হিন্দুধর্ম

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

নিরামিষাশীদের যম = বাল্মিকীর কাল্পনিক চরিত্র 'রাম'

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যার এক নয় বরং অনেকগুলো নজির রয়েছে, তাও একাধিক কাণ্ডে। আমরা বরং কাণ্ড ভাগ করে সেদিকে আলোচনা করি।

[আলোচনায় যাওয়ার আগে অনুরোধ, মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কেউ রামকে আইডল হিসেবে নিয়ে মদ্যপানে সংযুক্ত হতে যাবেন না যেন।]

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

বাল্মিকী রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

হিন্দুদের ভেতরে আদিকাণ্ড এবং উত্তরকাণ্ড কতটুকু অথেনটিক সেটা নিয়ে মারামারি আছে। তাই এ দুটো ছাড়াও আমরা অন্যান্য কাণ্ড থেকেও রেফারেন্স উল্লেখ করেছি।

আদিকাণ্ড বা, বালকাণ্ড

আদিকাণ্ডের সর্গ ১৮ তে বলা আছে যে, রাম জঙ্গলে পশু শিকারে যেতো।

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

যখন রাম অশ্বে আরোহণপূর্বক মৃগয়ার্থ [1]মৃগয়া অর্থ জংলী পশু-পাখী মারার কাজ – অভিধান.ভারতনির্গত হইতেন, তৎকালে তিনি শরাসন গ্রহণপূর্বক তাঁহার শরীর রক্ষার্থে অনুগমন করিতেন।[2]বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকাণ্ড/বালকাণ্ড, সর্গ ১৮, ভার্স ৩১, অনুবাদঃ উপেন্দ্রনাথ হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রকাশনঃ তুলি-কলম, প্রকাশকঃ কল্যাণব্রত দত্ত, … See Full Note

এক যজ্ঞে দেখা যায় ঘোড়াসহ বিভিন্ন প্রকার পশু-পাখি বলি হচ্ছে,[3]বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকান্ড ১৪/৩০-৩৩

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যারামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

যজ্ঞস্থলে ইন্দ্রাদি দেবগণের উদ্দেশে নানাপ্রকার পশু জীব উরগ জলচর অশ্ব ও পক্ষিসকল সংগৃহীত ছিল, ঋত্বিকেরা শাস্ত্রানসারে সকলকেই বিনাশ করিলেন। ঐ সমস্ত যুপকাষ্ঠে তিন শত পশ, ও রাজা দশরথের উৎকৃষ্ট এক অশ্ব বদ্ধ ছিল রাজমহিষী কৌশল্যা সেই অশ্বের পরিচর্যা করিয়া হৃষ্টমনে তিন খড়্গাঘাতে তাহাকে ছেদন করিলেন।

আদিকান্ডের অন্যত্র মেষ খাওয়ার কথা পাওয়া যায়,[4]বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকান্ড ৪৯/৭-৯

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

তদবধি তাঁহাদিগেরও ষণ্ড মেষ ভক্ষণের একটি নিয়ম হইলো।

পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

আদিকাণ্ডের সর্গ ৬১-তে দেখা যায় এক যজ্ঞে বলির পশু ইন্দ্র চুরি করায় মুনি প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ নরবলি দেওয়ার কথা বলে,[5]বাল্মিকী রামায়ণ, ৬১/১-৮

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

অযোধ্যাকাণ্ড

অযোধ্যাকাণ্ডের ২০ তম সর্গে বোঝা যায়, রামের বনবাসের পূর্বে আমিষাভ্যাস ছিলো। তাকে ‘আমিষ পরিত্যাগ করে’ জঙ্গলে যেতে হবে।

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

আর আসনে আমার প্রয়োজন কি? এক্ষণে আমাকে ঋষিগণের বিস্টরাসন ব্যবহার এবং তাঁহাদিগেরই ন্যায় আমিষ পরিত্যাগপূর্বক কন্দমূলফলে শরীর ধারণ করিয়া বনে বনে চতুর্দশ বৎসর অতিবাহিত করিতে হইবে।[6]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ২০, ভার্স ২৯

তবে এই কথা যে রাম ভঙ্গ করেছিলো তার প্রমাণ পরেই পাবেন।

সর্গ ৩৩ এ দেখা যায়, যেখানে মাংস সহজলভ্য সেই স্থান অধিকার করে নিতে বলে হয়েছে, (পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ):[7]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকান্ড ৩৩/২৪-২৫

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

রামের চোখে কোশলদেশে[8]রামায়ণ মিথোলজি অনুসারে, রাম উক্ত শহরে শাসন করেছিলো মন্দিরে পশু-বলির বেদী বা যূপঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

ক্রমে সায়ংকালীন সূর্যের ন্যায় রাম অদৃশ্য হইলেন এবং যথায় বিস্তর বদান্য লোকের বসতি আছে, চৈত্য ও যূপসকল[9]যূপ এর বাংলা অর্থ (DictionaryFAQ): যূপ [ yūpa ] বি. ১. বলির জন্য যজ্ঞ বাঁধার কাঠের দণ্ড, হাড়িকাঠ; ২. জয়স্তম্ভ।;[সং. যু + প]।;যূপকাষ্ঠ বি. হাড়িকাঠ।;[জুপো] (বিশেষ্য) যজ্ঞস্তম্ভ; … See Full Note শোভা পাইতেছে এবং নিরন্তর বেদধ্বনি হইতেছে, যথায় সকলেই হৃষ্টপুষ্ট, যে স্থান আম্রকাননে পরিপূর্ণ, জলাশয়-শোভিত এবং ধনধানা ও যেন সম্পন্ন, রাম ক্রমশঃ সেই রাজগণের দর্শনীয় রমণীয় কোশল দেশ অতিক্রম করিলেন এবং মন্দবেগে সুরম্যোদ্যানশোভিত সুসমৃদ্ধ শৃঙ্গবের পরে উপনীত হইলেন।[10]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫০, ভার্স ৮

রামের জন্য সীতা মাংস-পোলাও এবং ১০০ কলসি মদ দেওয়ার মানত। অন্যদিকে রামের হরিণশিকার ও তার মাংসভক্ষণঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

রাম ভালয় ভালয় পৌঁছিলে এবং রাজ্য পাইলে আমি ব্রাহ্মণগণকে দিয়া তোমারই প্রীতির উদ্দেশে তোমাকে অসংখ্য গো ও অশ্ব দান করিব, সহস্র কলস সুরা পলান্ন[11]পলান্ন এর বাংলা অর্থ (DictionaryFAQ): পলান্ন [ palānna ] বি. মাংস-সহযোগে পাক-করা অন্ন; পোলাও।;[সং. পল + অন্ন]।;[পলান্‌নো] (বিশেষ্য) মাংসাদি মিশ্রিত ঘৃতপক্ব অন্ন; বিরিয়ানি; … See Full Note দিব। তোমার তাঁরে যে-সকল দেবতা রহিয়াছেন, তাঁহাদিগকে এবং তীর্থস্থান ও দেবালয় অর্চনা করিব।[12]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫২, ভার্স ৮৯

অনন্তর রাম সুসমৃদ্ধ শস্যবহুল বৎসদেশে উপস্থিত হইরা লক্ষ্মণের সহিত বরাহ, ঋষ্য, পৃষত ও মহারুরু, এই চারি প্রকার মৃগ বধ করিলেন এবং উহাদের পবিত্র মাংস গ্রহণপূর্বক সায়ংকালে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হইয়া বনমধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন।[13]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫২, ভার্স ১০২

সর্গ ৫৫ তে এসেছে রাম-লক্ষ্মণের হরিণ-শিকার এবং তার মাংসভোজনের কথা,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

অনন্তর রাম ও লক্ষ্মণ তথা হইতে ক্রোশমাত্র গমনপূর্বক বহুসংখ্য পবিত্র মৃগ বধ করিয়া বনমধ্যে ভোজন করিলেন এবং মাতঙ্গসঙ্কুল বানরবহুল বিপিনে সুখে বিচরণ করিয়া নিশাকালে সমতল নদীতীরে আশ্রয় লইলেন।[14]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৫, ভার্স ৩২

সর্গ ৫৬ তে হরিণের মাংস আগুনে রান্নার কথা পাওয়া যায়,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

ঐ গৃহের চতুর্দিক কাষ্ঠাবরণে আবৃত উপরিভাগ পত্রদ্বারা আচ্ছাদিত এবং উহা অতি সুদৃশ্য হইয়াছে, – দেখিয়া রাম পরিচারণপর লক্ষ্মণকে কহিলেন, বৎস! এক্ষণে আমাদিগকে মৃগমাংস আহরণ করিয়া গৃহযোগ করিতে হইবে। যাঁহারা বহুদিন জীবনধারণের বাসনা করেন, তাঁহাদিগের বাস্তুশান্তি করা আবশ্যক। অতএব তুমি অবিলম্বে মৃগবধ করিয়া আন। শাস্ত্রনির্দিষ্ট বিধি পালন করা সর্বতোভাবেই শ্রেয় হইতেছে।  তখন লক্ষ্মণ বন হইতে মৃগ বধ করিয়া আনিলেন। তদ্দর্শনে রাম পুনরায় তাঁহাকে কহিলেন, বৎস! তুমি গিয়া এই মৃগের মাংস পাক কর; আমি স্বয়ংই বাস্তুশাস্তি করিব। দেখ, অদ্যকার দিবসের নাম ধ্রুব এবং এই মুহূর্তেও সৌম্য, অতএব তুমি এই কার্যে যত্নবান হও। তখন লক্ষণ প্রদীপ্ত বহ্নিমধ্যে পবিত্র মৃগমাংস নিক্ষেপ করিলেন এবং উহা শোণিতশূণ্য ও অত্যন্ত উত্তপ্ত হইয়াছে দেখিয়া রামকে কহিলেন, আর্য! আমি এই সর্বাঙ্গপূর্ণ কৃষ্ণবর্ণ মৃগ অগ্নিতে পাক করিয়া আনিলাম, আপনি এক্ষণে গৃহযোগ আরম্ভ করুন।[15]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৬, ভার্স ২২-২৮

বাল্মিকী রামায়ণের আরেকটি ভার্শনে অযোধ্যাকাণ্ডের ৫৬ সর্গের ভার্স ৩৪-৩৫ এ এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

পরে তিনি আশ্রমোচিত বেদিস্থল-বিধেয় চৈত্য ও দেবালয় সমস্ত স্থাপন করিয়া সমুদয় প্রাণীকে যথা যোগ্য ফল ও মাংস-দ্বারা তর্পিত করত সেই পর্ণশালায় প্রবেশ করিতে অভিলাষী হইলেন।[16]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৬, ভার্স ৩৪-৩৫, অনুবাদঃ আশুতোষ শিরোরত্ন

উপর্যুক্ত ভার্শন পাবেন আপনি IIT Kanpur Word by Word Translation, K.M.K Murthy Word by Word Translation, Manmatha Nath Dutt এর অনুবাদের ফুটনোটে, হরি প্রসাদ শাস্ত্রীর অনুবাদে (ভার্স ৩২), দ্বারকা প্রসাদ শর্মার অনুবাদ, উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদ ইত্যাদিতে।

যাহোক, আমরা আবার হেমচন্দ্রের অনুবাদে ফেরত আসি…

অযোধ্যাকাণ্ডের সর্গ ৮৪ তে এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

বলবান দাসেরা মাংস ও ফলমূলে লইয়া ভরতের নদী পার হইবার পথে বিঘ্ন আচরণ করিবার নিমিত্ত প্রস্তুত হইয়া থাকুক।…নিষাদপতি জ্ঞাতিবর্গকে এইরূপে অনুমতি করিয়া মৎস্য, মাংস ও মধু উপহার লইয়া ভরতের নিকট চলিলেন।…নিষাদেরা বন্য ফলমূল আহরণ করিয়া রাখিয়াছে, আর্দ্র ও শুষ্ক মাংস এবং অরণ্যসুলভ অন্যান্য খাদ্যও সংগৃহীত আছে।[17]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৮৪, অনুবাদঃ হেমচন্দ্র

সর্গ ৯১-এ এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ মৈরেয় মদ্য, কেহ কেহ সুসংস্কৃত সুরা এবং কেহ কেই বা ইক্ষুরস-স্বাদু সুশীতল জল প্রবাহিত করিতে থাকুন।…বৃক্ষচ্যুত বিচিত্র মাল্য, সুরা প্রভৃতি পানীয় ও নানাপ্রকার মাংস সুলভ করিয়া দিন।…কহিতে লাগিল, সুরাপায়িগণ! সুরাপান কর। ক্ষুধার্তগণ! সুসংস্কৃত মাংস ও পায়স প্রচুররূপে আহার কর।…ঐ সমস্ত পাত্রে ফলরসসিদ্ধ সুগন্ধি সূপ, উৎকৃষ্ট ব্যঞ্জন এবং ছাগ ও বরাহের[18]বরাহ মানে শূকর মাংস রহিয়াছে। বনবিভাগস্থ কূপসমূহে পায়সের কর্দম দৃষ্ট হইল। ধেনুগণ অভীষ্ট প্রদান এবং বৃক্ষসকল মধুক্ষরণ করিতে লাগিল। পরিতপ্ত পিঠরপক্ক মৃগ ময়ূর ও কুক্কুটের মাংস এবং মদ্যে দীর্ঘিকাসকল পরিপূর্ণ হইয়াছে।[19]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯১

অযোধ্যাকাণ্ডের সর্গ ৯৬ তে এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

দেখ এই মৃগমাংস অত্যন্ত স্বাদু ও পবিত্র এবং ইহা অগ্নিতে সংস্কার করা হইয়াছে।

উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কাটছাঁট করেন নি, কিংবা ভিন্ন ভার্শনঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

তৎকালে, রাম জনকনন্দিনী সীতাকে গিরিনদী মন্দাকিনী দর্শন করাইয়া, এবং মাংসবিশেষ প্রদর্শনে সীতার প্রীতি উৎপাদন করিয়া পর্বতের একটি শিলার উপরে বসিয়াছিলেন। তিনি বলিতে লাগিলেন, জানকি ! এই মাংস অতি পবিত্র, এই মাংস অতি স্বাদু এবং এই মাংস অগ্নিতে উত্তমরূপে পাক করা হইয়াছে।[20]বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯৬, ভার্স ১-২

আরণ্য কাণ্ড

বাল্মিকী রামায়ণের আরণ্য কাণ্ডের ৪৩ সর্গে এসেছে, সুন্দর একটি হরিণ দেখার পর সীতার আবদার, যদি জীবিতও না আনতে পারো, সমস্যা নেই, সেটার চামড়া আমার কাজে লাগবেঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

যদি মৃগ জীবিত থাকিতে তোমার হস্তগত না হয়, তাহা হইলেও উহার রমণীয় চর্ম আমাদের ব্যবহারে আসিতে পারে।[21]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্য কান্ড, সর্গ ৪৩, ভার্স ১৯-২০

একই সর্গে দেখা যায়, রাজারা বনে গিয়ে হরিণ শিকার করতেন। এখানে রামের উদ্দেশ্য ছিলো সেই হরিণকে হত্যা করে হরিণের সুন্দর চামড়া তার বউ সীতাকে গিফ্‌ট করাঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

৪৪ সর্গে এসেছে, মারীচকে হত্যা করার পর রাম অন্য হরিণ হত্যা করলো,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

অনন্তর তিনি অন্য মৃগ বধ করিয়া তাহার মাংস গ্রহণপূর্বক সত্বরে  আশ্রমের অভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন।[22]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্য কান্ড, সর্গ ৪৪, ভার্স ২৭

সর্গ ৪৭ এ এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

আমার স্বামী নানা প্রকার পশু হনন ও পশুমাংস গ্রহণপূর্বক শীঘ্র আসিবেন।[23]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড, সর্গ ৪৭, ভার্স ২২-২৩

মাংসভক্ষণ শাস্ত্রবিহিত নিয়ম (পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ):[24]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড ১১/৫৬-৬৭

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

আরণ্যকাণ্ডের ৬৮ সর্গেও হরিণশিকার এবং তার মাংস খাওয়ার কথা আছে,[25]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড, ৬৮/৩২-৩৩

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

আরণ্যকাণ্ডে মাছ শিকার ও খাওয়ার কথাও পাওয়া যায়।[26]বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড ৭৩/১২-১৫

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড

রামের নিরপরাধ বানরহত্যা! কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডের সর্গ ১৭ তে এসেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

 

উত্তরকাণ্ড

উত্তরকাণ্ডের ৪২ সর্গে রাম-সীতার মদ্যপান এবং গোশত খাওয়ার কাহিনি আছে,

রামায়ণে মদ্যপান

রাম ঐ অশোক বনে প্রবেশ করিয়া কুসুমখচিত আস্তরাচ্ছন্ন আসনে উপবেশন করিলেন এবং সীতাকে লইয়া স্বহস্তে মৈরেয় নামক বিশুদ্ধ মদ্য পান করাইতে লাগিলেন। ঐ সময় ভৃত্যেরা শীঘ্র রামের ভোজনার্থে সুসংস্কৃত মাংস ও নানাপ্রকার ফলমূল আনয়ন করিল।[27]বাল্মিকী রামায়ণ, উত্তরকাণ্ড, সর্গ ৪২, ভার্স ১৮-১৯

উত্তরকান্ডের অন্যত্র আছে (পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ):[28]বাল্মিকী রামায়ণ, উত্তরকাণ্ড ৫২/১৯, পঞ্চানন তর্করত্ন ভার্শন

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

FACT CHECK

হিন্দুদের মধ্যে আবার স্বাভাবিক (আমিষাশী, সর্বভুক) এবং অস্বাভাবিক (নিরামিষভোজী, কিন্তু আমিষফোবিক) দু-প্রকার মানুষই আছে। কিন্তু অস্বাভাবিক মানুষগুলো আবার রামের মাংস খাওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারে না। তাই নিজের ব্যবসা বাঁচাতে যেনতেনভাবে রামায়ণের উক্ত শ্লোকগুলো ঘুরিয়ে পেচিয়ে উপস্থাপন করতেই হবে।

Fact Check: রামায়ণ ৩/৪৭/২২-২৩ এ ‘আমিষ’ মানে মাংস নয়

প্রোটেস্টেন্টদের দাবি ঋগ্বেদ ১০/৯৪/৩ এ ‘আমিষ’ অর্থ হচ্ছে ‘বৃক্ষের পক্ক ফল’, তাই রামায়ণের উক্ত শ্লোকে ‘আমিষ’ অর্থ ‘মাংস’ করা অনুচিত।

আসুন ঋগ্বেদ ১০/৯৪/৩ এ আমিষের অর্থে কী আছেঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

এখানে আমিষ অর্থ মাংসই।

ভালো করে লক্ষ করুন ঋগ্বেদের এই মন্ত্রটি দুটি বাক্যে বিভক্তঃ প্রথম অংশে ‘আমিষ’ শব্দ এসেছে, আর দ্বিতীয়াংশে বৃক্ষের কথা এসেছে। তাই ‘আমিষ’ অর্থ ‘বৃক্ষের পক্ক ফল’ হওয়া অসম্ভব। বরং এখানে ‘পক্ক আমিষি’ মানে রান্না করা মাংস।

যেমন মাংশাসীরা মাংস পাক হ’লে আহ্লাদসূচক রব করে, এরাও সেরকম রব করছে। নবীন বৃক্ষের শাখা ভক্ষণকালে সুন্দরভাবে ভক্ষণ করতে করতে বৃষগণ যেমন শব্দ করে, এরাও সেইরকম শব্দ করছে।[29]ঋগ্বেদ সংহিতা, ১০/৯৪/৩, অনুবাদঃ দুর্গাদাস লাহিড়ী এবং রমেশচন্দ্র, প্রাপ্তিস্থানঃ অক্ষয় লাইব্রেরি, কলকাতা অথবা, বেদঘর লাইব্রেরি

অবশ্য, অনুবাদ যদি হয় কোনো সমাজী সংগঠনের জালিয়াতিপূর্ণ অনুবাদ, তাহলে তো কথাই নেই! তারা নিজেরাই ঋগ্বেদের জাল অনুবাদ করে সেটার ‘ভিত্তিতে’ রামায়ণের বিচার করছে! কী ভাঁওতাবাজি রে বাবা!

আর এমনিতেও আমিষ অর্থ কী সেটা আমরা সবাই জানি, ক্লাস টু-তে পড়া ছেলেটাও জানে।

Fact Check: রামায়ণ ৫/৩৬/৪১ এ বলা আছে, রাম মদ-মাংস খায় না

বাল্মিকী রামায়ণের সুন্দরকাণ্ডের ৩৬ সর্গের ৪১ ভার্স দেখিয়ে কিছু কিছু ফ্যালাসিস্ট দাবি করছে, সেখানে নাকি রামের নিরামিষাশী হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।

উক্ত দাবিটি একটি কুযুক্তি

এখানে ঘাসভোজীরা “চেরিপিকিং ফ্যালাসি” ব্যবহার করে। প্রকৃতপক্ষে উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে, সীতার বিরহে রাম মদ-মাংস আর খায় না। আমরা শ্লোকটি দেখে নিইঃ

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

তিনি তোমার বিরহে আর মদ্য মাংস স্পর্শ করেন না,…।[30]বাল্মিকী রামায়ণ, সুন্দরকাণ্ড, সর্গ ৩৬, ভার্স ৪১

অর্থাৎ, এর আগে যে রাম মদ-মাংস খেতো, আর সীতার বিরহে ছেড়ে দিয়েছিলো – ব্যাপারটি এখানে আবার প্রমাণিত হলো।

ইংরেজি কিশোরী মোহনের অনুবাদে যদিও ‘আর’ আসে নি, কিন্তু কনটেক্সট পড়লে বুঝতে পারবেন। — সীতাকে অপহরণের পর হনুমান রামের দুরবস্থা বর্ণনা করছে সীতার কাছে, সেখানে বলেছে রাম মদ-মাংস খায় না। — এর মানে বোঝাই যায়, রাম সীতার অপহরণে দুঃখ পাওয়ার কারণেই এসব ছেড়ে দিয়েছে।

যদি আগে থেকেই এসবের অনভ্যাস থাকতো, তাহলে হনুমানের এটা বর্ণনা করার কোনো মানেই ছিলো না। যেহেতু সীতা তার স্ত্রী, সেহেতু আগে নিরামিষ খেলে সেটা সে জানতোই।

পঞ্চানন তর্করত্নও একই রকম অনুবাদ করেছে,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

Fact Check: গীতা প্রেসের অনুবাদ

কিছু ফ্যানাটিক হিন্দু বলছে, ‘আপনি কেন গীতা প্রেসের অনুবাদ পোস্ট করছেন না?’

তাদের বলতে চাই, গীতা প্রেসের এই শ্লোকগুলোর অনুবাদে জালিয়াতি দেখতে পাবেন এখানে

Fact Check: রামায়ণে মৃগ মানে পশু/হরিণ না

কিছু অস্বাভাবিক দেবতাদের দাবি রামায়ণে মৃগ মানে হরিণ/পশু না। এ প্রসঙ্গে তারা আয়ুর্বেদের মৃগ অর্থ দাঁড় করায় ‘গজকন্দ জাতীয় মূল’। তাই রামায়ণে ব্যবহৃত মৃগ শব্দের অর্থ সেটাই।

তাদের কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন, রামায়ণে ‘মৃগ’ দিয়ে যে এটাই বলা হয়েছে সেটা কি তারা তাদের ভগবান থেকে শুনেছে? এই মর্মে কোনো প্রমাণ আছে তাদের কাছে?

মৃগ শব্দের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অর্থ পশু বা, হরিণজাতীয় পশু। হিন্দুদের নিঘণ্টু-তেও মৃগ অর্থ পশু।[31]The Nighantu and the Nirukta, page 20 (ইংরেজি অংশ). অন্যান্য প্রচুর স্থানে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে মৃগ মানে হরিণ/অ্যানিমেল।[32]https://www.wisdomlib.org/definition/mriga

আচ্ছা আসুন আমরা তর্কের খাতিরে মেনে নিই মৃগ মানে ফল/Fruit, তারপর অনুবাদ মেলানোর চেষ্টা করি। বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫২, ভার্স ১০২ তে মিলাই,

তৌ তত্র হত্বা চতুরো মহামৃগান্ব রাহমৃশ্যং পৃষতং মহারুরুম্ ।
আদায় মেধ্যং ত্বরিতং বুভুক্ষিতৌ বাসায় কালে যযতুর্বনস্পতিম্ ।।

অনন্তর রাম সুসমৃদ্ধ শস্যবহুল বৎসদেশে উপস্থিত হইরা লক্ষ্মণের সহিত বরাহ, ঋষ্য, পৃষত ও মহারুরু, এই চারি প্রকার মৃগ বধ করিলেন এবং উহাদের পবিত্র মাংস গ্রহণপূর্বক সায়ংকালে অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হইয়া বনমধ্যে প্রবিষ্ট হইলেন।

‘বরাহ, ঋষ্য, পৃষত ও মহারুরু’ এগুলো একটু সার্চ করে দেখুন, এগুলো কীসের প্রকার? হরিণের নাকি ফলের?

এমনি করে চিন্তাশীল পাঠক বাকিগুলো মিলিয়ে দেখুন।

Fact Check: রামায়ণে সংস্কৃত ‘মাংস’ মানে বাংলায় ‘মাংস/গোশত’ না

তো এবার ধর্মপালনকারীদের দাবি সংস্কৃতে মাংস বলতে গোশত বোঝানো হয় নি। মাংসের আরেক অর্থ হচ্ছে ফলের রসালো অংশ। আর এখানে সেটাই বোঝানো হচ্ছে।

এবারো মনে হয় হিন্দুদের ভগবান রাম স্বপ্নে এসে এটা বলে গেছেন। হিন্দুশাস্ত্রে মাংস/মাংসম বলতে সাধারণত গোশতই (Meat) বোঝানো হয়েছে। সকল সংস্কৃত ডিকশনারি দেখুন।[33]https://www.wisdomlib.org/definition/mamsa নিরুক্ত/নিঘণ্টুতেও মাংস মানে Meat/গোশত।[34]https://archive.org/details/nighantuniruktao00yaskuoft/page/56/mode/1up

আচ্ছা রামায়ণের উদাহরণ দেখি, আগের শ্লোকটাই ধরুন। হরিণের মাংস বলতে কি ‘ফলের রসালো অংশ’ বোঝাচ্ছে?

তাছাড়া আমরা উপরে অনেকগুলো ভার্স দেখিয়েছি সেগুলোর সাথে মিলিয়ে দেখুন। পশুর মাংস দিয়ে কি ফলের রসালো অংশ বোঝায়? “ফল এবং মাংস” এরকম আলাদা লেখা থাকলে কি ফল আর মাংস যে আলাদা সেটা বোঝায় না?

আবার ফ্যানাটিকদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দেখুন, তারা নিজেরাই স্বীকার করে বাল্মিকী রামায়ণ ৫/৩৬/৪১ এ মাংস মানে গোশত।

Fact Check: রাম মৃগয়া করতেন না

ভক্তদের দাবি বাল্মিকী রামায়ণ ২.৪৯.১৬ তে বলা হয়েছে রাম মৃগয়া করতেন না।

আসুন দেখি কী লেখা,

রামায়ণে মদ্যপান, মাংসভোজন ও পশুহত্যা

১৫ নং শ্লোকে রাম নিজেই মৃগয়ায় যেতে চাইলেন। আর ১৬ তে বললেন ‘তাদৃশ প্রীতিকর’ নয়, এবং তা রাজর্ষিগণ সম্মত এবং হালাল।

আবার আদিকান্ডে(বালকান্ড) আমরা দেখেছি রামের মৃগয়ার অভ্যাস দেখেছি ইতোমধ্যেই

পরস্পরবিরোধী রামায়ণ

ভক্তরা আসলে রামায়ণের পরস্পরবিরোধিতাই উপস্থাপন করে। রামায়ণের তিনটি আর্গুমেন্ট পরস্পরবিরোধীঃ

১. রামায়ণ ওয়াদা দিয়েছেন তিনি নিরামিষাশী থাকবেন।

২. কিন্তু তিনি মদ/মাংস খেয়েছেন।

সমাধান

১. দুটোকেই যদি সঠিক ধরেন তাহলে আপনার ভগমানের সচ্চরিত্র প্রকাশ পাবে।

২. যদি দুনিয়ার বাকি সকল পণ্ডিতের অনুবাদ ভুল বলে দিয়ে গীতা প্রেসের জালিয়াতিপূর্ণ অনুবাদের উপর অন্ধবিশ্বাসী হোন, তাহলে কোনো সমস্যাই নেই। গীতাপ্রেস ‘মৃগবধ’ কেউ নিরামিষ বানাতে পারে।

৩. প্রক্ষিপ্ত ট্রিকঃ হিন্দুদের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্রিক হচ্ছে ‘প্রক্ষিপ্ত’ ট্যাগ লাগানোর ট্রিক। যা নিজেদের বিরুদ্ধে যাবে, সবগুলোই প্রক্ষিপ্ত। উদাহরণস্বরূপঃ ‘আমার প্রধান গ্রন্থ বেদ, (এবং শুধু আমার ব্যাখ্যাই মানবো বেদের), যা বেদের (আমার ব্যাখ্যার) বিপরীতে যাবে, তাই প্রক্ষিপ্ত, মানি না।’


যদিও এই রামের বাস্তবিক কোনো অস্তিত্ব নেই, ছিলো না, তবুও এই কাল্পনিক চরিত্রগুলো নিয়ে ভক্তদের মাতামাতি খুবই হাস্যকর।

That’s all for today!

    Footnotes

    Footnotes
    1মৃগয়া অর্থ জংলী পশু-পাখী মারার কাজ – অভিধান.ভারত
    2বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকাণ্ড/বালকাণ্ড, সর্গ ১৮, ভার্স ৩১, অনুবাদঃ উপেন্দ্রনাথ হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রকাশনঃ তুলি-কলম, প্রকাশকঃ কল্যাণব্রত দত্ত, ১-কলেজরোড, কলকাতা-৯, প্রিন্টঃ জানুয়ারি ১৯৯৫, পৃ ৪২
    3বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকান্ড ১৪/৩০-৩৩
    4বাল্মিকী রামায়ণ, আদিকান্ড ৪৯/৭-৯
    5বাল্মিকী রামায়ণ, ৬১/১-৮
    6বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ২০, ভার্স ২৯
    7বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকান্ড ৩৩/২৪-২৫
    8রামায়ণ মিথোলজি অনুসারে, রাম উক্ত শহরে শাসন করেছিলো
    9যূপ এর বাংলা অর্থ (DictionaryFAQ):

    যূপ [ yūpa ] বি. ১. বলির জন্য যজ্ঞ বাঁধার কাঠের দণ্ড, হাড়িকাঠ; ২. জয়স্তম্ভ।;[সং. যু + প]।;যূপকাষ্ঠ বি. হাড়িকাঠ।;[জুপো] (বিশেষ্য) যজ্ঞস্তম্ভ; বলির পশুকে যে কাষ্ঠখন্ডে বন্ধন করা হয়; হাড়িকাঠ (যূপকাষ্ঠ)। ২ বিজয়স্তম্ভ; জয়স্তম্ভ (পোষাণে খোদিত এক মনোরম মদনের যূপ-সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)। {(তৎসম বা সংস্কৃত) √যূ+প};

    10বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫০, ভার্স ৮
    11পলান্ন এর বাংলা অর্থ (DictionaryFAQ):

    পলান্ন [ palānna ] বি. মাংস-সহযোগে পাক-করা অন্ন; পোলাও।;[সং. পল + অন্ন]।;[পলান্‌নো] (বিশেষ্য) মাংসাদি মিশ্রিত ঘৃতপক্ব অন্ন; বিরিয়ানি; পোলাও (সঘৃত পলান্নে পুরিয়া হাতা-ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর)। {(তৎসম বা সংস্কৃত) পল(মাংস)+অন্ন};

    12বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫২, ভার্স ৮৯
    13বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫২, ভার্স ১০২
    14বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৫, ভার্স ৩২
    15বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৬, ভার্স ২২-২৮
    16বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৫৬, ভার্স ৩৪-৩৫, অনুবাদঃ আশুতোষ শিরোরত্ন
    17বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৮৪, অনুবাদঃ হেমচন্দ্র
    18বরাহ মানে শূকর
    19বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯১
    20বাল্মিকী রামায়ণ, অযোধ্যাকাণ্ড, সর্গ ৯৬, ভার্স ১-২
    21বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্য কান্ড, সর্গ ৪৩, ভার্স ১৯-২০
    22বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্য কান্ড, সর্গ ৪৪, ভার্স ২৭
    23বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড, সর্গ ৪৭, ভার্স ২২-২৩
    24বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড ১১/৫৬-৬৭
    25বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড, ৬৮/৩২-৩৩
    26বাল্মিকী রামায়ণ, আরণ্যকাণ্ড ৭৩/১২-১৫
    27বাল্মিকী রামায়ণ, উত্তরকাণ্ড, সর্গ ৪২, ভার্স ১৮-১৯
    28বাল্মিকী রামায়ণ, উত্তরকাণ্ড ৫২/১৯, পঞ্চানন তর্করত্ন ভার্শন
    29ঋগ্বেদ সংহিতা, ১০/৯৪/৩, অনুবাদঃ দুর্গাদাস লাহিড়ী এবং রমেশচন্দ্র, প্রাপ্তিস্থানঃ অক্ষয় লাইব্রেরি, কলকাতা অথবা, বেদঘর লাইব্রেরি
    30বাল্মিকী রামায়ণ, সুন্দরকাণ্ড, সর্গ ৩৬, ভার্স ৪১
    31The Nighantu and the Nirukta, page 20 (ইংরেজি অংশ).
    32https://www.wisdomlib.org/definition/mriga
    33https://www.wisdomlib.org/definition/mamsa
    34https://archive.org/details/nighantuniruktao00yaskuoft/page/56/mode/1up
    Show More

    ইন্দো আর্য

    [ছদ্মনামে লিখি] Join: t.me/HinduDhormo
    0 0 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button