৪টি ইসলামিক প্রশ্ন
আমার এই ৪টি প্রশ্নের আশাকরি সঠিক উত্তর দিবেন!
- হাদিসে বলা আছে. ৬০৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শোনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের জন্য ইক্বামাত(ইকামত/একামত) বলা হয়, তখন আবার দূরে সরে যায়। ইক্বামাত(ইকামত/একামত) শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং বলে এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে মনে করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, সে কয় রাক‘আত সালাত আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না। (১২২২, ১২৩১, ১২১৩২, ৩২৮৫; মুসলিম ৪/৮, হাঃ ৩৮৯, আহমাদ ৯৯৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৮১)
যদি আযান শুনে হাওয়া ছেড়ে শয়তান পালায় তাহলে, পুরো পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টা আযান হচ্ছে, যেমন এক দেশে আযান শেষ হলে, অন্য দেশে আযান শুরু! তাহলেতো শয়তান প্রতিদিন হাওয়া ছাড়বে ? হয়তো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন! - প্রত্যেক আল্লাহর রাসুলগণের উপর ঈমাণ আনা আবশ্যক, যেহেতু রাসুল (সা:) এর প্রত্যেকটি সুন্নত পালন করতে হলে, তাহলে, রাসুল (সা:) প্রত্যেক আল্লাহর নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেছেন, তাহলে কী প্রত্যেক নবীর সুন্নতই পালন করব, যেমন প্রত্যেক নবীর উম্মতেরা করে থাকে, রাসুল (সা:) দুনিয়ায় আসার আগে?
- নামাযের মধ্যে রাসুল (সা:) কে কেন স্মরণ করবো, যেমন তাশাহুদ এবং আরো দোয়া! রাসুল (সা:) দুনিয়ায় আসার যারা মুসলিম ছিল, তারা নামাযে তখন কাকে স্মরণ করে পড়তো এবং ঠিক কিভাবে হবে?
- কুরআন ২:২৬৮ বলা আছে. “ শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ করে। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তার পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। ”
তাহলে কী দারিদ্রতাও কি শয়তানের কাজ ?
1 Answers
- পৃথিবীতে সর্বক্ষণ আজান দেয়, কিন্তু এর মানে এই নয় যে সব যায়গায় প্রকাশ্যে আজান দেওয়া হয়? আবার বহু যায়গায় মুসলিম কমিউনিটি নেই, যার কারনে সেখানে আজানও দেওয়া হয় না। আর শয়তান শুধু একজন নয়, তাদের লিডার একজন হলেও লিডারের আন্ডারে বহু শাখা প্রশাখায় শয়তানের চেলা-পেলা রয়েছে।
- আমাদের জন্য অন্য নবীর সুন্নত পালন করা আবশ্যিক না, তেমনই অন্য নবির কওমদেরও আমাদের নবীর সুন্নত পালন করা আবশ্যিক ছিল না। শুধু বিশ্বাসই যথেষ্ট।
- তখন আল্লাহ যে নিয়ম দিয়ে রেখেছিলেন সেই নিয়মে পড়ত তারা!
- সৎ পথে মাল ব্যয় করতে চাইলে শয়তান নিঃসব, কাঙ্গাল, ফকির হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়, আয়াতে এটা বুঝানো হয়েছে। তাফসির দেখুন এই আয়াতের তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
Please login or Register to submit your answer