সূরা মূলক আয়াত ৫ ও সূরা জ্বীন আয়াত ৯
আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব। [সূরা মূলক আয়াত ৫]
আর আমরা তো সংবাদ শোনার জন্য আকাশের বিভিন্ন ঘাটিতে বসতাম, কিন্তু এখন যে শুনতে চাইবে, সে তার জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড পাবে’। [সূরা জ্বীন আয়াত ৯]
আমার প্রশ্ন হল, আমরা জানি নক্ষত্র আর উল্কা এক নয় উল্কা নক্ষত্রের কোন অংশও নয়। তাইলে এই প্রদীপমালা কিভাবে শয়তানের উপর নিক্ষিপ্ত প্রস্তর হয়? এছাড়া অনেকে ব্যাখ্যা করে নক্ষত্র থেকে উল্কা ছুটে আসে কিন্তু বাস্তবে নক্ষত্র থেকে কোন অংশ ছুটে আসেনা।
আবার অনেকে ব্যাখ্যা করেছে, “নক্ষত্রকে নিক্ষেপ করা হয়না। নিজ অবস্থানে সঠিকভাবে অবস্থানকারী এই নক্ষত্রগুলো হতেই আগুনের গোলা বা আগ্নিশিখা ছুটে গিয়ে শয়তানের উপর পতিত হয়। ইহাই হলো নক্ষত্র সমূহকে ক্ষেপনাস্ত্র করার ব্যাখ্যা।”
কিন্তু সূরা মূলকে রুজুমাল শব্দটা ইউজ হইছে, যেটা অর্থ stoning বা পাথর নিক্ষেপ, তো এখানে তো নক্ষত্র থেকে পাথর বের হয় সেইটাই বুঝাইতেসে। কিন্তু কোন মিসবাহ বা আলোক সম্পন্ন নক্ষত্র হইতে পাথর বের হয়না। রুজুমাশ শায়াতিন অর্থ meteors hurled at the devils [almany dictionary] যেটা ডাইরেকটলি মূলকে ইউজ হইছে। এখানে আরো স্পেসিফিক ভাবে সমর্থন করা হইছে যে তারকাগুলা থেকেই পাথর মানে উল্কা বের হয়ে আসে, কিন্তু এটা সত্য না। উল্কা কখনই তারার পার্ট না। তারার কোন অংশ উল্কা না।
এছাড়া আল্লাহ সূরা জিনে বলছেন যে উল্কা গুলা শয়তানের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু উল্কা নক্ষত্রের কোন অংশ নয়। এটা একটা কমেট বা ধুমকেতুর অংশ
দয়া করে এগুলো সমাধান দিন আমাকে, আমার কিছু বুঝে আসছে না।
1 Answers
উল্কা এবং নক্ষত্রের ব্যাপারে কুরআনে কি বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে?
পড়ুন: https://response-to-anti-islam.com/show/উল্কা-এবং-নক্ষত্রের-ব্যাপারে-কুরআনে-কি-বৈজ্ঞানিক-ভুল-রয়েছে--/248
Please login or Register to submit your answer