ইসলামবিরোধীদের প্রতি জবাবসীরাত ও ইতিহাস

ফাতিমা (রাঃ) – আলীর (রাঃ) বিবাহ এবং শিয়া-নাস্তিকদের নিষ্ফল অপপ্রচার

আলী (রাঃ) ও ফাতিমা (রাঃ) এর বিয়ে সংক্রান্ত একটি হাদিস নিয়ে নাস্তিক এবং শিয়াদের বহু অপপ্রচার লক্ষ করা যাচ্ছে। হাদিসটি হলোঃ

হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ)…আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, আবু বকর এবং উমর (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ)-এর বিবাহের পয়গাম পাঠালে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে তো অল্প বয়স্ক। এরপর আলী (রঃ) প্রস্তাব করলে তিনি তাঁর সাথে বিবাহ দিলেন।[1]সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | হাদিস: ৩২২৪. Sunan An-Nasai (Islamic Foundation), Hadith No. 3224. Retrieved December 3, 2022, from http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=77252

পথভ্রষ্টরা এই স্বাভাবিক ঘটনা নিয়ে কয়েকরকমের অপপ্রচার চালিয়ে থাকে। যেমনঃ

  • শী’আরা বলে এই ঘটনাতে নাকি প্রমাণ হয় আলীই (রাঃ) বাকি দু’জন থেকে শ্রেষ্ঠতর।
  • ইসলামের প্রতি হিংসা লালনকারী অন্যরা বলে থাকে, মুহাম্মদ ﷺ অল্পবয়সী আয়িশাহকে (রাঃ) বিয়ে করে থাকলে ফাতিমাকে (রাঃ) কেন আবু-বকর কিংবা উমরের (রাঃ) সাথে বিবাহ দেন নি? এটা কি দ্বিমুখী আচরণ নয়?

আসুন আজকে দুটো অন্তঃসারশূন্য চিৎকারেরই আওয়াজ মাপি।

তাহক্বীক

আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদিসের তাহক্বীকে সহিহ বলেছেন।

উচ্চস্তরের কোনো মুহাক্কিক একে সহিহ ভিন্ন যঈফ বলেন নি। আসুন এবার হাদিসের ভেতরে প্রবেশ করি।

অল্পবয়ষ্ক বলা মানে বিবাহের অনুপোযোগ্য নয় বরং বিনয়ীভাবে না বলা

প্রথমে যখন উমর (রাঃ) এবং আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) রাসূলের ﷺ কাছে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন রাসূল বলেছিলেন যে ‘সে তো অল্পবয়ষ্ক।’ কিন্তু এর মানে এই নয় যে ফাতিমা (রাঃ) বিয়ের অনুপোযুক্ত! কারণ ফাতিমা (রাঃ) থেকে কয়েক বছরের ছোট অবস্থায়ই তিনি আয়িশাহ (রাঃ) কে বিয়ে করেছিলেন।

এ সম্পর্কে আরও জানুন এখানে।[7]How Old Was ‘Aishah When She Married the Prophet? – Islam Question & Answer. Retrieved December 3, 2022, from https://islamqa.info/en/answers/124483/how-old-was-aishah-when-she-married-the-prophet[8]The reason why the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) married ‘Aa’ishah despite the age difference – Islam Question & Answer. Retrieved December 3, 2022, from https://islamqa.info/en/answers/44990/the-reason-why-the-prophet-peace-and-blessings-of-allaah-be-upon-him-married-aaishah-despite-the-age-difference[9]Arafat. (2022, April 25). আয়িশা (রাঃ) কি ৯ বছরে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছুন নি? – সাথে বিভ্রান্তির জবাব | ফ্রম মুসলিমস্. FromMuslims. Retrieved December 3, 2022, from https://www.frommuslims.com/?p=1044

আবার নবীকন্যা রুকাইয়া (রাঃ)-এর প্রথম বিয়েও ৮ বছরের দিকে হয়েছিলো। যয়নব বিনতে মুহাম্মদ (রাঃ) এর বিয়ে ১১ বছরে হয়েছিলো। তাই ১৫+ বয়সী ফাতিমা (রাঃ) কে বিবাহের অনুপোযোগ্যা ছিলেন বলা যাবে না। এবং তা অস্বাভাবিকও নয়। ইসলামেও হারাম নয়।

মুহাম্মদ আল-সোয়ানী (রহ/হাফিঃ) তাঁর সহিহ হাদিস ভিত্তিক নবীজীর জীবনীগ্রন্থ কিতাবুস সীরাতিন নবওয়াতি কামা জাআত ফী আল-হাদিস আস-সহিহাহ তে উল্লেখ করেছেন,[10]كتاب السيرة النبوية كما جاءت في الأحاديث الصحيحة (খণ্ড 2, পৃ 168-170) Retrieved December 3, 2022, from https://shamela.ws/book/123668/510#p1

আবু বকর (রাঃ) নবীর (ﷺ) কাছে এলেন ফাতিমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: “আবু বকর এবং ওমর (রা…) ফাতিমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব করলেন, এবং আল্লাহর রসূল (ﷺ) বললেন: সে তো অল্পবয়ষ্ক।”) (*) – এটা একটা বিনীত ক্ষমা প্রার্থনা। তিনি (ﷺ) মিথ্যা বলেননি যখন তিনি বলেছিলেন: “সে তো অল্পবয়স্ক।”

ফাতিমা সত্যিই অল্পবয়সী, কিন্তু বিয়ে না করতে পারার মতো নয়.. আয়েশা বিনতে আবি বকর আল-সিদ্দিক (রাঃ) তার থেকে কয়েক বছরের ছোট এবং তিনি এখন আল্লাহর রসূলের স্ত্রী – .. এবং আল্লাহর রাসূল (ﷺ) – আবু বকর এবং ওমরের চেয়েও বয়স্ক এবং বড়। সুতরাং ব্যাপারটা তার থেকে ভিন্ন.. তাহলে আবু বকর ও উমর জাতির মধ্যে শ্রেষ্ঠ.. এবং তারা উসমানের চেয়েও উত্তম। তবুও, তিনি তাদের কাছে ক্ষমা চাইলেন এবং উসমান তাঁর দুই কন্যাকে বিয়ে করলেন: রুকাইয়া এবং উম্মে কুলথুম। প্রকৃতপক্ষে, তার জ্যেষ্ঠ কন্যা জয়নাব এখন পর্যন্ত একজন মুশরিক লোকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছেন (*) যিনি হলেন আবু আল-আস বিন আল-রাবী.. সুতরাং বিষয়টি আগে এবং পরে আল্লাহর।

আবু বকর চলে গেলেন এবং উমর চলে গেলেন, (আল্লাহ তাদের উভয়ের প্রতি সন্তুষ্ট হোন), এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ) যাতে খুশি হয়েছিলেন, তারা তাতে সন্তুষ্ট থেকেছিলেন.. তাদের খবর একজন মহিলার [আলী রাঃ এর দাসী] কানে পৌঁছে গেল, এবং যা শুনে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে, তাই সে দ্রুত তার মনিবের কাছে ছুটে গেল এবং তাকে বিশ্বের নারীদের নেত্রীকে (ফাতিমা) বিয়ে করতে উৎসাহিত করে.. এই মনিব কী করেছিলেন এবং খবরটি শুনে তিনি কী বলেছিলেন? সে সম্পর্কে আলী রাঃ নিজেই বর্ণনা করেছেন… আমার একজন মহিলা দাসী আমাকে বলল: “আপনি কি জানেন যে রাসূলের (ﷺ) কাছে ফাতিমার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো” আমি বললাম: “না।” সে বলল: “আপনিও তো ফাতিমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন! তাহলে আপনি কেন বিবাহ করছেন না, আপনার কোন জিনিস আপনাকে বিবাহ করতে বাঁধা দিচ্ছে? আবু বকর ও উমরকে তো রাসূল (ﷺ) ফিরিয়ে দিয়েছেন। হতে পারে এখন আপনি প্রস্তাব দিলে রাসূল (ﷺ) আপনার সাথে ফাতিমার বিয়ে দিয়ে দিবেন।” আমি বললাম, “আমার কাছে তো তেমন সম্পদ নেই, যার মাধ্যমে (মোহরানা) আমি বিয়ে করতে পারবো।” তখন ঐ দাসী বললো, “আপনি যদি রাসূলের (ﷺ) কাছে যান, তাহলেই হবে।” এবং সে আমাকে বারবার বলতেই থাকলো, যতক্ষণ না আমি রাসূলের কাছে যাই। এবং আমিও তখন আশা করতাম যে আমি রাসূলের (ﷺ) কাছে যাবো।(*)

কিন্তু কেন ফাতিমার বিবাহের ব্যাপারে আলীর মনে এতো দ্বিধা ছিলো… সম্ভবত, তিনি নিঃস্ব এবং সে বিশুদ্ধ গোলাপকে মাহর দেওয়ার মতো কিছুই নেই।…

এবং বাকি ঘটনা হলো, যখন আলী (রাঃ) পরবর্তীতে নিজের বর্ম বিক্রি করে ফাতিমা, সেই বিশুদ্ধ গোলাপকে বিয়ে করেন।[11]https://shamela.ws/book/123668/514 ঐতিহাসিকদের মতে বিবাহকালে ফাতিমা (রাঃ) এর বয়স ছিলো ১৫ বছর সাড়ে ৫ মাস[12]ইবনু কাসীর, কিতাবুল তাকমিল ফি আল-জুরহ ওয়াল তা’দিল ওয়ামারিফাত আলসিকাত ওয়াল যঈফা ওয়াল মাজাহিল ৪/২৮৫ https://shamela.ws/book/96228/1748[13]আসাদুল গাবা ৬/২২০[14]আল-মুকাদ্দামাত আল-মামিদাত 3/352[15]তাররাহ আল -তাত্রিব 1/150[16]আল-মাকরিজির “ইমতা’ আল-আসমা” 5/352 কিংবা ১৬, কিংবা ১৮, কিংবা ২০ বছর।[17]কিতাবুত তাহফ আলসা-ইল বিমা লিফাতিমাতু মান আল-মুনাক্বিব ওয়াল ফাদ্বা-আল, পৃ ৩৩ https://shamela.ws/book/12731/11 আর আলী (রাঃ) এর বয়স ছিলো ২১ কিংবা ২৩ বছর। তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিলো ৫ বছর কিংবা ৭ বছর।[18]كتاب فاطمة بنت النبي – صلى الله عليه وسلم – سيرتها، فضائلها، مسندها – رضي الله عنها –

3/25 https://shamela.ws/book/50/1045

এর মাধ্যমে যা বোঝা যাচ্ছে।

  • আবু বকর, উমর নিঃসন্দেহে আলী (রাঃ) এর থেকে শ্রেষ্ঠ। এখান থেকে উল্টোটা প্রমাণ হয় না।
  • অল্পবয়ষ্ক বলা মানে এখানে বিবাহোনুপোয্যা নয়। কারণ ১৫ বছর বয়সী ফাতিমা (রাঃ) মোটেই বিবাহ অনুপোযোগ্য-অল্পবয়সী ছিলেন না। বরং তা বিনয়ীভাবে না বলার একটা অজুহাত হিসেবে বলা যেতে পারে। অর্থাৎ আবু বকর-উমর (রাঃ) কে বিয়ে না দেওয়ার জন্য বিনয়ীভাবে বলা শুধু। [বিবাহের প্রস্তাব এবং বিবাহ সমসাময়িক ধরলে এটা বলা যেতে পারে।]
  • আলী (রাঃ) আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফাতিমাকে বিয়ের জন্য। কিন্তু তাতে ফলাফল কী ছিলো তা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। হতে পারে আলী (রাঃ) কে আগে পছন্দ করে রেখেছিলেন, সেজন্য বাকিদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি। এবং পরবর্তীতে নিঃস্ব আলী (রাঃ) এর সাথেই বিয়ে দেন।
Read More…
মুহাম্মদ (ﷺ) কি আয়িশা (রাঃ) কে কখনো প্রহার করেছিলেন?

ফাতিমা রাঃ এর জন্য আগে আলী (রাঃ) যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার ফলাফল সহিহ বর্ণনায় পাওয়া যায় না। তবে একটি যঈফ বর্ণনায় এসেছে যে, আলী (রাঃ) কে আগেই কথা দিয়েছিলেন। বর্ণনাটি এসেছে তাবাকাত ইবনে সা’দে,[19]কিতাবুল তাবাকাতুল কুবরা ১০/২০ https://shamela.ws/book/146/4466

أخبرنا الفضل بن دكين، حدثنا موسى بن قيس الحضرمي قال: سمعت حجر بن عنبس قال: وقد كان أكل الدم في الجاهلية وشهد مع علي الجمل وصفين: قال: خطب أبو بكر وعمر فاطمة إلى رسول الله، -صلى الله عليه وسلم-، وفقال النبي، -صلى الله عليه وسلم-، هى لك يا علي، لست بدجال، يعني لست بكذاب. وذلك أنه قد كان وعد عليا بها قبل أن يخطب إليه أبو بكر وعمر.

ফাদল ইবনে দাকিন আমাদের বলেছেন, মুসা ইবনে কায়েস আল-হাদ্রামি আমাদের বলেছেন: “আমি হাজার ইবনে আনবিসকে বলতে শুনেছি: তিনি প্রাক-ইসলামী যুগে রক্ত খেতেন এবং তিনি আলী আল-জামালের সাথে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং দুটি বর্ণনা করেছিলেন: তিনি বলেছিলেন: আবু বকর এবং উমর, ফাতিমার ব্যাপারে আল্লাহর রাসূলের কাছে বিবাহ প্রস্তাব করেছিলেন এবং রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন, “হে আলী, আমি মিথ্যাবাদী নই, আমি ওয়াদা-ভঙ্গকারী নই। এর কারণ হচ্ছে, আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) তার সাথে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার পূর্বেই তিনি আলী (রাঃ)-কে এ বিষয়ে ওয়াদা করেছিলেন।”

হাজার ইবনে আনবাস (রহঃ) রাসূলের (ﷺ) দেখা পান নি। ইব্রাহিম বিন আবদুল্লাহ আল-মুদায়েশ বলেছেন, হাদিসটি মুরসাল এবং সনদ হাসান।[20]كتاب فاطمة بنت النبي – صلى الله عليه وسلم – سيرتها، فضائلها، مسندها – رضي الله عنها –

2/508 https://shamela.ws/book/50/991
আলবানী হাদিসটিকে মুরসাল বলেছেন।[21]সিলসিলা যঈফা ১৩/৮৮৩, হাদিস নং ৬৩৯২ https://shamela.ws/book/12762/9687 আল আকিলি যঈফ বলেছেন।[22]কিতাবুল যঈফা আল-কবির লিল-আকিলি ৪/১৬৫, হাদিস নং ১৭৩৬ https://shamela.ws/book/13041/3719

বর্ণনাটি মুরসাল হওয়ায় আমরা তা গ্রহণ করছি না। এবং এটি হতেও পারে, নাও হতে পারে। আল্লাহই ভালো জানেন।

বিবাহ প্রস্তাব নাকোচের কারণ আল্লাহই ভালো জানেন

আমরা পূর্বে দেখেছি মুহাম্মদ আল-সোয়ানি বলেছেন যে, ফাতিমা বিবাহের হিসাবে অল্পবয়ষ্কা ছিলেন না, বরং রাসূল (ﷺ) কেন আবু বকর-উমরের বিবাহের প্রস্তাবে সাড়া দেন নি, সে বিষয়টা আগে ও পরে আল্লাহরই। আল সিন্দিও তার ব্যাখ্যার শেষে পরে আল্লাহর নিকট ব্যাপারটা নির্দেশ করেছেন। সেটা আমরা এখন দেখবো।

কুফু – আলী (রাঃ) এর বয়সের সাথে অধিক সামঞ্জস্য

আল-সিন্দি লিখেছেন,[23]সুনানে নাসায়ীর ব্যাখ্যায়, শারহুল সিন্দি ৬/৬২ https://shamela.ws/book/522/1306

فخطبها علي أي عقب ذلك بلا مهلة كما تدل عليه الفاء فعلم أنه لاحظ الصغر بالنظر إليهما وما بقي ذاك بالنظر إلى علي فزوجها منه ففيه أن الموافقة في السن أو المقاربة مرعية لكونها أقرب إلى المؤالفة نعم قد يترك ذاك لما هو أعلى منه كما في تزويج عائشة رضي الله تعالى عنها والله تعالى أعلم قوله تزوج المولى العربية أي فالكفاءة بالإسلام لا بما اعتبرها كثير من الفقهاء والله تعالى أعلم قوله البتة متعلق بطلق والمراد طلقها ثلاثا فإن الثلاث تقطع وصلة النكاح والبت القطع

ভাবানুবাদঃ তারপর তিনি (ﷺ)ফাতিমার (রাঃ) বিয়ে আলীর (রাঃ) সাথে দিয়ে দেন, দেরি না করেই, যেমনটা ফা’আ শব্দ থেকে বোঝা যায়। রাসূল (ﷺ) ফাতিমার দিকে তাকিয়ে তার যৌবন লক্ষ্য করেছেন, আর বাকিটুকু যা দেখার তা তিনি আলীর (রাঃ) দিকে দেখেছেন। এতে, বয়সের চুক্তি বা ঘনিষ্ঠতা পরিলক্ষিত হয়, কারণ এটি ঘনিষ্ঠতার কাছাকাছি। তাই তিনি ফাতিমাকে আলীর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। হ্যা, এ বিষয়টি যেমন আয়িশার (রাঃ) বিবাহের মতো উচ্চস্তরের বিষয়ের জন্য ত্যাগ করা যেতে পারে, আল্লাহই ভালো জানেন এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহই ভালো জানেন। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, একজন দাসী আরবের মাওলাকে বিয়ে করেছে।…

বিবাহের ক্ষেত্রে ইসলামে কুফু একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, তবে ফরজ নয়। ‘কুফু’ মানে ‘সমতা ও সাদৃশ্য’। অন্য কথায়, বর ও কনের ‘সমান-সমান হওয়া’, একের সাথে অপরজনের সামঞ্জস্য হওয়া।[24]পরিবার ও পারিবারিক জীবন, বিয়েতে কুফু’র প্রশ্ন https://www.bjilibrary.com/2587/14

আবু-বকর, উমর ও আলীর (আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট হোন) – এই তিনজনের মধ্যে আলী (রাঃ) এর সাথেই কুফুর অধিক মিল পেয়েছেন। তাই তিনি আলী (রাঃ) এর সাথে ফাতিমার (রাঃ) বিবাহ দিয়েছেন। ইসলামে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আর আয়িশাহ (রাঃ) এর বিয়ের ক্ষেত্রে বলা যায়, এরকম অধিক বয়সের পার্থক্যের বিবাহ মূলত যখন অধিক কল্যাণ হয় তখন। যেমনটা তাঁর বিয়ের ক্ষেত্রে হওয়ার হাজারটা কারণ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পড়ুনঃ

Read More…
কামধেনু বনাম বোরাক

ইসলামকিউএ ফতোয়া নং ১৭৮৩১৮: ইসলামে অল্পবয়স্ক বালক-বালিকার বিবাহের বিষয়টি “সুস্পষ্ট কল্যাণ নিহীত আছে” – এমন শর্তের অধীন

মূলত এটাই হচ্ছে তিনজনের প্রস্তাবের মধ্যে আলী (রাঃ) কে বেছে নেওয়ার কারণ, আর অল্পবয়সী বলতে আপেক্ষিক অল্পবয়স বোঝানো হয়েছে, কুফুর সমতা না হওয়ায়। আর ওদিকে আল্লাহ তার রাসূলকে আয়িশার সাথে বিবাহ দিয়েছেন অধিক কল্যাণের জন্য। আল সিন্দিও সেটাই বুঝিয়েছেন। আরো পড়ুনঃ

রাসূল ﷺ ও আয়েশা (রাঃ)-কে নিয়ে যতো মিথ্যাচার

আলবানী (রহঃ) বলেছেন,

وينبغي أن لا يزوج صغيرته – ولو بالغة – من رجل يكبرها في السن كثيرا، بل ينبغي أن يلاحظ تقاربهما في السن؛ لما روى النسائي…

কারও তার চেয়ে অনেক ছোট মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয় – যদিও সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয় – এবং কারও তার চেয়ে অনেক বড় পুরুষের সাথে তার বিয়ে করা উচিত নয়, বরং তার বয়সের দিক থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা লক্ষ্য করা উচিত।[25]كتاب جامع تراث العلامة الألباني في الفقه

12/51 https://shamela.ws/book/145204/5208

আল-ছাইয়ুবি (রহঃ/হাফিঃ) বলেছেন,

“সে অল্পবয়সী” এর অর্থ এই যে, তোমরা উভয়েই বয়সের দিক থেকে তার সাথে কাছাকাছি নও; এবং এর দ্বারা কি উদ্দেশ্য করা হয়েছে? বিবাহ হল ঘনিষ্ঠতার ধারাবাহিকতা এবং দশজনের বেঁচে থাকা, তাই স্বামী/স্ত্রীর একজনের বয়স অপরের বয়স না হলে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে অর্জিত হবে না।[26]كتاب ذخيرة العقبى في شرح المجتبى

27/57, Hadeeth No. 3222 https://shamela.ws/book/12888/13745

আমরা আমাদের উত্তর ইতোমধ্যেই পেয়ে গিয়েছি। কুফু মেনে বিবাহই ইসলামে অধিক স্বাভাবিক, আর সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে আলী রাঃ ও ফাতিমা রাঃ এর বিয়ের ক্ষেত্রে। আর অন্যদিকে, আয়িশা রাঃ এর বিয়ে অধিকতর কল্যাণ বিবেচনায়। এ বিষয়টি দেখি চলুন।

আয়িশা (রাঃ) এর বিবাহ ও ফাতিমা (রাঃ) এর বিবাহ কি সমস্যার?

যারা এতোক্ষণ পর্যন্ত পড়েছেন তাদের আশা করি আর পড়ার দরকার নেই, এই প্রশ্নের উত্তর তারাই দিতে পারবেন। আল-ছাইয়ুবি বলেছেন,

[নবীজী] আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন যখন তিনি ছোট ছিলেন, তাহলে তিনি কীভাবে আবু বকর এবং উমরকে বললেন যে ফাতিমা অল্পবয়সী?

উত্তরের উপসংহার এই যে, সুন্নাতে চুক্তি বা এতে ঘনিষ্ঠতা (কুফু) কেবল তখনই বিবেচিত হয় যখন স্বামীর জোরালো কোন ফজিলত না থাকে, অন্যথায় এতে বৈষম্যের কিছু নেই; অতএব, নবী (ﷺ) আয়েশাকে (রাঃ) বিবাহ করেছিলেন – যখন তিনি ছয় বছরের একটি মেয়ে ছিলেন এবং তার বয়স ছিল পঞ্চাশ বছরের বেশি। আমরা যখন উল্লেখ করেছি।

[যদি বলা হয়] : আবু বকর ও ওমরেরও তো তেমন গুণ ছিল যা উদ্দেশ্য পূরণ করেছিল; কেন তা বিবেচনা করা হয়নি? [আমরা বলবো] : হ্যাঁ, তাদের গুণ ও সম্মান – অস্বীকার করা হয় না, তবে আলী (রাঃ) ফাতিমার (রাঃ) সম্পর্কে – যা সত্য যে তিনি বয়সের দিক থেকে তার কাছাকাছি, এবং তিনি সেই ব্যক্তি যিনি বিবাহের উদ্দেশ্য পূর্ণ করেছিলেন, যা হলো স্বামীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং ভালবাসার ধারাবাহিকতা, যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, তাই নবী (ﷺ) তার সাথেই বিয়ে দিয়েছিলেন। আর আল্লাহই জানেন কি সঠিক, এবং তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তন…[27]كتاب ذخيرة العقبى في شرح المجتبى

27/58 https://shamela.ws/book/12888/13746

ইসলামটুডে ফতোয়া

[নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ফাতিমাকে বিয়ে দেন নি কারণ ফাতিমা অল্পবয়সী ছিলেন, কিন্তু আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন যখন তিনি ছোট ছিলেন][28]https://shamela.ws/book/894/6546

উত্তরদাতাঃ মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আলক্বানাস

তারিখঃ ৬/৮/১৪২৫ হিজরি

প্রশ্নঃ আমি চাই আমাকে ব্যাখ্যা করুন যে কেন আল্লাহর রসূল (ﷺ) কেন তার কন্যা ফাতিমাকে আবু বকর বা উমরের সাথে বিয়ে দেননি (রাঃ) এবং তিনি অল্প বয়স বলে কারণ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে তিনি আয়েশাকে (রাঃ) বিয়ে করেন, তার বয়স যখন দশ বছর হয়নি। এবং আমি কেবল এই প্রশ্নটির মাধ্যমে আমার নিজের মধ্যে যে বিব্রতবোধ তৈরি হয়েছিল তা দূর করতে এবং আমাদের মহান নবী সম্পর্কে ওরিয়েন্টালিস্টদের ছড়ানো বিভ্রান্তির সঠিক উত্তর জানতে চাইছি।

উত্তরঃ

আল্লাহর প্রশংসা, এবং দোয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক আল্লাহর রসূলের উপর – আল্লাহর দোয়া ও শান্তি বর্ষিত হোক। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত ও দয়া আপনার উপর বর্ষিত হোক।

প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসটি আল-নাসায়ী তার সুনানে (৬/৬২) , ইবনে হিব্বান তার সহীহ (৬৯৪৮) এবং আল-হাকিম আল-মুসতাদরাক (২/১৬৭) গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং তিনি এটিকে সহিহ বলেছেন। দুই শাইখের শর্তানুযায়ী, এবং আল-ধাহাবীও তার সাথে একমত (৬৯৪৮)।

হুসায়ন ইবন হুরায়াছ (রহঃ)…আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, আবু বকর এবং উমর (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ)-এর বিবাহের পয়গাম পাঠালে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে তো অল্প বয়স্ক। এরপর আলী (রঃ) প্রস্তাব করলে তিনি তাঁর সাথে বিবাহ দিলেন।

এবং এটি একটি সহিহ সনদের হাদিস, এবং নাসায়ী (রহঃ) ‘সমবয়সী একজন মহিলাকে বিয়ে করা’ পরিচ্ছদে হাদিসটি নিয়েছেন, এই হাদিস থেকে পাওয়া যায়, বিয়ে করার সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে বয়স চুক্তি বিবেচনা করা হয়; তার কারণ এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা, এবং বিবাহের ধারাবাহিকতা এবং ভাল আচরণের জন্য বলা হয়।

তবে এটি একটি উচ্চতর এবং বৃহত্তর স্বার্থের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে [ব্যতিক্রম করা যায় কিনা], যেমন নবীর (ﷺ) ও আয়িশাহ (রাঃ) এর বিবাহের ক্ষেত্রে। হাদিসগুলি থেকে পাওয়া যায় যে তাদেরর বিবাহ একটি স্বপ্নের মাধ্যমেই  জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো হয়েছিল, এবং নবীদের স্বপ্ন সত্য, এটি এমন কিছু যা আল্লাহ চেয়েছিলেন এবং তাক্বদীরে নির্ধারণ করেছিলেন, এবং তিনিই সর্বজ্ঞাত, জ্ঞানী। সহীহ আল-বুখারি (৩৮৯৫) এবং মুসলিম (২৪৩৮) হাদিসঃ

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, দু’বার তোমাকে আমায় স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমী কাপড়ে আবৃতা এবং আমাকে বলছে ইনি আপনার স্ত্রী, আমি তার ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম, সে মহিলা তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে, তবে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন।

এবং এই বরকতময় বিয়েতে কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাহর জন্য মহান কল্যাণ ঘটেছে, কারণ আল্লাহ তাঁর নবীর (ﷺ) জন্য মনোনীত করেছেন রাসূলের বন্ধুর কন্যাকে, যিনি বুদ্ধিমত্তা, মুখস্থ, বাগ্মীতা, বোধগম্যতা এবং প্রারম্ভিক প্রতিভার চিহ্ন ছিলেন। তাই তিনি আমি নবীর (ﷺ) কাছ থেকে মুখস্ত করেছিলেন তাঁর অনেক কথা, কাজ , এবং শর্তাবলী, বিশেষ করে তার বৈবাহিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত বিবরণ এবং সময়গুলো যা শুধুমাত্র তার স্ত্রীরাই দেখতে পারে; আল্লাহ জাতির কাছে রাসূলের সাথে সম্পূর্ণ একজন মাধ্যম হিসাবে আয়িশাকে নির্ধারণ করেছেন। ইনিই আল্লাহ, মীমাংসাকারী এবং সরল পথের পথপ্রদর্শক। – ফতোয়া সমাপ্ত।

Read More…
জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি মানে কী?

হতে পারে ফাতিমা (রাঃ) সত্যিই বেশি কমবয়সী ছিলেন

মুল্লা আল-কারী উল্লেখ বলেছেন,

অথবা এটা সম্ভব যে তিনি যখন ফাতিমার (রাঃ) সাথে আলীর (রাঃ) সাথে বিয়ে ঠিক হয়, তখন তিনি অল্পবয়সী ছিলেন, তারপর পরে যখন তিনি বড় হয়েছিলেন এবং আলীর সাথে তার পনেরো বছর বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন।[29]কিতাব মারক্বাতুল মাফাতিহ শারহ মিশকাতুল মাসাবিহ ৯/৩৪৯৯, হাদিস নং ৬১০৪ https://shamela.ws/book/8176/8516

তবে এর থেকে উত্তম মত হলো আল-সিন্ধির অভিমত। হাদিসে ‘ফা’ শব্দ দিয়ে বোঝায় দেরি করেন নি, সে সময়ই বিয়ে দিয়েছিলেন।

আলী (রাঃ) কি আবু বকর (রাঃ) এবং উমর (আঃ) থেকে শ্রেষ্ঠ?

এই হাদিস থেকে শী’আরা দাবি করে এই ঘটনা থেকে নাকি প্রমাণ হয় যে আলী বাকি দু’জন থেকে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এতক্ষণ আলোচনার পরে তাদের এই দাবির কোনো ভিত্তি থাকে না। বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো মূলত বয়সের অধিক সামঞ্জস্য বিবেচনায়। শ্রেষ্ঠত্ব বিবেচনায় নয়। এই বিষয়ে ইসলামওয়েবের ফতোয়াতে বিস্তারিত এসেছে।[30]https://www.islamweb.net/amp/ar/fatwa/428218

আল্লাহ তা’আলা নিজেই কুরআনে আবু বকরের (রাঃ) সাহাবিয়ত্বের প্রমাণ দিয়েছেন,

যদি তোমরা তাকে (রাসূলুল্লাহকে) সাহায্য না কর, তাহলে আল্লাহই (তাকে সাহায্য করবেন যেমন তিনি) তাকে সাহায্য করেছিলেন সেই সময়ে, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে (মক্কা হতে) বহিষ্কার করে দিয়েছিল, যখন সে ছিল দুজনের মধ্যে একজন; যখন উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল। সে তখন স্বীয় সঙ্গী (আবু বাকর)কে বলেছিল, ‘তুমি বিষণ্ণ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’ অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় সান্ত্বনা অবতীর্ণ করলেন এবং এমন সেনাদল দ্বারা তাকে শক্তিশালী করলেন, যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি অবিশ্বাসীদের বাক্য নীচু করে দিলেন, আর আল্লাহর বাণীই সমুচ্চ রইল। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।[31]কুরআন ৯:৪০

যে আবু বকর (রাঃ) এর সাহাবিয়ত্ব অস্বীকার করবে সে সরাসরি কাফির হয়ে যাবে। সাহাবায়ে কেরামদের বর্ণনাতেই তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাবান ছিলেন আবু বকর (রাঃ),

ইব্‌নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,আমরা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যুগে সাহাবীগণের পারস্পরিক মর্যাদা নির্ণয় করতাম। আমরা সর্বাপেক্ষা মর্যাদা দিতাম আবূ বকর (রাঃ)-কে তাঁরপর ‘উমার ইব্‌নু খাত্তাব (রাঃ)-কে, অতঃপর ‘উসমান ইব্‌নু আফ্‌ফান (রাঃ)-কে।[32]সহিহুল বুখারী, হাদিস নং ৩৬৫৫

আলী (রাঃ) এর বর্ণনাতেই এটা এসেছে,

মুহাম্মাদ ইবনু হানাফীয়া (রহ.) বলেন, আমি আমার পিতা ‘আলী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ কে? তিনি বললেন, আবূ বাকর (রাঃ)। আমি বললাম, অতঃপর কে? তিনি বললেন, ‘উমার (রাঃ)। আমার আশংকা হল যে, অতঃপর তিনি ‘উসমান (রাঃ)-এর নাম বলবেন, তাই আমি বললাম, অতঃপর আপনি? তিনি বললেন, না, আমি তো মুসলিমদের একজন।[33]সহিহুল বুখারী ৩৬৭১

উপসংহার

  • অল্পবয়স্ক মানে বিবাহের অনুপোযোগ্য ধরলে, পরে ১৫ বছর হওয়ার পর বিবাহ হয়েছিলো মনে করতে হবে।
  • অধিকতর সঠিক মতানুসারে অল্পবয়স্ক বলতে আপেক্ষিকভাবে বয়সে বেশি ছোট।
  • ইসলামে কুফু বিবেচনায় রাখা জরুরি। যেখানে সমতা বিবেচনা করা হয়।
  • আলী (রাঃ) এর সাথে এরকম বয়সের মিল হয়েছিলো। তাই তাঁর সাথেই ফাতিমার (রাঃ) বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
  • তবে জোরালো ফজীলতের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি ছাড় দেওয়া যেতে পারে। যেমনঃ মুহাম্মদ (ﷺ) ও আয়িশা (রাঃ) এর বিবাহ।

ফাতিমা (রাঃ) ও আলী (রাঃ) এর বিবাহ সম্পর্কে আরেকটি অপপ্রচারের খণ্ডন দেখুনঃ

ফাতিমা(রা) এর সাথে আলী(রা) এর বিয়ে দেয়া


নীরিক্ষণঃ সালিম উদ্দিন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا

Footnotes

Footnotes
1 সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | হাদিস: ৩২২৪. Sunan An-Nasai (Islamic Foundation), Hadith No. 3224. Retrieved December 3, 2022, from http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=77252
2 http://www.muslimscholars.info/manage.php?submit=scholar&ID=3131
3 http://www.muslimscholars.info/manage.php?submit=scholar&ID=11432
4 http://www.muslimscholars.info/manage.php?submit=scholar&ID=20452
5 http://www.muslimscholars.info/manage.php?submit=scholar&ID=20648
6 http://www.muslimscholars.info/manage.php?submit=scholar&ID=30325
7 How Old Was ‘Aishah When She Married the Prophet? – Islam Question & Answer. Retrieved December 3, 2022, from https://islamqa.info/en/answers/124483/how-old-was-aishah-when-she-married-the-prophet
8 The reason why the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) married ‘Aa’ishah despite the age difference – Islam Question & Answer. Retrieved December 3, 2022, from https://islamqa.info/en/answers/44990/the-reason-why-the-prophet-peace-and-blessings-of-allaah-be-upon-him-married-aaishah-despite-the-age-difference
9 Arafat. (2022, April 25). আয়িশা (রাঃ) কি ৯ বছরে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছুন নি? – সাথে বিভ্রান্তির জবাব | ফ্রম মুসলিমস্. FromMuslims. Retrieved December 3, 2022, from https://www.frommuslims.com/?p=1044
10 كتاب السيرة النبوية كما جاءت في الأحاديث الصحيحة (খণ্ড 2, পৃ 168-170) Retrieved December 3, 2022, from https://shamela.ws/book/123668/510#p1
11 https://shamela.ws/book/123668/514
12 ইবনু কাসীর, কিতাবুল তাকমিল ফি আল-জুরহ ওয়াল তা’দিল ওয়ামারিফাত আলসিকাত ওয়াল যঈফা ওয়াল মাজাহিল ৪/২৮৫ https://shamela.ws/book/96228/1748
13 আসাদুল গাবা ৬/২২০
14 আল-মুকাদ্দামাত আল-মামিদাত 3/352
15 তাররাহ আল -তাত্রিব 1/150
16 আল-মাকরিজির “ইমতা’ আল-আসমা” 5/352
17 কিতাবুত তাহফ আলসা-ইল বিমা লিফাতিমাতু মান আল-মুনাক্বিব ওয়াল ফাদ্বা-আল, পৃ ৩৩ https://shamela.ws/book/12731/11
18 كتاب فاطمة بنت النبي – صلى الله عليه وسلم – سيرتها، فضائلها، مسندها – رضي الله عنها –

3/25 https://shamela.ws/book/50/1045

19 কিতাবুল তাবাকাতুল কুবরা ১০/২০ https://shamela.ws/book/146/4466
20 كتاب فاطمة بنت النبي – صلى الله عليه وسلم – سيرتها، فضائلها، مسندها – رضي الله عنها –

2/508 https://shamela.ws/book/50/991

21 সিলসিলা যঈফা ১৩/৮৮৩, হাদিস নং ৬৩৯২ https://shamela.ws/book/12762/9687
22 কিতাবুল যঈফা আল-কবির লিল-আকিলি ৪/১৬৫, হাদিস নং ১৭৩৬ https://shamela.ws/book/13041/3719
23 সুনানে নাসায়ীর ব্যাখ্যায়, শারহুল সিন্দি ৬/৬২ https://shamela.ws/book/522/1306
24 পরিবার ও পারিবারিক জীবন, বিয়েতে কুফু’র প্রশ্ন https://www.bjilibrary.com/2587/14
25 كتاب جامع تراث العلامة الألباني في الفقه

12/51 https://shamela.ws/book/145204/5208

26 كتاب ذخيرة العقبى في شرح المجتبى

27/57, Hadeeth No. 3222 https://shamela.ws/book/12888/13745

27 كتاب ذخيرة العقبى في شرح المجتبى

27/58 https://shamela.ws/book/12888/13746

28 https://shamela.ws/book/894/6546
29 কিতাব মারক্বাতুল মাফাতিহ শারহ মিশকাতুল মাসাবিহ ৯/৩৪৯৯, হাদিস নং ৬১০৪ https://shamela.ws/book/8176/8516
30 https://www.islamweb.net/amp/ar/fatwa/428218
31 কুরআন ৯:৪০
32 সহিহুল বুখারী, হাদিস নং ৩৬৫৫
33 সহিহুল বুখারী ৩৬৭১

Tahsin Arafat

Editor-in-Chief, FromMuslims
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Back to top button
FromMuslims We would like to show you notifications for the latest updates.
Dismiss
Allow Notifications