আল্লাহর ইবাদত না করলে জাহান্নাম কেন?
জ্বী এটা উনার ইগো, এটা উনার অহংকার, কারন সকল ক্ষমতার মালিক তিনি, সব কিছুর স্রষ্টা তিনি, সকল সম্মানের অধিকারী তিনি, অহংকার শুধু উনাকেই মানায়, আপনার অথবা আমাকে অহংকার মানায় না।
তিনি উদার তার মানেতো এই না যে তিনি নিজের মান, মর্যাদা, সম্মান, বড়ত্ব, শ্রেষ্টত্বকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া কাউকে পশ্রয় দিবেন, এই জাতীয় কাজ উদারতা নয় বড়ং আত্মপরিচয়হীনতায় ভুগার লক্ষন, এই জাতীয় উদারতা আত্মমর্যাদাহীনতায় ভোগা কারো দ্বারা মানায়, এই জাতীয় উদারতা যার কোন মূল্য, সম্মান, ক্ষমতা, শেষ্টত্ব নেই তার দ্বারা মানায়। এসবকে আদতে উদারতার নাম দেওয়াটাও সাধারন কোন ব্যক্তির জন্যও অপমান জনক। এসব উদারতা না দেখানো সংকীর্নতার প্রকাশ নয় বরং এই জাতীয় উদারতা দেখানো মানেই হচ্ছে সংকীর্ণতা, এই জাতীয় উদারতা এটাই প্রমান করে যে এই জাতীয় উদারতা দেখাচ্ছে ত্রুটি তার মধ্যেই রয়েছে, খুত, সমস্যা, ঝামেলা তার মধ্যেই রয়েছে। আর এসব স্রষ্টার শানের বিরোধী।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সম্মান, মর্যাদাহীন নন যে এমন লোক যে আল্লাহর সকল নেয়ামত পাওয়ার পরেও সারাজীবন আল্লাহর বিরোধীতা করে গেছে, তার সত্য দ্বীনকে গ্রহন করেনি, তার উপর ইমান আনে নি এমন কাউকে এমনি এমনি জান্নাতে পাঠিয়ে দিবেন, তাকেতো এই কারনে সৃষ্টি করা হয় নি! এত সতর্কতার পরও যদি সে আল্লাহকে না মানে তাহলে যে জাহান্নামের যোগ্য না হয়ে কি জামাই আদর পাওয়ার যোগ্যতা রাখে?
আর যে জাহান্নামে যাবে কনফার্ম তার জন্য কিসের ভিত্তিতে দোয়া করবে যেন তাকে মাফ করে দেওয়া হয়?
আরো জানতে চাইলে দেখতে পারেন - শুধু ইসলাম গ্রহন না করায় অমুসলিমরা জাহান্নামি হবে কেন?
Please login or Register to submit your answer