কন্যাকে ১১ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকী – সংবর্ত্তসংহিতা ৬৫-৬৮

হিন্দুধর্মে বাল্যবিবাহ

হিন্দু আইনশাস্ত্র অনুযায়ী, মেয়ে যে বছর ঋতুবতী হয়, অর্থাৎ ১১তম বছরে, সেই বছরেই তার বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকে যাবে। ঋতু হওয়ার আগে বিবাহ প্রশস্থ, অর্থাৎ যেকোনো সময় দেওয়া যাবে।

কন্যাকে ১১ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকী - সংবর্ত্তসংহিতা ৬৫-৬৮
সংবর্ত্তসংহিতা ৬৫-৬৮

(অবিবাহিত কন্যার) গাত্রে লোম দেখা যায় এতাদৃশ বয়ঃক্রম হইলে, ঐ কন্যাকে চন্দ্র উপভোগ করেন, ঋতুকাল উপস্থিত হইলে গন্ধৰ্ব্বগণ উপভোগ করেন, স্তনদ্বয় উত্থিত হইলে বহ্নি উপভোগ করেন। অষ্টমবৎসরবয়স্ক অবিবাহিত কন্যা গৌরী, নবমবৰ্ষবয়স্ক রোহিণী, এবং দশমবর্ষবয়স্ক কম্ভক নামে খ্যাত; একাদশ বৎসর কষ্ঠার বয়ঃক্রম হইলে রজস্বলা বলিয়া খ্যাত হয় । কস্তা রজস্বলা হইলে অর্থাৎ কন্যার একাদশবর্ষে বিবাহ না হইলে, মাতা, পিতা, এবং জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এই তিন জন নরকে গমন ফরে। সেই হেতু যে পর্য্যস্ত কষ্ঠা ঋতুমত না হয়, তাহার মধ্যে কন্যার বিবাহ প্রশস্ত জানিবে।[1]সংবর্ত্তসংহিতা  ৬৫-৫৮, ঊনবিংশতি সংহিতা পৃ ৩০২ – WikiSource

আরো দেখুনঃ ১২ বছরেও মেয়েকে বিবাহ না দিলে সেই মেয়ের ঋতুস্রাব পান করে তার পিতৃগণ।

[বিভিন্ন বিতর্কে এই রেফারেন্সগুলো দরকার হয়, তাই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবেই আমাদের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করবেন]

Footnotes

Footnotes
1 সংবর্ত্তসংহিতা  ৬৫-৫৮, ঊনবিংশতি সংহিতা পৃ ৩০২ – WikiSource
Exit mobile version