খ্রিস্টধর্ম

যিশুর ঈশ্বরত্ব প্রমাণের ১৯টি দাবি খণ্ডন

Contents Hide

যিশুকে ঈশ্বর প্রমাণের জন্য বাইবেল থেকে খ্রিস্টানদের কয়েকটি জনপ্রিয় যুক্তি রয়েছে। আমরা আজ খ্রিস্টানদের এই যুক্তিগুলোর ভুল ও ভিত্তিহিন দাবি খন্ডন করবো, বাইবেলের আলোকে যিশুর ঈশ্বরত্ব প্রমাণের বৃথা চেষ্টা খণ্ডন করবো (ইংশাআল্লাহ)। যেসকল দাবি করে তারা বিশ্বাস করতে চায় যে যিশু হলো ঈশ্বর।

আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রশংসা এক মাত্র মহান আল্লাহর জন্য।

মহান আল্লাহর ঘোষণাঃ

নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়, তবে বল যদি আল্লাহ মসীহ ইবনে মরিয়ম, তাঁর জননী এবং ভূমন্ডলে যারা আছে, তাদের সবাইকে ধ্বংস করতে চান, তবে এমন কারও সাধ্য আছে কি যে আল্লাহর কাছ থেকে তাদেরকে বিন্দুমাত্রও বাঁচাতে পারে?[1]সুরা মায়িদাহঃ ১৭,৭২; সুরা তাওবাঃ ৩১; সুরা আরাফঃ ১৯৪ কুর’আন

আজ আমি আপনাদের সামনে খ্রিস্টানদের ১৯ টা মিথ্যাচার খন্ডন করবো, ইনশাআল্লাহ।

আসলে আমাদের একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে। তাহলো যিশু কি কখনো নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করেছে নাকি করে নাই। কারন বাইবেলমতে যে ঈশ্বর হবে সে নিজের পরিচয় দিতে লজ্জা পান নাঃ

কিন্তু তাঁরা আরও ভাল একটা দেশের, অর্থাৎ স্বর্গের খোঁজ করছিলেন। সেইজন্যই ঈশ্বর নিজেকে তাঁদের ঈশ্বর বলতে লজ্জা বোধ করেন না, কারণ তিনি তাঁদেরই জন্য একটা শহর তৈরী করেছিলেন।[2]ইব্রীয় 11:16 SBCL

তো এখন আমাদের প্রশ্ন এখানে যে যিশু যদি সত্যি ঈশ্বর হয়ে থাকে তো সে নিজেকে সরাসরি ঈশ্বর বলতে লজ্জা পেল কেন।
কারন আমরা যদি বাইবেল পুরাতন নিয়ম দেখি। পুরাতন নিয়মের ঈশ্বর নিজেকে বার বার ঈশ্বর বলে দাবি করেছে যেমনঃ

আনি ইয়াহোয়ে শামি ওখাবতি লা এহার লো ওথেন উথাল লাতি লাফা শালিম।

“আমি সদাপ্রভু, এ-ই আমার নাম। আমি অন্যকে আমার গৌরব কিম্বা প্রতিমাকে আমার পাওনা প্রশংসা পেতে দেব না।[3]যিশাইয় 42:8 SBCL

এখানে, আনি (আমি) ইয়াহোয়ে (সদাপ্রভু বা ঈশ্বর)। তার মানে এখানে দেখা যাচ্ছে পুরাতন নিয়মের ঈশ্বর নিজের পরিচয় অনেক সুন্দর ভাবে দিয়েছে এ সম্পর্কে আরো রেফারেন্সঃ

  • আদিপুস্তক ১৫:৭, ১৮:১৯, ২২:১৫-১৬, ২৮:১৩
  • যাত্রাপুস্তক ৬:২, ৬:৬, ৬:২৮, ৭:৫, ১২:১২, ১৪:৪, ৩৪:১০
  • লেবীয়পুস্তক ১১:৪৫, ১৮:১, ১৮:৪, ১৮:৫, ১৮:৩০
  • ইসাইয়া ৪১:১৩,  ৪১:১৪, ৪২:৬, ৪৪:২৪
  • যেরিমায়া ১:১৯, ২:৩, ৬:৩০, ৭:১১, ১৫:৬

তো এখন আমাদের দাবি যিশু কেন নিজে নিজেকে ঈশ্বর বললো না। আমরা যখন একথা বলি তখন কি খ্রিস্টানরা বলে এটা কি ভাবে সম্ভব যিশু তো শুধু মাত্র নিজেকে মাসীহ ও ঈশ্বরের পুত্র বলতো তাই তাকে ইহুদিরা গালি দিতো, পাথর মারতো, পাগল বলতো, আর যদি যিশু সরাসরি নিজেকে ঈশ্বর বলতো তবে তাকে ইহুদিরা মেরেই ফেলতো।
আমি বলবো আপনাদের এসব ভণ্ডামি বন্ধ করুন। কারন যিশু নিজেকে ঈশ্বর বলতে ভয় পেতো আপনাদের দাবি অনুযায়ী। তো সে যখন মানুষ কে মন্দ ভাষায় গালি দিতো তখন তার ভয় লাগতো না। সে মানুষকে অনেক অনেক মন্দ ভাষায় গালি দিতো যেমনঃ

  • কুকুর বলতো।[4]লুক ১৬:২১
  • বিষাক্ত কাল সাপ বলতো।[5]মথি ১২:৩৪, ২৩.৩৩; লুক ১০:১৯; যোহন ৩.১৪
  • ভন্ড বলতো।[6]মথি ২৩:১৩, ২৩:১৪, ২৩:১৫; মার্ক ৭:৫; লূক ৬:৪২
  • শয়তান বলতো।[7]মার্ক ৮:৩৩
  • পূর্বের নবীদের চোর-ডাকাত বলতো[8]যোহন ১০:৮ ইত্যাদি।

খ্রিস্টান ভাইদের দাবি গুলো খন্ডন করি চলুন…

যিশু ইম্মানুয়েল!

“সেই কুমারী-কন্যা গর্ভবতী হবে ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবে, এবং তারা তাঁকে ইম্মানুয়েল” বলে ডাকবে, যার অর্থ, “ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন।”[9]মথি 1:23 BCV

খন্ডনঃ আমরাদের খ্রিস্টান ভাইদের প্রথম দাবি হচ্ছে যে যিশু হলো ইম্মানুয়েল। কারন ইম্মানুয়েল মানে ‘আমাদের সাথে ঈশ্বর’। তারা এ পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে বলে যিশু হচ্ছে ঈশ্বর। যেহেতু ইম্মানুয়েল নামের অর্থ ‘আমাদের সাথে ঈশ্বর’ আর এ নাম তো যিশুর। তার মানে যিশু ঈশ্বর।
তো আসুন আমরা দেখার চেষ্টা করি যে যিশু কি আদোও ইম্মানুয়েল কিনা।

সেই কারণে প্রভু স্বয়ং তোমাদের এক চিহ্ন দেবেন: এক «যুবতী» গর্ভবতী হবে ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবে এবং তাঁর নাম ইম্মানুয়েল রাখবে। মন্দকে অগ্রাহ্য করার ও ভালোকে বেছে নেওয়ার পর্যাপ্ত জ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত, সেই বালকটি দুধ ও দই খাবে, কিন্তু সে মন্দকে অগ্রাহ্য করার ও ভালোকে বেছে নেওয়ার জ্ঞান হওয়ার পূর্বেই, যাদের আপনি ভয় করেন, ওই দুই রাজার দেশ জনশূন্য হয়ে পড়ে থাকবে।[10]যিশাইয় 7:14‭-‬16

এখন আসুন আমরা এখান থেকে কিছু পয়েন্ট দেখিঃ

  1. ইম্মানুয়েলের জন্ম হবে এক জন যুবতী মেয়ের গর্ভে।
  2. সে সন্তানের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল।
  3. সে ইম্মানুয়েল যা মন্দ তা অগ্রাহ্য করবার ও যা ভাল তা বেছে নেবার জ্ঞান না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দই আর মধু খাবেন।
  4. কিন্তু ছেলেটি ভালো কাজ করবার মত এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখান করবার মতো বোঝবার বয়সে এসে পৌঁছবার আগেই ইফ্রযিম এবং অরাম দেশ জনমানব বর্জিত/ধ্বংস হয়ে যাবে|

আসুন আমরা এখন এ চারটি পয়েন্ট যিশুর উপর প্রয়োগ করে দেখি সে কি আসলেই ইম্মানুয়েল?

ইম্মানুয়েলের জন্ম হবে একজন যুবতী মেয়ের গর্ভে

এখানে আমাদের প্রিয় খ্রিস্টান ভাইয়েরা দাবি করেন যে যিশু তো কুমারীর গর্ভে (পুরুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া) জন্ম গ্রহন করেছে তার মানে যিশুই ইম্মানুয়েল।

এটা ডাহা মিথ্যা কথা। কারন ইসাইয়া ৭:১৪ তে কুমারী বলা হয় নি সেখানে যে হিব্রু ওয়ার্ড আছে তা হলো עַלְמָה (আলমাহ) যার অর্থ যুবতী। বাইবেলের New Revised Standard Version Catholic Edition, NET Bible, New American Bible Revised Edition, JPS Tanakh 1917, Good News Translation এ এর অর্থ young woman করা হয়েছে। GNT (Good News Translation) এর ফুটনোটে উল্লেখ করা হয়েছে,

7.14: young woman: The Hebrew word here translated “young woman” is not the specific term for “virgin,” but refers to any young woman of marriageable age. The use of “virgin” in Mt 1.23 reflects a Greek translation of the Old Testament, made some 500 years after Isaiah.[11]https://biblehub.com/gnt/isaiah/7.htm#fn

অর্থাৎ, এখানে হিব্রু শব্দটি সাধারণভাবে কোনো যুবতী মেয়েকে বোঝায়। আর ৫০০ বছর পরে গ্রিক ভাষায় রচিত ‘মথি ১:২৩’ এর উপর ভিত্তি করে সেটা virgin হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছিলো। NABRE তে একই কথা বলা হয়েছে,

The young woman: Hebrew ‘almah designates a young woman of marriageable age without specific reference to virginity. The Septuagint translated the Hebrew term as parthenos, which normally does mean virgin, and this translation underlies Mt 1:23.[12]https://biblehub.com/nabre/isaiah/footnotes.htm#fn29007014-1

আর ইসাইয়ার একই কিতাবে, আলামাহ, শব্দ একজন বিধবা মহিলার ক্ষেত্রে বলা হয়েছেঃ ইসাইয়া ৫৪.৪।[13]https://bible.com/bible/155/isa.54.4.SBCL আবার হিতোপদেশ ৩০:১৯ এ একজন বিবাহিত মহিলাকে আলামাহ বলা হয়েছে।[14]http://bible.com/bible/155/pro.30.19.SBCL

তাহলে খ্রিস্টানরা কেন এই ‘আলামাহ (যুবতী)’ শব্দ মাদার মেরির ক্ষেত্রে ‘কুমারী’ হিসেবে প্রয়োগ করছে যেখানে এ একই শব্দ একজন বিধবা ও একজন বিবাহিত নারীর ব্যাপ্যারে বলা হয়েছে।

(বিঃদ্রঃ এক নাম্বার পয়েন্ট নিয়ে নিচে আরো আলোচনা হচ্ছে। মথি ১:২৩ এ গ্রিক শব্দটি কুমারী হলেও বাকি বৈশিষ্ট্যগুলো মেলে না, স্পষ্টই বোঝা যাবে যে মথির এই ভার্সগুলো যীশুর নামে অপপ্রয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছে।)

সে সন্তানের নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল

এ পয়েন্টের ব্যাপারে খ্রিস্টানরা বলে এখানে সরাসরি  যিশুর সম্পর্কে বলা হয়েছে । কারন ইম্মানুয়েল অর্থ আমাদের সাথে ঈশ্বর আর যিশু তো একজন ঈশ্বর ছিলো।

আসলে ভাইয়ারা খ্রিস্টানদের দাবিটা এতোটা হাস্যকর বলতেও লজ্জা লাগে আমার । আরে যিশু কে তো আগে ঈশ্বর প্রমান করুন চারটি গসপেল থেকে তারপরে তাকে ঈশ্বর দাবি করেন কোন সমস্যা নাই। আর ইম্মানুয়েল যিশু না কারন ইসাইয়াঃ ৭.১৪ তে বলা হয়েছে তার নাম রাখা হবে ইম্মানুয়েল কিন্তু ইসাইয়াঃ ৭.১৪ তে ইম্মানুয়েলের ফজিলত বলা হয় নাই সেটা কেন খ্রিস্টানরা বুঝে না।

আর যিশুর নাম কখনো ইম্মানুয়েল ছিলো না বা কেউ তাকে এ নামে ডাকে নি। বরং তাকে সব সময় যিশু বলে ডাকা হয়েছে ও তার জন্মের আগে তার নাম যিশু রাখতে বলা হয়েছে যেমনঃ

  1. স্বর্গদূতেরা  যিশুর পালক পিতা যোষেফ কে স্বপ্নে বলেছিলেনঃ দেখ, সে এক পুত্র সন্তান প্রসব করবে, তুমি তাঁর নাম রেখো যীশু।❞[15]মথি 1:21
  2. গাব্রিয়েল যিশুর মাতা মেরিকে বলেছিলেনঃ  শোন, তুমি গর্ভবতী হবে আর তোমার একটি ছেলে হবে। তুমি তাঁর নাম যীশু রাখবে।❞[16]লুক 1:30
  3. আর শুধু মাত্র এক গসপেল অফ মথিতে যিশুকে ২০২ বার যিশু নামে বলা হয়েছে। কিন্তু একবারও তাকে ইম্মানুয়েল নামে কেউ ডাকলো না এটা চরম লজ্জার ব্যাপ্যার।

সে ইম্মানুয়েল যা মন্দ তা অগ্রাহ্য করবার ও যা ভাল তা বেছে নেবার জ্ঞান না পাওয়া পর্যন্ত তিনি দই আর মধু খাবেন

এ ব্যাপ্যারে আমাদের খ্রিস্টান ভাইরা কথা বলতেই রাজি না যে যিশু কি কোন সময় দই আর মধু খেয়েছে কিনা। কারন আমাদের কাছে বর্তমানে চারটি গসপেল আছে কিন্তু কোথাও বলা হয়নি যে যিশু মধু খেয়েছে আর দই তো অনেক পরের ব্যাপ্যার।

কিন্তু ছেলেটি ভালো-মন্দ বোঝার বয়সে পৌঁছবার আগেই ইফ্রযিম এবং অরাম দেশ জনমানব বর্জিত/ধ্বংস হয়ে যাবে

এ চার নাম্বার পয়েন্ট সম্পর্কে খ্রিস্টানদের কাছে কোন জবাব নেই। কারন এখানে যে দুই দেশের কথা বলা হয়েছে তাহলোঃ

  1. ইফ্রযিম( ঈসরায়েল)।[17]ইসাইয়া ৭:২ এ ইফ্রযিমের রাজধানী ছিলো শমরিয়া।[18]ইসাইয়া ৭:৯
  2. অরাম দেশ।[19]ইসাইয়া ৭:৪

আমরা যদি ইসাইয়া ৭ অধ্যায় থেকে ১০ অধ্যায় পর্যন্ত পড়ি তবে আমরা দেখতে পাবো যে এ দুই রাজ্য ধ্বংস হয়েছে। এটা কখনো যিশুর সময়  ধ্বংস হয় নাই। আর যিশুর সময় কোন দেশ বা রাজ্য ধ্বংস হয়েছে এমন কোন খবরও পাওয়া যাই না।

তো এ থেকেই প্রমাণ হয়ে যায় যিশু ইম্মানুয়েল না। যে সকল খ্রিস্টান ভাইরা যিশু কে ইম্মানুয়েল ভাবেন তারা যেন আমাদের উপরের চারটি পয়েন্ট খন্ডন করে।

যিশু বলেছে আমি ও পিতা এক

আমার পিতা, যিনি তাদেরকে আমায় দিয়েছেন, তিনি সবার ও সবকিছু থেকে মহান, আর কেউ পিতার হাত থেকে কিছুই কেড়ে নিতে পারবে না৷
আমি ও পিতা, আমরা এক৷[20]যোহন 10:29-30

খন্ডনঃ আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা এ পয়েন্ট উল্লেখ করে বলে যিশু বলেছে, আমি ও পিতা এক, তার মানে যিশু ঈশ্বর। আমি বলবো এটা খ্রিস্টানদের বোকামি। কারন কেউ ‘আমি ও পিতা এক বা আমি ও ঈশ্বর এক’ একথা বললে ঈশ্বর হয় না। আসলে আমাদের আগে এটা দেখতে হবে যিশু কোন কারনে এ কথা বলেছেন যে, ‘আমি আর পিতা এক’। যেমন আমি একটা উদাহরণ দেই তাহলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন। যেমন ধরুন দু’জন ব্যক্তি সাকিব এবং হাবিবের কথোপকথনঃ

  • হাবিবঃ তার উদ্দেশ্য মানুষকে সত্য জানানো।
    সাকিবঃ আমারও উদ্দেশ্য মানুষকে সত্য জানানো।
  • হাবিবঃ তার উদ্দেশ্য মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করা।
    সাকিবঃ আমারও উদ্দেশ্য মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করা।
  • হাবিবঃ তার উদ্দেশ্য মানুষকে এক ঈশ্বর সম্পর্কে জানানো।
    সাকিবঃ আমারও উদ্দেশ্য মানুষকে এক ঈশ্বর সম্পর্কে জানানো।

এখন কিন্তু আমরা হাবিব ও সাকিবের উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য করে বলতে পারি সাকিব ও হাবিব এক। আর যিশুও এসব উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য করেই বলেছিল যে, ‘আমি ও পিতা এক’, কারন তাদের দুজনের উদ্দেশ্য এক।
তার পরেও যদি খ্রিস্টান ভাইরা না মানতে চাই তাহলে আমরা বলবো আপনারা শুধু যিশু কে না তার বারো শিষ্য ও তার সমস্ত অনুসারীদের কেও ঈশ্বর মানুন। কারন যিশু নিজেই বলেছেঃ যিশু, পিতা ও তার বার শিষ্য এক!

সেদিন তোমরা উপলব্ধি করবে যে, আমি পিতার মধ্যে আছি, আর তোমরা আমার মধ্যে এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।[21]যোহন 14:20 BCV

যেমন পিতা, তুমি আমার মধ্যে এবং আমি তোমার মধ্যে আছি, যেন তারাও আমাদের মধ্যে এক হয়, যেন জগৎ বিশ্বাস করে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছ।[22]যোহন 17:21 BCV

আর সাধু পৌল নিয়েও এ কথা বলেছেন।
যে যিশুর সাথে আমরা (তার অনুসারীরা) সবাই এক।

যদি কোনো একটি অঙ্গ কষ্টভোগ করে, তাহলে তার সঙ্গে প্রত্যেকটি অঙ্গই কষ্টভোগ করে। কোনো একটি অঙ্গ মর্যাদা লাভ করলে, তার সঙ্গে প্রত্যেক অঙ্গই আনন্দ করে। এখন তোমরা হলে খ্রীষ্টের দেহ এবং এক একজন সেই দেহের এক-একটি অঙ্গ।[23]1 করিন্থীয় 12:26‭-‬27 BCV

এ সম্পর্কে আরো রেফারেন্সঃ

  • ১ করিন্থীয় ১২:১২, ১০:১৭, ৬:১৫
  • রোমীয় পুস্তক ৬:৩, ১২:৫

তো এখন কি খ্রিস্টানরা যিশুর বারো শিষ্য ও তার সেসময়কার অনুসারীদেরকে ঈশ্বর মানবেন?

যিশু মানুষের পাপ ক্ষমা করতে পারতো!

কিন্তু আমি চাই যেন তোমরা জানতে পারো যে পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করার অধিকার মনুষ্যপুত্রের আছে” এই বলে তিনি সেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিকে বললেন,…[24]মার্ক 2:10 BCV

খন্ডনঃ হুম তো কি হয়েছে। আর যিশু কি পৃথিবীর মধ্যে একজন যে কিনা পাপ ক্ষমা করতে পারতো। যিশু যদি পাপ ক্ষমা করার কারনে ঈশ্বর হয় তাহলে খ্রিস্টানদের শুধু যিশু না এমন তার বারো শিষ্য ও কুরবানির পশু এবং শামুয়েল নবী ও মূসা (আঃ)-কেও  ঈশ্বর বলতে হবে। কারন তারাও এ যুক্তি মোতাবেক পাপ ক্ষমা করতে সক্ষম ছিলেন। যেমনঃ যিশুর শিষ্যরাও পাপ ক্ষমা করতে পারতো।

যীশু আবার বললেন, “তোমাদের শান্তি হোক! পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, আমিও তেমন তোমাদের পাঠাচ্ছি।” একথা বলে তিনি তাদের উপর ফুঁ দিয়ে বললেন, “পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করো। তোমরা যাদের পাপ ক্ষমা করবে, তাদের ক্ষমা হবে, যাদের ক্ষমা করবে না, তাদের ক্ষমা হবে না।”[25]যোহন 20:21‭-‬23 BCV

তিনি তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা করার সময়, তোমরা বোলো: “ ‘হে পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক, তোমার রাজ্য আসুক। প্রতিদিন আমাদের দৈনিক আহার আমাদের দাও। আর আমাদের সব পাপ ক্ষমা করো, যেমন আমরাও নিজেদের সব অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিয়ো না।’ ”[26]লূক 11:2‭-‬4 BCV

শামুয়েল নবীও পাপ ক্ষমা করতে পারতো!

তখন শৌল শমূয়েলকে বললেন, “আমি পাপ করেছি। আমি সদাপ্রভুর আজ্ঞা ও আপনার নির্দেশ অমান্য করেছি। লোকজনকে ভয় পেয়ে আমি তাদের কথানুসারে কাজ করেছি। এখন আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি, আমার পাপ ক্ষমা করুন ও আমার সঙ্গে ফিরে চলুন, যেন আমি সদাপ্রভুর আরাধনা করতে পারি।”[27]1 শমূয়েল 15:24‭-‬25 BCV

পশু কুরবানির মাধ্যমেও পাপ ক্ষমা পাওয়া যায়। একইভাবে কোরবানির মাধ্যমেও মানুষের পাপ ক্ষমা করা হয়। যেই পশুকে কোরবানি করার মাধ্যমে পাপ ক্ষমা করা হয় সেই পশুকে কী খ্রিস্টানরা ঈশ্বর মানবে?[28]লেবীয় পুস্তক 4:20-26

মূসা (আঃ) ও হারুনও (আঃ) পাপ ক্ষমা করতে পারতো!

তখন ফরৌণ তাড়াতাড়ি মোশি ও হারোণকে ডাকিয়ে এনে বললেন, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু ও তোমাদের বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি। তাই দয়া করে তোমরা কেবল এবারের মত আমার পাপ ক্ষমা কর। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে মিনতি কর যেন তিনি আমার উপর থেকে এই মৃত্যুর ছায়া সরিয়ে নেন।”[29]যাত্রাপুস্তক 10:16‭-‬17 SBCL

আসলে বাইবেলের ভাষায় পাপ বলতে অপরাধ কে বোঝানো হয় যে, মানুষ অপরাধ করলে মানুষ তা ক্ষমা করতে পারে। আর পাপ ক্ষমা করার অর্থ যদি ঈশ্বর হয়ে যায় তাহলে আমরা প্রমাম দেখালাম যে মুসা (আঃ), শামুয়েল (আঃ), কুরবানীর পশু, আর যিশুর বারো শিষ্যও ঈশ্বর।

যিশু আদি ও অন্ত

তাঁকে দেখে আমি মরার মত তাঁর পায়ের কাছে পড়ে গেলাম। তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, “ভয় কোরো না। আমিই প্রথম ও শেষ,…[30]প্রকাশিত বাক্য 1:17 SBCL

আমি আল্‌ফা এবং ওমিগা, প্রথম ও শেষ, আরম্ভ ও শেষ।[31]প্রকাশিত বাক্য 22:13 SBCL

আরো দেখুন[32]প্রকাশিত বাক্য ২:৮

খন্ডনঃ হ্যা তো কি হয়েছে যে যিশু বলেছে আমি, আলফা ও ওমেগা, আর আমি এটা বুঝিনা খ্রিস্টানরা এটা কেন বুঝেনা যে, আলফা ও ওমেগা, দিয়ে কখনো, আমি শুরু ও শেষ, এটা হয় না। কারন, আলফা ও ওমেগা, হলো গ্রীক বর্ণমালা। যিশু যদি, আলফা ও ওমেগা, না বলে যদি বলতো আমি, A and Z, আলিফ ও ইয়া, তা হলে কি যিশু শুরু ও শেষ হলেন নাকি, অবশ্যই না। তার পরেও যদি খ্রিস্টানরা দাবি করে যে যিশু শুরু ও শেষ বলার কারনে তিনিই ঈশ্বর। তাহলে আমরা বলবো তার চাইতে বড় ঈশ্বর হলেন মল্কীষেদঃ

মল্কীষেদকের মা-বাবা বা কোন বংশ-তালিকা ছিল না। ঈশ্বরের পুত্রের মত তাঁর জীবনের আরম্ভও ছিল না, শেষও ছিল না; তিনি চিরকালের পুরোহিত। দেখ, মল্কীষেদক কত মহান! আমাদের মহান পূর্বপুরুষ অব্রাহামও তাঁকে সব কিছুর দশ ভাগের এক ভাগ দিয়েছিলেন।[33]ইব্রীয় 7:3‭-‬4 SBCL

আরও দেখুন[34]হিব্রুঃ ৭:১৭,২৩,২৮

ঐশ্বরিক আদি ও অন্ত হলে বাইবেলমতে এখন থেকে খ্রিস্টানদের ঈশ্বর একজন নয় বরং দুইজন।

যিশু সবার বিচার করবে

পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার তিনি পুত্রকে দিয়েছেন৷[35]যোহনঃ ৫:২২; মথি ২৫:৩১-৩৩

খন্ডনঃ এ পয়েন্ট খন্ডন করার আগে আমাদের এটা পরিস্কার হতে হবে যে যিশুকে এতো ক্ষমতা বা এতো কিছু কে দিয়েছে। আসলে এ সকল কিছু যিশু কে তার পিতা বা ঈশ্বর দিয়েছিল। তা আমরা যিশুর নিজের কথা দিয়েই প্রমান করতে পারবো।
যেমন যিশু বলেছেঃ

তিনি রাত্রিবেলা যীশুর কাছে এসে বললেন, “রব্বি, আমরা জানি আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে আগত একজন শিক্ষাগুরু কারণ ঈশ্বরের সহায়তা ব্যতীত কোনো মানুষ আপনার মতো চিহ্নকাজ সম্পাদন করতে পারে না।”[36]যোহন 3:2 BCV

যীশু জানতেন যে, পিতা সবকিছু তাঁর ক্ষমতার অধীন করেছেন এবং ঈশ্বরের কাছ থেকেই তিনি এসেছেন ও তিনি ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাচ্ছেন।[37]যোহন 13:3 BCV

এখন বোঝা যাচ্ছে যিশুকে যত ক্ষমতা দিয়েছেন একমাত্র ঈশ্বর। আমি কিন্তু আগেই বলেছি এসব যিশু নিজের থেকে পাননি। তাকে এসব দেওয়া হয়েছিলো। তার তিনি বিচার দিনে সবার বিচার করবেন বলে তিনি ঈশ্বর হচ্ছেন না। আর যিশু বিচার করবে কিনা সেটাও সন্দেহ কারন তিনি অন্য জায়গায়
বলেছেনঃ

আমি নিজের গৌরবের খোঁজ করি না, কিন্তু একজন আছেন, যিনি তা খোঁজ করেন, তিনিই বিচার করবেন।[38]যোহন 8:50 BCV

যে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং আমার বাক্য গ্রহণ করে না, তার জন্য এক বিচারক আছেন। আমার বলা বাক্যই শেষের দিনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করবে। কারণ আমি নিজের ইচ্ছানুসারে বাক্য প্রকাশ করিনি, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, আমার সেই পিতাই, কী বলতে হবে বা কেমনভাবে বলতে হবে, আমাকে তার নির্দেশ দিয়েছেন।[39]যোহন 12:48‭-‬49 BCV

আর যিশু সকলের বিচার করবে বলে সে যদি ঈশ্বর হন তবে যিশু অনুসারীরাও ঈশ্বর কারন তারাও বিচারের দিনে বিচার করবে।
যেমনঃ যিশুর অনুসারীরাও বিচার করবে-

যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সব বিষয়ের নতুন সৃষ্টিতে যখন মনুষ্যপুত্র মহিমার সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরা, যারা আমার অনুগামী হয়েছ, তোমরাও বারোটি সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।[40]মথি 19:28 BCV

যেন তোমরা আমার রাজ্যে আমারই সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করতে ও সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর বিচার করতে পারো।[41]লূক 22:30 BCV

পরে আমি কতগুলি সিংহাসন দেখলাম। সেগুলির উপরে যাঁরা উপবিষ্ট ছিলেন, তাঁদের বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। আর আমি তাদেরও আত্মা দেখলাম, যীশুর সপক্ষে তাদের দেওয়া সাক্ষ্য ও ঈশ্বরের বাক্যের কারণে যাদের মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছিল। তারা সেই পশু বা তার মূর্তির পূজা করেনি। তারা তার ছাপও তাদের কপালে কিংবা তাদের হাতে ধারণ করেনি। তারা পুনর্জীবন লাভ করে এক হাজার বছর খ্রীষ্টের সঙ্গে রাজত্ব করল।[42]প্রকাশিত বাক্য 20:4 BCV

যিশু মৃত মানুষকে জীবিত করেছিল

যীশু সেই নেতার বাড়িতে পরে গিয়ে দেখলেন, যারা করুণ সুরে বাঁশি বাজায় তারা রয়েছে আর লোকরা চিৎ‌কার করে কাঁদছে। যীশু বললেন, “তোমরা বাইরে যাও। মেয়েটি মরে নি, ও তো ঘুমিয়ে আছে।” লোকগুলো এই কথা শুনে তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগল। লোকদের ঘর থেকে বার করে দেওয়া হলে, যীশু ভেতরে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরলেন, তাতে সে উঠে বসল। এই ঘটনার কথা সেই অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।[43]মথিলিখিত সুসমাচার 9:23‭-‬26 BERV

আরো রেফারেন্সঃ

  • লূক ৭:১১-১৮
  • যোহন ১১:১-৪৬

খন্ডনঃ এখানে আমাদের খ্রিস্টান ভাইদের দাবি হচ্ছে যিশু মৃত মানুষকে জীবিত করেছে তাই সে ঈশ্বর। কারন ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ মরা মানুষকে জীবিত করতে পারে না। তো আমরা বলবো এটা সম্পন্ন তাদের ভুল ধারণা। কারন কেউ মরা মানুষকে জীবিত করলেই ঈশ্বর হয় না। আর খ্রিস্টানদের দাবি অনুসারে কেউ যদি মৃত্য মানুষকে জীবিত করে সেই ঈশ্বর হয় তাহলে আমরা বলবো আপনাকে শুধু যিশু কে ঈশ্বর মানেন কেন? কারন সে তো একমাত্র ব্যক্তি নয় যে মরা মানুষকে জীবিত করেছে। তার মতো অনেক মানুষ ছিলো বা নবী ছিলো যারা মৃতদের জীবিত করতো। তাও সেটা বাইবেল দিয়েই প্রমানিত!
যেমনঃ

  1. এলিয় নবী একজন মহিলার মরা ছেলেকে জীবিত করেছিল।[44]১ রাজাবলি ১৭:১৭-২৪
  2. ইলিশা নবী একজন মহিলার মরা ছেলেকে ও অন্য একজন মৃত্যব্যক্তি কে জীবিত করেছিল। [45]২ রাজাবলি ৪:১৮-৩৭, ১৩:২০-২১
  3. যিশুর শিষ্য পিতরও টাবিথা নামক মরা মানুষকে জীবিত করেছে।[46]প্রেরিত ৯:৩৬-৪২
  4. সাধু পৌলও উতুখ মানক এক মরা যুবক কে জীবিত করেছিল।[47]প্রেরিত ২০:৯-১২

এর পরেও কি খ্রিস্টানরা বলবে যে যিশু মৃত মানুষকে জীবিত করেছে বলে সে ঈশ্বর। তাই যদি হয় তাহলে খ্রিস্টানদের ঈশ্বর শুধু যিশু নয়!

যিশু কে মানুষেরা সিজদাহ্ করতো

তা দেখে শিমোন পিতর যীশুর দুই পায়ের উপর লুটিয়ে পড়ে বললেন, “প্রভু, আমার কাছ থেকে চলে যান, আমি পাপী!”[48]লূক 5:8 BCV

আরও দেখুন[49]মথি ২:১০-১১, ৮:২, ৯:১৮, ২৮:৯

খন্ডনঃ আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা এ পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে বলে যিশু ঈশ্বর। কারন যিশুকে সিজদাহ্ করা হয়েছে। আর ঈশ্বরকে ছাড়া তো আর কাউকে কে সিজদাহ করা যায় না। আমি বলবো হুম তাতে কি হয়েছে যে যিশু কে মানুষেরা সিজদাহ্ করতো। এরকম তো বাইবেলে অনেক মানুষের নাম আছে যাদের কে মাটিতে উবুড় হয়ে সিজদাহ্
করেছিলো যেমনঃ

  1. হযরত ইয়াকুব আঃ / যাকোব কে সকল মানুষ সিজদাহ্ করো।[50]আদিপুস্তক ২৭:২৯
  2. হযরত ইয়াকুব আঃ ঐষৌ ও তার ৬ ভাইকে সিজদাহ্ করেছিলো মাটিতে উবুড় হয়ে।[51]আদিপুস্তক ৩৩:৩
  3. হযরত ইউসুফ (আঃ) বা, যোসেফ তার ১১ ভাইকে সিজদাহ্ করেছিলো মাটিতে উবুড় হয়ে।[52]আদিপুস্তকঃ ৪২:৬, ৪৩:২৬
  4. হযরত ইউসুফ আঃ তার পিতা হযরত ইয়াকুব আঃ কে সিজদাহ্ করেছিলো মাটিতে উবুড় হয়ে।[53]আদিপুস্তক ৪৮:১২
  5. রুত বয়োস নামক একজন ব্যক্তিকে সিজদাহ্ করেছিলো।[54]রুত ২:১০
  6. হযরত দাউদ আঃ/ ডেভিড যোনাথনকে তিনবার সিজদাহ্ করেছিলো মাটিতে উবুড় হয়ে।[55]১ সামুয়েল ২০:৪১
  7. হযরত দাউদ আঃ শৌলকে সিজদাহ্ করেছিলো।[56]১ সামুয়েল ২৪:৮
  8. অবীগল নামক ব্যক্তি হযরত দাউদ আঃ কে সিজদাহ্ করেছিলো মাটিতে উবুড় হয়ে।[57]১ সামুয়েল ২৫:২৩
  9. শৌল নবী সামুয়েলকে সিজদাহ্ করেছিলো।[58]১ সামুয়েল ২৮:১৪

সিজদাহ্ সম্পর্কে আরো রেফারেন্সঃ

  • ২ সামুয়েল ১:২, ৯:৮, ১৪:৪, ১৪:২২, ১৫:৫, ২৪:২০
  • ১ রাজাবলি ১:২৩, ১:৩১
  • ২ রাজাবলি ২:১৫, ৪:৩৭
  • ইসাইয়া ৪৪:১৫, ৪৯:৭, ৪৯:২৩
  • দানিয়েল ২:৪৬, ৩:৫-৬

তো এখন যদি যিশু কে সিজদাহ্ করার কারনে যিশু ঈশ্বর হয়। তাহলে এতগুলো মানুষ কি দোষ করলো যে তারা ঈশ্বর হতে পারছে না?

যিশু ঝড় থামিয়েছিল

তিনি উত্তর দিলেন, “অল্পবিশ্বাসীর দল, তোমরা এত ভয় পাচ্ছ কেন?” তারপর তিনি উঠে ঝড় ও ঢেউকে ধমক দিলেন, তাতে সবকিছু সম্পূর্ণ শান্ত হয়ে গেল। এতে শিষ্যেরা আশ্চর্য হয়ে বললেন, “ইনি কেমন মানুষ? ঝড় ও সমুদ্র তাঁর আদেশ পালন করে!”[59]মথি 8:26‭-‬27 BCV

খন্ডনঃ এ পয়েন্ট নিয়ে খ্রিস্টানরা অনেক মিথ্যাচার করে। যেমন তারা বলে থাকে ঝড় হলো প্রাকৃতিক জিনিস আর সেই প্রকৃতিকে একমাত্র ঈশ্বর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু এখানে দেখতাছি যিশু নিজেও তা করতে পাই তাই সে ঈশ্বর। আসলে তাদের কথা ও দাবি গুলো সম্পুন্ন হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না।কারন যিশু তো শুধু মাত্র ঝড় থামিয়ে ছিল কিন্তু ইলিয় নবী কি করেছিলো সেটা বলে না কেন তারা
যেমনঃ

  • এলিয় নবী আকাশ থেকে আগুনের ঝড় নামিয়ে ছিলো।[60]১ রাজাবলিঃ ১৮:৩৮; ২ রাজাবলি ১:১০

তো খ্রিস্টানরা এখন কাকে ঈশ্বর মানবে যিশু কে নামি এলিয় নবীকে। কারন যিশু ঝড় থামিয়ে ছিল আর এলিয় নবী আকাশ থেকে আগুন নামিয়ে ছিলো। তো এখানে কার ক্ষমতা বেশি যিশু নাকি এলিয় নবীর?

যিশু হলো জগতের আলো

লোকদের আবার শিক্ষা দেওয়ার সময় যীশু বললেন, “আমি জগতের জ্যোতি। যে আমাকে অনুসরণ করে, সে কখনও অন্ধকারে পথ চলবে না, বরং সে জীবনের জ্যোতি লাভ করবে।”[61]যোহন 8:12 BCV

যতক্ষণ আমি জগতে আছি, আমিই এই জগতের জ্যোতি হয়ে আছি।”[62]যোহন 9:5 BCV

খন্ডনঃ যিশু নিজেকে জগতের আলো বলার কারনে তাকে সরাসরি ঈশ্বর বানিয়ে ফেলেছে। কতটা ভয়ংকর তাদের এসব মূর্খামী।
যিশু কি পৃথিবীর মধ্যে একজন ব্যক্তি যে জগতের আলো। আমরা বলবো না কারন যিশু নিজে অন্যদের কেউও জগতের আলো বলেছে
যেমনঃ

  • যিশু তার বারো শিষ্য কেও জগতের আলো বলেছে।[63]মথি ৫:১৪, ৬:২৩

তো এখন কি করবে খ্রিস্টান ভাইয়েরা। খ্রিস্টান ভাইয়েরা কি এখন যিশুর সাথে তার বারো শিষ্য কেও ঈশ্বর মানবে নাকি? যদি মানে তাহলে খ্রিস্টানদের ঈশ্বরের আজ থেকে তিন জন না বরং ১৫ জন।

যিশু ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ

এই পুত্রই হলেন অদৃশ্য ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ। সমস্ত সৃষ্টির আগে তিনিই ছিলেন এবং সমস্ত সৃষ্টির উপরে তিনিই প্রধান,…[64]কলসীয় 1:15 SBCL

আরও দেখুন[65]হিব্রু ১:৩, ২ করিন্থীয় ৪:৪

খন্ডনঃ এ পয়েন্টের ভিত্তি করে খ্রিস্টানরা বলে যিশুই সরাসরি ঈশ্বর। কারন সাধু পৌল বলেছে যিশু ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ। তো আমরা বলবো কে কি বললো এসব বাদ দিন আর দেখান যিশু কখনো নিজেকে ঈশ্বর বলেছে কিনা। কারন যিশু শিষ্যরা যিশু কে নিজেদের চোখ দিয়ে দেখেছে। যিশুর সাথে থেকে ঈশ্বরের বানী প্রচার করেছে কিন্তু তারা কখনো বললো না যিশু ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ। কিন্তু পৌল উড়ে এসে জুড়ে বসে দাবি করলো যিশু ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ এটা কতটা অবাক করার কথা না।
তার পরেও বললো সাধু পৌলের এ কথার কারনে যদি যিশু ঈশ্বর হয় তাহলে বাইবেলের অন্য মানুষও ঈশ্বর কারনঃ

  1. হযরত আদম আঃ ছিলো ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ বা ঈশ্বরের মতো।[66]আদিপুস্তক ১:২৭
  2. হযরত দাউদ আঃ এর সকল বংশধর ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ বা ঈশ্বর মতো।[67]যাকারিয়া ১২:৩

তো এখন কি বলবে খ্রিস্টান ভাইয়েরা যে যিশু ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ বা ঈশ্বর মতো তাই সে ঈশ্বর। তো আমরাও বলবো তো আদম ও দাউদের বংশধর কি দোষ করলো যে তাদের কে ঈশ্বর বলছেন না।

যিশু ইব্রাহিমের আগে থেকেই ছিলো

যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, অব্রাহামের জন্মের পূর্ব থেকেই আমি আছি।”[68]যোহন 8:58 BCV

খন্ডনঃ হ্যা তো কি হয়েছে যে যিশু ইব্রাহিমের আগে থেকে ছিলো। আসলে খ্রিস্টানরা যে সব বলে নিজেরাও বোঝে না। তারা যিশু কে ঈশ্বর প্রমান করতে না জানি আর কত কষ্ট করবে!
আসলে এ যিশু বলেছে আমি ইব্রাহিমের আগে থেকে আছি। যিশু এটা বলার কারনে ঈশ্বর হচ্ছে না। কারন যিশুর এ কথার কারনে যদি আমরা যিশুকে ঈশ্বর মানি তাহলে বাইবেলের আরো অনেক মানুষ আছে তাদের কেও ঈশ্বর মানতে হবে যেমনঃ

  1. আদম আঃ হচ্ছে সকল মানুষের আদি পিতা তার আগে তো কোনো মানুষই ছিলো না।সে তো ইব্রাহিম ও যিশুর আগেও ছিলো।[69]আদিপুস্তক ১:২৭
  2. সোলাইমান নবীও পৃথিবী সৃষ্টির আগে থেকেই ছিলো।[70]মেসাল ৮:২৬
  3. সোলাইমান নবীও মেঘ সৃষ্টির আগে থেকেই ছিলো।[71]মেসাল ৮:২৮-২৯
  4. পৃথিবী সৃষ্টির আগে সকল মানুষ ছিলো।[72]মিখা ৬:২

তো এখন যিশু যদি ঈশ্বর হয় তো আদম ও সোলাইমান নবী কি দোষ করলো যে তারা ঈশ্বর হতে পাচ্ছে না। এমন কি মিখা ৬:২ এ বলা হয়েছে পৃথিবী সৃষ্টির আগে সকল মানুষ ছিলো। তার মানে আমিও (আন নাজমুস সাকিবও) ঈশ্বর। কারন যিশু তো শুধু ইব্রাহিমের আগে ছিলো আর আমি পৃথিবীর সৃষ্টিরও আগে ছিলাম।

যিশু তার কাছে প্রাথনা করতে বলতো

আমার নামে তোমরা যা কিছু চাইবে, আমি তা পূরণ করব।[73]যোহন 14:14 BCV

খন্ডনঃ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। যিশু কখনো যোহন ১৪:১৪ তে তার কাছে দোয়া করতে বলেন নাই। কারন আগের ভার্স পড়লেই বোঝা যায় সেখানে যিশু বুঝিয়েছেন যে আমি যেসব অলৌকিক কাজ করি তোমরা এ অলৌকিক কাজের মাধ্যমে আমার কাছে সাহায্য চাও যাতে আমি এসব অলৌকিক কাজ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করতে পারি।

আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার উপর যার বিশ্বাস আছে, আমি যে কাজ করছি, সেও সেরকম কাজ করবে, এমনকি, এর চেয়েও মহৎ সব কাজ করবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি। আর আমার নামে তোমরা যা কিছু চাইবে, আমি তাই পূরণ করব, যেন পুত্র পিতাকে মহিমান্বিত করেন। আমার নামে তোমরা যা কিছু চাইবে, আমি তা পূরণ করব।[74]যোহন 14:12‭-‬14 BCV

আর যিশু কখনো তার কাছে দোয়া করতে বলেন নাই বরং এক ঈশ্বরের কাছে দোয়া করতে বলেছেন বার বার। যেমনঃ

  1. ❝যখন তোমরা প্রার্থনা কর, তখন বল আমাদের পিতা যিনি স্বর্গে আছেন৷’❞[75]লুক 11:2
  2. ❝সেদিন তুমি আমার কাছে কিছুই চাইবে না। আমার নামে পিতার কাছে যা কিছু চাও।’❞[76]যোহন ১৬:২৩
  3. ❝সময় আসছে এবং এখনই, যখন সত্য উপাসকরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে; কারণ পিতা তাঁর উপাসনা করার জন্য এমন লোকদের খোঁজেন৷’❞[77]যোহন ৪.২৩

আরো রেফারেন্সঃ

  • মথি ৬:৯, ১৮:১৯, ২৬:৪১
  • লুক ১১:২
  • যোহন ১৬:২৩, ৪:২৩

এবং যিশু একমাত্র সত্য ঈশ্বরের কাছে দোয়া করতেন সব সময়ঃ

  1. ❝যাতে তারা আপনাকে, একমাত্র সত্য ঈশ্বর এবং যীশু খ্রীষ্ট যাকে আপনি পাঠিয়েছেন তা জানতে পারে।’❞[78]যোহন ১৭:৩
  2. ❝তিনি সারা রাত ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন।❞[79]লূক ১৬:১২
  3. ❝যেমন মনুষ্যপুত্র সেবা পেতে আসেনি, সেবা করতে আসেনি’…❞[80]মথি ২০:২৮

আরো রেফারেন্সঃ

  • মথি ২৬:৩৬, ২৬:৩৯, ২৬:৪২, ২৬:৪৪
  • লুক ৬:১২, ১৪:৩৫

আর যিশু কি ভাবে প্রার্থনা করতে সেটাও বাইবেল আমাদের জানিয়ে দিয়েছেঃ

  1. ❝তিনি মাটিতে মুখ বুলিয়ে প্রার্থনা করলেন, ‘আমার পিতা’❞[81]মথিঃ ২৬.২৯
  2. ❝পৃথিবীতে যীশুর জীবনের দিনগুলিতে, যিনি তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারেন তার কাছে তিনি উচ্চৈঃস্বরে কান্না এবং কান্নার সাথে প্রার্থনা এবং মিনতি করেছিলেন, এবং তাঁর শ্রদ্ধাশীল বশ্যতার কারণে তাকে শোনা হয়েছিল।’❞[82]হিব্রু 5:7

যিশুর পৃথিবী ও স্বর্গের উপর ক্ষমতা ছিলো

তখন যীশু কাছে এসে তাঁদের এই কথা বললেন, “স্বর্গের ও পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে।[83]মথি ২৮:১৮, ১৬:১৫

খন্ডনঃ এখানেও খ্রিস্টানরা মিথ্যাচার করেছে।  যিশুর সব কিছুর উপর ক্ষমতা ছিলো তাই যদি সে ঈশ্বর হয় তাহলে ৩ জন স্বর্গদূতও ঈশ্বর।[84]প্রকাশিত 7.2

আর যিশুর নিজের তো এ ক্ষমতা ছিলো না তাকে দেওয়া হয়েছিলো। এখন প্রশ্ন আসতে পারে কে তাকে এসব দিয়েছিলো। আমরা বলবো এসব তাকে একমাত্র ঈশ্বর দিয়েছিলেন।

যীশু জানতেন যে, পিতা সবকিছু তাঁর ক্ষমতার অধীন করেছেন এবং ঈশ্বরের কাছ থেকেই তিনি এসেছেন ও তিনি ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাচ্ছেন।[85]যোহন 13:3 BCV

যিশু ঈশ্বরের পুত্র

তখন স্বর্গ থেকে বলা হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এঁর উপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”[86]মথি ৩:১৭, ২৭:৫৪, ২৮:১৯

খন্ডনঃ এ পয়েন্ট নিয়েও খ্রিস্টানরা অনেক মিথ্যাচার করে থাকে। তারা বলে ঈশ্বর সরাসরি যিশু কে তার পুত্র বলেছে তার মানে যিশু ঈশ্বর কারন ঈশ্বর পুত্র ঈশ্বর। এটা তাদের অনেক হাস্যকর দাবি কারন যিশু পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ঈশ্বরের পুত্র না এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারন যিশু কে ছাড়াও বাইবেলের ঈশ্বর অনেককেই নিজের পুত্র বলেছে যেমনঃ

  1. ইফ্রেযিম কে ঈশ্বরের নিজের প্রিয় পুত্র বলেছে। [87]যেরিমায়া ৩১:২০
  2. ঈসরায়েল/ইয়াকুব কে ঈশ্বরের নিজের পুত্র বলেছে।[88]যাত্রাপুস্তক ৪:২২
  3. দাউদ (আঃ)-কে ঈশ্বর নিজের পুত্র বলেছে। [89]গীতসংহিতা ২:৭
  4. সোলাইমান নবীও ছিলো ঈশ্বরের পুত্র।[90]১ রাজাবলি ২২:১০, ২৮:৬
  5. আদম আঃ ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র।[91]লুক ৩:৩৮

তা ছাড়াও বাইবেলে সাধারন মানুষ কেও ঈশ্বর পুত্র বা ঈশ্বরের সন্তান বলা হয়েছে।

  • যোহন ১:১২-১৩
  • গীতসংহিতা ৮২:৬
  • হোশেয়া ১:১০
  • লুক ৬:৩৫, ২০:৩৬
  • প্রেরিত ১৭:২৯
  • রোমীয় ৮:১৪, ৮:২৩, ৮:১৬, ৯:২৬
  • গালাতীয় ৪:৫, ৩:২৬
  • ২ করিন্থীয় ৬:১৮
  • যোহন ৩:১, ৩:৯-১০

আসলে বাইবেলে ঈশ্বরের পুত্র বা সন্তান দিয়ে ঈশ্বরের প্রিয় বান্দা বা মনোনীত মানুষকে বোঝায়। তার মানে এই নয় যে ঈশ্বরের পুত্র বা ঈশ্বরের সন্তান বলা হয়েছে দেখা সে ঈশ্বর। এমন দাবি কেউ করলে তার চাইতে বড় মিথ্যাবাদি আর কেউ নাই। কারন ঈশ্বরের পুত্র বা ঈশ্বরের সন্তান যদি ঈশ্বর হয় তাহলে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ ঈশ্বর।

যিশু কে দেখা মানে ঈশ্বর কে দেখা

যীশু তাঁকে বললেন, “ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সংগে সংগে আছি, তবুও কি তুমি আমাকে জানতে পার নি? যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকেও দেখেছে। তুমি কেমন করে বলছ, ‘পিতাকে আমাদের দেখান।[92]যোহন ১৪:৯

খন্ডনঃ এ পয়েন্টের উপর জোর দিয়ে আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা বলে যেহেতু যিশু কে দেখা মানে ঈশ্বর কে দেখা তার মানে যিশু ঈশ্বর। আমি বলবো এটা তাদের ভুল ধারনা। কারন যিশু অন্য জায়গায় অন্য রকম কথা বলেছে যা পরস্পর বিরোধী যেটাকে আমরা বলবো বৈপরীত্য। যেমন যিশু অন্য জায়গায় বলেছেনঃ ঈশ্বর কে দেখা যায় না।[93]যোহন ৫:৩৭, ১:১৮

আরো রেফারেন্সঃ

  • যাত্রাপুস্তক ৩৩:২০
  • তীমথিয় ৬:১৬

এখন যিশু কে দেখা মানেই যদি ঈশ্বর কে দেখা হয় তাহলে যিশুর অন্য কথা গুলো বাতিল। তার নিজের কথার মধ্যেই বৈপরীত্য। তো এখন আমরা কোনটা মানবো কারন তার কথা মানতে গেলে যে কোনো এক মিথ্যা হতেই হবে। হয় তো দেখা যায় এটা সত্য বা দেখা যায় না এটা সত্য। বাইবেলের পরষ্পরবিরোধী দুটো পয়েন্টের একটা দিয়ে কি সুস্পষ্ট দাবি ক্ক্রা যায় যে কে ঈশ্বর?

যিশুর আগে আর কেউ স্বর্গে উঠে নি

যিনি স্বর্গে থাকেন এবং স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন সেই মনুষ্যপুত্র ছাড়া আর কেউ স্বর্গে ওঠে নি।[94]যোহন ৩:১৩

খন্ডনঃ এখানে খ্রিস্টানরা দাবি করে থাকে যিশু জীবিত অবস্থায় স্বর্গে উঠেছে তার মানে সে ঈশ্বর। কারন পৃথিবীর কোনো মানুষ তো স্বর্গে যেতে পারবে না। কারন কিয়ামত বা মহা প্রলয় হবে তখন সকল মানুষ মারা যাবে আবার ঈশ্বর তাদের কে জীবিত করবে। তার পরে তাদের বিচার হবে তখন না হয় তারা স্বর্গে যাবে। কিন্তু যিশু এসবের আগেই স্বর্গে গিয়েছে তার মানে সে ঈশ্বর। কারন ঈশ্বরের পক্ষে সব সম্ভব।
আমরা বলবো এসব তাদের ভন্ডামি। তারা মানুষ কে ধোকা দেবার জন্য এসব ফন্দি আঁটে।
কারন যিশুর আগেও দুইজন নবী স্বর্গে গিয়েছে যেমনঃ

  1. হযরত ইদ্রিস (আঃ) / হনোক নবীও স্বর্গে গিয়েছে তাও জীবিত অবস্থায়।[95]আদিপুস্তক ৫:২৩-২৪
  2. এলিয় নবীও জীবিত অবস্থায় স্বর্গে গিয়েছে তাও সশরীরে।[96]২ রাজাবলি ২:১-১৩

তো এখন খ্রিস্টানরা কি বলবে যে যিশু স্বর্গে গিয়েছে তাই ঈশ্বর। তো আমরাও বলবো তাহলে এ দুই নবী কি দোষ করলো।

যিশু একমাত্র যে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছে

স্বর্গদূত স্ত্রীলোকদের বললেন, “তোমরা ভয় কোরো না, কারণ আমি জানি, যাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল তোমরা সেই যীশুকে খুঁজছ।
তিনি এখানে নেই। তিনি যেমন বলেছিলেন তেমন ভাবেই জীবিত হয়ে উঠেছেন।[97]মথি ২৮:৫-৬; লুক ২৪:৬; মার্ক ১৬:৬

খন্ডনঃ এখানে আমাদের খ্রিস্টান ভাইরা দাবি করে থাকে যিশু মৃত্য থেকে জীবিত হয়েছে তার মানে সে ঈশ্বর। কারন পৃথিবীতে যত মানুষ মারা গিয়েছে তারা তো আর বিচার দিন বা Judgement Day এর আগে জীবিত হবে না। আর বিচার দিবসের আগেই জীবিত হওয়া একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব। আমরা বলবো আসলে খ্রিস্টানরা ঈশ্বর সম্পর্কে জ্ঞানীই রাখে না। কারন ঈশ্বর যে কখনো মরা না এ জ্ঞান তাদের মাথায় নাই। আরে যিশু যে মারা গিয়েছিল তাও ঠিক না। কারন বাইবেল থেকে প্রমাণ করা অনেক সহজ যে যিশু মারা যাননি আর তার জীবিত হওয়া তো অনেক পরের কথা। আর যিশু মারা যাইনি এ সম্পর্কে আলোচনা করতে ধরলে এক বা দুই ঘন্টাতে শেষ হবে না।
তো যাই হোক খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী যীশু মারা গিয়েছিল আবার তিন দিন, তিন রাত পরে আবার জীবিত হয়েছে তাই সে ঈশ্বর। আমি বললো এসব খ্রিস্টানদের বোকামী ছাড়া আর কিছু না। কারন যিশু তো একা না যে মৃত্য থেকে জীবিত হয়েছে তার মতো অনেক মানুষ ছিলো যারা মৃত্য থেকে জীবিত হয়েছে যেমনঃ

  1. যিশুর সময়ে অনেক মরা মানুষ কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠে শহরের মধ্যে গিয়ে চলা ফিরা করতে শুরু করলো।[98]মথি ২৭:৫২-৫৩
  2. টাবিথা নামক এক মরা মানুষ জীবিত হয়েছিলো।[99]প্রেরিত ৯:৩৬-৪২
  3. উতুখ নামে এক মরা যুবক জীবিত হয়েছিলো।[100]প্রেরিত ২০:৭-১২
  4. একজন বিধবা মহিলার ছেলে জীবিত হয়েছিলো।[101]১ রাজাবলি ১৭:১৭-২৪
  5. একজন মহিলার ছোট ছেলে মরা থেকে জীবিত হয়েছিলো।[102]২ রাজাবলি ৪:১৮-৩৭
  6. একজন ঈসরায়েলি লোক লোক মৃত্য থেকে জীবিত হয়েছিলো।[103]২ রাজাবলি ১৩:২০-২১

তো এখন কি খ্রিস্টানরা যিশুর সাথে সাথে এতো গুলো মানুষকেও ঈশ্বর মানবে নাকি। তাদের কথা অনুযায়ী যীশু মৃত থেকে জীবিত হয়েছে তাই সে ঈশ্বর। তো যিশু ছাড়াও তো এতো গুলো মানুষ মৃত থেকে জীবিত হয়েছে কিন্তু তারা কেন ঈশ্বর হতে পাচ্ছে না তারা কি দোষ করলো যে খ্রিস্টানরা তাদের কে ঈশ্বর মানতে রাজি না।

যিশু অনেক অলৌকিক কাজ করেছে

ধিক্‌ কোরাসীন, ধিক্‌ বৈৎসৈদা! তোমাদের মধ্যে যে সব আশ্চর্য বা অলৌকিক (মোজেজা) কাজ করা হয়েছে সেগুলো যদি সোর ও সীদোন শহরে করা হত তবে অনেক দিন আগেই তারা চট পরে ছাই মেখে পাপ থেকে মন ফিরাত।[104]মথি ১১:২১-২৩

খন্ডনঃ আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা দাবি করে বসেন যে যিশু অনেক অলৌকিক কাজ করেছে তাই সে ঈশ্বর। কারন যিশু যে সকল অলৌকিক কাজ করেছে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না। তো আমরাও বলবো যিশু কি এমন অলৌকিক কাজ করেছে তার উপর ভিত্তি করে আপনারা তাকে ঈশ্বর বানিয়ে নিয়েছেন। যিশু তো মাত্র তিনজন মানুষ কে জীবিত করেছে তাও তিন জনের মধ্যে একজন মরেছিলো কিনা সেটাও সন্দেহ আর হাতে কোটা কয়েক জন মানুষ কে ঠিক করে এতেই কি যিশু ঈশ্বর। যিশুর এক মাত্র অলৌকিক কাজই ছিলো শুধু জ্বিন-ভূত তাড়ানো। তা ছাড়া যিশুর আর কোনো অলৌকিক কাজ ছিলোই না। আর বাইবেলের পুরাতন নিয়মে এমনই নবী আঃ ছিলো যারা যিশুর থেকে বেশি অলৌকিক কাজ করেছে, যেমনঃ

হযরত মূসা (আঃ) বাইবেল অনুযায়ী সমস্ত নবীদের থেকে বেশি অলৌকিক কাজ করেছে এমনি কি যিশুর থেকেও বেশি।[105]দ্বিতীয় বিবরণ ৩৪:১০-১২ আপনারা মূসা (আঃ) এর অলৌকিক কাজের বিবরণ দেখতে পড়ুনঃ
যাত্রাপুস্তক ৭ থেকে ১১ অধ্যায় পর্যন্ত।
যদিও তার অলৌকিক কাজ আরো আছে কিন্তু সেগুলো আমরা এখানে দিচ্ছি না।

এলিয় নবীও অনেক অলৌকিক কাজ করেছে ছিলেন এমন কি যিশুর থেকে বেশি। ইলিয় নবীর কর্মজীবনে অলৌকিক ঘটনাঃ

  1. বৃষ্টি কয়েক বছরের জন্য বন্ধ হয়ে যায় [106]১ রাজাবলি ১৭:১
  2. কাকদের খাওয়ানো [107]১ রাজাবলি ১৭:৪
  3. খাবারের ব্যারেল এবং তেলের ক্রুসের অলৌকিক ঘটনা [108]১ রাজাবলি ১৭:১৪
  4. বিধবার পুত্রের পুনরুত্থান [109]১ রাজাবলি ১৭.২২
  5. বেদীতে স্বর্গ থেকে আগুনের আহ্বান [110]১ রাজাবলি ১৮:৩৮
  6. বৃষ্টির কারণ [111]১ রাজাবলি ১৮.৪৫
  7. ভবিষ্যদ্বাণী যে আহাবের ছেলেরা সবাই হবে ধ্বংস [112]১ রাজাবলি ২১.২২
  8. ভবিষ্যদ্বাণী যে ইজেবেল কুকুর দ্বারা খাওয়া হবে [113]১ রাজাবলি ২১.২৩
  9. ভবিষ্যদ্বাণী যে অহসিয় তার অসুস্থতায় মারা যাবে [114]২ রাজাবলি ১.৪
  10. প্রথম ৫০ জন সৈন্যের উপর স্বর্গ থেকে আগুনের আহ্বান [115]২ রাজাবলি ১.১০
  11. দ্বিতীয় ৫০ জন সৈন্যের উপর স্বর্গ থেকে আগুন আহ্বান করা [116]২ রাজাবলি ২.১২
  12. জর্ডানের বিচ্ছেদ [117]২ রাজাবলি ২:৮
  13. ভবিষ্যদ্বাণী যে ইলিশার তার আত্মার দ্বিগুণ অংশ থাকা উচিত[118]২ রাজাবলি ২.১০
  14. ঘূর্ণিঝড়ে স্বর্গে ধরা পড়া [119]২ রাজাবলি ২.১১

ইলিশা নবীও অনেক অনেক অলৌকিক কাজ করেছে। ইলিশা নবীর কর্মজীবনে অলৌকিক ঘটনাঃ

  1. জর্ডানের বিভাজন[120]২ রাজাবলিঃ ২.১৪
  2. জলের নিরাময় [121]২ রাজাবলিঃ ২.২১
  3. সে বহনকারীর অভিশাপ [122]২ রাজাবলিঃ ২.২৪
  4. জল দিয়ে উপত্যকা ভরাট করা [123]২ রাজাবলিঃ ৩.১৭
  5. রক্তের উপত্যকা দিয়ে মোয়াবীয়দের প্রতারণা [124]২ রাজাবলিঃ ৩.২২
  6. তেলের পাত্রের অলৌকিক ঘটনা [125]২ রাজাবলিঃ ৪.৪
  7. ভবিষ্যদ্বাণী যে শূনাম্মী মহিলার একটি পুত্র হবে [126]২ রাজাবলিঃ ৪.১৬
  8. শুনাম্মাইটের পুত্রের পুনরুত্থান [127]২ রাজাবলিঃ ৪.৩৪
  9. লাউদের নিরাময় [128]২ রাজাবলিঃ ৪.৪১
  10. রুটির অলৌকিক ঘটনা[129]২ রাজাবলিঃ ৪.৪৩
  11. নামানের নিরাময় [130]২ রাজাবলিঃ ৫.১৪
  12. উপলব্ধি গেহাজির সীমালঙ্ঘন [131]২ রাজাবলিঃ ৫.২৬
  13. কুষ্ঠ রোগে গেহাজিকে অভিশাপ দেওয়া [132]২ রাজাবলিঃ ৫.২৭
  14. কুঠারের মাথা ভাসানো [133]২ রাজাবলিঃ ৬.৬
  15. সিরিয়ার যুদ্ধ পরিকল্পনার ভবিষ্যদ্বাণী [134]২ রাজাবলিঃ ৬.৯
  16. রথের দর্শন [135]২ রাজাবলিঃ ৬.১৭
  17. সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে অন্ধত্বের সাথে আঘাত করা [136]২ রাজাবলিঃ ৬.১৮
  18. সিরিয়ান সেনাবাহিনীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া [137]২ রাজাবলিঃ ৬.২০
  19. মহানের শেষের ভবিষ্যদ্বাণী দুর্ভিক্ষ [138]২  রাজাবলিঃ ৭.১
  20. ভবিষ্যদ্বাণী যে উপহাসকারী সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি প্রাচুর্য দেখতে পাবে, কিন্তু তাতে অংশ নেবে না [139]২ রাজাবলিঃ ৭.২
  21. রথের শব্দে সিরিয়ানদের প্রতারণা [140]২ রাজাবলিঃ ৭.৬
  22. ভবিষ্যদ্বাণী সাত বছরের দুর্ভিক্ষের [141]২ রাজাবলি ৪.১
  23. বেনহাদাদের অকাল মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী [142]২ রাজাবলি ৮.১০
  24. ইস্রায়েলের প্রতি হাজায়েলের নিষ্ঠুরতার ভবিষ্যদ্বাণী [143]২ রাজাবলিঃ ৮.১২
  25. ভবিষ্যদ্বাণী যে জেহু আহাবের পরিবারকে আঘাত করবে [144]২ রাজাবলিঃ ৯.৭
  26. ভবিষ্যদ্বাণী যে যোয়াশ সিরীয়দের অপেকে আঘাত করবে [145]২ রাজাবলিঃ ১৩.১৭
  27. ভবিষ্যদ্বাণী যে যোয়াশ সিরিয়াকে তিনবার আঘাত করবে কিন্তু তা গ্রাস করবে না [146]২ রাজাবলিঃ ১৩.১৯
  28. তার হাড় দ্বারা স্পর্শ করা লোকটির পুনরুত্থান [147]২ রাজাবলিঃ ১৩.২১

এ ছাড়া বাইবেলে আরো অনেক নবী আছে যারা যিশুর থেকে বেশি অলৌকিক কাজ করেছে।  তো এখন কি করবে খ্রিস্টানরা এখন কি তারা যিশুর সাথে এ নবীদেরও ঈশ্বর মানবে। তারা বলে যিশু এতো এতো অলৌকিক কাজ করেছে আমি বলবো সে জ্বিন – ভূত ছারানো ছাড়ারা আর কিছুই করে নাই। আর খ্রিস্টাসরা বেশি অহংকার দেখায় যিশু একটু অলৌকিক কাজ করেছে বলে। তো আমরা বলবো বেশি অলৌকিক কাজ করলেই সে শ্রেষ্ট হয় না বরং যারা বেশি বেশি অলৌকিক কাজ করে যিশু তাদের কে ভন্ড বলেছে।[148]মথিঃ ২৪.২৪

আর খ্রিস্টানরা শুধু বেশি বেশি অলৌকিক কাজ দেখতে চাই যে যিশু এটা করেছে, যিশু সেটা করেছে তো অন্য কি করেছে। তো আমি বলবো যারা বেশি অলৌকিক কাজ বলে বলে চিৎকার করে যিশু তাদের বলেছে, ভন্ড বা খারাপ বা পাপী।[149]লূকঃ- ১১.২৯

যিশু বলেছে আমিই আমি (I am, I am)

যীশু তাঁদের বললেন, “আমি আপনাদের সত্যি বলছি, অব্রাহাম জন্মগ্রহণ করবার আগে থেকেই আমি আছি।” এই কথা শুনে সেই নেতারা যীশুকে মারবার জন্য পাথর কুড়িয়ে নিলেন। কিন্তু যীশু নিজেকে গোপন করে উপাসনা-ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।[150]যোহনঃ ৮.৫৮-৫৯

Jesus said unto them, Verily, verily, I say unto you, Before Abraham was, I am.[151]John 8:58 KJV

খন্ডনঃ এখানে আমাদের খ্রিস্টান ভাইয়েরা দাবি করে যিশু নিজেকে, আমি আছি,বলেছে বা, I am, বলেছে তাই সে ঈশ্বর। কারন যাত্রাপুস্তক ৩.১৪ এ যিহভা (ঈশ্বর) নিজেকে ‘I am’ বলেছে আর যিশুও তাই বলেছে সে জন্য যিশুও ঈশ্বর।
আমরা আর কি বলবো খ্রিস্টানরা এতো টাই মিথ্যাবাদি বা ধোঁকাবাজ তা বলেছে শেষ করা যাবে না। কারন যিশু তো একা না যে, I am, বলেছে। এরকম অনেক মানুষ আছে যারা নিজেরাও বলেছে, I am, যেমনঃ

  1. ইব্রাহিম আঃ তিনি নিজেও বলেছেন, I am, বা আমি আছি।[152]আদিপুস্তকঃ ২২.১১
  2. মূসা আঃ তিনিও নিজে বলেছেন, I am[153]যাত্রাপুস্তকঃ ৩.৪
  3. এমন কি একজন ভিক্ষুক পর্যন্ত বলেছে, I am[154]যোহনঃ ৯.৯

যিশু ‘I am’ বলার কারনে যদি ঈশ্বর হয় তাহলে এ তিনজন কেও খ্রিস্টানদের ঈশ্বর মানতে হবে। তা না হলে আমরা ভাববো খ্রিস্টানরা এক চোখে লবণ বিক্রয় করে অন্য চোখে তেল বিক্রয় করে।


جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا

 

    Footnotes

    Footnotes
    1সুরা মায়িদাহঃ ১৭,৭২; সুরা তাওবাঃ ৩১; সুরা আরাফঃ ১৯৪
    2ইব্রীয় 11:16 SBCL
    3যিশাইয় 42:8 SBCL
    4লুক ১৬:২১
    5মথি ১২:৩৪, ২৩.৩৩; লুক ১০:১৯; যোহন ৩.১৪
    6মথি ২৩:১৩, ২৩:১৪, ২৩:১৫; মার্ক ৭:৫; লূক ৬:৪২
    7মার্ক ৮:৩৩
    8যোহন ১০:৮
    9মথি 1:23 BCV
    10যিশাইয় 7:14‭-‬16
    11https://biblehub.com/gnt/isaiah/7.htm#fn
    12https://biblehub.com/nabre/isaiah/footnotes.htm#fn29007014-1
    13https://bible.com/bible/155/isa.54.4.SBCL
    14http://bible.com/bible/155/pro.30.19.SBCL
    15মথি 1:21
    16লুক 1:30
    17ইসাইয়া ৭:২
    18ইসাইয়া ৭:৯
    19ইসাইয়া ৭:৪
    20যোহন 10:29-30
    21যোহন 14:20 BCV
    22যোহন 17:21 BCV
    231 করিন্থীয় 12:26‭-‬27 BCV
    24মার্ক 2:10 BCV
    25যোহন 20:21‭-‬23 BCV
    26লূক 11:2‭-‬4 BCV
    271 শমূয়েল 15:24‭-‬25 BCV
    28লেবীয় পুস্তক 4:20-26
    29যাত্রাপুস্তক 10:16‭-‬17 SBCL
    30প্রকাশিত বাক্য 1:17 SBCL
    31প্রকাশিত বাক্য 22:13 SBCL
    32প্রকাশিত বাক্য ২:৮
    33ইব্রীয় 7:3‭-‬4 SBCL
    34হিব্রুঃ ৭:১৭,২৩,২৮
    35যোহনঃ ৫:২২; মথি ২৫:৩১-৩৩
    36যোহন 3:2 BCV
    37, 85যোহন 13:3 BCV
    38যোহন 8:50 BCV
    39যোহন 12:48‭-‬49 BCV
    40মথি 19:28 BCV
    41লূক 22:30 BCV
    42প্রকাশিত বাক্য 20:4 BCV
    43মথিলিখিত সুসমাচার 9:23‭-‬26 BERV
    44, 101১ রাজাবলি ১৭:১৭-২৪
    45২ রাজাবলি ৪:১৮-৩৭, ১৩:২০-২১
    46, 99প্রেরিত ৯:৩৬-৪২
    47প্রেরিত ২০:৯-১২
    48লূক 5:8 BCV
    49মথি ২:১০-১১, ৮:২, ৯:১৮, ২৮:৯
    50আদিপুস্তক ২৭:২৯
    51আদিপুস্তক ৩৩:৩
    52আদিপুস্তকঃ ৪২:৬, ৪৩:২৬
    53আদিপুস্তক ৪৮:১২
    54রুত ২:১০
    55১ সামুয়েল ২০:৪১
    56১ সামুয়েল ২৪:৮
    57১ সামুয়েল ২৫:২৩
    58১ সামুয়েল ২৮:১৪
    59মথি 8:26‭-‬27 BCV
    60১ রাজাবলিঃ ১৮:৩৮; ২ রাজাবলি ১:১০
    61যোহন 8:12 BCV
    62যোহন 9:5 BCV
    63মথি ৫:১৪, ৬:২৩
    64কলসীয় 1:15 SBCL
    65হিব্রু ১:৩, ২ করিন্থীয় ৪:৪
    66, 69আদিপুস্তক ১:২৭
    67যাকারিয়া ১২:৩
    68যোহন 8:58 BCV
    70মেসাল ৮:২৬
    71মেসাল ৮:২৮-২৯
    72মিখা ৬:২
    73যোহন 14:14 BCV
    74যোহন 14:12‭-‬14 BCV
    75লুক 11:2
    76যোহন ১৬:২৩
    77যোহন ৪.২৩
    78যোহন ১৭:৩
    79লূক ১৬:১২
    80মথি ২০:২৮
    81মথিঃ ২৬.২৯
    82হিব্রু 5:7
    83মথি ২৮:১৮, ১৬:১৫
    84প্রকাশিত 7.2
    86মথি ৩:১৭, ২৭:৫৪, ২৮:১৯
    87যেরিমায়া ৩১:২০
    88যাত্রাপুস্তক ৪:২২
    89গীতসংহিতা ২:৭
    90১ রাজাবলি ২২:১০, ২৮:৬
    91লুক ৩:৩৮
    92যোহন ১৪:৯
    93যোহন ৫:৩৭, ১:১৮
    94যোহন ৩:১৩
    95আদিপুস্তক ৫:২৩-২৪
    96২ রাজাবলি ২:১-১৩
    97মথি ২৮:৫-৬; লুক ২৪:৬; মার্ক ১৬:৬
    98মথি ২৭:৫২-৫৩
    100প্রেরিত ২০:৭-১২
    102২ রাজাবলি ৪:১৮-৩৭
    103২ রাজাবলি ১৩:২০-২১
    104মথি ১১:২১-২৩
    105দ্বিতীয় বিবরণ ৩৪:১০-১২
    106১ রাজাবলি ১৭:১
    107১ রাজাবলি ১৭:৪
    108১ রাজাবলি ১৭:১৪
    109১ রাজাবলি ১৭.২২
    110১ রাজাবলি ১৮:৩৮
    111১ রাজাবলি ১৮.৪৫
    112১ রাজাবলি ২১.২২
    113১ রাজাবলি ২১.২৩
    114২ রাজাবলি ১.৪
    115২ রাজাবলি ১.১০
    116২ রাজাবলি ২.১২
    117২ রাজাবলি ২:৮
    118২ রাজাবলি ২.১০
    119২ রাজাবলি ২.১১
    120২ রাজাবলিঃ ২.১৪
    121২ রাজাবলিঃ ২.২১
    122২ রাজাবলিঃ ২.২৪
    123২ রাজাবলিঃ ৩.১৭
    124২ রাজাবলিঃ ৩.২২
    125২ রাজাবলিঃ ৪.৪
    126২ রাজাবলিঃ ৪.১৬
    127২ রাজাবলিঃ ৪.৩৪
    128২ রাজাবলিঃ ৪.৪১
    129২ রাজাবলিঃ ৪.৪৩
    130২ রাজাবলিঃ ৫.১৪
    131২ রাজাবলিঃ ৫.২৬
    132২ রাজাবলিঃ ৫.২৭
    133২ রাজাবলিঃ ৬.৬
    134২ রাজাবলিঃ ৬.৯
    135২ রাজাবলিঃ ৬.১৭
    136২ রাজাবলিঃ ৬.১৮
    137২ রাজাবলিঃ ৬.২০
    138২  রাজাবলিঃ ৭.১
    139২ রাজাবলিঃ ৭.২
    140২ রাজাবলিঃ ৭.৬
    141২ রাজাবলি ৪.১
    142২ রাজাবলি ৮.১০
    143২ রাজাবলিঃ ৮.১২
    144২ রাজাবলিঃ ৯.৭
    145২ রাজাবলিঃ ১৩.১৭
    146২ রাজাবলিঃ ১৩.১৯
    147২ রাজাবলিঃ ১৩.২১
    148মথিঃ ২৪.২৪
    149লূকঃ- ১১.২৯
    150যোহনঃ ৮.৫৮-৫৯
    151John 8:58 KJV
    152আদিপুস্তকঃ ২২.১১
    153যাত্রাপুস্তকঃ ৩.৪
    154যোহনঃ ৯.৯
    Show More
    5 2 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button