স্রষ্টার সিফাতের দ্বন্দ্ব স্রষ্টার অস্তিত্ব কে বাতিল করে দেয়?
১. যদি তিনি স্বাধীন ইচ্ছের মাধ্যমে তার ৫ সেকেন্ড এর জানা কাজটি না করতে পারেন তবে তার স্বাধীন ইচ্ছে রয়েছে তবে তিনি সর্বজ্ঞানী নন যেহেতু তিনি জানেন না যে তিনি কি করবেন। ২. তিনি যা জানেন যে তিনি ৫ সেকেন্ড পর কি করবেনক্স সেটি যদি তিনি তার স্বাধীন ইচ্ছের মাধ্যমে না করতে পারেন তার মানে তিনি সর্বশক্তিমান নন এবং তার স্বাধীন ইচ্ছেও নেই। যদি স্রষ্টার যেকোনো একটি গুণে সমস্যা দেখা দেয় তবে তিনি আর \'স্রষ্টা\' থাকছেন না। আর দেখাই যাচ্ছে স্রষ্টার গুনগুলো কাউন্টার ইন্টুইটিভ এবং তা বৈপরীত্য সৃষ্টি করে সুতরাং স্রষ্টার অস্তিত্ব অসম্ভব।
এর উত্তর কি দিবেন?
এই প্রশ্নে ধরে নেয়া বিষয় হলো, C ফ্যাক্ট এর ডিসিশন মেকিং এবং আল্লাহ তায়ালার ডিসিশন মেকিং সেইম ভাবে ফাংশন করে, তবে এটি স্পষ্ট যে দুটো ডিসিশন মেকিং সেইম ভাবে ফাংশনাল নয়, যার ফলে আর্গুমেন্টটির শুরুতেই এর কোলাপ্স ঘটে।
নোট: A theory of time: এই মতে সময় হলো টেন্সড ফ্যাক্ট। কেবল প্রেজেন্ট এর অস্তিত্ব আছে, এবং ফিউচার সম্ভাব্য, আগত।
C ফ্যাক্ট= Contingent fact
এই আর্গুমেন্ট দেখা যাচ্ছে "আল্লাহ এমন কিছু বানাতে পারবেন কিনা যা তিনি নিজেই ধ্বংস করতে পারবেন না?" এরকম। বস্তুত আল্লাহ যা "করবেন " তা "না করবেন" কীভাবে? এটা তো পরষ্পরবিরোধিতা। যা আল্লাহর শা'নের সাথে যায় না।
নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকারের খেলাফ করেন না। - কুরআন ৩ঃ৯
সর্বশক্তিমান বলতে অবাস্তব কোনো কিছুকে বোঝায় না।
শাইখুল ইসলাম [ইবন তাইমিয়া] (র.) বলেছেন,
“আহলুস সুন্নাহর দৃষ্টিভঙ্গী হলো, আল্লাহ তা’আলা সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান – এই কথার দ্বারা সকল বাস্তব জিনিসকে বোঝানো হয়। যা স্বভাবগতভাবেই অবাস্তব, যেমনঃ যার কোনো অস্তিত্বই নেই, এর মাঝে কোনো হাকিকত নেই। এর অস্তিত্বের কথা ভাবা যায় না। একে যে ‘কিছু’ই বলা যায় না, এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিগণ একমত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “তাঁর (আল্লাহ) ন্যায় অন্য কাউকে সৃষ্টি করা।” এবং এই জাতীয় আরো বিষয়াবলী।” -- বক্তব্য সমাপ্ত। [মিনহাজুস সুন্নাহ ২/২৯৪]
আরো দেখুনঃ
হতে পারে, আপনি বেটার হয় উত্তরটা দিয়ে দিন, ফিলোসফির বিষয়।
Please login or Register to submit your answer