দ্বীন আর ধর্ম কি এক? ইসলাম ধর্ম নাকি দ্বীন?
“ধর্ম”, বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। সাধারণের বুঝ অনুযায়ী, ধর্ম হচ্ছে সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার জন্য পালনীয় কিছু আচার অনুষ্ঠান। এই সুবাদে হিন্দু মতবাদ একটি ধর্ম, খৃষ্টান মতবাদ একটি ধর্ম, শিখ/বৌদ্ধ/জৈন/ইহুদী/নাস্তিক এমনকি ইসলামও একটি ধর্ম। অন্যান্য মতবাদকে ধর্ম বলে গ্রহণ করা হলেও ইসলামকে কিছু অনুষ্ঠান সর্বস্ব ধর্ম মনে করা যথার্থ হবে না। কারণ ইসলাম কথা বলে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন হতে শুরু করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল পর্যন্ত । সহজ কথায় বলা যায়, জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সকল বিষয় ইসলাম কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং ইসলামে আছে সুনির্দিষ্ট বিধি ব্যবস্থা। পবিত্র কুরআনে ইসলামকে বলা হয়েছে “দ্বীন”। আমরা দেখার চেষ্টা করবো দ্বীনের পরিবর্তে ধর্ম শব্দ ব্যবহার করা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত। “ধর্ম” কি “দ্বীন” শব্দের যথার্থ তাৎপর্য বহন করে? আসুন বন্ধুরা, “দ্বীন” এবং “ধর্ম” শব্দ দুটি নিয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনামূলক আলোচনা করা যাক।
ধর্ম
ধর্ম সম্পর্কে অভিধানে বলা হয়েছেঃ
- সৎকর্ম অনুষ্ঠান-জন্য গুণ বি; সুকৃত; শুভাদৃষ্ট; পূণ্য; শাস্ত্রানুযায়ী আচার ব্যবহার; বেদ-বিহিত অনুষ্ঠান, রীতি; আচার, কর্তব্য; ভাব; স্বাভাবিক অবস্থা, গুণ, শক্তি property, attributle, স্বভাব, সাদৃশ্য, লগ্নের নবম স্থান, দেশ বি; জাতি বি; ঈশ্বর, পরকাল প্রঃ অলৌকিক পদার্থ বিষয়ক বিশ্বাস ও উপাসনা প্রণালী; উচিৎ কর্ম; অবশ্য কর্তব্য কর্ম; ষড়বিধ পূণ্যকর কাজ [যথা—-যোগ্যপাত্রে দান, কৃষ্ণে মতি, মতা পিতার সেবা, শ্রদ্ধা, বলি, গরুকে আহার্য দান। ধর্মের অঙ্গ দশটি; যথা–ব্রহ্মচর্য, সত্য, তপ, দান, নিয়ম, ক্ষমা, শুচিতা, অহিংসা, শান্তি, অস্তেয় (চুরি না করা)। ধর্মের মূল এইগুলিঃ অদ্রোহ, অলোভ, দম, জীবে দয়া, তপ, ব্রহ্মচর্য, সত্য, ক্ষমা ধৃতি]; (অভিধান মতে) সৎসঙ্গ; (দীপিকা মতে) পুরুষের বিহিত ক্রিয়া- সাধ্যগুণ; (মহাভারত মতে) অহিংসা, (পুরাণ মতে) যাহা দ্বারা লোক স্থিতি বিহিত হয়; (যুক্তিবাদী মতে) মানুষের যাহা কর্তব্য তাহা সম্পাদন; (জ্ঞানবাদ মতে) মনের যে প্রবৃত্তি দ্বারা বিশ্ববিধাতা পরমাত্মার প্রতি ভক্তি জন্মে। বিঃ প্রঃ বা ক্লী।
- যম, আত্মা, জীব, ন্যায়-অন্যায় ও পাপ-পূণ্যের বিচারকর্তা, ঈশ্বর, দেবতা বিঃ [বিষ্ণুর বক্ষস্থল থেকে এর জন্ম হয়। ইনি দক্ষের ত্রয়োদশ কন্যাকে বিবাহ করেন,] ধৃ+কর্তৃ। বিঃ পুং। [1]আশুতোষ দেব প্রণীত নূতন বাঙ্গালা অভিধান
ধর্ম শব্দের এক এবং দুই চিহ্নিত বিবরণের শেষে উল্লেখিত সাংকেতিক চিহ্ন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা দরকার। এগুলো যে ব্যকরণে ব্যবহৃত সাংকেতিক চিহ্ন, শিক্ষিত মাত্রেই সেকথা সকলের জানা। বাঙ্গালা ভাষার অভিধানে উল্লেখিত চিহ্ন গুলি যযথাক্রমেঃ
- ধৃ+মন; বিঃ পুং বা ক্লী
- ধৃ+মন্ কর্তৃ। বিঃ পুং।
ধৃ+মন এর তাৎপর্য হলোঃ ‘যা মনকে ধারণ করে বা ধরে রাখে’। এ থেকে বুঝতে পারা যায়, যেসব বিশ্বাস এবং আচারানুষ্ঠান সমূহ সংস্কৃত ভাষাভাষী বিশেষ করে হিন্দুদের মনকে ধারণ করে বা ধরে রাখে তাকে সংক্ষেপে সহজে এবং একটি মাত্র শব্দের মাধ্যমে অভিব্যক্ত করার জন্য সংস্কৃত ভাষার স্রষ্টাগণ ধর্ম শব্দটির সৃষ্টি করেছিলেন।
অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে ধর্মকে একটি দেবতারূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
- বিষ্ণুর বক্ষস্থল থেকে এর জন্ম।
- দক্ষের ত্রয়োদশ কন্যাকে বিবাহ করেন।
- কেদার রাজার যজ্ঞকুণ্ডে একটি পরমা সুন্দরী কন্যা উঠেছিল। রাজা তার নাম বৃন্দা রেখেছিলেন। কন্যাটি পূর্ণ যযৌবনপ্রাপ্ত হলে তাকে দেখে ধর্মেদেবের কামাতুর হৃদয়ে কামের আগুন জ্বলে ওঠে। ব্রাহ্মণরূপী ধর্মদেব অধর্মাচারীর ন্যায় বৃন্দাকে বলপূর্বক ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে সে তিনবার ধর্মের প্রতি অভিশাপ দিয়ে বললো, ক্ষয় হও! ক্ষয় হও! ক্ষয় হও। ধর্মের সংকটাপন্ন অবস্থা দেখে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, কৃষ্ণ সহ সকল দেবতা ব্যাকুল চিত্তে সবিনয়ে বৃন্দার নিকট প্রার্থনা করতে থাকে। দেবতাদের কাতর কান্নায় সদয় হয়ে বৃন্দা ধর্মকে আশীর্বাদ করলে সে পুনরায় প্রাণ লাভ করেন।[2]ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণম্, শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ডম, ষড়শীতিতমোহধ্যায়, পৃঃ ৫২৬-৫২৮, পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত
- এই ধর্মই আবার পান্ডুরাজার স্ত্রী কুন্তির সাথে ব্যভিচার করে সন্তান উৎপাদন করেন। কুন্তির গর্ভোৎপন্ন ধর্মের সেই পুত্রই যুধিষ্ঠির। যে কারণে যুধিষ্ঠিরকে ধর্মপুত্র বলা হয়।[3]মহাভারত, আদিপর্ব, পৃঃ ৫০, রাজ শেখর বসু অনুদিত
দ্বীন
যেহেতু দ্বীন শব্দটি একটি বিশিষ্ট আরবী শব্দ অতএব পবিত্র কুরআন থেকে এর তাৎপর্য গ্রহণকে আমরা সর্বোত্তম ও সর্বাপেক্ষা নির্ভরযোগ্য উপায় বলে মনে করি।
“দ্বীন” শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। কুরআন মজীদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অর্থে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কোন্ স্থানে কি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তা পূর্ণ বাক্য থেকে বুঝা যাবে। যে বাক্যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঐ শব্দের অর্থ সঠিকভাবে বুঝার উপায় নেই। কুরআনে “দ্বীন” শব্দটি কয়েকটি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছেঃ
- প্রতিদান, প্রতিফল, বিনিময় ইত্যাদি।
- আনুগত্য বা হুকুম মেনে চলা।
- আনুগত্য করার বিধান বা আনুগত্যের নিয়ম (যা ওহীর মাধ্যমে নির্ধারিত)।
- আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে নিয়মের অধিনে চলে, অনুরূপ সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় (যা ওহীর মাধ্যমে নয় বরং মানুষের সৃষ্টি করা)।
আল্লাহর সত্য বাণী সম্বলিত কুরআনের কয়েকটি আয়াত থেকে দ্বীন শব্দের এসব অর্থ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়। যখন ইসলামের সাথে “দ্বীন” শব্দটি ব্যবহৃত হবে তখন বুঝতে হবে দ্বীনের অর্থ হবে আনুগত্যের বিধান বা (ওহীর মাধ্যমে নির্ধারিত) জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰمُۗ
“নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ইসলামই হচ্ছে একমাত্র মনােনীত দ্বীন (আনুগত্যের বিধান বা জীবন ব্যবস্থা)।”[4]সুরা আলে ইমরান, ৩/১৯
এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে তাফসীরে বাইযাভীতে বলা হয়েছেঃ
“আল্লাহর কাছে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন গ্রহণযােগ্য নয়। আর তা হলাে তাওহীদ ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক আনীত জীবন বিধানকে লৌহ বর্ম পরিধান করার ন্যায় গ্রহণ করা।[5]তাফসীরে বাইযাভী সুরা আল ইমরানের ১৯ নং আয়াতের তাফসীরে দ্রষ্টব্য
অপর আয়াতে একই অর্থে “দ্বীন” শব্দটি ব্যবহার হয়েছেঃ
وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ ٱلْإِسْلَٰمِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِى ٱلْءَاخِرَةِ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ
“যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) চায়, তার কাছ থেকে তা কখনােই গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”[6]সুরা আলে ইমরান, ৩/ ৮৫
অর্থাৎ আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবন ব্যবস্থা বা আনুগত্যের বিধান হচ্ছে ইসলাম। অপর আয়াতে ঘােষণা দেওয়া হয়েছেঃ
شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحًا وَٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِۦٓ إِبْرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓۖ أَنْ أَقِيمُوا۟ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا۟ فِيهِۚ
“তিনি তােমাদের জন্য দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; (তা হচ্ছে ঐ জীবন ব্যবস্থা) যার ব্যাপারে তিনি নূহ (আ:) কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আমি (আল্লাহ) তােমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তােমরা দ্বীন কায়েম করাে এবং এই ব্যাপারে (দ্বীন কায়েম করতে গিয়ে) একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়াে না।”[7]সুরা শু’রা, ৪২/ ১৩
অর্থাৎ আল্লাহ সব নবীকেই তাঁর নাজিলকৃত জীবন ব্যবস্থা কায়েম করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছেঃ
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُشْرِكُونَ
“তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর এই দ্বীনকে বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।”[8]সূরা সফ, ৬১/০৯
সাথে সাথে এই ঘােষণাও দিলেন যে,
أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى
“আজ আমি তােমাদের জন্য তােমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম।”[9]সূরা মায়িদা ০৫/০৩
পবিত্র কুরআনের আলোকে ” দ্বীন” বলতে আমরা বুঝতে পারলাম, এমন একটি জীবন ব্যবস্থা, যেখানে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, আন্তর্জাতিক জীবন ঘনিষ্ঠ সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় একইসঙ্গে পারলৌকিক জীবনে মুক্তি/নাযাতের রাস্তাও দেখিয়ে দেয়। কোন ক্ষেত্রেই মহা প্রলয়ের দিন পর্যন্ত অন্য কোন বিধান থেকে কিছু নিতে হবে না বিধায় ইসলাম কে বলা হয়েছে “দ্বীন” বা পূর্ণ জীবন বিধান ।
পর্যালোচনাঃ “দ্বীন” এবং “ধর্ম” দুই ভাষার দুটি শব্দ। এই শব্দ দুটির বুৎপত্তি-গত তাৎপর্যের মধ্যেও যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। কারণ যাই হোক না কেন, বুঝে অথবা না বুঝে আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষজন শব্দ দু’টিকে সমার্থ বোধক মনে করে একই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে চলেছি। শিক্ষিত কোন ব্যক্তিরই একথা অজানা নয় যে, প্রতিটি ভাষারই এমন কিছু বিশেষ শব্দ থাকে পৃথিবীর অন্য কোন ভাষায় সেগুলোর হুবহু প্রতিশব্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষমেশ জোড়াতালি দিয়ে কোন রূপে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। এমতাবস্থায় মূল শব্দটির নিজস্ব শক্তি, সৌন্দর্য ও তাৎপর্য ঢাকা পড়ে যায়। দ্বীন শব্দের বেলায় তাই ঘটেছে। সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা অনুধাবন করতে পারলাম, সংস্কৃত “ধর্ম” শব্দের দ্বারা “দ্বীন” শব্দের পূর্ণ মাহাত্ম্য/ভাব প্রকাশ পায় না। ধর্ম স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কতগুলো আধ্যাত্মিক আচার অনুষ্ঠানের নাম হলেও দ্বীন হচ্ছে জাগতিক ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বিত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। সর্বশেষে বলতে পারি, ইসলাম নিছক “ধর্ম” নয় ইসলাম হচ্ছে “দ্বীন”।
Footnotes
⇧1 | আশুতোষ দেব প্রণীত নূতন বাঙ্গালা অভিধান |
---|---|
⇧2 | ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণম্, শ্রীকৃষ্ণজন্মখণ্ডম, ষড়শীতিতমোহধ্যায়, পৃঃ ৫২৬-৫২৮, পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত |
⇧3 | মহাভারত, আদিপর্ব, পৃঃ ৫০, রাজ শেখর বসু অনুদিত |
⇧4 | সুরা আলে ইমরান, ৩/১৯ |
⇧5 | তাফসীরে বাইযাভী সুরা আল ইমরানের ১৯ নং আয়াতের তাফসীরে দ্রষ্টব্য |
⇧6 | সুরা আলে ইমরান, ৩/ ৮৫ |
⇧7 | সুরা শু’রা, ৪২/ ১৩ |
⇧8 | সূরা সফ, ৬১/০৯ |
⇧9 | সূরা মায়িদা ০৫/০৩ |