ভারত

‘ভারতে নিজের মাকে ধর্ষণ’- এর কিছু ঘটনা

ভারতে ধর্ষণ নতুন জিনিস না, বছরে লক্ষ লক্ষ নারীর সাথে হওয়া অপরাধের মামলা আনুষ্ঠানিক কর্তৃত্বপ্রসূত ভাবে থানায় দায়ের করা হয়। আর আনঅফিসিয়ালি না জানি আরো কত পরিমাণে যে এসবের শিকার হয় ভারতে নারীরা![1]India sees 88 rape cases a day ; One Rape Every 16 Minutes In India ভারত নারী হত্যা বিশ্বে ১৮ নাম্বারে ও ধর্ষণের দিকে ৯৪ নাম্বারে রয়েছে।[2] Rape Statistics by Country হয়তো ধর্ষণের মামলা সবগুলো বা অধিকাংশ যদি আসলেই দায়ের করা হত তাহলে ভারত হয়তো আরো অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারতো, যাইহোক বিষয়গুলোতো আরো ভয়ানক তখন হয়ে উঠে যখন নিজ পরিবারের বিশেষ করে নিজ সন্তানের কাছেই নারী ধর্ষণ ও হত্যা হতে নিরাপদ থাকে না। ভারতে নিজের মাকে ধর্ষণের ঘটনার মত এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা কল্পনা করতেও গা শিউরে উঠে!

ভারতে মাকে ধর্ষণের কয়েকটা ঘটনা

মাকে ধর্ষণ ছেলের!

২০১৯ সালে ডিসেম্বরের দিকে নিউজে প্রকাশিত হয় ভারতের পশ্চিমাংশে মহারাষ্ট্র-এর ৩৬টি প্রশাসনিক জেলার মধ্যে অন্যতম ঔরঙ্গাবাদ জেলায় জোড়া ধর্ষণের খবরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। একই দিন ঔরঙ্গাবাদ জেলায় দুটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে প্রশাসন সূত্রে। ধর্ষণের ঘটনা দুটির এটি ঘটেছে ঔরঙ্গাবাদে। আর আপরটি ঘটেছে ঔরঙ্গাবাদের সাঁইনগরে। ঔরঙ্গাবাদ জেলা শহরে ডিসেম্বরের আগে কয়েকমাস যাবত মাকে ধর্ষণ করছিল তারই ২০ বছরের ছেলে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী স্থানীয় একটি হাসপাতালে কাজ করতেন যার স্বামীর সাত বছর আগে মৃত্যু হয়। মায়ের অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাতে শুরু করে নিজের গর্ভের সন্তান। এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অনেক আগেই মুখ খোলার চেষ্টা করেন ধর্ষিতা কিন্তু মাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ছেলে। ফলে চুপ করে থাকেন তিনি, কিন্তু তারপরেও অত্যাচার বন্ধ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে থানায় নিজের ছেলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মা। মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ছেলেকে।[3]ডিবিসি নিউজ, বৃহঃস্পতিবার ১২ই ডিসেম্বর ২০১৯

জন্মদাত্রী মাকে একটানা ধর্ষণ ছেলের!

২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর ভারতের হরিয়ানার একটি গ্রামে আত্মহত্যা করেন বছর ৫৫-র এক মহিলা। কারণ তার নিজের সন্তানই তাকে ধর্ষণ করতো। এক্ষেত্রে বিচারক রাহুল বিষ্ণোইয়ের পর্যবেক্ষণ, “যে ছেলের মাকে ছাতার মতো সুরক্ষা দেওয়া উচিত, সেই ছেলেই পশুর মতো আচরণ করেছে।” ওই মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ যেখানে উঠে আসে ওই মহিলার বড় ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ার ঘটনা। মাদক কেনার টাকা চাইতে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার করতো সে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিয়মিত মাকেও ধর্ষণ করতেন। ওই ব্যক্তির মা আত্মহত্যা করার পর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় এবং সেখানেও ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। ধর্ষণের দায়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় বছর কুড়ি আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান, পরে দেওরকে বিয়ে করেন তিনি। তাই নিয়েও মাকে কথা শোনাত ছেলে, শারীরিক নিগ্রহে বাধা দিলে মারধর করা হত।[4]আনন্দবাজার পত্রিকা

পাশবিক! ভারতে মাকে ধর্ষণের পর খুন!

মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মাকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠল ভারতের কর্নাটকের হাবেরীর এক তরুণের বিরুদ্ধে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বনহল্লি এলাকার বাসিন্দা শিবাপ্পা নামে ২১ বছরের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশের জেরায় শিবাপ্পা জানিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর এক আত্মীয়ের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সে দিন সে নিজে মদ খেয়েছিল। মাকেও খেতে বাধ্য করেছিল। পথে একটি নির্জন স্থানে শিবাপ্পা তার মাকে ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করে। ঘটনার তদন্তে নেমে শিবগাভী থানার পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে শিবাপ্পার বাবা মারা যান। এরপর নিজের ছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করার পাশাপাশি এলাকার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করত ওই মহিলা। এ নিয়ে একাধিকবার শিবাপ্পার সঙ্গে তার মায়ের বিবাদ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ।[5]দৈনিক ইনকিলাব, ১৬ নভেম্বর, ২০২০; ডাকা ট্রিবিউন, নভেম্বর ১৬, ২০২০

বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে খুনের পর সৎ মাকে ধর্ষণ!

বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে তর্কাতর্কির সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করলেন এক যুবক, এর পর সৎ মাকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওড়িশার এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওড়িশার জাজপুর জেলায় বাবা এবং সৎ মাকে ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতেন ২০ বছরের অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ, রবিবার রাতে পারিবারিক বাড়িতে আসেন তিনি। এর পর সৎ মায়ের বিরুদ্ধে কটূক্তি করায় তা মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্তের বাবা। স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে ছেলের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন তিনি। তর্কাতর্কির সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৬৫ বছরের বাবাকে কুপিয়ে খুন করেন যুবক। এর পর সৎ মাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই যুবকের বিরুদ্ধে সোমবার টোমকা থানায় খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তাঁর সৎমা। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।[6]আনন্দ বাজার পত্রিকা

মাকে ধর্ষণের দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গুজরাটে

নিজের মাকে ধর্ষণের দায়ে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাটের একটি আদালত। ওই ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। জানা গেছে, মায়ের সঙ্গে বাপোড় এলাকায় থাকতেন ওই ব্যক্তি।নিয়মিত মাদক সেবন করতেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ২০১৭ সালের অক্টোবরে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তার। মামলার নথিতে উল্লেখ রয়েছে, মদ্যপ ছেলেকে অন্য জায়গায় ঘুমাতে বলেন মা। রাগে সেই রাতে মাকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। পরে ঘটনার কথা বৃদ্ধা নিজের মেয়েকে জানান। তখনই বোপাড় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ করা হয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে, মাকে  অত্যাচারের কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। তাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করারও অভিযোগ তোলেন মায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু ছেলের হাতে অত্যাচারিত বৃদ্ধার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।[7]কালের কন্ঠ, ১মে ২০১৯

ছেলের বিরুদ্ধে মাকে ধর্ষণের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে

ছেলের হাতে ধর্ষণের শিকার মা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায়। জানা গিয়েছে, বারওয়ানি জেলার সুরানি গ্রামে বছর ৪৫-এর এক মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযোগের তির উঠেছে তাঁরই ৩০ বছরের ছেলের দিকে। পুলিশ জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটে, সে সময় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা, ঘুমোচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মায়ের সঙ্গেই সুরানির গ্রামের বাড়িতে থাকত ওই যুবক, সঙ্গে থাকত তাঁর তিন সন্তান কিন্তু বছর দুয়েক আগে তাকে ছেড়ে চলে যায় তাঁর স্ত্রী। ঘটনার দিন মায়ের উপর জোরজবরদস্তি শুরু করে ওই যুবক। কিন্তু তাঁর মা বাধা দেওয়ায় প্রথমে মায়ের গলায় একটি শিকল বেঁধে দেয় অভিযুক্ত। অভিযোগ এর পরেই মহিলাকে ধর্ষণ করে তাঁর ছেলে। এই ঘটনার সময় সামনে ছিল ওই যুবকের ৭ বছরের ছেলে। গোটা ঘটনা নজরে আসার পর ভয়ে-আতঙ্কে কার্যত বোবা হয়ে গিয়েছিল ওই শিশুটি। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনোমতে রক্ষা পান ওই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গেই তিন নাতি-নাতনিকে নিয়ে কাছেই একটি খামারবাড়িতে আশ্রয় নেনে ওই মহিলা। পরের দিন ৩ সেপ্টেম্বর নিজের আত্মীয়দের সবটা খুলে বলেন ওই মহিলা। তারাই খবর দেয় পুলিশে। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে।[8]দ্যি ওয়াল রিয়েল নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পর্ন আসক্ত ছেলে ধর্ষণ করল মাকে!

ভারতের গুজরাটের জলচক এলাকায় পর্নোগ্রাফি ফিল্মে আসক্ত ছেলে নিজের মাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে ৪৬ বছর বয়সের ওই মা। জানা গেছে ২২ বছরের সেই যুবক মোবাইলে সারাদিন পর্নোগ্রাফি ফিল্ম এবং ভিডিও দেখত। মা এবং বোনের উপস্থিতিতেও বাদ দেয়নি দেখা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়িতে মা-ছেলে ছাড়া কেউ ছিল না। এ সুযোগে পানি খাওয়ার কথা বলে মাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তারপর মাকেই ধর্ষণ করে। এসময় ওই মা চিৎকার করে প্রতিবেশীর সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। কারণ প্রতিবেশীরা জানত প্রায়ই মা-ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো। সে কারণে তারা চিৎকারে গুরুত্ব দেয়নি। ঘটনার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নির্যাতিতা মা, স্বামীকে ছেলের কুকর্ম সম্পর্কে জানান তিনি। তারপর স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে থানায় গিয়ে ছেলে বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সন্তানকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে নির্যাতিতা ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে মেডিকেল সূত্র জানায়। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসএম রাবড়ি জানিয়েছেন, ধর্ষণের আগে নাকি একাধিকবার ছেলে তাঁর মাকে যৌন আবেদনমূলক কথা বলেছিল। তখন ছেলের কথায় আমল দেননি মা।[9]নিউস 24, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ভারতে এমন আরো অসংখ্য ঘটনা পাওয়া যায় বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে।[10]MOTHER RAPED BY SON ; MOTHER RAPED BY SON in india না জানি, আরো কত নিজের মাকে ধর্ষণের খবরই না মিডিয়ার আরালে থেকে যায়! অবশ্যই এসব ঘটনাগুলো তাদের জন্য হয়তো স্বাভাবিক, কারন তারা নিজেদের আপন মায়ের চাইতেও বড় মা (কিছু পন্ডিতের মতে) ও ভগবান গরুকে ধর্ষণ করতে পারে[11]ভারতে আশ্রমে একাধিক গরুকে ধর্ষণ ; ভারতে গরুকে ধর্ষণ ; গরুকে ধর্ষণ, প্রবল রক্তক্ষরণে মৃত্যু ; রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর গোয়ালে ঢুকে গরুকে ধর্ষণ! সেখানে নিজের মাকে ধর্ষণ করা তাও হয়তো তাদের কাছে মানানসই বিষয় হতে পারে।

    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    0 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button