হিন্দুধর্মে খৎনার বিধান
খৎনা শব্দের অর্থ: লিঙ্গচ্ছেদ(লিঙ্গ+বিচ্ছেদ/ব্যবচ্ছেদ), লিঙ্গের অগ্রভাগ কর্তন, এককথায় লিঙ্গের সামনের চামড়া কেটে ফেলা, লিঙ্গছেদন।
হিন্দুদের পুরাণ বেদ স্বীকৃত গ্রন্থ
ঋক, সাম, ছন্দ ও যজুমন্ত্রগুলি পুরানের আখ্যানের সাথে ব্রহ্ম থেকে জাত হয়েছে।[1]অর্থববেদ কান্ড-১১/অনুবাক-৪/সূক্ত-৩/মন্ত্র-৩, অনুবাদকঃ বিজনবিহারী গোস্বামী
গ্রিফিথের অনুবাদঃ
Verses, and Songs, and magic hymns, Purāna, sacrificial text.
All the celestial Gods whose home is heaven sprang from the
Residue.[2]Atharva Veda 11.7.24 https://www.sacred-texts.com/hin/av/av11007.htm
কল্কি হবেন খৎনার অধিকারী রাজা
দেবতা/ঈশ্বর মানুষ রূপে অবতরণ বা জন্মগ্রহণ করাকে অবতার বলে।
ত্রিত্ববাদঃ ব্রহ্মা, শিব ও বিষ্ণু এরা তিনে এক।[3]শিবপুরাণ, জ্ঞানসংহিতা বিষ্ণু কল্কিরূপে খৎনা করলে শিবের খৎনা অটোমেটিক হয়ে যায়। এছাড়া ব্রিটিনিকা মতে এনসাক্লোপিডিয়াতে দেখতে পাই প্রাচীন শিবলিঙ্গগুলো খৎনা করা।[4]Britannica, T. Editors of Encyclopaedia (2022, December 23). lingam. Encyclopedia Britannica. https://www.britannica.com/topic/lingam
ভগবান বিষ্ণুর সর্বশেষ বা ১০ম অবতার হলেন কল্কি অবতার। কল্কি হবেন খৎনার অধিকারী রাজা এবং দস্যু বিনাশকঃ-
“অশ্বমাশুয়া গমমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ
অসিনা সাধুদমষ্টৈশ্বর্য্য গুনান্বিত ||১৯||”সরলার্থঃ অশ্বে আরোহনকারী দেবদত্তের জগৎপতি দ্রুতগামিন হলেন অসাধুদমনে
এবং তিনি অষ্টৈশ্বয্য গুনান্বিত।বিচরন্নাশুয়া ক্ষৌণাং হয়েনা প্রতিমদ্যুতিঃ
নৃপ লিঙ্গচ্ছেদো দুস্যুন কোটিশে নিহনিষ্যতি ||২০||সরলার্থঃ খড়্গ/তলোয়ার নিয়ে পৃথিবীতে অবতারণ করেন আলোকিত হয়ে। লিঙ্গচ্ছেদধারী রাজা/নৃপতি হিসেবে কোটি/অসংখ্য দস্যুদের নিহত করান।[5]ভাগবত পুরাণ ১২/২/১৯-২০
ম্লেচ্ছ্য/বিদেশি ঋষি মহামদ/মুহাম্মাদ(স) এর খৎনা বিধান
এতস্মিন্নন্তরে স্লেচ্ছ্য আচার্য্যেণ সমন্বিত
মহামদ ইতি খ্যাত শিষ্য শাখা সমন্বিত ||৫||সরলার্থঃ মহামদ/মুহাম্মাদ নামে একজন স্লেচ্ছ্য/বিদেশী ঋষি আসবেন।ইতিমধ্যে খ্যাত, শিষ্য শাখা/শিষ্যদের বড় অংশ নিয়ে সমন্বিত।
নৃপশ্চৈব মহাদৈনং মরুস্থল নিবাসিনম্
সরলার্থঃ রাজা হিসেবে মহা দৈন(দৈন্য)/দুঃখী/অভাবী,তার নিবাস্থল হলো মরুভূমি।
গঙ্গাজালৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিত
সরলার্থঃ তিনি গঙ্গা স্নান ছাড়া পঞ্চ গব্য সমন্বিত।
চন্দনা দিভির ভ্যচৈচ্য তুষ্টা মনসা হরম ||৬||
সরলার্থঃ তিনি চন্দনের মতোই সুন্দর,তুষ্ট মনের অধিকারী[6]ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৫-৬
কিছু কথাঃ নবভারত পাবলিশার্স অনূদিত ভবিষ্যপুরাণে অনুবাদক শ্রীমৎ স্বামী পরমাত্নান্দনাথ ভৈরব (গিরি) জালিয়াতি করেন ৩৭৬ পৃষ্ঠায়, শ্লোক ৬ অনুবাদ করেন নিম্নরূপঃ
নৃপশ্চৈব মহাদৈনং মরুস্থল নিবাসিনম্
বাংলাঃ মহামদ মহাদেবে পূজার্চনা দ্বারা তুষ্ট করলেন।
সঠিক অর্থ হবেঃ নৃপতি (রাজা) হিসেবে মহা দৈন-(দৈন্য)/দুঃখী/অভাবী, তার নিবাসস্থল হলো মরুভূমি/মরুস্থল।
তিনি এই শ্লোকের সামনের ও পেছনের দুটি অংশ অনুবাদ করেন নি। সেগুলো হলোঃ
সামনের অংশঃ ইতি খ্যাত শিষ্য শাখা সমন্বিত
শেষের অংশঃ গঙ্গাজালৈশ্চ সংস্নাপ্য পঞ্চগব্য সমন্বিত চন্দনা দিভির ভ্যচৈচ্য তুষ্টা মনসা হরম।।
তিনি মহাদৈনং শব্দটিকে মহাদেব বানিয়ে ফেলছেন অনুবাদ করতে গিয়ে। কত বড় জালিয়াতিবাজ! একজন পৌত্তলিকতা বিরোধীকে বানিয়ে দিলেন পৌত্তলিক দেবতা শিবপূজারী। আমরা তো জানিই ব্রাহ্মণরা ভবিষ্যপুরাণ লিখেছে ইসলামের মুহাম্মদ (সাঃ) কে কপি করার জন্যেই।
খন্ডনঃ সংষ্কৃত দৈন শব্দ অর্থ দৈনিক।সংষ্কৃত দৈন শব্দটি (ং) দিয়ে উচ্চারণ করায় দৈন্য অনুবাদ করা যায়।যার অর্থ: দুঃখ, অভাব। দেখুন সংস্কৃত ডিকশনারিঃ
এরপর অংশে বলাঃ
নমস্তে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসিনে
ত্রিপুরাসুর নাশোয়া বহুমায়াপ্রবর্তিনে ||৭||সরলার্থঃ হে গিরিজানাথ মরুস্থল নিবাসী আপনাকে নমষ্কার জানাই। ত্রিপুরাসুর নাশকারী (নাশোয়া) আপনি বহু মায়া দ্বারা প্রবর্তিত।
এরপর আমরা ১২নং শ্লোকে যাই-
অযোনি স বরো মত্ত প্রাপ্ত বান্দৈত্য বর্দ্ধণ
মহামদ ইতি খ্যাতঃ পৈশাচ্যকৃত্যিৎপরসরলার্থঃ তিনি অবৈধ যৌনি প্রাপ্তি বরে মত্ত (আসক্ত) নন,এর বদ্ধন থেকে মুক্ত (বান্দৈত্য)।মহামদ ইতিমধ্যে খ্যাত, পৈশাচিক কার্যকলাপ বিরোধী তৎপর।
কিছু কথাঃ নবভারত পার্বলিশার্স প্রকাশিত অনুবাদে মরুস্থল অনুবাদ অনুবাদ করে কুরস্থল। কিন্তু সংস্কৃত মরু মানে বালুময় স্থানই বোঝায়ঃ
বহু মায়া শব্দের সচ্চিদান্দরূপী। এছাড়াও ত্রিপুরাসুর নাশোয়া বিকৃতি অনুবাদ করে ত্রিপুরাসুর ঠিক রাখে। সেখানে নাশোয়া শব্দ অনুবাদ বাদ দিয়েছে। নাশোয়া অর্থ: নাশকারী।
অর্থাৎ, “অসুর নাশকারী” কে বানিয়ে দিলো “অসুর”!
বান্দৈত্য শব্দটিকে অনুবাদ করলো দৈত্য বানিয়ে দিলো। পৈশাচ্যকৃত্যিৎপর অনুবাদ করলো পিশাচরূপী, পিচাশ। শব্দটির বাকিটুকু অনুবাদ করেনি। আসলে হিন্দুরা নিজ স্বার্থ রক্ষায় ইসলামে কনভার্ট আতংক থেকে বাঁচাতে আর ইসলামকে অপমান করতে নিজ ধর্মগ্রন্থ বিকৃতি অনুবাদ করতে দ্বিধাবোধ করেনা।
যদি হিন্দুদের চাপা জোরে নবভারত পাবলিশার্সের অনুবাদ সঠিক ধরি নিই তাহলে বৈপরীত্যে পাইঃ
মহামদ হলো ম্লেচ্ছ্য ঋষি[7]ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৫, | মহামদ হলো ত্রিপুরাসুর, দৈত্য[8]ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৭,১২ |
এরপর আরো বলাঃ
রাত্রৌ স দেবরূপ বহুমায়াবিশাপদঃ
পৈশাচং দেহবস্থায় ভোজরাজং হি সোৎব্রবীৎ ||২৩||সরলার্থঃ রাতে তিনি (মহামদ) দেবরূপ বহুমায়াবিপ্রাপ্ত (ঐশ্বরিক শক্তি/অলৌকিক অধিকারী) হন। ভোজরাজা পৈশাচিক দেহ অবস্থায় তাকে বললেন-
আর্যধর্মো হি তে রাজন সর্বধর্মোত্তমঃসৃত
ঈশাজ্ঞয়া করিষ্যামি পৈশাচং ধর্মদারুণাম ||২৪||সরলার্থঃ
হে রাজন! তোমার আর্যধর্ম সর্বধর্ম অপেক্ষা উত্তম।
আমি ঈশ্বরের আজ্ঞায় পৈশাচিকধর্ম দারুণভাবে পালন করব।লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীনঃ শুশ্রাধারী স দূষক
উচ্চালাপী সর্বভক্ষী ভবিষ্যতি জানা মম||২৫||সরলার্থঃ দূষকেরা (পাপীরা) তোমাকে গ্রহন করে লিঙ্গচ্ছেদধারী, শিখাহীন এবং দাড়ি রাখবে।
উচ্চস্বরে ডাক দিবে,সবকিছুই ভক্ষণকারী তাদেরকে ভবিষ্যতে এরকমই জানা যাবে।বিনা কৌলং চ পশবস্তেষাং ভক্ষ্যা মত্তা মমঃ
মূসলনৈব সংষ্কৃত কুশৈরিরং ভবিষ্যতি ||২৬||সরলার্থঃ কৌল (নির্ধারিত কিছু) ছাড়া সমস্ত পশুকে ভক্ষণে মত্ত থাকবে।ভবিষ্যতে মুসলমান নামক বিশুদ্ধ (সংষ্কৃত অর্থ-বিশুদ্ধ) জাতি উদ্ভব ঘটবে।
ত স্মান্নুসল তা বন্ডো হি জাতেয়া দূষকা
ইতি পৈশাচধর্ম্ম তি ভবিষ্যতি মায়াকৃত ||২৭||সরলার্থঃ তন্ধধ্যে কিছু ভন্ড (বন্ডো) মুসলিম জাতে দূষিত হবে, ইতিমধ্যে পৈশাচিকধর্ম মায়াতে ভবিষ্যতে প্রলুদ্ধ হবে।
ইত্যুক্তা প্রমমৌ দেবঃ স রাজ গেহমায়ায়ৌ
ত্রিবর্ণ স্থাপিতা বাণী সংষ্কৃতি স্বর্গদায়িনা ||২৮||সরলার্থঃ- এসব উক্তি করলেন দেবতা মতোই চলে গেলেন।রাজা (মহামদ) তিনবর্ণে স্থাপন করলেন বিশুদ্ধ (সংষ্কৃত অর্থ-বিশুদ্ধ) বাণী যা স্বর্গ থেকে দেয়া।
শুদ্রেষ্যু প্রাকৃতি ভাষা স্থাপিতাতেন ধীমাতা
পঞ্চাশদব্দ কালম তু রাজ্যং কৃত্ব দিবঃগত ||২৯||সরলার্থঃ তিনি দলিত লোকদের কথ্য ভাষাতে তা স্থাপন (প্রয়োগ) করলেন ধীরগতিতে মায়ের মত করে। পঞ্চাশ শব্দের পঙ্গপাল তার রাজত্বের বেদনা দিবার মতো গত হবে।
স্থাপিতা তেন মর্যাদা সর্বদেবোপমানিনী
আর্যাবর্তঃ পূণ্যভূমি মধ্যাং বিন্ধ হিমালয়োঃ ||৩০||সরলার্থঃ স্থাপিত হবে মর্যাদা সাথে সর্বদিকে দৈব/ঐশ্বরিক মান্যকারী আর্যের পূন্যভূমির মধ্যে বিন্ধ হিমালয়ে।
আর্যাবর্ণা স্থিতাস্তত্র বিন্ধ্যান্তে বর্ণসংকরাঃ
নরা মুসলবন্তশ্চ স্থাপিত সিন্ধু পাবজাঃ ||৩১||সরলার্থঃ আর্যবর্ণের বিন্ধ পর্বতে বর্ণসংকর দেখা দিলো।নতুন করে মুসলিম লোকেরা সিন্ধুতীরে স্থাপিত হলো।
বর্বরে তুষদেশে চ দ্বাপো নানা বিধে তথা
ঈশা মসীহ ধর্মাশ্চ সুবৈং রাজ্ঞৈব সংস্থিতা ||৩২||সরলার্থঃ তুষদেশে (বরফে দেশ) এর বর্বর নানা দ্বীপে তথায় ঈসা মসীহ ধর্ম তাদের রাজার (ইউরোপীয় শাসক) নির্দেশে সংস্থাপন করলো।[9]ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-১২-৩২
শিবের খৎনা সম্পর্কে পণ্ডিতদের অভিমত
প্রেমোত্তয় হইয়া আলিঙ্গনে পৃথিবীকে আবারিত করিতে যাইবে অমনি ক্রোশোষ অস্ত্র দ্বারা লিঙ্গচ্ছেদ করিয়া সমুদ্রে নিক্ষেপ করিল।বৃদ্ধ আকাশ খোজা হইয়া পড়িলেন। ঐ কর্ত্তনস্থল হইতে যে অজস্র রক্ত পৃথিবীতে পড়য়াছিল,পৃথিবী তাহাতে গর্ভবতী হইয়া ক্রমান্বয়ে ভীষনাত্রয় নানা জাতীয় দানব ও অসংখ্য দানবী প্রসব করিল। ইহারা সমসগ্র দেশ ব্যাপন করিশা যথাসুখে বিচরন করিতে লাগিল।[10]গ্রিক ও হিন্দুধর্ম, লেখকঃ- প্রফুল্লচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, পৃ ৭২৭
উল্লেখ্য বেদের আলোকে লিঙ্গদেবতারা খারাপ…
লিঙ্গ (শিশ্না)দেবতারা যেন আমাদের যজ্ঞ বিঘ্ন না করে…[11]ঋগ্বেদ ৭/২১/৫
ইন্দ্র দেব লিঙ্গ দেবতাদের হত্যা করতে করতে শতদ্বারবিশিষ্ট ধনে অভিভূত করেন…[12]ঋগ্বেদ ১০/৯৯/৩
Footnotes
⇧1 | অর্থববেদ কান্ড-১১/অনুবাক-৪/সূক্ত-৩/মন্ত্র-৩, অনুবাদকঃ বিজনবিহারী গোস্বামী |
---|---|
⇧2 | Atharva Veda 11.7.24 https://www.sacred-texts.com/hin/av/av11007.htm |
⇧3 | শিবপুরাণ, জ্ঞানসংহিতা |
⇧4 | Britannica, T. Editors of Encyclopaedia (2022, December 23). lingam. Encyclopedia Britannica. https://www.britannica.com/topic/lingam |
⇧5 | ভাগবত পুরাণ ১২/২/১৯-২০ |
⇧6 | ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৫-৬ |
⇧7 | ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৫, |
⇧8 | ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-৭,১২ |
⇧9 | ভবিষ্যপুরাণ, খন্ড-১, প্রতিসর্গ পর্ব (৩য় অধ্যায়), শালি বশীয় নৃপতি বর্ণন (বর্ণনা), শ্লোক-১২-৩২ |
⇧10 | গ্রিক ও হিন্দুধর্ম, লেখকঃ- প্রফুল্লচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, পৃ ৭২৭ |
⇧11 | ঋগ্বেদ ৭/২১/৫ |
⇧12 | ঋগ্বেদ ১০/৯৯/৩ |