহ বলেন,

যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রসূল আগমন করলেন-যিনি ঐ কিতাবের সত্যায়ন করেন, যা তাদের কাছে রয়েছে, তখন আহলে কেতাবদের একদল আল্লাহর গ্রন্থকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করল-যেন তারা জানেই না।[34]সূরাঃ আল বাকারা, ২ঃ১০১

এমনটা বাইবেলে বলাঃ

দীন-দুনিয়ার মালিক বলছেন, “এই লোকেরা মুখেই আমার এবাদত করে আর মুখেই আমাকে সম্মান করে, কিন্তু তাদের দিল আমার কাছ থেকে দূরে থাকে। তারা কেবল মানুষের শিখানো নিয়ম দিয়ে আমার এবাদত করে। কাজেই আমি আবার চমৎকার অলৌকিক চিহ্ন দিয়ে এই লোকদের হতভম্ব করে দেব; তাতে জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট হয়ে যাবে আর বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি অদৃশ্য হবে।” ঘৃণ্য সেই লোকেরা, যারা মাবুদের কাছ থেকে তাদের পরিকল্পনা লুকাবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। তারা অন্ধকারে তাদের কাজ করে আর ভাবে, “কে আমাদের দেখছে? কে জানতে পারবে?” তোমাদের কেমন উল্টা বুদ্ধি! তোমরা তো কুমার আর মাটিকে একই সমান ধরছ! যে তৈরী করছে তার তৈরী জিনিস কি তার বিষয় বলতে পারে, “সে আমাকে তৈরী করে নি”? পাত্র কি কুমারের বিষয়ে বলবে, “সে কিছুই জানে না”?[35]ইশাইয়া 29:13‭-‬16

কুরআন অন্ধ, বধির বনি ইস্রায়েলদের (ইহুদি-খ্রিস্টানদের) পথ দেখাবে

বাইবেলে বনি ইস্রায়েলদের অন্ধ-বধির বলা[36]https://bible.com/bible/95/isa.42.18-25.MBCL
কুরআনের ব্যাপারে বাইবেলে বলাঃ

সেই দিন বধিররা সেই গুটানো-কিতাবের কথা শুনতে পাবে, আর গভীর অন্ধকারে থাকা অন্ধেরা দেখতে পাবে। নম্র লোকেরা আবার মাবুদকে নিয়ে আনন্দিত হবে, আর যারা খুব গরীব তারা ইসরাইলের আল্লাহ্‌ পাককে নিয়ে আনন্দ করবে। নিষ্ঠুরেরা আর থাকবে না; ঠাট্টা-বিদ্রূপকারীরাও শেষ হয়ে যাবে, আর যারা খারাপ কাজ করতে চায় তাদের ধ্বংস করে ফেলা হবে। তারা মিথ্যা কথা দিয়ে মানুষকে দোষী করে, শহর-দরজায় নির্দোষীর পক্ষে থাকা লোককে ফাঁদে ফেলে এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে নির্দোষীকে ন্যায়বিচার পেতে দেয় না। সেইজন্য ইব্রাহিমের মুক্তিদাতা মাবুদ ইয়াকুবের বংশ সম্বন্ধে বলছেন, “ইয়াকুব আর লজ্জা পাবে না; তাদের মুখ আর ফ্যাকাশে হবে না। যখন তারা তাদের মধ্যে আমার হাতের কাজ, অর্থাৎ তাদের ছেলেমেয়েদের দেখবে তখন তারা আমাকে পবিত্র বলে মানবে। ইয়াকুবের আল্লাহ্‌ পাককে তারা পবিত্র বলে স্বীকার করবে আর ইসরাইলের আল্লাহ্‌কে ভয় করবে। যারা ঠিকভাবে বুঝতে পারে না তারা ভালভাবে বুঝতে পারবে, আর যারা অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা শিক্ষা গ্রহণ করবে।”[37]ইশাইয়া 29:18‭-‬24 MBCL

“ওহে বধির লোকেরা, শোন, আর অন্ধেরা, তোমরা তাকিয়ে দেখ। আমার গোলাম ইস্রায়েল ছাড়া অন্ধ আর কে? আমার পাঠানো দূতের মত আর কে? আমার উপর ভরসাকারীর মত অন্ধ আর কে? মাবুদের গোলামের মত অন্ধ কে? তুমি অনেক কিছু দেখেও মনোযোগ দিচ্ছ না; তোমার কান খোলা থাকলেও কিছু শুনছ না।” উদ্ধারের পরিকল্পনার জন্য মাবুদ খুশী হয়ে তাঁর নির্দেশকে মহৎ ও গৌরবযুক্ত করলেন। কিন্তু এই লোকদের সব কিছু নিয়ে যাওয়া ও লুট করা হয়েছে, তাদের সবাইকে গর্তে ফেলা হয়েছে আর জেলখানায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারা কেড়ে নেওয়া জিনিসের মত হয়েছে, তাদের উদ্ধার করবার কেউ নেই। তারা লুটের মাল হয়েছে; কেউ বলে না, “তাদের ফিরিয়ে দাও।” তোমাদের মধ্যে কে আমার কথা শুনবে? আর যে সময় আসছে সেই সময়ের জন্য কে আমার কথায় গভীর মনোযোগ দেবে? ইয়াকুবকে কে লুট হতে দিয়েছেন? আর ইসরাইলকে কে লুটেরাদের হাতে তুলে দিয়েছেন? তিনি কি মাবুদ নন, যাঁর বিরুদ্ধে আমরা গুনাহ্‌ করেছি? তারা তাঁর পথে চলতে চায় নি, তাঁর নির্দেশ পালন করে নি। তাই তিনি তাঁর জ্বলন্ত রাগ ও যুদ্ধের ভয়ংকরতা ইসরাইলের উপর ঢেলে দিয়েছেন। তাতে সেই আগুন তার চারদিকে জ্বলে উঠল, তবুও সে বুঝতে পারল না; আগুন তার গায়ে লাগল, কিন্তু তাতে সে মনোযোগ দিল না।[38]ইশাইয়া 42:18‭-‬25 MBCL

বনি ইস্রায়েলদের ওপর আল্লাহর জ্বলন্ত রাগ ঢালার কারন বাইবেলে বলাঃ

আল্লাহ্‌ নয় এমন দেবতার পূজা করে তারা আমার পাওনা এবাদতের আগ্রহে আগুন লাগিয়েছে; অসার মূর্তির পূজা করে তারা আমার রাগ জাগিয়ে তুলেছে। জাতিই নয় এমন জাতির হাতে ফেলে আমিও তাদের অন্তরে আগুন জ্বালাব; একটা অবুঝ জাতির হাতে ফেলে তাদের রাগ জাগাব। আমার রাগের আগুন জ্বলে উঠেছে; সেই আগুন জ্বলছে কবরের সবচেয়ে নীচু জায়গা পর্যন্ত। সেই আগুন দুনিয়া ও তার সব ফসল খেয়ে ফেলবে আর আগুন লাগাবে সব পাহাড়ের তলায়। “আমি সমস্ত বিপদ এনে তাদের উপর জড়ো করব; আমার সব তীর আমি তাদেরই উপর শেষ করব।[39]দ্বিতীয় বিবরণ 32:21‭-‬23 MBCL

কুরআন সম্পর্কে গসপেল

কিন্তু যখন তিনি, সেই সত্যের আত্মা আসবেন, তিনি তোমাদের সমস্ত সত্যের পথে নিয়ে যাবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, তিনি যা শুনবেন, তিনি শুধু তাই বলবেন। আর তিনি আগামী দিনের ঘটনার কথাও তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন। তিনি আমাকেই মহিমান্বিত করবেন, কারণ তিনি আমার কাছ থেকে যা গ্রহণ করবেন তা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।[40]যোহন 16:13‭-‬14 BCV

সত্যের আত্মা নবী (সঃ) নিজের মনগড়া থেকে কিছু বলবেন না বরং তাকে কুরআনের যা ওহী বা প্রত্যাদেশ করা হবে তিনি তাই বলবেন। হুবহু একই কথা কুরআনে বলাঃ

সে মনগড়া কথা বলে না। এতো ওহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।”[41]সূরা আন-নাজম-৫৩ : ৩-৪

নিরক্ষর নবী সম্পর্কে গসপেলের বিবরন

যিশু (ঈসা) মূসার মতো সেই নবী নয়।
বাইবেলে বলা আছে,

ঈসার এই অলৌকিক কাজ দেখে লোকেরা বলতে লাগল, “দুনিয়াতে যে নবীর আসবার কথা আছে ইনি সত্যিই সেই নবী।” এতে ঈসা বুঝলেন, লোকেরা তাঁকে জোর করে তাদের বাদশাহ্‌(রাজা) করবার জন্য ধরতে আসছে। সেইজন্য তিনি একাই আবার সেই পাহাড়ে চলে গেলেন।[42]ইউহোন্না 6:14‭-‬15 MBCL

যিশু কর্তৃক নবী (ﷺ) কে নাম বুঝাতে Παράκλητον (Paraklēton) করা হয়েছে যার অর্থ-উকিল (Advocate), মধ্যস্থতাকারী।[43]https://biblehub.com/john/14-16.htm

যাকে আরবিতে অনুবাদ করলে শাফি, যা নবী (ﷺ) এর নামের উপাধি।[44]কুরআন ৩:১৫৯, ৪:৬৪, ৬০:১২; সহিহুল বুখারী ৭৫১০

যিশু/ঈসা(আঃ) বলেন,

And I will ask the Father, and He will give you Advocate to be with you forever
[45]John 14:16, Berean Study Bible

এবং আমি পিতার কাছে জিজ্ঞাসা করব, এবং তিনি আপনাকে চিরকাল আপনার সাথে থাকার জন্য উকিল (Παράκλητον / Paraklēton)-শাফি (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) দেবেন।

এছাড়া বাকি ভার্সে পাই – তিনি সত্যের আত্মা, যাঁকে এই জগত সংসার মেনে নিতে পারে না, কারণ জগত তাঁকে দেখে না বা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন। “আমি তোমাদের অনাথ রেখে যাবো না। আমি তোমাদের কাছে আসব।

সত্যের আত্নার সংজ্ঞাঃ

প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব রূহ্‌(আত্না)কে বিশ্বাস কোরো না, বরং যাচাই করে দেখ তারা আল্লাহ্‌ থেকে এসেছে কি না, কারণ দুনিয়াতে অনেক ভণ্ড নবী বের হয়েছে।[46]১ ইউহোন্না 4:1 MBCL

আল্লাহ্‌র রূহ্‌ (আত্না) কে তোমরা এই উপায়ে চিনতে পারবে- যে রূহ্‌ (আত্না) স্বীকার করে ঈসা মসীহ্‌ মানুষ হয়ে এসেছিলেন সেই রূহ্‌ই(আত্না) আল্লাহ্‌ থেকে [আল্লাহ থেকে সৃষ্ট রূহ] এসেছেন…[47]১ ইউহোন্না 4:2 MBCL

নবী (ﷺ) ঈসাকে মানুষরূপে স্বীকোরক্তিঃ

যে বিশ্বাস করে মরিয়মে পুত্র আল্লাহর বান্দা (মানুষ) ও আল্লাহর রাসূল, জান্নাত জাহান্নাম সত্য, তার জন্য তাকে জান্নাতে যেকোনো দরজা দিয়ে যেতে বলা হবে।[48]বুখারি হাদিস হা-৩৪৩৫

Sahih International এর ইংরেজি অনুবাদে নবী (ﷺ) – তাকে ও তার উম্মতদের ইংগিত সত্যের আত্মা বলা-الْمُطْمَئِنَّةُ = সত্য,সঠিক।

يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ

[সত্যের আত্নাকে বলা হবে] হে প্রশান্ত আত্মা…
[To the righteous it will be said], “O reassured soul,…

ٱرْجِعِىٓ إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً

ফিরে এসো তোমার রবে দিকে,তাঁর মহিমা ঘোষনা বর্ণনা করো।
Return to your Lord, well-pleased and pleasing [to Him],

فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
And enter among My [righteous] servants

وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
And enter My Paradise.”[49]সূরাঃ আল ফজর, ৮৯:২৭- ৩০, Translator: Sahih International

এছাড়াও আমরা বলতে পারি, এই আয়াতের আলোকে মেরাজগমনও সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি জান্নাতে গিয়েছিলেন।

    Footnotes

    Footnotes
    1যেরেমিয়া 8:8 https://www.sacred-texts.com/bib/tan/jer008.htm#008
    2আলিহাদ আলজাদিদ উল্লেখ আছে মার্ক 14:24 https://www.sacred-texts.com/bib/poly/g1242.htm
    3https://youtu.be/IWnIzhuIlrY
    4কুরআন, সূরাহ আশ-শু’আরা ২৬:১৯৬
    5কুরআন, সূরা আল-আহক্বাফ ৪৬:৩০
    6কুরআন, সূরা আল-আহক্বাফ ৪৬:১২
    7দ্বিতীয় বিবরণ 33:2 BERV https://bible.com/bible/3150/deu.33.2.BERV
    8Deuteronomy 33:2 KJV https://bible.com/bible/1/deu.33.2.KJV
    9দ্বিতীয় বিবরণ 33:1‭-‬2 BACIB https://bible.com/bible/809/deu.33.1-2.BACIB
    10মুজামুল বুলদান (৩/৩০১).
    11সূরা আল আ’লা ৮৭:৮
    12দ্বিতীয় বিবরণ 18:20 MBCL
    13সূরা আল হাক্বক্বাহ, ৬৯:৫০
    14সূরা আল আনকাবুত, ২৯:৪৮
    15হাবাক্কুক 3:3‭-‬4 MBCL
    https://bible.com/bible/95/hab.3.3-4.MBCL
    16কুরআন, সূরা তাগাবুন ৬৪:৮
    17কুরআন, সূরা আল-আ’রাফ ৭:১৫৭
    18ইশাইয়া 29:11‭-‬12 MBCL
    https://bible.com/bible/95/isa.29.11-12.MBCL
    19সহিহুল বুখারী হাঃ ৩, ৩৩৯২, ৪৯৫৩, ৪৯৫৫, ৪৯৫৬, ৪৯৫৭, ৬৯৮২; মুসলিম ১/৭৩ হাঃ ১৬০, আহমাদ ২৬০১৮
    20https://www.wordproject.org/bibles/he/23/42.htm#0
    21কুরআন ৬১:৬
    22ইশাইয়া 42:6‭-‬9 MBCL https://bible.com/bible/95/isa.42.6-9.MBCL
    23ইশাইয়া 42:15‭-‬17 MBCL https://bible.com/bible/95/isa.42.15-17.MBCL
    24কুরআন, সূরা আল-আম্বিয়া ২১:৩৬
    25সূরা আারাফ ৭ঃ১৫৭
    26ইশাইয়া 42:6‭-‬9 MBCL
    27যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 42:11‭-‬12 BERV
    https://bible.com/bible/3150/isa.42.11-12.BERV
    28আদিপুস্তক 25:12‭-‬13 BERV https://bible.com/bible/3150/gen.25.12-13.BERV
    29যিশাইয় ভাববাদীর পুস্তক 21:13‭, ‬16‭-‬17 BERV https://bible.com/bible/3150/isa.21.13-17.BERV
    30সূরা মারইয়াম, ১৯:৫৪
    31Genesis 16:11‭-‬12 KJV https://bible.com/bible/1/gen.16.11-12.KJV
    32দ্বিতীয় বিবরণ 18:18‭-‬22 MBCL
    33দ্বিতীয় বিবরণ 34:10 MBCL
    34সূরাঃ আল বাকারা, ২ঃ১০১
    35ইশাইয়া 29:13‭-‬16
    36https://bible.com/bible/95/isa.42.18-25.MBCL
    37ইশাইয়া 29:18‭-‬24 MBCL
    38ইশাইয়া 42:18‭-‬25 MBCL
    39দ্বিতীয় বিবরণ 32:21‭-‬23 MBCL
    40যোহন 16:13‭-‬14 BCV
    41সূরা আন-নাজম-৫৩ : ৩-৪
    42ইউহোন্না 6:14‭-‬15 MBCL
    43https://biblehub.com/john/14-16.htm
    44কুরআন ৩:১৫৯, ৪:৬৪, ৬০:১২; সহিহুল বুখারী ৭৫১০
    45John 14:16, Berean Study Bible
    46১ ইউহোন্না 4:1 MBCL
    47১ ইউহোন্না 4:2 MBCL
    48বুখারি হাদিস হা-৩৪৩৫
    49সূরাঃ আল ফজর, ৮৯:২৭- ৩০, Translator: Sahih International
    Show More
    0 0 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button