হিন্দুধর্ম

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩

ঋগ্বেদ ১০ম মণ্ডল, ৮৬তম সুক্ত, মন্ত্র ১-২৩

দুর্গাদাস লাহিড়ীর অনুবাদ

দুর্গাদাস লাহিড়ী অনূদীত ঋগ্বেদ ১০ঃ৮৬ঃ১-২৩ (অক্ষয় লাইব্রেরি কর্তৃক প্রকাশিত ঋগ্বেদ সংহিতা),

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

মন্ত্রার্থ – ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১ সোম প্রস্তুত করবার জন্য তাদের ইন্দ্র বিদায় দিলেন; কিন্তু তা’রা ইন্দ্রকে স্তব করলো না। আমরা সখা, অর্থাৎ আমার পুত্র বৃষাকপি সেই সোম পানে মত্ত হলো, হৃষ্টপুষ্টগণের মধ্যে প্রধান হলো। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২ হে ইন্দ্র! তুমি বৃষাকপিকে দেখে অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে প্রতিগমন করছো। অথচ আর কোথাও  সোমপান করতে পাচ্ছ না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥২॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৩ হে ইন্দ্র। তুমি যে ধনস্বামী দাতাব্যক্তির মতো হরিদবর্ণ মৃগমূর্তিধারী এই বৃষাকপিকে পুষ্টিকর নানা সামগ্রী অর্পণ করছো, এই বৃষাকপি তোমার কি উপকার করেছে? ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৩॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৪ হে ইন্দ্র। তোমার প্রেমাস্পদী এই যে বৃষাকপিকে ভূমি রক্ষা করছো, বরাহ অনুসরণকারী কুক্কুর  এর কর্ণে দংশন করেছে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৪॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৫ আমি উত্তম উত্তম সামগ্রী পৃথক পৃথক সজ্জিত ক’রে রেখেছিলাম, এই বৃষাকপি সকলই নষ্ট ক’রে দিল। আমার ইচ্ছা যে, এর মস্তক ছেদন করি, এই দুষ্টাশয়ের প্রতি ভদ্রতা করতে পারি না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৫॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৬ [ইন্দ্রাণী বলছেন ] – কোনও নারীই আমা অপেক্ষা অঙ্গসৌষ্ঠবতী নয়, কোনও নারীই আমা অপেক্ষা বিলাসগতি জানে না, কোনও নারীই আমা অপেক্ষা প্রকৃষ্ঠভাবে স্বামী সহবাস করতে অথবা প্রণয়বশে আলিঙ্গন করতে জানে না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৬॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৭ [বুধাকপি বলছে] – হে মাতঃ! তুমি উৎকৃষ্ট পতি প্রাপ্ত হয়েছো। তোমার অঙ্গ ও উরু ও মস্তক যেমন আবশ্যক তেমনই হবে। পতি সংসর্গে আনন্দলাভ ক’রে থাক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ। ॥৭॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৮ [ইন্দ্ৰ বলছেন ] – হে ইন্দ্রাণী। তোমার বাহু, জঘন, কেশ, কপাল ও অগুলিগুলি অতি সুন্দর।  তুমি বীরের পত্নী হয়ে বৃষাকপিকে কেন দ্বেষ করছো? ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৮॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৯ [ইন্দ্রাণী বলছেন ]—এই হিংস্রক বৃষাকপি আমাকে যেন পতিপুত্রবিহীনার মতো জ্ঞান করছে। কিন্তু আমি পতিপুত্রবতী ও ইন্দ্রের পত্নী; মরুগণ আমার সহায়। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥৯॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১০ যখন একত্রে হোম হয়, বা যুদ্ধ হয়, পতিপুত্রবতী ইন্দ্রাণী তথায় গমন করেন। তিনি যজ্ঞের বিধানকর্ত্রী, তাকে সকলে পূজা করে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১০॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১১ এই সকল নারীর মধ্যে আমি ইন্দ্রাণীকে সৌভাগ্যবতী বলে প্রবণ করেছি। তাঁর পতিকে  অন্যান্য ব্যক্তির মতো জরাগ্রস্ত হয়ে মরতে হয় না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১১ ৷৷

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১২ হে ইন্দ্রাণী। আমার বন্ধু বৃষাকপি ব্যতিরেকে প্রীতিলাভ ক’রি না। সেই বৃষাকপির সরস  হোমদ্রব্য দেবতাগণের নিকটে গমন করছে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১২ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৩ হে বৃষাকপিবনিতে! তুমি ধনশালিনী ও উৎকৃষ্ট পুত্রযুক্তা এবং আমার সুন্দরী পুত্রবধূ। তোমার  বৃষগণকে ইন্দ্র ভক্ষণ করুন, তোমার অতি চমৎকার ও অতি সুখকর হোমদ্রব্য তিনি ভক্ষণ করুন।  ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১৩ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৪ আমার জন্য পঞ্চদশ এমন কি বিংশ বৃষ পাক করে দেয়, আমি ভক্ষণ ক’রে শরীরের স্থূলতা সম্পাদন করি, আমার উদরের দুই পার্শ্ব পূর্ণ হয়। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১৪ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৫ হে ইন্দ্র! তোমার ভক্ত তোমার জন্য যে দধিমস্থ পূজা দেয়, তা প্রস্তুত হবার সময় যূথের মধ্যে গর্জনকারী বৃষের মতো শব্দ করে থাকে। ঐ মস্থ তোমার হৃদয়কে সুখী করুক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥১৫॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৬ যার উরুদ্বয়ের মধ্যে পুরুষাঙ্গ লম্বমানভাবে থাকে, সে সমর্থ হয় না। উপবেশন করলে যার লোমাবৃত পুরুষাঙ্গ বল প্রকাশ করে ওঠে, সে-ই সমর্থ হয়। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১৬ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৭ উপবেশনকালে যার লোমাবৃত পুরুষাঙ্গ বল প্রকাশ করে ওঠে, সে সমর্থ হয় না। যার উরুদ্বয়ের মধ্যে পুরুষাঙ্গ লম্বমানভাবে থাকে সে-ই পারে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥১৭ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৮ হে ইন্দ্র! এই বৃষাকপি পরধন গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বধ করুক, সে খড়্গ ও সূনা ও অভিনব পশুহত্যা স্থান ও দাহকাষ্ঠপূর্ণ একখানি শকট প্রাপ্ত হোক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ। ॥ ১৮ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৯ এই আমি চতুর্দিকে নিরীক্ষণ করতে করতে আগত হচ্ছি। দাসজাতি ত অন্বেষণ করছি। যারা যজ্ঞাগ্র পাক করে, অথবা সোমরস প্রস্তুত করে, তাদের নিকট সোম পান করছি। সুবুদ্ধি কে, তা আমি নিরূপণ করেছি। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ১৯ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২০ মরুদেশ আর ছেদন করবার উপযুক্ত অরণ্য প্রদেশ, এই উভয়ের কত যোজনই বা অন্তর? হে বৃষাকপি! নিকটর্তী লোকালয়ের নিকটে আশ্রয় গ্রহণ করো। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥২০॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২১ হে বৃষাকপি। পুনর্বার আগত হও। তোমার নিমিত্ত উত্তম উত্তম যজ্ঞভাগ প্রস্তুত করছি। এই যে নিদ্রাবিলাসী সূর্যদেব, ইনি যেমন অন্তধামে গমন করেন, তুমিও তেমনই গৃহমধ্যে আগমন করো। ইন্দ্ৰ সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ২১ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২২ হে বৃষাকপি! হে ইন্দ্র! তোমরা উর্ধাভিমুখ হয়ে গৃহে গমন করলে, সেই বহুভোজী হরিণ কোথায় গেল? লোকবৃন্দের সেই শোভাসম্পাদক কোথায়? ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ২২ ॥

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২৩ পর্শু নামে মানবী এককালে বিংশতি সন্তান প্রসব করলো। যার উদর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছিল, হে বাণ! তার মঙ্গল হোক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ ॥ ২৩ ॥

টীকাঃ ১৩ ও ১৪ ঋকে বৃষ পাক ও ভক্ষণের কথা পাওয়া যায়।। ১৯ ঋক হতে প্রকাশ হয় যে, – দাস অর্থাৎ অনার্যদের মধ্যেও অনেকে আর্যধর্ম অবলম্বন করে যজ্ঞ ইত্যাদি করতেন। ৮৬ সুক্তটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক। বৃষাকপির প্রকরণ একটি দুরূহ অংশ। বোধহয় একটি গল্প ছিল যে, বৃষাকপি নামক কোন ইন্দ্রের প্রিয়পাত্র ইন্দ্রের প্রাপ্য যজ্ঞসামগ্রী নষ্ট করেছিলো এবং যজ্ঞমান ও ইন্দ্রানী তাতে ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন।

রমেশচন্দ্র দত্ত অনুবাদ

রমেশচন্দ্র দত্তের অনুবাদ, ঋগ্বেদ ১০.৮৬.১-২৩

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১। সোম প্রস্তুত করিবার জন্য তাহাদিগকে ইন্দ্র বিদায় দিলেন । কিন্তু তাহারা ইন্দ্রকে স্তব করিল না। আমার সখা, অর্থাৎ আমার পুত্র বৃষাকপি সেই সোম পানে মত্ত হইল, হৃষ্টপুষ্টদিগের মধ্যে প্রধান হইল। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২। হে ইন্দ্র! তুমি বৃষাকপিকে দেখিয়া অত্যন্ত ক্ষুন্ন হইয়া প্রতিগমন করিতেছ। অথচ আর কুত্রাপি সোমপান করিতে পাইতেছ না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৩। হে ইন্দ্র! তুমি যে ধনস্বামী দাতাব্যক্তির ন্যায় হরিদবর্ণ মৃগমুৰ্ত্তিধারী এই বৃষাকপিকে পুষ্টিকর বিবিধ সামগ্ৰী অৰ্পণ করিতেছ, এই বৃষাকপি তোমার কি উপকার করিয়াছে? ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৪। হে ইন্দ্র! তোমার প্রেমাস্পদী যে এই বৃষাকপিকে তুমি রক্ষা করিতেছ, বরাহ অনুসরণকারী কুকুর ইহার কর্ণে দংশন করিয়াছে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৫। আমি উত্তম উত্তম সামগ্রী পৃথক পৃথক্ সাজাইয়া রাখিয়াছিলাম, এই বৃষাকপি সকলই নষ্ট করিয়া দিল। আমার ইচ্ছা যে, ইহার মস্তক ছেদন করি, এই দুষ্টাশয়ের প্রতি ভদ্রতা করিতে পারি না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৬। (ইন্দ্রাণী কহিতেছেন)-কোনও নারীই আমা অপেক্ষা অঙ্গ সৌষ্ঠববতী নহে, কোনও নারীই আমা অপেক্ষা বিলাসগতি জানে না, কোন নারীই আমা অপেক্ষা প্রকৃষ্টরূপে স্বামীর নিকট সহবাস করিতে, অথবা প্রণয়বশে আলিঙ্গন করিতে জানে না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৭। (বৃষাকপি কহিতেছে)-হে মাতঃ! তুমি উত্তম পতি পাইয়াছ। তোমার অঙ্গ ও উরু ও মন্তক যেমন আবশ্যক তেমনিই হইবেক। পতি সংসর্গে আনন্দলাভ করিয়া থাক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৮। (ইন্দ্র কহিতেছেন) -হে ইন্দ্রাণী! তোমার বাহু, ঘন, কেশ, কপাল ও অঙ্গুলি গুলি অতি সুন্দর। তুমি বীরের পত্নী হইয়া বৃষাকপিকে কেন দ্বেষ করিতেছ। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/৯। (ইন্দ্রাণী কহিতেছেন)-এই হিংস্রক বৃষাকপি আমাকে যেন পতি পুত্রবিহীনার ন্যায় জ্ঞান করিতেছে। কিন্তু আমি পতিপুত্রবতী ও ইন্দ্রের পত্নী। মরুৎগণ আমার সহায় । ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১০। যখন একত্রে হোম হয়, বা যুদ্ধ হয়, পতিপুত্রবতী ইন্দ্রাণী তথায় গমন করেন। তিনি যজ্ঞের বিধানকর্ত্রী, তাঁহাকে সকলে পূজা করে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১১। এই সকল নারীর মধ্যে আমি ইন্দ্রাণীকে সৌভাগ্যবতী বলিয়া শুনিয়াছি। তাহার পতিকে অন্যান্য ব্যক্তির মত জরাগ্রস্ত হইয়া মরিতে হয় না। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১২। হে ইন্দ্রাণী! আমার বন্ধু বৃষাকপি ব্যতিরেকে প্রীতিলাভ করি না। সেই বৃষাকপিরই সরস হোমদ্রব্য দেবতাদিগের নিকটে যাইতেছে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৩। হে বৃষাকপিবনিতে! তুমি ধনশালিনী ও উৎকৃষ্ট পুত্রযুক্তা এবং আমার সুন্দরী পুত্রবধূ। তোমার বৃষদিগকে ইন্দ্র ভক্ষণ করুন (১), তোমার অতি চমৎকার, অতি সুখকর হোমদ্রব্য তিনি ভক্ষণ করুন। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৪। আমার জন্য পঞ্চদশ এমন কি বিংশ বৃষ পাক করিয়া দেয় (২), আমি খাইয়া শরীরের স্থূলতা সম্পাদন করি, আমার উদরের দুই পার্শ্ব পূর্ণ হয়। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৫। হে ইন্দ্র! তোমার ভক্ত তোমার জন্য যে দধিমন্থ পূজা দেয়, উহা প্রস্তুত হইবার সময় যূথ মধ্যে গর্জনকারী বৃষের ন্যায় শব্দ করিতে থাকে। ঐ মন্থ তোমার হৃদয়কে সুখী করুক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৬। যাহার উরুদ্বয়ের মধ্যে পুরুষাঙ্গ লম্বমানভাবে থাকে, সে সমর্থ হয় । উপবেশন করিলে যাহার লোমাবৃত পুরুষাঙ্গ বল প্রকাশ করিয়া উঠে, সেই সমর্থ হয়। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৭। উপবেশনকালে যাহার লোমাবৃত পুরুষাঙ্গ বল প্রকাশ করিয়া উঠে, সে সমর্থ হয় না। যাহার উরুদ্বয়ের মধ্যে পুরুষাঙ্গ লম্বমানভাবে থাকে, সেই পারে। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৮। হে ইন্দ্র! এই বৃষাকপি পরধন গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বধ করুক, সে খড়গ ও সূনা ও অভিনব পশুহত্যা স্থান ও দাহকাষ্ঠপূর্ণ একখানি শকট প্রাপ্ত হউক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১৯। এই আমি চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিতে করিতে আসতেছি। দাস জাতি ও আর্যজাতি অম্বেষণ করিতেছি। যাহারা যজ্ঞান্ন পাক করে, অথবা সোমরস প্রস্তুত করে, তাহাদিগের নিকট সোম পান করিতেছি(৩)। সুবুদ্ধিকে, তাহা আমি নিরূপণ করিয়াছি। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২০। মরুদেশ, আর ছেদন করিবার উপযুক্ত অরণ্যপ্রদেশ, এ উভয়ের কত যোজনই বা অন্তর? হে বৃষাকপি! নিকটবর্তী লোকায়ে নিকটে আশ্রয় গ্রহণ কর। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২১। হে বৃষাকপি! পুনৰ্ব্বার এস। তোমার নিমিত্ত উত্তম উত্তম যজ্ঞ, ভাগ প্রস্তুত করিতেছি। এই যে নিদ্রাবিলাসী সূৰ্য্যদেব, ইনি যেমন অস্তধামে গমন করেন, তুমিও তেমনি গৃহমধ্যে আগমন কর । ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২২। হে বৃষাকপি! হে ইন্দ্র! তোমরা উর্ধাভিমুখ হইয়া গৃহে গমন করিলে, সেই বহুভোজী হরিণ কোথায় গেল? লোকদিগের সেই শোভা সম্পাদক কোথায়? ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ।

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/২৩। পর্শু নামে মানবী এককালে বিংশতি সন্তান প্রসব করিল। যাহার উদর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিল, হে বাণ! তাহার মঙ্গল হউক। ইন্দ্র সকলের শ্রেষ্ঠ (৪)।


(১) এখানে বৃষ ভক্ষণের কথা পাওয়া যায়।

(২) এখানেও ১৫ কি ২০ বৃষ পাক করিবার কথা পাওয়া যায়।

(৩) দাস অর্থাৎ অনার্য্যদিগের মধ্যেও অনেকে আর্য্যধর্ম অবলম্বন করিয়া যজ্ঞাদি করিত, এই ঋক হইতে প্রকাশ হয়।

(৪) বৃষাকপির প্রকাশ একটি দুরূহ অংশ। যদি এরূপ জ্ঞান করা যায়, যে বৃষাকপি এক জাতীয় বানর, একদা ঐ বানর কোন যজমানের যজ্ঞসামগ্রী উচ্ছিষ্ট করিয়া নষ্ট করিয়াছিল। যজমান এরূপ কল্পনা করিল, যে ঐ বানর ইন্দ্রের পুত্র, সেই নিমিত্ত ইন্দ্র উহার ধৃষ্টতা নিবারণ করিলেন না। কবি সেই কল্পনার উপর ইন্দ্রের উক্তি ও ইন্দ্রাণীর কথা, ইত্যাদি রচনা করিলেন। এই প্রকার জ্ঞান করিলে বৃষাকপি সূক্তের প্রায় সর্ব্বাংশে ব্যাখ্যাত হয়। এ সূক্তটি বোধ হয় অপেক্ষাকৃত আধুনিক।

H.H. Wilson এর অনুবাদ

Rig Veda (translation and commentary)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

RALPH T. H. GRIFFITH এর অনুবাদ

Rig veda 10.86.1-23

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

ঋগ্বেদ ১০/৮৬/১-২৩ (সকল অনুবাদ)

Rig veda 10.86.1 MEN have abstained from pouring juice they count not Indra as a God.
Where at the votary’s store my friend Vrsakapi hath drunk his fill. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.2 Thou, Indra, heedless passest by the ill Vrsakapi hath wrought;
Yet nowhere else thou findest place wherein to drink the Soma juice. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.3 What hath he done to injure thee, this tawny beast Vrsakapi,
With whom thou art so angry now? What is the votary’s foodful store? Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.4 Soon may the hound who hunts the boar seize him and bite him in the car,
O Indra, that Vrsakapi whom thou protectest as a friend, Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.5 Kapi hath marred the beauteous things, all deftly wrought, that were my joy.
In pieces will I rend his head; the sinner’s portion sball be woo. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.6 No Dame hath ampler charms than 1, or greater wealth of love’s delights.
None with more ardour offers all her beauty to her lord’s embrace. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.7 Mother whose love is quickly wibn, I say what verily will be.
My,breast, O Mother, and my head and both my hips seem quivering. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.8 Dame with the lovely hands and arms, with broad hair-plaits add ample hips,
Why, O thou Hero’s wife, art thou angry with our Vrsakapi? Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.9 This noxious creature looks on me as one bereft of hero’s love,
Yet Heroes for my sons have I, the Maruts’ Friend and Indra’s Queen. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.10 From olden time the matron goes to feast and general sacrifice.
Mother of Heroes, Indra’s Queen, the rite’s ordainer is extolled. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.11 So have I heard Indrāṇī called most fortunate among these Dames,
For never shall her Consort die in future time through length of days. Supreme is Indra overall.
Rig veda 10.86.12 Never, Indralni, have I joyed without my friend Vrsakapi,
Whose welcome offering here, made pure with water, goeth to the Gods. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.13 Wealthy Vrsakapayi, blest with sons and consorts of thy sons,
Indra will eat thy bulls, thy dear oblation that effecteth much. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.14 Fifteen in number, then, for me a score of bullocks they prepare,
And I devour the fat thereof: they fill my belly full with food. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.15 Like as a bull with pointed horn, loud bellowing amid the herds,
Sweet to thine heart, O Indra, is the brew which she who tends thee pours. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.18 O Indra this Vrsakapi hath found a slain wild animal,
Dresser, and new-made pan, and knife, and wagon with a load of wood. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.19 Distinguishing the Dāsa and the Ārya, viewing all, I go.
I look upon the wise, and drink the simple votary’s Soma juice. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.20 The desert plains and steep descents, how many leagues in length they spread!
Go to the nearest houses, go unto thine home, Vrsakapi. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.21 Turn thee again Vrsakapi: we twain will bring thee happiness.
Thou goest homeward on thy way along this path which leads to sleep. Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.22 When, Indra and Vrsakapi, ye travelled upward to your home,
Where was that noisome beast, to whom went it, the beast that troubles man? Supreme is Indra over all.
Rig veda 10.86.23 Daughter of Manu, Parsu bare a score of children at a birth.
Her portion verily was bliss although her burthen caused her grief.

সমাপ্ত।

    Show More

    ইন্দো আর্য

    [ছদ্মনামে লিখি] Join: t.me/HinduDhormo
    4.5 2 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button