কোরআন ও ইতিহাসের পাতায় রাসূল ও তার সাহাবাগণ

প্রশ্নোত্তর (Q&A)Category: ইসলামকোরআন ও ইতিহাসের পাতায় রাসূল ও তার সাহাবাগণ
Arafat asked 5 months ago
১. কুরআন হাদীসের বাইরে কি হজরত মুহাম্মদ( স.),আয়শা (রা.),আবু বকর (রা.)উমর (রা.),আলি (রা.) এদের কি কোন ইতিহাস ও অস্তিত্ব রয়েছে? নাস্তিকরা বলে কোনো ইতিহাস তারা পায় নি।   ২.আল কোরআনে কি আমাদের নবীর নাম পরিষ্কার  ভাবে রয়েছে? হাদীস অস্বীকার কারীদের কিছু লোক বলে এখানে মুহাম্মাদুন বলতে বহুবচন এবং এসকল আয়াত দ্বারা নাকি অন্য কিছু বোঝানো হয়েছে,নবীকে বা নবীর নামকে বুঝানো হয় নি। দয়া করে আমাকে এ বিষয় টি বুঝিয়ে দিন।
1 Answers
On behalf of the authors answered 5 months ago

১. লক্ষাদিক হাদিস আছে সেটা কি জানেন? তার মাঝে একই হাদিস বিভিন্ন সনদ ও অল্প কিছু শব্দের পার্থক্য থাকায় বার বার রিপিট হওয়া হাদিসগুলোকে একাধিক বার না হিসাবে আনি তাহলে হয়তো গ্রহনযোগ্য হাদিসে পরিমান ১০ হাজারের কাছাকাছি হবে। যদি মতনে অল্প কিছু পার্থক্য সহ একাধিক বার রিপিট হওয়া হাদিস ও একই হাদিস অসংখ্য গ্রহনযোগ্য সনদে বর্ণিত হওয়ায় সেগুলোকেও হিসাবে আনি তাহলে দেখা যায় অনায়াশে গ্রহনযোগ্য হাদিসের পরিমান ১ লক্ষেরও বেশি হয়ে যাবে।

চিন্তা করে দেখুন যদি এক লক্ষ হাদিসও মনে করি তাহলেও সেই হাদিসের সনদে লক্ষাধিক রাবী রয়েছে। তার মানে কি লক্ষাদিক মানুষ কিছু কাল্পনিক চরিত্রের বিভিন্ন ঘটনা সনদ সহ বর্ণনা করেছিল?

কুরআন যেটার সংরক্ষণের ডিটেইল হিস্ট্রি রয়েছে। তা কি তাহলে আসমান থেকে সরাসরি কিতাব আকারে পড়েছিল? যদি না হয় তাহলে তা আসলো কোথা থেকে? আজ পর্যন্ত কেউ কি এর উত্তর বের করতে পারলো না যে এই রহস্যময় কিতাব কে লিখেছে? তাহলে কি আজ পর্যন্ত কেউই জানতে পারলা না এই কাল্পনিক চরিত্রগুলোর পিছনে কে আসলে এই কিতাবের লেখক?

তাহলে কি কিছু কাল্পনিক চরিত্রের বিষয়েই হাজার হাজার পৃষ্ঠার মোটা মোটা জীবনি রচিত হয়েছে?

রোমানদের সাথে যুদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুশরিকদের সাথে যুদ্ধ, বিভিন্ন দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়া এই সব কিছুই কাল্পনিক?

বিষয়টা চিন্তা করতেও অভাক লাগে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কি করে এই জাতীয় কাল্পনিক চরিত্র হওয়ার অভিযোগ আনতে পারে তাদের উপর! মাথার ঘিলু কি এই অভিযোগ করা পাবলিকদের একদমই নেই?

আর আপনি বলছেন নাস্তিকরা নাকি বলছে তারা ইতিহাসে পায় নি এই চরিত্রদের কোন প্রমান। আমার প্রশ্ন তারা কোন ইতিহাসের বইতে খুজেছে? তারা কি প্রাথমিক শ্রেণির ইতিহাসের বইতে খুজেছিল নাকি? কারন ইতিহাসে না পাওয়া এই কথাটা কেউ যদি বলে তাহলে নিশ্চয় প্রাথমিক শ্রেণীর ইতিহাসের বইকেই মিন করছে, না হয় না পাওয়ারতো কথা না।

এছাড়া দেখতে পারেন https://youtu.be/J_fajOAPJtU?si=INDKSd4R4lBCME_4https://youtu.be/yd2mU60_E7w?si=L4_DcH5md7w3pBm7https://en.wikipedia.org/wiki/Historicity_of_Muhammad

২. কুরআনে রাসূল (সা) এর নামটি এসেছে প্রায় ৪/৫ বার। আপনি সেগুলোর আগে পিছের আয়াত, কনটেক্স দেখলেই স্পষ্ট বুঝে যাবেন সেখানে অন্য কারো কথা বলা হয়েছে নাকি শেষ নবী মুহাম্মদ (সা) এর কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ বলে সেই আয়াতে অন্য কারো কথা বলা হয়েছে তাহলে সে সুস্পষ্ট প্রমান পেশ করুক যদি সত্যবাদি হয়ে থাকে।

Back to top button