নাস্তিক্যধর্ম

সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল?

আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?

নাস্তিকদের তৈরি করা কমন এক ধরনের প্রশ্ন হল, সব কিছুর স্রষ্টা থাকলে, সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? এই আর্টিক্যালে এই ধরনের প্রশ্নের উপরই বিজ্ঞান, ধর্ম, যুক্তি ও দর্শনের আলোকে বিস্তারিত আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ।

আস্তিকরা স্রষ্টা নিয়ে তর্কবিতর্ক করার সময় একটা কমন যুক্তি দেয় যে স্রষ্টা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া সম্ভব না। অবশ্যই যুক্তিটা সঠিক হলেও বলায় কিছুটা ভুল রয়েছে যার কারনে নাস্তিকরা চট করে প্রশ্ন করে বসে যে, “তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে?” কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর অনেক আস্তিক ভাই দিতে পারেন না।

যাই হোক, কথাটা আসলে হবে, ‘কোন সৃষ্টি স্রষ্টা ছাড়া আসতে পারে না’ বা ‘সব সৃষ্টির স্রষ্টা রয়েছে’। এখানে সব সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে কিন্তু স্রষ্টাত সৃষ্টি নন তাই তিনি এর আয়তাভুক্ত নন। যাই হোক আমার এই কথায়ত আর নাস্তিকরা সন্তুষ্ট হবে না তাই সঠিক ও গ্রহনযোগ্য মাধ্যমে বিষয়টা বুঝিয়ে বলা যাক।

সৃষ্টিকর্তা একটি বাংলা শব্দ (ইংরেজি: Creator, আরবি: الخالق‎‎ – আল খালিক)। সহজ ভাষায় বললে যিনি সৃষ্টি করেন তাঁকে স্রষ্টা বলে। ইসলামীক স্টাডি অনুসারে স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ হলেন অনাদি ও অনন্ত, উনাকে কেউ জন্ম দেয় নি, সৃষ্টি করেনি। তিনি সব সময় বিরাজমান ছিলেন ও থাকবেন।[1]সূরা হাদীদ আয়াত ৩; সূরা আলে ইমরান আয়াত ২; সূরা আল ফুরকান আয়াত ২৫; সূরা ত্বহা আয়াত ১১১; সূরা গাফির আয়াত ৬৫; সূরা ইখলাস; সহীহ মুসলিম ২৭১৩; সহীহ বুখারি ৩০২০, … See Full Note

উক্ত প্রশ্নটার উত্তর অনেক ভাবেই দেওয়া যায়। প্রথমত বলতে চাই যে যারা এই প্রশ্ন করে তারা হয়ত সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞাটাই যানে না, তাই এমন প্রশ্ন করতে পারে। সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা আছে সেটা যেমন ভুল তেমনই প্রশ্নটাও অযৌক্তিক বটে। তারপরও এই প্রশ্নের বেশ কয়েক ভাবে উত্তর দেওয়া যায়। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে সরাসরি উত্তরের দিকে যাই।

শক্তির নিত্যতা ও Law’s of Causality

আমার মতে স্রষ্টা ২ প্রকার, একটা কৌশল ও ভাষাগত স্রষ্টা আরেকটা হল বাস্তব স্রষ্টা (যিনি সব কিছুর স্রষ্টা)। প্রথম প্রকারের স্রষ্টা মানুষ বা বুদ্ধিমান প্রাণী। এরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য জিনিস তৈরি করতে পারে, তাই অনেক সময় তাদেরকে সেই জিনিসটার স্রষ্টা বলা হয়ে থাকে। এরা অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনতে পারে না কিছু, বরং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে কোন কিছু তৈরি করে, এদেরকেই আমি কৌশল ও ভাষাগত স্রষ্টা বলছি (যদিও বলা উচিৎ নয়, কিন্তু বুঝানোর স্বার্থে ব্যবহার করছি)। আর ২য় প্রকারের স্রষ্টা হল যাকে আমরা নিজেদের পালনকর্তা, রিজিকদাতা বলে থাকি। তিনিই হলেন প্রকৃত স্রষ্টা যিনি মহাবিশ্বের সব কিছু সৃষ্টি করেছে। তার জন্মও নেই আবার মৃত্যুও নেই, অর্থাৎ তার সৃষ্টিও নেই আবার ধ্বংসও নেই, তিনি সব সময় বিরাজমান ছিলেন।

বিষয়টা বিজ্ঞানের একটা কন্সেপ্ট এর সাথে কিছুটা মিলে যায়। যদি আপনারা পদার্থ বিজ্ঞানের শক্তির নিত্যতার সূত্র সম্পর্কে যেনে থাকেন, তাহলে বিষয়টা ভালো করে বুঝবেন আশা করি। কারন শক্তির নিত্যতা থেকে আমরা ধারনা পাই যে, কোন সিস্টেমে মোট শক্তির পরিমাণ স্থির থাকে, শক্তি কেবল এক রূপ হতে অন্য এক বা একাধিক রূপে রূপান্তরিত হতে পারে কিন্তু সেই শক্তিকে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না। অর্থাৎ শক্তির সৃষ্টিও নেই আবার ধ্বংসও নেই, এই একটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানের বেশ কিছু সেক্টরে বা বিষয়ে বেশ কিছু ফরমুলা তৈরি করা হয়ে গেছে।[2]“Conservation of Energy” by J. L. Synge in the Philosophical Magazine, Vol. 41, No. 324 (1921), pp. 859-868.

“The Conservation of Energy” by L. D. Landau and E. M. Lifshitz in Course of Theoretical Physics, Volume 1: Mechanics (Pergamon, 1976).

“Conservation of Energy” by E. F. Taylor and J. A. Wheeler in Spacetime Physics (W. H. Freeman, 1966).
ঠিক তেমনই সৃষ্টিকর্তারও কোন সৃষ্টি ও ধ্বংস নেই, তিনি অবিনশ্বর, উনার কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। বিজ্ঞানীরা যদি শক্তিকে অবিনশ্বর মেনে নিতে পারে তাহলে স্রষ্টাকে অবিনশ্বর মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? অথচ সকল শক্তির মূল উৎসইত মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যিনি হলেন সৃষ্টিকর্তা।

law of causality বলে যে প্রতিটি effect এর একটি কারণ থাকতে হবে। এর মানে হল যে মহাবিশ্বের ঘটনাগুলি এলোমেলোভাবে ঘটে না, বাস্তবে এগুলো হল পূর্ববর্তী ঘটনার ফলাফল। সহজ কথায়, cause এবং effect সংযুক্ত, এবং একটি ঘটনা অন্য ঘটনার দিকে নিয়ে যায়। law of causality হল পদার্থবিদ্যা এবং দর্শন উভয় ক্ষেত্রেই একটি মৌলিক নীতি, এবং এটি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে মহাবিশ্ব একটি অনুমানযোগ্য এবং সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করে।[3]Here are a few peer-reviewed research papers –

“Causality in Physics and Philosophy” by M. J. W. Hall

“The Nature of Causality: An Inferentialist Approach” by John D. Norton

“Causality and Mechanisms in the Social Sciences” by Judea Pearl

আরো সহজ ভাবে বলি, এটা আমাদেরকে ধারনা দেয় যে সব কিছুর কোন না কোন কারন থাকে। যেমন, ধরুন আমি একটা চেয়ার বানালাম, আমি এই চেয়ার এর Cause, মা সন্তানকে জন্ম দিল, মা হলো সন্তানের cause। ধরেন আপনার সামনে এইযে কম্পিউটার বা মোবাইল আছে, এটা কোনো না কোনো ভাবে, কারো না কারো মাধ্যমে তৈরি হয়ে, কারো মাধ্যমে আপনার কাছে এসেছে। এটা সর্বদা ছিল না, এটার শুরু আছে। যার মাধ্যমে এসেছে, তাই হলো cause। সুতরাং cause বলেন, creator বলেন, maker বলেন, disigner বলেন, এগুলা সবই cause। প্রকৃতির প্রতিটি পরিবর্তনের cause আছে, প্রতিটা জিনিস যার শুরু আছে তার cause ও আছে আর এটাই হচ্ছে Law’s of Causality. এটা অনুসারে এই ইউনিভার্সের একটি কারণ থাকা সম্ভব, এবং সেই কারণই হলো সৃষ্টিকর্তা।

এখন অনেকে বলতে পারেন যে, তাহলে স্রষ্টারও cause থাকা দরকার, কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি যে মানব তৈরি যে কোন Law কিন্তু স্রষ্টার উপর apply করাটা বুদ্ধিমানের কোন কাজ নয়, কারন স্রষ্টা আমাদের মত লিমিটেশনের মধ্যে আবদ্ধ নন। যেমন বিজ্ঞানীদের দেওয়া ১০ বা ততধিক ডাইমেনশনের ধারনার মধ্যে আমরা ৩য় ডাইমেনশনের জীব, আর হায়ার ডাইমেনশনের তুলনায় কিন্তু আমরা অনেক অনেক সিমাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছি, হায়ার ডাইমেনশনের জীবদের ক্ষমতা আমাদের তুলনা অনেক অনেক বেশি, আমরা ৩য় ডাইমেনশনের হয়ে যদি আমাদের তৈরি করা কোন law হায়ার ডাইমেনশনের জীবে উপর apply করার চেষ্টা করি তাহলে তা হবে চরম বোকামি ও ‍মুর্খতাপূর্ণ কাজ।[4]https://iopscience.iop.org/journal/0264-9381 ,

https://www.dimensions-science-education.org/ ,

https://link.springer.com/journal/10774 ,

https://link.springer.com/journal/11584
আর যিনি এইসব ডাইমেনশনের স্রষ্টা, তিনিত সব কিছুর ঊর্ধ্বে, আর এমন একজনের উপর আমাদের এত সিমাবদ্ধতায় থেকে তৈরি করা Law গুলো apply করতে চাওয়াটা চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

অধ্যাপক এন্থনি ফ্লিউয়ের “দেয়ার ইজ গড” বইয়ের পরিশিষ্ঠে অধ্যাপক আব্রাহাম ভার্গসে জোরালোভাবে বলেছে, “আস্তিক নাস্তিক একটি বিষয়ে একমত হতে পারে: যদি কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকে, তা হলে এর আগে অবশ্যই এমন কিছু থাকতে হবে যা সব সময় অস্তিত্বশীল। চিরকালীন অস্তিত্ববান এই সত্তা কীভাবে এসেছে? এর উত্তর হলো, এটা কোনোভাবেই আসেনি। এটা সবসময় অস্তিত্ববান।”[5]দেয়ার ইজ আ গড: হাউ দা ওয়ার্ল্ড’স মস্ট নটরিয়াস এথিস্ট চেইনজড হিজ মাইন্ড, পৃষ্ঠা নং ১৬৫

ইনফিনিটি রিগ্রেস

‘স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল’ এর উত্তর অন্য ভাবেও দেওয়া সম্ভব, সেটা হল ইনফিনিটি রিগ্রেস এর প্যারাডক্স এর মাধ্যমে। বুঝিয়ে বলি বিষয়টা, মনে করেন ‘ক’ হলেন আল্লাহ, যদি আল্লাহর সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন হয় তাহলে বিষয়টা অনেকটা এমন দাড়ায় যে, ‘ক’ কে কে সৃষ্টি করল? উত্তর যদি আসে ‘খ’, তাহলে আবার প্রশ্ন আছে ‘খ’ কে কে সৃষ্টি করল? তখন হয়ত বলবেন ‘গ’, তখন আবার প্রশ্ন আছে ‘গ’কে কে সৃষ্টি করল? হয়ত বলবেন ‘ঘ’, তখন আবার প্রশ্ন আছে ‘ঘ’কে কে সৃষ্টি করল? এই প্রশ্নের খেলা চলতেই থাকবে অনন্ত অসীম পর্যন্ত। এই তত্ত্ব একটি অসীম প্রত্যাবর্তনের দিকে পরিচালিত করে। তখন “অনবস্থা দোষ” অর্থাৎ ইনফিনিটি রিগ্রেস দেখা যায়, যেখান থেকে কখনোই বর্তমানে আসা সম্ভব না। বাস্তবে প্রকৃত অসীমতা সম্ভব কি অসম্ভব না সেটা নিয়ে অনেক বড় বিতর্ক রয়েছে, কিন্তু অসংখ্যা দার্শনিক এবং গণিতবিদদের মত হচ্ছে ”true infinity of causes” বাস্তবে সম্ভব না। অর্থাৎ এটার একটাই সমাধান হয় যেটা হচ্ছে এমন একজন আছে যিনি প্রথম থেকেই আছেন। মানে তাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। কারন অনেকের মতে যদি ‘ক’ অস্তিত্বে আসার জন্য নির্ভর করে অনাদিকাল ধরে চলা সৃষ্ট কিছুর উপর তাহলে বর্তমানে আসা সম্ভব না অর্থাৎ মহাবিশ্বের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ছিল না। ইউনিভার্স সৃষ্টির কারণ যদি সৃষ্টিকর্তা হয় তাহলে সৃষ্টিকর্তার জন্য অসীম সংখ্যক কারণের প্রয়োজন নেই। বরং শুরুতে এমন একজন স্রষ্টা আছে যার পিছনে আর কোনো স্রষ্টা নেই।

অ্যারিস্টটল, টমাস অ্যাকুইনাস, ইমানুয়েল কান্টসহ আরো অনেক বিখ্যাত দার্শনিকগণ এই Infinite regress প্যারাডক্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে যেয়ে বলেছেন যে, Law’s of Causality অনুসারে সবকিছুর একটি কারণ থাকতে হবে। কিন্তু সে কারণগুলির ইনফিনিটি রিগ্রেস হতে পারে না, কারণ এর ফলে Cause এর একটি প্রকৃত অসীমতার সৃষ্টি হয় যা বাস্তবে অসম্ভব। পরিবর্তে, তারা বরেছিলেন যে একটি প্রথম কারণ থাকতে হবে, অর্থাৎ একটি stopping point থাকতে হবে যে পয়েন্টের Cause এর জন্য আর আর কোন Cause প্রয়োজন হয় না। যাকে দার্শনিকগণ একেক জন একেক নামে উল্লেখ করেছেন।[6]Aristotle, “Metaphysics”, [Book Alpha, section 1-9], [Book Gamma, section 1-6] Thomas Aquinas, “Summa Theologica”, [Part I, Question 16, Article 3] [Part I, Question 84, Article 2] Immanuel Kant, “Critique of Pure Reason”, Book I, section 2, 4, “The Antinomy of Pure Reason” Gottfried Wilhelm Leibniz, “Monadology”, Section 1-3, … See Full Note

ম্যাটাফিজিক্যাল ওয়ার্ল্ডে সৃষ্টি সৃষ্টি হওয়ার জন্য অসিম কারন থাকা সম্ভব না, সৃষ্টি সৃষ্টি হওয়ার জন্য যদি অসিম কারন থাকতে হয় তাহলে মহাবিশ্ব অস্তিত্বে আসা সম্ভব হত না। আবার সৃষ্ট কোনো কিছু থেকে মহাবিশ্ব অস্তিত্বে আসলে ওই সৃষ্ট বস্তুর ও ব্যাখ্যার প্রয়োজন এভাবে একের পর এক অসীম সংখ্যক কারণ থাকা অসম্ভব, তাই মহাবিশ্ব সৃষ্ট কোনো কিছু থেকে এসেছে এটাও বাতিল।[7]Loke, A. T. E. (2012). Is an infinite temporal regress of events possible?. Think, 11(31), 105-122. https://doi.org/10.1017/S1477175612000061

বিষয়টা ১,২ ‍দিয়ে বুঝালে হয়ত বেশি ভালো বুঝবেন। আল্লাহ হলেন আদি ও অন্ত, তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ হলেন ১ আর সব কিছুই এই ১ থেকেই শুরু। ১ এর আগে ০ বা কিছু নাই, তেমনই আল্লাহর আগে কিছুই নেই। এখন আবার অনেকে বলতে পারেন যে -১, -২ … -n ত আছে ১ এর আগে। কিন্তু এখানে একটা বিষয় বুঝতে হবে, আমরা সংখ্যা নির্ধারন করার জন্য mathematical abstract গুলোকে ধরে নি, যেমন আমরা ১,২ … n পর্যন্ত সংখ্যা কোন বাস্তব জিনিসের ধরে নিতে পারি। ধরেন আমি সারাদিনে ১,২ … n জন মানুষের সাথে দেখা করলাম, এখন যদি কেউ বলে যে সে সকাল থেকে -১, -২ … -n জন মানুষের সাথে দেখা করেছে তাহলে তা নিতান্তেই পাগলামি। কারন -১ বা -২ মানে হল ১ থেকে নাই হয়ে -১ বা -২ হওয়া, আর বাস্তব জীবনেত এটা অসম্ভব, এটা কনক্রিট ওয়ার্ল্ডে মেটাফিজিকালি অসম্ভব। নাই হয়ে -১ হওয়াত কোন সম্ভাব্য জিনিস বা বিষয় নয়। আমরা আমাদের ম্যাথম্যাটিক্স এ কাজ করার জন্য, হিসাব নিকাশ করার জন্য নিজেদের সুবিধার জন্য – থেকে মান ধরে নিয়েছি যার আদো বাস্তব কোন মিন নেই (যদিও কিছু ক্ষেত্রে যেমন ভেক্টরে – এর আলাদা মিনিং আছে তবে তা কন্টেক্সুয়াল)। একটা কথা মাথায় রাখা উচিত যাহা ম্যাথমেটিকালি সম্ভব তাহা সবসময় মেটাফিজিকালি সম্ভব হবে এমন কোনো কথা নেই।

ডাইমেনশন ও তুলনা

মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার আগেও সৃষ্টিকর্তা ছিলেন ও মহাবিশ্ব ধ্বংস হওয়ার পরও থাকবেন, সৃষ্টিকর্তার কোন শুরু নেই ও শেষ নেই অর্থাৎ তিনি অনন্তকাল ছিলেন ও থাকবেন। সব সৃষ্টিরই ধ্বংস আছে অর্থাৎ সব শুরু জিনিসের শেষ আছে এবং কোন কিছু সৃষ্টি হওয়া মানেই সেটা সময় ও স্থানের অধীনস্ত হয়ে যায়। তাই আমরা সাধারণ ভাবেই বলতে পারি যেটা সময় ও স্থানের অধীনে চলে সেটারই কেবল সৃষ্টি ও ধ্বংস আছে। সময় ব্যাক্তি বা স্থানের সাপেক্ষে ভিন্ন ভিন্ন, আবার স্রষ্টার কাছে সময়ের হিসাব অন্যরকম। সময় আসলে নির্ণয় করা সম্ভব না কারন হয়ত এটা অতিতের অসীম ও ভবিষ্যতে অসীম ভাবে চলে আসছে ও চলতে থাকবে। আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, তিনি সবকিছুর স্রষ্টা, সুতরাং সময় ও স্থানেও স্রষ্টা তিনি।[8]সূরা যুমার আয়াত ৬২, সূরা বাকারা আয়াত ১১৭ যেখানে সৃষ্টিকর্তাই সময় ও স্থানকে সৃষ্টি করেছেন ও নিয়ন্ত্রন করেন তাহলেকি তাকে টাইম ও স্পেসের অধীনে চলতে হবে? অবশ্যই নয়। যেখানে আল্লাহ সময়কে সৃষ্টি করেছেন, তার মানে তিনি সময়ের অধীনে চলেন না, সেখানে আপনি এটা বলতে পারবেন না যে তিনি অমুক সময়ে ছিল কিন্তু এর আগে ছিল না, আপনার কাছে এটা বলার সুযোগ নেই যে আল্লাহ এত বিলিয়ন বা ট্রিলিয়ন বছর আগে ছিল, কারন সময়কেই আল্লাহ বানিয়েছেন এবং কমন সেন্সের বিষয় যে তাহলে আল্লাহ সময়ের অধীনে নন, তাই আপনি সময় দিয়ে আল্লাহকে বিচার করতে পারবেন না। তাই আপনি এই প্রশ্ন করতে পারবেন না যে আল্লাহর অস্তিত্ব কখন এসেছিল, কারন এই কখন প্রশ্নটা আসে তার জন্যই যাকে সবসময় সময়ের অধীনে থাকতে হয়।

যেহেতু আমরা ৩য় ডাইমেনশনের জীব, আর স্রষ্টা হলেন সব কিছুর স্রষ্টা সেহেতু তিনি নিশ্চই সব ডাইমেনশনের ঊর্ধ্বে। সেহেতু তিনি সময় ও স্থানেরও ঊর্ধ্বে, এবং এসব কিছুকে তিনিই নিয়ন্ত্রন করেন। কোন অবিষ্কারক যখন কোন কিছু আবিষ্কার করে তখন সে তার আবিষ্কার করা জিনিসের মধ্যে থাকেন না, তিনি বাহিরে থাকেন এবং তিনি চাইলে তার আবিষ্কার করা বস্তুর অধীনেও থাকতে পারেন আবার বাহিরেও থাকতে পারে, সেটা তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। ঠিক তেমনই স্রষ্টার বেলায়ও তিনি যেহেতু সব কিছু সৃষ্টি করেছেন সেহেতু তিনি চাইলে এসবের অধীনেও থাকতে পারেন আবার চাইলে সব কিছুর ঊর্ধ্বেও থাকতে পারেন, সবই তার চাওয়া না চাওয়ার ইচ্ছার উপর নির্ভর। যথাসম্ভব টাইম ও স্পেস এর সৃষ্টির মাধ্যমেই শুরু ও শেষ হওয়ার কনসেপ্ট এর আবির্ভাব হয়েছে (মানুষ বা সৃষ্টির সাপেক্ষে), যেহেতু স্রষ্টাই শুরু ও শেষ হওয়ার কনসেপ্ট শুরু করেছেন সেহেতু তাকে এই কনসেপ্ট এর অধীনে মনে করা বোকামি। আবার একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আদম সন্তান সময় ও কালকে গাল-মন্দ করে, অথচ আমিই সময় [9]সহীহ মুসলিম হাদিস ৫৬৬৭ ই.ফা.; একটা বিষয় বুঝতে হবে যে এখানে আল্লাহ শুধুমাত্র পৃথিবীর সাপেক্ষে যে নির্দিষ্ট সময় সেটাকে ইঙ্গিত করছেন না

বিজ্ঞানী ও তার আবিষ্কার করা প্রযুক্তি বা জিনিসের মধ্যে পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাাবিক। বিজ্ঞানী চাইলেও সম্পূর্ণ নিজের বৈশিষ্ট্য অনুসারে তার আবিষ্কার করা জিনিসকে বানাতে না পারলেও চেষ্টার মাধ্যমে হয়ত অনেকটা কাছাকাছি নিতে পারবে। এখন কেউ কিন্তু আবিষ্কার করা বা তৈরি করা যন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে, সেটার সাথে মিলিয়ে তার ক্রিয়েটরের সম্পূর্ণ বৈশিষ্ট্যকে বিচার করবে না, কারন এমনটা করা বোকামি, আর বোকামি কেন তা আশা করি ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝাতে হবে না। স্রষ্টা আমাদেরকে নিজের অল্প কিছু বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন কারন আমরা তার মুখাপেক্ষি, তিনি আমাদের মুখাপেক্ষি নন। তাই আমাদের কিছু বৈশিষ্ট তার সাথে মিললেই যে সব মিলবে তেমন না, অর্থাৎ স্রষ্টা আমাদেরকে ভালো-মন্দ ওভারঅল সব মিলিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই বলে আমাদের মধ্যে যেমন ত্রুটি রয়েছে সেগুলা স্রষ্টার মধ্যেও থাকবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের জন্ম-মৃত্যু আছে বলে যে আল্লাহরও জন্ম-মৃত্যু থাকতে হবে তা ভাবা পাগলের পরিচয়। কারন যেকোন কিছুদিয়ে যেকোন কিছুকে তুলনা করা যায় না, আর বিজ্ঞানের জ্ঞান ধারন করা মানুষরাত বিষয়টা ভালো করেই বুঝার কথাভ স্রষ্টার সাথে সৃষ্টি তুলনা হল Illogical comparison (অযৌক্তিক তুলনা) আর এই জাতিয় কাজ করাকে বলে False Equivalence Fallacy।

আমরা সব ক্ষেত্রেই লিমিটেড। একারনে আমাদের চিন্তা ভাবনাও লিমিটেড। আর এই লিমিটেশনের কারনে কোন কিছু উদঘাটন করতে না পারলে আমাদের অনেকে সেটাকে আমাদের লিমিটেড চিন্তার মাঝে ফেলে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে, আর এটা করাটাই হচ্ছে অজ্ঞতা। তাই সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার প্রয়োজন সে কারনে সৃষ্টিকর্তারও স্রষ্টা থাকতে হবে এমন চিন্তা বা বিশ্বাস আসলেই জ্ঞানহীনতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ফ্যালাসি

১টা ফ্যালাসির কথাতো পূর্ববর্তী টপিকে উল্লেখ করলাম, অযৌক্তিক তুলনা করার ফ্যালাসিটা। এই পয়েন্টে আরো কয়েকটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো, এই প্রশ্নের মাঝে একটা ফাঁক আছে। সেটা হলো প্রশ্নকারী বিনা প্রমাণে আগেই ধরে নিয়েছেন যে, স্রষ্টাকে সৃষ্টি করা হয়েছে; তিনি একসময় ছিলেন না। যেমন- আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন যে, স্রষ্টার সন্তান কয়জন? এর মানে হলো, আপনি আগেই বিনা প্রমাণে ধরে নিয়েছেন যে, স্রষ্টার সন্তান আছে। অথচ এরকম বিনা প্রমাণে কিছু ধরে নিয়ে, তার উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা একেবারেই অযৌক্তিক।

যদি ধরে নি যে আপনি জানেন না তাই প্রশ্নটা করলেন, তাহলেও এখানে সমস্যা রয়েছে। যদি কেউ না যেনে প্রশ্নটা করে থাকেন তাহলে তার কাছে ২টা সম্ভবনা রয়েছে, ১ম হল স্রষ্টাকে কেউ সৃষ্টি করেছে, ২য় হল স্রষ্টাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। তার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে যে সে ১ম সম্ভবনার উপর বিশ্বাস করে প্রশ্নটা করেছে, আর কোন কিছু সত্য হওয়ার সম্ভবনা থেকে সেটাকে সত্য মেনে নেওয়াকেই বলা হয় An Appeal to probability fallacy। আর যদি সে ইচ্ছাকৃত প্রশ্নটা করে থাকে তাহলে এ ধরনের প্রশ্নকে বলা হয় loaded question বা complex question fallacy, যেটি কোন controversial বা unjustified assumption করে করা হয়। কারন প্রশ্নকারী বিনা প্রমাণে আগেই ধরে নিয়েছেন যে, স্রষ্টাকে সৃষ্টি করা হয়েছে; তিনি একসময় ছিলেন না।

তাই স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণিত হবার পর, ‘তাকে কে সৃষ্টি করলো’ এই প্রশ্ন করার আগে আপনাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি একসময় ছিলেন না, তাকে পরে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা প্রমাণ না করে তাকে কে সৃষ্টি করলো, এই প্রশ্ন করাটা একেবারেই অযৌক্তিক। যেমন বিজ্ঞানীরা আগে প্রমাণ করেছে যে, এই মহাবিশ্ব একসময় ছিল না, পরে অস্তিত্বে এসেছে। এছাড়া ‘সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করল’ এই জাতিয় প্রশ্নটাগুলো হল অনেকটা ড্রাইবারকে কে ড্রাইব করল, রাধুনীকে কে রাঁধল, লেখককে কে লিখল, চিত্রকারকে কে অংকন করল ইত্যাদি প্রশ্নে মত।

ধর্মীয় যুক্তি

প্রশ্ন করার আগে একজন মানুষের চিন্তা করা উচিৎ যে সে যে প্রশ্নটা করছে সেটাকি আসলেই valid নাকি invalid। ধরেন আপনি একজন ছেলে ও হাসপাতালে ভর্তি কোন কারনে। এখন যদি আমি আপনাকে প্রশ্ন করি আপনার ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে তাহলে কি প্রশ্নটা ঠিক? অবশ্যই না। কারন আপনি ছেলে, আপনার কিভাবে বাচ্চা হবে? বাচ্চা হলেত আপনার স্ত্রীর হবে। আরেকটা উদারহন নিলে আরেকটু পরিষ্কার হয়ে যাবে। মনে করেন একজন ব্যাচলর ছেলেকে এসে কেউ ‍জিজ্ঞাসা করল যে ছেলেটির স্ত্রী ও সন্তান কেমন আছে, তারা কোথায় এখন। এখন আপনারাই বলেন প্রশ্নটা কি ঠিক হয়েছে? যেখানে সে ব্যাচলর সেখানে তার স্ত্রী ও সন্তানের খবরা খবর জানতে চাওয়াটাকি বোকামি নয়? এই ধরনের প্রশ্নগুলা করে যারা যুক্তি দেয় তাদের এগুলা আসলে হচ্ছে লজিক্যাল ফ্যালাসি, আবার এগুলাকে প্যারাডক্সও বলা যায় কারন উপরের পয়েন্টগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন।

ঠিক তেমনই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা কে এই প্রশ্নটাও লজিক্যাল ফ্যালাসি ও একধরনের প্যারাডক্স। কারন আল্লাহকে আমরা মনে করি সৃষ্টিকর্তা আবার তার যদি সৃষ্টিকর্তা থাকে তাহলেত আর আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা রইলেন না। কারন তিনি তখন সৃষ্টি হয়ে যাবেন। আর সৃষ্টিকর্তা হতে হলে তিনি সৃষ্টি হতে পারবেন না। আল কোরআনের সৃষ্টিকর্তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলো যথাক্রমে[10]সূরা ইখলাসে আয়াত সংখ্যা ৪

  1. বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়
  2. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী
  3. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি
  4. এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।

এই চারটা শর্তের একটাও ভঙ্গ হলে সে সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না, আর সৃষ্টিকর্তাকে যদি কেউ সৃষ্টি করে বা জন্ম দেয় তাহলে ২ ও ৩ শর্ত ভঙ্গ হয়। তাই এই প্রশ্নটি সৃষ্টিকর্তার বৈশিষ্ট্য অনুসারে একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন, এটা স্পষ্টত একটা প্যারাডক্স এবং লজিক্যাল ফ্যালাসি, অর্থাৎ একসাথে উভয়ই। তাই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা থাকা এমন প্রশ্ন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করাটা বোকামি ও জ্ঞানহীনতা ছাড়া কিছুই নয়। আমরা মুসলিমরা তাকেই স্রষ্টা মানি যে এই ৪টা শর্তকেই মেনটেন করে আছে, আর তাকেই আমরা স্রষ্টা বা আল্লাহ বলে বিশ্বাস করি।

এই প্রশ্ন নিয়ে একজনকে উত্তর দেওয়ার পর সে একটা প্রশ্ন করেছিল যে, “মহাবিশ্ব ও সকলকিছু সৃষ্টির পূর্বে মহাশূন্যে অসীম আল্লাহ ছাড়া কিছুই ছিল না। কিন্তু অসীম আর শূন্যতা একইসাথে অবস্থান করতে পারে না। কারণ একটি অপরটির অস্তিত্বকে ভুল প্রমাণ করে। হয়তো বা ঈশ্বর ছিলো, অথবা শূন্যতা ছিলো। তাহলে কে ছিল?”

এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলেছিলাম যে, “আমরা মুসলিমরা এটা বিশ্বাস করি না যে শূন্যতা বা পরম শূন্যতা বলতে কিছু ছিল, কারন মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সর্বদা বিরাজমান ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। সেহেতু একটা দিয়ে আরেকটা বাতিল হওয়ার প্রশ্নই আসে না এখানে। যেহেতু আমাদের সমাজের কিছু মানুষ এটা মনে করে যে এক সময় কিছু ছিল না মানে পরম শূন্যতা ছাড়া কিছুই ছিল না (যদিও এটা তাদের নিতান্তই ধারনা), সেহেতু তাদের দৃষ্টিতে এটার মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আবার আপনারা নাস্তিকরাই দাবি করেন যে কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে শূণ্য হতে সব কিছুর আবির্ভাব হয়েছে, তাও আবার সেই শূণ্যতা নাকি বাস্তবে পরম শূণ্যতা নয়, আপনারাই বলেন যে পরম শূন্যতার ভুল ধারনাটা আস্তিকদের মধ্যে রয়েছে, কারন বিজ্ঞানীদের মতে এই শূন্যতা মানে সেই একদম টোটালি কিছু না থাকার মত পরম শূন্যতা নয়। তাহলে এই ধরনের প্রশ্ন কিসের ভিত্তিতে!”[11]https://journals.aps.org/prd/abstract/10.1103/PhysRevD.89.083510[12]https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0370269321002951

    Footnotes

    Footnotes
    1সূরা হাদীদ আয়াত ৩; সূরা আলে ইমরান আয়াত ২; সূরা আল ফুরকান আয়াত ২৫; সূরা ত্বহা আয়াত ১১১; সূরা গাফির আয়াত ৬৫; সূরা ইখলাস; সহীহ মুসলিম ২৭১৩; সহীহ বুখারি ৩০২০, ৬৯৮২
    2“Conservation of Energy” by J. L. Synge in the Philosophical Magazine, Vol. 41, No. 324 (1921), pp. 859-868.

    “The Conservation of Energy” by L. D. Landau and E. M. Lifshitz in Course of Theoretical Physics, Volume 1: Mechanics (Pergamon, 1976).

    “Conservation of Energy” by E. F. Taylor and J. A. Wheeler in Spacetime Physics (W. H. Freeman, 1966).

    3Here are a few peer-reviewed research papers –

    “Causality in Physics and Philosophy” by M. J. W. Hall

    “The Nature of Causality: An Inferentialist Approach” by John D. Norton

    “Causality and Mechanisms in the Social Sciences” by Judea Pearl

    4https://iopscience.iop.org/journal/0264-9381 ,

    https://www.dimensions-science-education.org/ ,

    https://link.springer.com/journal/10774 ,

    https://link.springer.com/journal/11584

    5দেয়ার ইজ আ গড: হাউ দা ওয়ার্ল্ড’স মস্ট নটরিয়াস এথিস্ট চেইনজড হিজ মাইন্ড, পৃষ্ঠা নং ১৬৫
    6Aristotle, “Metaphysics”, [Book Alpha, section 1-9], [Book Gamma, section 1-6]

    Thomas Aquinas, “Summa Theologica”, [Part I, Question 16, Article 3] [Part I, Question 84, Article 2]

    Immanuel Kant, “Critique of Pure Reason”, Book I, section 2, 4, “The Antinomy of Pure Reason”

    Gottfried Wilhelm Leibniz, “Monadology”, Section 1-3, 14

    Bertrand Russell, “Principles of Mathematics”, Chapter X, “Infinite Regress”

    René Descartes, “Meditations on First Philosophy”, Meditation III

    7Loke, A. T. E. (2012). Is an infinite temporal regress of events possible?. Think, 11(31), 105-122. https://doi.org/10.1017/S1477175612000061
    8সূরা যুমার আয়াত ৬২, সূরা বাকারা আয়াত ১১৭
    9সহীহ মুসলিম হাদিস ৫৬৬৭ ই.ফা.; একটা বিষয় বুঝতে হবে যে এখানে আল্লাহ শুধুমাত্র পৃথিবীর সাপেক্ষে যে নির্দিষ্ট সময় সেটাকে ইঙ্গিত করছেন না
    10সূরা ইখলাসে আয়াত সংখ্যা ৪
    11https://journals.aps.org/prd/abstract/10.1103/PhysRevD.89.083510
    12https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0370269321002951
    Show More

    Ashraful Nafiz

    আমি একজন সাধারন মুসলিম ছাত্র যে আল্লাহর দেওয়া কল্যানময় জ্ঞান অর্জনে আগ্রহি এবং সেই জ্ঞান মানুষের মাঝে পৌছানোর প্রত্যাশী।
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    1 Comment
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    জুলফা
    জুলফা
    1 year ago

    তারপরও একদল এগুলোকে মানবে না, আবারো একই প্রশ্ন করবে

    Back to top button