দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

আজ আমরা লেখবো শ্রীমৎ দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী নারী। নারী বিষয়ে আমরা এ লেখাতে মাত্র অল্প কয়েকটি পয়েন্ট উপস্থাপন করলাম। যদিও এর চাইতে অনেক বেশি পয়েন্ট দেখানো যাবে এই বইটি থেকে। আমার এ লেখাতে আমি নবভারত পাবলিশার্স এর প্রকাশিত শ্রীমৎ দেবীভাগবতম পুরাণ এর রেফারেন্স ব্যবহার করেছি। আর আমরা আমাদের সকল রেফারেন্সের ক্ষেত্রে পঞ্চানন তর্করত্নের অনুবাদ ব্যবহার করেছি। তাই তথ্যের জন্য আমি (লেখক) দায়ী নই।

নারী হলো রক্ত চোষা জোঁক

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

কামিনীগণ জলৌকার ন্যায় সতত যে পুরুষের শোণিত পান করিয়া থাকে, তাহা কি মূর্খেরা বুঝিতে পারে না।[1]দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.১৮

এখানে জলৌকা মানে জোঁক, এবং শোণিত মানে রক্ত।

নারী পুরুষের সকল কিছু অপহরণ করে থাকে

পুরুষ যাহাকে কান্তা বলিয়া বোধ করে, সেই কান্তা সম্ভোগসুখ প্রদানে বীর্য্য এবং কুটিল প্রেমালাপে মন ও ধনাদি সর্ব্বস্বই অপহরণ করে।[2]দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.১৯

এখানে কান্তা মানে বউ/পত্নী/স্ত্রী।

নারীরা সব চাইতে বড় চোর বা ডাকাত

রমনীর তুল্য তস্কর আর কে আছে।[3]দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.১৯

এখানে তস্কর মানে হলো চোর/ডাকাত/দস্যু।

নারীরাই একমাত্র দুঃখের কারন

তাহারা বুঝিতে পারে না যে, রমণীগণ কখনো সুখের নয় বরং কেবল দুঃখেরই কারন।[4]দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.২০

নারীরা কতটা ঘৃণিত হিন্দু শাস্ত্রে

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

মিথ্যা সাহস, শঠতা, মূর্খতা, অধীরতা, অপবিত্রতা ও নিষ্ঠরতা ইহা স্ত্রী লোক দিকের স্বাভাবিক দোষ।[5]দেবীভাগবতমঃ ১.৫.৮৩

নারী জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে জ্ঞানহীন করে

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

বিধাতা স্ত্রী জাতিকে তত্ত্বজ্ঞান বিহীন করিয়াছেন।[6]দেবীভাগবতমঃ ৯.৩৮.৪

পতি হচ্ছে নারীর একমাত্র পরম দেবতা বা ঈশ্বর, সে যেমনই হোক

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

রমণীদিগের একমাত্র পতিই পরম দেবতা।…পতি যেরুপই হউন আপনার কল্যাণ কামনা থাকিলে, একমনে তাহারই সেবা করা কর্ত্তব্য।[7]দেবীভাগবতমঃ ৬.৮.২৩

বিয়েতে নারীর কোনো মতামত নেই

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

শাস্ত্রের এই স্থির সিদ্ধান্ত বিদিত আছেন যে পিতা যাহাকে দান করে, কন্যার সেই পতি হইবে।…[8]দেবীভাগবতমঃ ৬.২২.৩৩

এবং এদের কোনো স্বাধীনতা নেই।

…কন্যা কখনোই স্বাধীন নহে, সততই পরাধীন থাকিবে।

ঋতুমতী নারীর প্রতি বিদ্বেষ

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

অবীরার বা ঋতুস্নাতা কামিনীল অন্নভোজন করিলে শতাব্দ তপ্ত লৌহকুণ্ডে বাস করিতে হয়।[9]দেবীভাগবতমঃ ৯.৩৩.৪৯

এ বিষয়ে বিস্তারিত এখানে পড়তে পারেনঃ

মেয়েসন্তান দিয়ে স্বর্গে যাওয়া যায় না, পুত্র ছাড়া গতি নাই

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

অপুত্রের গতি নাই, তার স্বর্গ লাভও নাই।[10]দেবীভাগবতমঃ ১.৪.১৫

হিন্দুদের স্বর্গে লাভের জন্য কন্যা না দরকার পুত্রেরঃ

ধর্ম্মশাস্ত্র বলিয়াছেন পুত্রবান লোক স্বর্গলাভ করো, পুত্রহীন ব্যক্তি কোনো রুপেই স্বর্গে যাইতে পারে না।[11]দেবীভাগবতমঃ ১.৪.১৬

ছেলে সন্তান লাভের জন্য স্ত্রীকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

অপুত্রক বা পুত্রহীনা ব্যক্তি কখন স্বর্গে যাইতে পারে না। এ জন্য যে কোনো উপায়ে পুত্র উৎপাদন করিবে।…ধর্ম্মদেবকে স্মরণপূর্বক তাঁহার সহিত সঙ্গম করিয়া পুত্র যুধিষ্ঠিরকে প্রসব করিলেন…[12]দেবীভাগবতমঃ ২.৬.৪৬-৫৩

হিন্দুদের এই বিধান নিয়ে বিস্তারিত পড়তে পারেন এখানেঃ

যে পিতা ব্রাহ্মণ কে ভোগের উপযুক্ত কন্যা দান করবে সে পিতা স্বর্গে গিয়ে স্বর্গের বেশ্যাদের সাথে আনন্দ করতে পারবে

দেবীভাগবত পুরাণ ও নারী

যে ব্রাহ্মণ কে সবস্ত্রা,অলঙ্কৃত পতিব্রতা সুন্দরী ভোগ্যা কন্যা দান করেন, তিনি চতুর্দ্দশ ইন্দ্র পর্য্যন্ত চন্দ্রলোকে বাস করিয়া দিবানিশি স্বর্গবেশ্যার সহিত আনন্দে কাল যাপন করেন৷[13]দেবীভাগবতমঃ ৯.৩০.২৯

দেবদাসী প্রথা সম্পর্কে আরো পড়ুনঃ

Footnotes

Footnotes
1 দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.১৮
2, 3 দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.১৯
4 দেবীভাগবতমঃ ১.১৫.২০
5 দেবীভাগবতমঃ ১.৫.৮৩
6 দেবীভাগবতমঃ ৯.৩৮.৪
7 দেবীভাগবতমঃ ৬.৮.২৩
8 দেবীভাগবতমঃ ৬.২২.৩৩
9 দেবীভাগবতমঃ ৯.৩৩.৪৯
10 দেবীভাগবতমঃ ১.৪.১৫
11 দেবীভাগবতমঃ ১.৪.১৬
12 দেবীভাগবতমঃ ২.৬.৪৬-৫৩
13 দেবীভাগবতমঃ ৯.৩০.২৯
Exit mobile version