১২ বছরেও কন্যাকে বিবাহ না দিলে পিতা মেয়ের ঋতুস্রাব পান করে থাকে – পরাশরসংহিতা ৭:৮, যমসংহিতা ২২-২৪

হিন্দুধর্মের অন্যতম আইনশাস্ত্র পরাশরসংহিতায়[1]পরাশরসংহিতা ৭:৭-৯, ঊনবিংশতি সংহিতা পৃ ৩৬৮৩৬৯, অনুবাদঃ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন কন্যার বিবাহের বয়স সম্পর্কে এসেছে,

১২ বছরেও কন্যাকে বিবাহ না দিলে পিতা মেয়ের ঋতুস্রাব পান করে থাকে - পরাশরসংহিতা ৭:৮, যমসংহিতা ২২-২৪

১২ বছরেও কন্যাকে বিবাহ না দিলে পিতা মেয়ের ঋতুস্রাব পান করে থাকে - পরাশরসংহিতা ৭:৮, যমসংহিতা ২২-২৪

 

ঋষি পরাশর বলেছেন,

অষ্টমবর্ষীয়া কন্যাকে গৌরী, নবমবর্ষীয়াকে রোহিণী এবং দশম বর্ষীয়াকে কন্যা বলা যায়। দশম বর্ষের পর কন্ঠাকে রজস্বলা বলা যায়। কন্যার দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম হইলেও যদি কন্যা সম্প্রদত্তা না হয়, তবে তাহার পিতৃগণ মাসে মসে তাহার ঋতুশোণিত (ঋতুস্রাবের রক্ত) পান করিয়া থাকে। কন্যাকে (অবিবাহিতাবস্থায়) রজস্বলা হইতে দেখিলে তাহার মাতা পিতা ও জ্যেষ্ঠভ্রাতা তিনজনেই নরকগামী হয়।[2]প্রাগুক্ত

অন্যদিকে যমসংহিতায় এসেছে,

১২ বছরেও কন্যাকে বিবাহ না দিলে পিতা মেয়ের ঋতুস্রাব পান করে থাকে - পরাশরসংহিতা ৭:৮, যমসংহিতা ২২-২৪

যেই ব্যক্তি দ্বাদশবর্ষ বয়ঃক্রম হইতেছে দেখিয়াও কন্যা অর্পণ না করে, ঐ পিতা, সেই কন্যার মাসে মাসে যে রজ হয়, সেই রক্তপান করিয়া থাকে অর্থাৎ তত্তুল্য পাপী হয়। মাতা পিতা জ্যেষ্ঠ-ভ্রাতা কন্যা বা ভগিনীকে বিবাহ হইবার পূর্ব্বে রজস্বলা (একাদশবধবয়স্কা) হইতে দেখিলে, তাহারা তিনজনেই নরকে গমন করে । যে ব্রাহ্মণ মদমোহিত হইয়া সেই রজস্বলা কন্যাকে বিবাহ করে, সেই বৃষলীপতি ব্রাহ্মণের সহিত সম্ভাষণ ও পংক্তিভোজন নিষিদ্ধ । বন্ধ্যাকে বৃষলী বলিয়া জানিবেন, মৃতবৎসাও বৃষলী। আর শূদ্রভার্য্যা বৃষলী এবং কুমারী অবস্থায় রজস্বলা নারীকে বৃষলী বলিয়া জানিবে।[3]ঊনবিংশতি সংহিতা, যমসংহিতা ২২-২৪

হিন্দুদের অন্য আইনশাস্ত্রতেও সমার্থক বর্ণনা আছে।[4]কন্যাকে ১১ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকী – সংবর্ত্তসংহিতা ৬৫-৬৮

Footnotes

Footnotes
1 পরাশরসংহিতা ৭:৭-৯, ঊনবিংশতি সংহিতা পৃ ৩৬৮৩৬৯, অনুবাদঃ শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন
2 প্রাগুক্ত
3 ঊনবিংশতি সংহিতা, যমসংহিতা ২২-২৪
4 কন্যাকে ১১ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকী – সংবর্ত্তসংহিতা ৬৫-৬৮
Exit mobile version