খ্রিস্টধর্ম

খ্রিস্টানদের যুক্তি অনুসারে তাদের ঈশ্বরের অভাব নেই!

খ্রিস্টধর্মে ঈশ্বর কতজন?

প্রকৃতপক্ষে খ্রিস্টধর্মে ঈশ্বর কতজন? খ্রিষ্টানদের কতগুলো ঈশ্বর রয়েছে? বাইবেলে ঈশ্বর কতগুলো? খ্রিস্টানরা ট্রিনিটি বা ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী, তাই খ্রিস্টানরা বাইবেলের বিভিন্ন বিষয় দেখিয়ে দাবি করে যীশু খ্রীস্ট ও পবিত্র আত্মা নাকি ঈশ্বর ছিলেন। আমার মতে খ্রিস্টানদের এই যুক্তি অনুসারে তাদের ঈশ্বরের অভাব নেই!

যেমন বাইবেলে কোথাও কোথাও বলা আছে যীশু আদি, যীশু অন্ত, যীশু পথপ্রদর্শক, যীশু সত্য, যীশু ও পিতা এক, যীশু ঈশ্বরের পুত্র, যীশুর অলৌকিক ক্ষমতা ছিল, যীশুর আগে কেউ সর্গে যাবে না, যীশু ইশ্বর কে দেখেছেন, যীশুকে প্রভু নিজের মত সৃষ্টি করেছেন তাই যীশুকে দেখা মানে ঈশ্বরকে দেখা, পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বলা মানে ঈশ্বরের কাছে মিথ্যা বলা, পবিত্র আত্মা সব জানে এমনকি ঈশ্বরের গভির বিষয়গুলো সম্পর্কেও, ঈশ্বর পবিত্র আত্মা দ্বারা বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, যোগাযোগ করেন, সম্পর্ক স্থাপন করেন, পবিত্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বর বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সৃষ্টি ও সবকিছু দেখাশোনা, ঐশ্বরিক প্রকাশ, পরিত্রাণ বা উদ্ধার. যীশুর সাহায্য ইত্যাদি সম্পন্ন করে থাকেন, পবিত্র আত্মা সান্ত্বনাদানকারী, সাহায্যকারী, পরামর্শদাতার, বার্তাবাহকের কাজ করে থাকেন ইত্যাদি ইত্যাদি এসব নাকী ইশ্বর হওয়ার চিহ্ন বা ইঙ্গিত বা আলামত বা প্রমান। যদি এসব ইশ্বর হওয়ার আলামত হয় তাহলেত খ্রিস্টানদের অনেকগুলা ঈশ্বর হওয়ার কথা।

অবশ্যই এই ধরনের যুক্তিগুলো আমার প্রিয় ব্যাক্তি আব্দুল্লাজ জাহাঙ্গির (রহ) অনেক আগেই খন্ডন করে গিয়েছেন বাইবেলের আলোকে। চাইলে উনার এই বিষয়ে “পবিত্র বাইবেল : পরিচিতি ও পর্যালোচনা”[1]পবিত্র বাইবেল : পরিচিতি ও পর্যালোচনা, খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহঃ PDF, Text বইটি পড়ে দেখতে পারেন। যাই হোক আমি আমার মূল বিষয়ে আসি –

প্রকৃত ঈশ্বর

অবশ্যই বাইবেলের পুরাতন নিয়ম ও নতুন নিয়মের অনেক যায়গায় বলা হয়েছে যে ঈশ্বর শুধু একজন, তার সাথে কারো তুলনা হয়না, তার কোন প্রতিমূর্তি নেই। যীশু মানুষ ও বার্তাবাহক, অন্যন্যা নবীদের মত যীশুকেও নবী হিসেবে সত্য দিয়ে পাঠানো হয়েছে, ঈশ্বরই সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে, সব কিছুর শুরু তিনিই করেছেন, সবকিছুর শেষ তিনিই করবেন, সব কিছুর স্রষ্টা তিনি, যীশুও তার উপাসনা করত, পবিত্র আত্মাও সেই ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে কাজ করত, একমাত্র তিনিই আদি ও অন্ত অর্থাৎ তিনি সব সময় ছিলেন ও সবসময় থাকবেন, একমাত্র তিনিই এবাদতের যোগ্য, একমাত্র তিনিই সব কিছু সম্পর্কে জানেন ইত্যাদি ইত্যাদি।[2]প্রকাশিত বাক্য ১:১, ৮, ৪:৮-১১, ১৫:৩; লুক ৪:৮, ৬:১২, ১০:২৫-২৮, ১১:২০, ১৮:১৯, ২২:৪২, ২৪:১৯, ৩৯-৪২; যোহন ১:৩, ৪, ৩:১৬-১৭, ৪:১৯, ৫:৩০-৩৭, ৬:২৭, ১৪-১৮, ৭:১৬-১৭, ৯:১৭, ২৫, ১০:২৫, ২৯, ৩২, ৩৬, … See Full Note

এছাড়া পবিত্র আত্মা ঈশ্বর ও যীশুর অধীনে কাজ করে।[3]যোহন ১৪/১৬, ২৬, ১৫/২৬, ১৬/৭, ১৩-১৪; ১ করিন্থীয় ১২/৭-১১; আদি পুস্তক ১/২; ইয়োব ২৬/১৩; গীতসংহিতা ১০৪/৩০; যোহন ৩/৬, ১৬/১২-১৫; ইফিষীয় ৩/৫; ১ পিতর ১/২; ২ পিতর ১/২১; তীত ৩/৫; … See Full Note এবং যীশু ঈশ্বরের অধীনে[4]লূক ১১/২০, ২২/৪২; মথি ১২/২৮; যোহন ৫/৩০, ৩৬, ৯/২৫, ১০/২৯, ১২/৪৯, ১৪/১৬, ২৮, যোহন ২০/২১; ১ যোহন ৪/১৪; ইফিসীয় ১/৯

খ্রিস্টানরা এসবের বাহিরে যেয়ে ট্রিনিটি বা ত্রিত্ববাদের বিশ্বাসী হয়ে পড়েছে। তারা পুত্র মানে যীশুকেও ঈশ্বর বলে, কর্মচারি অর্থাৎ পবিত্র আত্মাকেও ঈশ্বর বলে, আবার পিতা মানে ঈশ্বরকেও ঈশ্বর বলে।

মোশি

প্রভু মোশিকে বললেন, “আমি তোমাকে ফরৌণের কাছে একজন ঈশ্বর করে তুলেছি এবং তোমার ভাই হারুন হবে তোমার সাহায্যকারী।”[5]যাত্রাপুস্তক ৭/১ ঈশ্বর মোশিকে ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর বলেছেন।[6]যাত্রাপুস্তক ৯/১৩

মোশিও পাপ ক্ষমা করতে পারতেন কারন, ফেরাউন মোশির কাছে পাপ ক্ষমা চেয়েছিলেন। ফরৌণ মোশি ও হারোণকে ডেকে পাঠিয়ে বললেন, “আমি তোমাদের ও তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছে পাপ করেছি। এবারকার মতো আমার অপরাধ ক্ষমা করে দাও[7]যাত্রাপুস্তক ১০/১৭। মোশির ক্ষমতার সাক্ষ্য ছিল ঈশ্বরের মেঘ ও ঈশ্বরের রব।[8]গননা পুস্তক ১১/২৪-২৫

মোশি অন্নদাতাও ছিলেন কারন তিনি হাজার হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন। মোশি হারুনের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ দিয়ে ছিলেন।[9]যাত্রা পুস্তক ১৬; গননা পুস্তক ৬/২২-২৭ শুধু এসবই না যাত্রাপুস্তকে বলা আছে, “প্রভু মোশির সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলেছেন, দেখা করেছেন। প্রভু বন্ধুর মতো মোশির সঙ্গে কথা বলতেন।”[10]যাত্রাপুস্তক ৩/১-১০, ২৪/৯-১১, ৩৩/১১ এছাড়া প্রভু মোশির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন সবসময়।[11]যাত্রা পুস্তক ও গণনা পুস্তক একবার প্রভু মোশি, হারোণ এবং মরিয়মের সাথেও কথা বললেন (হয়ত দূতের সাহায্যে), এবং বললেন, “আমি তাদের সঙ্গে (নবীদের সঙ্গে) স্বপ্নে কথা বলবো। কিন্তু আমার দাস মোশি সেরকম নয়। মোশি আমার বিশ্বস্ত সেবক”[12]গণনা পুস্তক, ১২/৪-৮

এতক্ষনত মোশির অনন্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে বলছিলাম। এইবার মোশির আলোৗকিক ক্ষমতা সম্পর্কেও বলি। মোশিকে প্রভু কিছু অলৌকিক শক্তি দিয়েছিলেন যেমন, মোশির হাতের লাখি সাপে পরিনত হতে পারব, তার কাপরের ভিতরে হাত রাখলে হাত শ্বেতীতে ভরে যেত আবার হাত রাখলে তা আবার পুনরায় ঠিক হয়ে যেত, নীল নদের পানি নিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারলে তা রক্তে পরিনত হয়ে যেত, ফরৌণ মোশির কথা না মানায় নিল নদে মোশি নিজের লাঠি দ্বারা আঘাত করলে তা রক্তে পরিনত হয়েছিল ও মাছ সব মারা গিয়েছিল, আবার লাঠি দ্বারা আঘাত করার ফলে সব নদী,খাল-বিল, হ্রদে ব্যাঙ এ ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, আবার লাঠি দ্বারা মাটিতে আঘাত করার কারনে মিশরের সর্বত্র ধূলো উকুনে পরিণত হয়ে গিয়েছেল।[13]যাত্রা পুস্তক ৪/৩-৯, ৭/১-২৫, ৮/১-১৮

তারপরও যখন ফরৌণ মোশির কথা মানছিল না তখন মোশি প্রভুর আদেশে উনুন থেকে ছাই নিয়ে ফরৌণের সামনে বাতাসে ছুঁড়ে দিলেন আর পশু ও মানুষের গায়ে ফোঁড়া বের হতে লাগল। আরেকবার মোশি তার হাতের ছড়ি আকাশের দিকে তুলল, তারপর প্রভু ভূমির ওপর বজ্রনির্ঘোষ, শিলাবৃষ্টি ও অশনি ঘটালেন, সারা মিশরে শিলাবৃষ্টি হল। এই শিলাবৃষ্টি মিশরের ক্ষেতের সমস্ত কিছু, লোকজন ও পশুসহ গাছপালা ধ্বংস করে দিল। এর কিছুদিন পর আবার মোশি তার হাতের ছড়ি মিশরের ওপর তুলে ধরল তারপর অনেক পঙ্গপাল এসে মিশরকে ঢেকে ফেলল এবং সারা দেশ অন্ধকার হয়ে গেল, শিলাবৃষ্টি যা ধ্বংস করে নি সে সমস্ত গাছ এবং গাছের ফল পঙ্গপাল খেযে ফেলল, মিশরের কোথাও কোনও গাছ বা লতা-পাতাও অবশিষ্ট রইল না। এরপর আবার মোশি আকাশের দিকে হাত তুলল, তখন কালো মেঘ এসে মিশরকে ঢেকে ফেলল। তিন দিন ধরে এই অন্ধকার রইল।[14]যাত্রা পুস্তক ৯/৮-১০, ২২-২৮, ১০/১৩-১৫, ২২

মোশি সূফ সাগরের ওপর তার হাত মেলে ধরল, প্রভু পূর্ব দিক থেকে প্রবল ঝড়ের সৃষ্টি করলেন। সেই ঝড়ে দু’ভাগ হয়ে গেল সমুদ্র এবং সমুদ্রের মাঝখান বরাবর পথের সৃষ্টি হল। তারপর মোশি ও তার সাথের সবাই সেই রাস্তা দিয়ে নদী পাড় হয়ে গেলেন। পাড় হওয়ার পর মোশি তার হাত সমুদ্রের ওপর মেলে ধরলো এবং সমুদ্র তার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গেল। কিন্তু মোশিকে মারার জন্য আসা লোকজন নদী পাড় হতে পারল না বরং সেখানেই ডুবে মারাগেল।[15]যাত্রাপুস্তক ১৪/২১-২৮

একদা কোরহ, দাথন এবং অবীরাম নাম ব্যাক্তিরা অবাদ্ধতা করার পর মোশি বলল তারা যদি সত্যই প্রভুর সাথে অন্যায় না করে থাকে তাহলে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হবে আর যদি তারা প্রভুর সাথে অন্যায় করে থাকে তাহলে তাদের মৃত্যু একটু ভিন্ন হবে। এই কথা বলার পর পরই সেই তিনটি লোকদের পায়ের তলার মাটি ফেটে গেল ও তারা তাদের পরিবার সহ জিনিস পত্রসহ জীবিত দাফন হয়ে গেল।[16]গণনা পুস্তক ১৬/২৭-৩৩

এমনই আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা পওয়া যায় মোশি সম্পর্কে বাইবেলে। মোশির এমন আরো অনেক মর্যাদা, সম্মান, গুণ, ক্ষমতা ইত্যাদি সম্পর্কে বর্ণনা পাওয়া যায় বাইবেলে। এখন যেই দলিল ও যুক্তিগুলো দেখিয়ে খ্রিস্টানরা যীশুকে ও পবিত্র আত্মাকে ঈশ্বর বলে সেই একই যুক্তিগুলোর আলোকে কি মোশিকেও ঈশ্বর বলবে নাকি? কই কোন খ্রিস্টানত মোশিকে ঈশ্বর মানে না। কিন্তু কেন? একই যুক্তি ও দলিলের ভিত্তিতেত মোশিও ঈশ্বর হওয়ার কথা।

যীশুর শিষ্য

যীশুর শিষ্যরাও ছিলেন ঈশ্বর। কেননা তারাও পাপ ক্ষমা করতে পারতেন।[17]যোহন ২০/২৩; লুক ১১/১-৪ যীশু নিদর্শনা দিয়েছিলেন যেন তার অনুসারীরা যাতে অন্যদেরকেও আশীর্বাদ করেন।[18]লূক ৬/৭-১১

যোহনে বলা হয়েছে যে যীশু বললেন, “আর কিছুক্ষণ পর এই জগত সংসার আর আমায় দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমায় দেখতে পাবে৷ কারণ আমি বেঁচে আছি বলেই তোমরাও বেঁচে থাকবে। সেই দিন তোমরা জানবে যে আমি পিতার মধ্যে আছি, তোমরা আমার মধ্যে আছ, আর আমি তোমাদের মধ্যে আছি।[19]যোহন ১৪/১৯-২০ যীশু আরো বলেছেন, “পিতা, যেমন তুমি আমাতে রয়েছ, আর আমি তোমাতে রয়েছি, তেমনি তারাও যেন এক হয়। তারা যেন আমাদের মধ্যে থাকে যাতে জগত সংসার বিশ্বাস করে যে তুমি আমাকে পাঠিয়েছ। আর তুমি আমায় যে মহিমা দিয়েছ তা আমি তাদের দিয়েছি, যাতে আমরা যেমন এক, তারাও তেমনি এক হতে পারে। আমি তাদের মধ্যে, আর তুমি আমার মধ্যে থাকবে, এইভাবে তারা যেন সম্পূর্ণভাবে এক হয়।”[20]যোহন ১৭/২১‭-‬২৩ যীশু তার শিষ্যদেরকে সম্ভোদন করে বলছেন, “তোমরা তাঁকে (ঈশ্বরকে) জান, কারণ তিনি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গেই থাকেন, আর তিনি তোমাদের মধ্যেই থাকবেন।”[21]যোহন ১৪/১৭

যদি ঈশ্বর ও যীশু এক হয় তাহলে উক্ত শ্লোকগুলো আনুসারে যীশু ও তার শিষ্যরা এক। আর যীশু যদি ঈশ্বর হয়ে থাকে তাহলে ইনডাইরেকলি ঈশ্বর ও যীশুর শিষ্যরা এক। এছাড়াও যীশুর শিষ্যরা এতটা মর্যাদার অধিকারী ছিলেন যে মৃত্যু পরে পুনরুত্থানের পর আবার যীশু তাঁর শিষ্যদের দেখা দিয়েছেন, এমনকি তারাও ঈশ্বরের পূত্র ছিল, শুধু তাই নয় বাইবেলে বলা হয়েছে ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টকে স্বর্গে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন, সবার থেকে মহান করেছেন। ঈশ্বর যীশুর শিষ্যদেরকেও স্বর্গীয়স্থানে যীশুর পাশে বসতে আসন দিয়েছেন।[22]যোহন ২১/১৪; ইফিসীয় ১/৫-৬; ইফিসীয় ১/২১,২২, ২/৬

এখনত প্রমান হয়েই গেল যে যীশুর শিষ্যরাও ঈশ্বর ছিল, কারন যীশু যদি ঈশ্বর হয় তাহলে ঈশ্বর আর তার শিষ্যরা এক, তাই না? তাহলে কি এদেরকেও প্রভু মানা শুরু করবেন?

অন্যান্য প্রফেট

যারা ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত তারা ঈশ্বরের পুত্র[23]রোমীয় ৮/১৪-১৭, আদম ঈশ্বরের পুত্র[24]লূক ৩/৩৮, ইস্রায়েল হল ঈশ্বরের প্রথমজাত পুত্র সন্তান[25]যাত্রা পুস্তক ৪/২২, ঈশ্বর বলেন, “আমি ইসরাইলের পিতা, এবং আফরাহীম আমার প্রথমজাত পুত্র”[26]যিরমিয় ৩১/৯, দাউদ ঈশ্বরের প্রথমপুত্র[27]গীতসংহিতা ২/৭, ৮৯/২৭; ২ শমূয়েল ১১/১, সলোমন সম্পর্কে ঈশ্বর বলেন, ‘‘আমি তার পিতা হব, ও সে আমার পুত্র হবে’’ অর্থাৎ সলোমনও ঈশ্বরের পুত্র।[28]২ শমূয়েল ৭/১৪; ১বংশাবলী, ২২/১০, ২৮/৬

আদম সম্পর্কে প্রভু ঈশ্বর বললেন, “ওরা (আদম ও ইব) এখন নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে ভালো আর মন্দ বিষয়ে জেনে আমাদের মত হয়ে গেছে। এখন মানুষটা জীবনবৃক্ষের ফল পেড়েও খেতে পারে। আর তা যদি খায় তাহলে ওরা চিরজীবি হয়ে যাবে।[29]আদি পুস্তক ৩/২২ ঈশ্বর আদম কে তার নিজের রুপে সৃষ্টি করেছিলেন[30]আদিপুস্তক অধ্যায় ১/২৬,২৭, আদম স্বর্গে ছিলেন, পরে স্বর্গ থেকে নেমে গিয়েছিলেন।[31]যোহন ৩/১৩

ইনোক, এলিয় উভয়েই স্বর্গে উঠেছিলেন।[32]আদিপুস্তক ৫/২৩-২৪; ২ রাজাবলি ২/১-১১ খ্রিস্টানদের একজন নবীর নাম হচ্ছে শ্যামুয়েল, তিনিও পাপ ক্ষমা করেছেন।[33]১ শ্যামুয়েল ১৫/২৫ রাজা শলোমনের অনেক বেশি জ্ঞান, বিচারবুদ্ধি ও বুঝবার ক্ষমতা ছিল।[34]১ বাদশাহনামা ৪/২৯; ১ বাদশাহনামা ১০/২৪; ২ খান্দাননামা ৯/২২ প্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণ এবং তার পুত্রদের বলে দাও যে, এভাবেই তারা ইস্রায়েলের লোকদের আশীর্বাদ করবে।[35]গননা পুস্তক ৬/২২-২৭ ঈশ্বর ও মোশীর আদেশে হারোণ মোশির লাঠি দিয়ে অনেক অলৌকিক কাজ করেছেন। এমনকি মোশির সাথে সাথে হারোণও ঈশ্বরকে দেখেছিল।[36]যাত্রা পুস্তক ও গণনা পুস্তক

আদিপুস্তক লেখা আছে, যাকোব ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখেছিল কিন্তু তাও সে প্রাণে বাঁচল।[37]আদি পুস্তক ৩২/৩০ এমন কি যাকোব যখন তার মায়ের গর্ভে ছিল, যাকোব একজন শক্তিশালী যুবক ছিল; এবং সেই সময় সে ঈশ্বরের সঙ্গে লড়াই করেছিল। সে ঈশ্বরের দূতের সঙ্গেও লড়াই করেছিল এবং জিতেছিল।[38]হোশেয় ১২/৩,৪

প্রভু যোনাকে গিলে ফেলার জন্য একটি বিশাল মাছের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং যোনা তিন দিন ও তিন রাত মাছের পেটে ছিলেন।[39]যোনাহ ১/১৭ তারপর প্রভু ঈশ্বর একটি পাতাযুক্ত উদ্ভিদ প্রদান করলেন এবং যোনার মাথার জন্য ছায়া দেওয়ার জন্য তার অস্বস্তি কমানোর জন্য এটিকে বড় করলেন এবং যোনা গাছটি নিয়ে খুব খুশি হলেন।[40]যোনাহ ৪/৬ নবীদের জন্য সূর্য অস্ত যাবে (নবীদের অবাদ্ধতা করে পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার কারনে), তাদের জন্য দিন অন্ধকার হয়ে যাবে।[41]মিখা ৩/৭ যীশু বলেছেন, “শাস্ত্রে তাদের ঈশ্বর বলেছিল যাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী এসেছিল; আর শাস্ত্র সব সময়ই সত্য।”[42]যোহন ১০/৩৪-৩৫

চিন্তা করে এই নবীরাত যীশুর চাইতে কোন অংশে কম না। তাহলে এখন আপনারা কি এদের সবাইকে ঈশ্বর মনে করবেন? যদি না করেন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তাদেরকে ইশ্বর মনে কেন করেন না? একই যুক্তি ও দলিলের ভিত্তিতে যদি যীশু বা পবিত্র আত্মা ঈশ্বর হতে পারে তাহলে এরা কি দোষ করল?

সাধারন মানুষ

বাইবেল পড়লে দেখা যায় অনেকটা যীশুর মত এক ধরনের কথা মূসা ও অন্যন্যা প্রফেট এর বেলায়ও পাওয়া যায়, যেমন বাইবেল অনুসারে সব নবী হচ্ছে ইশ্বরের পুত্র, এছাড়া বাইবেলে নবী বাদে অনেক মানুষকে ঈশ্বরের পূত্র বলা হয়েছে, ফেরেশতাদেরকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হয়েছে।[43]১ বংশাবলী ২২/১০, ২৮/৬; রোমীয় ৮/১৪-১৯; দ্বিতীয় বিবরণ ১৪/১; মথি ৫/৯, ৬/৯, ২৩/৯; গালাতীয় ৩/২৬; যোহন ১/১২, ১১/৪৭-৫২, ৩/১-১০, ৪/৪, ৮/৪১; আইউব ১/৬; ফিলিপীয় ২/১৪-১৫; ১ যোহন ৩/১-২, … See Full Note আবার অন্য যায়গায় বলা হয়েছে সকল বনি-ইসরাইলই ঈশ্বরের পুত্র ও সন্তান।[44]দ্বিতীয় বিবরণ ১৪/১, ৩২/১৯; যিশাইয় ১/২, ৩০/১, ৬৩/৮; ৬৩/১৬; ৬৪/৮; হোশেয় ১/১০ কয়েক যায়গায়ত সব মানবপুত্রকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হয়েছে।[45]আদিপুস্তক ৬/২

একবার যীশু তাদের (যারা তার বিরোধীতা করছে) বললেন, ”তোমাদের বিধি-ব্যবস্থায় কি একথা লেখা নেই যে, ”আমি বলেছি, তোমরা ঈশ্বর।’'[46]যোহন ১০/৩৪ একই রকম কথা অন্য যায়গায়ও বলা হয়েছে যে, ‘‘আমি বলেছি, তোমরা ঈশ্বর, এবং তোমাদের সকলেই শ্রেষ্ঠতমের সন্তান।”[47]সামসংগীত ৮২/৬

সব মানুষের মধ্যে যে ঈশ্বর থাকে বাইবেল থেকে প্রমান পাওয়া যায়, যেমন এক যায়গায় বলা হয়েছে, “সকলের মধ্যেই ঈশ্বর বসত করেন।”[48]১ করিন্থীয় ৬/১৯-২০; ২ করিন্থীয় ৬/১৬; ইফিষীয় ৪/৬ যোহনে বলা আছে, “যদি আমরা একে অপরকে ভালবাসি, তবে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে বাস করেন এবং তাঁর ভালবাসা আমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়। ঈশ্বর প্রেম, এবং যে প্রেমে বাস করে সে ঈশ্বরে বাস করে।”[49]১ যোহন ৪/১২, ১৬ আরেক যায়গায় বলা আছে, “তবুও তারা প্রভুর সমর্থন খোঁজে এবং বলে, “প্রভু কি আমাদের মধ্যে নেই? অথচ ভালো লোকদের ঈশ্বর কখনই পরিত্যাগ করেন না। জাখারিয়াতে বলা হয়েছে, “তোমাদের আঘাত করা, ঈশ্বরের চোখের মণিকে আঘাত করবার তুল্য।”[50]মিখা ৩/১১; ইয়োব ৮/২০; জাখারিয়া ২/৮ এই শ্লোকগুলো অনুসারে যদি ঈশ্বর মানুষের মধ্যেই বাস করেন তাহলে মানুষ আর ঈশ্বর এক, অনেকটা যীশু ও ঈশ্বর যেমন এক সেটার মত।

ঈশ্বর তার নিজের প্রতিমূর্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, পুরুষ ও নারী রূপে তিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন।[51]আদি পুস্তক ১/২৬-২৭ যীশু বলেছেন, “পিতা যেমন আমাকে ভালোবেসেছেন, আমিও তেমনি তোমাদেরকে ভালোবেসেছি। এখন থাকো আমার ভালোবাসায়।”[52]যোহন ১৫/৯ পুরুষ পিতামাতাকে ত্যাগ করে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং এইভাবে দুজনে এক হয়ে যায়।[53]আদিপুস্তক ২/২৪; মালাখি ২/১৫ যীশু ও ঈশ্বর যেমন এক তেমনেই স্বামী ও স্ত্রীও এক হতে পারে।

ঈশ্বর মানুষকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন যেমন শাস্ত্রে বলা আছে, ‘‘দেখ, আমি তোমাদেরকে সাপ ও বিচ্ছুর উপর দিয়ে হেঁটে যাবার ক্ষমতা দিয়েছি এবং শত্রুর সকল শক্তির উপরে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দিয়েছি। কোনো কিছুই কোনোভাবে তোমাদের ক্ষতি করবে না।’’[54]লূক ১০/১৯; গীতসংহিতা ৬৮/১৮ আরেক স্থানে বলা হয়েছে, “যারা বিশ্বাস স্থাপন করবে তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলতে পারবে, হাত দিয়ে সাপ তুলবে, বিষ পানেও কিছু হবে না, অসুস্থের মাথায় হাত রাখলে সে সুস্থ হবে।” শুধু এসবই না যাত্রা পুস্তকে বলা হয়েছে একবার মোশি ও হারোণের সঙ্গে ইস্রায়েলের প্রবীণদের ৭০ জন মানুষ ঈশ্বরকে দেখেছিল।”[55]মার্ক ১৬/১৭-১৮; যাত্রা পুস্তক ২৪/৯-১১

এখন এগুলোর উপর ভিত্তি করে কি আপনারা সব মানুষকে ঈশ্বর বলবেন? যে দলিল ও যুক্তিতে যীশু ও পবিত্র আত্মাকে ঈশ্বর মানতে পারেন সেই একই দলিল ও যুক্তিতে দুনিয়ার সব মানুষকেই ঈশ্বর মানতে সমস্যা কোথায়?

এই তথাকথিত যীশুর অনুসারীরা যে যুক্তি ও দলিলের ভিত্তিতে অন্য কাউকে ঈশ্বর মানতে পারে না, সেই অনেকটা একই ধরনের যুক্তি ও দলিলের ভিত্তিতে তারা যীশুকে ঈশ্বর মানে। আমার মাথায় তাদের এই দ্বিমুখী আচরনটা বুঝে আসে না।

    Footnotes

    Footnotes
    1পবিত্র বাইবেল : পরিচিতি ও পর্যালোচনা, খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহঃ PDF, Text
    2প্রকাশিত বাক্য ১:১, ৮, ৪:৮-১১, ১৫:৩; লুক ৪:৮, ৬:১২, ১০:২৫-২৮, ১১:২০, ১৮:১৯, ২২:৪২, ২৪:১৯, ৩৯-৪২; যোহন ১:৩, ৪, ৩:১৬-১৭, ৪:১৯, ৫:৩০-৩৭, ৬:২৭, ১৪-১৮, ৭:১৬-১৭, ৯:১৭, ২৫, ১০:২৫, ২৯, ৩২, ৩৬, ১২:৪৯ ১৪:১৪-১৬, ২৮, ১৭:৩, ২০:১৭-২১; ১ যোহন ৪:১৪, ৫:১৩; এফিশীয় ৪;৬; মথি ৪:১০, ৫:১৭-১৮, ৬:৯, ৭:২১, ১২:২৮, ১৯:১৬-১৮, ২৩:৯-১০, ২৬:৩৯; নেহেমিয়া ৯:৬; তীমথিয় ২:৫; ১ করিন্থীয় ৪:৬ ৮:৪-৬, ১২:৭-১১; রোমীয় ১:৭, ১০:১৩; ১ পিতর ১:২; গালাতীয় ৪:৮-৯, ৩:২০; বিলাপ ৩:৩৭; দ্বিতীয় বিবরন ৪/৩৫-৩৯, ৬/৪-৫, ১৩/৪, ১৮/১৫, ৩২/৩৯; যিশাইয় ৬/৩, ৪০/১৮, ২৫, ২৮, ৪৩/১, ৩, ১০-১১, ৪৪/৬-৭ ও ২৪, ৪৫/৫-৬, ১২, ১৮, ২১-২৩, ৪৬/৯-১০, ৬৪/৪; হোসেয়া ১১/৯, ১৩/৪; গীতসংহিতা ৩৩/১১, ৮৩/১৮, ৮৬/৮ ও ১০, ৯০/২, ১১৩/৪-৫, ১৩৬/১-৩; আদি পুস্তক ১/১৭; গণনা পুস্তক ২৩/১৯; নেহেমিয়া ৯/৬; যাত্রাপুস্তক ৮/১০, ২০/৪, ২২; বংশাবলী-১, ১৭/২০; ২ বংশাবলি ২/৫; ২ শ্যামুয়েল ৭/২২; ১ তীমথিয় ২/৫; ১ করিন্থীয় ৪/৬ ৮/৪-৬, ১২/৭-১১; রোমীয় ১/৭, ১০/১৩; ১ পিতর ১/২; গালাতীয় ৪/৮-৯, ৩/২০ ; মালাখি ২/১০, ৩/৬; হিতোপদেশ ১৯/২১; বিলাপ ৩/৩৭; এফিশীয় ৪/৬; যোনাহ ১/৯, ২/৮-৯; মিখা ৪/৫; হবক্কুক ১/১২, ২/১৮, ১৯; ইয়োব ৪/১৭,১৮, ৯/৩২, ১৫/১৪-১৬; জাখারিয়া ১৩/৯, ১৪/৯; ইত্যাদি
    3যোহন ১৪/১৬, ২৬, ১৫/২৬, ১৬/৭, ১৩-১৪; ১ করিন্থীয় ১২/৭-১১; আদি পুস্তক ১/২; ইয়োব ২৬/১৩; গীতসংহিতা ১০৪/৩০; যোহন ৩/৬, ১৬/১২-১৫; ইফিষীয় ৩/৫; ১ পিতর ১/২; ২ পিতর ১/২১; তীত ৩/৫; যিশাইয় ৬১/১; প্রেরিত ১০/৩৮
    4লূক ১১/২০, ২২/৪২; মথি ১২/২৮; যোহন ৫/৩০, ৩৬, ৯/২৫, ১০/২৯, ১২/৪৯, ১৪/১৬, ২৮, যোহন ২০/২১; ১ যোহন ৪/১৪; ইফিসীয় ১/৯
    5যাত্রাপুস্তক ৭/১
    6যাত্রাপুস্তক ৯/১৩
    7যাত্রাপুস্তক ১০/১৭
    8গননা পুস্তক ১১/২৪-২৫
    9যাত্রা পুস্তক ১৬; গননা পুস্তক ৬/২২-২৭
    10যাত্রাপুস্তক ৩/১-১০, ২৪/৯-১১, ৩৩/১১
    11, 36যাত্রা পুস্তক ও গণনা পুস্তক
    12গণনা পুস্তক, ১২/৪-৮
    13যাত্রা পুস্তক ৪/৩-৯, ৭/১-২৫, ৮/১-১৮
    14যাত্রা পুস্তক ৯/৮-১০, ২২-২৮, ১০/১৩-১৫, ২২
    15যাত্রাপুস্তক ১৪/২১-২৮
    16গণনা পুস্তক ১৬/২৭-৩৩
    17যোহন ২০/২৩; লুক ১১/১-৪
    18লূক ৬/৭-১১
    19যোহন ১৪/১৯-২০
    20যোহন ১৭/২১‭-‬২৩
    21যোহন ১৪/১৭
    22যোহন ২১/১৪; ইফিসীয় ১/৫-৬; ইফিসীয় ১/২১,২২, ২/৬
    23রোমীয় ৮/১৪-১৭
    24লূক ৩/৩৮
    25যাত্রা পুস্তক ৪/২২
    26যিরমিয় ৩১/৯
    27গীতসংহিতা ২/৭, ৮৯/২৭; ২ শমূয়েল ১১/১
    28২ শমূয়েল ৭/১৪; ১বংশাবলী, ২২/১০, ২৮/৬
    29আদি পুস্তক ৩/২২
    30আদিপুস্তক অধ্যায় ১/২৬,২৭
    31যোহন ৩/১৩
    32আদিপুস্তক ৫/২৩-২৪; ২ রাজাবলি ২/১-১১
    33১ শ্যামুয়েল ১৫/২৫
    34১ বাদশাহনামা ৪/২৯; ১ বাদশাহনামা ১০/২৪; ২ খান্দাননামা ৯/২২
    35গননা পুস্তক ৬/২২-২৭
    37আদি পুস্তক ৩২/৩০
    38হোশেয় ১২/৩,৪
    39যোনাহ ১/১৭
    40যোনাহ ৪/৬
    41মিখা ৩/৭
    42যোহন ১০/৩৪-৩৫
    43১ বংশাবলী ২২/১০, ২৮/৬; রোমীয় ৮/১৪-১৯; দ্বিতীয় বিবরণ ১৪/১; মথি ৫/৯, ৬/৯, ২৩/৯; গালাতীয় ৩/২৬; যোহন ১/১২, ১১/৪৭-৫২, ৩/১-১০, ৪/৪, ৮/৪১; আইউব ১/৬; ফিলিপীয় ২/১৪-১৫; ১ যোহন ৩/১-২, ৩/৮-১০, ৪/৭, ৫/১-২; প্রকাশিত বাক্য ২১/৭; ইফিসীয় ২/১৯, ৫/১; ১ পিতর ১/৩-৬; গীতসংহিতা ২/৭, ৬৮/৫; লুক ৩/৩৮, যাত্রাপুস্তক ৪/২৩; ইয়োব ৩৮/৭; মালাখি ১/৬
    44দ্বিতীয় বিবরণ ১৪/১, ৩২/১৯; যিশাইয় ১/২, ৩০/১, ৬৩/৮; ৬৩/১৬; ৬৪/৮; হোশেয় ১/১০
    45আদিপুস্তক ৬/২
    46যোহন ১০/৩৪
    47সামসংগীত ৮২/৬
    48১ করিন্থীয় ৬/১৯-২০; ২ করিন্থীয় ৬/১৬; ইফিষীয় ৪/৬
    49১ যোহন ৪/১২, ১৬
    50মিখা ৩/১১; ইয়োব ৮/২০; জাখারিয়া ২/৮
    51আদি পুস্তক ১/২৬-২৭
    52যোহন ১৫/৯
    53আদিপুস্তক ২/২৪; মালাখি ২/১৫
    54লূক ১০/১৯; গীতসংহিতা ৬৮/১৮
    55মার্ক ১৬/১৭-১৮; যাত্রা পুস্তক ২৪/৯-১১
    Show More
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button