ইসলামবিরোধীদের প্রতি জবাবকুরআন

জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি মানে কী?

আসলেই কি আল্লাহ কুরআনে বলেছেন যে তিনি সকল কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন? সব কিছুই কি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি? জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি মানে কি? আল্লাহ মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন? মানুষের জোড়া, চতুষ্পদ জন্তুর জোড়া, গৃহপালিত পশুর জোড়া, উদ্ভিদের জোড়া ইত্যাদি দ্বারা কুরআনে কি বুঝানো হয়েছে? এই আর্টিকেলে জানবো সেই সব প্রশ্নের যৌক্তিক ও দালিলিক উত্তর, ইনশাআল্লাহ।

কাফেররা এ সংক্রান্ত আয়াতগুলো দেখিয়ে দাবি করে থাকে কুরআনে নাকি বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে, সেসবেরও জবাব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। এ প্রশ্নের উত্তরে ইসলামকিউএ এর ফতোয়ার অনুবাদ সংযুক্ত করা হলো…

ইসলামকিউএ ফতোয়া নং ২২৩৪৫৭

ফতোয়ার লিংকঃ https://islamqa.info/en/answers/223457/
আরবিঃ https://islamqa.info/ar/answers/223457/

প্রশ্নঃ আমার প্রশ্ন এই আয়াত সম্পর্কে “এবং আমরা সবকিছুর জোড়া সৃষ্টি করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ করতে পার” [কুরআন ৫১:৪৯].

“জোড়া [জাওজায়ন]” শব্দটি কি একই জিনিসের দুটি প্রকরণ নির্দেশ করে, যেমন আপেল? “জোড়া” শব্দটি কি সব আয়াতেই একই প্রসঙ্গে আসে যা জোড়ায় সবকিছু সৃষ্টির কথা বলে? আপনি প্রমাণ সহ এই শব্দটি ব্যবহারের কিছু উদাহরণ দিতে পারেন?

সংক্ষিপ্ত উত্তরঃ “এবং আমরা তোমাদেরকে জোড়াসমূহে সৃষ্টি করেছি” অর্থাৎ আমরা তোমাদেরকে, পুরুষ ও নারীদেরকে একই প্রকার থেকে, যাতে তাদের প্রত্যেকে অন্যের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পায়, যাতে স্নেহ ও মমতা থাকে, যার ফলশ্রুতিতে সন্তানাদি উৎপন্ন হয়।

বিস্তারিত উত্তরঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার।

“এবং আমি সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি…” এর অর্থ

মহিমান্বিত ও গৌরবান্বিত আল্লাহ বলেন, (অর্থের অনুবাদ)

“আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।”[1]সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৪৯, অনুবাদঃ বায়ান ফাউন্ডেশন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই আয়াতটিতে যা বুঝিয়েছেন তা হল, সমস্ত সৃষ্ট জিনিসের জোড়া সৃষ্টি করেছেন; সেটা হতে পারে দুটি বিপরীত বা প্রতিরূপ প্রকার, যেমন নারী-পুরুষ, দিন-রাত, ঠান্ডা-গরম এমন আরো অনেক। এটা মহান আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ ক্ষমতার পরিচায়ক, যিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করেন। তাই তিনি যখন কোন জিনিস তৈরি করেন তখন সেটার বিপরীতও সৃষ্টি করেন, যা তার থেকে ভিন্ন হয় বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে।

আত-তাবারী (রহঃ) বলেছেন,

‘আমরা জোড়া সৃষ্টি করেছি’ সম্পর্কিত আয়াতের ব্যাপারে মতভেদ ছিল। কিছু স্কলার বলেছেন যে, এর দ্বারা যা বোঝানো হয়েছে তা হল, ‘আমরা সবকিছু দু’রকমের সৃষ্টি করেছি, যেমন দুঃখ ও সুখ, হেদায়েত ও গোমরাহী ইত্যাদি।’

মুজাহিদ বলেন, ‘কুফরী-ঈমান, সুখ-দুঃখ, হেদায়েত ও গোমরাহী, রাত-দিন, আসমান ও জমিন এবং নারী-পুরুষ।’

অন্যরা বলেন, জোড়া বলতে যা বোঝানো হয়েছে তা হলো নারী ও পুরুষ।

যে মতটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা হল মুজাহিদের মতামত, কারন বরকতময় ও মহিমান্বিত আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তার জন্য, তিনি এর একটি প্রতিরূপ সৃষ্টি করেছেন যা কিছু অর্থে এর থেকে আলাদা, যাতে প্রতিটি অন্যটির থেকে বিপরীত বা প্রতিরূপ হয়। তাই তিনি বলেছেন “আমরা জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি”। এই কথায় আল্লাহ নিজের শক্তি ও ক্ষমতার প্রতি ঈঙ্গিত করেছেন যে তিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করতে পারেন, এবং তিনি সৃষ্ট কিছুর মত নন যেগুলো এক জাতীয় কাজ করে এবং তার বিপরীত ধরনের কাজ করে না, কারন সেগুলো এমনকিছু যা এক জাতীয় কাজ করতে পারে কিন্তু অন্য জাতীয় কাজ করতে পারে না। যেমন – যেমন আগুন, যা শুধু তাপ দিতে পারে কিন্তু ঠান্ডা করতে পারে না, বা বরফ যা কেবল ঠান্ডা করতে পারে কিন্তু তাপ দিতে পারে না – যাকে ত্রুটিহীন হিসাবে আখ্যায়িত করা যায় না। বরং নিখুঁত এবং সমস্ত প্রশংসাত একমাত্র তাঁরই জন্য যিনি সেসবই করতে পারে যা তিনি চান, সেটা ভিন্ন হোব বা অনূরূপ।[2]তাফসীর আত তাবারী ২২/৪৩৯-৪৪০

ইবনে কাসির (রহঃ) বলেছেন,

‘আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে।’[3]সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৪৯ এর মানে হল সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে:- আসমান-জমিন, রাত- দিন, চন্দ্র-সূর্য, ভূমি-সমুদ্র, আলো-অন্ধকার, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, জীবন-মরন, দুঃখ-সুখ, জান্নাত-জাহান্নাম, এমনকি প্রাণবন্ত প্রাণীও – জ্বীন (জিন)-মানুষ, নারী-পুরুষ এবং গাছপালা। তাই আল্লাহ বলেন: “যাতে তোমরা স্মরণ কর” অর্থাৎ যাতে তোমরা জানতে পার যে স্রষ্টা এক, যার কোন শরীক বা সহযোগী নেই।[4]তাফসীর ইবনে কাসীর ৭/৪২৪; তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ ৫/১৮১

ইমাম কুরতুবি (রহঃ) বলেছেন,

“এবং সবকিছুরই আমরা জোড়া সৃষ্টি করেছি” এর অর্থ দুই ধরনের, এবং দুটি ভিন্ন জাতের।

ইবনে যায়েদ বলেন, ‘এটা হল পুরুষ ও মহিলা, মিষ্টি ও টক ইত্যাদি।’

মুজাহিদ বলেনঃ সেটা হল নর-নারী, আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, রাত-দিন, আলো-অন্ধকার, সমতল-পর্বত, জিন-মানুষ, ভালো-মন্দ, সকাল-সন্ধ্যা এবং বিভিন্ন ধরনের জিনিস যেমন স্বাদ, গন্ধ এবং শব্দ। অন্য কথায়, আমরা এটি তৈরি করেছি আমাদের শক্তির প্রতিক হিসাবে, সেই একজনের জন্য যিনি এটি করতে সক্ষম তিনিই [কেয়ামতের দিন] পুনরায় সৃষ্টি করতে সক্ষম।”[5]তাফসীর আল-কুরতুবী ১৭/৫৩; তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ ৫/১৮১

ইবনে জিযী (রহঃ) বলেন:

‘এটা বিভিন্ন ধরণের, যেমন রাত-দিন, কালো-সাদা, সুস্বাস্থ্য ও অসুস্থতা ইত্যাদি।’[6]তাফসীর ইবনে জিযী, ২/৩১০

“এবং প্রতিটি ফলের মধ্যে তিনি দুই প্রকার রেখেছেন” এর অর্থ

যে আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন এই ব্যাপারে বলেছেন তা হল (অর্থের অনুবাদ):

“এবং প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়… [زَوْجَيْنِ জাওযায়িন]”[7]সূরা আর-রাদ ১৩:৩

ইবনে কাসির (রহঃ) বলেছেন,

‘অর্থাৎ, সবকিছু [তিনি তৈরি করেছেন] দুই প্রকার।’[8]তাফসীর ইবনে কাসীর, ৪/৪৩১

ইমাম আল-কুরতুবি (রহঃ) বলেছেন,

‘অর্থাৎ দুই প্রকার। আবূ উবায়দাহ বলেনঃ জাওজ (زوج) শব্দটি এক বা দুটিকে বোঝাতে পারে।

আর বলা হয়েছে জাওযাযয়িন বলতে যা বুঝায় তা দুই প্রকার, যেমন টক-মিষ্টি, তাজা-শুকনো, সাদা-কালো, ছোট-বড়।[9]তাফসীর আল-কুরতুবী, ৯/২৮০

ইবনে আত্যিয়াহ (রহঃ) বলেন,

“এই আয়াতে জাওজ দ্বারা প্রকার বা ধরনের বোঝায়… অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে নিম্নলিখিত আয়াতগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (অর্থের অনুবাদ):

“পবিত্র ও মহান সে সত্তা যিনি সকল জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যমীন যা উৎপন্ন করেছে তা থেকে, মানুষের নিজদের মধ্য থেকে এবং সে সব কিছু থেকেও যা তারা জানে না।”[10]সূরা ইয়াসিন ৩৬:৩৬

“আর আমরা বিস্তৃত করেছি যমীনকে এবং তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা। আর তাতে উদগত করেছি নয়ন প্রীতিকর সর্বপ্রকার উদ্ভিদ।”[11]সূরা ক্বাফ ৫০:৭

এই আয়াতটি ইঙ্গিত করে যে প্রতিটি ফলের অন্তত দুটি প্রকার রয়েছে, যদি একটি নির্দিষ্ট ফলের দুইটির বেশি প্রকার থেকে থাকে তবে এটি আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করে না। … বলা যেতে পারে যে প্রতিটি ফলের মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা রয়েছে।[12]তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ, ৩/২৯৩

এবং মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, (অর্থের অনুবাদ)

“আর আমরা বিস্তৃত করেছি যমীনকে এবং তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা। আর তাতে উদগত করেছি নয়ন প্রীতিকর সর্বপ্রকার উদ্ভিদ।”[13]সূরা ক্বাফ ৫০:৭

ইবনে কাসীর (রহঃ) বলেছেন,

 “অর্থাৎ, সমস্ত শস্য, ফল, গাছপালা এবং প্রকারের।”[14]তাফসীর ইবনে কাসীর, ৭/৩৯৬

আস-সা’দী (রহঃ) বলেছেন,

অর্থাৎ, প্রতিটি ধরণের উদ্ভিদ যা চোখের জন্য মনোরম এবং পর্যবেক্ষকের জন্য আনন্দ ও খুশি নিয়ে আসে, আদম-সন্তান ও তাদের গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে এবং অন্যান্য সুবিধা বয়ে আনে।[15]তাফসীর আস-সা’দী, পৃ. ৮০৪

জাওজ (زوج) ও জাওযাইনের (زَوْجَيْنِ) অর্থ কী?

সুতরাং জাওজ মানে প্রকার, এবং জাওযাইনের অর্থ হল বিপরীত ধরনের বা প্রতিরূপ একজোড়া, যেমন মিষ্টি এবং টক, তাজা এবং লবণ [জল বোঝায়]। আপেল হল এক ধরনের, কমলা অন্য ধরনের, এবং প্রতিটি প্রকারের নিজস্ব স্বাদ এবং রঙ রয়েছে।

অথবা এক প্রকারের একজোড়া হতে পারে, যেমন কমলা, আপেল, খেজুর এবং আঙ্গুর, যার মধ্যে পুরুষ ও মহিলা, ছোট-বড় এবং রঙ ও স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে।

“এবং আমরা তোমাদের জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি” এই জাতীয় আয়াতের অর্থ

যে আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন:

“এবং আমরা তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি”[16]সূরা আন-নাবা ৭৮:৮,

এটি সেই আয়াতগুলোর মতো যেখানে তিনি (আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা), বলেন :

“আল্লাহ তোমাদের স্বজাতির মধ্য হতেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন।”[17]সূরা আন-নাহল ১৬:৭২

“আর আল্লাহ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে; তারপর শুক্রবিন্দু থেকে, তারপর তোমাদেরকে করেছেন যুগল!”[18]সূরা ফাতির ৩৫:১১

“তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং গৃহপালিত/চতুষ্পদ জন্তুর মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন জোড়া।”[19]সূরা আশ-শূরা ৪২:১১

এটি আদম সন্তানদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, এবং এর অর্থ হল (আলেমগণ বলেছেন):

আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, নর ও নারী, এক জাত থেকে, যাতে তাদের প্রত্যেকে অন্যের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য পায়,  যাতে স্নেহ এবং সহানুভূতি থাকতে পারে, যার ফলে সন্তান লাভ হবে।[20]তাফসীর ইবনে কাসীর, ৮/৩০২ এবং তাফসীর আস-সা’দী, পৃ. ৯০৬

আর আল্লাহই ভালো জানেন। – সমাপ্ত

অনুবাদকের কথা

আমি এই বিষয়ে ইসলামবিরোধী বেশ ‍কিছু আর্টিক্যাল পড়েছি, তাই সেগুলোর যথোপযুক্ত উত্তর না দিলেই নয়।

প্রথমত উপরের ফতোয়াতে আশা করি ‘আল্লাহ সবকিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন’ বলতে কি বুঝানো হয়েছে সে বিষয়টা সবার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। জোড়ায় সৃষ্টি করার কারন হতে পারে, শুধু এক আল্লাহর সত্তা; যিনি সৃষ্টি জগতের এই গুণ, সকল প্রকার কমতি ও ত্রুটি থেকে পবিত্র, তিনি একক, অদ্বিতীয়, বিজোড়; তাঁর কোন জোড়া নেই।[21]তাফসীরে আহসানুল বায়ান ৩৬:৩৬ এর তাফসির https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3741 জোড়ায় সৃষ্টি সংক্রান্ত আয়াতের তাফসিরে একই ধরনের কথা আরো বলা আছে অনেক তাফসীর গ্রন্থে।[22]তাফসীর ইবনে কাসির, তাফসীর আল-কুরতুবী, তাফসীর আস-সাদী,  তাফসীরে আহসানুল বায়ান, তাফসিরে জাকারিয়া, তাফসীরে বাগভী, তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ, তাফসির ইবনে আবি … See Full Note

তাহলে অভিযোগ গুলোর দিকে আসি। প্রথম তারা (ইসলাম বিদ্বেষীরা) এই আয়াতকে শুধু জেন্ডার ও যৌনতার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেছিল। তারা এই আয়াতগুলো দ্বারা ধরে নিয়েছে যে প্রতিটা জীবের পুরুষ লিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ প্রাণী সৃষ্টি করা হয়েছে ও তাদের মধ্যে মিলন হবে তারপর সেইখান থেকে বাচ্ছা হবে অথচ প্রকৃত অর্থে এই আয়াত দ্বারা এগুলা বুঝানো হয়নি। উপর্যুক্ত ফতোয়াতে এই জোড়ায় সৃষ্টি করার বিষয়টাকে নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলার মুর্খতার বিষয়টা খন্ডন হয়ে গেল। তারপরও ৩য় লিঙ্গ, উভয় লিঙ্গ, অযৌন জনন, পার্থেনোজেনেসিস, সিজোফিলাম কমিউন, সেক্সলেস ইত্যাদি ধরনের জীব বা সৃষ্টির প্রতি ঈঙ্গিত করে অভিযোগ করা হয় যে এদের জোড়া নেই, যা কুরআনের সুস্পষ্ট ভুল। (নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক)

বিস্তারিত এসবের উত্তর দিতে চাইনি প্রথমে, কিন্তু আবার চিন্তা করলাম যে এদের মুর্খতা গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখিয়ে দিলে তারা বলবে তাদের এই তথ্যগুলোর উত্তর কেউ দিতে পারে নি ও এই বলে তারা আত্মতৃপ্তিতে ভুগবে, আর যা মুসলিম হিসেবে আমি হবে দিতে পারি না।

এত না পেছিয়ে মূল কথায় আসি, اَزۡوَاج বা زَوْجَيْنِ এসেছে زوج. শব্দ হতে যার অর্থ: দম্পতি, জমজ, একের অধীক, নর-নারীর জোড়া, যুগল, জোড়া, বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জোড়া, সমজাতীয় জোড়া ইত্যাদি। জোড়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা দরকার, জোড়া কিন্তু যে কোন কিছুর, যে কোন দিকে দিয়ে, যে কোন বৈশিষ্ট্যের, যে কোন উপাদানের উপর ভিত্তি করে হতে পারে। জোড়া যে সবসময় শুধু নর-নারীর হবে তা কিন্তু নয়, একই ভাবে জোড়া কেবল একসাথে সৃষ্টি করা হয় তাও কিন্তু নয়, জোড়ার সৃষ্টি হয়ত আগে পরেও হতে পারে। আবার কিছু জিনিসের আপাতত দৃষ্টিতে যদি মনে হয় যে, জোড়া নেই তাহলেও কুরআন ভুল প্রমানিত হয় না। কারন পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন,

পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি সৃষ্টি থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদ এবং তাদের (মানুষদের) মধ্য থেকেও (পুরুষ ও নারী)। আর তারা যা জানে না তা থেকেও।[23]সূরা ইয়াসিন আয়াত ৩৬

এই আয়াত থেকে দেখা যাচ্ছে আল্লাহ বলেছেন, আমরা যা জানি না তা থেকেও জোড়া তৈরি করে রেখেছেন তিনি। যার মানে, যদি আমার আপাতত দৃষ্টিতে কোন কিছুর জোড়া খুজে নাও পাই তাহলেও সমস্যা নেই কারন হয়ত ভবিষ্যতেও পেতে পারি সেটার জোড়া। যেমন উদাহরন দিই, আগে ম্যাটার-অ্যান্টিম্যাটারের কথা জানত না মানুষ, দেখেন এখন জানে, এবং এই ক্ষেত্রেও বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জোড়া দেখা যাচ্ছে। এছাড়া আরো সমজাতীয় ও বিপরীত ধর্মী জোড়া আছে, যেমন স্থলজ-জলজ, উভচর-সরিসৃপ, মেরুদন্ডী-অমেরুদন্ডী, আকর্ষন-বিকর্ষন, মহাকর্ষ-অভিকর্ষ বল, ধনাত্মক-ঋণাত্মক আদান, চার্জযুক্ত-চার্জবিহীন, প্রোটন-ইলেকট্রন, প্রোটন-অ্যান্টি প্রোটন, ইলেকট্রন-অ্যান্টি ইলেকট্রন, সমতল-অসমত, শুষ্ক-আদ্র, চক্ষুষ্মান-অন্ধ, উঁচু-নিচু, ইমান-কুফর, মানুষ-জ্বীন, গ্রহ-উপগ্রহ, নক্ষত্র-ব্ল্যাকহোল, প্রতিটা প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে আবার অসংখ্য জাত-উপজাত, ধরণ, গুন, বৈশিষ্ট্য রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

অযৌন জননের বিষয়ে, কুরআনে কোথাও বলা হয়নি আল্লাহ শুধু নারী-পুরুষ জোড়া ও যৌন জনন করে এমন প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। তাহলে এখানেই তাদের মিথ্যাচার স্পষ্ট হয়ে যায়। আর জোড়ার বিষয়টা বললে, এই ক্ষেত্রেও জোড়া পাওয়া যায়, সেটা কি! তা হল যৌন জনন ও অযৌন জননের জোড়া। এছাড়া অযৌন জননের প্রাণীদের মধ্যেও সমজাতীয় জোড়া, ধরনের বা প্রকারের অভাব নেই।

তৃতীয় লিঙ্গ ও উভলিঙ্গের ক্ষেত্রে দেখেন তৃতীয় লিঙ্গ বলতে আমরা সাধারনত হিজড়া যাদেরকে বলি তারা। আমরা কমবেশি জানি যে হিজড়াদের মধ্যেও কারো মধ্যে নারীদের বৈশিষ্ট্য বেশি তাদেরকে নারী হিজড়া এবং কারো মধ্যে পুরুষদের বৈশিষ্ট্য বেশি তাদেরকে পুরুষ হিজড়া হিসেবে গণ্য করা যায়, ইসলামেত এই ভাবেই হিজড়াদেরকে পরিচয় করানো হয়েছে, যেমন সম্পত্তি ভন্টনের বেলায়। এইক্ষেত্রেও জোড়া পেয়ে যাচ্ছি। আর জোড়ায় সৃষ্টি আয়াতে কোথাও বলা হয়নি সৃষ্টির সব কিছুকে আল্লাহ নারী ও পুরুষের বা স্বামী-স্ত্রীর জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। নারী পুরুষের জোড়া যদি ধরীও তাহলে এমনও হতে পারে ভাই বোনের জোড়া, মা-ছেলের জোড়া, বাবা মেয়ের জোড়া, স্বামী স্ত্রীর জোড়া, হতে পারে একে অপরের সাহায্যকারী রূপে জোড়া, অনেক ধরনের সম্ভবনা রয়েছে। আর উভলিঙ্গের ক্ষেত্রে এর বীপরিত বৈশিষ্ট্যও পাওয়া যা আর তা হল এক লিঙ্গ। উভলিঙ্গ জীবদের দেখতে স্ত্রী বা পুরুষ মনে হলেও একসঙ্গে দুটো প্রজননতন্ত্র ধারণ করে েএরা, এই ক্ষেত্রেও জোড়া। এছাড়া উভলিঙ্গ প্রাণীরাত উভলিঙ্গ, একলিঙ্গ নারী বা পুরুষ সবার সাথেই মিলিত হতে পারে, এই ক্ষেত্রেও জোড়া পাওয়া যাচ্ছে।

আবার একটা দাবি হল whiptail lizard নামক একপ্রকার প্রাণী আছে, যার নাকি কোন পুরুষ নেই শুধু নারী আছে! অথচ এই দাবিটি আংশিক সত্য, কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য না। কারন whiptail lizard, sewfish ও সাপের কিছু প্রজাতি ইত্যাদি যারা পুরুষের সাহায্য ছাড়া বংশ বিস্তার করে এদের পুরুষ প্রজাতি আছে, কিন্তু এই প্রাণীরা তাদের সাহায্য ছাড়াই বংশ বিস্তার করতে সক্ষম। এই প্রাণীগুলো ক্রোমোজোমের দ্বিগুণ সংখ্যা দিয়ে প্রজনন প্রক্রিয়া শুরু করে।[24]বিস্তারিত – How an Asexual Lizard Procreates Alone  , No Sex Needed: All-Female Lizard Species Cross Their Chromosomes to Make Babies

whiptail lizard এর কয়েকটি প্রজাতি ছাড়া বাকিগুলোতে পুরুষ রয়েছে, শুধু তাই নয় whiptail lizard এর সেই নারী ও পুরুষদের মধ্যে যৌন প্রজননও দেখা যায়।[25]Multiple Mating and Reproductive Skew in a Mixed-Sex Clonal Lizard, the Little Striped Whiptail (Aspidoscelis inornata)” (Journal: PLoS ONE); Link: https://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0053132 Sexual Selection in Parthenogenetic Lizards (Cnemidophorus)” (Journal: Science); Link: https://science.sciencemag.org/content/196/4288/1086 Phylogenetic … See Full Note এই ক্ষেত্রে whiptail lizard এর অভ্যান্তরেও আমরা জোড়া দেখতে পাচ্ছি, কোনটাতে পুরুষ আছে কোনটাতে নেই, কোনটাতে যৌন জনন আর কোনটাতে অযৌন জনন।

অবশ্যই Mexican whiptail lizard ও little striped whiptail এর কোন পুরুষ প্রজাতি নেই তা সত্য। আবার একটা আকর্ষণীয় তথ্য হল যখন দুটি স্ত্রী হুইপটেল সঙ্গমের আচরণে নিয়োজিত হয়, তখন একটা হুইপটেলে কিছুটা হরমোনাল চেঞ্জের কারনে পুরুষ বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়। এই প্রক্রিয়াটি “ventral mount position” নামে পরিচিত এবং মেক্সিকান হুইপটেল টিকটিকি সহ কিছু সব-মহিলা টিকটিকি প্রজাতির মধ্যে এটি দেখা যায়। কিছু গবেষক এই ভেন্ট্রাল মাউন্ট অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে এটি মহিলাদের মধ্যে একজনের মধ্যে পুরুষের মতো বৈশিষ্ট্যের বিকাশকে উদ্দীপিত করে ও তারা প্রমাণও পেয়েছে যে এই আচরণ জনসংখ্যার মধ্যে জেনেটিক বৈচিত্র্য বাড়াতে পারে।[26]Parthenogenesis in the All-Female Lizard Aspidoscelis neomexicana: Some Clues to Mechanism and Evolution. Authors: Peter Baumann, Thomas R. Brown, and Malcolm L. McCallum. Journal: Genetics, Vol. 131, No. 2 (Jun., 1992), pp. 479-486; https://www.genetics.org/content/131/2/479 “Reproduction in the All-Female Lizard Aspidoscelis neomexicanus: An Example of How We Need More Basic Natural … See Full Note

তো এই থেকে কি বুঝলেন? এইখানেও জোড়া তৈরি হয় যদিও সেটা সাময়িক সময়ের জন্য। অবশ্যই এই প্রক্রিয়াটি এই প্রাজাতির সব নারীদের মধ্যে দেখা যায় না। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও জোড়া নেই এমনটা বলা সম্ভব না, কারন আমার আগেই প্রমান করেছিলাম যে কোরআনে জোড়া বলতে শুধু নারী-পুরুষ ও তাদের যৌনতার মাধ্যমে সন্তান জন্মদান করাকেই বুঝানো হয়নি, আর এটাই জমহুর ওলামাদের বক্তব্য ও বুঝ ছিল। সেটার ভিত্তিতে এই parthenogenesis এর বিপরীত জোড়া হল sexual reproduction। parthenogenesis মূলত অযৌন প্রজননের আওতাভুক্ত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি, আর এই অযৌন প্রজননের আওতাভুক্ত আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো এর প্রতিরূপ বা অনুরূপ, যেমন Budding, Fission, Fragmentation ইত্যাদি। এইখানে আমরা বিপরীত যেমন জোড়া বের করতে পেরেছি তেমনই অনুরূপ জোড়াও বের করতে পারছি, শুধু এই ক্ষেত্রেই না, আমরা চাইলে হয়ত অন্যটপিক গুলোর ক্ষেত্রেও একই কাজটি করতে পারি। whiptail lizard এর ক্ষেত্রে অযৌনন জনন ও পার্থেনোজেনেসিস সম্পর্কে বলা কথাগুলো প্রযোজ্য হবে, তাই এদের জোড় নেই এটা বলাটা মুর্খতার শামিল।

আবার সেক্সের উপর ভিত্তি করে একটা মজার জোড়া সম্পর্কে জানতে পারি তা হল ফেরেস্তা ও পৃথিবীর জীব। ফেরেস্তারা লিঙ্গহীন কিন্তু পৃথিবীর জীবদের লিঙ্গ রয়েছে, এই দিকেও বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জোড়া দেখা যাচ্ছে। আবার শয়তানের সাথেও ফেরেস্তার বিপরীতধর্মী আচরন ও বৈশিষ্ট্যগত জোড়া পাওয়া যায়।

আশা করি এই আলোচনায় এ বিষয়ে সব ধরনের মানুষের সব ধরনের প্রশ্ন, সংশয়, বিভ্রান্তি, অভিযোগ ও মিথ্যাচারের জবাব যথাযথভাবে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কুরআন, হাদিস, তাফসির, বিজ্ঞান, যুক্তি, দর্শন, বাস্তবতার সমন্বয়ে বিস্তারিত আরো পড়তে পারেন।[27]আরবিতে – https://eijaz.mutah.edu.jo/physpairs.htm যদি এই সংক্রান্ত কোন বিষয়ে প্রশ্ন থেকে থাকে, যার উত্তর দেওয়া না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন, কিংবা প্রশ্নোত্তর অংশে প্রশ্ন করতে পারেন।


جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا

    Footnotes

    Footnotes
    1সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৪৯, অনুবাদঃ বায়ান ফাউন্ডেশন
    2তাফসীর আত তাবারী ২২/৪৩৯-৪৪০
    3সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৪৯
    4তাফসীর ইবনে কাসীর ৭/৪২৪; তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ ৫/১৮১
    5তাফসীর আল-কুরতুবী ১৭/৫৩; তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ ৫/১৮১
    6তাফসীর ইবনে জিযী, ২/৩১০
    7সূরা আর-রাদ ১৩:৩
    8তাফসীর ইবনে কাসীর, ৪/৪৩১
    9তাফসীর আল-কুরতুবী, ৯/২৮০
    10সূরা ইয়াসিন ৩৬:৩৬
    11, 13সূরা ক্বাফ ৫০:৭
    12তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ, ৩/২৯৩
    14তাফসীর ইবনে কাসীর, ৭/৩৯৬
    15তাফসীর আস-সা’দী, পৃ. ৮০৪
    16সূরা আন-নাবা ৭৮:৮
    17সূরা আন-নাহল ১৬:৭২
    18সূরা ফাতির ৩৫:১১
    19সূরা আশ-শূরা ৪২:১১
    20তাফসীর ইবনে কাসীর, ৮/৩০২ এবং তাফসীর আস-সা’দী, পৃ. ৯০৬
    21তাফসীরে আহসানুল বায়ান ৩৬:৩৬ এর তাফসির https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3741
    22তাফসীর ইবনে কাসির, তাফসীর আল-কুরতুবী, তাফসীর আস-সাদী,  তাফসীরে আহসানুল বায়ান, তাফসিরে জাকারিয়া, তাফসীরে বাগভী, তাফসীর ইবনে আত্যিয়াহ, তাফসির ইবনে আবি হাতিম, তাফসির ইবনে আবি জামানিন, তাফসির ইবনে জাওযী – ১৩:৩, ৪২:১১, ৪৩:১২, ৩৬:৩৬, ৫০:৭, ৫১:৪৯, ৫৩:৪৫, ৭৫:৩৯, ৭৮:৮ নং সূরার তাফসির। https://tafsir.app/ কুরআনের তাফসির ভার্সন
    23সূরা ইয়াসিন আয়াত ৩৬
    24বিস্তারিত – How an Asexual Lizard Procreates Alone  , No Sex Needed: All-Female Lizard Species Cross Their Chromosomes to Make Babies
    25Multiple Mating and Reproductive Skew in a Mixed-Sex Clonal Lizard, the Little Striped Whiptail (Aspidoscelis inornata)” (Journal: PLoS ONE); Link: https://journals.plos.org/plosone/article?id=10.1371/journal.pone.0053132

    Sexual Selection in Parthenogenetic Lizards (Cnemidophorus)” (Journal: Science); Link: https://science.sciencemag.org/content/196/4288/1086

    Phylogenetic Relationships of the All-Female Lizard Genus Cnemidophorus (Teiidae) Based on Mitochondrial DNA Sequences” (Journal: Molecular Phylogenetics and Evolution); Link: https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S1055790301001429

    26Parthenogenesis in the All-Female Lizard Aspidoscelis neomexicana: Some Clues to Mechanism and Evolution. Authors: Peter Baumann, Thomas R. Brown, and Malcolm L. McCallum. Journal: Genetics, Vol. 131, No. 2 (Jun., 1992), pp. 479-486; https://www.genetics.org/content/131/2/479

    “Reproduction in the All-Female Lizard Aspidoscelis neomexicanus: An Example of How We Need More Basic Natural History Information to Understand the Consequences of Climate Change” (Journal: Journal of Herpetology); Link: https://bioone.org/journals/journal-of-herpetology/volume-47/issue-1/0018-0831-47.1.1/Reproduction-in-the-All-Female-Lizard-span-classgenus-speciesAspidoscelis-neomexicanus/10.1670/0018-0831-47.1.1.full

    27আরবিতে – https://eijaz.mutah.edu.jo/physpairs.htm
    Show More

    ইসলামকিউএ

    www.islamqa.info(এই একাউন্টটি ফ্রম মুসলিমস-এর এডমিন প্যানেল দ্বারা চালিত। ইসলামকিউএ থেকে বিভিন্ন অনুবাদকৃত লেখা এখানে পাবেন।)
    2 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    2 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    unknown
    unknown
    1 year ago

    ভুল, মেক্সিকান whiptail lizard এর কোন পুরুষ প্রজাতি এক্সিস্টই করেনা। আর যৌন অযৌন জোড়া যদি হয়েই থাকে তাহলে মানুষ কেন অযৌন জনন করেনা?

    Tahsin Arafat
    Reply to  unknown
    1 year ago

    লেখক এটার জবাব আপডেইট করে দিয়েছেন আর্টিকেলে।

    Back to top button