খ্রিস্টধর্ম

সব নবীই স্রষ্টার পথ ও সত্য – কুরআন এবং বাইবেল

সব নবীই এক দ্বীনের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন

সব নবী ঈশ্বরের পথ ও সত্য:-

খ্রিস্টানরা নবী (ﷺ) সহ বাকি সব নবীকে পাপী এবং পথভ্রষ্ট দাবি করে, শুধুমাত্র তাদের নবী যিশু (ঈসা আঃ) কে সত্যের পথ দাবি করে।আসুন বাইবেল থেকেই তাদের মুর্খতার জবাব দেখিঃ

নবী ইয়াহিয়া (যোহন) ঈশ্বরের পথ

ঈসা ইহুদি আলেমদের বললেন, “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, খাজনা-আদায়কারীরা এবং বেশ্যারা আপনাদের আগে আল্লাহ্‌র রাজ্যে ঢুকছে, কারণ ইয়াহিয়া আল্লাহ্‌র ইচ্ছামত চলবার পথ দেখাবার জন্য আপনাদের কাছে এসেছিলেন, আর আপনারা তাঁর কথায় ঈমান আনেন নি। কিন্তু খাজনা-আদায়কারীরা এবং বেশ্যারা তাঁর কথায় ঈমান এনেছিল। এ দেখেও আপনারা তওবা করে তাঁর কথায় ঈমান আনেন নি।[1]বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)মথি ২১:৩১-৩২


অন্যান্য নবীরাও ঈশ্বরের পথ

অন্যান্য নবীরাও স্রষ্টার পথ, অনুসরন না করলে ইহুদিরা যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষবে

ঈসা বলেন-
“যখন আপনারা দেখবেন, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব ও নবীরা সবাই আল্লাহ্‌র রাজ্যের মধ্যে আছেন এবং আপনাদের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তখন আপনারা কান্নাকাটি করবেন ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবেন। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ থেকে লোকেরা এসে আল্লাহ্‌র রাজ্যে খেতে বসবে। যারা এখন শেষে আছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্র্রথম হবে, আর যারা এখন প্রথমে আছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ শেষে পড়বে।”[2]বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
লূক ১৩:২৮-৩০

আরও উল্লেখ আছে,

আমি আপনাদের বলছি যে, পূর্ব ও পশ্চিম থেকে অনেকে আসবে এবং ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের সংগে বেহেশতী রাজ্যে খেতে বসবে। কিন্তু যাদের বেহেশতী রাজ্যে থাকবার কথা তাদের বাইরের অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হবে। সেখানে লোকেরা কান্নাকাটি করবে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত ঘষতে থাকবে।[3]বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
মথি ৮:১১-১২

সদাপ্রভু আল্লাহ বলেন-তেমনি ইয়াকুব ও আমার গোলাম দাউদের বংশধরদের জন্য আমার ব্যবস্থা ঠিক থাকবে এবং ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের বংশধরদের উপর রাজত্ব করবার জন্য আমি দাউদের বংশধরদের অগ্রাহ্য করব না। আমি নিশ্চয়ই তাদের অবস্থা ফিরাব ও তাদের উপর মমতা করব।[4]বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
ইয়ারমিয়া ৩৩:২৬


কুরআনের বক্তব্য

ঠিক একই ভাবে কুরআনেও নবী (ﷺ) কে বলা হয়েছেঃ

আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন, তাতে তাঁর কোন বাধা নেই পূর্ববর্তী নবীগণের ক্ষেত্রে এটাই ছিল আল্লাহর চিরাচরিত বিধান। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।[5]সূরাঃ আল আহযাব, আয়াতঃ ৩৮

আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে এবাদতের একটি নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, যা তারা পালন করে। অতএব তারা যেন এ ব্যাপারে আপনার সাথে বিতর্ক না করে। আপনি তাদেরকে পালনকর্তার দিকে আহবান করুন। নিশ্চয় আপনি সরল পথেই আছেন।[6]সূরাঃ হাজ্জ্ব, আয়াতঃ ৬৭

এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না।[7]সূরাঃ আল জাসিয়া, আয়াতঃ ১৮

আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো।[8]সূরাঃ আল আ’লা, আয়াতঃ ৮


جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا

Read More…
ইসলামের সালাত বাইবেলে - দলিলসমূহ

Footnotes

Footnotes
1 বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)মথি ২১:৩১-৩২
2 বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
লূক ১৩:২৮-৩০
3 বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
মথি ৮:১১-১২
4 বাইবেল(কিতাবুল মোকদ্দস ভার্সন)
ইয়ারমিয়া ৩৩:২৬
5 সূরাঃ আল আহযাব, আয়াতঃ ৩৮
6 সূরাঃ হাজ্জ্ব, আয়াতঃ ৬৭
7 সূরাঃ আল জাসিয়া, আয়াতঃ ১৮
8 সূরাঃ আল আ’লা, আয়াতঃ ৮
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Back to top button
FromMuslims We would like to show you notifications for the latest updates.
Dismiss
Allow Notifications