কোরআনে আল্লাহর নিজেকে বহুবচন শব্দ দিয়ে সম্বোধন করার বিষয়ে
বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন ধরনের ব্যাকরন রয়েছে।
আপনি সম্ভবত হিন্দি মুভি বা সিরিয়ালে দেখে থাকবেন যে যারা অনেক সম্মানিত যেমন রাজা-মহারাজা ইত্যাদি তারা নিজেদেরকে ‘হাম, হামে‘ বলে সম্বোধন করে কিন্তু অপর দিকে অন্যান্য সাধারন মানুষ নিজেকে ‘মে, মুঝে’ ইত্যাদি বলে সম্বোধন করে থাকে। আবার ‘হাম’ কিন্তু বেশির ভাগ বহুবচনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমরা অনেকে হিন্দি বুঝি বলে আমাদের কাছে এই শব্দগুলা কোন ভুল কিছু মনে হয় না কিন্তু কেউ যদি সেগুলাকে বাংলায় অনুবাদ করে দেখায় তখন যদি ‘হাম’ এর যায়গায় ‘আমাদের‘ বলে তখন আমাদের কাছে সেটা ভুল মনে হবে বা হয়।
ঠিক তেমনই আরবিতে ইন্না (নিশ্চয়ই আমরা) বা নাহনু (আমরা) এবং বহুবচনাত্মক অন্যান্য শব্দগুলোর বিভিন্ন রূপ যেমন একটি দল বা সমষ্টির পক্ষে একজনের বক্তব্যের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় তেমনি কোন ব্যক্তির সম্মান এবং মর্যাদা প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়। যেমন কোন সম্রাট যখন কোন আদেশ জারি করেন, তখন সেখানে যদি বলে, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এক্ষেত্রে যদিও একজন মানুষই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিন্তু তার সম্মানার্থে বহুবচন ব্যবহার করা হচ্ছে। যিনি সবার চেয়ে বেশি সম্মানিত হবার যোগ্য, তিনি হলেন আল্লাহ সুবহানুওয়া তায়ালা। তাই তিনি যখন কুরআনে ইন্না বা নাহনু ব্যবহার করেন তা তাঁর সম্মান আর মর্যাদাকেই প্রকাশ করে, সংখ্যাধিক্যকে নয়।
আশা করি ভাইজান বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন
বুঝানোর জন্য নিজের মত করে সহজ করে বলার চেষ্টা করেছি। যদি বিস্তারিত ব্যকরনিক আলোচনাসহ জানতে চান তাহলে এগুলো দেখতে পারেন -
https://www.alkawsar.com/bn/article/1274/
https://islamicauthors.com/article/201
https://tawheedmedia.com/কুরআনে-অনেক-জায়গায়-মহা/
https://youtu.be/j7vpRUTrNnQ?si=hRprqscN-UY86VQz
Please login or Register to submit your answer