সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ও মৌলিক শিক্ষার মানদণ্ডে হিন্দুধর্ম

  1. Home
  2. Docs
  3. সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ও মৌলিক শিক্ষার মানদণ্ডে হিন্দুধর্ম
  4. ১৪। বর্তমান হিন্দুধর্মে যেমনটি রয়েছে, নির্জন প্রান্তরে জন বিচ্ছিন্ন হওয় তাতে সমস্যা কী?

১৪। বর্তমান হিন্দুধর্মে যেমনটি রয়েছে, নির্জন প্রান্তরে জন বিচ্ছিন্ন হওয় তাতে সমস্যা কী?

হিন্দুধর্ম প্রবৃত্তি এবং লালসার বিরোধিতা করে, তবে তা আত্মার পরিশুদ্ধাতার জন্য নয়, যেমনটি ইসলামে তা করা হয়; বরং তা করা হয়ে শরীরকে পুড়িয়ে ধ্বংস করার জন্য। সুতরাং বর্তমান হিন্দুধর্ম মানুষকে বৈরাগ্যতা ও দুনিয়া বিমুখতার দিকে টানে।
এমনকি হিন্দুধর্ম দেখে যে, প্রবৃত্তিকে ভুলে যাওয়া দেহকে ভুলে থাকার মাধ্যমে ঘটে।
সুতরাং যে হিন্দু ব্যক্তি ‘মোক্ষ’ অর্জন করতে চায়, সে নির্জনে চলে যায়, যাতে তার দেহ সেখানে পবিত্র থাকে। আর আমৃত্যু সে ভিক্ষুক হয়ে কাটাতে পারে।
এটি একটি ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতা ও ক্ষতি যা মানুবজাতি, পরিবার এবং সমাজকে ধ্বংস করে।
পরিবার গঠন, সমাজ বিনির্মাণ, চেষ্টা-সাধনা এবং জীবন গড়ার জন্য মানবীয় সহজাত প্রবৃত্তি ও লালসা এক ঐশ্বরিক দান।
প্রবৃত্তির চিকিত্সা করা হবে তার সংশোধান ও যথাযথ প্রাকৃতিক ব্যবহার ও প্রয়োগের মাধ্যমে। আমাদের শরীরকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে নয়।
সুতরাং কে এ কথা বলেছিল: আমাদের অস্তিত্বের পরিণতি হল একমুঠো খাবারের জন্য ভিক্ষা করা। তারপর আমরা আমৃত্যু- বাকি দিনগুলো জঙ্গলে কাটাবো?
আর কে বলেছে যে, আমরা এক টুকরা জাফরানী কাপড় পরার জন্য এই পৃথিবীতে এসেছি এবং তারপর আমৃত্যু পৃথিবী থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখব?
সর্বনিম্ন পোকামাকড়গুলোও অস্তিত্বের দায়িত্ব পালন, জমিন আবাদ করা এবং জীবন সংস্কার সম্পর্কে আমাদের চেয়ে বেশি রক্ষণশীল। তুমি দেখতে পাবে, মৌমাছির ঝাঁক তাদের নিজেদের এবং তাদের সন্তানদের মঙ্গলের জন্য প্রচেষ্টা এবং শৃংখলা রক্ষায় কাজ করে। তুমি আরো দেখতে পাবে যে, অন্ত্রে থাকা ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়াও নিজেদের এবং অপরের উপকার সাধন করে।
আর সামগ্রিকভাবে জীবন চলে নিয়ম এবং কাজের মধ্য দিয়ে।
বর্তমান হিন্দুধর্ম অলসতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং ভিক্ষাবৃত্তিকের দিকে আহ্বান করে। নিশ্চয় হিন্দুধর্ম অনুসারে ভিক্ষাবৃত্তি জীবন বিধান হয়ে পড়েছে।
এখানে প্রশ্ন হল: একজন হিন্দু ব্যক্তি লোকালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পাহাড়ের চূড়া এবং নির্জন প্রান্তরে আশ্রয় নেওয়ার অর্থ কী হতে পারে? আর এটি মানুষের ওপর কী ধরণের উপকার ভয়ে আনতে পারে?
প্রকৃত ধর্ম ও সঠিক জীবন বিধান হল কঠোর পরিশ্রম, উপদেশ এবং মানুষের সাথে মেলামেশা করা, তাদের সংস্কার করা এবং তাদের দেওয়া কষ্টে ধৈর্য ধারণ করা। তাদের কাছ থেকে উপত্যকা এবং মরুভূমিতে পালিয়ে যাওয়া না!
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যার অর্থ: “ঐ মুসলিম যে মানুষের সাথে মেলামেশা করে, আর তাদের দেওয়া কষ্টে ধৈর্য্য ধারণ করে সে ঐ মুসলিম অপেক্ষা উত্তম যে, মানুষের সাথে মেলামেশা করে না আর তাদের দেওয়া কষ্টেও ধৈর্য্য ধারণ করে না।” [৫৮]

    Was this article helpful to you? Yes No

    How can we help?