১ থেকে ১০ টি সংশয় লিস্ট

প্রশ্নোত্তর (Q&A)Category: ইসলাম১ থেকে ১০ টি সংশয় লিস্ট
আহমেদ আবির asked 11 months ago
একজন নবীর ক্ষেত্রে এই লিস্টেই যে সংশয় আছে, তা কতটুকু যৌক্তিক ? এবং এর নিরসণ সম্ভব চাই ! ১. সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
৫/ গোসল
পরিচ্ছেদঃ ৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)   ২. সুনানে ইবনে মাজাহ
১/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ১/১০১. যে ব্যক্তি সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর একবার গোসল করে।
১/৫৮৮। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে সহবাস শেষে একবার গোসল করতেন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ২৬৮, ২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫; মুসলিম ৩০৯, তিরমিযী ১৪০, নাসায়ী ২৬৩-৬৪, ৩১৯৮; আবূ দাঊদ ২১৮, আহমাদ ১১৫৩৫, ১২২২১, ১২২৯০, ১২৫১৪, ১২৫৫৫, ১২৯৪২, ১৩০৯৩, ১৩২৩৬; দারিমী ৭৫৩-৫৪, ইবনু মাজাহ ৫৮৯।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২১১-২১৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)   ৩. সুনান আদ-দারেমী
১. পবিত্রতা অধ্যায়
পরিচ্ছেদঃ ৭১. যিনি একাধিক স্ত্রীর নিকট গমণ করে একবার গোসল করেন
৭৭৭. (অপর সূত্রে) আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একই রাতে পর্যায়ক্রমে স্ত্রীগণের সাথে মিলিত হতেন।(1)
(1) তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৫২; আর পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)   ৪. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৮। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, ইবনু বাশশার ও উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) … হাকাম ইবরাহীম থেকে, তিনি আসওয়াদ থেকে এবং তিনি আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রওনা হওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন সাফিয়্যাকে তাঁর তাঁবুর দরজায় চিন্তিতা ও অবসাদগ্রস্তা দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ বন্ধ্যা, নেড়ি! তুমি আমাদের (এখানে) আটকে রাখবে? তিনি পুনরায় তাকে বললেনঃ তুমি কি কুরবানীর দিন (বায়তুল্লাহ) যিয়ারত করেছ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে রওনা হও।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)   ৫. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ)
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৭। হাকাম ইবনু মূসা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন পুরুষ স্ত্রীর সাথে সাধারণত যা করার ইচ্ছা করে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাফিয়্যা (রাঃ) এর সাথে তাই করার ইচ্ছা করলেন। তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি হায়যগ্রস্তা। তিনি বললেনঃ তাহাল সে তো আমাদের এখানে আটকে রাখবে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি কুরবানীর দিন (বায়তুল্লাহ এর) যিয়ারত করেছেন। তিনি বললেনঃ তাহলে সে তোমাদের সঙ্গে যাত্রা করুক।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)   ৬. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৫। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কা’নাব (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আশংকা করছিলাম যে, সাফিয়্যা (রাঃ) তাওয়াফে ইফাযা করার পূর্বে হায়যগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট এলেন এবং বললেনঃ সাফিয়্যা কি আমাদের আটকে রাখবে? আমরা বললাম, তিনি তাওয়াফে ইফাযা করেছেন। তিনি বললেনঃ তাহলে নয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)   ৭. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ, যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আবদুর রহমান ইবন কাসিম তার পিতা থেকে এবং তিনি আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলেন, সাফিয়্যা (রাঃ) এর হায়য হয়েছে। অবশিষ্ট যুহরীর হাদীসের অনুরূপ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আব্দুর রহমান ইবনু কাসিম (রহঃ)   ৮. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সাফিয়্যা বিনত হুওয়াই হায়যগ্রস্তা হয়ে পড়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হয়ত সে আমাদের আটকে রাখবে। সে কি তোমাদের সঙ্গে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেনি? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তবে তোমরা চল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)   ৯. সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ হাজ্জ
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. বিদায়ী তাওয়াফ বাধ্যতামুলক কিন্তু ঋতুমতী মহিলার ক্ষেত্রে তা পরিত্যাজ্য
৩০৯৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সাফিয়্যা বিনত হুওয়াই হায়যগ্রস্তা হয়ে পড়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হয়ত সে আমাদের আটকে রাখবে। সে কি তোমাদের সঙ্গে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেনি? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তবে তোমরা চল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)   ১০. আল্লামা কুরতুবী ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞজ্ঞাণ বলেন, হজ্জের সফরে হযরত আয়িশা ও সুফিয়্যা (রাযিঃ) দুইজনই ঋতুমতী হইয়াছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি তাহাদের দুইজনের ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য পরিলক্ষিত হইতেছে। কেননা, তিনি হযরত সুফিয়া (রাযিঃ)কে বলিয়াছেন দুর দুর্ভাগী, তোমার কল্যাণ না হউক। আর হযরত আয়িশা (রাযিঃ) কে বলিয়াছেন ইহা এমন একটি বস্তু যাহা আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-এর কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন)। ইহা দ্বারা কাহাকেও কাহারও উপর প্রাধান্য দেওয়া উদ্দেশ্য নহে, বরং স্থান-কাল-পাত্র ও অবস্থার প্রেক্ষিতে কথা বিভিন্ন হয়। ফলে নবী সান্তাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হযরত আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে তাশরীফ নিলেন, তখন তিনি হজ্জ ছুটিয়া যাওয়ার আশংকায় মনক্ষুণ্ণ হইয়া কাঁদিতেছিলেন। ফলে তাহাকে সান্ত্বনা দেয়া প্রয়োজন ছিল সেই মতে তাঁহাকে সান্ত্বনামূলক বাক্য দ্বারা সান্ত্বনা দিয়াছেন। পক্ষান্তরে হযরত সাফিয়্যা (রাযিঃ)। তিনি হজব্রত পালন শেষ করায় “নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার সঙ্গে এমন ইচ্ছা করিয়াছিলেন যাহা একজন পুরুষ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ইচ্ছা করিয়া থাকে।” এতদুভয়ের অবস্থার বিভিন্নতার কারণে সম্বোধনে বিভিন্নতা যথাযোগ্য হইয়াছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ (ফতহুল মুলহিম ৩২৭)।
আশা করি এর উত্তর দিবেন, ইনশাল্লাহ !
Tahsin Arafat Staff replied 11 months ago

আপনি তো শুধু হাদিস উল্লেখ করেছেন। কোনো প্রশ্নই পেলাম না আপনার পোস্টে!

1 Answers
Tahsin Arafat Staff answered 11 months ago
যেহেতু কোনো প্রশ্ন পাচ্ছি না তাই এ সম্পর্কিত ছড়ানো বিভ্রান্তিগুলোই প্রশ্ন হিসেবে ধরে নিচ্ছি।
  1. সহবাস করলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। গোসল না করলে সালাত হয় না। পরবর্তী সালাতের আগে জানবাতের গোসল সেরে ফেললেই হয়। একদিন হজ্ব এর আগের দিক রাসূল (সাঃ) তাঁর সকল স্ত্রীকে খুশি করেছিলেন। এবং প্রত্যেকবারের পর লজ্জাস্থান ধুয়ে নিয়েছিলেন। এবং ফজরের আগেই জানবাতের গোসল সেরে ফেলেছিলেন।
  2. বাকিগুলোর জন্য এখানে লেখা হয়েছে www.frommuslims.com/?p=64741
Back to top button