ইসলামবিরোধীদের প্রতি জবাব

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

Contents Hide

জাভেদ গামিদির সংক্ষিপ্ত পরিচয়

জাভেদ গামিদি বা জাভেদ আহমদ গামিদির আসল নাম শফিক আহমেদ, অন্যখানে বলা হয়েছে মুহাম্মদ শফিক। তিনি ১৯৫১ সালে পাকিস্তানের সাহিওয়াল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

স্থানীয় স্কুলে ম্যাট্রিক লেভেল পাস করার পর, ঘামিদী ১৯৬৭ সালে লাহোরে আসেন। তিনি বেশ কয়েকজন শিক্ষকের অধীনে প্রচলিত (সেক্যুলার) বিজ্ঞান অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে, তিনি আমিন আহসান ইসলাহীর অধীনে শিখতে শুরু করেন। আমিন আহসান ইসলাহী তার জীবন ও চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

১৯৭৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত, জাভেদ ঘামিদি লাহোরের সিভিল সার্ভিসেস একাডেমীতে একজন আরবি শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বরের পর, জাভেদ ঘামিদির ধারণা এবং শিক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যেখানে তিনি ইসলামের একটি কাঠামোর দিকে ঝুঁকেছেন যা আমেরিকান স্বার্থের অনুকূল হতে পারে।

এটি কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়, বিশেষ করে যখন বুঝতে পেরেছিলেন যে তার পরামর্শদাতা, ইসলাহি, ভারতে ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জন দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত ছিলেন[1]Redefining tradition in Political Thought, p.438, Iqtidar। দৈনিক জাসরত নিউজের মতো কিছু সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ঘামিদি আসলে একজন আমেরিকান এজেন্টের মতো কাজ করেছেন।

এই যুগের একটি বড় পরীক্ষা এবং ফিতনা হলো জাভেদ আহমেদ গামিদীর ধোঁকাবাজি। প্রাথমিক ইসলামী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত মুসলিম যুবকরা এবং উর্দুভাষী বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষিত মুসলিমরা জাভেদ আহমেদ গামিদির ফাঁদে পড়েছে। আমাদের মতে, জাভেদ আহমেদ গামিদীর চিন্তাধারা একটি সম্পূর্ণ ও স্বাধীন ধর্মের রূপ নিয়েছে।

গামিদির অনুসারীরা নিজেদেরকে প্রগতিশীল ও মডার্নিস্ট হিসেবে দেখে। তাদের প্রভুদের তত্ত্বাবধানে, তারা তাদের ইসলামের ‘আমেরিকান ভার্শন‘ প্রস্তুত করার স্বার্থে কুরআন এবং হাদিসের শব্দের অর্থ পরিবর্তন করার কাজ শুরু করেছে। জাভেদ গামিদীকে ঘুঘুর ফাঁদ বলা যায়। সহজ ভাষায়, রঙিন ও আকর্ষণীয় প্যাকেটে মোড়ানো বিষ খাওয়াচ্ছেন তিনি।

জাভেদ আহমেদ গামিদি শুধু হাদিস অস্বীকারকারীই নন, তিনি ইসলামের সমান্তরালে (ইসলামের নাম দিয়ে) অন্য একটি ধর্মের ধ্বজাধারী। তাঁর বাকপটুতার মাধ্যমে এই ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূরে। তিনি তার ফিৎনা ছড়ানোর জন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন – যেমনটি অন্যান্য ফিতনার ক্ষেত্রে ঘটছে। এবং তার বার্তা এমন ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে যেন এটি ঐশী সত্য।

জাভেদ আহমেদ গামিদীকে হাদিস অস্বীকার করার অনেক কারণ রয়েছে। হাদীসের জন্য তার নিজস্ব নীতি রয়েছে। তারপর, তিনি হাজার হাজার সহীহ হাদীস অস্বীকার করে হাদীস ও সুন্নাহর প্রথাগত সংজ্ঞারই পরিবর্তন করে ফেলেছেন। সহজ কথায় বলতে, তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত একটি সহীহ হাদীসকে ইসলামে প্রমাণ হিসাবে দাঁড় করাতে গ্রহণ করেন না।

পাকিস্তানের হক্ক্বপন্থী আলেমরা জাভেদ আহমেদ গামিদিকে খণ্ডন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। গামিদির বক্তব্য সম্বলিত বেশ কিছু বই লেখা হয়েছে। এমন এক সময় এসেছিল যখন আলেমদের কারণে তার নির্বাসনে যেতে হয়েছিলো। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে থাকেন।

ঈসা (আঃ) এবং ইমাম মাহদী সম্পর্কে জাভেদ গামিদীর আক্বীদাহ

ঈসা (আঃ) এর চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেওয়া এবং কেয়ামতের আগে পৃথিবীতে অবতরণের ব্যাপারে জাভেদ গামিদী মুসলিমদের বিপরীত আক্বীদাহ পোষণ করে।

আমরা মুসলিমরা ঈমান এনেছি যে, ঈসা (আঃ) কে চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিলো যখন ইহুদিরা ঈসা (আঃ) কে ক্রুশবিদ্ধ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জাভেদ গামিদী বিশ্বাস করেন ঈসা (আঃ) এর মৃত্যু হয়েছে (নাউজুবিল্লাহ) এবং তিনি কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে আসবেন না। তিনি আরও বিশ্বাস করেন কিয়ামতের আগে ইমাম মাহদীও আসবেন না।

গামিদী সাহেব তার ‘মিজান’ বইয়ের ১৭৭-১৭৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,[2]Mizan বা, Meezan বা, میزان পৃ ১৭৭-১৭৯, পঞ্চম সংস্করণ-২০০৯, আল-মাওয়ারিদ, ৫১-কে, মডেল টাওন, লাহোর, পাকিস্তান

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিজাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিজাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

আপনাদের সুবিধার্থে ইংরেজি অনুবাদ দেওয়া হলো,[3]Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)] (Javed Ahmad Ghamidi), page 174-175

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

অর্থাৎ, জাভেদ গামিদীর আক্বীদাহঃ

  1. ইমাম মাহদী বলে কেউ আসবেন না। তাঁর জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। এই আক্বীদাহ কাদিয়ানীরাও পোষণ করে।[4]রুহানী খাজাইন ২১/৩৫৬
  2. ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে পুনরায় আসবেন না এবং ঈসা (আঃ) মারা গেছেন। যা সুস্পষ্ট কুফর। কাদিয়ানী নামক কাফেররাও একই আক্বীদাহ পোষণ করে।[5]রুহানী খাজাইন ৮/২৯৯[6]রুহানী খাজাইন ১৬/২৪৩

এ প্রসঙ্গে জাভেদ গামিদীর ভিডিয়োও রয়েছে।[7]https://youtu.be/llu6GuztoD0

লক্ষ করার মতো ব্যাপার যে, জাভেদ গামিদী কুরআনের ৩ নং সূরার ৫৫ নং আয়াতের জালিয়াতিপূর্ণ অনুবাদ করেছেন কাদিয়ানীদের মতো। আসুন আমরা কয়েকজন মুসলিম অনুবাদকদের অনুবাদ দেখে আসিঃ

(স্মরণ কর) যখন আল্লাহ ‘ঈসাকে বলেছিলেন, ‘হে ‘ঈসা! আমি তোমার সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করব (তোমাকে মৃত্যু ছাড়াই দুনিয়া থেকে কবজ করব) এবং তোমাকে আমার কাছে উঠিয়ে নেব এবং তোমাকে কাফিরদের হতে মুক্ত করব আর তোমার অনুসরণকারীদেরকে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত অবিশ্বাসীদের উপর বিজয়ী রাখব; অতঃপর আমার কাছে তোমাদের প্রত্যাবর্তন, তখন আমি তোমাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেব যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছ।’ তাইসীরুল কুরআন

[Mention] when Allah said, “O Jesus, indeed I will take you and raise you to Myself and purify [i.e., free] you from those who disbelieve and make those who follow you [in submission to Allah alone] superior to those who disbelieve until the Day of Resurrection. Then to Me is your return, and I will judge between you concerning that in which you used to differ. Sahih International

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, ‘হে ঈসা, নিশ্চয় আমি তোমাকে পরিগ্রহণ করব, তোমাকে আমার দিকে উঠিয়ে নেব এবং কাফিরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করব। আর যারা তোমার আনুগত্য করেছে তাদেরকে কিয়ামত পর্যন্ত অবিশ্বাসীদের উপরে প্রাধান্য দেব। অতঃপর আমার নিকটই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। তখন আমি তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেব, যে ব্যাপারে তোমরা মতবিরোধ করতে’ । বায়ান ফাউন্ডেশন

(স্মরণ করো) যখন আল্লাহ বলেছিলেন, “হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেব, তোমাকে আমার কাছে উঠিয়ে আনব, তোমাকে অবিশ্বাসীদের (মিথ্যা আরোপ) থেকে পবিত্র করব এবং কেয়ামত পর্যন্ত তোমার অনুসারীদেরকে অবিশ্বাসীদের ওপরে রাখব। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন (হবে)। তখন আমি তোমাদের মতানৈক্যের বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করব। ফজলুর রহমান

আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো। মুহিউদ্দিন খান

যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে আমার দিকে প্রতিগ্রহণ করব এবং তোমাকে উত্তোলন করব এবং অবিশ্বাসকারীদের হতে তোমাকে পবিত্র করব, আর যারা অবিশ্বাস করেছে তাদের উপর তোমার অনুসারীগণকে উত্থান দিন পর্যন্ত সমুন্নত করব; অনন্তর আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন; অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে বিষয়ে মতভেদ ছিল তার মীমাংসা করব। মুজিবুর রহমান

আরও অনেক অনুবাদ দেখানো যাবে। জাভেদ গামিদীকে কোনো আলিমের তাকফির করার কারণ হিসেবে এই আক্বীদাহই যথেষ্ট।

জাভেদ গামিদী কি মুরতাদ নন?

ইবনে হাযম (রহঃ) কী বলছেন দেখে নিই,

٤١ – مَسْأَلَةٌ: وَأَنَّ عِيسَى – عَلَيْهِ السَّلَامُ – لَمْ يُقْتَلْ وَلَمْ يُصْلَبْ وَلَكِنْ تَوَفَّاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ رَفَعَهُ إلَيْهِ. وَقَالَ عَزَّ وَجَلَّ {وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ} [النساء: ١٥٧] وَقَالَ تَعَالَى: {إِنِّي مُتَوَفِّيكَ وَرَافِعُكَ إِلَيَّ} [آل عمران: ٥٥] وَقَالَ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ} [المائدة: ١١٧] وَقَالَ تَعَالَى: {اللَّهُ يَتَوَفَّى الأَنْفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَالَّتِي لَمْ تَمُتْ فِي مَنَامِهَا} [الزمر: ٤٢] فَالْوَفَاةُ قِسْمَانِ: نَوْمٌ وَمَوْتٌ فَقَطْ وَلَمْ يُرِدْ عِيسَى – عَلَيْهِ السَّلَامُ – بِقَوْلِهِ {فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: ١١٧] وَفَاةَ النَّوْمِ، فَصَحَّ أَنَّهُ إنَّمَا عَنَى وَفَاةَ الْمَوْتِ، وَمَنْ قَالَ إنَّهُ – عَلَيْهِ السَّلَامُ – قُتِلَ أَوْ صُلِبَ فَهُوَ كَافِرٌ مُرْتَدٌّ حَلَالٌ دَمُهُ وَمَالُهُ لِتَكْذِيبِهِ الْقُرْآنَ وَخِلَافِهِ الْإِجْمَاعَ.[8]ص43 – كتاب المحلى بالآثار – مسألة نبي الله عيسى لم يقتل ولم يصلب – المكتبة الشاملة

الرابط:https://shamela.ws/book/767/23#p3

৪১ নম্বর মাসআলা –

নিশ্চয়ই ঈসা (আঃ)-কে হত্যা করা হয়নি বা ক্রুশবিদ্ধ করা হয়নি ,তবে তাকে ‘ওফাৎ’ দেওয়া হয়েছে, অতঃপর আল্লাহ্ তাঁকে নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন, মহান আল্লাহ ﷻ বলেন, ❝অথচ তারা তাকে হত্যা করেনি এবং তাকে শূলেও চড়ায়নি।❞ (সুরা নিসা ১৫৭)

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বললেন, ‘হে ঈসা, নিশ্চয় আমি তোমাকে পরিগ্রহণ করব, তোমাকে আমার দিকে উঠিয়ে নেব এবং কাফিরদের থেকে তোমাকে পবিত্র করব।❞ (সুরা আলে ইমরান ৫৫)

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, [ঈসা আঃ কিয়ামতের দিন যা বলবেন] ❝আর যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনি ছিলেন তাদের পর্যবেক্ষণকারী। আর আপনি সব কিছুর উপর সাক্ষী।❞(সূরা মায়েদা ১১৭)

আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়।❞ (সুরা যুমার ৪২)

অতএব অফাৎ দুই প্রকার আসল মৃত্যু এবং নিদ্রা।

فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: ١١٧]

অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন (/ওফাৎ দিলেন), তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।❞(সুরা মায়েদা ১১৭)

এখানে ওফাৎ দ্বারা উদ্দেশ্য ঘুম বা নিদ্রা।

অতএব যে বলবে, ঈসা আঃ কে হত্যা করা হয়েছে বা ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে সে কাফের-মুরতাদ; তার রক্ত ও সম্পদ হালাল, কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কারণে এবং ইজমাহর বিরোধীতার কারণে।[9]কিতাবুল মুহাল্লা বিল-আছার, كتاب المحلى بالآثار 1/43

ইবনে হাযম (রহঃ) এর ফতোয়া অনুযায়ী, যে বলবে ঈসা (আঃ) মারা গেছেন, সে মুরতাদ হয়ে যাবে। এবং তাকে হত্যা করা জায়েজ হয়ে যাবে। যেমনটা জাভেদ গামিদী বলে বেড়াচ্ছেন।

সুন্নাহ সম্পর্কে গামেদির আকিদাহ

জাভেদ গামেদি তার মিযান বইয়ের অন্যত্র লিখেছেন,[10]মিযান/মিজান/میزان পৃ ১৪-১৫

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

ইংরেজি অনুবাদ,[11]Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)], page 17-19

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

আমরা মুসলিমরা জানি শারঈ পরিভাষায় সুন্নাহ হ’ল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ঐ সকল বাণী, যা দ্বারা তিনি কোন বিষয়ে আদেশ-নিষেধ, বিশ্লেষণ, মৌন সম্মতি ও সমর্থন দিয়েছেন এবং কথা ও কর্মের মাধ্যমে অনুমোদন করেছেন, যা সঠিকভাবে জানা যায় তাকে সুন্নাহ বলা হয়।[12]শাইখ যাকারিয়া আল-আনছারী, ফাতহুল বাকী আলা আলফাযিল ইরাকী (বৈরুত: দারুল কুতুবিাল ইলমিয়্যাহ, তা.বি.), পৃঃ ১২ অনুরূপভাবে ছাহাবী, তাবিঈ ও তাবে-তাবিঈদের আছার ও ফৎওয়াসমূহ অর্থাৎ তাদের ইজতেহাদ ও যেসব বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন, তাকেও সুন্নাহ বলে অভিহিত করা হয়। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন,

فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّيْنَ ‘তোমাদের উপরে অবশ্য পালনীয় হ’ল আমার সুন্নাত ও সুপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত’।[13]তিরমিযী হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৪৩; মিশকাত হা/১৬৫, সনদ ছহীহ

কিন্তু এদিকে জাভেদ গামিদী সুন্নাহ সম্পর্কে কী আক্বীদাহ পোষণ করলো নিশ্চয়ই দেখলেন। জাভেদ সাহেবের মতে,

  1. সুন্নাহ হলো আব্রাহামিক ধর্মের ঐতিহ্য। সুন্নাহর উৎস শুধুমাত্র কুরআন এবং আব্রাহামিক ট্র‍্যাডিশন।
  2. হাদিস থেকে বিশ্বাস এবং আমল সাব্যস্ত করা যায় না। হাদিস শুধুমাত্র হাদিস-লেখকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি।
  3. জাভেদ গামিদী যেই ২৭ টা সুন্নাহের তালিকা দিলেন, সুন্নাহ শুধুমাত্র এ’কটাই।

দেখুন, হাদিস এবং সুন্নাহ সম্পর্কে কী ভয়ঙ্কর কুফরী!

সুন্নাহ মানেই আব্রাহামিক ট্র‍্যাডিশন না। শুধুমাত্র যেই অংশগুলোতে মিল রয়েছে সেদিকে একত্রিত হতে বলা হয়েছে। আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আহলে কিতাবদের বিরুদ্ধাচারণ করতে বলা হয়েছে।[14]ইবনু মাজাহ ১৬৯৮, আবূ দাউদ ২৩৫৩, আহমাদ ২৭২১৮, মিশকাত ১৯৯৫, সহীহ আবী দাউদ ২০৩৮, সহিহ মুসলিম ১০৯৬ (হাদিস একাডেমী ২৪৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪১৭, ইসলামীক … See Full Note

হাদিস ইসলামী শরিয়তের ২য় স্থায়ী উৎস। একে অস্বীকার করা মানে ইসলামকেই অস্বীকার, ভয়ংকর কুফরী।

সুন্নাহর সংখ্যা হাজার হাজার রয়েছে। কিন্তু ইবলিশপন্থীদের প্রচারে তা থাকবে কেন!

কুরআন কতটি হরফে – ১ নাকি ৭?

জাভেদ সাহেব লিখেছেন,[15]মিযান/میزان পৃ ৩৩

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

ইংরেজি অনুবাদ,[16]Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)], page 36

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

হাদিস অস্বীকারকারী গামিদী দাবি করেছেন কুরআন মাত্র একটা হরফেই/তিলওয়াতেই এসেছে। কিন্তু আমরা মুসলিমরা জানি কুরআন ৭ হরফে নাযিল হয়েছে।

সাঈদ ইবনু উফায়র (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিবরীল(আলাইহিস সালাম) আমাকে একভাবে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর আমি তাকে অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করতে লাগলাম এবং পুনঃ পুনঃ অন্যভাবে পাঠ করার জন্য অব্যাহতভাবে অনুরোধ করতে থাকলে তিনি আমার জন্য পাঠ পদ্ধতি বাড়িয়ে যেতে লাগলেন। অবশেষে তিনি সাত উপ (আঞ্চলিক) ভাষায় তিলাওয়াত করে সমাপ্ত করলেন।[17]সহিহুল বুখারী ইফাঃ ৪৬২৫

সাঈদ উব্‌ন উফায়র (রহঃ) … উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনু হাকীম (রাঃ) কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূরা ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনেছি এবং গভীর মনোযোগ সহকারে আমি তার কিরাআত শুনেছি। তিনি বিভিন্নভাবে কিরাআত পাঠ করেছেন; অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এভাবে শিক্ষা দেননি। এ কারনে সালাত (নামায/নামাজ)-এর মাঝে আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্যত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু বড় কষ্টে নিজেকে সামলে নিলাম। তারপর সে সালাম ফিরালে আমি চাঁদর দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরলাম এবং জিজ্ঞেস করলাম, তোমাকে এ সূরা যে ভাবে পাঠ করতে শুনলাম, এভাবে তোমাকে কে শিক্ষা দিয়েছে? সে বলল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই আমাকে এভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। আমি বললাম, তুমি মিথ্যা বলছ। কারন, তুমি যে পদ্ধতিতে পাঠ করেছ, এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন।

এরপর আমি তাকে জোর করে টেনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে গেলাম এবং বললাম, আপনি আমাকে সূরা ফুরকান যে পদ্ধতেত পাঠ করতে শিখিয়েছেন এ লোককে আমি এর থেকে ভিন্ন পদ্ধতিতে তা পাঠ করতে শুনেছি। এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। হিশাম, তুমি পাঠ করে শোনাও। তারপর সে সেভাবেই পাঠ করে শোনাল, যেভাবে আমি তাকে পাঠ করতে শুনেছি। তখন আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এরপর বললেন, হে উমর! তুমিও পড়। সুতরাং আমাকে তিনি যেভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবেই আমি পাঠ করলাম। এবারও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবেও কুরআন নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত উপ (আঞ্চলিক) ভাষায় নাযিল করা হয়েছে। সুতরাং তোমাদের জন্য যা সহজতর, সে পদ্ধতিতেই তোমরা পাঠ কর।[18]সহিহুল বুখারী ইফাঃ ৪৬২৬

এ প্রসঙ্গে দেখা যেতে পারেঃ

কুরআনের ৭ হারফ এবং ১০ কিরাআত – ইবন তাইমিয়া(র.)

https://response-to-anti-islam.com/show/কুরআনের-৭-হারফ-এবং-১০-কিরাআত—ইবন-তাইমিয়া(র.)-/195

ইজমাহ অস্বীকারকারী জাভেদ গামিদী

জাভেদ গামিদী মাকামাত বইয়ে লিখেছেন,[19]Maqāmāt/মাক্বামাত পৃ ১৬৯

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

جلیل القدر عالم اور داعی مولانا وحیدالدین خان لکھتے ہیں: عام طور پر فقہا نے اجماع (consensus) کو شریعت کا ایک مستقل مصدر قرار دیا ہے، مگر یہ یقینی طور پر ایک بے بنیادنظر یہ ہے ۔ شریعت کا مستقل مصدر صرف کوئی نص قطعی ہوسکتا ہے ۔ نص قطعی کی غیر موجودگی میں کسی چیز کوشریعت کا مستقل مصدر قرار دینا یقینی طور پر ایک بے بنیاد بات ہے۔ اجماع کی بلاشبہ ایک اہمیت ہے ،لیکن وہ اہمیت صرف یہ ہے کہ کسی خاص موقع پر اجماع کسی پیش آمدہ مسئلے کا ایک عملی حل ہوتا ہے ۔ میل یقینی طور پر ایک وقتی حل ہوتا ہے، نہ کہ شریعت کا…

আমরা জানি, ইজমাহ হলো ইসলামী শরিয়তের ৩য় স্থায়ী উৎস। কিন্তু জাভেদ গামিদী এটিকে ভিত্তিহীন দাবি করলেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজেকে পথভ্রষ্ট প্রমাণ করলেন, ইজমাহর বিরুদ্ধাচরণ করা গোমরাহি।[20]কুরআন ৪:১১৫, তাফসীরে জাকারিয়া, আহসানুল বয়ান[21]কুরআন ৩:১১০ এ তাফসীরে বাইযাবী; আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস[22]ইবনে মাজাহ ৩৯৫০, মিশকাত ১৭৩, তিরমিজি ২১৬৭ – বেশ কয়েকটি শাহেদের কারণে সহিহ

যেমনঃ সিলসিলা সহিহাহ ৩৪০৬ (আরবি হাদিস নং ১৩৩১), তাহক্বীক আলবানীঃ সহিহ.
[23]ইমাম কুরতুবী (তাফসীরে কুরতুবী ৫/৩৮৬), ইমাম শাত্বিবী (আল-মুয়াফাক্বাত ৪/৩৮), ইমাম বুরহান উদ্দীন বাকায়ী (নাযমুদ দুরার ২/২৩৮), ইমাম সামারকান্দী (তাফসীরে … See Full Note

এমনকি তিনি মুসলিমদের ইজমাহকে বিদআত পর্যন্ত বলেছেন।[24]মাসিক ইশরাক, অক্টোবর ২০১১, পৃ ১-৩

নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে জাভেদ গামিদী

এটা সর্বসম্মত যে নারী নেতৃত্ব হারাম। এ মর্মে পড়ুনঃ

কিন্তু জাভেদ গামিদী হাদিস অস্বীকার সহ বিভিন্ন গোঁজামিল দিয়ে বলেছেন নারীরা পুরুষের নেত্রী হতে পারবে, এমনকি পুরুষদের সালাতেও ইমামতি করতে পারবে। তিনি তার ম্যাগাজিন ইশরাক-এ এই মর্মে বিশাল এক প্রবন্ধ লিখেছেন। ফীক্বহ-হাদিস ভালো বোঝেন এমন কেউ বিস্তারিত পড়ে নেবেন।[25]Ishraq, May 2005, Page 35-46

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

 

হদ্দের বিরুদ্ধাচরণকারী জাভেদ গামিদী

জাভেদ গামিদী ইসলামী শরীয়াহ আইনে জিনা এবং মদ্যপানের শাস্তি হিসেবে হদ্দকে অস্বীকার করে বসেছেন।[26]Burhān/বুরহান, পৃ ৩৫-১৪৬

শরীয়তের আইন অস্বীকার করা কুফর। হদ্দের প্রামাণিকতার বিষয়ে মুসলিম আলিমদের মধ্যে কোনো ইখতিলাফ নেই।

ইজতিহাদের ব্যাপারে জাবেদ গামেদি

উসুলুল ফীক্বহের একটি বিষয় হচ্ছে ইজতিহাদ। এই বিষয়েও জাভেদ গামিদী পথভ্রষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ইজতিহাদের কোনো শর্ত নেই, মানুষের ইজতিহাদ করা উচিৎ। ইজতিহাদ ফরজ। প্রত্যেক মুসলিমকেই ইজতিহাদ করতে হবে।[27]Maqāmāt/মাক্বামাত পৃ ১৬৬১৬৭

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

কিন্তু আমাদের মুসলিম আলিমগণ ইজতিহাদের বিষয়ে উল্টো কথা বলছেন।[28]https://www.hadithbd.com/books/detail/?book=72&section=1034

কাদিয়ানীদের ব্যাপারে জাভেদ গামিদী

আমরা জানি, আমাদের উপমহাদেশের সকল আলেম-ওলামা এ ব্যাপারে একমত যে, কাদিয়ানীরা কাফির, যদিও এরা নিজেদের মুসলিম দাবি করে। কাদিয়ানীরা কাফির কেন সেটা নিশ্চয়ই আপনাদের খোলাসা করে বলতে হবে না। কাফিরকে মুসলিম বলাও কুফরি।

গামিদীর মতে কাদিয়ানীরা ধার্মিক মুসলিম।[29]https://www.youtube.com/watch?v=WwVhjhrMOjw কাদিয়ানীদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে হাজার হাজার আলেম একমত হয়েছেন। পাকিস্তানের আদালতে তাদের অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষনা করা হয়েছে। এরপরেও জাভেদ গামিদীর আক্বীদায় কাদিয়ানীরা মুসলিম, যে কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করবে তাকে নাকি অন্য কিছু বলার সু্যোগ নেই।[30]https://www.youtube.com/watch?v=K-e9v7gy4kE

ইসলাম অনুযায়ী কুফর/কাফিরকে ইসলাম/মুসলিম বলাও কুফর। হারামকে হালাল বলা কুফর। কুফরকে কুফর না ভাবাও কুফর। কাফির কাদিয়ানীদের যারা কাফের হিসেবে মেনে নেয় না তারাও কুফরি করলো।

দাঁড়ি সুন্নাহ নয়

জাভেদ গামিদীর মতে দাঁড়ি সুন্নাহ নয়, যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, মুহাম্মদ (ﷺ) দাঁড়ি রেখেছেন।[31]https://youtu.be/JXsunp6eyug

সুফিরা কি অমুসলিম?

ওদিকে জাভেদ গামিদি বলছেন যে কাদিয়ানীরা কাফের নন, কাউকে তাকফির করার অধিকার নাকি কারও নেই। ওদিকে তিনি ঢালাওভাবে সকল সুফিকে অমুসলিম বললেন। শুধু তাই নয়, তিনি সুফিবাদকে ইসলামের মতোই আরেকটি ধর্ম ঘোষণা দিলেন।[32]বুরহান, পৃ ১৮১

এ প্রসঙ্গে মুফতি রশিদ (হাফিঃ)-র আলোচনা দেখতে পারেন।[33]https://youtu.be/QWM_oHax-pE

বীমা হালাল নাকি হারাম?

সর্বসম্মতভাবে বীমা সিস্টেমটাই হারাম। এতে কোনো আলিম ইখতিলাফ পোষণ করেছেন বলে আমাদের কাছে পৌঁছে নি।

কিন্তু সেই হারাম বীমাকেই হালাল ফাতওয়া দিলেন এই জাভেদ আহমদ গামিদি।[34]ইশরাক, জুন ২০১০, পৃ ২-৩

মিউজিক হালাল নাকি হারাম?

গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্র যে হারাম এটা আমরা সবাই জানি। জাভেদ গামিদি বিশ্বাস করেন যে মিউজিক হালাল।[35]ইশরাক, ফেব্রু ২০০৮, পৃ ৬৯-৭১

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিজাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

এ প্রসঙ্গে তার ভিডিয়োও রয়েছে।[36]https://fb.watch/glehdiXtHW/

জিহাদ সম্পর্কে গামিদি

ইসলামে যুদ্ধের জিহাদ দুই প্রকারঃ ডিফেন্সিভ এবং অফেন্সিভ। জাভেদ গামিদী আক্রমণাত্মক জিহাদকে অস্বীকার করেছেন। এটা নাকি রহিত হয়ে গিয়েছে![37]ইশরাক, এপ্রিল ২০১১, পৃ ২

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

তালাক্বের ব্যাপারে গামিদি

জাভেদ গামিদীর মতে উদ্দেশ্য ছাড়া তালাক্ব দিলে তালাক্ব হবে না।[38]ইশরাক, জুন ২০০৮, পৃ ৬৫-৬৬ অথচ, এটা আহলুস সুন্নাহর অবস্থান নয়। তালাক্ব উচ্চারণ করলেই তালাক্ব হয়ে যায়।

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

দ্বীন কি সমস্যার সমাধান নয়?

জাভেদ গামিদী বলেছেন, “দ্বীন আমাদের পৃথিবীর সমস্যা সমাধান শেখানোর জন্য আসে নি।”[39]ইশরাক, ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃ ৬৫

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

তাহলে আল্লাহ দ্বীন কেন দিয়েছেন?

সবার সাক্ষ্যই কি সমান?

সাধারণ ক্ষেত্রে আমরা জানি দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান।

কিন্তু এদিকে গামিদী সাহেবের মতে, মুসলিম-অমুসলিম এবং নারী-পুরুষের সাক্ষীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।[40]বুরহান, পৃ ২৫-৩৪

কুর’আনে বর্ণিত হুর অস্বীকার

আমরা জানি, জান্নাতে পুরুষরা হুর স্ত্রী রূপে লাভ করবে। এই কথা কুর’আনেও লেখা আছে।

কিন্তু জাভেদ ঘামিদী এটা অস্বীকার করেছেন, এবং কুরআনের বানোয়াট অর্থ বানিয়েছেন। তার দাবি হুর একটি সিফত যা মূলত দুনিয়ার স্ত্রীদেরই দেওয়া হবে। জান্নাতে আলাদা কোনো হুর নেই।[41]1:07 থেকে দেখুন https://youtu.be/ttx_8TRYPyA

কুর’আন অস্বীকার সুস্পষ্ট কুফরি।

সেখানে থাকবে স্বামীর প্রতি দৃষ্টি সীমিতকারী মহিলাগণ, যাদেরকে ইতঃপূর্বে স্পর্শ করেনি কোন মানুষ আর না কোন জিন।[42]কুর’আন ৫৫:৫৬

ইয়াজুজ-মাজুজ এবং দাজ্জাল অস্বীকার

আমাদের আক্বীদাহ হলো, কিয়ামতের আগে দাজ্জাল, ইয়াজুজ-মাজুজ আসবে। কিন্তু এটা অস্বীকার করেছেন জাভেদ গামিদী। তার মতে এগুলো নাকি পশ্চিমা জাতিগুলোকে এবং ইবলিশকে বোঝাচ্ছে![43]মাসিক ইশরাক, জানুয়ারি ১৯৯৬, পৃ ৬১

উক্ত রেফারেন্সটি মাওলানা মুহাম্মদ রফিক তাঁর ঘামদি মাজহাব কেয়া হেই? বইয়ে এনেছেন

এ প্রসঙ্গে তার ভিডিয়োও রয়েছে।[44]গামিদির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজের ভিডিয়োঃ https://fb.watch/gldEWXgTI-/(/অডিও).

মুরতাদের শাস্তি অস্বীকার

যে দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে তাকে বলা হয় মুরতাদ। ইসলামে মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

কিন্তু এই শরঈ বিষয়কে অস্বীকার করেছেন গামিদি সাহেব।[45]মাসিক ইশরাক, আগস্ট ২০০৮, পৃ ৬৪-৬৫

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

তার মতে রাসূল (ﷺ) এর মৃত্যুর পর এই দণ্ড আর অবশিষ্ট নেই।

এক নজরে জাভেদ গামিদির কুফরী এবং ভ্রান্তমতসমূহ

  1. ঈসা (আঃ) মারা গেছেন, পুনরায় আসবেন না। – কুফর
  2. কিয়ামতের আগে ইমাম মাহদী আসবেন না। – কুফর
  3. সুন্নাহের উৎস শুধুমাত্র কুরআন এবং আব্রাহামিক ট্র‍্যাডিশন। – ভ্রান্ত মত
  4. হাদিস থেকে সুন্নাহ প্রামাণ্য নয়। – ভ্রান্ত মত
  5. নারী নেতৃত্ব জায়েজ। – কুফর
  6. পুরুষের সালাতে নারী ইমাম জায়েজ। – ভ্রান্তমত
  7. জিনা/ব্যাভিচারের/মদ্যপানের শাস্তি রজম হতে পারে না। – কুফুরি
  8. ইজতিহাদের কোনো শর্ত নেই। যে কেউ ইজতিহাদ করতে পারে। – ভ্রান্ত মত
  9. প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ইজতিহাদ ফরজ। – ভ্রান্তমত
  10. কাদিয়ানীরা কাফির নয়, বরং ধার্মিক মুসলিম। – কুফুরি
  11. যে কেউ নিজেকে মুসলিম দাবি করবে (যেমনটা কাদিয়ানীরা এবং গামিদী সাহেব করে) তাকে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। – ভ্রান্ত মত
  12. দাঁড়ি সুন্নাহ নয়। – ভ্রান্ত মত
  13. ইজমাহ ভিত্তিহীন এবং বিদআত। – পথভ্রষ্টতা, ভ্রান্তমত
  14. সুফিরা অমুসলিম। – কুফর এবং বিভ্রান্তির মিশ্রণ
  15. বীমা হালাল। – কুফর
  16. মিউজিক হালাল। – কুফর
  17. আক্রমণাত্মক জিহাদ রহিত। – ভ্রান্তমত
  18. উদ্দেশ্য ছাড়া তালাক্ব দিলে তালাক্ব হবে না। – ভ্রান্তমত
  19. দ্বীন আমাদের পৃথিবীর সমস্যা সমাধান শেখানোর জন্য আসে নি। – ভ্রান্তমত
  20. নারী-পুরুষ, মুসলিম-অমুসলিম সবার সাক্ষ্য সমান। – ভ্রান্তমত
  21. জান্নাতে আলাদা কোনো হুর পাবেন না জান্নাতীগণ। – কুফর
  22. ইয়াজুজ-মাজুজ ও দাজ্জাল অস্বীকার কুফর এবং এর বিকল্প ব্যাখ্যাটি ভ্রান্তমতের অন্তর্ভুক্ত।
  23. মুরতাদের কোনো শাস্তি নেই। – কুফর

জাভেদ গামিদীর ব্যাপারে আলেম-ওলামাদের অবস্থান

এখন আমরা দেখতে যাচ্চি, গামিদীর এসবের ব্যাপারে আলেম-ওলামাগণ কী বলছেন?

দেওবন্দ

দারুল ইফতা, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতোয়া নং ৬৭৩৮০ঃ[46]https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/67380

জাভেদ আহমেদ গামদী একজন গোমরাহ (বিপথগামী) ব্যক্তি, তার অনেক আকীদা ও ধারণা জমহুর আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিরুদ্ধে।

দারুল ইফতা, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতোয়া নং ৬০১৭২৬ঃ[47]https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/601726

জাভেদ গামদীর ধারনা ও চিন্তা, তার বইগুলো বিভ্রান্তিকর, সে এমন সব বিষয়কে অস্বীকার করেছে যা দ্বীনের প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে এবং দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা কুফরীর সীমায় পৌঁছে গেছে, তাই তার বই পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত। তার ভ্রান্ত কুফরী আকিদা তার মীজান প্রভৃতি বই থেকে স্পষ্ট।

দারুল ইফতা, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতোয়া নং ৫৭১৯৫ঃ[48]https://darulifta-deoband.com/home/ur/islamic-beliefs/57195

জাভেদ গামিদী ইসলাম থেকে খারেজ।

দারুল ইফতা, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতোয়া নং ১৫৬৭৬২ঃ[49]https://darulifta-deoband.com/home/ur/false-sects/156762

জাভেদ গামিদী বুদ্ধিগতভাবে বিভ্রান্ত এবং গোমরাহ। তার লেখা এবং বইগুলো পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

দারুল ইফতা, দারুল উলুম, দেওবন্দ ফতোয়া নং ৬০১৪৭ঃ[50]https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/60147

ডঃ ফারহাত হাশমী এবং জাভেদ ঘামদী উভয়েই বুদ্ধিবৃত্তিক বিচ্যুতির শিকার, তাদের বই ও লেখা পড়া উচিৎ নয় এবং বক্তব্য শোনাও উচিৎ নয়।

শাইখ মুখতার আহমেদ মাদানী (হাফিঃ)

জাভেদ গামিদী একজন গোমরাহ ব্যক্তি।[51]https://m.youtube.com/watch?v=96PDqNZVtAM

মাওলানা ইলিয়াস ঘুমান

গামিদি দ্বীনকে বরবাদ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সে ইলহাদের ফিৎনা।[52]https://youtu.be/_OAZNrZhqMQ

শাইখ মাক্কি আল হিজাযি

জাভেদ গামিদী পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া ব্যক্তি। সে অনেক কুফরিপূর্ণ কথা বলেছে।[53]https://youtu.be/brbz5e1uzqQ

মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ কুরেইশী

জাভেদ গামিদীকে ফিৎনা সাব্যস্ত, এবং তার বিভিন্ন বিভ্রান্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন।[54]https://youtu.be/RzAqPfGI1qE

মুফতি তারিক্ব মাসূদ (হাফিঃ)

তিনি এক ভিডিয়োতে জাভেদ গামিদীর দু’টি ভয়ানক আক্বীদাহ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আমাদের সতর্ক করেছেন।[55]https://youtu.be/4DpPTyaeSZ4

তিনি গামিদীর হুর অস্বীকার সম্পর্কেও আলোচনা করেছেন।[56]https://youtu.be/tzBsprwdYgM

দারুল ইফতা ওয়াল-তাহক্বীক, লাহোর

ফাতওয়া ১ঃ জাভেদ ঘামদী এবং তার অনুসারীরা সবাই গোমরাহ। তাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা বা লেখার মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে এবং তাদের ধারণা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।[57]মাজলাহ সাফদার, প্রথম প্রিন্টঃ জুন ২০১৫, শা’বান রমাদান ১৪৩৬ হিজরি, পৃ 595

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

– আব্দুল ওয়াহিদ ঘর… দারুল-ইফতা ওয়াল-তাহক্বীকের চেয়ারম্যান, জামিয়া মসজিদ আল-হিলাল, চৌবরজি পার্ক, লাহোর, ১৪ রবিউল-আউয়াল ১৪৩৬, ফতোয়া নং: ১৯৩.৭

ফাতওয়া ২ঃ জাভেদ আহমাদ গামদি বিপথগামী এবং তার চিন্তাধারা হল পথভ্রষ্টতার বংশধর।…[তার] কিছু জিনিস অবিশ্বাসের পর্যায়ে পৌঁছেছে…যদি এটি সত্যিই গামদীর নিজের লেখা হয়, তাহলে তা কুরআনের স্পষ্ট বিরোধী।…জাভেদ আহমাদ গামদী ও তার অনুসারীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, তাদের বিয়ে করা, তাদের সুখ-দুঃখের শরীক হওয়া এসব কিছুই জায়েজ নয়।…জাভেদ গামদি এবং তার অনুসারীদের নামাজে ইমাম করা এবং তাদের লেখা প্রচার করা এবং তাদের বক্তব্যের জন্য ডাকা বা তাদের কাছে না যাওয়াও নাজায়েজ। জনসাধারণের জন্য এসব লোকের বক্তৃতা ও লেখা পড়া জায়েজ নয়। যেখানেই গামিদিবাদের বীজ রোপিত হয়েছে, সেখানেই দ্বীনী আলেমদের দায়িত্ব হল গামিদিবাদের এসব ভুলত্রুটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা…[58]ibid, pp 595-596

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

– Darul-Iftaa aur Al tahqeeq, Masjid-ul-Hilal, Chau barqi Park, Lahore

দারুল উলুম মাদানীয়া, বাহাওয়ালপুর

  1. তার কিছু তত্ত্ব কুফরী। যেমন, কেয়ামতের আগে ঈসা (আঃ)-এর পুনরায় পৃথিবীতে আসাকে অস্বীকার করা, কোন কোন সুন্নাহকে অস্বীকার করা, হাদীসের অস্বীকৃতি।
  2. কিছু তত্ত্ব নাস্তিক।
  3. তার তত্ত্বসমূহে কুরআনের বর্ণনা, ঘন ঘন হাদিস ও ঐকমত্যের বিষয়গুলোকে অস্বীকার  স্পষ্ট। কাজেই এসব আকীদা পোষণকারী ব্যক্তি ইসলামের গণ্ডি থেকে খারেজ, পথভ্রষ্ট ও গোমরাহ এবং কুফুরি আকিদার ধারক। এমন ব্যক্তির অনুসরণ করা এবং তাকে একজন গুরু ও নেতা হিসেবে গ্রহণ করা এবং [তাকে] ইসলামের দাবি করা মানে নিজেকে ইসলাম থেকে খারেজ করে দেওয়া। এটি [গামিদিবাদ] থেকে নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করা ফরজ।[59]ibid, pp 596

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

– Harrah: Muhammad Yusuf…..Darul Ifta Darul Uloom Madniya Bahawalpur …. 537.3.8 Al-Jawb Mah…. Ahmad Faan … Darul Uloom Madniya Bahawalpur … Al-Jawb Mah…Ata Al-Rahman… Raees Dar al-Ifta o madeer  o Sheikh  Al Hadees: ) Darul Uloom Madaniya Bahawalpur… ……..1437/03.9 AH 36.3.8……

জামিয়া খায়রুল উলূম, খায়েরপুর তামিওয়ালী

গামিদির কিছু কিছু আকিদাহ টাটকা কুফরি। ঈসা (আঃ) এর পুনরাগমনের উপর ঈমান আনা ফরজ, এর অস্বীকার এবং ভিন্ন ব্যাখ্যা হলো কুফরি এবং গোমরাহী।…তার ধারণা ও চিন্তার প্রচার ও প্রচার করা, তার বা তার ছাত্রদের বই এবং লেখা পড়া বা জনসাধারণের জন্য বিবৃতি বর্ণনা করা নাজায়েজ ও হারাম এবং ইসলামী বিশ্বাস ও ধারণার জন্য মারাত্মক বিষ।[60]ibid, pp 597-598

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

জামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর

জাভেদ গামিদী একজন গোমরাহ, এবং আহলুস সুন্নাহের বিরুদ্ধে।…তাকে ধর্মীয় নেতা বানিয়ে শরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা জায়েজ নয়।…এই ব্যক্তির উপরোক্ত ধারণা ও চিন্তার প্রচার ও প্রকাশনা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যক্তির দলে যোগদান করা জায়েয নয়। জনসাধারণের উচিৎ ধার্মিক, পুণ্যবান, সুন্নাহের অনুসারী, আলেম ও দ্বীনের বুজুর্গদের বক্তব্য ও লেখা ব্যবহার করা। তাদের জন্য এ ধরনের বিপথগামী ব্যক্তির বক্তব্য শোনা, তাদের লেখায় তিনি এবং তার অনুসারীরা এটি পড়া এড়িয়ে চলা আবশ্যক, তবে এই ব্যক্তিকে খণ্ডন করার জন্য পণ্ডিত ও পণ্ডিতরা এই লেখাগুলি অধ্যয়ন করেন  এটা করা জায়েয।[61]ibid, pp 598

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

– মুহাম্মদ আই  19 রবিউস সানি 1436 হিজরি,  9 ফেব্রুয়ারী 2015, আল-জওব সহীহ মুহাম্মদ যাকারিয়া, 36.04.19। … আল-জুয়াব সৈকত: শহীদ উবাইদ

জামিয়া খোলফায়ে রাশেদীন, আহমেদপুর

জাভেদ ঘামিদি একজন কাফির এবং দ্বীনহীন।এমন ব্যক্তিকে ধর্মীয় পথপ্রদর্শক বানাবেন না, এমন ব্যক্তিদের থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।[62]ibid, pp 599

জাভেদ গামিদির কুফরী আক্বীদাহ এবং অন্যান্য বিভ্রান্তি

– মুহাম্মাদ আজমল আফি আনহু… মুফতি: মাদরাসা আরাবি খোলফায়ে রাশিদিন, রেলওয়ে রোড, আহমেদপুর শরকিয়া বিন্দ এবং মুহাম্মদ ইকবাল আলী আল্লাহ আনহু… মুফতি: মাদরাসা আরাবি খোলফায়ে রাশিদিন, রেলওয়ে রোড, আহমেদপুর শরকিয়া

গামিদী কি তাওবাহ করেছেন?

আজ ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ পৌঁছুয়নি যে জাভেদ আহমদ গামিদী এসব থেকে তাওবাহ করে ইসলামে ফিরে এসেছেন।

গামিদির চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি

পড়ুনঃ গামেদি চিন্তার মৌলিক ভ্রান্তি—প্রথম পর্ব | মূল: মাওলানা ইয়াহয়া নোমানি | ভাষান্তর: হুজাইফা মাহমুদ

উপসংহার

বর্তমানে দ্বীনী কমিউনিটিতে জাভেদ গামিদীর মতো বিষবাষ্পগুলো বিপুল হারে ছড়াচ্ছে। দ্বীনী ভাইদের বেখেয়ালে তারা কুফরী প্রোমোট করছেন। পথভ্রষ্টতা প্রোমোট করছেন। কিন্তু বুঝতে পারছেন না। আল্লাহ ﷻ আমাদের হিদায়াত দিক, আমিন।

    Footnotes

    Footnotes
    1Redefining tradition in Political Thought, p.438, Iqtidar
    2Mizan বা, Meezan বা, میزان পৃ ১৭৭-১৭৯, পঞ্চম সংস্করণ-২০০৯, আল-মাওয়ারিদ, ৫১-কে, মডেল টাওন, লাহোর, পাকিস্তান
    3Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)] (Javed Ahmad Ghamidi), page 174-175
    4রুহানী খাজাইন ২১/৩৫৬
    5রুহানী খাজাইন ৮/২৯৯
    6রুহানী খাজাইন ১৬/২৪৩
    7https://youtu.be/llu6GuztoD0
    8ص43 – كتاب المحلى بالآثار – مسألة نبي الله عيسى لم يقتل ولم يصلب – المكتبة الشاملة

    الرابط:https://shamela.ws/book/767/23#p3

    9কিতাবুল মুহাল্লা বিল-আছার, كتاب المحلى بالآثار 1/43
    10মিযান/মিজান/میزان পৃ ১৪-১৫
    11Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)], page 17-19
    12শাইখ যাকারিয়া আল-আনছারী, ফাতহুল বাকী আলা আলফাযিল ইরাকী (বৈরুত: দারুল কুতুবিাল ইলমিয়্যাহ, তা.বি.), পৃঃ ১২
    13তিরমিযী হা/২৬৭৬; ইবনু মাজাহ হা/৪৩; মিশকাত হা/১৬৫, সনদ ছহীহ
    14ইবনু মাজাহ ১৬৯৮, আবূ দাউদ ২৩৫৩, আহমাদ ২৭২১৮, মিশকাত ১৯৯৫, সহীহ আবী দাউদ ২০৩৮, সহিহ মুসলিম ১০৯৬ (হাদিস একাডেমী ২৪৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪১৭, ইসলামীক সেন্টার ২৪১৬), মুসনাদে আহমদ ১/২৪১ ইত্যাদি
    15মিযান/میزان পৃ ৩৩
    16Islam: A Comprehensive Introduction [English translation of ‘Mizan’ (میزان)], page 36
    17সহিহুল বুখারী ইফাঃ ৪৬২৫
    18সহিহুল বুখারী ইফাঃ ৪৬২৬
    19Maqāmāt/মাক্বামাত পৃ ১৬৯
    20কুরআন ৪:১১৫, তাফসীরে জাকারিয়া, আহসানুল বয়ান
    21কুরআন ৩:১১০ এ তাফসীরে বাইযাবী; আহকামুল কুরআন লিল জাসসাস
    22ইবনে মাজাহ ৩৯৫০, মিশকাত ১৭৩, তিরমিজি ২১৬৭ – বেশ কয়েকটি শাহেদের কারণে সহিহ

    যেমনঃ সিলসিলা সহিহাহ ৩৪০৬ (আরবি হাদিস নং ১৩৩১), তাহক্বীক আলবানীঃ সহিহ.

    23ইমাম কুরতুবী (তাফসীরে কুরতুবী ৫/৩৮৬), ইমাম শাত্বিবী (আল-মুয়াফাক্বাত ৪/৩৮), ইমাম বুরহান উদ্দীন বাকায়ী (নাযমুদ দুরার ২/২৩৮), ইমাম সামারকান্দী (তাফসীরে সমরকান্দী ১/৩৮৮), ইমাম বায়যাভী (তাফসীরে বায়যাবী ১/২৪৩) তাফসীর ইবনে কাছীর (তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৬৮) সহ অন্যান্য উলামায়ে কিরাম অত্র আযাত দ্বারা ‘ইজমা’ হুজ্জাত হওয়ার দলীল গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও এসম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে: সায়েদনা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার থেকে বর্নিত, রাসূল বলেনঃ “আমার উম্মাত কখনই গুমরাহির উপরে ঐক্যবদ্ধ হবে না, সুতরাং জামআত কে শক্ত করে ধরো। কারন আল্লাহর হাত জামআতের উপরে থাকে।” (আল মুজামুল কাবির লিত্ব-তাবারানী ১২/৪৪৭, হা/১৩৬৪৩, সনদ হাসান).
    24মাসিক ইশরাক, অক্টোবর ২০১১, পৃ ১-৩
    25Ishraq, May 2005, Page 35-46
    26Burhān/বুরহান, পৃ ৩৫-১৪৬
    27Maqāmāt/মাক্বামাত পৃ ১৬৬১৬৭
    28https://www.hadithbd.com/books/detail/?book=72&section=1034
    29https://www.youtube.com/watch?v=WwVhjhrMOjw
    30https://www.youtube.com/watch?v=K-e9v7gy4kE
    31https://youtu.be/JXsunp6eyug
    32বুরহান, পৃ ১৮১
    33https://youtu.be/QWM_oHax-pE
    34ইশরাক, জুন ২০১০, পৃ ২-৩
    35ইশরাক, ফেব্রু ২০০৮, পৃ ৬৯-৭১
    36https://fb.watch/glehdiXtHW/
    37ইশরাক, এপ্রিল ২০১১, পৃ ২
    38ইশরাক, জুন ২০০৮, পৃ ৬৫-৬৬
    39ইশরাক, ফেব্রুয়ারি ২০০৮, পৃ ৬৫
    40বুরহান, পৃ ২৫-৩৪
    411:07 থেকে দেখুন https://youtu.be/ttx_8TRYPyA
    42কুর’আন ৫৫:৫৬
    43মাসিক ইশরাক, জানুয়ারি ১৯৯৬, পৃ ৬১

    উক্ত রেফারেন্সটি মাওলানা মুহাম্মদ রফিক তাঁর ঘামদি মাজহাব কেয়া হেই? বইয়ে এনেছেন

    44গামিদির অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজের ভিডিয়োঃ https://fb.watch/gldEWXgTI-/(/অডিও).
    45মাসিক ইশরাক, আগস্ট ২০০৮, পৃ ৬৪-৬৫
    46https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/67380
    47https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/601726
    48https://darulifta-deoband.com/home/ur/islamic-beliefs/57195
    49https://darulifta-deoband.com/home/ur/false-sects/156762
    50https://darulifta-deoband.com/home/ur/others/60147
    51https://m.youtube.com/watch?v=96PDqNZVtAM
    52https://youtu.be/_OAZNrZhqMQ
    53https://youtu.be/brbz5e1uzqQ
    54https://youtu.be/RzAqPfGI1qE
    55https://youtu.be/4DpPTyaeSZ4
    56https://youtu.be/tzBsprwdYgM
    57মাজলাহ সাফদার, প্রথম প্রিন্টঃ জুন ২০১৫, শা’বান রমাদান ১৪৩৬ হিজরি, পৃ 595
    58ibid, pp 595-596
    59ibid, pp 596
    60ibid, pp 597-598
    61ibid, pp 598
    62ibid, pp 599
    Source
    Is Javed Ghamidi a Secret Qādiyānī?Javed Ghamidi: An Introduction to a Prominent Hadīth DenierMisguided Ideology: Javed Ghamidi’s Rejection of Ḥadīth, the Mahdī and Ijmā’Javed Ghamidi and the Ḥadīth Rejecter’s Trojan Horseغامدی مذہب کیا ہے؟ تصنیف پروفیسر مولا نا محمد رفیق
    Show More

    Tahsin Arafat

    Editor-in-Chief, FromMuslims তালিবুল ঈলম, আহলুল মানহাজুস সালাফ
    5 2 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    3 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Md Salim Ali
    Md Salim Ali
    1 year ago

    ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম।

    Muhammad Samir
    Muhammad Samir
    1 year ago

    বহু প্রতীক্ষিত একটি লেখা।

    Back to top button