আরিয়াত দীর্ঘকাল ইয়ামানের শাসন পরিচালনা করতে থাকেন। এক সময় আবরাহা তাঁর সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন। তাঁর দাবী ছিল, নাজাশীর প্রতনিধি হিসেবে ইয়ামান শাসনের অধিকার তাঁরই বেশী। হাবশী সৈন্যরা এ প্রশ্নে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়লো। দুই দলে যুদ্ধ হবার উপক্রম হলে আবরাহা আরিয়াতকে এই মর্মে বার্তা পাঠালেন, “হাবশীরা পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হলে নিজেরাই ধবংস হযে যাবে,পরিণামে কোন লাভ হবে না। সুতরাং এসো আমরা দু’জনে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হই। আমাদের দু’জনের মধ্যে যে জয়যুক্ত হবে, সমস্ত সৈন্যবাহিনী তার আনুগত্য করবে।”আরিয়াত এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে বললো,“হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছ।” আরিয়াত ও আবরাহার মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হলো আবারাহা অপেক্ষাকৃত ধার্মিক, মোটা ও বেঁটে এবং আরিয়াত লম্বা, সুদর্শন ও বিশালদেহী ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি অস্ত্র। আবরাহা তাঁর পৃষ্ঠদেশকে রক্ষা করার জন্য তাঁর আতুদাহ নামক ক্রীতদাসকে পিছনের দিকে রাখলেন। আরিয়াত তাঁর তরবারি দ্বারা আবরাহার মাথায় আঘাত করলেন,কিন্তু তা তাঁর মুখম-লের ওপর লাগলো। এতে আবরাহার নাক ও কপালের ভ্রু কেটে গেল এবং ঠোঁট ও চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হলো। একারণেই তাকে আবরাহা আল-আশরাম বা নাক কাটা বলা হয়। এইবার আতুদাহ আবরাহার পিছন থেকে বেরিয়ে এসে আরিয়াতকে আক্রমণ করে হতৃা করলো। এরপর আরিয়াতের অনুগত হাবশীসৈন্যরা আবরাহার দলে ভিড়ে যায় এবং আবরাহা আবিসিনিয়ার সর্বসম্মত প্রতিনিধিরূপে ইয়ামান শাসন করতে থাকেন।
সীরাতে ইবনে হিশাম (ইসলামিক সেন্টার)
- ভূমিকা
- মুহাম্মাদ ﷺ থেকে আদম আলাইহিস্ সালাম পর্যন্ত ঊর্ধতন বংশপরম্পরা
- ইসমাঈল আলাইহিস্ সালামের অধস্তন পুরুষদের বংশক্রম
- রাবিয়া ইবনে নসরের স্বপ্ন
- হাবশীদের দখলে ইয়ামান
- আরিয়াত ও আবরাহা দন্দ্ব
- আসহাবুল ফীলের ঘটনা
- নিযার ইবনে মা’আদের বংশধর
- আবদুল মুত্তালিব বিন হশিমের সন্তান সন্তুতি
- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিতামাতা
- যমযম কূপ খনন ও তদবিষয়ে সৃষ্ঠ মতবিরোধ
- আবদুল মুত্তালিব কর্তৃক তাঁর পুত্রকে কুরবানীর মানত
- মহানবীর (স্) আমিনার গর্ভে থাকাকালের ঘটনাবলী
- রাসূলুল্লাহর (স) জন্ম
- হালীমার কথা
- বক্ষ বিদারনের ঘটনা
- দাদার অভিভাবকত্বে
- চাচা আবু তালিবের অভিভাবকত্বে
- পাদ্রী বাহীরার ঘটনা
- ফিজারের যুদ্ধ
- খাদীজা রাদিয়ল্লাহ আনহার সাথে বিয়ে
- ওয়ারারা বিন নওফেলের ভাষ্য
- Home
- Docs
- সীরাতে ইবনে হিশাম (ইসলামি...
- আরিয়াত ও আবরাহা দন্দ্ব