পুরুষ বহু বিয়ে করতে পারলে নারী কেন পারবে না?
মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর জানে। তার পরেও শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য, অযথা এই প্রশ্নটি সামনে নিয়ে আসে।
যুগে যুগে অত্যাচারী রাজার কথা শুনেছেন। এমন রাজাদের মুখের কথাই ছিল দেশের আইন। বিনা কারনে, কাউকে মেরে ফেললেও রাজাকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হতো না। এমন রাজার কমপক্ষে এক ডজন বউ থাকতো। রাজার দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন্য কয়েকশত নারী থাকতো। এখানেই শেষ নয়, কোন সুন্দরী মেয়ে নজরে পড়লে তাকে অপহরন করে নিয়ে ধর্ষণ করতো। এমনই ছিল রাজার ক্ষমতা। রাজা ইচ্ছে মতন নারী ভোগ করতো।
ইতিহাসে দেখবেন, রাজ্য ক্ষমতায় মাঝে মাঝে নারীরাও ছিল। পুরুষের তুলনার নারীরা একটু দুর্বল। তবুও, এমন নারী শাশকেরা ঠিক একই রকমের অত্যাচারী ও আক্রমনাত্মক ছিল। তারা বিনা কারনে কাউকে মেরে ফেলতো, মানুষকে চাবুক মেরে আত্যাচার করতো। রাজতান্ত্রিক রাজ্যের সকল শাশক অত্যাচারী না হলেও, বিশ্বের সকল দেশের ইতিহাসেই অত্যাচারী নারী-পুরুষ উভয় শাশকই পাবেন।
বিশ্বের ইতিহাসে, এমন কোন অত্যাচারী নারী শাশক দেখাতে পারবেন? - যার এক ডজন স্বামী ছিল, অথবা যার মনোরঞ্জনের জন্য কয়েকশত পুরুষ ছিল। এমন কোন অত্যাচারী নারী দেখাতে পারবেন? যে কোন সুদর্শন পুরুষ পেলে, তাকে অপহরনে করে তারপর ধর্ষণ করতো।
না, এমন খুজে পাবেন না। এমন করতো না, তার কারন হল - এমন করাটা সেই নারীর জন্য অপমানজনক। এখানে নারী জাতি ভাগে কম নেয়নি। নারীরা এমন করাটাকে অপছন্দ করেছে।
আরো সহজে বুঝুন। তালা ও চাবি বানানোতে পারদর্শী অনেক মিস্ত্রী আছে। তারা যে কোন তালা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে, সেই তালার চাবি বানিয়ে ফেলতে পারে। এদের কেউ কেউ এত বেশী পারদর্শী যে, এমন একটি চাবি বানাতে পারে যা দিয়ে তিনটি ভিন্ন তালা খুলবে। হয়তো সম্ভব নয়, তবুও কেউ যদি এমন কোন চাবি বানাতে পারে যা দিয়ে দেশের সকল তালা খুলবে, তাহলে সেই চাবিটি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যাবে। পত্রিকায় নিউজ হবে, টিভিতে দেখাবে। সেই চাবিটি যাদুঘরে রাখা হবে, মানুষ টিকিট কেটে সেই চাবিটি দেখবে। সেই মিস্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এবার, একজন মিস্ত্রী এমন একটি তালা বানালো, যেটা যে কোন চাবি দিয়েই খোলে। সেই লোকটিকে তো আপনি গালি দিবেন। বলবেন - কি একটা নস্ট তালা বানিয়েছো? এই তালা তো যে কোন চাবিতেই খোলে !!
এবার আপনি এই জিনিসটা বুঝুন। সব যায়গায় কার্যকর, এমন চাবি বানালে আপনি পুরস্কার দিচ্ছেন। ওদিকে, সব যায়গায় কার্যকর, এমন তালা বানালে, আপনি তাকে গালি দিচ্ছেন। এমন অন্যায় বিচার কেন?
এমন বিচারের কারন হল - তালা জিনিসটা আবিস্কার হয়েছে এই উদ্দেশ্যে, যে ওটা শুধুমাত্র একটি চাবিতে খুলবে। যে কোন চাবিতে খোলে না, এটা হলো তলার যোগ্যতা। ওদিকে, চাবির যোগ্যতা হলো, সে তালা খুলতে পারে। যে জিনিস যেমন, তার জন্য বিচার হয় তেমন।
বিতর্কের জন্য আজকের নারীরা বলে থাকে - নারীদের জন্য একাধিক পুরুষের ব্যাবস্থা থাকলে ভালো হতো। তারা শুধুমাত্র, বলার জন্য বলে। এসব নারীদেরকে একাধিক পুরুষ দিন, একাধিক পুরুষ সামলাতে বলুন। শুনেই দৌড় দিবে। নারীরা শারীরিক ও মানসিক এমনভাবে তৈরি যে, তারা একসাথে একাধিক পুরুষ সামলাতে চায় না, পারেও না। আল্লাহ নারী পুরুষ উভয়কেই সৃষ্টি করেছেন। তিনি জানেন কার জন্য কোনটা সঠিক। তিনি সেভাবেই নিয়ম দিয়েছেন।
সবাইকে সমান দিলে ন্যায়বিচার হয় না। ন্যায় বিচার তখন হয়, যখন যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, তাকে সেটা দেওয়া হয়। পুরুষকে একাধিক বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, নারীকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েনি। এটা দেখে, ভাগে কম-বেশী পাওয়ার আভিযোগ করেন। ওদিকে নারী গর্ভধারন করে, বাচ্চা প্রসব করে, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ায়। এসব কাজ পুরুষকে দিয়ে করানো হয় না কেন? এখানে কি ভাগে কম-বেশী হয়না?
কোন পুরুষ গর্ভধারন করতে চায় না। ঠিক তেমনি, কোন নারী একসাথে একাধিক পুরুষ সামালতে চায় না। নারী ও পুরুষ, সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। একটা জিনিস পুরুষের জন্য, আরেকটা জিনিস নারীর জন্য। দুজনকে একই জিনিস দিলে ন্যায় বিচার হয় না। যার জন্য যেটা প্রযোজ্য, আল্লাহ তাকে সেটা দিয়েই, নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন।
উত্তর Mahmud Husain ভাই হতে সংগৃহিত।
এছাড়া আরো দেখুন - https://www.frommuslims.com/ইসলামে-একাধিক-বিবাহ/#naridera_ekadhika_bibaha_nisiddha_kena
এ ধরণের প্রশ্ন মূর্খতাপূর্ণ। আল্লাহর আইনই ন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড। আল্লাহ হারাম করেছেন বলেই নারী একইসাথে একাধিক স্বামী রাখতে পারবে না। আপনি বড়জোর এর হিকমাহ অনুসন্ধান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এ রিসোর্সগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারেঃ
- https://muslimskeptic.com/?s=polygamy&post_type=post
- ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২ - ডাঃ শামসুল আরেফিন শক্তি
Please login or Register to submit your answer