
ঋতুবতী নারীদের প্রতি বর্বরতার শুরু
হিন্দুধর্মে ঋতুবতী নারীদের অবস্থানের উপাখ্যান বেদ থেকেই শুরু করি। হিন্দু মিথোলজি অনুসারে অতীতে নিজের কাধে ইন্দ্রের পাপ তুলে নেওয়ার কারণেই নারীরা রজস্বলা হয়। কৃষ্ণ যজুর্বেদে লিখিত রয়েছে,
ঘটনার সারসংক্ষেপঃ ইন্দ্র এক ব্রাহ্মণকে হত্যা করে, তাতে সবাই তাকে ব্রহ্মহত্যাকারী ডাকতে থাকে। তাই সে কৌশল করে তার পাপের এক তৃতীয়াংশ স্ত্রীলোকদের দিয়ে দেয়। স্ত্রীলোকেরা সেটা গ্রহণকরে গর্ভের উপদ্রব বাদে বাকি সময়টা পুরুষসঙ্গ লাভের শর্তে। এখন মেয়েরা ঋতুবতী হলে সেই অবস্থায় তাদের সেই পাপ প্রকাশ পায়, সে সময় তারা তাদের শরীরে তেল দিতে পারবে না, তাদের স্পর্শ করা খাবার ইন্য কেউ খেতে পারবে না।
স্ত্রীলোকেরা রজস্বলাকালীন সে পাপের প্রকাশ পায়, সে সময় তারা তৈলাদি গ্রহণ বা শরীরের অভ্যঞ্জন প্রভৃতি করবে না, তৎস্পৃষ্ট অন্নাদি কেউ গ্রহণ করবে না। প্রসঙ্গক্রমে রজস্বলার ব্রত বলছেন — যে মলবাসযুক্ত রমণীর সম্ভাষণ করবে, সে মিথ্যা অপবাদযুক্ত, সভাতে লজ্জিত, মরণশীল ও কুষ্ঠরোগযুক্ত হয়।[1]কৃষ্ণযজুর্বেদ ২/৫/১, যজুর্বেদ সংহিতা, পৃ ৪১৭, অনুবাদঃ বিজনবিহারী গোস্বামী, প্রকাশঃ হরফ প্রকাশনী
ইংরেজি অনুবাদ,[2]THE VEDA OF THE BLACK YAJUS SCHOOL entitled TAITTIRIYA SANHITA, vol 1, page 188-189, Tr. ARTHUR BERRIEDALE KEITH, D.C.L., D.LITT.
তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে আছে,[3]তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, ৩/৭/১
রজস্বলা নারীদের স্পর্শ করা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ
ঋতুবতী নারীরা কোনো খাদ্যে স্পর্শ করলে (সেটা রান্নার সময়ই হোক না কেন) সেই খাবার খাওয়া নিষেধ। খেয়ে ফেললে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়।
অত্রিসংহিতায় আছে,
ব্রাহ্মণ, অজ্ঞানতঃ অন্ত্যজ বা রজস্বলা-স্পৃষ্ট পকান্ন ভোজন করিলে । প্রাজাপত্যার্ধ করিবে। চাণ্ডালান্ন-ভোজী চতুর্ব্বর্ণের বক্ষ্যমাণ প্রকারে শুদ্ধি, যথাঃ ব্রাহ্মণ — চান্দ্রায়ণ; ক্ষত্রিয় — সান্তপন; বৈশ্য — ষড়রাত্র ব্রত ও পঞ্চগব্য-ভোজন ; এবং শৃদ্র — ত্রিরাত্র ব্রত করিয়া যথকিঞ্চিৎ দান করিলে শুদ্ধ হইবে।[4]অত্রিসংহিতা ১৭০-১৭৩ , ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১১
যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতায়[5]যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ১/১৬৬-১৬৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১৫৩ আছে,
রজস্বলা নারীদের স্পর্শ করা পানিও খাওয়া যাবে না! – দয়ানন্দ সরস্বতী
দয়ানন্দ সরস্বতী অথঃ সংস্কারবিধি গ্রন্থে এই কথা বলেছেন,[6]অথঃ সংস্কারবিধি, গর্ভাধানপ্রকরণম্, পৃ ৩৫, অনুবাদকঃ দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী, সংস্করণ-৬, প্রকাশকঃ বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভা – কলকাতা
ঋতুবতী স্ত্রীর দেখা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ
ঋতুবতী নারী যদি কোনো খাবার দেখে, সেটাও খাওয়া যাবে না। খেয়ে ফেললে তিন রাত্র গোমূত্র ও যাবক খেয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়।
শাতাতপসংহিতায়[7]শাতাতপসংহিতা ৩/৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৮৬ এসেছে,
রজস্বলা স্ত্রী কর্তৃক দৃষ্ট (অন্ন) ভোজন করিয়া কৃমিলোদর হয়, ত্রিরাত্র গোমূত্র ও যাবক ভোজন করিয়া শুদ্ধ হইবে।
ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে একসাথে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ
আমরা জানি, হিন্দুধর্মে সাধারণভাবেই স্ত্রীর সাথে একসাথে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ। তবে ঋষি পরাশর ঋতুবতী নারীদেরও আলাদা করে উল্লেখ করেছেনঃ[8]বৃহৎ পরাশর স্মৃতি ৬/২৭০, অনুবাদঃ রামরঞ্জন কাব্যব্যাকরণতীর্থ, প্রকাশঃ শ্রীসীতারাম-বৈদিকমহাবিদ্যালয়, ৭।৩, পি, ডব্লিউ,ডি রোড, কলিকাতা–৩৫, প্রিন্টঃ ৫ই … See Full Note
ঋতুবতী নারীদের স্পর্শ করা নিষেধ (নিজের স্ত্রী হলেও)
নিজ স্ত্রীই হোক না কেন, ঋতুবতী কোনো নারীর স্পর্শও নিষিদ্ধ। সেটা হয়ে গেলে, (ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত) প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়।
বিষ্ণুসংহিতায়[9]বিষ্ণুসংহিতা ২২/৬৪-৭৩, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৬০ আছে,
অর্থাৎ, রজস্বলা নারীর শুধুমাত্র স্পর্শে গোসল করতে হবে, এরা এতোই অপবিত্র! আবার রজস্বলা নারী একজন আরেকজনকে স্পর্শ করতে পারবে না। অপর নারী হীনবর্ণের হলে (যেমনঃ শূদ্র) যতদিন মাসিক বাকি আছে ততদিনের পরিমাণ উপবাস, আর অপর নারী উত্তমবর্ণা হলে গোসল করে খেলেই হবে। তারা এতোই অপবিত্র!
যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতায়[10]যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ৩/৩০, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২০০ এসেছে,
অর্থাৎ, কুকুর কিংবা রজস্বলা নারী স্পর্শে মানুষ অপবিত্র হয়ে যায়, এবং গোসল করতে হয়।
উশনঃসংহিতায়[11]উশনঃসহিতা ৯/৫৩, ৯/৭৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৬৮-২৬৯ এসেছে,
ঋতুবতী মহিলাকে স্পর্শে অপবিত্র হওয়া ব্যক্তির জন্য তিন রাত উপোস, শুদ্ধির জন্য স্নান, প্রাজপত্য ব্রতের বিধান এসেছে!
সংবর্ত্তসংহিতায়[12]সংবর্ত্তসংহিতা – শ্লোক ১৭৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩০৮ এসেছে,
অর্থাৎ, চাণ্ডাল, পতিত, মৃতদেহ, অন্যান্য অন্ত্যজজাতি, রজস্বলা স্ত্রী এবং সূতিকা স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কাপড়সহ গোসল করে শুদ্ধ হতে হবে। এরা এমনই অশুদ্ধ!
বৌধায়ন ধর্মসূত্রও একই কথা বলে।[13]বৌধায়ন ধর্মসূত্র 1/9/5
পরাশরসংহিতায়[14]পরাশরসংহিতা ১২/৪৭-৪৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩৮৮ এসেছে,
চাণ্ডালী স্পর্শ করিলে দুই দিন, প্রসূতিজে স্পর্শ করলে চার দিন, রজস্বলাকে স্পর্শ করলে ছয় দিন এবং পতিতা নারীকে স্পর্শ করলে আটদিন অশৌচ হয়, অতএব তাহাদের নিকট যাইলেই স্বতন্ত্র স্নান করতে হবে।
অর্থাৎ, স্পর্শ হলো কি না সেটা ব্যাপার নয়, সতর্কতার জন্য গেলেই স্নান করে ফেলতে হবে!
ঋতুবতী স্ত্রীকে আলিঙ্গন নিষেধ করেছে[15]গৌতম ধর্মসূত্র – অধ্যায় ৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৫৮ গৌতমসংহিতা (গৌতম ধর্মসূত্র),
আমরা দেখতে পাচ্ছি, স্ত্রীর সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়াও নিষেধ, স্ত্রী দেহসজ্জা করলে তাকে দেখা নিষেধ!
রজস্বলা নারীকে (কিংবা স্ত্রীকে) চুমু দেওয়া নিষেধ। গরুড়পুরাণে[16]গরুড়পুরাণ, পূর্ব্বখণ্ড, অধ্যায় ১০৫, শ্লোক ৯, অষ্টাদশপুরাণম্ – প্রথম খণ্ড, পৃ ২৮৯ আছে,
স্পর্শও নিষেধ,[17]গরুড়পুরাণ, পূর্ব্বখণ্ড, অধ্যায় ২০৫, শ্লোক ১০৮, অষ্টাদশপুরাণম্ – প্রথম খণ্ড, রসিকমোহন চট্টোপাধ্যায়, পৃ ৫১৯
ঋতুবতী নারী, কুকুর এবং মুরগী – এরা ব্রাহ্মণভোজন দেখতে পারবে না
মনুসংহিতা ৩/২৩৯ এ এসেছে,[18]মনুসংহিতা ৩/২৩৯, অনুবাদঃ ভরতচন্দ্র শিরোমণি
গোসল, পায়খানা, হাসা, কাঁদা সব নিষেধ ঋতুবতী নারীদের জন্য
হিন্দু ঋতুবতী নারী যা যা করতে পারবে নাঃ
১. অঞ্জন পারবে না (চোখের প্রসাদনী – সুরমা/কাজল)
২. স্নান করতে পারবে না, জলে নামতে পারবে না।
৩. খাটে শুতে পারবে না, মাটিতে শুতে হবে।
৪. দিনের বেলায় কোনো ঘুম নেই তাদের, যদিও আমরা জানি এ সময় তারা যন্ত্রণাময় অবস্থা অতিক্রম করে।
৫. অগ্নি-স্পর্শ করবে না। মানে রান্না-বান্নার কাজেও যুক্ত হতে পারবে না।
৬. দাঁত মাজতে পারবে না।
৭. আকাশের দিকে তাকিয়ে গ্রহ-নক্ষত্র দেখতে পারবে না।
৮. মাংস খেতে পারবে না (অন্যসময় খেতে পারবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে)।
৯. হাসতে পারবে না।
১০. কোনো কাজ করবে না।
১১. দু’হাত আঁজলা করে পানি পান করতে পারবে না।
১২. কাঁসা, তামা ও লোহানির্মিত পাত্রে জলপান করতে পারবে না।
১৩. শরীরে তেল মাখতে পারবে না (অভ্যঙ্গ)।
১৪. তাদের সম্ভাষণ করা যাবে না।
১৫. শৌচকর্ম করতে পারবে না। ন্যুনতম তিনদিন যাবৎ এই কষ্ট তাদের সহ্য করতে হবে।
১৬. গান গাইতে পারবে না।
১৭. কান্না করতে পারবে না। এতগুলো অবিচার পাওয়ার পরেও!
১৮. যাতায়াত করতে পারবে না। কোনো যান ব্যবহার করতে পারবে না।
১৯. অনু-লেপন করতে পারবে না। যেমনঃ শরীরে ক্রিম লাগানো, চন্দন লাগানো।
২০. যৌনসহবাস করতে পারবে না। এই টুকু যৌক্তিক শুধু।
২১. দেবতার্চ্চন করতে পারবে না।
২২. কাউকে নমস্কার করতে পারবে ন।
২৩. অন্য রজস্বলা স্ত্রীকে সম্ভাষণ করতে পারবে না, বস্ত্রও ছুঁতে পারবে না।
বসিষ্ঠসংহিতায় (বসিষ্ঠ ধর্মসূত্র) এসেছে,[19]বসিষ্ঠ ধর্মসূত্র – অধ্যায় ৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৫০৩
লিঙ্গপুরাণে[20]লিঙ্গপুরাণ, পূর্ব্বভাগ, অধ্যায় ৮৯, শ্লোক ৯৮-১১০, অনুবাদঃ তর্কানন পঞ্চরত্ন এসেছে,
ঋতুবতী নারীদের সাথে কথা বলা নিষেধ
বিষ্ণুসংহিতায় এসেছে।[21]বিষ্ণুসংহিতা ৭১/৫৫-৫৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১০৩
রজস্বলার সহিত কথা কহিবে না।
শ্রাদ্ধের সময় ঋতুবতী নারীদের, কুকুর, শূকর ও মুরগী দেখা নিষেধ
বিষ্ণুসংহিতায় এসেছে,[22]বিষ্ণুসংহিতা ৮১/৫-১১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১১১
এক্ষেত্রে ছাগলের প্রায়োরিটি কুকুর, শূকর, মুরগী এবং ঋতুবতী স্ত্রীলোকের থেকে বেশি।
শ্রাদ্ধকালেও স্পর্শ করা নিষেধ
উষনঃসংহিতায়[23]উষনঃসংহিতা ৫/৩১-৩২, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৪৮ এসেছে,
যদিও সাধারণভাবেও স্পর্শ নিষেধ করেছে হিন্দুধর্ম!
ঋতুবতী অবিবাহিতার বিধিবিধান
ঋতু শুরু হয়ে গিয়েছে এমন অবিবাহিত মেয়েকে হরণ বৈধ, এক কথায় যা খুশি করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে আমাদের নিম্নোক্ত পোস্ট দেখুনঃ
সেই মেয়েকে কোনো ব্রাহ্মণ বিয়ে করতে পারবে না, করলে সেই ব্রাহ্মণকে সম্ভাষণ ও পংক্তিভোজন নিষিদ্ধ। দেখুন পূর্বপোস্টঃ
রজস্বলা হয়ে যাওয়ার পরেও যদি কন্যাবিদেয় না করা হয় তাহলে বাবা-মা-বড় ভাই নরকে যাবেঃ
অবিবাহিত ঋতু শুরু হওয়া কন্যা পিতৃগৃহে মারা গেলে এই পাপ কখনো শোধ হবে না (কারণ এর আগেই বিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আছে)। শঙ্খসংহিতায়[24]শঙ্খসংহিতা ১৫/৭-৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪২০ আছে,
ঋতুবতী নারীর মুখামৃতপান মদ্যপানের সমান
যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতায়[25]যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ৩/২২৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২১৬ আছে,
ঋতুবতী নারীদের পরস্পরস্পর্শ এবং কুকুরস্পর্শ
যমসংহিতায়[26]যমসংহিতা – শ্লোক ৫৫-৬৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৮১ আছে,
আপস্তম্ভসংহিতায়[27]আপস্তম্ভসংহিতা ৭/৩-২১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৯১-২৯২ এসেছে,
সংবর্ত্তসংহিতায়[28]সংবর্ত্তসংহিতা – শ্লোক ১৮১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩০৯ এসেছে,
পরাশরসংহিতায়[29]পরাশরসংহিতা ৭/১৩-১৬, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩৬৯ এসেছে,
লিখিতসংহিতায়[30]লিখিতসংহিতা – শ্লোক ৮৩-৮৪, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৩৩ আছে,
যা বোঝা গেলো, হিন্দুধর্ম ঋতুবতী নারীকে এতোই অশুচি হিসেবে দেখে যে তাদেরকে অন্য অশুচি স্পর্শ করলেও সমস্যা!
হিন্দুশাস্ত্রের আধুনিক প্রয়োগ
আমরা বিস্তারিত কিছুই বলবো না, নিজ দায়িত্বে ক্লিক করে পড়ে নেবেনঃ
Women Barge Into Temple That Prohibits Women. Priests Purify It With Cow Urine After They Leave – Indiatimes
Bhuj college students forced to remove underwear, prove they weren’t on periods – হিন্দুস্তান্তিমেস
Fact Check: হিন্দু নারীরা কি সবসময় পবিত্র?
তো একজন হিন্দু অ্যাপোলোজিস্ট আমাকে যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি ১/৭১ এর রেফারেন্স দিয়ে বললো নারীরা সবসময় পবিত্র, তাই ঋতুবতী হওয়ার সময়ও তারা পবিত্র। বাকি কিছু মানি না।
যাজ্ঞবল্ক্যস্মৃতি কী বলে?
আমি ঐ অ্যাপোলোজিস্টকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনার দেওয়া রেফারেন্সের পরের শ্লোক কী বলে?
আসুন ধরে নিই ১/৭১ অনুসারে হিন্দু নারীরা সবসময়ই পবিত্র। তাহলে…
১/৭২ অনুসারে তাকে রজোদর্শন (ঋতুবতী হওয়া)-এর মাধ্যমে শুদ্ধ হতে হবে কেন? শুদ্ধ তো হয় অশুদ্ধ কিছুই! তাই না? একদম সবসময়েই পবিত্র থাকা নারীকে কেন শুদ্ধ হতে হবে?
১/৭৩ এবং ১/৭৪ অনুসারে বিভিন্ন অপরাধের কারণে স্ত্রীকে পরিত্যাগ করতে হবে কেন? পবিত্র নারীকে পরিত্যাগ করে দ্বিতীয় বিবাহ কেন করতে হবে? হাজার অপরাধ করলেও তো নারী সদা পবিত্র?
আপনার কাছে কি খটকা লাগছে? তাছাড়া আমরা ইতোমধ্যেই যাজ্ঞবল্ক্যস্মৃতিতে ঋতুবতী নারীর অবস্থান দেখিয়ে দিয়েছি।
মূলত এই শ্লোকে বোঝানো হয়েছে অন্য কিছু, ব্যভিচারী নারীদের কম শাস্তি দেওয়া উচিৎ, কারণ তারা সাধারণভাবে পবিত্র (অপবিত্র সময়গুলো ছাড়া বাকি সবসময় পবিত্র)। আপনাদের আরও বিস্তারিত বোঝার স্বার্থে মিতাক্ষরা ভাষ্য এবং বলমভট্টের টীকা সম্বলিত যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি থেকে দেখাচ্ছি ১/৭১-৭২,[31]Yajnavalkya Smriti. With the commentary of Vijnanevara called the Mitaksara and notes from the gloss of Balambhatta. Translated by Rai Bahadur Srisa Chandra Vidyarnava, page 138 https://archive.org/details/yajnavalkyasmrit00yj/page/138/mode/1up
আশা করি, রেফারেন্সের লিংকে গিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ পড়ে নেবেন চিন্তাশীল পাঠকেরা।
ইসলামের সাথে তুলনামূলক পর্যালোচনা
আসুন ইসলাম কী বলে শুনে আসি।
স্পর্শ, দেখা, আলিঙ্গন ইত্যাদিতে কোনো নিষিদ্ধতা নেই শুধুমাত্র সরাসরি সহবাস ছাড়া। রাসূল (ﷺ) মা আয়িশা (রাদ্বি)-র কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলওয়াত করতেন।
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েযের অবস্থায় ছিলাম।[32]সহিহুল বুখারী ২৯৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=24133
হজ্জ্বে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ ছাড়া বাকি সব কাজ করতে পারবে ঋতুবতী নারীগণঃ
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা হাজ্জের উদ্দেশেই (মদিনা হতে) বের হলাম। ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার হায়য আসলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং বললেনঃ কী হলো তোমার? তোমার হায়য এসেছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এ তো আল্লাহ্ তা‘আলাই আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি বাইতুল্লাহর ত্বওয়াফ ছাড়া হাজ্জের বাকী সব কাজ করে যাও। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে গাভী কুরবানী করলেন। [33]সহিহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, … See Full Note
আয়িশা (রাদ্বিঃ) ঋতু অবস্থায়ও রাসূল (ﷺ) এর চুল আঁচড়ে দিতেন,
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি হায়েয অবস্থায় আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম।[34]সহিহুল বুখারী ২৯৫
একসাথে ঘুমাতেও অসুবিধা নেই,
উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার হায়েয দেখা দিলে আমি চুপি চুপি বেরিয়ে গিয়ে হায়েযের কাপড় পরে নিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার কি নিফাস দেখা দিয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর সঙ্গে চাদরের ভেতর শুয়ে পড়লাম।[35]সহিহুল বুখারী ২৯৮, ৩২২, ৩২৩, ১৯২৯; মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬, আহমাদ ২৬৫৮৭
ঋতুবতী স্ত্রীকে চুম্বন-আলিঙ্গনে সমস্যা নেই,
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ হায়েয অবস্থায় থাকলে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়েযে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন। তিনি [‘আয়িশা রাযিআল্লাহু আনহা] বলেনঃ তোমাদের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে? খালিদ ও জারীর (রহঃ) শায়বানী (রহঃ) হতে এ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[36]সহিহুল বুখারী ৩০২, ৩০০; মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩
ঋতুবতী নারীরা ঈদগাহেও যেতে পারবে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ১৩/ দুই’ঈদ (كتاب العيدين)
হাদিস নম্বরঃ ৯৭৪
১৩/১৫. নারীদের ও ঋতুমতীদের ‘ঈদগাহে যাওয়া।
৯৭৪. উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন (‘ঈদের সালাতের উদ্দেশে) যুবতী ও পর্দানশীন মেয়েদের নিয়ে যাবার জন্য আমাদের নির্দেশ দেয়া হতো। আইয়ূব (রহ.) হতে হাফসাহ (রাযি.) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে এবং হাফসাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত বর্ণনা আছে, ‘ঈদগাহে ঋতুমতী নারীরা আলাদা থাকতেন। [37]সহিহুল বুখারী ৯৭৪, ৩২৪ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=24813
ঋতুকাল নারীদের জন্য প্রাকৃতিক, স্রষ্টাপ্রদত্ত। কিন্তু উপরে আলোচিত দুটি ধর্ম দিয়েছে দুই-মেরুর বিধান। ভাবুন আপনিও।
Footnotes
⇧1 | কৃষ্ণযজুর্বেদ ২/৫/১, যজুর্বেদ সংহিতা, পৃ ৪১৭, অনুবাদঃ বিজনবিহারী গোস্বামী, প্রকাশঃ হরফ প্রকাশনী |
---|---|
⇧2 | THE VEDA OF THE BLACK YAJUS SCHOOL entitled TAITTIRIYA SANHITA, vol 1, page 188-189, Tr. ARTHUR BERRIEDALE KEITH, D.C.L., D.LITT. |
⇧3 | তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণ, ৩/৭/১ |
⇧4 | অত্রিসংহিতা ১৭০-১৭৩ , ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১১ |
⇧5 | যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ১/১৬৬-১৬৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১৫৩ |
⇧6 | অথঃ সংস্কারবিধি, গর্ভাধানপ্রকরণম্, পৃ ৩৫, অনুবাদকঃ দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী, সংস্করণ-৬, প্রকাশকঃ বঙ্গীয় আর্য প্রতিনিধি সভা – কলকাতা |
⇧7 | শাতাতপসংহিতা ৩/৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৮৬ |
⇧8 | বৃহৎ পরাশর স্মৃতি ৬/২৭০, অনুবাদঃ রামরঞ্জন কাব্যব্যাকরণতীর্থ, প্রকাশঃ শ্রীসীতারাম-বৈদিকমহাবিদ্যালয়, ৭।৩, পি, ডব্লিউ,ডি রোড, কলিকাতা–৩৫, প্রিন্টঃ ৫ই বৈশাখ ১৩৭০ |
⇧9 | বিষ্ণুসংহিতা ২২/৬৪-৭৩, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৬০ |
⇧10 | যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ৩/৩০, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২০০ |
⇧11 | উশনঃসহিতা ৯/৫৩, ৯/৭৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৬৮-২৬৯ |
⇧12 | সংবর্ত্তসংহিতা – শ্লোক ১৭৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩০৮ |
⇧13 | বৌধায়ন ধর্মসূত্র 1/9/5 |
⇧14 | পরাশরসংহিতা ১২/৪৭-৪৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩৮৮ |
⇧15 | গৌতম ধর্মসূত্র – অধ্যায় ৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৫৮ |
⇧16 | গরুড়পুরাণ, পূর্ব্বখণ্ড, অধ্যায় ১০৫, শ্লোক ৯, অষ্টাদশপুরাণম্ – প্রথম খণ্ড, পৃ ২৮৯ |
⇧17 | গরুড়পুরাণ, পূর্ব্বখণ্ড, অধ্যায় ২০৫, শ্লোক ১০৮, অষ্টাদশপুরাণম্ – প্রথম খণ্ড, রসিকমোহন চট্টোপাধ্যায়, পৃ ৫১৯ |
⇧18 | মনুসংহিতা ৩/২৩৯, অনুবাদঃ ভরতচন্দ্র শিরোমণি |
⇧19 | বসিষ্ঠ ধর্মসূত্র – অধ্যায় ৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৫০৩ |
⇧20 | লিঙ্গপুরাণ, পূর্ব্বভাগ, অধ্যায় ৮৯, শ্লোক ৯৮-১১০, অনুবাদঃ তর্কানন পঞ্চরত্ন |
⇧21 | বিষ্ণুসংহিতা ৭১/৫৫-৫৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১০৩ |
⇧22 | বিষ্ণুসংহিতা ৮১/৫-১১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ১১১ |
⇧23 | উষনঃসংহিতা ৫/৩১-৩২, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৪৮ |
⇧24 | শঙ্খসংহিতা ১৫/৭-৮, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪২০ |
⇧25 | যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ৩/২২৯, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২১৬ |
⇧26 | যমসংহিতা – শ্লোক ৫৫-৬৫, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৮১ |
⇧27 | আপস্তম্ভসংহিতা ৭/৩-২১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ২৯১-২৯২ |
⇧28 | সংবর্ত্তসংহিতা – শ্লোক ১৮১, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩০৯ |
⇧29 | পরাশরসংহিতা ৭/১৩-১৬, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৩৬৯ |
⇧30 | লিখিতসংহিতা – শ্লোক ৮৩-৮৪, ঊনবিংশতি সংহিতা, সংস্করণ – ২, অনুবাদঃ পঞ্চানন তর্করত্ন, প্রকাশঃ The Asiatic Society (Calcutta), পৃ ৪৩৩ |
⇧31 | Yajnavalkya Smriti. With the commentary of Vijnanevara called the Mitaksara and notes from the gloss of Balambhatta. Translated by Rai Bahadur Srisa Chandra Vidyarnava, page 138 https://archive.org/details/yajnavalkyasmrit00yj/page/138/mode/1up |
⇧32 | সহিহুল বুখারী ২৯৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=24133 |
⇧33 | সহিহুল বুখারী ২৯৪, ৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০১, ৪৪০৮, ৫৩২৯, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৬১৫৭,৭২২৯; মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১ |
⇧34 | সহিহুল বুখারী ২৯৫ |
⇧35 | সহিহুল বুখারী ২৯৮, ৩২২, ৩২৩, ১৯২৯; মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬, আহমাদ ২৬৫৮৭ |
⇧36 | সহিহুল বুখারী ৩০২, ৩০০; মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩ |
⇧37 | সহিহুল বুখারী ৯৭৪, ৩২৪ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=24813 |
জোস হয়েছে
জাজাকাল্লাহ খাইর