বার্ধক্য সংক্রান্ত

প্রশ্নোত্তর (Q&A)Category: হাদিসবার্ধক্য সংক্রান্ত
বলতে চাইনা asked 10 months ago
আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি হাভার্ড ও ইসরাইলের গবেষক দলের বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে যে, বার্ধক্যের চিকিতসা আবিষ্কৃত হয়েছে, অন্তত এটুকু বলা যায় তা গবেষণাধীন আছে, এখনো মানুষের ওপর প্রয়োগ হয়নি, কিছ ইদুরের ওপর গবেষনায় ইদুরের সমস্ত টিস্যুর বার্ধক্যজনিত পরিবর্তন রিভার্স করা গিয়েছে। হয়ত ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ধক্য গুটিবসন্ত ও পোলিওর ন্যায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে হাভার্ডের জেনেটিসিস্ট প্রফেস্যারেরা এই ভরসাই করছেন। অপরদিকে সহীহ হাদিস হতে আমরা দেখি নবী (সা) বলেছেন আল্লাহ সব রোগের ঔষধ সৃষ্টি করেছেন বার্ধক্য ব্যতীত। এগুলা সাংঘর্ষিক ব্যাপার হাদিসের সাথে। এইটা কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? বিস্তারিত আলোচনা করলে ভাল হয়।
1 Answers
Ashraful Nafiz Staff answered 9 months ago

অক্ষরবাদী হলে এই সমস্যা বারবার হবে, হাদিসের বক্তব্যে কোন সমস্যা নাই। রিভার্স এজিং একটা টার্ম মাত্র, আক্ষরিক অর্থে রিভার্স এজিং বলে কিছু নাই। এতে বয়স কমে যায় না বরং দীর্ঘায়িত হয় অর্থাৎ যৌবনকে দীর্ঘায়িত করা যাবে মাত্র। ড. সিনক্লেয়ার এই গবেষণার প্রধান। তার কাজ দেখতে পারেন, আপনি যেভাবে বলেছেন তা আদতে এমন না। ২০১৬ সালে আমিও এর টেস্ট সাবজেক্ট হতে চেয়েছিলাম। ড. সিনক্লেয়ার নিজেও এই মেডিকেশালের মধ্যে আছেন। তবে ক্যাচ হচ্ছে, তরুন বয়স থেকে এই মেডিকেশান শুরু করলে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যায়। ইউএস থাকলে আমি টেস্ট সাব্জেক্ট হতে পারতাম। তিনি বাইরের দেশে শুরু করাতে আগ্রহী হননি। কারণ, সমস্যা হলে তিনি তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন না বলেছিলেন। বর্তমানে তার বাবা মা, তিনি এবং তার পরিবারের সবাই এই মেডিকেশানের মধ্যে আছেন। কোন খারাপ প্রভাব এখনো হয়নি, তবে এটা আসলে মানুষের গড় আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা শুধু মাত্র।

দেখতে পারে -

https://time.com/6246864/reverse-aging-scientists-discover-milestone/

https://perpetua.life/products/aeon-anti-aging-11-complex-supplement-with-nicotinamide-fisetin-quercetin-resveratrol-astragalus-and-more?variant=39743643287701&gad=1&gclid=CjwKCAjwtuOlBhBREiwA7agf1slZ3-5SKPNdzCp0ZH6loMpC0OEJEkA7eiIirnxGzh8-sDwtpPFUmhoC1SIQAvD_BwE

https://youtu.be/n9IxomBusuw

- Muhammad Hossain [উত্তর দাতা]

এছাড়াও ছোট করে কিছু কথা বলে নি, রাসূল (সা) বলেছেন বার্ধক্যের কোন ঔষধ নেই। [ইবনু মাজাহ ৩৪৩৬; তিরমিজিহ ২০৩৮] আপনার বলা গবেষনায় বলা হয়নি মানুষ কখনো আর বৃদ্ধ হবে না বা বৃদ্ধ হলে যা যা হয় সে সব কিছুকে ঠেকাতে পারবে তারা। হাদিসে যদি বার্ধক্য বলতে যদি আপনি শুধু চামরা পরিবর্তন বুঝান তাহলে এটা আপনার ভুল ধারনা কারন, প্লাস্টিক সার্জারি বা মেকআপ করেও মানুষ নিজেকে জোয়ান দেখানোর চেষ্টা করতে পারে। তার মানে এই না যে সে আসলেই বৃদ্ধ না বা বৃদ্ধ হচ্ছে না। ঠিক একই রকম এই গবেষনায় পদ্ধতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কারন আপনি এইটা দাবি করতে পারবেন না যে আপনি প্রকৃত অর্থে বৃদ্ধ হওয়াকে ঠেকাতে পেরেছেন।

কারন যুগে যুগে মুহাদ্দিসগণ যখন এই গবেষনার কোন নাম নিশানাও ছিল না তখন এই হাদিসের ব্যখ্যা বলেছেন হাদিসে বার্ধক্য রোগ বলতে মৃত্যুকে বুঝানো হতে পারে, বৃদ্ধ বয়সে মরন ব্যাধি রোগ যার কারনে সেই লোক মারা যাবে সেই রোগকে বুঝাতে পারে, বার্ধক্য দূর্বলতা বুঝাতে পারে, বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন রোগ, বয়স বৃদ্ধি পাওয়া, মৃত্যুর কাছাকাছি যাওয়া, হায়াত কমে আসা অর্থাৎ হাদিসে বলা বার্ধক্য সেই সব কিছু হতে পারে যা বৃদ্ধ হওয়া শুরু করলে মানুষের মাঝে দেখা শুরু করে। [ التوفيق بين حديث: ما أنزل الله داء إلا أنزل له دواء.. وحديث: غير داء واحد الهرم ]

আর আপনার এই গবেষনায় সেই সব কিছুর সমাধান করতে পারবে বলে এমন কোন ইঙ্গিতই দেওয়া হয় নি। তাই এর সাথে ইসলামের কোন সাংঘর্সিকতা নেই।

Back to top button