আল্লাহ কেন বলেছেন যে, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন?

প্রশ্নোত্তর (Q&A)Category: ইসলামআল্লাহ কেন বলেছেন যে, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন?
অপরিচিত asked 3 months ago
আল-কুরআনের সূরা আত-তাওবার ৩০ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,
আর ইয়াহূদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে, মাসীহ আল্লাহর পুত্র। এটা তাদের মুখের কথা, তারা সেসব লোকের কথার অনুরূপ বলছে যারা ইতঃপূর্বে কুফরী করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন, কোথায় ফেরানো হচ্ছে এদেরকে?
এখন নাস্তিকদের দাবি, কুরআন মুহাম্মদ(স.) এর লেখা (নাউযুবিল্লাহ), তা না হলে আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন  বলা হলো কেন।
1 Answers
On behalf of the authors answered 2 months ago

এখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে, তাহলে ,(আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুক) এই কথাটা যদি আল্লাহ বলেন ,তাহলে আল্লাহ আবার কোন আল্লাহর কাছে আর্জি পেশ করছে

এর সহজ উত্তর হল, আল্লাহ তাআলা নবীজির উপর কুরআনকে নাযিল করেছেন, এবং নবী সেই কুরআনকে পাঠ করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করবে ,ফলে যেন নবি সঃ অমুক দলের ধ্বংস কামনা করে আল্লাহর কাছে তিনি দোয়া প্রেরণা করেন ,সেই দৃষ্টকোন থেকে, নবী কিভাবে দোয়া করবে,তা শিখিয়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলা বললেন ,হে নবী আপনি এভাবে দোয়া করবেন, (আল্লাহ আপনি তাদেরকে ধ্বংস করুন)

এবার প্রশ্ন হল আল্লাহতালা যদি নবীকে দোয়া শিখানোর পদ্ধতিতে এ কথা বলেন যে হে নবী আপনি এভাবে দোয়া করবেন যে অমুক দেয়ার যেন ধ্বংস হয়, আমার প্রশ্ন হল তাহলে কি উক্ত আয়াতের উপর অভিযোগ উত্থাপন করা যায়? উত্তর হলো মোটেও না,

তাহলে এর সহজ উত্তর হচ্ছে কথাটা আল্লাহর কিন্তু নবী কিভাবে বলবে জাতির সামনে সেই বিষয়টা আল্লাহ শিখিয়ে দিয়ে উক্ত কথা বলেছেন ফলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে কথাটা নবীর মনে হচ্ছে আবার ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কথাটা আল্লাহর মনে হলেও কনফিউশন তৈরি হচ্ছে কিন্তু এখানে মূলত বৈপরীত্যের কিছুই নেই তবে একমাত্র গান্ডুদের জন্য এখানে বৈপরীত্য আছে কারণ তাদের সংশয়ে নিরসন ও বৈপরীত্য নিরসনের ও সত্য বুঝার মস্তিষ্ক নেই কারণ তাদের মস্তিষ্ক গোবরে মস্তিষ্ক।

আরো সহজ উদাহরণ যদি দিই তাহলে কোরআন একটি বার্তার নেয় ফলে দরখাস্ত কিংবা বার্তার মধ্যে তুমি শব্দের যেই সম্বোধন থাকে সেটা পাঠকারীর মুখের কথা নয় বরং বার্তা প্রেরকের মুখের কথা। ফলে কেউ যদি চিঠিতে লিখে আমি তোমাকে ভালোবাসি এবং এই চিঠিটা কোন একজন মানুষ পাঠ করে শুনায় অন্য একটি মানুষকে তখন ভালবাসার উক্ত প্রস্তাবনাটি চিঠি প্রেরকের হবে চিঠি পাঠকের নয়। যখন পাঠক পড়বে হয়তো কে আগেই ক্লিয়ার করে দিবে বিষয় এইভাবে যে লেখক বলেছেন, অথবা পড়ার শুরুতেই বলে দিবেন এটা ওমুকের চিঠি আমি হুবহু পড়ে শুনাচ্ছি।

উক্ত বিষয়টা এই আয়াতের ক্ষেত্রে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নিজেই ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। তিনি সূরা তাওবার ২৪ নাম্বার আয়াতেই ‘বল’ বলে ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন যে সেগুলো যেন রাসূল বলেন, এই শব্দ দিয়ে আল্লাহ নবিজিকে এই কথাগুলো বলতে বলছেন, এখন নবী যদি বলেন তাহলে যেভাবে বলবেন সেভাবেই আল্লাহ কথাগুলো উল্লেখ করে দিয়েছেন।

উত্তর দিয়েছেন: মাওলানা সালিম উদ্দিন (হাফিঃ)

Back to top button