মদিনা সনদ কি বাস্তবে হয়েছিলো?
ভূমিকা
প্রচলিতভাবে আমাদেরকে শেখানো হয় “মদিনা সনদ” হচ্ছে ইসলামের প্রথম সংবিধান, যা রাসূল (সাঃ) মদিনায় হিজরত করার পর তিনি ইহুদীদের সাথে মিলে করেছিলেন। যেমন দেখুন বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের নবম-দশম শ্রেণির ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বইয়ে কী শেখানো হচ্ছেঃ[1]ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, নবম দশম শ্রেণি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, মুদ্রণ ২০২২, শিক্ষাবর্ষ ২০২৩, পৃষ্ঠা ১৭৯
এখানে লেখক কয়েকটি দাবি করেছেন,
- মদিনা সনদ ইসলামী রাষ্ট্রের সংবিধান।
- এটি মানব ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধান।
- এই সনদ মুসলিম ও ইহুদিদের সকল গোত্রের সাথে আলোচনা করে তৈরি।
রাসূল (সাঃ) এর আগেও আমরা লিখিত সংবিধান যেমন তাওরাত পেয়েছিলাম, যার কারণে তর্কের খাতিরেও এটি মানব ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধান থাকে না। এখানে আরো বলা হয়েছে এই মদিনা সনদের নাকি ৪৭টি ধারা ছিলো। বর্তমান সময়ে এরকম বহু বই পুস্তকেই পাওয়া যায় যে মদিনা সনদ নাকি ইসলামের প্রথম সংবিধান। কিন্তু মদিনা সনদ বলে এই লেখকগণ যেগুলোকে ইসলামি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক আইন হিসেবে উপস্থাপন করছেন আসলেই তা প্রমাণিত আছে কি না?
মদিনা সনদের বাস্তবতা
“মদিনা সনদ” কি সহিহ সূত্রে প্রমাণিত?
বাস্তবতা হলো মদিনা সনদ কোনো সহিহ সনদে প্রমাণিতই নয়। এর যতগুলো সনদ রয়েছে তার সবগুলোই যয়ীফ। সহিহ সনদে এর কোনো ভিত্তি নেই। আরবের বহু আলেম এই মদিনা সনদের খণ্ডন করেছেন। অনেকে তো এটাকে জাল পর্যন্ত বলেছে। পরবর্তীতে সিরাতের গবেষক ড. আকরাম জিয়া উমারি এই বিষয়ে বিস্তর তাহকিক করার পর সিন্ধান্ত দেন,
وبذلك يتبين أن الحكم بوضع الوثيقة مجازفة، ولكن الوثيقة لا ترقى بمجموعها إلى مرتبة الأحاديث الصحيحة،
মদিনার সনদকে জাল একটি ধারণপ্রসুত বক্তব্য, তবে মদিনা সনদের সবগুলো সনদ একসাথে করলেও সহিহ হাদিসের স্তরে পৌঁছাবে না।[2]আসসিরাতুন নাবাবিয়্যাহ আসসহিহাহ ১/২৭৫ https://shamela.ws/book/122396/267
এছাড়া ড. মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ আল আউশিন/উশান তার কিতাব “মাশাআ ওলাম ইয়াসবুত ফিস সিরাতিন নাবাবিয়্যাহ” ও ড. দ্বীদান আলইয়ামি “বায়ানুল হাকিকত ফিল হুকমি আলাল ওয়াসিকত” কিতাবে এই সক্রান্ত বেশ তথ্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন। এছাড়া মদিনা সনদের সনদগুলোর দূর্বলতা নিয়ে আলবানী রহঃ তাঁর কিতাব “দিফা আনিল হাদিসিন নাবাবিয়্যাহ ওয়াসসিরাহ” – এ আলোচনা করেছেন।
স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন আসে, যয়ীফ হাদিস হলে কী সমস্যা, বিভিন্ন সনদ শক্তিশালী হলে বিধান নিতে সমস্যা কী? এর উত্তরে ড. আকরাম জিয়া উমারির বক্তব্য উল্লেখকেই যথেষ্ঠ মনে করছি। তিনি লেখেন,
وإذا كانت الوثيقة بمجموعها لا تصلح للإحتجاج بها في أحكام الشريعة سوى ما ورد منها في كتب الحديث الصحيحة – فإنها تصلح أساساً للدراسة التاريخية التي لا تتطلب درجة الصحة التي تقتضيها الأحكام الشرعية خاصة أن الوثيقة وردت من طرق عديدة تتضافر في إكسابها القوة
“এক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের কিতাব সমূহে বর্ণিত চুক্তিসমূহ ছাড়া সমগ্র মদিনা সনদটি শরীয়তের কোন বিধান সাব্যস্ত করার জন্য দলীল হওয়ার উপযুক্ততা রাখে না, তবে ইতিহাস পাঠের একটি মৌলিক ভিত্তি হওয়ার জন্য যে পরিমাণ যোগ্যতা ও উপযুক্ততা দরকার তা তার মাঝে রয়েছে। অর্থাৎ যে পরিমাণ সিহহাত তথা উপযুক্ততা ইতিহাস প্রমাণের জন্য যথেষ্ট কিন্তু শরীয়তের বিধি-বিধান সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট নয় (সেটা তার মাঝে বিদ্যমান)। বিশেষ করে এই চুক্তিনামাটি অনেকগুলো সনদে বর্ণিত হওয়ার কারণে তার মাঝে (ইতিহাস প্রমাণিত হওয়ার) কুওয়াত তথা শক্তিশালী।’’[3]আসসিরাতুন নাবাবিয়্যাহ আসসহিহাহ ১/২৭৫ https://shamela.ws/book/122396/267
মদিনা সনদ কি ইসলামের সংবিধান?
মদিনা সনদের সর্বোচ্চ পর্যায়টি বড়জোর বর্ণিত ইতিহাসের একটা অংশ মাত্র! সে হিসেবে উল্লেখ হতে পারে, কোনো বিধান, সংবিধান তো কস্মিনকালেও না! অথচ অনেকে একে সংবিধান দাবি করে! সংবিধান হয় একটা সর্বোচ্চ বিধান যেখান থেকে শতশত বিধান ইসতিনবাত[4]বিধান উদ্ভাবন হয়! সাধারণ বিধানের জন্যই যেখানে শক্তিশালী দলিলের প্রয়োজন! সেখানে সংবিধানের জন্য কেমন দরকার!
এই অপ্রমাণিত থাকার কারণেই আজ পর্যন্ত আমাদের কোনো ফিকহের কিতাবে এই মদিনা সনদের কোনো আলোচনা নাই। সিয়াসাত[5]سياسة – রাজনীতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয় নিয়ে লেখা বর্তমান এই পশ্চিমা সভ্যতা মুসলিম বিশ্বের উপর দখল প্রতিষ্ঠার আগে কোনো ফকিহ এটার উল্লেখ তাদের কিতাবে করেননি। তাই এই কথা বলার সুযোগ নেই, মদিনার সনদ ‘মুতালাক্কা বিল কবুল’[6]অর্থঃ সর্বজনসমাদৃত!
মাওয়ারদি, আবু ইয়ালা, ইমাম জুয়াইনিসহ অনেকেই সিয়াসাতের কিতাব লিখেছেন, কেউই এই মদিনা সনদের উল্লেখ করে নি।
ইহুদি ও মুসলিমদের সাথে একই চুক্তি?
দাবি করা হয় যে, মদিনার সনদের মাধ্যমে, যে রাসূল সাঃ অমুলিমদের সাথে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ আলোচনা করে ইসলামি রাষ্ট্র গড়ে তুলেছেন বা, আনসার ও মুহাজির এবং মুশরিক ও ইহুদিদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ঐক্য গড়ে তোলেন।
অথচ সিরাতে এটাও প্রমাণিত নয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদি, মুশরিক আর মুসলমানদের সাথে একসাথে বসে চুক্তি করেছেন। বরং যতটুকু দূর্বল সনদেও পাওয়া যায় সেখানে মুসলিমদের সাথে আলাদা স্বতন্ত্র চুক্তি হয়েছে, এবং ইহুদিদের সাথে আলাদা চুক্তি হয়েছে। আকরাম জিয়া উমারির তাহকিকটিই দেখুন,
الراجح أن الوثيقة في الأصل وثيقتان ثم جمع المؤرخون بينهما، إحداهما تتناول موادعة الرسول صلى الله عليه وسلم لليهود والثانية توضح إلتزامات المسلمين من مهاجرين وأنصار وحقوقهم وواجباتهم.
ويترجح عندي أن وثيقة مواعدة اليهود كتبت قبل موقعة بدر الكبرى أما الوثيقة بين المهاجرين والأنصار فكتبت بعد بدر»
গ্রহণযোগ্য বক্তব্য হলো, এখানে মূলত দুটি চুক্তি ছিলো। অতঃপর, ঐতিহাসিকগণ উভয়টিকে একত্র করে ফেলেছেন। একটি চুক্তি ছিলো ইয়াহুদীদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্ধিচুক্তি। আর দ্বিতীয় চুক্তিটি ছিল মুহাজির ও আনসার মুসলিমদের অঙ্গিকার, অধিকার ও দায়িত্বসমূহের বর্ণনা সংক্রান্ত। আমার নিকটে প্রাধান্যযোগ্য বক্তব্য হলো, ইয়াহুদীদের সাথে সন্ধিচুক্তি লিখিত হয়েছিলো বদর যুদ্ধের পূর্বে আর মুহাজির ও আনসারদের মাঝে চুক্তিনামা বদরের পরে লিখিত হয়েছিলো।[7]আসসিরাতুন নাবাবিয়্যাহ আসসহিহাহ ১/২৭৫ https://shamela.ws/book/122396/267
এরপর যদি আমরা ধরেও নেই মদিনা সনদের একটা হাইসিয়াত আছে, তাহলেও তো এটা সংবিধান হওয়ার মত কোনো যোগ্যতাই রাখে না। বরং অমুসলিমদের সাথে সংশ্লিষ্ট কতবিধান রহিত হয়ে গেছে! জিযিয়ার বিধান এসেছে পরে, জাযিরাতুল আরব থেকে সকল অমুসলিমদের বের করে দেওয়ার বিধান, ইত্যাদি আরো বিষয় রয়েছে!
বাস্তবতা হলো, এই মদিনা সনদের আলোচনা প্রথম উঠে এসেছে মুসলিমদের মাঝে পশ্চিমারা যখন মুসলিম বিশ্বে আগ্রাসন চালায় এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মুসলিমদের ঈমানকে নষ্ট করতে থাকে, প্রচার করে ইসলামে কোনো রাষ্ট্রনীতি নাই, ইসলাম উগ্র ধর্ম ইত্যাদি। তখন পিছে না ভেবে কেউ এটার আলোচনা উঠায় যে ইসলামও তো সেক্যুলারদের মত অমুসলিমদের সমন্বয়ে গঠিত একটিও রাষ্ট্র! অথচ আমাদের সিরাতের কিতাবে এটাকে সর্বোচ্চ একটি চুক্তির পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে, কোনোকালেই এটাকে সংবিধান হিসেবে কেউ দেখিনি, ও আলোচনাও করেনি। আমাদের জানামতে ড. হামিদুল্লাহ রহ. এই চুক্তিকে সর্বপ্রথম মদিনার সনদ নাম দিয়ে প্রসিদ্ধ করায় মুসলমানদের মাঝে! আমাদের ছোট্ট অনুসন্ধান মতে ড. হামিদুল্লাহের আগে কোনো মুসলিমের পক্ষ থেকে এটাকে সংবিধান হিসেবে উল্লেখ করেছে এমন হাওয়ালা নেই!
মূল লেখাঃ আব্দুল্লাহ বিন বশির
সম্পাদনাঃ তাহসিন আরাফাত
ইসলাম এসেছে সমগ্র মানবজাতির অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য।
অমুসলিমদের সঙ্গে সহাবস্থান: যে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে অমুসলিমরাও বসবাস করে, যে মুসলিম রাষ্ট্র মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং সবার অধিকার নিশ্চিত করে— সেই রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিককে কুরআন-সুন্নাহর ভাষায় যিম্মী, মুসতামান-সহ বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়। এই ধরনের অমুসলিমদের ব্যপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে বলেছেদীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাস- সূরা মুমতাহিনা, আয়াত ৮
অমুসলিমদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করা বৈ ইসলাম কখনোই কোনো অমুসলিমের অধিকার হরণ করার কথা বলে না। বরং মুসলমান অমুসলিমের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে এবং তার থেকে বৈধ, হালাল খাবারও গ্রহণ করতে পারবে। রাসূল (সা.) নিজে অমুসলিমদের ঘরে খাবার খেয়েছেন এবং অমুসলিমকে তিনি নিজে খাইয়েছেন। হাদীসে বর্ণিত আআনাস ইবনু মালিক (রা.) হতে বর্ণিত, এক ইহুদি মহিলা নবী (সা.)-এর কাছে বিষ মিশ্রিত বকরী নিয়ে এলো। সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি খেয়েছে -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৭৪
অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক কাজকর্ম করা যাবে: অনেক সাহাবা কিরাম অমুসলিমের অধীনে কাজ করেছেন এবং অমুসলিমকে দিয়ে নিজেদের কাজ করিয়েছেন। আলী (রা.) কূপ থেকে প্রতি বালতি পানি উত্তোলনের বিনিময়ে একটি করে খেজুর দেবে, এই শর্ত ইহুদির কাজ করেছ -সুনান তিরমিযী, হাদীস ২৪৭৩
রাসূল (সা.) এক ইহুদির কাছে বর্ম বন্ধক দিয়ে কিছু ঋণ এনেছিলেন।[ সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৮৬] আম্মাজান আয়েশা, আলী, ও উমর (রা.) প্রমুখ অমুসলিম প্রতিবেশীর বাসায় খাবার আদান-প্রদান করতে[ সুনান আবু দাঊদ, হাদীস ৫১৫২]বোঝা গেল, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক কাজকর্ম করা যাবে।
https://ahmadullah.info/blog/article/2509/%E0%A6%85%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE
হ্যাঁ, কিন্তু উক্ত পোস্টে শুধু এটিই বুঝিয়েছে যে, মদিনার সনদ বাস্তবে হয় নি।
“জাযিরাতুল আরব থেকে সকল অমুসলিমদের বের করে দেওয়ার বিধান” কি রহিত নাকি রহিত নয়? সকল অমুসলিমদের বের করে দেওয়া যাবে?
না রহিত নয়। জাযিরাতুল আরবে [সৌদি আরব, ইয়েমেন সহ সকল উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য] কোনো কাফেরকে আনা যাবে নাঃ
https://islamqa.info/ar/answers/104806/
https://www.islamweb.net/ar/fatwa/108689/
https://cutt.ly/6wOGwSW8
ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমদের উপাসনালয় নির্মাণ নিষিদ্ধ
https://cutt.ly/HeQV4mYN
https://www.islamweb.net/ar/fatwa/181179/
কিছুই বুঝতেছি না। একবার বলা হয়, কাফেরদের জিম্মি হিসেবে মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাস করার অধিকার দেওয়া হবে। এখানে এসে শুনি, আরব উপদ্বীপে কাফেরদের আনা যাবে না। ব্যাপারটা আসলে কি একটু খুলে বলুন তো।
১। কাফেরদেরকে জিম্মি হিসাবে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হবে।
২। আরব উপদ্বীপেও তাই। তবে আরব উপদ্বীপের জন্য বিষয়টা আরেকটু অন্যরকম। এখানে কাফেরদের স্থায়ী কোনো বসবাস হবে না। শুধু সেই অমুসলিমরাই থাকতে পারবে যারা আগে ছিলো, নতুন করে কেউ আসতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত এখানে পড়তে পারেনঃ
https://cutt.ly/VwPBj6Ow
1) যে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে অমুসলিমরাও বসবাস করে, যে মুসলিম রাষ্ট্র মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং সবার অধিকার নিশ্চিত করে— সেই রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিককে কুরআন-সুন্নাহর ভাষায় যিম্মী, মুসতামান-সহ বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়। এই ধরনের অমুসলিমদের ব্যপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে বলেছেদীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাস- সূরা মুমতাহিনা, আয়াত ৮
source