চার হাজার ধর্মের মাঝে কোন ধর্মটি সঠিক? – একটি অযৌক্তিক “যুক্তি”
নাস্তিকদের একটি বহুল প্রচলিত প্রশ্ন হলোঃ
“পৃথিবীতে চার হাজার ধর্ম, আমি কোনটা নিবো? একটা ধর্মের সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা চার হাজার ভাগের একভাগ।”
সম্ভাবনার আধিক্য কি সত্য না থাকা প্রমাণ করে?
সবাই একে অন্যকে ভুল ও নিজেদেরকে সত্য বলে, তাই সব ধর্মই ভুয়া?
এখানে ধরে নেয়া হয়েছে যেহেতু সবাই নিজেকে সঠিক এবং অন্যকে ভুল বলে সেহেতু সকলেই ভুল। এটি False dichotomy-ভ্রান্ত দ্বি-বিভাজন লজিকাল ফ্যালাসি। এই ধরনের দাবিতে যেটা হয় মানুষ সব ধরনের অপশন বিবেচনা করে না। একটা না হলেই আরেকটা হবে এমন কিছু একটা ধরে নিয়ে যুক্তি দেয়। সবাই নিজেকে সঠিক আর অন্যকে ভুল দাবি করলেই সবাই মিথ্যা হয়ে যায় না তেমনি সত্যও হয়ে যায় না। এখানে প্রয়োজন সব ধর্মকে যাচাই বাছাই করা এমনকি নাস্তিক্য ধর্মকেও। [লেখক এমডি আলীর লিখা হতে নেওয়া]
সব ধর্মই কি একই দাঁড়িপাল্লায় মাপা যায়?
প্রশ্নকারী নাস্তিকদের মতে সব ধর্মই একরকম। তাই সবার ক্ষেত্রেই সম্ভাবনা একরকম। কিন্তু বাস্তবে কি তাই?
ধরুন আপনার সামনে তিনটা গোয়ালঘর, তিনটা চায়ের কাপ। এখন একটি গোরু এগুলোর যেকোনোটির মধ্যে যাওয়ার চান্স কতটুকু?
একটা ছোট উদাহরণ দিয়ে আরেকটু সহজে বুঝানোর চেষ্টা করি,
বিজ্ঞানে এই পর্যন্ত আনুমানিক ২০ থেকে ২৫টা বা তারচেয়েও বেশি পরমাণুর মডেল প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে খুব পরিচিত ও বিখ্যাত কয়েকটি হল, [1]Foundations of Chemistry – https://www.springer.com/journal/10698 Annals of Science – https://www.tandfonline.com/toc/tasc20/current Archive for History of Exact Sciences – https://www.springer.com/journal/40598 Studies in History and Philosophy of Science Part A – https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0039368121000558 Philosophy of Science – … See Full Note –
- The Dalton Model (1803)
- The Thomson Model (1897)
- The Rutherford Model (1911)
- The Bohr Model (1913)
- The Sommerfeld Model (1916)
- The Heisenberg Uncertainty Model (1927)
- The Schrödinger Model (1926)
- The Quantum Field Model (1927) [ETC]
সেই ১৮ শতক থেকে পরমাণুর মডেল নিয়ে অনেকে বিভিন্ন মডেল উপস্থাপন করেছেন, কিন্তু সবারটা গ্রহণযোগ্য নয় বিধায় সেগুলো শতভাগ বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয় নি। এই পর্যন্ত যতগুলো মডেল উপস্থাপিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোর মধ্যে কিছু সঠিক ও গ্রহণযোগ্য বিষয় ছিল কিন্তু তেমনই সীমাবদ্ধতা বা ভুলও ছিল। তাই সেগুলোকে একচেটিয়া গ্রহণ করা হয়নি। এই থেকে আমরা কী বুঝলাম! এতগুলো মডেল থাকা সত্ত্বেও সবগুলো মডেল গ্রহণযোগ্য নয়, আবার সবগুলোই ভুল, বাতিল বা কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয় এমন কিন্তু না।
বর্তমানে একটা পরমাণুর মডেল রয়েছে যেটা সর্বস্বীকৃত, সেই পরমাণুর মডেলে অন্যান্য পরমাণুর মডেলে সমূহের গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত বা মতগুলো রয়েছে। ‘Quantum Mechanical Model of Atom’ ব্যাপকভাবে গৃহীত এবং পরমাণুর আচরণ ব্যাখ্যা করতে ব্যবহৃত হয়।[2]Physical Review Letters: https://journals.aps.org/prl/ ;
Journal of Chemical Physics: https://aip.scitation.org/journal/jcp এই মডেলটাতে অন্য মডেলে যে ত্রুটিগুলো রয়েছে সেগুলো নেই, অন্য মডেলের যে সীমাবদ্ধতাগুলো রয়েছে সেগুলো নেই, কিন্তু অন্য মডেলের যে গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলো ছিল সেগুলো এই মডেলে রয়েছে, এবং অন্যগুলোর তুলনা এটা আরো অনেক উন্নত ও গ্রহণযোগ্য মডেল।
এটা আমি শুধু একটা উপমা পেশ করেছি, ধর্মের সাথে পরমাণুর মডেলের অ্যাকযেক্টলি তুলনা করিনি। আমি বুঝাতে চাচ্ছি পরমাণুর মডেলের ক্ষেত্রে যেমন এতগুলো মডেল থাকা সত্ত্বেও সবগুলো গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য একটাও নেই এমন কিন্তু না, বরং আপাতত এগুলোর মধ্যে একটা রয়েছে যেটা শতভাগ বা কাছাকাছি গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞানতো পরিবর্তনশীল, কিন্তু শতভাগ হক ও গ্রহণযোগ্য ধর্ম কিন্তু পরিবর্তনশীল না, কারণ সেটা স্রষ্টা হতে ফাইনাল হিসেবে আগত। তাই আপনাকে সেটা খুঁজে বের করতে হবে, না খুঁজে এটা বলা চরম মূর্খতা হবে যে, এতগুলো ধর্ম তাহলে কোনোটাই সঠিক না বা সবগুলোই সঠিক বা সত্য ধর্ম পাওয়া সম্ভব না।
- তালিকা থেকে সবার আগেই বাদ যাবে সৃষ্টির উপাসনা করা ধর্মগুলো (you know who), অর্থাৎ প্যান্থেইস্ট ধর্ম।
- বৌদ্ধ দর্শনও বাদ যাবে, কারণ এটার সাথে নাস্তিক্যের তেমন একটা পার্থক্য নেই। (নাস্তিক্য ধর্মসমূহ বাদ যাবে)
- তারপর বাদ যাবে একাধিক ঈশ্বর দাবি করা ধর্মগুলো (যেমনঃ ট্রিনিটি, তেত্রিশ কোটি…), কারণ তাতে সকলেই ধ্বংস হয়ে যেতো প্রাধান্য বিস্তারে। (এছাড়া প্রায় মেজরিটি ধর্মের গ্রন্থগুলোতে এক ঈশ্বর থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়)
- শেষে একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোই থাকবে।
- দলিলের তুলনামূলক বিশুদ্ধতায় তারপর লিস্টে থাকবে আব্রাহামিক ধর্মগুলো।
- তারপর মাত্র কয়েকটা থেকে আপনার সঠিকটা খুঁজে পেতে তেমন বেগ পেতে হবে না।
- কোনটার দলিল কী, ইতিহাসে প্রভাব কেমন ইত্যাদি শেখার পর শেষমেষ একটা অবস্থানেই দাঁড়াতে হবে…
Footnotes
⇧1 | Foundations of Chemistry – https://www.springer.com/journal/10698 Annals of Science – https://www.tandfonline.com/toc/tasc20/current Archive for History of Exact Sciences – https://www.springer.com/journal/40598 Studies in History and Philosophy of Science Part A – https://www.sciencedirect.com/science/article/abs/pii/S0039368121000558 Philosophy of Science – https://www.journals.uchicago.edu/toc/phos/current |
---|---|
⇧2 | Physical Review Letters: https://journals.aps.org/prl/ ; Journal of Chemical Physics: https://aip.scitation.org/journal/jcp |
ভাই আপনার কি অতিরিক্ত জ্ঞানের ফলে মস্তিস্ক বিকৃত হয়েছে নাকি? আবোল তাবোল বকার একটা সীমা থাকা দরকার। ভাবলাম খুব সুন্দর যুক্তিমুলক স্মালোচনা মনে হয় দেখতে পারব। পড়ে দেখলাম, মাথা থেকে যা বের হলো তা হল- ইয়ে তো টাট্টি হেয়!!!!!। অযথা সময় টা নষ্ট করলি বেটা।
পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝে যাওয়ার কথা যে কী সম্পর্কে বলা হবে এখানে। একটি অযৌক্তিক ‘প্রশ্নের’ পোস্টমর্টেম ছাড়া কিছুই না।
কোন কথাটা আবল-তাবোল বলেন দেখি।
tomaar bujaar understanding tik nai, aaar setaar daybaar onner opor dile ki hve?? keno kotha hozom krte paro na??
etaa jodi athiest n ex-muslim raa jodi bujtho.
ইয়ে তো টাট্টি হেয়!!!!!!!!!!!!!!
highly influenced by India, otherwise, u wouldn’t use these statements. Apnara nastic raa confidence naa, apnara holen, overconfidence. eta tei sob somossha. einstein, ki bolece bule gecen ??
bujeo na bujaar baan krle, ki reality change hoi jaabe?? average question er average answer