নারীবাদ

ইসলামী নারীবাদ – মেয়ের জিন্দাকবরের আধুনিক রূপ

একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ সবসময় দেখানো হয় যে প্রাক-ইসলামি আরবরা নারীবিদ্বেষী ছিল এবং জাহেলি যুগে মেয়েশিশুদের কবরস্থ করার কুপ্রথা থেকে ইসলাম নারীদের মুক্তি দিয়েছে।

এপ্রসঙ্গে আমাদের একজন ইসলামী লেখকের পূর্বপোস্ট পড়ুনঃ

অবশ্যই আল্লাহ কুরআনে কন্যা শিশুদের কবরস্থ করার এই প্রথার নিন্দা করেনঃ

আর যখন জীবন্ত কবরস্থ কন্যাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?[1]কুরআন ৮১:৮-৯

আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন,

আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ প্রদান করা হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, তার গ্লানি হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্নগোপন করে। সে চিন্তা করে হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে (কন্যাকে) রেখে দেবে না মাটিতে পুঁতে ফেলবে! সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত নেয় তা কত নিকৃষ্ট![2]কুরআন ১৬:৫৮-৫৯

কিন্তু যখন আমরা এই আয়াতগুলোর তাফসীর পড়ি, তখন আমরা দেখতে পাই যে, বর্তমানে এই প্রথা সম্পর্কে দুটি অপব্যাখ্যা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

শুধু পুরুষরাই নয়

প্রথমত, শুধু পুরুষরাই কন্যাশিশুদের কবর দিতো না। শিশুর মা এবং ধাত্রীরাও এই কাজের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। উদাহারনস্বরূপ ইমাম কুরতুবী (রহঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে “কুরআন ৮১:৮-৯” আয়াতের তাফসীর নকল করেন, যেখানে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,

وقال ابن عباس : كانت المرأة في الجاهلية إذا حملت حفرت حفرة ، وتمخضت على رأسها ، فإن ولدت جارية رمت بها في الحفرة ، وردت التراب عليها ، وإن ولدت غلاما حبسته…

জাহেলি যুগে কোনো নারী গর্ভবতী হলে, সে একটি গর্ত খনন করত। সে মেয়েশিশুর জন্ম দিলে মেয়েটিকে গর্তে নিক্ষেপ করতো এবং কবর দিত। সে যদি একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিত তবে সে তাকে নিজের কাছে রাখতো।[3]তাফসীরে কুরতুবী, সূরা আত-তাকভীরের ৮ নম্বর আয়াতের তাফসীর

এখন, কিছু নারীবাদী যুক্তি দিতে পারে যে, সেসময়ের আরব নারীরা তাদের মেয়েদের কবর দিতো কারণ পুরুষরা তাদের এটা করতে বাধ্য করতো। সেই নারীরা আবদ্ধ পুরুষতন্ত্রের সময়ে বাস করতো এবং পুরুষদের নিষ্ঠুর আদেশ মেনে চলা ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনো উপায় ছিল না। সুতরাং, সেই নারীদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।

কিন্তু নবীজী (ﷺ) এর একটি হাদিস এই যুক্তির খন্ডন করে দেয়,

“যে মহিলা তার কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবরস্থ করেছে এবং যে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়েছে তারা উভয়ে জাহান্নামী।”[4]সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত), হাদিস নং ৪৭১৭, আলবানী (রহঃ) এটিকে সহিহ বলেছেন। উল্লেখ্য, এখানে ‘যে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়েছে…সে জাহান্নামী’ … See Full Note[5]তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া সম্পর্কে যে অভিযোগটি আমরা বাবা মায়ের কাছ থেকে সবসময় শোনতে পাই সেটা হলো, ❝আমার সন্তান তো এখনও বিয়ে করার জন্য পরিপক্ক হয়নি!❞ আচ্ছা … See Full Note

যদি এই নারীরা সত্যিই বাধ্য হতো এবং কন্যাশিশুদের কবর দেওয়া ছাড়া তাদের কাছে কোনো উপায়ই না থাকতো তাহলে আল্লাহ কেন তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন? যদি তারা নির্দোষই হতো তাহলে আল্লাহ কেন তাদের শাস্তি দিবেন?
স্পষ্টতই, এই মায়েরা তাদের অপরাধের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ছিলেন, যেমন ধাত্রীরাও দায়ী ছিল যারা তাদের সাহায্য করেছিল। “পুরুষতন্ত্রকে” দোষারোপ করার চেষ্টা করে কোনো কাজ হবে না।

কারণ বা উদ্দেশ্য

দ্বিতীয় অপব্যাখাটি আমাকে আমার একজন শিক্ষক দেখিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে, নারীদের প্রতি সাধারণ ঘৃণার কারণে মেয়েদের কবর দেওয়া হয়নি। এটা আসলে প্রাক-ইসলামী আরবদের নারীবাদী অভিক্ষেপ ছিলো।
যখন আমরা এই আয়াতগুলোর তাফসীর পড়ি, সেগুলোতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে কেন প্রাক-ইসলামী আরবরা তাদের শিশু কন্যাদের কবর দিত। তারা হয় দারিদ্র্যতার ভয়ে ভীত ছিল, অথবা, তারা ভয় পেয়েছিল যে অন্য গোত্রের লোকেরা তাদের কন্যাদের বন্ধি করবে, দাসী বানাবে , তাদের শ্লীলতাহানি করবে ইত্যাদি।
যদি সেই আরবদেরকে তাদের কন্যাদের কবর দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হতো, তাহলে সম্ভবত তারা দাবি করতো যে, তারা তাদের কন্যাদের দাসত্ব ও শ্লীলতাহানির জীবন থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে সর্বোত্তম কাজ করছে।
সম্ভবত তাদের এই দুশ্চিন্তা ছিলো। কিন্তু তারা তাদের গৌরব এবং সম্মান সম্পর্কেও বেশ চিন্তিত ছিল। তাফসীরেও এর উল্লেখ আছে। এই প্রাক-ইসলামী আরবরা চায়নি যে তাদের কন্যারা অন্য গোত্রের দাসী হয়ে অসম্মানজনক জীবনযাপন করুক।

কন্যাদের কবরস্থ করার আধুনিকরূপ

এখন, মুসলিম সম্প্রদায়ের আধুনিক অভিভাবকত্বের সাথে এর সাদৃশ্য লক্ষ্য করুন।
কতজন বাবা-মা তাদের মেয়েদের ‘শক্তিশালী’, ‘স্বাধীন’ ক্যারিয়ার উইমেন হয়ে উঠার তাগিদ দিচ্ছেন?
কতজন বাবা-মা তাদের মেয়েদের ব্যবসায়িক ডিগ্রি, আইনের ডিগ্রি, ডক্টরেট ডিগ্রি নেওয়ার জন্য ঠেলে দিচ্ছেন?
কতজন বাবা-মা তাদের মেয়েদের ’উন্নত’ শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য যতটা সম্ভব বিবাহ বিলম্বিত করতে উৎসাহিত করছেন?
কেন এই বাবা-মায়েরা তাদের মেয়েদেরকে বিয়ের খরচ ব্যায় করে ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা অর্জনের জন্য এত আগ্রাসীভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন?
এই বাবা-মায়েরা সবসময়ই একই উত্তর দেন:
❝আমরা চাই না আমাদের মেয়েরা একজন পুরুষের করুণায় বাচুক । সে যদি বিয়ে করে তারপর ডিভোর্স হয়ে যায় তাহলে কি হবে? যদি তার ক্যারিয়ার না থাকে বা অন্তত একটি উচ্চ ডিগ্রি না থাকে তবে সে কীভাবে বাঁচবে?❞
জাহেলী যুগের আরবদের মতোই এই বাবা-মায়েরা অর্থ-সম্পদ নিয়ে চিন্তিত। তারা তাদের মেয়েদের বা নিজেদের জন্য দারিদ্রতাকে ভয় করে , তাই তারা অর্থের লোভে তাদের মেয়েদের চাপ দিচ্ছে বিবাহ বিলম্বিত করে নিজেদের সুখ’বিসর্জন দেওয়ার জন্য।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,

দরিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযক দেই আর তোমাদেরকেও, তাদের হত্যা মহাপাপ।[6]কুরআন ১৭:৩১

তবুও আমরা দেখতে পাই দরিদ্রতার ভয়ে কিছু বাবা-মা প্রতিনিয়ত তাদের মেয়েদের ক্ষতি করে যাচ্ছে।

দম্ভ

কিন্তু, প্রাক-ইসলামী আরবদের মতো, সম্মান ও অহংকারও এর একটি অংশ। এর মধ্যে কিছু বাবা-মা ‘পরনির্ভরশীল’ কন্যার লজ্জা চান না। তারা চান না তাদের মেয়েরা কোনো পুরুষের ওপর নির্ভরশীল হোক। তারা চান তাদের মেয়েরা স্বামীর উপর নির্ভর করার “অসম্মান” ভোগ না করে স্বাধীন এবং সফল হোক। তাই তারা তাদের মেয়েদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের দিকে ঠেলে দেয়।
ক্যারিয়ারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য বিবাহ বিলম্বিত করার মতো বিষয়গুলো নারীদের জন্য ক্ষতিক্ষারক।
আমরা ৩০ এবং ৪০ বছরের অবিবাহিত মুসলিম নারীদের একটি মহামারী দেখতে পাচ্ছি কারণ তারা শিক্ষা এবং ক্যারিয়ারকে প্রথমে প্রাধান্য দেয়। (অবশ্যই, আমি এমন নারীদের দোষ দিচ্ছিনা যারা সত্যিই বিবাহ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু করতে পারেনি।)
বাস্তবতা হল, একজন নারীর বিবাহের মূল্য সবচেয়ে বেশি হয় যখন সে অল্পবয়সী তরুণী হয়। অল্প বয়সে
তার সবচেয়ে ভালো পাত্র খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, পরবর্তীতে নয়। সে যত বেশি অপেক্ষা করবে, তার বিয়ের মূল্য তত কমবে। এটা শুধুমাত্র বায়োলজি এবং মানব প্রকৃতির ব্যাপার, এবং নির্বোধ ইমামদের ‘উঠে দাঁড়াও/জেগে উঠো’ স্লোগান দেওয়ায় কিছুই পরিবর্তন হবে না।
এই অজ্ঞ ইমাম এবং নারীবাদী শায়েখারা নবী (ﷺ)-এর উপদেশ শিক্ষা দেয় না। যখন সাহাবী জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাদ্বিঃ) বিয়ে করলেন, তখনকার ঘটনাঃ

জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত,…তিনি (ﷺ) আমাকে প্রশ্ন করলেন, জাবির, তোমার এত তাড়াতাড়ি করার কারণ কী? আমি উত্তর দিলাম, আমি নতুন বিয়ে করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কুমারী, না বিধবা? আমি উত্তর দিলাম, বিধবা। তিনি বললেন, তুমি কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না? যার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করতে আর সেও তোমার সঙ্গে খেলা-কৌতুক করত।[7]সহিহুল বুখারী ৫০৭৯

পুরুষ সহ প্রত্যেকেরই তার জীবনের কোন না কোন সময়ে বিবাহের সর্বোচ্চ মূল্য থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে এটি আগে আসে তাদের প্রজনন ক্ষমতার কারণে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি তুলনামূলক পরে আসে কারণ, সাধারণত, পুরুষদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা কাজ করা শুরু করে , তারা অর্থসম্পদ অর্জন করে এবং এটি তাদেরকে নারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, অন্য সবকিছু সমান। এর মানে এই নয় যে অল্পবয়সী পুরুষের সাথে বয়স্ক নারীর বিবাহ দেওয়া “অবাঞ্ছিত”। তারা কেবল তাদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ বৈবাহিক স্ট্যান্ডার্ডে নয়। এতে দোষের কিছু নেই।

এই উদাহারণটা হলো একজন ফল বিক্রেতার মতো, যে সবচেয়ে ভালো মূল্যে তার ফল বিক্রি করার চেষ্টা করছে। তাকে সর্বোচ্চ দাম পেতে হলে,যখনই ফলগুলো সর্বোচ্চ পরিপক্ক হবে তখনই তার সেগুলো বিক্রি করার উদ্দেশ্য থাকা উচিত। অবশ্যই সে কিছু সময় অপেক্ষা করতে পারে কিন্তু তখন তাকে ফলগুলো কম দামে বিক্রি করতে হবে। আর যদি সে কোনোভাবেই দাম না কমায় তাহলে কেউই (ফলগুলো) ক্রয় করবেনা।
সমস্যাটা হল, নারীবাদ এবং কিছু মুসলিম পিতা-মাতার জাহেলী মনোভাবের কারণে, তারা তাদের মেয়েদেরকে সেরাটা পেতে বাধা দিচ্ছে। তারা মূলত তাদের মেয়েদের এমন এক পরিস্থিতিতে ফেলছে যেখানে অধিকাংশ না হলেও অনেকেই বিয়ে করতে সক্ষম হবে না (যদি না তারা “তাদের মূল্য কমিয়ে দেয়“, যার অর্থ কম যোগ্যতার পুরুষদের বিয়ে করতে হবে এবং তারা সাধারণত এটি করতে রাজি হবেনা)।
যদি এই পিতামাতারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর আদেশ অনুযায়ী তাদের অহংকার এবং দারিদ্র্যের ভয় থেকে দূরে সরে আসতে পারেন তাহলে তারা সত্যিকার অর্থে তাদের মেয়েদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন তাদের সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। এটি তাদের মেয়েদের জন্য একটি সফল, সুখী বিবাহের সর্বোত্তম সুযোগ তৈরি করবে।
কিন্তু নারীবাদ ব্যাধি তাদের অন্তরে বাসা বাধার কারণে মূলত তারা তাদের মেয়েদের কবর দিচ্ছে এবং সাথে সাথে তাদের মেয়েদের সুখী, স্থায়ী এবং সফল বিবাহের সম্ভাবনাকেও কবর দিচ্ছে। তারা যদি সত্যিই তাদের কন্যাদের প্রতি যত্নশীল হয় তাহলে তাদের সজাগ হওয়া উচিত।


মূল আর্টিকেলঃ Muslim Feminism: The Modern Form of Burying Your Daughters By Daniel Haqiqatjou – August 7, 2021

অনুবাদঃ মাহফুজ আলম

সম্পাদনাঃ তাহসিন আরাফাত

    Footnotes

    Footnotes
    1কুরআন ৮১:৮-৯
    2কুরআন ১৬:৫৮-৫৯
    3তাফসীরে কুরতুবী, সূরা আত-তাকভীরের ৮ নম্বর আয়াতের তাফসীর
    4সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত), হাদিস নং ৪৭১৭, আলবানী (রহঃ) এটিকে সহিহ বলেছেন।

    উল্লেখ্য, এখানে ‘যে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত প্রোথিত করা হয়েছে…সে জাহান্নামী’ বলতে সাধারণ মেয়ে বোঝায় না, বরং এখানে একজন বালেগ মেয়ের কথা এসেছে, যাকেও দাফন করা হয়েছিলো। বিস্তারিত দেখুন, যে মেয়েকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয় এবং যে কবর দেয় – উভয় কি জাহান্নামী? ~ উত্তর প্রদানেঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান

    5তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া সম্পর্কে যে অভিযোগটি আমরা বাবা মায়ের কাছ থেকে সবসময় শোনতে পাই সেটা হলো, ❝আমার সন্তান তো এখনও বিয়ে করার জন্য পরিপক্ক হয়নি!❞ আচ্ছা এটা কাদের দোষ?

    শারীরিক পরিপক্কতার সাথে সাথে মানসিক পরিপক্ক একটি সন্তান গড়ে তুলতে আপনাকে কোন জিনিস বাধা দিয়েছে? সমস্ত ইতিহাস জুড়ে আমরা দেখতে পাই মানুষের বিয়ের গড় বয়স ছিল কিশোর বয়স (১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স)। এই কিশোর-কিশোরীরা ১৬, ১৭ কিংবা তার চেয়েও কম বয়সে দায়িত্বশীল ছিল। কিন্তু আমাদের আধুনিক যুগে সন্তানদের অপরিপক্ক বানানো হয়েছে,যেখানে একজন ব্যাক্তির ২০ বছর হওয়ার পরও জীবনের মৌলিক বিষয়গুলো জানতে পারেনা এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনা। এটা নিয়ে হাহাকার না করে, মুসলিম পিতামাতাদের সন্তান বড় করার পিছনে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যাতে তারা (সন্তানরা) স্বাভাবিক-প্রাকৃতিক হারে পরিপক্ক হতে পারে, ‘আধুনিক‘ পাশ্চাত্যের মতো অস্বাভাবিক হারে নয়।

    6কুরআন ১৭:৩১
    7সহিহুল বুখারী ৫০৭৯
    Show More
    4 2 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button