ইতিহাস

সুলতান মাহমুদ ও সোমনাথ মন্দির – পর্ব ১

সুলতান মাহমুদ ১০০০-১০২৭ সাল পর্যন্ত ১৭ বার ভারত অভিযান পরিচালনা করেন ও প্রত্যেক বারেই বিজয়ী হন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিখ্যাত সৌরাষ্ট্রের সোমনাথ অভিযান। গুজরাটের কাথিওয়াড়ের সমুদ্র উপকূলে সোমনাথ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরের পরিচর্যার জন্য কয়েক হাজার ব্রাহ্মহ্মণ পুরোহিত নিয়োজিত ছিলেন। ৫০০ দেবদাসী ও ২০০ গায়িকা দেবতার তুষ্টির জন্য সর্বদা নৃত্যগীত করত। ভারতবর্ষের নৃপতিগণ অনেকেই তাদের কুমারী কন্যাদের এ মন্দিরে সেবিকার জন্য উৎসর্গ করত।

ঐতিহাসিক ফিরিস্তার মতে, ❝ভারতীয় হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আত্মা সোমনাথ দেবের নিকট গমন করে ও সোমনাথের ইচ্ছা অনুসারে প্রতিটি আত্মা দেহান্তর লাভ করে। সমুদ্রের জোয়ারভাটা সম্বন্ধে হিন্দুরা মনে করত যে, ভগবান সোমনাথের উপাসনা করলে সমুদ্রে জোয়ার আসে। তারা মূল্যবান জিনিসপত্র এখানে এনে বাবা সোমনাথকে উৎসর্গ করা হত।❞

এই সোমনাথ মন্দিরই ধ্বংস করেছিলেন সুলতান মাহমুদ।

কেন?

একটা মতে

‘সোমনাথ বিগ্রহের খ্যাতি ছিল সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী এবং কর্মরত ব্রাহ্মণগণ মনে করত যে, বিগ্রহসমূহের অলৌকিক ক্ষমতা মাহমুদের আক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। হিন্দুদের বিশ্বাস যে ভ্রান্তিমূলক ছিল, তা প্রমাণ করার জন্যই সুলতান মাহমুদ সোমনাথ জয় করতে মনস্থ করেছিলেন। ইবনে খালদুন, ফিরিস্তা, এবং ভব্লিউ হেগ প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ এই মত সমর্থন করেন।’

ঐতিহাসিক তারাচাঁদের মতে ❝মাহমুদের জীবনের বিরাট আকাঙ্খা ছিল রাজা জয় এবং রাজ্য বিস্তারের। তিনি রাজ্য বিস্তারের কাজে নিজের গোটা জীবন অতিবাহিত করেন। এ ব্যাপারে তাঁর সফলতাও অনেক। তিনি মধ্য এশিয়া এবং পারস্যের বহু এলাকা জয় করেছিলেন তিনি সৈনিকসুলভ সফলতা এবং বিজয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকবার ভারত আক্রমণ করেন। হিন্দুদের প্রতারণার স্বরূপ উন্মোচনের লক্ষ্যেও কয়েকটি মন্দিরে হামলা করেছেন এবং সেগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছেন।❞

যাইহোক মাহমুদকে যতই মন্দির ধ্বংসকারী ও নিপীড়ক বলে তুলে ধরা হোকনা কেন, সমকালীন সমাজে এই মন্দির ধ্বংসের প্রভাব খুব একটা পড়েনি।

এজন্যই হিন্দু সূত্রে মাহমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমণের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। চালুক্য রাজবংশের ইতিহাসকার এ কে মজুমদার তাই প্রশ্ন তুলেছেন,

But it is well known, Hindu sources do not give any information regarding the raids of Sultan Mahmud, so that what follows is based solely on the testimony of Muslim authors.[1]ডি এন ঝাঁ, আর্লি ইন্ডিয়া, এ কনসাইজ হিস্টোরি, পৃ ১৬৬

যাইহোক মন্দির ভাঙা নিয়ে দুটো দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করবোঃ

  1. এক পক্ষ বলে তিনি এটা করেছিলেন সম্পদ ও ধন-রত্নের লোভে।
  2. আরেকপক্ষ বলে তিনি এটা করেছিলেন ধর্মীয় কারণে।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় রাজাগণ নিরাপত্তার জন্য মন্দিরগুলোর মধ্যে প্রচুর ধনরত্ন সঞ্চয় করে রাখতেন। ফলে হিন্দু রাজাও অন্য হিন্দু রাজার মন্দির ধ্বংস করতেন সম্পদের লোভে। এভাবে সোমনাথ মন্দিরেও বহুল পরিমাণে সম্পদে পরিপূর্ণ করা হয়েছিল ।

এ বিষয়ে ড. ঈশ্বরী টোপা বলেন,

মাহমুদ ভারতের যে মন্দিরগুলো আক্রমণ করেছিলেন, তাতে বিপুল ও কর্ণনাতীত ধনরত্নে পরিপূর্ণ ছিল এবং তাদের মধ্যে কয়েকটি ছিল রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কেন্দ্রস্থল।[2]ঈশ্বরী টোপা, পলিটিক্স ইন প্রি-মুঘল টাইমস

মুহম্মদ হাবিবের মতে,

সমালোচকদের নিকট অভিযানগুলির ধর্মবহির্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলি ভাস্বর হয়ে উঠবে, যদি তারা যুগধর্মের স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারেন। এগুলি ধর্মযুদ্ধ ছিল না, বরং গৌরব এবং স্বর্ণের জন্য ছিল পার্থিব যুদ্ধাভিযান। এর মধ্যে ধর্মীয় উদ্দেশ্য অনুধাবন করা একেবারেই অসম্ভব।[3]মুহাম্মদ হাবিব, সুলতান মাহমুদ অব গজনী, পৃ ৮১

গজনীর সেনাবাহিনী ‘পবিত্র ধর্মযোদ্ধাদের’ নিয়ে গঠিত ছিল না যারা ধর্মের জন্য বেঁচে থাকতে বা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিল। মাহমুদের সেনাবাহিনী গঠিত ছিল বেতনভোগী যুদ্ধবিদ্যায় শিক্ষিত সৈন্যদের নিয়ে যারা হিন্দু-মুসলমানদের সঙ্গে সমানভাবে যুদ্ধ করতে অভ্যস্ত ছিল।[4]প্রাগুক্ত

এছাড়াও সুলতান মাহমুদের সেনাবাহিনীতে অমুসলমান খোক্কার উপজাতি লোক ও হিন্দুদের যোগদান প্রমাণ করে যে সোমনাথ আক্রমণ কেবলই ধর্মীয় কারণে না। একটা মতে,

সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই বিশেষভাবে ক্রিয়াশীল ছিল। হিন্দু রাজন্যবর্গ কর্তৃক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, সুলতানের আনুগত্য প্রত্যাহার, শত্রুকে সাহায্য দিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসঘাতকতা, ভারতীয় মিত্রদের উপর শত্রু প্রতিবেশীর হামলা এবং আশ্রিত ভারতীয় রাজাদের বিদ্রোহ ঘোষণার জন্যই সুলতান মাহমুদ বার বার পাক-ভারত অভিযান পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।[5]সুরজিৎ দাশগুপ্ত, ভারতবর্ষ ও ইসলাম, পৃ ২৮-২৯

জওহরলাল নেহরুকে তাঁর Glimpse of World History গ্রন্থে সুলতান মাহমুদের ভারত অভিযানকে ধনরত্ন লুণ্ঠন করে নিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

Above everything he was a soldier. He came to India to conquer and loot, as soldiers unfortunately do, and he would have done so to whatever religion he might have belonged.[6]Jawaharlal Nehru, Glimpse of World History, p 155

জওহরলাল নেহরু আরো বলেছেন,

You must remember that the contest was not between the Indo-Aryan civilization and the highly civilized Arabs. The contest was between civilized but decadent India and the semi-civilized and occasionally nomadic people from Central Asia, who had themselves recently been converted to Islam. Unhappily India connected Islam with this lack of civilization and with the horrors of Mahmud’s raids and bitterness grew.[7]প্রাগুক্ত, পৃ ১৫৭

এ প্রসঙ্গে নীরদ সি চৌধুরীও বলেন,

The initial hatred noted by Al-beruni, with which the Hindu began his life of political subjection, went on swelling in volume during the whole period of Muslim rule. There is no fear of its atrophy from any lack of external expression. The passivity which the Hindu mode of life and the Hindu outlook generate, makes the Hindu more or less independent of action in his emotional satisfaction. On the other hand, being incapable of action, he considers it all the more his duty, to nurse his hatred in secret and take care of it as a priceless heirloom from his free ancestors. This Hindu nationalism during Muslim rule flourished on a plane where neither the military nor the political power of the conqueror could attack it.[8]নীরোদ সি চৌধুরী, অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান, পৃ ৪২২

মাহমুদের যে সেনাবাহিনী সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেছিল তাঁর ৫০ শতাংশ ছিল হিন্দু। ১২জন সেনাধ্যক্ষ ছিল হিন্দু, এর মধ্যে ২জন ব্রাহ্মাণ।[9]আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার, পড়তে না দেওয়া ইতিহাস, বিপ্লবী জনমত, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সংখ্যা, ২০০২, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর

এদের মধ্যে তিলক রায় নামে একজন সেনাপতির নাম পাওয়া যায়। এরা সকলে সোমনাথ মন্দির আক্রমণে নিয়োজিত ছিল।

মাহমুদের এই বিশাল হিন্দুবাহিনী মধ্য এশিয়ায় অন্যান্য বহু যুদ্ধক্ষেত্রেও লড়াই করেছে।[10]ডি ডি কোসাম্বী, অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু দ্য স্টাডি অব ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি, পৃ ৩০৯-৩১০

সোমনাথ মন্দির লুন্ঠন ও ধ্বংস শুধুমাত্র মাহমুদ ও তাঁর বাহিনীর হাতে ঘটেনি, এই কাজে হিন্দুরাও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল।

আর এই ইতিহাস আর এস এস-এর ‘গডফাদার’ এম এস গোলওয়াকরও সত্য বলে মেনে নিয়েছেন।
তাঁর ভাষায়,

❝…ইট ওয়াজ দ্য হিন্দু ব্লাড অফ আওয়ার ব্লাড, ফ্রেশ অফ আওয়ার ফ্রেশ, সোল অফ আওয়ার সোল, ছ স্টুড ইন দ্য ভ্যানগার্ড অফ মামুদস আর্মি। দিজ আর ফ্যাক্টস অফ হিস্ট্রি…।❞

আর এস এস-এর ইংরেজি মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ প্রকাশিত নিবন্ধে গোলওয়াকর স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,

এক হাজার বছর আগে আমাদেরই দেশের লোক বিদেশি অভিযানকে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়েছিলেন।… সোমনাথ মন্দিরের অগাধ ঐশ্বর্যের কথা শুনে সুলতান মাহমুদ খাইবার পাশ অতিক্রম করে ভারতের মাটিতে পা রাখেন।… দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিতে একটা সময় মাহমুদ আর তাঁর সৈন্য সামন্তরা নিদারুণ কষ্টে পড়ে। এক কনা খাদ্য বা এক ফোঁটা জল আর মজুত ছিল না।…কিন্তু ওই বিদেশি হানাদারদের জীবন রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন হিন্দু ভূস্বামীরা। সুচতুর মাহমুদ তাঁদের বোঝালেন যে, সৌরাষ্ট্রের আধিপত্যকামী শাসকগোষ্ঠী খুব শীঘ্রই রাজস্থান দখল করে নেবে। সুতরাং এ সময়ে মাহমুদকে সহায়তা করলে আখেরে তাদের লাভ হবে। অনভিজ্ঞ ভূস্বামীরা মাহমুদের ফাঁদে পা দিলেন ও পরবর্তী সময়ে সোমনাথ লুণ্ঠনে মুসলিম হানাদারদের সাগরেদ হয়ে উঠলেন…।[11]অর্গানাইজার, ৪ই জানুয়ারি, ১৯৫০

বহুজন যুক্তি দেন, ‘মাহমুদ যদি ধর্মীয় কারণেই সোমনাথ মন্দির ভেঙে থাকতেন তাহলে আফগানিস্তানের বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি অক্ষত রাখলেন কী করে? সেই সঙ্গে আরও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, মুলতান থেকে সোমনাথ মন্দির আসার পথে আরও বহু হিন্দু মন্দির ছিল, একটাকেও মাহমুদ স্পর্শ করেননি। ১০১৯ খ্রিস্টাব্দে চান্দেল রাজ্য জয় করলেও এই রাজ্যে অবস্থিত ১০০২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত বিখ্যাত খাজুরাহো মন্দির অক্ষত অবস্থায় থাকে। ফলে সিদ্ধান্ত করতে পারি যে, দেবমূর্তি ধ্বংস সোমনাথ আক্রমণের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল না। এরপর মাহমুদ যখন সোমনাথ থেকে চলে গেলেন তখন সে মন্দিরের দায়িত্ব কার হাতে দিয়ে গেলেন। কোনো মুসলিম গভর্নরের হাতে নয়, দায়িত্ব দিয়ে গেলেন সেই রাজার ভায়ের হাতে যাকে পরাস্ত করে মাহমুদ মন্দির আক্রমণ করেছিলেন। সিদ্ধান্তও দিয়ে গেলেন যে, তিনি তৎক্ষণাৎ আবার সেখানে মন্দির বানাবেন’।

সুতরাং তাদের মতে এটা ধর্মীয় কারণে না জাগতিক সম্পদের কারণে সুলতান মাহমুদ এমনটা করেছিলেন।

ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার ও সতীশচন্দ্রের মতেও তিনি এসেছিলেন ধন-সম্পদের লোভে।[12]সোমনাথ – একটি ইতিহাস, বহু আখ্যান/ সতীশচন্দ্র, মিডিয়াভ্যাল ইন্ডিয়া

অবশ্য পরবর্তীতে গবেষণায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, সুলতান মাহমুদ ও তাঁর মূর্তি ভাঙার গোটা কাহিনিটাই সাজানো।[13]ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া, খণ্ড ১, পৃ ৯৩

উইলসন সাহেব তো বলেছেন যে,

সোমনাথ মন্দিরে আদৌ কোনো মূর্তি ছিল। না। সুতরাং সুলতান মাহমুদ মূর্তি ভঙ্গ করবেন কীভাবে? সোমনাথ শিবলিঙ্গের নাম, সে লিঙ্গও ফাঁপা নয়, নিরেট। কাজেই এর অভ্যন্তরে কোনো ধনরত্ন থাকতে পারে না। ঐতিহাসিক স্ট্যানলি লেনপুলের অভিমতও এটাই।[14]ইলিয়টও ডওসন, খণ্ড-২, হিস্টরি অফ ইন্ডিয়া অ্যাজ টোল্ড বাই ইটস ওন হিস্টরিয়ান, পৃ. ৪৭৬

    Footnotes

    Footnotes
    1ডি এন ঝাঁ, আর্লি ইন্ডিয়া, এ কনসাইজ হিস্টোরি, পৃ ১৬৬
    2ঈশ্বরী টোপা, পলিটিক্স ইন প্রি-মুঘল টাইমস
    3মুহাম্মদ হাবিব, সুলতান মাহমুদ অব গজনী, পৃ ৮১
    4প্রাগুক্ত
    5সুরজিৎ দাশগুপ্ত, ভারতবর্ষ ও ইসলাম, পৃ ২৮-২৯
    6Jawaharlal Nehru, Glimpse of World History, p 155
    7প্রাগুক্ত, পৃ ১৫৭
    8নীরোদ সি চৌধুরী, অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান, পৃ ৪২২
    9আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার, পড়তে না দেওয়া ইতিহাস, বিপ্লবী জনমত, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সংখ্যা, ২০০২, তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
    10ডি ডি কোসাম্বী, অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু দ্য স্টাডি অব ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি, পৃ ৩০৯-৩১০
    11অর্গানাইজার, ৪ই জানুয়ারি, ১৯৫০
    12সোমনাথ – একটি ইতিহাস, বহু আখ্যান/ সতীশচন্দ্র, মিডিয়াভ্যাল ইন্ডিয়া
    13ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টার, হিস্ট্রি অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া, খণ্ড ১, পৃ ৯৩
    14ইলিয়টও ডওসন, খণ্ড-২, হিস্টরি অফ ইন্ডিয়া অ্যাজ টোল্ড বাই ইটস ওন হিস্টরিয়ান, পৃ. ৪৭৬
    Show More
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button