ভারতহিন্দু কর্তৃক ধর্ষণ

১২০ নারীকে ধর্ষণ-ভিডিয়ো ধারণ এবং ব্ল্যাকমেইল, মন্দিরপ্রধান অমরপুরি গ্রেফতার

ভারতের হরিয়ানার ফতেহাবাদের তোহানা শহরের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জলেবি বাবা ১২০ নারীকে ধর্ষণ-ভিডিয়ো ধারণ এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার। ঘটনাটি ২০১৮ সালের, সেই তান্ত্রিককে কেউ চেনেন বলবন্ত সিংহ নামে, কেউ বিল্লুরাম নামে, কেউ জিলাপি বিক্রেতা, কেউ অমরপুরী নামে। অভিযোগ, চায়ে মাদক দ্রব্য মিশিয়ে বহু মহিলাকে তিনি পান করিয়ে তাঁদের ধর্ষণ করেছেন। আপাতত ১২০ জন মহিলাকে ব্ল্যাকমেইল এবং ধর্ষণের অভিযোগে বছর ষাটেকের এই জিলিপি বাবা তান্ত্রিককে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই হরিয়ানার তোহানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।

ফতেহাবাদ মহিলা থানার শীর্ষ আধিকারিক বিমলা দেবী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ভক্ত মহিলাদের তান্ত্রিক পুজোর নামে ডেকে এনে যৌন নির্যাতন করতেন ওই ‘বাবা’ বালকনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অমরপুরিকে। ধর্ষণের নানা ভিডিও ক্লিপও বানিয়েছিলেন তিনি। নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিওগুলি ধারণ করতেন।

তান্ত্রিক বাবার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এমন ১২০টি ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রত্যেকটি ক্লিপ সিডি করে রাখা ছিল বাবার জিম্মায়। তান্ত্রিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই সিডিগুলি দেখিয়েই মহিলাদের ব্ল্যাকমেইল করতেন তিনি। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফের ওই মহিলাদের ধর্ষণ করতেন অমরপুরি।

পুলিশ জানিয়েছে, ১২০টি ভিডিও দেখে ওই ১২০ জন মহিলার খোঁজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতাদের মধ্যে সাহস করে দু’জন এগিয়ে এসে তাদের বয়ান দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, বহু বছর ধরেই ভক্তদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের ভিতরেই নিজের যৌন লালসা পূরণ করতেন।

বিমলা দেবী জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর বাবাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী এবং নির্যাতিতা সমস্ত মহিলাদের খুঁজে বের করে তাদের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে জানা গিয়েছে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে হাজতে জিলিপি বাবা। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার আদালত তাঁকে ১৪ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে।

    Source
    Ananda bazarZee News IndiaJamuna TVTV9 Bangla
    0 0 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    0 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button