সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ও মৌলিক শিক্ষার মানদণ্ডে হিন্দুধর্ম

  1. Home
  2. Docs
  3. সুষ্ঠ জ্ঞান, মানব স্বভাব ও মৌলিক শিক্ষার মানদণ্ডে হিন্দুধর্ম
  4. ১২। কিন্তু হিন্দুধর্মে প্রচুর পরিমাণে অবাধ্যতা পরিহার করা এবং পাপ থেকে দূরে থাকার প্রচেষ্টা রয়েছে, এটি কি একটি প্রার্থক্য নির্ধারণকারী বৈশিষ্ট্য নয়?

১২। কিন্তু হিন্দুধর্মে প্রচুর পরিমাণে অবাধ্যতা পরিহার করা এবং পাপ থেকে দূরে থাকার প্রচেষ্টা রয়েছে, এটি কি একটি প্রার্থক্য নির্ধারণকারী বৈশিষ্ট্য নয়?

আমি পূর্বেই হিন্দুধর্মে অত্যধিক কঠোরতার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছি। তবে আমি এখানে যা বলতে চাই তা হল: পাপের অনুশোচনা এবং অন্তরের যন্ত্রনা একটি প্রাকৃতিক বিষয়, যা ইলাহী বাধ্যবাধকতার সাথে জড়িত।
যেহেতু আমরা আদিষ্ট, তাই যে কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় আমরা অন্তরে কষ্ট অনুভব করি।
এটিই ফিতরাত (সহজাতপ্রকৃতি)। মহিমান্বিত কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:
﴿فَأَقِمۡ وَجۡهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفٗاۚ فِطۡرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيۡهَاۚ لَا تَبۡدِيلَ لِخَلۡقِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلۡقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ٣٠﴾ [الروم: 30] “আল্লাহর সহজাতপ্রকৃতি, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।” সূরা আর-রূম, আয়াত: ৩০।
এই সহজাতপ্রকৃতি সামনে, একজন ব্যক্তি কল্যাণ এবং সত্যের প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী যে অন্যায়ের সাথে বিবেকের দংশন অনুভব করে।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ চূড়ান্ত বার্তা -ইসলামে- কল্যাণ ও সত্যের মূল্যবোধ লঙ্ঘন থেকে ক্ষমা চাওয়ার এবং তাওবার নির্দেশ করেছেন। এছাড়াও আল্লাহ অন্যায়পূর্বক অর্জিত বিষয়গুলোকে তার মালিককে ফেরত দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন, আর এ দ্বারা আল্লাহ পাপ ক্ষমা করেন।
অন্যদিকে হিন্দুধর্মে, আমরা পাপকে প্রতিরোধ করার জন্য ভিন্ন একটি পদ্ধতি খুঁজে পাই, তা হল: কিছু অভ্যাস, চিন্তাভাবনা, এবং স্থির আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নিজের আত্মার উপরে অত্যাধিক কঠোরতা আরেপ করা, যাতে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ বাক্যহীন হয়ে পড়ে।

    Was this article helpful to you? Yes No

    How can we help?