হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

গায়ের রঙ কালো হওয়া হিন্দুদের জন্য একটা অভিশাপ। কয়েক হাজার বছর আগে পারস্য থেকে যখন সাদা চামরার আর্যরা এদেশে এসেছিলো এদেশের কালো চামড়ার মানুষদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-আক্রমন করেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিলো। নিজেদের সংকটকালে কালো চামড়ার মানুষদেরকে তারা নিজেদের ধর্মগ্রন্থে উপস্থাপন করেছিলো অনার্য দস্যু বা রাক্ষস হিসাবে। তারপর এদেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অনার্যদের বানিয়েছিলো কালো শুদ্র। তবে আমরা শুদ্র কিংবা অনার্যদের নিয়ে আজকের পোস্ট লিখছি না, শুধুমাত্র যেখানে যেখানে কালো বর্ণের উল্লেখ আছে সেগুলোর একটা অংশই তুলে ধরছি।

বেদের কালো বর্ণ বিদ্বেষ

কালো অনার্যদের বিরুদ্ধে লড়াইকারী দেবতা

বেদলেখকরা তাদের দেবতা সোমকে কালো অনার্য বা রাক্ষসদের হত্যাকারী রূপে কল্পনা করেছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

১। যে সোম সকল জলের ন্যায় শীঘ্র দীপ্তিযুক্ত ও গমনশীল হইয়া কৃষ্ণত্বকদিগকে হনন করিয়া বিচরণ করেন (১), তাহাদিগকে স্তব কর।

২। ব্ৰতরহিত দস্যুকে অভিভব করিয়া আমরা সুন্দর সোমের রাক্ষস-বন্ধন ও রাক্ষস-হনন ইচ্ছায় স্তব করিব।


১) কৃষ্ণবর্ণ অনার্য্যদিগের উল্লেখ।[1]ঋগ্বেদ ৯/৪১/১-২, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত

কালো চামড়া ঈশ্বর ঘৃণা করেন

এদেশের অনার্য কালো চামড়ার মানুষরা বহিরাগত আর্যদের মতো যজ্ঞ করতো না[2]নিরুক্ত ৬/৩২; ঋগ্বেদ ৩/৫৩/১৪। এই কালো চামড়াই ঘৃণা করতো আর্যদের ঈশ্বর ইন্দ্রঃ

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

৫। পিতা এবং মাতার উপর অধিষ্ঠানপূর্বক সাহারা শব্দ করিয়াছিল, তাহারা গুণকীর্তন লাভ করিয়া দীপ্তি পাইতে পাইতে অধার্মিক লোকদিগকে দগ্ধ করে। সে কৃষ্ণবর্ণ চর্মকে ইন্দ্র দেখতে পারেন না(৩) তাহার ক্ষমতাবলে সেই কৃষ্ণবর্ণ চর্মকে ভূলোক ও দ্যুলোক হইতে দূর করিয়া দেয়।


(৩) এই স্থানে এবং পরের কয়েকটী ঋকে বোধ হয় যজ্ঞ বিরোধী কৃষ্ণচর্ম বর্বরদিগের উল্লেখ আছে।[3]ঋগ্বেদ ৯/৭৩/৫, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত

পঞ্চাশ হাজার কালো চামড়ার মানুষ হত্যা করেছিলো ইন্দ্র

আরযরা এদেশের মানুষদের উপর কী পরিমাণ আক্রমণ চালিয়েছিলো তা এই মন্ত্র দেখলেই বোঝা যায়, পঞ্চাশ হাজার অনার্য হত্যা করে সেটার ক্রেডিট তারা তাদের ঈশ্বরকে দিয়েছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

১৩। তুমি পিপ্রু ও প্রবৃদ্ধ মৃগয়কে বিনাশ করেছিলে, তুমি সকলকে বিদথীর পুত্র ঋজিশ্বার বশীভূত করেছিলে। তুমি পশ্চাশৎ সহস্র কৃষ্ণবর্ণ শত্রুকে (৪) বিনাশ করেছিলে। জরা যেরূপ রূপ বিনাশ করে, তুমি সেরূপ (শম্বরের) নগরসমূহ বিনাশ করেছিলে।


(৪) মূলে “পঞ্চাশৎ কৃষ্ণা সহস্রা” আছে। ১।১০১।১ ঋকের টীকা দেখ। এ সুক্তে ৯,১০,১২,১৩,১৪ ও ১৭ হইতে ২০ ঋকে অনার্য বর্বরদের সাথে যুদ্ধের উল্লেখ আছে।[4]ঋগ্বেদ ৪/১৬/১৩, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত

অনার্য কালো যোদ্ধাদের নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যা

কালো অনার্য যোদ্ধা যাকে বেদে অসুর বলা হয়েছে, তাকে চামড়া ছিলে পুড়িয়ে হত্যা করেছে ইন্দ্রঃ

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

৮। ইন্দ্র যুদ্ধে আর্য যজমানকে রক্ষা করেন। অসংখ্যবার রক্ষাকারী ইন্দ্র সমস্ত যুদ্ধে তাকে রক্ষা করেন। সুখপ্রদ সংগ্রামে তাকে রক্ষা করেন। ইন্দ্র মানুষের জন্য ব্রতরহিত ব্যক্তিদের শাসন করেন। তিনি কৃষ্ণের কৃষ্ণত্বকে উন্মোচন করে তাকে বধ করেন (৩) তিনি তাকে ভস্মীভূত করেন। তিনি সমস্ত হিংসকদের এবং সমস্ত নিষ্ঠুর ব্যক্তিদের দগ্ধ করেন।


৩। প্রবাদ আছে যে, অংশুমতী নদীর তীরে কৃষ্ণনামে এক কৃষ্ণবর্ণ অসুর ছিল। তার দশসহস্র অনুচর লোকের প্রতি অত্যন্ত উৎপীড়ন করত। বৃহস্পতি মরুৎগণের সাথে ইন্দ্রকে তার বধের জন্য প্রেরণ করেন, ইন্দ্রও সানুচর কৃষ্ণাসুরকে বধ করে তাদের নিরুপদ্রব করেন। সায়ণ। ১০১ সুক্তের ১ ঋকের টীকা দেখুন।[5]ঋগ্বেদ ১/১৩০/৮

এই কাহিনি ঋগ্বেদের অন্য জায়গাতেও আছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

১৩। দশসহস্র(৫) সৈন্যের সহিত দ্রুতগমনকারী কৃষ্ণ অংশুমতী নদীতীরে অবস্থান করিতেছিলেন, ইন্দ্র প্রজ্ঞাদ্বারা সেই শব্দকারীকে প্রাপ্ত হইলেন। মনুষ্যদিগের হিতাভিপ্রায়ে হিংসাকারিণী সেনাদিগকে বধ করিলেন।

১৪। ইন্দ্র বলিলেন, দ্রুতগামী কৃষ্ণকে দেখিতে পাইলাম, সে অংশুমতী নদীর গৃঢ়স্থানে বিস্তৃত প্রদেশে বিচরণ করিতেছে ও সূর্যের ন্যায় অবস্থিতি করিতেছে। হে অভিলাষপ্রদ মরুৎগণ! আমি ইচ্ছা করি, তোমরা যুদ্ধ কর এবং যুদ্ধে তাহাকে সংহার কর।

১৫। দ্রুতগামী কৃষ্ণ অংশুমতী নদীর সমীপে দীপ্তিমান হইয়া শরীর ধারণ করিতেছে। ইন্দ্র বৃহস্পতিকে সহায় লাভ করিয়া দেবশূন্য আগমনশীল সেনাগণকে বধ করিলেন।


(৫) ইন্দ্রকর্তৃক কৃষ্ণ নামক অনার্য্য যোদ্ধা ও তাঁহার সৈন্যের বিনাশের কথা আমরা পূর্বেই পাইয়াছি।[6]ঋগ্বেদ ৮/৯৬/১৩-১৫

গর্ভবতী নারীদের হত্যা

হিন্দুদের ঈশ্বর ইন্দ্র কালো বর্ণের এক যোদ্ধার প্রেগনেন্ট বউদেরকে হত্যা করেছিলো,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

১। যিনি ঋজিশ্বন রাজার সঙ্গে কৃষ্ণের (১) গর্ভবতী ভার্যাদের হত করেছিলেন, সে হৃষ্ট ইন্দ্রের উদ্দেশে অন্নের সঙ্গে স্তুতি অর্পণ কর। আমরা রক্ষণেচ্ছায় সে অভীষ্টদাতা, দক্ষিণ হস্তে বজ্রধারী ইন্দ্রকে মরুৎগণের সাথে আমাদের সখা হবার জন্য আহ্বান করি।


১। কৃষ্ণ বোধ হয় আদিম জাতীয় কৃষ্ণবর্ণ কোন যোদ্ধা। আবার কৃষ্ণ নামক একজন ঋষি ছিলেন, সে বিষয়ে ১১৬ সুক্তের ২৩ ঋক ও টীকা দেখুন।[7]ঋগ্বেদ ১/১০১/১

কালো যোনি থেকে উৎপন্ন মানুষ হত্যা

কালো মানুষদের থেকে জন্ম নেওয়া মানুষদের হত্যা করেছে ইন্দ্র,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

৭। বৃত্রহ্য, পুরনাশক ইন্দ্র কৃষ্ণযোনি দাস সেনাকে (১) বিনাশ করেছেন, মনুর জন্য পৃথিব ও জল সৃষ্টি করেছেন। তিনি যেন যজমানের উচ্চ অভিলাষ পূরণ করেন।


১। কৃষ্ণযোনীঃ দাসীঃ দ্বারা কৃষ্ণবর্ণ অনার্য জাতিদের উল্লেখ করা হয়েছে। এর পূর্বের ঋকেও তাদের উল্লেখ আছে।[8]ঋগ্বেদ ২/২০/৭

কালো বর্ণের শুদ্রা স্ত্রীরা শুধু সেক্স করার জন্য

শুদ্র মেয়েদের বা শূদ্রদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করতেই বলা হয়েছে, বিয়ে নয়। রঙভিত্তিক বর্ণব্যবস্থা যখন গরে তুলেছিলো ব্রাহ্মণরা সেটারই আভাষ পাওয়া যাচ্ছে! বসিষ্ঠ ধর্মসূত্রে রয়েছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

18. For a Sûdra-wife who belongs to the black race, (is espoused) for pleasure, not in order to fulfil the law.[9]বসিষ্ঠ ধর্মসূত্র ১৮/১৮, অনুবাদঃ Georg Bühler https://www.hinduwebsite.com/sacredscripts/hinduism/dharma/vash3.asp#ch18

বাংলা অনুবাদঃ কালো বর্ণের শুদ্রা স্ত্রী শুধু মজা [সেক্স] নেওয়ার জন্য, ধর্ম পালনের [বিয়ে-শা’দী] জন্য নয়।

প্যাট্রিক ওলিভেলের অনুবাদ,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

পঞ্চানন তর্করত্ন উক্ত শ্লোকের অনুবাদ না করে শুধু লিখেছেন শূদ্রা বিবাহ নিষিদ্ধঃ

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

তবে খেয়াল করুন আগের শ্লোকে পঞ্চানন তর্করত্ন শূদ্রা স্ত্রীদেরকে কালো কুকুর বলেছে। এসবই হচ্ছে কালো চামড়ার প্রতি হিন্দুধর্ম, থুক্কু ব্রাহ্মণদের সম্মান। যাহোক পঞ্চানন তর্করত্ন এই শ্লোকের অনুবাদ এড়িয়ে গেলেও এই শ্লোকের অংশটি যাস্কের নিরুক্ততেও এসেছে, অমরেশ্বর ঠাকুরের অনুবাদ দেখুনঃ[10]নিরুক্ত ১২/৩/৪, অমরেশ্বর ঠাকুরের অনুবাদ, খণ্ড ৪, পৃ ১২৮৮

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

… রামা রমণায় উপেয়ত ন ধর্ম্মায় (শূদ্রা স্ত্রী উপগতা হয় রমণের নিমিত্ত, ধর্ম্মের নিমিত্ত নহে), কৃষ্ণজাতীয়া এতস্মাৎ সামান্যাৎ (শূদ্রা স্ত্রী কৃষ্ণ-জাতীয়া -এই সমানতা নিবন্ধন)।

কৃষ্ণবর্ণ নিকৃষ্ট বর্ণ

নিরুক্তের অন্য জায়গায় কালো রঙকে নিকৃষ্ট রঙ বলা হয়েছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

কৃষ্ণং কৃষ্যতেনিকৃষ্টো বর্ণঃ ।। ৭ ।।

অনুবাদঃ ‘কৃষ্ণ’ শব্দ ‘কৃষ্‌’ ধাতু হইতে নিষ্পন্ন; কৃষ্ণবর্ণ নিকৃষ্ট বর্ণ।[11]নিরুক্ত ২/১/২০/৭, অনুবাদঃ অমরেশ্বর ঠাকুর, পৃ ২৯২; ইংরেজিতে ২/২০

এই শ্লোকের সাধারণ প্রয়োগ আমরা দেখেছি এতক্ষণ। হিন্দুধর্মের রন্দ্রে রন্দ্রে রেসিজম!

স্বপ্নে নাকি কালো রঙের পুরুষ দেখলে ক্ষতি হয়

এই কুঃসংস্কারটা লেখা আছে বাল্মিকী রামায়ণে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

হে রঘুকুলনন্দন রাম! চক্ষুস্পন্দনাদি লক্ষণ, কৃষ্ণপুরুষদর্শনাদি স্বপ্ন, দক্ষিণে বা বামে পক্ষীদর্শন এবং পক্ষীর স্বর শ্রবণ, – এইসমস্ত দুর্নিমিত্ত নিশ্চয়ই মনুষ্যদিগের সুখ-দুঃখ সূচনা করে[12]বাল্মিকী রামায়ণ, অরণ্যকাণ্ড, সর্গ ৫২, শ্লোক ১-৩, অনুবাদঃ রামরঞ্জন কাব্যব্যাকরণতীর্থ

কালো বর্ণের কাউকে সেবা করা যাবে না

অসুস্থ হলো কিনা যায় আসে না, কালো বর্ণের কাউকে সেবা করা যাবে না, করলে ৩ বছরের শাস্তি,

আপস্তম্ভ ধর্মসূত্রে আছে,

A Brāhmaṇa removes the sin which he committed by serving one day and night a man of the black race, if he bathes for three years, eating at every fourth meal-time.[13]আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র ১/৯/২৭/১১ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/apastamba-dharma-sutra/d/doc116259.html

একজন ব্রাহ্মণ কোনো কালো বর্ণের মানুষের সেবা করার পাপ থেকে মুক্ত হতে পারে যদি সে তিন বছর ধরে গোসল করে দিনে চতুর্থবার খাওয়ার সময়।

বৌধায়ন ধর্মসূত্রে গাওয়া একই গান,

 A Brāhmaṇa removes the sin which he committed by serving the black race one day and one night, if he bathes during three years at every fourth meal-time.[14]বৌধায়ন ধর্মসুত্র ২/১/২/১১ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/baudhayana-dharmasutra/d/doc116416.html

দেবী কালীর প্রতি রেসিজম

দেবী কালী হিন্দুধর্মের একটি মিথিক্যাল ক্যারেক্টার। সেখানেও রেসিজমের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

হিন্দুদের কালী দেবীকে গালি দেওয়ায় রেগে গেলো!

শম্ভো! তুমি আমায় যখন কালী বলিয়া সম্বোধন করিলে, তখন আমি সেই স্থানেই যাইব, যেখানে গিয়া গৌরি নামে অভিহিত হইতে পারিব।[15]স্কন্দপুরাণ, (৭) প্রভাসখণ্ড, (১) প্রভাসক্ষেত্রমাহাত্ম্য, অধ্যায় ৬৮, শ্লোক ৭

এখনও এই গালি দেওয়া হয় কালো মেয়েদেরকে।

ইস্কনের কালো রঙ-বিদ্বেষ

কালো মানুষরা নরক থেকে এসেছে

দিল্লির দ্বারকা ইস্কন মন্দিরের গুরু অমোঘ লীলা প্রুভু বলছে এই কথা,

https://video.twimg.com/ext_tw_video/1276096910118526976/pu/pl/852x480/MuB7oM9hjS-Lq9BK.m3u8

শূদ্ররাই কালো

ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ তার ভাগবত পুরাণের অনুবাদের সাথে টীকায় কী লিখেছেন দেখা যাক,

হিন্দুধর্মের কালো চামড়া-বিদ্বেষ

শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, সমাজরূপ শরীরের মস্তক হচ্ছে ব্রাহ্মণ, বাহু ক্ষত্রিয়, উদর বৈশ্য এবং উরু থেকে শুরু করে পা হচ্ছে শূদ্র। শূদ্রদের কখনও কখনও কৃষ্ণ বা কালো বলা হয়। ব্রাহ্মণদের বলা হয় শুক্ল, এবং ক্ষত্রিয় আর বৈশ্যেরা কালো ও সাদার মিশ্রণ। কিন্তু যাদের রঙ অত্যন্ত সাদা,তাদের চামড়ার সেই সাদা রঙ হচ্ছে শ্বেত কুষ্ঠজনিত। মূল কথা হচ্ছে, সাদা অথবা সোনালি গায়ের রঙ উচ্চ বর্ণের এবং শূদ্রদের গায়ের রঙ কালো।[16]শ্রীমদ্ভাগবত ৪/১৪/৪৫, প্রভুপাদ, তাৎপর্য অংশ https://vedabase.io/en/library/sb/4/14/45/

প্রভুপাদ আর ইস্কনের রেসিজম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুনঃ

বর্তমান ভারতে কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ

সাদা চামড়ার ব্রিটিশদের পা চাটতে চাটতে এখন শ্বেতাঙ্গদের থেকে বেশি বর্ণবাদী হয়ে উঠেছে হিন্দুরা। কালো চামড়াকে ঘৃণা করেই বানাচ্ছে রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ইত্যাদি প্রোডাক্ট। ঘৃণা যখন ব্যবসা হয়।

অসমাপ্ত

আমরা কালো চামড়ায় হাত দিতে গিয়ে বের করেছি শূদ্ররাই তারা, আর শূদ্রের প্রতি হিন্দুধর্মের অত্যাচার কয়েক কথায় শেষ করার মতো নয়। এসব রেসিজমের সমাধান দিয়েছে ইসলাম, পড়ুনঃ

Footnotes

Footnotes
1 ঋগ্বেদ ৯/৪১/১-২, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত
2 নিরুক্ত ৬/৩২; ঋগ্বেদ ৩/৫৩/১৪
3 ঋগ্বেদ ৯/৭৩/৫, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত
4 ঋগ্বেদ ৪/১৬/১৩, সায়ণ ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদ, রমেশচন্দ্র দত্ত
5 ঋগ্বেদ ১/১৩০/৮
6 ঋগ্বেদ ৮/৯৬/১৩-১৫
7 ঋগ্বেদ ১/১০১/১
8 ঋগ্বেদ ২/২০/৭
9 বসিষ্ঠ ধর্মসূত্র ১৮/১৮, অনুবাদঃ Georg Bühler https://www.hinduwebsite.com/sacredscripts/hinduism/dharma/vash3.asp#ch18
10 নিরুক্ত ১২/৩/৪, অমরেশ্বর ঠাকুরের অনুবাদ, খণ্ড ৪, পৃ ১২৮৮
11 নিরুক্ত ২/১/২০/৭, অনুবাদঃ অমরেশ্বর ঠাকুর, পৃ ২৯২; ইংরেজিতে ২/২০
12 বাল্মিকী রামায়ণ, অরণ্যকাণ্ড, সর্গ ৫২, শ্লোক ১-৩, অনুবাদঃ রামরঞ্জন কাব্যব্যাকরণতীর্থ
13 আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র ১/৯/২৭/১১ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/apastamba-dharma-sutra/d/doc116259.html
14 বৌধায়ন ধর্মসুত্র ২/১/২/১১ https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/baudhayana-dharmasutra/d/doc116416.html
15 স্কন্দপুরাণ, (৭) প্রভাসখণ্ড, (১) প্রভাসক্ষেত্রমাহাত্ম্য, অধ্যায় ৬৮, শ্লোক ৭
16 শ্রীমদ্ভাগবত ৪/১৪/৪৫, প্রভুপাদ, তাৎপর্য অংশ https://vedabase.io/en/library/sb/4/14/45/
17 Staff, H. (2021, June 8). An African-American’s Account Of Internalised Racism In India. Homegrown. https://homegrown.co.in/homegrown-explore/an-african-american-on-why-he-thinks-india-is-the-most-racist-country
18 India among world’s most racist countries, says survey. (2013, May 17). India Today. https://www.indiatoday.in/world/asia/story/india-among-world-most-racist-countries-britian-tolerant-survey-163396-2013-05-16
19 Congolese man killed in Delhi: For African students, racial taunts never end. (2016, May 21). Hindustan Times. https://www.hindustantimes.com/india/congolese-man-killed-in-delhi-for-african-students-racial-taunts-never-end/story-ltocBXCICmb90y1IImMIpN.html
20 Indian man found guilty of killing son’s black wife. (n.d.). The Economic Times. https://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/indian-man-found-guilty-of-killing-sons-black-wife/articleshow/3170849.cms
21 মুসনাদে আহমাদ: ৫/৪১১
Exit mobile version