ইসলামের সালাত বাইবেলে – দলিলসমূহ

সালাত শুধু উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য নয়, অন্যান্য উম্মতদের জন্যেও ফরয ছিলো

বর্তমানে ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মে ইবাদতের যেমন সালাতের নিয়মগুলো অগোছালো থাকলেও এসব নিয়মগুলো ইসলামে সুসজ্জিত। মুসলিমদের যে সালাত আদায় করতে দেখা যায়, সেটা অন্য নবী রাসূলগণও করতেন। বাইবেলেও একই কথা আছে।

অযুর বিধান

প্রার্থনা আগে পানি দিয়ে ধৌত বাধ্যতামূলক

কিন্তু যদি অশুচি ব্যক্তিরা নিজেদের শুচিশুদ্ধ না করে, তারা অবশ্যই সমাজ থেকে বিলুপ্ত হবে, কারণ তারা সদাপ্রভুর পবিত্র স্থানকে অশুচি করেছে। শুদ্ধকরণের জল তাঁর উপরে ছিটানো হয়নি, তাই তারা অশুচি। তাদের জন্য এই আদেশ হবে চিরস্থায়ী। “যে ব্যক্তি সেই জল ছিটাবে, সেও নিজের পোশাক ধুয়ে নেবে এবং যে কেউ সেই শুদ্ধকরণের জল স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।[1]গণনা পুস্তক 19:20-21 BCV

উপাসনালয়ে/মসজিদে/পবিত্র জায়গায় খালি পায়ে প্রবেশ

“আর কাছে এসো না,” ঈশ্বর বললেন। “তোমার চটিজুতো খুলে ফেলো, কারণ তুমি যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছ সেটি পবিত্র ভূমি।”[2]যাত্রা পুস্তক 3:5 BCV

 

সদাপ্রভুর সৈন্যদলের সেনাপতি উত্তর দিলেন, “তোমার চটিজুতো খুলে ফেলো, যেহেতু তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছ, সেই স্থানটি পবিত্র।” আর যিহোশূয় সেরকমই করলেন।[3]যিহোশূয় 5:15 BCV

প্রার্থনা জন্য জোরে আহবান (যেমন উম্মাতে মুহাম্মাদীরা আজান দেয়)

আর লেবীয়দের মধ্যে যেশূয়, কদ্‌মীয়েল, বানি, হশ্‌বনিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয় ও পথাহিয় বললেন, “ওঠো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করো, যিনি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আছেন।” “তোমার প্রতাপান্বিত নাম ধন্য হোক, আমাদের দেওয়া সমস্ত ধন্যবাদ ও প্রশংসার চেয়েও তুমি মহান হও।[4]নহিমিয় 9:5 BCV

তিন ওয়াক্ত/তিন বেলা প্রার্থনা (পরিপূর্ণ দ্বীনানুসারে বর্তমানে পাঁচ ওয়াক্তের বিধান)

সকাল,দুপুর,সন্ধ্যা

কিন্তু আমি ঈশ্বরকে ডাকব, এবং সদাপ্রভু আমাকে রক্ষা করেন। সন্ধ্যা, সকাল আর দুপুরে, আমি আমার যন্ত্রণায় কাঁদি, আর তিনি আমার কণ্ঠস্বর শোনেন। [5]গীতসংহিতা 55:16‭-‬17 BCV

সালাতে দাঁড়ানো/প্রার্থনায় দাঁড়ানো

রাজার আদেশানুসারে সেবাকাজের বন্দোবস্ত করা হল এবং যাজকেরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে গেলেন ও লেবীয়েরাও তাদের বিভাগ অনুসারে দাঁড়িয়ে পড়েছিল।[6]2 বংশাবলি 35:10 BCV

 

আর তোমরা যখন প্রার্থনা করার জন্য দাঁড়াও, যদি কারও বিরুদ্ধে তোমাদের কোনও ক্ষোভ থাকে, তাকে ক্ষমা করো…[7]মার্ক 11:25 BCV

সালাতে হাত উঠানো

দুঃখে আমার চোখ ক্ষীণ হয়েছে। হে সদাপ্রভু, আমি প্রতিদিন তোমাকে ডাকি; তোমার প্রতি আমি আমার হাত উঠিয়েছি।[8]গীতসংহিতা 88:9 BCV

রুকু(হাটু গেড়ে)

তিনি তাঁদের কাছ থেকে এক-ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, তোমার ইচ্ছা হলে আমার কাছ থেকে এই পানপাত্র সরিয়ে নাও। তবুও আমার ইচ্ছা নয়, তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক।”[9]লূক 22:41‭-‬42 BCV

 

এসো, আরাধনায় আমরা তাঁর সামনে নত হই, সদাপ্রভু আমাদের সৃষ্টিকর্তার সামনে আমরা হাঁটু পেতে বসি…[10]গীতসংহিতা 95:6 BCV

সিজদা(মাটিতে মাথা ঠেকানো)

ইষ্রা মহান ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব করলেন, আর সমস্ত লোক হাত তুলে উত্তর দিল, “আমেন! আমেন!” তারপর তারা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুর আরাধনা করল। [11]নহিমিয় 8:6 BCV

 

আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।” [12]মথি 26:39 BCV

হাত তুলে আমিন বলা-(মুনাজাত)

যখন আমি সাহায্যের আশায় তোমাকে ডাকি, যখন তোমার মহাপবিত্র আবাসের দিকে আমি হাত তুলি তুমি আমার বিনতি শ্রবণ করো। [13]গীতসংহিতা 28:2 BCV

 

প্রার্থনায় তোমার দু-হাত পবিত্রস্থানের দিকে তুলে ধরো এবং সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো।[14]গীত 134:2 BCV

উক্ত নিয়মে প্রার্থনা করা উচিত। কারণ যীশু বলেছেন,

“এরকম মনে কোরো না যে, বিধান বা ভাববাদীদের গ্রন্থগুলি আমি লোপ করতে এসেছি; সেগুলি লোপ করার জন্য আমি আসিনি, কিন্তু পূর্ণ করার জন্যই এসেছি। আমি তোমাদের প্রকৃতই বলছি, যতদিন পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হয়, ততদিন পর্যন্ত বিধানের ক্ষুদ্রতম একটি বর্ণ, বা কলমের সামান্যতম কোনো আঁচড়ও লুপ্ত হবে না, সমস্ত কিছু পূর্ণরূপে সফল হবে। যে কেউ এইসব আদেশের ক্ষুদ্রতম কোনো আদেশ লঙ্ঘন করে ও অপর মানুষদের সেইমতো শিক্ষা দেয়, সে স্বর্গরাজ্যে ক্ষুদ্রতম বলে গণ্য হবে; কিন্তু যে কেউ এই আদেশগুলি অনুশীলন করে ও সেইরূপ শিক্ষা দেয়, সে স্বর্গরাজ্যে মহান বলে গণ্য হবে। কারণ আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের ধার্মিকতা যদি ফরিশী ও শাস্ত্রবিদদের থেকে অধিক না হয়, তোমরা নিশ্চিতরূপে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।[15]মথি 5:17‭-‬20 BCV

বর্তমান খৃস্টানরা একটাও অনুসরণ করে না।তারা চার্চে গান বাজায়, নাচানাচি করে, অপবিত্র করে।
চার্চে ডিজে গান বাজায় পবিত্র আত্নার কারিশমা
চার্চকে নিজেদের আড্ডাখানা বানিয়েছে। ভন্ড ইহুদিদের থেকে এ রোগ সংক্রমিত (সুদব্যবসা),

যীশু মন্দির চত্বরে প্রবেশ করে তাদের তাড়িয়ে দিলেন যারা সেখানে কেনাবেচা করছিল। তিনি মুদ্রা-বিনিময়কারীদের টেবিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল তাদের আসন উল্টে দিলেন। তিনি তাদের বললেন, “এরকম লেখা আছে, ‘আমার গৃহ প্রার্থনা-গৃহ বলে আখ্যাত হবে,’ কিন্তু তোমরা একে ‘দস্যুদের গহ্বরে’ পরিণত করেছ।” [16]মথি 21:12‭-‬13 BCV

যা করা উচিত নয়

যারা বীণা বাজায়, গান গায় এবং বাঁশী বা শিংগা বাজায় তাদের আওয়াজ আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না। আর কখনও তোমার মধ্যে কোন রকম দক্ষ মিস্ত্রি পাওয়া যাবে না। কোন জাঁতার আওয়াজ আর কখনও তোমার মধ্যে শোনা যাবে না।[17]প্রত্যাদেশ ১৮:২২

Exit mobile version