দাস প্রথার পক্ষে বলেছেন কেউ? ধর্ষণের শাস্তি কি ধর্ষণ?

প্রশ্নোত্তর (Q&A)Category: ইসলামদাস প্রথার পক্ষে বলেছেন কেউ? ধর্ষণের শাস্তি কি ধর্ষণ?
Ex Atheist asked 2 weeks ago
ইসলামে যে দাস প্রথা & একাধিক বিবাহ এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে এইটা কে কোনো নিরপেক্ষ অমুসলিম গবেষক ভালো বলেছে? ইসলামে যেমন হত্যার শাস্তি হত্যা তেমনি ভাবে কোনো নারীকে ধর্ষনের কারণে ধর্ষকের বোন কে ধর্ষনের নিয়ম আছে? 
2 Answers
Ashraful Nafiz Staff answered 2 weeks ago

নিরপেক্ষ গবেষক পাবেন না বললেই চলে, ইসলামের সমালোচনা করতে যেয়ে কিছু কিছু ওরিয়েন্টালিস্ট এর মুখ থেকে ভুল বসত হয়তো কিছু সত্য বের হয়ে গিয়েছিল ইসলামের পক্ষে। এই ছাড়া বেশি কিছু বা ইসলামের এই বিধানগুলোর পক্ষে লম্বা লম্বা গবেষণা পত্রও পাবেন না। কারন ইসলামের আইডিওলোজি পাশ্চাত্যের আইডিওলোজীর সাথে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। তারা আইন বানীয়ে রেখেছে ১৮ এর আগে বিয়ে নয়, কোন দেশে ২১ এর আগে বিয়ে বৈধ নয় কিন্তু সেক্স বৈধ অপর দিকে ইসলাম বিয়েকেই বৈধ করেছে। তারা ৪ বিয়েকে অবৈধ করে আইন বানিয়ে রেখেছে কিন্তু ১০১টি গার্লফ্রেন্ড থাকলে সমস্যা নেই। অপর দিকে ইসলাম ১০১ গার্লফ্রেন্ড রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ও ৪ বিবাহকে বৈধ করেছে। সেহেতু তারা তাদের ইসলামের বিপরীতে তৈরি করা আইডিওলোজিকে বাদ দিয়ে ইসলামের আইডিওলোজির পক্ষে কথা বলবে না সেটাতো স্বাভাবিক বিষয়। যদিও কিছু কিছু মানুষ বলেছে সেটা রেয়ার কেস, হয়তো হেদায়েত আছে বা ছিল বিধায় তারা ইসলামের বিধানের পক্ষে লিখেছে, বলেছে।

দাস প্রথা নিয়ে ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি ভাইয়ের ইসলামে দাস-দাসী ব্যবস্থা এবং Slavery and Islam by Jonathan A.C. Brown বই পড়তে পারেন। এছাড়া অনলাইনে যে আর্টিকেল ও প্রতিবেদনগুলো রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন। https://www.frommuslims.com/qna/মুসলিম-নারীদের-দাসী-বানা/

কোন নারীকে ধর্ষণের কারনে ধর্ষকের বোনকে ধর্ষণ করার কোন নিয়ম নেই, কারন কেউ অন্যের পাপের বোঝা বইবে না। [সূরা আল-ইসরা আয়াত ১৫; সূরা ফাতির আয়াত ১৮; সূরা আল-আন‘আম আয়াত ১৬৪] ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি সুস্পষ্ট, ধরণের উপর নির্ভর করে ধর্ষককে বেত্রাঘাত ও রজম করা হবে অথবা বেত্রাঘাত ও দেশ হতে বিতারিত করা হবে অথবা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। বিস্তারিত দেখুন - https://www.frommuslims.com/qna/ধর্ষণের-শাস্তি/

anil af answered 2 weeks ago

সর্বপ্রথমত, আপনার এই হীন মনমানসিকতা যে ইসলামের কোন বিধানের পক্ষে প্রশংসামূলক স্তুতি কুফফারদের পক্ষ হইতে আসতে হবে, এইটা দীর্ঘকাল কলোনিয়াল প্রভুদের সেবাদাসে পরিণত হয়ে থাকবার কুফল। আপনারা কখনও নিজেদের এমন প্রশ্ন করেছেন? যে ইসলামের প্রশংসা সম্পর্কে কেন আমাকে কাফেরের কাছ হইতে সার্টিফিকেশন আনতে হবে? যেখানে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, "লান ত্বারদা" অর্থ, "তারা (ইয়াহুদি খ্রিস্টানরা) কখনই সন্তুষ্ট হবেনা"

وَ لَنۡ تَرۡضٰی عَنۡكَ الۡیَهُوۡدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ هُدَی اللّٰهِ هُوَ الۡهُدٰی ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَهۡوَآءَهُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَكَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۲۰﴾ؔ

আর ইয়াহূদী ও নাসারারা কখনো তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না তুমি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ কর। বল, ‘নিশ্চয় আল্লাহর হিদায়াতই হিদায়াত’ আর যদি তুমি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ কর তোমার কাছে যে জ্ঞান এসেছে তার পর, তাহলে আল্লাহর বিপরীতে তোমার কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী থাকবে না।(বাকারাহ ১২০)

এই ধরণের টেন্ডেন্সির কারণেই আজকের মুসলিম সমাজের এই অবস্থা। যে লোক মুসলিম তার কাছে ইসলাম ছাড়া আর কোন মতামতের বিন্দুমাত্র কোন মূল্য থাকা উচিত নয়। এই ধরণের ভাবনার উতপত্তি অইখানেই যেখানে শিরক ও কুফরকে অপরাধের স্তর হইতে বের করে দেওয়া হয় এবং নিছকই একটা "চয়েস" ভেবে নেওয়া হয়।

দাসপ্রথা, আব্রাহামিক তিনটা রিলিজিয়নের কোনটাই বাতিল করেনি। এ থেকে সুস্পষ্ট যে দাসপ্রথা মানব ফিতরাতের অংশ। একে আল্লাহ তা'আলা মানবজাতির জন্য ধার্য করেছেন। কেন করেছেন, এর পেছনকার হেকমত গুলা জানতে পড়ুন, শামসুল আরেফিন শক্তি ভাইর ইসলামে দাসদাসী আইন বইটি। দাসদাসী ব্যাবস্থা ইসলামের যুদ্ধ নীতির অতিব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ব্যবস্থা ত্যাগ করার কারণে ইসলামের পাচশ বছরের ওয়ার্ল্ড পাওয়ার থাকার যে ইতিহাস তা আর ফেরত পাওয়া যায়না।

বহুবিবাহ, নবীগণের সুন্নাত । প্রায় প্রতিটা বিবলিকাল নবী ও নবীর চেয়ে একস্তর নিচের মর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তির একাধিক স্ত্রী ছিল৷ এইটার সামনে কোন প্রকার রোমক ও গ্রিক প্যাগান মতবাদ, মনোগ্যামি কোনভাবেই ঐশ্বরিক আইনের অংশ না।। মনোগ্যামির মত এই ধরণের পৌত্তলিক কনসেপ্ট গুলা মানুষের whims and desires এর ফসল। মনোগ্যামি সম্পূর্ন রূপেই একটা পৌত্তলিক মতবাদ। কোন ঐশ্বরিক ধর্মে মনোগ্যামিই একমাত্র বৈধ পন্থা এমন কোন দলিল পাওয়া যায়না। ইহুদীদের কথা বাদই দিলাম, খ্রিস্টধর্মেও বহুবিবাহ অবৈধ ছিল না। কিন্ত চার্চ কর্তৃক রোমান পৌত্তলিকদের সংস্কৃতি রক্ষার অযুহাতে তা বাতিল করা হয়। খ্রিস্টান পণ্ডিত এজেস্টাইনের বক্তব্য পড়ুন,

"বর্তমানে আমাদের উচিত রোমানীয় সভ্যতাকে অনুসরণ করা, সুতরাং বহুবিবাহকে বৈধতা দেওয়া হবেনা" মানে ধার্মিকভাবে তারা বহুবিবাহ রোহিত করেনাই। পৌত্তলিক সংস্কৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে করছে
Source: Hillman, Polygamy Reconsidered: African Plural Marriage and the Christian Churches (New York: Orbis Books, 1975)

এরকম বহূ ঐশ্বরিক আইন কানুন চার্চ নিজেদের স্বার্থ হাসিলে কালক্রমে কোন দলিল ছাড়াই রোহিত করে আসছে। মূলত তারা রোমানদের পৌত্তলিক সংস্কৃতির মানদন্ডের ছাচে খ্রিস্টধর্মকে ঢালতে চায়।

আমাদের কাছে এই ধরণের কোন মতবাদের কোন মূল্য নেই। আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছেন এগুলা আমরা এর দুনিয়াবি সুফল কুফল উভয় সহ গ্রহণ করি। আমরা দাবি করিনা, ইসলাম মানুষকে দুনিয়াতে স্বর্গের সুখ দেবে, যেমনটা ইউরোপিয়ানরা তাদের সংবিধানে উল্লেখ করে, "life liberty, pursuit of happiness." ইসলাম বরঞ্চ উল্টোটাই বলে যে " মুমিনের জন্য দুনিয়া হইল জেলখানা"।

দ্বিতীয়ত, আপনার প্রশ্নের অসারতা বুঝা যায়, আপনি কিসাস এবং যিনাহর শাস্তিকে আলাদা করতে পারেন না।যিনাহ বা ধর্ষন তো কিসাসের আওতাতেই পড়েনা। পড়ে হদ ও তাজিরের আন্ডারে। কুরআনের আয়াত "নারীর বদলে নারী" এইটা থেকে চৌদ্দশ বছরে কোন classical islamic jurist এই দলিল নিয়েছে কিনা যে কারো বোনকে ধর্ষণ করা হইলে তার বোনকে ধর্ষণ করা হবে, এমনটা আসলেই তাজ্জবের বিষয়। আর এমন কোন মত যদি কোন ফকিহ দিয়েও থাকে, সেগুলার খন্ডনও আছে। ফিকহ না জানলে যা হয় আরকি। আপনি নিজে নিজে ইন্টার্প্রিটেশন বানাইলেই তো হইল না। যতদূর পাওয়া যায়, যে কেউ যদি ধর্ষণের সময়ে কাউকে হত্যা করে, কিসাস হিসাবে উক্ত ব্যাক্তিকেও একই পদ্ধতিতে হত্যা করা হবে, যদিও বেশিরভাগ স্কলার এই পদ্ধতি সমর্থন করেন নি। তারা শিরোচ্ছেদই উত্তম বলেছেন। তবে তার অপরাধের জন্য তার পরিবারের কাউকে দন্ডিত করা হবে এমন কোন দলিল কোন আলেম নিছেন বলে জানা যায়না, কারণ আল্লাহ স্বয়ং কুরআনে বলেছেন কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবেনা।

এইটুক পড়েন: https://islamqa.info/ar/answers/262809/

Back to top button