রাসূল সম্পর্কে আয়শার মন্তব্য ও ইসলামে শিশুকামীতা নিয়ে প্রশ্ন
কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ (রহ:) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছিলেন ‘হায় যন্ত্রণায় আমার মাথা গেল’। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ যদি এমনটি হয় আর আমি জীবিত থাকি তাহলে আমি তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব, তোমার জন্য দু’আ করব। ‘আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ হায় আফসোস, আল্লাহর শপথ। আমার ধারণা আপনি আমার মৃত্যুকে পছন্দ করেন। আর তা হলে আপনি পরের দিনই আপনার অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গে রাত কাটাতে পারবেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ বরং আমি আমার মাথা গেল বলার অধিক যোগ্য। আমি তো ইচ্ছে করেছিলাম কিংবা বলেছেন, আমি ঠিক করেছিলামঃ আবূ বকর (রাঃ) ও তার ছেলের নিকট সংবাদ পাঠাব এবং অসীয়ত করে যাব, যেন লোকদের কিছু বলার অবকাশ না থাকে কিংবা আকাঙ্খাকারীদের কোন আকাঙ্খা করার অবকাশ না থাকে। তারপর ভাবলাম। আল্লাহ (আবূ বাক্র ছাড়া অন্যের খলীফা হওয়া) তা অপছন্দ করবেন, মু’মিনগণ তা বর্জন করবেন। কিংবা তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তা প্রতিহত করবেন এবং মু’মিনগণ তা অপছন্দ করবেন। [সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৫৬৬৬]২। এই ফতোয়াটি উল্লেখ করে তারা আরোও বুঝাতে চায়, ইসলামে শিশুকাম জায়েজ।
স্বামীর সহবাসে যদি স্ত্রীর যােনি ফেটে প্রশস্ত হয়ে যায় :কোনাে ব্যক্তি যখন স্বীয় স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে গিয়ে তার যােনি বিদীর্ণ করে প্রশস্ত করে দেয়, তবে স্ত্রী যদি এরূপ প্রাপ্তবয়স্কা হয় যে, তার সমান মহিলার সাথে সাধারণ সহবাস করা হয়ে থাকে, তাহলে তার কোনাে ক্ষতিপূরণ দিতে হবেনা। এটা ইমাম আবু হানিফা ও আহমদের মত, শাফেয়ি ও মালেকের মতে দিয়াত দিতে হবে। তবে মালেকের যে মতটি অধিক প্রসিদ্ধ, তদনুসারে সালিশী দ্বারা ফায়সালা করা হবে। আর যদি এমন অপ্রাপ্তবয়স্কা হয়, যার সমান মেয়ের সাথে সচরাচর সহবাস করা হয়না, তাহলে তার উপর দিয়াত ওয়াজিব। উল্লেখ্য যে, এই বিধিটি তখনই প্রযােজ্য, যখন যােনি বিদীর্ণ হয়ে মলদ্বারের সাথে একাকার হয়ে যায় এবং এই দুই অঙ্গের মধ্যে কোনাে আড়াল থাকেনা। [ফিকহুস সুন্নাহ, ২ খণ্ড, ৪৬৩ পৃষ্ঠা]কিন্তু আমি জানতাম 'শরহে মুসলিম' এ ভিন্ন কথা লেখা।
২। ১ম প্রশ্নের উত্তর ইনশাআল্লাহ কোন লেখক দিয়ে ফেলবে তাই আমি এটার উত্তর দিয়ে দিচ্ছি।
প্রথমত কোন অপরাধের শাস্তি হিসেবে যদি অর্থদন্ড দেওয়া হয় তাহলে তার মানে এটা হয় না যে টাকার বিনিময়ে সেই অপরাধ বৈধ ঘোসনা করা হচ্ছে। যদি আপনার কাছে অর্থ দন্ড মানে হয় টাকার বিনিময়ে অপরাধ করার বৈধতা তাহলে তা নিছক বোকামি ও অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই হবে না। কারন বাংলাদেশের বহু আইন অনুসারে অর্থদন্ড দেওয়া হয় বেশ কিছু অপরাধের শাস্তি হিসেবে, যদি আপনার মনমানুসিকতা এমনই হয় তাহলে আপনি হয়তো সেইসব আইনকেও অপরাধ করার উৎসাহ দেওয়ার জন্য বানানো হয়েছে বলে মন্তব্য করবেন।
যাইহোক, আশা করি বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গিয়েছে যে অর্থদন্ড দেওয়ার মানে কোন কিছুর বৈধতা নয় বরং সেটা যে অপরাধ, অন্যায় এটাই আরো সুস্পষ্ট ভাবে ইঙ্গিত করে। আর ওলামাগণ প্রায় সবাই এই বিষয়ে একমত অনুপযুক্ত নারীর সাথে সহবাস বৈধ নয়, এই কারনে অনেকে শাস্তি হিসেবে অর্থ দন্ডের কথাও বলে থাকতে পারেন।
আপনি যে রেফারেন্সটা উল্লেথ করেছেন সেটা কোন হাদিস নয় বরং সেটা ফতুয়া। যা এটাই ইঙ্গিত করে যে এই কাজ বৈধ নয়, কিন্তু অনেকেতো শুধু অবৈধ বলায়তো আর শান্ত হয়ে যায় না, তারপরও কিছু বিকৃতমস্তিষ্কের অধিকারী মানুষ সেই হারাম কাজে লিপ্ত হয়ই, তাই এটাযে ছোট খাটো অপরাধ নয় তা সুস্পষ্ট ভাবে বুঝাতেই আবার অর্থ দন্ডের আইনও করা হয়েছে। এর ভয়ে হলেও অনেকে এই জগন্য কাজ হতে দূরে থাকতে পারে।
বিস্তারিত জানতে দেখুন -
Please login or Register to submit your answer