দর্শননাস্তিক্যধর্মবিজ্ঞান

আল্লাহকে দেখা যায় না কেন?

সৃষ্টি আর স্রষ্টা কি এক হতে পারে?

‘আল্লাহকে দেখা যায় না কেন?’, ‘আল্লার নিদর্শন দেখা যায় না কেন?’, ‘আল্লাহ অলৌকিক নিদর্শন দেখান না কেন?’ – নাস্তিকদের করা বহুল আলোচিত ও প্রচলিত এক ধরনের প্রশ্ন হলো এটি। আল্লাহকে দেখা কি সম্ভব নয়? স্রষ্টাকে বিজ্ঞান খুজে পায় নাই কেন? স্রষ্টাকে দেখা যায় না কেন? আমরা স্রষ্টাকে দেখি না কেন? আল্লাহ নিজে মানুষের সাথে কথা বলেন না কেন? আল্লাহ মানুষের সাথে দেখা করেন না কেন? আল্লাহ নিজে নিজের ধর্ম প্রচার করেন না কেন? এই ধরনের প্রশ্ন করে তারা বলে যে, “যাকে দেখা যায় না, অনুভব করা যায় না, শুনা যায় না তাকে বিশ্বাস করি না” ইত্যাদি ইত্যাদি। বাস্তব বলতে স্রষ্টার অস্তিত্ব চিরন্তন সত্য, আর যখন আমরা আল্লাহকে দেখছি না, বা তিনি দেখা দিচ্ছেন না তার দুটো মানেই হতে পারে। ১ম, আমাদের সেই ক্ষমতা নেই তাকে দেখার তাই আমরা দেখছি না, ২য়, আল্লাহ চান না তাই আমরা তাকে দেখতে পারি না। আস্তে আস্তে এসব বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ।

বিজ্ঞান কী বলে?

রিয়ালিটি শুধু মাত্র আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা যা কিছু পর্যবেক্ষণ করি শুধু মাত্র তার অস্তিত্ব আছে এই ধারণা ভুল। আমরা যা কিছু পর্যবেক্ষণ করি তা ফিজিক্যাল ওয়ার্ল্ডে অস্তিত্বশীল। কিন্তু এর বাহিরে অনেক কিছুই অস্তিত্বশীল। যেমন শক্তি, মহাকর্ষ বল, অভিকর্ষজ বল, রেখা, সংখ্যা, বিশ্বাস, শক্তি, তরঙ্গ, আলো, প্রকৃতি, কোয়ান্টাম কণা, অ্যান্টিম্যাটার, ডার্ক ম্যাটার, রেডিও ওয়েভ, অক্সিজেন, অতিবেগুনি, আলফা, গামা, বিটা রশ্মি, সৃষ্টিকর্তা ইত্যাদি।

রিয়ালিটি বা অস্তিত্ব শুধু মাত্র আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারন এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলার অস্তিত্ব আছে কিন্তু তা আমরা পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে বুঝতে পারিনা। এই বিষয়ে

আমেরিকান নাস্তিক জোতির্বিদ নিল ডিগ্রাস টাইসন বলেন,

In modern times, if the sole measure of what’s out there flows from your senses then a precarious life awaits you.

বর্তমানে মানুষ যদি নিজের ইন্দ্রিয় দিয়ে সমস্তকিছু জাস্টিফাই করে তাহলে তার জন্য অনিশ্চিত জীবন অপেক্ষা করছে।[1]Neil deGrasse Tyson (2001), Coming to Our Senses, Natural History Magazine, March 2001, page 84

https://digitallibrary.amnh.org/bitstream/handle/2246/6507/NH110n02.pdf?sequence=2&isAllowed=y

https://www.haydenplanetarium.org/tyson/essays/2001-03-coming-to-our-senses.php

বাইরে যে একটা জগৎ আছে, এই বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস কিন্তু ইন্দ্রিয় অনুভূতি নির্ভর নয়। আমেরিকার দার্শনিক জর্জ সান্তায়না এই ধরনের বিশ্বাসকে বলেছেন “অ্যানিমেল ফেইথ।” অর্থাৎ, সহজাত একটা বিশ্বাস।[2]Griffin, David Ray, ‘Interpreting Science from the Standpoint of Whiteheadian Process Philosophy’, in Philip Clayton (ed.), The Oxford Handbook of Religion and Science, page 458 (2008; online edn, Oxford Academic, 2 Sept. 2009), https://doi.org/10.1093/oxfordhb/9780199543656.003.0028,  accessed 24 Oct. 2022. অথবা, প্রিন্ট এডিশন 2006, Publisher: Oxford … See Full Note

 

বিজ্ঞানের এর দুনিয়ায় শুধু যুক্তি ও প্রমাণ ভিত্তিক এবং এখানে বিনা বিচারে কোনো কিছুই গ্রহণ করা হয় না এমনটা কিন্তু না। কারন বৈজ্ঞানিক মহলে আরও কিছু ধারণা জেঁকে বসে আছে মেলা দিন হলো। বিজ্ঞানী রুপার্ট শেল্ড্রেক স্বীয় গ্রন্থে এমন দশটি বিশ্বাসকে তালিকাবদ্ধ করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রতিটি বিশ্বাসেরই ব্যত্যয় ঘটেছে, বিপরীতে প্রমাণ মিলেছে।[3]Rupert Sheldrake (2012), Science Set Free: 10 Paths to New Discovery; Introduction: THE TEN DOGMAS OF MODERN SCIENCE, page 18-30 (epub edition, New York, Deepak Chopra Books 2012)., অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার প্রগ্রেসিভ সাইন্স ইন্সটিটিউট-এর পরিচালক, নাস্তিক বিজ্ঞান-দার্শনিক গ্লেন বোর্কার্ড The Ten Assumptions of Science: Towards a New Scientific Worldview[4]Glenn Borchardt (2004), Ten Assumptions of Science: Toward a New Scientific Worldview http://dx.doi.org/10.13140/RG.2.2.13320.21761 গ্রন্থে বিজ্ঞানের দশটি দার্শনিক অনুমানকে লিপিবদ্ধ করেছেন। যথা:

  1. Materialism
  2. Causality
  3. Uncertainty
  4. Inseparability
  5. Conservation
  6. Complementarity
  7. Irreversibility
  8. Infinity
  9. Relativism
  10. Interconnection

ফিজিক্যাল এক্সিস্টেন্স!

যাইহোক মূল বিষয়ে আসি, সাধারণত নাস্তিকরা স্রষ্টাতে বিশ্বাস করেনা। তাদের স্রষ্টা বিশ্বাস না করার অন্যতম একটি আর্গুমেন্ট হচ্ছে – স্রষ্টাকে যেহেতু আমরা সরাসরি দেখতে পাই না, স্রষ্টা যেহেতু Physically exist করেনা সেহেতু স্রষ্টা থাকার সম্ভাবনা নেই, ‘unseen is nothing’, যা দেখি না তা বিশ্বাস করি না ইত্যাদি ইত্যাদি। চলুন দেখা যাক নাস্তিকদের এই দাবী কতটুকু যৌক্তিক?

আমাদের মধ্যে অনেকে ফিজিক্যাল এক্সিস্টেন্স বা Empirical evidence এর দোহাই দিয়ে স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। আবার, Mathematically Abstract entity বা মৌলিক এনটিটি ধরে নেয়। কিন্তু এগুলা তো আমরা সরাসরি দেখতে পারিনা বা এগুলা physically exist করেনা। সংখ্যা বা রেখা এগুলো Physically exist করেনা বা এগুলার কোনো Empirical evidence ও নেই। কিন্তু সাইন্স কেন এগুলা গ্রহণ করে?

স্রষ্টা হচ্ছে Absolute বা পরম, আদি, অনন্ত, অদ্বিতীয়। মহাবিশ্বে কেউ স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যকে অস্বীকার করতে পারেনা। কেউ স্রষ্টার Embodiment হিসেবে God এর যায়গায়, Nature, Nothing, The biggest, The world ইত্যাদি ব্যাবহার করে। আবার তারা এটাও ধরে নেয় যে The biggest অন্য কোনো Biggest থেকে আসতে পারেনা বা Nature অন্য কোনো Nature থেকে আসবেনা। যদি অন্য কোনো Nature থেকে আসতো তাহলে Nature তো আর Nature থাকবেনা। সেটা যেখান থেকে এসেছে সেটাই হবে Nature। আবার Nature এর কিন্তু পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপস্থিতি উপলব্ধি করা সম্ভব নয়, এর Physical exist পাওয়া অসম্ভব। চিন্তা করেন যারা এই ধারনা পোষন করে তারাই আবার প্রশ্ন করে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল! যাইহোক এটা ভিন্ন টপিক তিাই সেই দিকে যাচ্ছি না, এই বিষয়ে আগের লিখা আছে চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।[5] আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?

তাহলে নাস্তিকরাও কিন্তু একটা কিছুকে Absolute, Unlimited, Infinity হিসেবে ধরে নিচ্ছে (যদিও তা আমাদের কাছে Absolute নয়)। সেক্ষেত্রে স্রষ্টার পজিশন কিন্তু ডিফল্ট পজিশন। এই Absolute, Unlimited, Infinity এগুলো তো আমরা অভিজ্ঞতায় পাইনা! এগুলোর তো Empirical কোনো Evidence নেই। তাহলে কেন নাস্তিকরা একটা কিছুকে Absolute, Unlimited, Infinity, Exist হিসেবে ধরে নেয়? অথচ তারাই কিন্তু Empirical evidence এর দোহায় দিয়ে স্রষ্টা’কে অস্বীকার করে। আবার তরাই Empirical evidence ছাড়াই একটা কিছুকে Absolute, Unlimited, Infinity হিসেবে ধরে নিচ্ছে! Mathematically abstract entity বা মৌলিক এনটিটি ধরে নিচ্ছে! অথচ নাস্তিকরা নাকি সোকল্ড বিজ্ঞানমনষ্ক, আবার তারাই কোন কিছুকে প্রমান ছাড়াই Absolute, Unlimited, Infinit, Exist ধরে নিচ্ছে, আবার এই বিজ্ঞানের দোহাই দিয়েই তারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করছে। অথচ science এ absolute truth বলতে কিছু নেই, যা আছে সেটা established truth বা approximate truth, absolute truth থাকলে বিজ্ঞান যে পরিবর্তনশীল এটাই contradictory হয়ে যায়।

আরো একটা উদাহারণ দেওয়া যাক, আমরা যদি ২টি আপেল থেকে ৩টি আপেল বিয়োগ করি তাহলে আন্সার হবে নাই হয়ে একটা আপেল বা -১ আপেল। কিন্তু নাই হয়ে কি কিছু থাকতে পারে? নাই হয়ে ১টা আপেল বা -১ এর ধারণা আমরা কোথায় পায়? এগুলো আমাদের নলেজে দেওয়া থাকে। আমরা যখন বলি একটা আপেল, এখানে ১ মানে আপেল না। ১ হচ্ছে আপেল এর উদাহারণ। পৃথিবী থেকে যদি ১ সংখ্যক সবকিছু তুলে নেওয়া হয় তাহলে কি ১ এর ধারণা কি মুছে যাবে? অবশ্যয় না!

তাহলে সংখ্যা, রেখা, শক্তি, প্রকৃতি ইত্যাদির বাস্তবতা কিন্তু ফিজিক্যাল না। সুতরাং, Reality is not always physical. Entity is not always physical. Entity’ এর কিছু অংশ Physical বাকি অংশ Metaphysical. প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যদি Abstract entity গুলো মানতে পারি তাহলে স্রষ্টার অস্তিত্ব কেন মানতে পারবোনা? একজন নাস্তিক যদি Physical world এর সাথে Abstract entity মেনে নিতে পারে তাহলে স্রষ্টাকে কেন মানতে পারবেনা? এই ধরণের প্রশ্নে নাস্তিকরাও স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে এই মহাবিশ্বের একজন স্রষ্টা আছে।

সুতরাং বলা যায় সকল রিয়েলিটি কিন্তু ফিজিক্যাল না! আমরা শুধু মাত্র Physical exist বা Empirical evidence মেনে নেই না বরং Abstract entity ও মেনে নিচ্ছি। তাহলে কেউ যদি Physical exist বা Empirical evidence এর দোহায় দিয়ে স্রষ্টাকে অস্বীকার করে সেটা হবে তাদের হিপোক্রেসি।

এবার আলোচনা করা যাক, স্রষ্টা’কে সরাসরি দেখা সম্ভব কিনা তা নিয়ে। স্রষ্টা হচ্ছে Logical conclusion, Abstract entity, Absolute. আমরা হলাম Particular!

Particular কি Absolute বা Abstract entity পর্যবেক্ষণ করতে পারবে? উত্তর হল না, কারন মানুষের পক্ষে যেখানে পঞ্চইন্দ্রিয়ের মধ্যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব প্রমান করা সম্ভব নয়, প্রকৃতি, শক্তি, মহাকর্ষ বল, রেখা, সংখ্যা,ইত্যাদিকে দেখা সম্ভব না সেখানে স্রষ্টার মত সত্তাকে দেখা অসম্ভবই ধরা যায়।

(এখানের উপরের কিছু লিখা ইসলামী লেখক সাজ্জাতুল-মওলা শান্ত ভাইয়ের অবলম্বনে লিখা, জাজাকাল্লাহ খাইর)

ভিজিবল স্পেকট্রাম ও হেয়ারিং রেঞ্জ

আলো কি? আলো হল এক ধরনের শক্তি বা বাহ্যিক কারণ, যা চোখে প্রবেশ করে দর্শনের অনুভূতি জন্মায়। আলো বস্তুকে দৃশ্যমান করে, কিন্তু এটি নিজে অদৃশ্য। আমরা আলোকে দেখতে পাই না, কিন্তু আলোকিত বস্তুকে দেখি। এটি এক ধরনের তরঙ্গ, আলো তির্যক তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের আকারে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করে। আবার সব আলোর মাধ্যমে বস্তু আলোকিত হয়ে আমাদেরকে দর্শন দেয় না অর্থাৎ সব ধরনের আলোর মধ্যেমে বস্তু আলোকিত হয়না এবং আমরা তা দেখতে পারি না।

দৃশ্যমান বর্ণালি বা আলোক বর্ণালি হচ্ছে তড়িচ্চুম্বকীয় বর্ণালীর সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণকে দৃশ্যমান আলো বা শুধু আলো বলে। মানুষের দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৩৮০-৭৮০ ন্যানোমিটার এবং এর চেয়ে কম বা এর চেয়ে বেশি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোর কিছু মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব না। পৃথিবীতে এর নিচে ও এর উপরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে আলোতে অনেক পশু পাখি দেখতে পায়। এই সিমানার বাহিরে এক সুবিশাল জগত রয়েছে কিন্তু তা মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব না।[6]National Aeronautics and Space Administration, Science Mission Directorate. (2010). Visible Light. Retrieved [Oct 24, 2022], from NASA Science website: http://science.nasa.gov/ems/09_visiblelight

শুধু মানুষের দৃষ্টিশক্তিই সীমাবদ্ধ নয়, শ্রবণশক্তিও সীমাবদ্ধ। শ্রবণসীমা বলতে মানুষ ও অন্য কোন প্রাণী যে কম্পাংকসীমার শব্দ শুনতে সক্ষম, তাকে বোঝায়। মানুষের শ্রবণশক্তির সীমা হল ২০-২০,০০০ হার্জ। এর চেয়ে কম বা এর চেয়ে বেশি হার্জ এর কোন শব্দই মানুষের পক্ষে শুনা সম্ভব না। এই ক্ষেত্রেও অনেক প্রাণী এর চেয়ে কম বা বেশি হার্জ এর শব্দ শুনতে সক্ষম।[7]Purves D, Augustine GJ, Fitzpatrick D, et al., editors. Neuroscience. 2nd edition. Sunderland (MA): Sinauer Associates; 2001. The Audible Spectrum. Available from: https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK10924/

ডাইমেনশনস্

পদার্থ বিজ্ঞানীদের ধারনা আমাদের মহাবিশ্বে অনেকগুলা ডাইমেনশন থাকার সম্ভবনা রয়েছে। বিজ্ঞনীদের থেকে অন্তত ১০টি ডাইমেনশনের ধারনা পাওয়া যায়, অনেক বিজ্ঞানী কম বেশিরও কথা বলেছেন। অথচ, কেওই তা নিশ্চিতভাবে কোনদিনও দেখতে ও পর্যবেক্ষন করতে পারেনি। আমরা সাধারনত ৩ ডাইমেনশনের জীব, আমাদের হায়ার ডাইমেনশনের বৈশিষ্ট্য, ধরনগুলো খুব কমপ্লেক্স বিষয়। ধারনা করা হয় ৫ম ডাইমেনশনের জীব প্যারালাল ইউনিভার্সে ট্রাবেল করতে পারবে, ৬ষ্ঠ ডাইমেনশনে ট্রাইম ট্রাবেল, ৭ম ডাইমেনশনে সবক ইউনিভার্সে ট্রাবেল ইত্যাদি, আর ১০ম বা তার হায়ার ডায়মেনশনে গড লেবের সব কর্মকান্ড করা সম্ভব।[8]Matt Williams, Universe Today (2014), A universe of 10 dimensions https://phys.org/news/2014-12-universe-dimensions.amp সে যাইহোক আশ্চর্যের বিষয় হলো হায়ার ডাইমেনশনের জীব আমাদের ডাইমেনশনে ইজিলি পরিবর্তন করতে পারবে। আমরা তাদের দেখতেও পারবো না আবার অনুভবও করতে পারবো না। এমনকি কল্পনাও করতে পারবো না কিভাবে কী হলো। সামান্য হায়ার ডাইমেনশনের জীবকে মানুষ যদি দেখতে না পারে, তাহলে স্রষ্টাকে দেখাত অসম্ভবেরও অসম্ভব ছাড়া কিছুই না। চিন্তা করুন যে স্রষ্টা এই ডাইমেনশন গুলো তৈরি করেছেন তিনি কতটা পাওয়ারফুল, তিনি কতটা আলাদা এবং ইউনিক হবেন। এমন একজন অবশ্যই কোন সন্দেহ ছাড়া সব কিছুর ঊর্ধে থাকবেন।

এখন পর্যন্ত দেখা বিজ্ঞানের আধুনিক বর্ণনা অনুসারে, মহাবিশ্বের ৬৮% অন্ধকার শক্তি (Dark Energy), ২৭% গুপ্ত পদার্থ বা অদৃশ্য পদার্থ যেটাকে ইংরেজিতে Dark Matter বলে তা দ্বারা গঠিত (বাকি ৫% দৃশ্যমান ও অন্যান্য পদার্থ দ্বারা গঠিত)। সুতরাং আমরা মহাবিশ্বের ৪/৫% জানতে পারব। অর্থাৎ মহাবিশ্বের ৯৫% অংশকে পরীক্ষা করার মতো উপকরণ বিজ্ঞানের কাছে নেই, যা এখনো বিজ্ঞান মহলে রহস্যের হয়ে আছে। মহাবিশ্বের যে ৪/৫ ভাগ বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ করতে পারবে তার মাত্র ১% অংশও অধিবিদ্যা (Metaphysics) জানতে পারেনি। তাহলে আমাদের পক্ষে যেখানে মহাবিশ্বের ১০০% এর ৫% জানা সম্ভব এবং সেই ৫% থেকে আমরা ১% ও জানতে পারিনাই, সেখানে এত সিমাবদ্ধ জ্ঞান, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি দিয়ে স্রষ্টাকে দেখতে চাওয়া পাগলামি বৈ আর কিছুই না![9]About Dark Energy and Dark Matter from NASA SCIENCE website; https://science.nasa.gov/astrophysics/focus-areas/what-is-dark-energy#:~:text=It%20turns%20out%20that%20roughly,than%205%25%20of%20the%20universe. This article is an edited extract titled “Exploring the most unknown universe” first published in the NGV Triennial 2020 publication by the National Gallery of Victoria, Melbourne. The … See Full Note

বিজ্ঞানে শুধু ডাইমেনশনের বিষয়টাই না, এমন অনেক কিছু আছে যেগুলাকে নাকি মানুষের পক্ষে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না। আমাদের এই তথাকথিত বিজ্ঞানমনষ্ক নাস্তিকদের জন্য এই বিষয়গুলা খুবই স্বাভাবিক কারন তাদের দেবতা বিজ্ঞান যে বলেছে। এই কান্ডজ্ঞানহীন মানুষকে যদি বলা হয় স্রষ্টাকে দেখা যায় না তখনই তাদের তলানিতে চুলকানি বেড়ে যায়। অথচ সেই স্রষ্টার সৃষ্টি করা জিনিসকে বিজ্ঞান যখন বলে মানুষের পক্ষে দেখা, অনুভব করা, শুনা বা অবযার্ব করা সম্ভব না তখন তাদের চেতনায় সমস্যা হয় না, কনশেন্সে এ তা বাধা দেয় না, জ্ঞানের বলাৎকার হয় না, তাদের সমস্যা হয় শুধু স্রষ্টাকে দেখা যায় না, শোনা যায় না, অনুভব করা যায় না মানে ৫ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপলব্দি করা যায় না সে বিষয়টাতেই।

যাইহোক এই কারনেই হয়ত বিজ্ঞানীদের পক্ষে অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ে কোন সঠিক ও চূরান্ত সদ্ধান্তে পৌছানো সম্ভব না।

Science is a way of knowing about the natural world. It is limited to explaining the natural world through natural causes. Science can say nothing about the supernatural. Whether God exists or not is a question about which science is neutral.

বিজ্ঞান হল প্রাকৃতিক জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের একটি উপায়। প্রাকৃতিক জগৎ সম্পর্কে জাগতিক(ন্যাচারাল) ব্যাখ্যা প্রদানে এটি সীমাবদ্ধ। অতিপ্রাকৃত কিছু আছে কি না, সে বিষয়ে বিজ্ঞান কিছুই বলতে পারে না। স্রষ্টা আছেন নাকি নেই- এ প্রশ্নের ব্যাপারে বিজ্ঞান নিরপেক্ষ।[10]National Academies of Sciences, Engineering, and Medicine (1998), Teaching About Evolution and the Nature of Science. pg 58 Washington, DC: The National Academies Press. https://doi.org/10.17226/5787

অথবা, https://nap.nationalacademies.org/read/5787/chapter/6#58

স্রষ্টা প্রমাণের বিষয়ে বিজ্ঞানের মত হচ্ছে, বিজ্ঞান দ্বারা স্রষ্টা প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব। সাইন্টিফিক আমেরিকান বলছে –

যদি মহাবিশ্বের স্রষ্টা অতিপ্রাকৃত হয়, সময়, স্থান এবং ল’ সমুহের উর্ধ্বে অবস্থান করে তবে সংজ্ঞানুসারে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান কোনো প্রাকৃতিক ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা স্রষ্টাকে খুজে পেত সক্ষম হবে না। সংজ্ঞানুসারে বিজ্ঞানের কাছে স্রষ্টা একটি অমীমাংসিত রহস্য।[11]Michael Shermer (2018), Will Science Ever Solve the Mysteries of Consciousness, Free Will and God?, Scientific American, https://www.scientificamerican.com/article/will-science-ever-solve-the-mysteries-of-consciousness-free-will-and-god/ This article was originally published with the title “The Final Mysterians” in Scientific American 319, 1, 73 (July 2018)  … See Full Note

ইসলাম ও কনশেন্স কি বলে

সমস্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে আমাদের দৃষ্টিশক্তি সিমাবদ্ধ, এই সীমানার বাইরে আমরা কিছুই দেখতে পাই না। আল্লাহ ﷻ বলেছেনঃ

দৃষ্টিশক্তি তাকে আয়ত্ত করতে পারে না, কিন্তু তিনি দৃষ্টিকে আয়ত্ত করে নেন।[12]সূরা আনআম, আয়াত ১০৩

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, স্রষ্টা তো স্রষ্টাই, তিনি সব কিছু করতে পারেন তাহলেত তিনি চাইলে মানুষও উনাকে দেখা সম্ভব, তাহলে তিনি কেন মানুষের সাথে দেখা করে প্রমান করেন না যে তিনি আছেন? আল্লাহ ইহকালে কারো কাছে দেখা দিবেন না, কারও পক্ষে আল্লাহকে দেখা সম্ভব না কারণ এটাই তো পরীক্ষা যে, আল্লাহকে না দেখেই তার উপর ঈমান আনার ও তার দেখানো পথে চলার।

আর আমরা তোমাদেরকে অবশ্যই পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা।[13]সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৫৫

নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভনীয় করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম।[14]সূরা কাহফ, আয়াত ৭

আমরা তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু থেকে, আমরা তাকে পরীক্ষা করব, তাই আমরা তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন। নিশ্চয় আমরা তাকে পথ নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।[15]সূরা আদ-দাহর‌, আয়াত ২-৩

যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য-কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম?[16]সূরা মুলক, আয়াত ২

মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।[17]সূরা আল-আনকাবূত, আয়াত ২-৩

যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, যথাযথভাবে নামায পড়ে ও তাদেরকে যা দান করেছি তা হতে ব্যয় করে। এবং তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে যারা বিশ্বাস করে ও পরলোকে যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী। তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। [18]সূরা বাকারা, আয়াত ৩-৫

আল্লাহ যদি পৃথিবীতে আসেন ও সবাইকে দেখা দেন তাহলে তো দুনিয়ার সবাই ভালো কাজ করবে, সবাই তাকে বিশ্বাস করবে, সবাই এক ঈশ্বরকে মানবে, সবাই আল্লাহর আদেশ মত চলবে, কেউ খারাপ কাজ করবে না, তাই না? মোট কথা প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র উভয় ফাঁস। এমন হলে তো আর সেটা পরীক্ষা থাকবে না। উত্তর পত্র ফাঁস হলেও যেমন অনেককে ফেইল করে ঠিক তেমনই আল্লাহকে দেখলেও অনেকে তার উপর ঈমান নাও আনতে পারে। কোরআন ও হাদিসে এমন বহু জাতির কথা উল্লেখ আছে যাদেরকে অতীতে বহু নিদর্শন দিয়েছিলেন আল্লাহ, স্পষ্ট প্রমান দেখিয়ে ছিলেন কিন্তু তারপরও অনেকে নাফরমানি করেছিল। যদি আল্লাহ দেখা দিতেন বা ফেরেস্তা পাঠাতেন সাধারন মানুষের কাছে তাহলে সে বিষয়টা চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যেত, তখন আর কাউকে সুযোগ দেওয়া হত না এই কথা আল্লাহ সূরা আনআমের ৭-৯ নম্বর আয়াতে বিস্তারিত বলেছেন। এছাড়া কোরআনে এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলা হয়েছে সেটাও দেখে নিতে পারেন,

আর যারা জানে না, তারা বলে, ‘কেন আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কিংবা আমাদের কাছে কোন নিদর্শন আসে না’? এভাবেই, যারা তাদের পূর্বে ছিল তারা তাদের কথার মত কথা বলেছে। তাদের অন্তরসমূহ একই রকম হয়ে গিয়েছে। আমি তো আয়াতসমূহ সুস্পষ্ট করে দিয়েছি এমন কওমের জন্য, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।[19]সূরা বাকারা, আয়াত ১১৮, ২১০ ও সূরা বানী-ইসরাঈলের ৯০-৯৩নং আয়াতে এবং অন্যান্য স্থানেও অনুরূপ কথা বর্ণিত হয়েছে

আরেক আয়াতে আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শন বিষয়ে আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন যে,

আমরা যদি আপনার প্রতি কাগজে লিখিত কিতাবও নাযিল করতাম, অতঃপর তারা যদি সেটা হাত দিয়ে স্পর্শও করত তবুও কাফেররা বলত, এটা স্পষ্ট জাদু ছাড়া আর কিছু নয়। আর তারা বলে, ‘কেন তার উপর কোন ফেরেশ্তা নাযিল করা হয়নি?’ যদি আমি ফেরেশ্তা নাযিল করতাম তাহলে বিষয়টি ফয়সালা হয়ে যেত, তারপর তাদের সুযোগ দেয়া হত না।[20]সূরা আল আন’আম আয়াত ৭-৮

তারা কি এরই অপেক্ষা করছে যে, তাদের নিকট ফিরিশতাগণ হাযির হবে কিংবা তোমার রব উপস্থিত হবে অথবা প্রকাশ পাবে তোমার রবের নিদর্শনসমূহের কিছু? যেদিন তোমার রবের নিদর্শনসমূহের কিছু প্রকাশ পাবে, সেদিন কোনো ব্যক্তিরই তার ঈমান উপকারে আসবে না। যে পূর্বে ঈমান আনে নি কিংবা যে তার ঈমানে কোনো কল্যাণ অর্জন করে নি। বলুন, তোমরা অপেক্ষা কর, আমরাও অপেক্ষা করছি।[21]সূরা আল-আন‘আম, আয়াত ১৫৮

মক্কার মানুষরাও বলেছিল তাদেরকে আলৌকিক নিদর্শন দেখাতে।

আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, তার রবের কাছ থেকে তার কাছে কোন নিদর্শন নাযিল হয় না কেন? বলুন, আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন এবং যারা তার অভিমুখী তিনি তাদেরকে তার পথ দেখান।[22]সূরা আর রাদ আয়াত ২৭

এই আয়াতের তাফসিরে একটি হাদিস পাওয়া যায়, তা হল

যখন মক্কার কাফের কুরাইশরা চাইলো যে, আমাদের জন্য সাফা পাহাড়কে স্বর্ণে পরিণত করে দিন। আমাদের জন্য ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করে দিন। মক্কার পাশ থেকে পাহাড়গুলো সরিয়ে নিয়ে যান। যাতে সেখানে বাগান ও নদী-নালা পূর্ণ হয়ে যায়। তখন আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলের কাছে ওহী পাঠালেন যে, হে মুহাম্মাদ! আপনি চাইলে আমি তাদেরকে তা প্রদান করব। কিন্তু তারপর যদি তারা কুফরি করে তবে তাদেরকে এমন শাস্তি দেব যা আমি সৃষ্টিকুলের কাউকে কোনদিন দেইনি। আর যদি আপনি চান যে, আমি রহমত ও তাওবার দরজা খুলে দেই তবে তা-ই করব। রাসূলুল্লাহ বললেন, বরং তাদের জন্য রহমত ও তাওবার দরজা খোলা হোক। [23]মুসনাদে আহমাদ ১/২৪২

যত নবী-রাসূল এসেছেন দুনিয়ায় প্রায় সবার সময়ই কোন না কোন নিদর্শন আল্লাহ দিয়েছেন। এখন অনেকে স্রষ্টা থাকার নিদর্শন চায়, অনেকে স্রষ্টাকে দেখতে চায়, আগে কি কোন মানুষ চায় নি এমনটা? যারা সেই নিদর্শন দেখে নি তারা কি দেখতে চাইবে না পরবর্তিতে? তাহলে আল্লাহ কি সব সময় নিদর্শনই বা নিজে দেখা দিতে থাকবে? আল্লাহ কি মানুষের কাছে এতটাই মূল্যহীন নাকি? দুনিয়াতে সাড়ে সাতশো কোটির উপরে মানুষ আছে, এর মধ্যে নাস্তিকদের সংখ্যা খুব বেশি বলা হলে ৭০/৮০ কোটি হবে। মহাবিশ্বের তুলনায় বালু কণার চেয়েও ছোট পৃথিবীর এই ৭০/৮০ কোটি নাস্তিকদের জন্য ইউনিভার্স এর সবচেয়ে মর্যাদাবান সত্ত্বা আল্লাহ নিজে সবার সাথে দেখা করে নিজের অস্তিত্ব প্রমান করবেন এটা চিন্তা করাটাও জ্ঞানহীনতা ছাড়া কিছু না। মানুষের কাছে একটা পিপড়া বা মশার জীবনের মূল্য যতটুকু আল্লাহর কাছে এই নাস্তিকগুলোর মূল্য তারচেয়েও হাজার গুণ কম।

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ   বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার নিকট যদি এই পৃথিবীর মূল্য মশার একটি পাখার সমানও হত তাহলে তিনি কোন কাফিরকে এখানকার পানির এক ঢোকও পান করাতেন না।[24]সিলসিলা সহিহাহ ৯৫০; তিরমিজি ২৩২০ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=40997

এছাড়াও নাস্তিকরা এমন কোন VIP হয়ে যায় নি যে তাদেরকে বিশ্বাস করানোর জন্য আল্লাহর তাদের সাথে কথা বলতে হবে। আপনি ফেরারি গাড়ির শোরুমে গিয়ে যদি বলেন, আমি এই গাড়ি কিনবো না যতক্ষণ পর্যন্ত না ফেরারি কোম্পানির সিইও আমার সাথে দেখা না করে বা আমার সাথে ফোনে কথা না বলে- তাহলে কি সে আপনার সাথে দেখা করবে? বা আপনার সাথে কথা বলবে? নিশ্চয়ই না। যেখানে সে-ই আপনার সাথে বলবে না, আর সবকিছুর স্রষ্টা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাঁর অস্তিত্ব বিশ্বাস করানোর জন্য আপনার সাথে কথা বলবে? How funny! কোম্পানির আপনার মত দু-একজন মাথা মোটা কাস্টমার না হলেও চলবে। কারণ ভাল জিনিসের কাস্টমারের অভাব হবে না। বরং মাঝখানে আপনি একটা ভাল গাড়ির মালিক হওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন! তেমন স্রষ্টায় বিশ্বাস না করলে সেটাতে স্রষ্টার লস নেই বরং লস আপনারই।

মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আরোহী দলের সাথে ছিলাম, যারা রাসূলুল্লাহ এর সাথে একটি মৃত ছাগল ছানার পাশে এসে দাঁড়ান। রাসূলুল্লাহ প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি মনে কর, তার মনিবের নিকট এটা নিকৃষ্ট ও মূল্যহীন হওয়ায় সে তা নিক্ষেপ করেছে? তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল ! এটা মূল্যহীন হওয়ার কারণে তারা ফেলে দিয়েছে। তিনি বললেনঃ তার মনিবের নিকট এটা যতটুকু মূল্যহীন, আল্লাহ্ তা’আলার নিকট পৃথিবীটা এর চেয়েও অধিক মূল্যহীন ও নিকৃষ্ট।[25]ইবনু মাজাহ ৪১১১; তিরমিজি ২৩২১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=40998

অনেকে আবার বলে যে আচ্ছা এখন আর আল্লাহকে দেখা সম্ভব না তা মেনে নিলাম, কিন্তু তিনিত স্রষ্টা তাহলে উনি তখন কেন নিজেই নিজের ধর্ম প্রচার করলেন না? নবী রাসূল বা মানুষকেই কেন বার বার প্রেরণ করলেন? এর প্রসঙ্গত বলা ফেরারি গাড়ির উদাহরণ দিয়েছি। তারপরও আরো একটা উদাহর দিই, বাংলাদেশের সবচেয়ে নামকরা কিছু কোম্পানির মধ্যে বসুন্ধরাগ্রুপ সেরা, আবার মেঘনা গ্রুপও সেরা! আচ্ছা আপনি কি কোনদিন দেখেছেন এই কোম্পানির মালিককে তাদের কোম্পানির এড নিজে এসে প্রচার করতে? তাদের কোম্পানির প্রচারের জন্য যদি আলাদা এটিটিউট ওয়ালা লোক নিযুক্ত থাকতে পারে তাহলে স্রষ্টা তার পরিচয় নবী রাসূলদের দিয়ে মানুষের কাছে প্রচার করায় অপরাধ কি?

পৃথিবীর সাধারণ একজন ধনী বা সম্মানীত মানুষ যদি এতটা এটিটিউট নিয়ে চলাফেরা করে তাহলে সেখানে সবসৃষ্টির স্রষ্টা আল্লাহ নিজে এসে সবাইকে দেখা দেওয়া বা নিজে ধর্ম প্রচার করার চিন্তাটাও বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন,

কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোন দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।[26]সূরা শুরা, আয়াত ৫১

আমাদের এত ক্ষমতা এবং যোগ্যতা নেই যে আমরা আল্লাহ কে দেখতে পারব! ২ টি ঘটনা আমাদের সকলের সামনে প্রমাণ। হযরত মুহাম্মদ  এর সাথে মেরাজের ঘটনা যেখানে আল্লাহর সাথে মহানবী  কথা বলেছেন কিন্তু আল্লাহকে দেখেন নি এবং মুসা (আঃ) এর তুর পাহাড়ে আল্লাহকে দেখতে গিয়ে আল্লাহর প্রেরিত নূরে পাহাড় জ্বলে যাওয়া কিন্তু তারপরও আল্লাহকে দেখতে না পারার ঘটনা, এই দুটো ঘটনাই প্রমান যে এই দুনিয়ায় কাউকে তিনি দেখা দিবেন না কারন আল্লাহর সামান্য একটি নূর দেখার মতো সহ্যশক্তি এবং যোগ্যতাও মানুষের নেই। আমাদের চোখ সূর্যের আলো পর্যন্তই সইতে পারে না! এ দুনিয়ায় কারও এত ক্ষমতা এবং যোগ্যতা নেই তাকে দেখার।

আর মূসা যখন আমাদের নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলেন এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার রব! আমাকে দর্শন দান করুন, আমি আপনাকে দেখব। তিনি বললেন, আপনি আমাকে দেখতে পাবেন না। আপনি বরং পাহাড়ের দিকেই তাকিয়ে দেখুন, সেটা যদি নিজের জায়গায় স্থির থাকে তবে আপনি আমাকে দেখতে পাবেন। যখন তার রব পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা পাহাড়কে চূর্ণবিচূর্ণ করল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন তখন বললেন, মহিমাময় আপনি, আমি অনুতপ্ত হয়ে আপনার কাছে তাওবাহ করছি এবং মুমিনদের মধ্যে আমিই প্রথম।[27]সূরা আরাফ, আয়াাত ১৪৩

মহানবী  বাস্তবে কখনোই আল্লাহকে দেখেন নি, মেরাজের রাতেও দেখেন নি বরং তিনি স্বপ্নে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন বেশ কয়েকবার। যে হাদিসে বলা হয়েছে মহানবী আল্লাহকে সরাসরি নিজ চক্ষু দিয়ে দেখেছেন সেগুলা সহিহ নয়, বরং সবগুলোই যয়িফ ও জাল। কিন্তু ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে সহিহ যে বর্ণনা এসেছে আল্লাহকে দেখার, সেটার অর্থ হলো অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখা। কপালের চক্ষু (চর্মচক্ষু) দিয়ে দেখা উদ্দেশ্য নয়। আবার একদল স্কলার এই হাদিস সম্পর্কে বলেছেন, “ইবনু আববাসের বক্তব্য সত্য হিসাবে ধরলেও তা তার নিজস্ব উক্তি হওয়ায় এবং আয়িশা (রা) এর প্রতিবাদ থাকায় তা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।” এমনকি একটি হাদিস থেকেও পাওয়া যায় যে রাসূল কে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “তিনি (আল্লাহ) নূর, তা আমি কি রূপে দেখবো?[28]বিস্তারিত পড়ুনঃ আল্লাহর দর্শন – আব্দুল্লাহ আল মামুন আল-আযহারী; সহিহ মুসলিম ১৭৮ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47089;  হাকেম হা/৩২৩৪; তিরমিযী হা/৩২৭৯; যিলালুল জান্নাহ … See Full Note

আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক (রহঃ) বলেন, আমি আবূ যার (রাঃ) কে বললাম, যদি রাসূলুল্লাহ এর দেখা পেতাম তবে অবশ্যই তাকে একটি কথা জিজ্ঞেস করতাম। আবূ যার (রাঃ) বললেন, কি জিজ্ঞেস করতে? তিনি বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করতাম যে, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? আবূ যার (রাঃ) বললেন, এ কথা তো আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছেন, আমি নূর দেখেছি।[29]সহিহুল মুসলিম হাদিস একাডেমী ৩৩৩, ইফা ৩৪১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47090

এখন অলৌকিকতা বা নিদর্শন দেখানোর কথায় আসি। আসলে যখন প্রথম ইসলাম প্রচার শুরু করা হয় তখন আল্লাহর তরফ থেকে কোন নিদর্শন আসলে কাফের-মুশরিকরা বলত যে সেগুলা যাদু, আর এখন আল্লাহর তরফ থেকে কোন নিদর্শন আসলে সেটাকে বলা হয় বিজ্ঞান। আল্লাহ কোরআনে নিজের সৃষ্টির মধ্যে নিদর্শন রেখেছেন জ্ঞানীদের জন্য এই ধরনের কথা বার বার বলেছেন।[30]সূরা ফুসসিলাত আয়াত ৫৩; সূরা বাকারা আয়াত ২৮, ১৬৪; সূরা আনআম আয়াত ৯৫; সূরা আত-তুর আয়াত ৩৫-৪১; সূরা ওয়াকিয়াহ আয়াত ৫৮-৭২; সূরা হজ্জ আয়াত ৪৬, ৭৩; সূরা মুহাম্মদ আয়াত … See Full Note বর্তমানে বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা সেই নিদর্শনগুলো সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জানতে পারছি। কিন্তু একদল মানুষ সেগুলোকে এমন ভাবে মেনুপুলেট করে যেমন মনে হয় সেগুলো আপনা আপনি এসেছে, কাকতালিয় খাভে, দূর্ঘটনার মাধ্যমে। আবার বিজ্ঞানকো কিছুর ব্যাখ্যা দিতে নাও পারে তারপরও তার ভক্তগণ যারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন তারা, বিভিন্ন গোজামিল দিয়ে সেটাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে আর যদি তাতেও ব্যর্থ হয় তখন বলেম ‘একদিন বিজ্ঞান এটার ব্যাখ্যা দিবেই দিবে, এসব কোন স্রষ্টার কারনে হয় না।’ আরো কত হেনতেন বলে। তাই তো আল্লাহ বলেছেন,

যারা বিশ্বাস করে তারা জানে যে এটাই তাদের রবের পক্ষ থেকে একমাত্র সত্য। কিন্তু যারা অবিশ্বাস করে, তার বলে, ‘আল্লাহ আসলে এসব উদাহরণ দিয়ে কি বুঝাতে চান?’ এভাবেই আল্লাহ তায়ালা অনেককে পথ দেখান আর অনেককে পথভ্রষ্ট করেন। তিনি কেবল অবাধ্য ব্যক্তিদেরই পথভ্রষ্ট করেন।[31]সূরা বাকারা, আয়াত ২৬

বলুন, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য কর। আর যারা ঈমান আনে না, নিদর্শনাবলী ও ভীতি প্রদর্শন এমন সম্প্রদায়ের কোন কাজে আসে না।[32]সূরা ইউনুস আয়াত ১০১

ফিজিসিস্ট পল ডেভিয়েস বিষয়টা খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন “মনে করুন 3D জগত থেকে একজন মেশিন-গানার 2D স্ক্রিনে গুলি করতে করতে ডান পাশ থেকে বাম পাশে যাচ্ছে যাতে করে প্রতিটি গুলির দ্বারা তৈরী গর্তগুলোর দূরত্ব সমান হয়। এখন 2D জগতে বসবাসকারী বিজ্ঞানী জ্যামিতির দ্বারা লিমিটেড হওয়ায় মেশিন-গানার সম্পর্কে অজ্ঞ থাকবে কিন্তু সে গর্তগুলোকে দেখতে পাবে। কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর সে বুঝতে পারবে যে গর্তগুলো রেন্ডমলি সৃষ্টি হচ্ছে না বরং একটা নিয়ম (সমান দূরত্ব) মেনে সৃষ্টি হচ্ছে এবং তাতে Regularity-ও বিদ্যমান থাকছে। অতঃপর এই বিষয়টাকে সে “The Law Of Hole Creation” হিসেবে ব্যাখ্যা করবে। অথচ প্রতিটি গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে মেশিন-গানারের কারণে। সেই চাইলে যে কোন সময়ই গর্তগুলোর দূরত্ব পরিবর্তন করতে পারে আর সেটার কনভার্শন না হলে 2D এর সাইন্টিস্টের কাছে সেটা মিরাকল বলে আর্বিভূত হবে। কনভার্শন হলে সে তার Law দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারলেও বুঝতে পারবে না যে এটা অটোমেটিক নয়।”

সবচেয়ে বেশি আল্লাহর তরফ থেকে আসা অলৌকিক নিদর্শন হয়ত মূসা (আ) এর জাতি দেখেছিল কিন্তু কি হল? সেই জাতি বার বার পথভ্রষ্ট হয়েছিল। সুলাইমান (আ) এর সময় আল্লাহর তরফ থেকে আসা অলৌকিক নিদর্শনকে অনেকে যাদু বলে পাত্তাই দেয় নি। ঈসা (আ) এর সময় এত অলৌকিক নিদর্শন দেখার পরও সেই জাতির মধ্যে শুধু ১২ জন উনার উপর ইমান এনেছিল। নূহ (আ) ৯০০ বছর দাওয়াতের কাজ করেছিলেন তারপরও উনার উপর ৮/১০ জন মানুষই ইমান এনেছিল। মুহাম্মদ  এর সময়ও অনেক কাফির-মুশরিক আল্লাহর অলৌকিক নিদর্শনকে যাদু বলে অবমাননা করেছিল। আর এখনকার মানুষ অলৌকিক নিদর্শন গুলোকে বিজ্ঞানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার জন্য শত শত বছর নষ্ট করতেও রাজি থাকে কিন্তু তারপরও স্রষ্টার উপর ইমান আনতে চায় না। যেখানে এখন কার নাস্তিকরা আল্লাহর নিদর্শন তার সৃষ্টিকে প্রাকৃতিক জিনিস, আপনা আপনি তৈরি হওয়া সৃষ্টি ইত্যাদি বলে সেখানে তাহলে আর অলৌকিক নিদর্শন এসে লাভ কি? কারন অলৌকিক কোন নিদর্শন যদি আসেও তাহলে নাস্তিকরা সেটাকে বিজ্ঞান মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করবে, বিজ্ঞান যদি ব্যাখ্যা দিতে নাও পারে তারপরও নাস্তিকরা বিভিন্ন গোজামিল দিয়ে সেটাকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে, যদি তাতেও ব্যর্থ হয় তাহলে বলবে বিজ্ঞান এটার ব্যাখ্যা ভবিষ্যতে দিবেই দিবে।

    Footnotes

    Footnotes
    1Neil deGrasse Tyson (2001), Coming to Our Senses, Natural History Magazine, March 2001, page 84

    https://digitallibrary.amnh.org/bitstream/handle/2246/6507/NH110n02.pdf?sequence=2&isAllowed=y

    https://www.haydenplanetarium.org/tyson/essays/2001-03-coming-to-our-senses.php

    2Griffin, David Ray, ‘Interpreting Science from the Standpoint of Whiteheadian Process Philosophy’, in Philip Clayton (ed.), The Oxford Handbook of Religion and Science, page 458 (2008; online edn, Oxford Academic, 2 Sept. 2009), https://doi.org/10.1093/oxfordhb/9780199543656.003.0028,  accessed 24 Oct. 2022.

    অথবা, প্রিন্ট এডিশন 2006, Publisher: Oxford University Press, ISBN 10: 0199543658, ISBN 13: 9780199543656

    3Rupert Sheldrake (2012), Science Set Free: 10 Paths to New Discovery; Introduction: THE TEN DOGMAS OF MODERN SCIENCE, page 18-30 (epub edition, New York, Deepak Chopra Books 2012).
    4Glenn Borchardt (2004), Ten Assumptions of Science: Toward a New Scientific Worldview http://dx.doi.org/10.13140/RG.2.2.13320.21761
    5 আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?
    6National Aeronautics and Space Administration, Science Mission Directorate. (2010). Visible Light. Retrieved [Oct 24, 2022], from NASA Science website: http://science.nasa.gov/ems/09_visiblelight
    7Purves D, Augustine GJ, Fitzpatrick D, et al., editors. Neuroscience. 2nd edition. Sunderland (MA): Sinauer Associates; 2001. The Audible Spectrum. Available from: https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK10924/
    8Matt Williams, Universe Today (2014), A universe of 10 dimensions https://phys.org/news/2014-12-universe-dimensions.amp
    9 About Dark Energy and Dark Matter from NASA SCIENCE website; https://science.nasa.gov/astrophysics/focus-areas/what-is-dark-energy#:~:text=It%20turns%20out%20that%20roughly,than%205%25%20of%20the%20universe.

    This article is an edited extract titled “Exploring the most unknown universe” first published in the NGV Triennial 2020 publication by the National Gallery of Victoria, Melbourne. The University of Melbourne is the proud Research Partner to the NGV Triennial which runs to 18 April 2021. from; https://pursuit.unimelb.edu.au/articles/exploring-the-most-unknown-universe#:~:text=We%20know%20only%20five%20per,as%20we%20see%20it%20today

    10National Academies of Sciences, Engineering, and Medicine (1998), Teaching About Evolution and the Nature of Science. pg 58 Washington, DC: The National Academies Press. https://doi.org/10.17226/5787

    অথবা, https://nap.nationalacademies.org/read/5787/chapter/6#58

    11Michael Shermer (2018), Will Science Ever Solve the Mysteries of Consciousness, Free Will and God?, Scientific American, https://www.scientificamerican.com/article/will-science-ever-solve-the-mysteries-of-consciousness-free-will-and-god/

    This article was originally published with the title “The Final Mysterians” in Scientific American 319, 1, 73 (July 2018)  doi:10.1038/scientificamerican0718-73

    12সূরা আনআম, আয়াত ১০৩
    13সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৫৫
    14সূরা কাহফ, আয়াত ৭
    15সূরা আদ-দাহর‌, আয়াত ২-৩
    16সূরা মুলক, আয়াত ২
    17সূরা আল-আনকাবূত, আয়াত ২-৩
    18সূরা বাকারা, আয়াত ৩-৫
    19সূরা বাকারা, আয়াত ১১৮, ২১০ ও সূরা বানী-ইসরাঈলের ৯০-৯৩নং আয়াতে এবং অন্যান্য স্থানেও অনুরূপ কথা বর্ণিত হয়েছে
    20সূরা আল আন’আম আয়াত ৭-৮
    21সূরা আল-আন‘আম, আয়াত ১৫৮
    22সূরা আর রাদ আয়াত ২৭
    23মুসনাদে আহমাদ ১/২৪২
    24সিলসিলা সহিহাহ ৯৫০; তিরমিজি ২৩২০ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=40997
    25ইবনু মাজাহ ৪১১১; তিরমিজি ২৩২১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=40998
    26সূরা শুরা, আয়াত ৫১
    27সূরা আরাফ, আয়াাত ১৪৩
    28বিস্তারিত পড়ুনঃ আল্লাহর দর্শন – আব্দুল্লাহ আল মামুন আল-আযহারী;

    সহিহ মুসলিম ১৭৮ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47089;  হাকেম হা/৩২৩৪; তিরমিযী হা/৩২৭৯; যিলালুল জান্নাহ ১৯০/৪৩৭

    আব্বাস (রা)-র হাদিসের ১ম ব্যখ্যার – যাদুল মাআদ, ৩/৩০, ২য় ব্যখ্যা – ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ ফাতাওয়া ৬/৫০৯; ইবনুল ক্বাইয়িম, ইজতিমাউ জয়ূশিল ইসলামিয়াহ ১/১২

    29সহিহুল মুসলিম হাদিস একাডেমী ৩৩৩, ইফা ৩৪১ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=47090
    30সূরা ফুসসিলাত আয়াত ৫৩; সূরা বাকারা আয়াত ২৮, ১৬৪; সূরা আনআম আয়াত ৯৫; সূরা আত-তুর আয়াত ৩৫-৪১; সূরা ওয়াকিয়াহ আয়াত ৫৮-৭২; সূরা হজ্জ আয়াত ৪৬, ৭৩; সূরা মুহাম্মদ আয়াত ২৪; সূরা গাশিয়া আয়াত ১৭-২০; সূরা যারিয়াত আয়াত ২০-২১; সূরা নাহাল আয়াত ৬৫-৬৭; সূরা রাদ, আয়াত ৪; সূরা আবাসা, আয়াত ২৪-৩১; সূরা গাফির আয়াত ৫৭
    31সূরা বাকারা, আয়াত ২৬
    32সূরা ইউনুস আয়াত ১০১
    Show More
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    1 Comment
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    knowledge of Islam
    knowledge of Islam
    1 year ago

    বিজ্ঞান, ধর্ম ও যুক্তি ভালো কম্বিনেসন! লিখাটি সুন্দর, আশা করি ভবিষ্যতে লিখার স্টাইল আরো বেটার হবে

    Back to top button