নাস্তিক্যধর্মবিবিধ

কুযুক্তি – লজিক্যাল ফ্যালাসি

Contents Hide

অপ্রমাণের বোঝা কুযুক্তি – Burden of proof fallacy

বক্তা ১: ঈশ্বর বলে কিছু নেই।
বক্তা ২: ঈশ্বর যে নেই, তার প্রমাণ কী?
বক্তা ১: ঈশ্বর যে আছেন, তার প্রমাণ কী?
.
এক্ষেত্রে বক্তা ১ নিজের বক্তব্যের সাপেক্ষে কোনো যুক্তি-প্রমাণ উপস্থিত করতে পারেন নি। তিনি দায়মুক্তির জন্য তাঁর ব্যর্থতা চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন দ্বিতীয় বক্তার উপরে। যেকোনো তর্ক-বিতর্কে বক্তব্য যিনি দেবেন, তাঁকেই তাঁর বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ সাব্যস্ত করতে হবে।

অজ্ঞতার কুযুক্তি – Argument from ignorance fallacy

দাবী: যেহেতু কুরআন-হাদিসে আদম (আঃ) কোন ভাষায় কথা বলতো তা উল্লেখ করা হয় নি, তাই আল্লাহ বলতে কেউ নেই।
দাবী: যেহেতু কোনো ধর্মই স্রষ্টাকে চোখের সামনে আনতে পারে না, তাই কোনো ধর্মই সঠিক না।
দাবী: যেহেতু ইসলাম ধর্ম এতো দল-উপদলে বিভক্ত, তাই ইসলাম ধর্ম বিকৃত।
এগুলো হচ্ছে অজ্ঞতার কারণে দেয়া কুযুক্তির কিছু উদাহরণ। কোনো অজানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। কোনো ব্যপারে আমরা এখনো না জানলে বা স্রষ্টা কর্তৃক আমাদেরকে জ্ঞান না দেয়া হলেও সেটির উপর ভিত্তি করে অন্য কোনো ব্যপারকে কোনোভাবে অমূলক বা ভুয়া বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

প্রকৃতিগত কুযুক্তি – Naturalistic fallacy

দাবী: যুগ যুগ ধরে মানুষ ধর্মের নামে নিজেদের অপরাধ জাস্টিফাই করে আসছে। তাই ধর্ম খারাপ।

দাবী: যেহেতু ধর্মে অবিশ্বাস করে এখনো কারো নৈতিক পদস্খলন হয় নি, তাই ধর্মে অবিশ্বাসী প্রত্যেকেই নৈতিকতা সম্পন্ন।
পূর্বে অনেকবার ঘটেছে বা হয়ে আসছে দেখেই সেটার প্রকৃতিকেই চিরন্তনভাবে ভালো বা খারাপ ধরে নেয়া যাবে না। তাই আগে থেকে কিছু হয়ে আসছে দেখেই তা খারাপ/ভালো, এমন দাবী করাটাই প্রকৃতিগত কুযুক্তি।

খাঁটি স্কটসম্যান নহেন কুযুক্তি – Not true Scotsman fallacy

দাবী: অমুক নাস্তিক ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি করেছে।
কুযুক্তি: তিনি সত্যিকার নাস্তিক নহেন।
দাবী: অমুক ব্যক্তি সমাজতন্ত্র কায়েম করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ মানুষ হত্যা করেছেন।
কুযুক্তি: তিনি প্রকৃত সমাজতন্ত্রী নহেন।
দাবী: অমুক লীগার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করেছেন।
কুযুক্তি: তিনি প্রকৃত লীগার নহেন।
এটি বর্তমান সময়ে অত্যন্ত বিখ্যাত ও প্রচলিত কুযুক্তি। এটি মূলত নিজেদের মতাদর্শ ও দলকে বিভিন্ন অভিযোগের হাত থেকে মুক্ত রাখতে ব্যবহৃত হয়।

ভণ্ডামি আশ্রিত কুযুক্তি – Appeal to hypocrisy/ Tu quoque fallacy

দাবী: একজন অবিশ্বাসী হিসেবে তোমার তো মিথ্যা বলার কোনো বাধা নেই।
কুযুক্তি: খ্রিস্টান ধর্মেও তো ঈশ্বরের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মিথ্যা বলার কথা আছে।[1]নিউ টেস্টামেন্ট, রোমীয় ৩:৭
দাবী: ইসলাম ধর্মে নারীর যথাযথ অধিকার দেয়া হয়েছে।
কুযুক্তি: অবিশ্বাসীরাও তো নারীর অধিকার দিয়ে থাকে।
এই ধরণের কুযুক্তি সাধারণত অবিশ্বাসীদেরকে তাদের ঈমান নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা দিয়ে থাকে। কোনো অবিশ্বাসীকে তার নৈতিকতার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে উল্টো বলে বসবে, “আপনি যে কুরআন/বাইবেল/বেদ অক্ষরে অক্ষরে মানেন, সেই কিতাবেও তো নৈতিকতার অমুক নীতি ভঙ্গ করা হয়েছে”। অথচ এক্ষেত্রে প্রথম ব্যক্তি ধর্মীয় গ্রন্থগুলো নিয়ে কোনো কথা না তোলার পরেও অবিশ্বাসী ধর্ম গ্রন্থগুলোর সমালোচনার মাধ্যমে তাঁকে হারানোর চেষ্টা করছে।

প্রাধিকারের কুযুক্তি – Argument from authority fallacy

দাবী: আমি অমুক ব্যক্তির দেখাদেখি ধর্মত্যাগ করেছি কারণ তিনি অত্যন্ত শিক্ষিত ও বিজ্ঞানমনষ্ক।
দাবী: ৯৯% বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদে বিশ্বাস করেন। তাই বিবর্তনবাদ অবশ্যই সঠিক।
কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে কর্তৃত্ব দেখানো বা তাঁর নামকে ব্যবহার করে জোর খাটানোই হলো প্রাধিকারের কুযুক্তি। কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ কি বলেছেন/করেছেন, তা দ্বারা কোনো কিছু প্রমাণ বা অপ্রমাণ হয় না।

কুপ্রশ্নের যুক্তি – Begging the question fallacy

কুযুক্তি ১: আল্লাহ কি এমন কোনো পাথর তৈরি করতে পারবেন যা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না ?

কুযুক্তি ২: আল্লাহ ৫ সেকেন্ড পর যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা কি তিনি এখন না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ?
.
এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রশ্নকর্তা শুরুতেই ধরে নেন আল্লাহ পরস্পরবিরোধী (যেকোনো জিনিস বানাতে পারা মানে সর্বশক্তিমান, কোনো জিনিস তুলতে না পারা মানে সর্বশক্তিমান নয়। বস্তুত, আল্লাহ যেকোনো জিনিসই বানাতে পারবেন, এবং যেকোনো জিনিসই তুলতে পারবেন) অথবা তিনি মানবসত্ত্বার মতো সময়ে-অসময়ে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে থাকেন। অথচ ইসলাম ধর্মে আল্লাহকে সর্বজ্ঞাত
ও সর্বশক্তিমান সত্ত্বা হিসেবে ধরা হয়, যাঁর প্রতি কোনো ধরণের মানব গুণাবলীর প্রয়োগ করে যায় না।

ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণী কুযুক্তি – Ad Hominem Fallacy

কুযুক্তি: যেহেতু তুমি মাদ্রাসার ছাত্র, তুমি বিজ্ঞান বা যুক্তিতর্ক বুঝবে না।
কুযুক্তি: যেহেতু তুমি পারিবারিকভাবেই মুসলিম, তাই তুমি ইসলাম ধর্ম পালন করছো। হিন্দু/বৌদ্ধ/খ্রিস্টান হলে সেই ধর্ম অনুসরণ করতে।
যুক্তির জবাবে যুক্তি দিতে না পারলে অনেকে প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে জয়লাভ করতে এই কুযুক্তিটি ব্যবহার করে থাকেন। উঠতি নাস্তিকদের মধ্যে নিজেদের বাগ্মীতার প্রমাণ দেয়ার জন্য এই কুযুক্তিটি বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

অপ্রাসঙ্গিক তর্কের কুযুক্তি – Red herring fallacy

দাবী: আমার মনে হয় স্রষ্টা একজন নয়।
প্রশ্ন: তা মনে হওয়ার কারণ কী?
কুযুক্তি: কারণ মুহাম্মদ এক স্রষ্টার কথা বলে। আর মুহাম্মদ নিজে ১১টি বিয়ে করেছিলো। সে একজন নারীলোভী… (নাউজুবিল্লাহ)
এখানে প্রথম ব্যক্তির কাছে স্রষ্টার একত্বকে অপ্রমাণ করতে বলার সাথে সাথে তিনি আলোচনাটিকে মুহাম্মদ ﷺ-এর সমালোচনার দিকে নিয়ে যান। ফলশ্রুতিতে তিনি মুহাম্মদ (সাঃ)-কে নিয়ে যেসব যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করবেন, সেগুলো আপাতদৃষ্টিতে প্রাসঙ্গিক মনে হলেও সেগুলো তার প্রথম বক্তব্য অর্থাৎ স্রষ্টার একত্বকে অপ্রমাণ করতে পারে না।

মিথ্যা উভয়সঙ্কট কুযুক্তি – False dilemma fallacy

ধরুন কেউ একজন খ্রিস্ট ধর্মের সমালোচনা করছেন। এক্ষেত্রে তার যুক্তি হলো একজন একইসাথে ঈশ্বর ও মানুষ হতে পারে না, যীশু নিজেকে কখনো ঈশ্বর দাবী করেন নি। পরিশেষে তিনি কুযুক্তি হিসেবে টেনে আনলেন নাস্তিকতার কথা। তিনি বোঝাতে চাচ্ছেন যেহেতু খ্রিস্ট ধর্ম খুবই খারাপ, তাই নাস্তিকতা ছাড়া সত্যের সন্ধান পাওয়ার কোনো গতি নেই। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মে প্রচুর ভুল থাকলেও নাস্তিকতায় আরো বেশি ভুল রয়েছে। তাছাড়া একইসাথে কেউ যীশুকে সম্মান করার পাশাপাশি সঠিক পথে থাকতে চাইলে তার জন্য ইসলাম রয়েছে। তাই সবগুলো বিকল্পকে সামনে না আনাকে মিথ্যা উভয়সঙ্কট কুযুক্তি বলে।

খড়ের মানুষ হারানো কুযুক্তি – Straw man fallacy

বক্তব্য: আমি শরীয়া আইনে বিশ্বাস করি।
কুযুক্তি: নিশ্চয়ই আপনি সকল অমুসলিমকে মেরে ফেলার জন্য  এবং দেশকে আফগানিস্তান বানানোর জন্য শরীয়া আইন চান।  (এরপর বক্তা সকল অমুসলিমকে মেরে ফেলা কিভাবে একটা অমানবিক বিষয় এবং বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানালে কি কি সমস্যা হবে, সে ব্যপারে দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেন)
অথচ প্রথম বক্তা অমুসলিম হত্যা বা আফগানিস্তান বানানোর ব্যপারে কিছুই উল্লেখ করেন নি। এখানে লক্ষ্যণীয় বস্তু হচ্ছে দ্বিতীয় বক্তা হয়তো মানবতার দোহাই দিয়ে মাঠ দখল করতে চাচ্ছিলেন। তাই শরীয়া আইনের বিপরীত কোনো যুক্তি না দিয়ে তিনি নিজেই বিপক্ষ বক্তার একটি বানানো বক্তব্য তৈরি করলেন এবং সেটাকে যুক্তি দিয়ে হারিয়ে দিলেন। একজন খড় দিয়ে একটি কাকতাড়ুয়া তৈরি করে তার সাথে যুদ্ধ করে যেভাবে জয়লাভের ভান করেন; তেমনি প্রথম বক্তা যা বলেন নি, সেই বক্তব্যকেই যুক্তি দিয়ে হারিয়ে দ্বিতীয় বক্তা জয়লাভ করতে চাচ্ছেন।

পক্ষপাতদুষ্ট নিশ্চিত কুযুক্তি – Confirmation bias fallacy

ধরুন, যেহেতু আপনি জ্ঞানস্বল্পতার কারণে ধর্মত্যাগ করেছেন এবং তারপর থেকেই প্রত্যেকটি ধর্মকে আপনার অগ্রহণযোগ্য বলে মেনে নিয়েছেন, তাই আপনার দাবী হচ্ছে পৃথিবীর প্রায় ৪২০০+ ধর্মের প্রত্যেকটিই অগ্রহণযোগ্য। যেহেতু আপনার ধর্ম বা অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণযোগ্য কিনা তা যাচাই-বাছাই না করে শুরুতেই আপনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে আপনি যা বিশ্বাস করেন তাই সঠিক, তাই আপনার দাবী পক্ষপাতদুষ্ট। তাই আপনি আপনার বিশ্বাসের সপক্ষে যেসকল যুক্তি আছে, সেগুলো খুঁজে বের করেন ও সেগুলোই প্রচার করেন। আপনার বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনো প্রশ্ন/যুক্তিকে এড়িয়ে যান বা বাতিল করে দেন।

চেরি পিকিং কুযুক্তি – Cherry picking fallacy

কুযুক্তি: মুসলিমদের কুরআনে বলা আছে, “মুশরিকদের যেখানেই পাও, হত্যা করো”।[2]কুরআন ৯:৫ তাই নিশ্চয়ই কুরআন মানবতা বিরোধী একটি গ্রন্থ ।
লক্ষ্য করুন- কুযুক্তি প্রদানকারী ব্যক্তি দেখাতে চাচ্ছেন যে, যেহেতু কুরআনে বলা হয়েছে অবিশ্বাসীদেরকে যেখানেই পাও, তাই কুরআন নিশ্চয়ই মানবতাবিরোধী। এখানে আয়াতটির মধ্যে মানবতার সাথে আপাতঃদৃষ্টিতে যতোটুকু সাংঘর্ষিক, ততোটুকুই তিনি বলছেন। অথচ আয়াতটির পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে, আর মুশরিকদের মধ্যে কেউ আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আপনি তাকে আশ্রয় দিন; যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পায়। তারপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌছিয়ে দিন; কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না। [3]কুরআন ৯:৬ সকল সম্ভাবনার মধ্যে যদি শুধু নিজের পক্ষে যায়, এমন কিছু সম্ভাবনাকেই তুলে ধরা হয়, তাহলে সেটা হবে চেরি পিকিং কুযুক্তি।

তালগাছ আমার কুযুক্তি – Argument from final consequence fallacy

ধরুন কোনো একজন ব্যক্তি স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন না এবং তিনি এই ব্যপারে সুনিশ্চিত। এক্ষেত্রে তাঁকে যতো দৃঢ় প্রমাণই দেয়া হোক না কেন, তিনি তাঁর বিশ্বাস থেকে নড়বেন না। বস্তুবাদ ও নিরীশ্বরবাদীতার অসাড়তার যুক্তি তিনি কোনোমতেই মানতে রাজি হবেন না। অন্তঃসারশূণ্য বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে কোনো প্রমাণ না থাকলেও তিনি বলবেন ” ঈশ্বর নেই ” ।  কারণ তাঁর আস্থা যুক্তি-প্রমাণে নয়, তাঁর আস্থা তাঁর পূর্বের বিশ্বাসে।

চক্রাকার কুযুক্তি – Circular logic fallacy

প্রশ্ন ১: কুরআন যে ভুল, তার প্রমাণ কী ?
কুযুক্তি ১: কারণ কুরআন বলে একজন স্রষ্টা আছে ।
প্রশ্ন ২: স্রষ্টা যে নেই, তার প্রমাণ কী ?
কুযুক্তি ২: কারণ কুরআন একজন স্রষ্টার কথা বলে ।
প্রশ্ন ৩: বেদ ঈশ্বরের বাণী, তার প্রমাণ কী?
কুযুক্তি ৩: কারণ বেদে লেখা আছে বেদ ঈশ্বরের বাণী।
উপরের কুযুক্তিগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায় একটি দাবী আরেকটি দাবীকে সত্য প্রমাণ করতে চাচ্ছে। এই দাবী দুটো একে অপরের উপর নির্ভরশীল। এর কোনোটিই প্রমাণিত নয়, তবে একটি দাবী আরেকটি দাবীকে প্রমাণ হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে।

এফারমিং দ্য কনসিকোয়েন্ট কুযুক্তি – Affirming the Consequent Fallacy

কুযুক্তি: এই মহামারির সময় ধর্ম কোনো কাজে আসে নি। “বিজ্ঞান তবে একা লড়েছিলো, মন্দির কাবা নয়”
অর্থাৎ-
A. বিজ্ঞান করোনার বিরুদ্ধে একা লড়াই করেছিল।
B. মন্দির-কাবা লড়াই করে নি।
C. বিজ্ঞানের পাশাপাশি মন্দির-কাবারও লড়াই করার দরকার ছিল।
D. লড়াই করে নি, তাই ধর্ম কোনো কাজে আসে নি।
এখানে কুযুক্তিটি হলো বিজ্ঞান একা লড়াই করেছিল, তাই তাল মিলানোর জন্য মন্দির-কাবাকেও লড়াই করতে হবে। অর্থাৎ B থেকে আমাদের D হয়েছে, তা ধরে নিতে হবে, যা একটি কুযুক্তি। মন্দির-কাবা লড়াই করে নি বলেই ধর্ম কাজে আসে নি, তা একটি ভুল যুক্তি।
শেষ কথা:
লজিকাল ফ্যালাসি বা কুযুক্তির আরো অনেক শাখা থাকলেও বর্তমান সময়ে এই লেখায় আলোচিত কুযুক্তিগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই আমার লেখায় সবগুলো কুযুক্তির আলোচনা উঠে আসে নি। তাছাড়া আরো কিছু অনুমিত কুযুক্তি থাকলেও সেগুলোকে কুযুক্তির ধারায় ফেলা যায় না। ইনশাআল্লাহ সেগুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা খুব দ্রুত আসবে।

    Footnotes

    Footnotes
    1নিউ টেস্টামেন্ট, রোমীয় ৩:৭
    2কুরআন ৯:৫
    3কুরআন ৯:৬
    Show More

    Farhan Habib

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর ও শান্তি তাঁর রাসুলের প্রতি।আসসালামু আলাইকুম।ধর্মান্ধ। সব কথায় ধর্ম টানি। হানাফী ফিক্বহের অনুসারী। স্টুডেন্ট। প্র্যাক্টিসিং অর্থোডক্স মুসলিম হওয়ায় ব্যস্ত। মানবতাবাদী। একজন কট্টর Anti-Atheist, Anti-Feminist, Homophobic এবং Anti-Agnostic। সাধারণের ভাষায় উগ্র'বাদী কিংবা মৌলবাদী।মুরত|দ ও রাসুলের অবমাননাকারীর ইসলাম-সম্মত শাস্তি চাই। ইসলাম নিয়ে এক-আধটু লেখালেখির চেষ্টারত। কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা, নবী-রাসুলদের ইতিহাস ও তাঁদের জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ভালো লাগে।হারাম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। যতোটুকু সম্ভব আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, বাকিটাইম খাই-দাই, ঘুমাই। মিউজিক, নাটক-সিনেমা এবং বেপর্দা নারী অপছন্দ করি।
    5 4 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button