হিন্দুধর্ম

বেদে বর্ণপ্রথা

ইদানিং হিন্দুরা তাদের ধর্মের দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে বেদ মানতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পুরাণ, উপনিষদ, স্মৃতিশাস্ত্রগুলো অস্বীকার করছে। বর্ণপ্রথার আতঙ্ক বিরাজমান ভারতে এখনও। হিন্দুরা তাদের স্বজাতির কাছেই নিরাপদ নয় হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সেই ব্রাহ্মণ্যবাদের ভূত আরো মারাত্মকভাবে চেপে বসবে। আবেগবশত অনেকে বিবেক বিসর্জন দিয়ে তারা হিন্দু রাষ্ট্র চাচ্ছে। বেদ মানতে গেলে প্রায় তারা বর্ণসমতা দেখানো চেষ্টা করলেও বাস্তবে গবেষনা করলে জানা যায় তার বিপরীত তথ্য।

ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়-বৈশ্য-শুদ্রের উৎপত্তি

বেদের বর্ণশাস্ত্রের বৈপরীত্যে তথ্য আমরা পাই।যেমনঃ
বর্ণ উৎপন্ন দেবতা প্রজাপতির দেহ নাকি বাক্য থেকে?
কোনটা সঠিক?

১. প্রজাপতির বাক্য থেকেঃ

প্রজাপতি বলা বায়ু দ্বারা বাক্য থেকে ব্রাহ্মণজাতি উৎপন্ন। পঞ্চদশ তম বাক্য থেকে ক্ষত্রিয় উৎপন্ন। উনবিংশ তম বাক্য থেকে বৈশ্য ও শুদ্র জাতি উৎপন্ন।[1]শুক্ল যর্জুবেদ ১৪/২৭-২৯, অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

২. প্রজপতির দেহ থেকেঃ

প্রজাপতির মুখ থেকে ব্রাহ্মণ, হাত থেকে
ক্ষত্রিয়, পাছা(উরু) থেকে বৈশ্য এবং পা থেকে শুদ্র জাতি উৎপন্ন।[2]শুক্ল যর্জুবেদ ৩১/১১, ঋগ্বেদ ১০/৯০/১১-১২, অর্থববেদ কান্ড-১৯/অনুবাক-১/সূক্ত-৭/মন্ত্রঃ ১-১১, অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

বর্ণের পেশা নির্ধারন

ব্রাহ্মণ জাতির ব্রহ্মতেজের নিয়মন ও ধারনের জন্য ধারনের জন্য (হে অজ্য!) তোমাকে ধারন করেছি। ক্ষত্রিয় জাতির যুদ্ধ সামর্থ্য নিয়মন ও ধারনের জন্য তোমাকে গ্রহণ করেছি। বৈশ্য জাতির কৃষি বাণিজ্যাদি কর্মের নিয়মন ও ধারনের জন্য তোমাকে গ্রহণ করেছি। সকলের নিজ নিজ কার্য সামর্থ্যের জন্য তোমাকে গ্রহণ করেছি…[3]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৬/১, ৩/৫/৭ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

ধনের মধ্যে পরিচর্যাপরায়ণ শুদ্রত্ব…[4]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৪/৩/৪ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

একইভাবে সাপের মধ্যেও আমরা বর্ণপ্রথা দেখতে পাই।[5]অর্থববেদ কান্ড-৪/অনুবাক-২/সূক্ত-১/মন্ত্র-১ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

ব্রাহ্মণের অবস্থান

১. ব্রাহ্মণ তিন বর্ণের ওপর প্রভাব বিস্তারকারীঃ

ব্রাহ্মণাদি তিন বর্ণের দ্বারা বিস্তৃত (অর্থাৎ প্রভাব বিস্তার করে), অগ্নি,আমাদের স্ততি শুনে ফল দিক…[6]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৮/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

২. ব্রাহ্মণ বেদ অনুসরণকারীঃ

ব্রাহ্মণ বেদ বিহিত কর্মসাধনে প্রবৃত্ত…[7]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৫/১১,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

ব্রাহ্মণ অধ্যাপকের দ্বারা বেদ অবিচ্ছিন্ন রূপ বর্ধিত হয়।[8]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৩/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

৩. ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্বঃ

ব্রাহ্মণের রাষ্ট্র বৈশ্য থেকে শ্রেষ্ঠ…[9]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/৫/৭,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

সর্বশাস্ত্রজ্ঞ ব্রাহ্মণের মতো স্থিত উৎপন্ন প্রজ্ঞ।[10]শুক্ল যর্জুবেদ ১৫/৪৬

এ জগতে ব্রাহ্মণ ও অব্রাহ্মণের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? এ নিয়ে বিবাদ করে কোনো অভিজ্ঞ লোকের কাছে গেলে,সে অভিজ্ঞ লোক ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলে,এতে তার নিজের আধিক্য হয়। ব্রাহ্মণের পরাভব হলে তারও পরাভব হয়…[11]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৫/১১,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

ব্রাহ্মণের পর ক্ষত্রিয় প্রর্বতিত বলে ব্রাহ্মণ মুখ্য…[12]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৬/২,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

ব্রাহ্মণ বৈশ্যের চাইতেও শ্রেষ্ঠ…[13]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/৫/৭,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

৪. ব্রাহ্মণকে নিযার্তন করলে কঠিন শাস্তিঃ

দেবতারা বললঃ যে ব্রাহ্মণের তাড়না উদ্যোগ করে, সে শত নিষ্ক দন্ডে ক্লেশ পায়, যে ব্রাহ্মণকে আঘাত করে তাড়না করে তার সহস্র নিষ্ক দন্ড,যে ব্রাহ্মণের শরীরে রক্তপাত করে,সে রক্তবিন্দু পৃথিবীর যত পরমানু ব্যেপে থাকবে, তত বছর আঘাতকারী পিতৃলোক থেকে বিচ্যুত হয়ে যম যাতনা ভোগ করবে-এ সমস্ত তোমার পুত্রাদির অধীন হোক। অতএব ব্রাহ্মণের প্রতি অবমাননা করবে না,তাহলে উক্ত পাপে লিপ্ত হবে।[14]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৬/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

৫. ব্রাহ্মণ রাজা হতে পারবেঃ

হে ভরত বংশীয় (ভারতীয়) রাজগণ! তোমাদের বংশীয় এ রাজা রাজসূয় যাগ করছে,সোমদেব ব্রাহ্মণ আমাদের রাজা।[15]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৮/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

৬. ঋষির বংশ কেবল ব্রাহ্মণ হতে পারবেঃ

আজ আমি ব্রাহ্মণত্ব লাভ করবো,যার পিতা পিতামহদি শ্রোত্রিয়,যিনি জাতি, প্রবর ও জ্ঞানে বিখ্যাত ঋষি।[16]শুক্ল যর্জুবেদ ৮/৪৬,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

৭. ব্রাহ্মণকে দানঃ

এ নিধীয়মান হিরন্য অবিনশ্বর,আমার স্বর্গমাগের প্রকাশক, এ পক্ক অন্নব্রীহি যবাদি শস্যক্ষেত্র থেকে উৎপন্ন কামদোগ্ধী ধেনুর মত,দক্ষিনারূপে দীয়মাণ এ ধন ব্রাহ্মণদের দিচ্ছি, যাতে স্বর্গলোকে কোটি গুণিত হয়।সেরূপ আমাদের পিতা-পিতামহদির অভিলষিত জন্য স্বর্গলোকের পথ করছি।[17]অর্থববেদ কান্ড-১১/অনুবাক-১/সূক্ত-৩/মন্ত্র-৮,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী,শুক্ল যর্জুবেদ ৩/২/৮

৮. ব্রাহ্মণকে খুশি করালে স্বর্গঃ

যজ্ঞ করতে ইচ্ছুক যজমানগণ ভৃগু আদি উত্তম ব্রাহ্মণ প্রীতিমান হয়ে নির্বিঘ্নে স্বর্গে যাক।
[18]শুক্ল যর্জুবেদ ১৭/৬৮,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৯. ব্রাহ্মণের সভাঃ

যজ্ঞে দ্বিপদ(দাস-দাসী),চতুষ্পদ পশু লাভ করাই ব্রাহ্মণের সভা…[19]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৭/৬,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

১০. রাষ্ট্রের যজ্ঞের জন্য ব্রাহ্মণঃ

হে ব্রহ্মণ! আমাদের দেশে যজ্ঞাধ্যয়নশীল ব্রাহ্মণ উৎপন্ন হোক, ক্ষত্রিয়গণ পরাক্রমী হোক, যুদ্ধকৌশল, শত্রুর ভেত্তা ও মহারথ হোক…[20]শুক্ল যর্জুবেদ ২২/২১,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

ক্ষত্রিয়ের অবস্থান

১. ক্ষত্রিয়ের মূল কাজ ব্রাহ্মণের শরীর রক্ষাঃ

হে মহাবীর! ক্ষত্রিয়কে পরম নিমিত্ত পালনে আমরা তোমার অনুগমন করছি। তুমি ব্রাহ্মণের শরীর রক্ষা করো…[21]শুক্ল যর্জুবেদ ৩৮/১৮, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

২. শত্রু বিনাশ করা ক্ষত্রিয়ের দায়িত্বঃ

…জন্ম মাত্রই ক্ষত্রিয় শত্রু বিনাশ করে।[22]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৪/১৫, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৩. ক্ষত্রিয় রাজাঃ

আমাদের প্রশস্ত ফল দেবার কামনায় কোন ক্ষত্রিয় জাত্যভিমানী রাজা এ নিন্দিত অহিতকারী দূর্গতির থেকে (আমাদের) উদ্ধার করবে?…হে মাণবক! তুমি লৌকিক কর্ম বিরত হয়ে বেদরূপ দৈব বাক্যের সেবা ব্রহ্মচারীগনের সাথে বেদ ব্রহ্মচর্যের নিয়ম পালন করো।[23]অর্থববেদ কান্ড-৭/অনুবাক-১০/সূক্ত-১/মন্ত্র-১,২ ,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৪. ক্ষাত্র বল (যুদ্ধ শক্তি):

ক্ষত্রিয় রাজাকে ক্ষাত্র বল দিক। জলদেবীগণ!রাক্ষসগনের দ্বারা পরাভূত না হয়ে ক্ষত্রিয় রাজাকে মহৎ বল দিক…[24]শুক্ল যর্জুবেদ ১০/৩, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

বৈশ্যের অবস্থান

১. কৃষি কাজঃ

কৃষি প্রভৃতি কাজ দিয়ে বৈশ্য জাতি অন্ন উৎপাদন করে।[25]শুক্ল যর্জুবেদ ৩/৫/৭,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

২. ধনবান হওয়ার উপায়ঃ

কোনো বৈশ্য জাতি ধনগর্বে যদি কোনো ব্রাহ্মণকে অতিক্রম করতে চায় তবে “হে মরুদগন! তোমরা দূল্যোক থেকে আমাদের আহবান শুনো-ইত্যাদি দুটি ঋকমন্ত্রে যাগ করলে তাকে অধীন করতে পারে।[26]শুক্ল যর্জুবেদ ২/৩/৩,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

শুদ্রের অবস্থান

১. বেদ ও বেদী থেকে তিন পুরুষ বিচ্ছিন্নঃ

যে বেদ ও বেদী থেকে তিন পুরুষ বিচ্ছিন্ন সে শুদ্রতুল্য ব্যক্তি দুর্ব্রাক্ষণ…[27]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/১/১০

২. অগ্নিকে ত্যাগ করলে শুদ্রঃ

অগ্নিকে যে পরিত্যাগ করে সে যজমানের বাক্য গৃহ অবস্থিত স্ত্রীর শুদ্রাদির বাক্যের সমতা লাভ করে…[28]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৫/২,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

বর্ণের বৈষম্য

১. ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের সুনামঃ

আমার ব্রাহ্মণ্য তীক্ষ্ণ করেছো, আমার ইন্দ্রিয় শক্তি ও শারীরিক বল কার্যক্ষম করেছ,যে ক্ষত্রিয়ের পুরোহিত আমি, তাকে জয়শীল করেছো। এ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়ের মধ্যে একের বাহু বর্ধিত করেছি, তাদের কান্তি, শারীরিক বলও বর্ধিত করেছি।[29]শুক্ল যর্জুবেদ ১১/৮০-৮১,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

২. ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের সুখঃ

হে ভুবনের প্রজাপালক প্রজাপতি!যে স্বর্গলোক ও ভূলোকে গৃহ আছে।তুমি ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের সুখ দাও…[30]শুক্ল যর্জুবেদ ১৮/৪৩,কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/৪/৭ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৩. ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় মানে দেবতাদের পদাচারণঃ

যেখানে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় একসাথে বিচরন করে সেখানে দেবতারা পদচারণ করে…[31]শুক্ল যর্জুবেদ ২০/২৪, অনুবাদক- শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৪. ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের ঐশ্বর্য ভোগঃ

ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় এরা ঐশ্বর্য ভোগ করুক…[32]শুক্ল যর্জুবেদ ৩১/১৬,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৫. ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় ভাবাপন্নঃ

তুমি ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় ভাব দৃঢ় করো…[33]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৩/১,৬, শুক্ল যর্জুবেদ ৫/২৬,৬/২

৬. দেবতা ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় রূপধারণঃ

ইন্দ্র ক্ষত্রিয় ও বৃহস্পতি ব্রাহ্মণ স্বরূপ…[34]কৃষ্ণ যজুর্বেদ ২/৪/১৫

৭. যজমানের সম্পদ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য রক্ষা করবেঃ

হে যজমান!…ব্রাহ্মণ… ক্ষত্রিয়… ও বৈশ্যজাতি তোমার সম্পদ রক্ষা করুক…[35]শুক্ল যর্জুবেদ ১০/১০-১১, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৮. বৈশ্য এবং শুদ্রের পাপ মোচনঃ

গ্রামে, অরন্যে, সভায়, ইন্দ্রিয় বিষয়ে, দেবতায়, শুদ্রে, বৈশ্যে যে পাপ আমরা করেছি এবং পত্নী ও যজমানের মধ্যে একের কর্ম বিষয়ে যে পাপ করেছিবসে সকল পাপ নাশক তুমি হও…[36]শুক্ল যর্জুবেদ ২০/১৬, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৯. বৈশ্য ও শুদ্রের অজাচারঃ

হরিণ ক্ষেত্রস্থ ধান্য ভক্ষণ করলে ক্ষেত্র পতি যেমন সুখি হয়না, তেমনি শুদ্রা স্ত্রী বৈশ্যগামিনী হলে পতিসুখী হয়না। হরিণ ক্ষেত্রস্থ ধান্য ভক্ষণ করলে ক্ষেত্র পতি যেমন সুখি হয়না, শুদ্র বৈশ্যা নারীতে আসক্তি হলে, বৈশ্য ক্লেশ অনুভব করে…[37]শুক্ল যর্জুবেদ ২৩/২৯-৩১অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

১০. ব্রাহ্মণ ও শুদ্রের বলি বৈষম্যঃ

আটটি পরস্পর বিরুদ্ধ রূপ পশু অর্পনের কথা বলা হচ্ছে-অতি দীর্ঘ, অতি হ্রস্ব, অতি স্থূল অতি শুক্ল, অতি কৃষ্ণ, অত্যন্ত লোমরহিত, অত্যন্ত লোমযুক্ত এগুলি শুদ্র ও ব্রাহ্মণ ছাড়া প্রজাপতি দেবতার উদ্দেশ্যে যুক্ত করছি।মগধদপশীয়,পুংশ্চলী, কিতর,ক্লীব এগুলো শূদ্র ও ব্রাহ্মণ ছাড়া প্রজাপতি উদ্দেশ্যে যুক্ত করছি।[38]শুক্ল যর্জুবেদ ৩০/১০,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

১১. চারবর্ণের পুরুষমেধযজ্ঞের বৈষম্যঃ

ব্রহ্মার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণকে যুক্ত করেছি, এরূপ ক্ষত্রের উদ্দেশ্যে ক্ষত্রিয়, মরুদগনের উদ্দেশ্যে বৈশ্য, তপের উদ্দেশ্যে শুদ্র, তমের উদ্দেশ্যে চোর, নারকের উদ্দেশ্যে শুর, পাপের উদ্দেশ্যে ক্লীব, অক্রিয়ার উদ্দেশ্যে গমনাকারী, কামের উদ্দেশ্যে ব্যভিচারিণী, অতিক্রূষ্টের উদ্দেশ্যে মগধদেশীয়দের যুক্ত করছি…[39]শুক্ল যর্জুবেদ ৩০/৪-৫ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

১২. তিন বর্ণকে বশে আনাঃ

হে মহাবীর!তুমি ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের বশে আনো।[40]শুক্ল যর্জুবেদ ৩৮/১০,অনুবাদক-দূর্গাদস লাহিড়ী

১৩. তিন বর্ণের প্রিয় পাত্র হওয়া আকাঙ্ক্ষাঃ

হে অগ্নি, তুমি আমাকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের
কাছে প্রিয় পাত্র করো…[41]অর্থববেদ কান্ড-১৯/অনুবাক-৭/সূক্ত-৬/মন্ত্র-৩ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

১৪. চার বর্ণের ঋতু যজ্ঞঃ

বসন্ত ঋতু এর শিরোভাগ, গ্রীষ্ম দক্ষিণ পক্ষ, বর্ষা পুচ্ছ, শরৎ বাম পক্ষ ও হেমন্ত মধ্য দেশ।ব্রাহ্মণ এর উধ্ধর্ভাগ, ক্ষত্রিয় দক্ষিণ পক্ষ,পশুগন পুত্র,বৈশ্যগন বাম পক্ষ এবং মানস তৃষ্ণাদি মধ্যভাগ চয়ন করেছিল।[42]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৫/৬/১০,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

বর্ণের সমতা

১. চার বর্ণকে সমান দীপ্তিঃ

হে অগ্নি! তুৃমি আমাদের ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য,ও শুদ্রদেরকে দীপ্তি দাও এবং আমায় অবিচ্ছিন্ন দীপ্তি দাও…[43]শুক্ল যর্জুবেদ ১৮/৪৭, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

২. চার বর্ণের প্রতি মিষ্টি ব্যবহারঃ

যেহেতু আমি ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়,বৈশ্য শুদ্র,আত্নীয় অনাত্নীয় সকলের প্রতি মিষ্টি ব্যবহার করি…[44]শুক্ল যর্জুবেদ ২৬/১, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৩. চার বর্ণের জন্য পিশাচ দমনঃ

হে ঔষধি! তোমাকে ধারণ করে সবকিছু দেখব।ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্রাদি বলীভূত করে রক্ষঃ পিশাচাদি দূর করার জন্য দেখব…[45]অর্থববেদ কান্ড-৪/অনুবাক-৪/সূক্ত-৫/মন্ত্র-৩, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী

৪. ঐক্য হওয়ার আহবানঃ

হে স্তবকর্তাগন! তোমরা মিলিত হও, একত্রে স্তব উচ্চারণ করো, তোমাদের মন পরস্পর একমত হোক…[46]ঋগ্বেদ ১০/১৯১/২,অনুবাদকঃ রমেশ চন্দ্র দত্ত

হিন্দুধর্মে পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও তার বর্ণ

হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রথম মানুষ হলো মনু। মনু থেকে সবাই এসেছে বলেই সবাইকে মানুষ (মনু+অ) বলা হয়। যা আরবিতে ইনসান (বনী আদম), ইংরেজিতে man।

মনুকে বেদে মানবজাতি পিতা বলা হয়েছে।যেমন বেদে বলাঃ

হে দেবগন! পিতা মনু হতে আগত পথ থেকে আমাদের পথ ভ্রষ্ট করবেন না।[47]ঋগ্বেদ ৮/৩০/৩ অনুবাদকঃ রমেশ চন্দ্র দত্ত

এছাড়াও আমরা জানতে পারি মনু প্রথম ঋষি ও আইন বা সংহিতা প্রণেতা। যেমনঃ

1. By Manu’s law was born this Agni(lord) Priest most skilled, born for the holy work of those who yearn therefore, yea, born for his own holy work.

মনুর আইনে অগ্নি(দেবতা/ঈশ্বর) জন্মেছিলেন।ঋষি সবচেয়ে দক্ষ। তিনি জন্মেছিলেন তাদের পবিত্র কাজের জন্য। হ্যা,নিজের কাজের জন্য জন্মেছিলেন

All ear to him who seeks his love and wealth to him who strives for fame,

সকলে তার প্রতি কর্ণপাত করে_যারা তার ভালবাসা কামনা করে এবং তার থেকে সম্পদ কামনা করে যারা চেষ্টা করে খ্যাতির জন্য।

Priest ne’er deceived, he sits in Iḷā’s holy place, girt round in Iḷā’s holy place.

ঋষি তিনি কোনভাবে প্রতারিত নন,তিনি উপনিবেশন করলেন ইলের পবিত্র স্থানে,বৃত্তাকার কংকর নির্মিত ইলের পবিত্র স্থানে।[48]Rig veda book 1, Hymn Cxxviii, verse 1 https://www.sacred-texts.com/hin/rigveda/rv01128.htm

মনু ঋষি হওয়াতে তার আগত সন্তানেরা ব্রাহ্মণ হবে। কারন বেদেই বলা-

আজ আমি ব্রাহ্মণত্ব লাভ করবো, যার পিতা পিতামহদি শ্রোত্রিয়, যিনি জাতি, প্রবর ও জ্ঞানে বিখ্যাত ঋষি।[49]শুক্ল যর্জুবেদ ৮/৪৬,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

এছাড়া মনু সন্তানের বেদ অধ্যায়ন ঘটনা বেদে বলা-

মনুর বহু পুত্র ছিলো। তার মধ্যে কনিষ্ঠ নাভানেদিষ্ঠ বেদ অধ্যায়ন করতে গিয়েছিলো[50]কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/১/৯,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি

বর্ণ দূষণ

যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতার ১ম অধ্যায়ের ( ৯১-৯৫) নং শ্লোকে দেয়া আছে,

  1. ব্রাহ্মণ পুত্ৰ + ব্রাহ্মণ কন্যা —- উৎপন্ন সন্তান ব্রাহ্মণ
  2. ব্রাহ্মণ পুত্র + ক্ষত্রিয় কন্যা — উৎপন্ন সন্তান মুৰ্দ্ধাবিষিক্ত
  3. ব্রাহ্মণ পুত্ৰ + বৈশ্য কন্যা — উৎপন্ন সন্তান অম্বষ্ঠ
  4. ব্রাহ্মণ পুত্ৰ + শূদ্র কন্যা — উৎপন্ন সন্তান নিষাদ / পারশব
  5. ক্ষত্রিয় পুত্র + ব্রাহ্মণ কন্যা — উৎপন্ন সন্তান সূত
  6. ক্ষত্রিয় পুত্র + ক্ষত্রিয় কন্যা — উৎপন্ন সন্তান ক্ষত্রিয়
  7. ক্ষত্রিয় পুত্র + বৈশ্য কন্যা —- উৎপন্ন সন্তান মাহিষ্য
  8. ক্ষত্রিয় পুত্র + শূদ্র কন্যা —- উৎপন্ন সন্তান উগ্র
  9. বৈশ্য পুত্র + ব্রাহ্মণ্ কন্যা — উৎপন্ন সন্তান বৈদেহক
  10. বৈশ্য পুত্ৰ + ক্ষত্রিয় কন্যা — উৎপন্ন সন্তান মাগধ
  11. বৈশ্য পুত্র + বৈশ্য কন্যা — উৎপন্ন সন্তান বৈশ্য
  12. বৈশ্য পুত্র + শূদ্ৰ কন্যা — উৎপন্ন সন্তান করণ
  13. শূদ্ৰ পুত্ৰ + ব্রাহ্মণ কন্যা — উৎপন্ন সন্তান চন্ডাল
  14. শূদ্র পুত্র + শূদ্র কন্যা — উৎপন্ন সন্তান শূদ্র

বর্ণের চিহ্নিত পদবী

  • ব্রাহ্মণঃ
    অধিকারী/আচার্য্য/আচার্য্যাচী/আচার্য/উপাধ্যায়/কঞ্জিলাল/গঙ্গোপাধ্যায়/গাঙ্গুলি/গাঙ্গুলী/গোস্বামি/ঘোষাল/চক্রবর্তী/চট্রোপাধ্যায়/চ্যাটার্জী/চ্যাটার্জি/
    তেওয়ারি/ত্রিবেদী/দেবনাথ/ নাথ/দেবশর্মা/শর্মা/পিরালি/পুতিতুন্ড/বন্দ্যোপাধ্যায়/ব্যানার্জী/ব্যানার্জি/ভট্ট/ভট্টাচার্য/ভট্টাচার্যী/ভট্টাচার্য্য /ভাদুড়ী/মুখোপাধ্যায়/মুখার্জি /মুখার্জী/মিশ্র/মৈত্র/মৌলিক/নারায়ণ/লাহিড়ী/শাস্ত্রী/সরখেল/স্যান্যাল/হালদার/ঠাকুর
  • ক্ষত্রিয়ঃ
    বর্ম্মন/রুদ্র/নাগ/ভদ্র/সিংহ/সেনগুপ্ত/ভাওয়াল/পালিত/রক্ষিত/ভানুশালী/আদিত্য/সোম/চন্দ্র/রাহুত/ভূঁইয়া/রাষ্ট্রী/ঘোষ/পাইক/ক্ষাত্র/বালা/মন্ডল/
  • বৈশ্যঃ
    কুরী/ব্যাপারী/সাধখাঁ/বালো/মল্লিক/মল্লিকা/মৃধা/তফরদার/ভৌমিক/সিকদার/লাহা/বিশ্বাস/কাপালী/মজুমদার
  • শুদ্র/দলিত/নমঃশুদ্রঃ
    ভক্ত/দাস/দাশ/মজুমদা/কানাই/সরকার/রায়/পাল/গোপাল/নাপিত/সর্দ্দার/নষ্কর/বাসফোর/বর্মা/বড়ুয়া/চন্ডাল/মুচি/চর্মকার/স্বর্ণকার/ঘোষ(গরু দাগানো)/মোদক/শীল/দেববর্মা/দেবদাস/রাজবংশী/মাহিষ্য/মালো/মালাকার/মিস্ত্রী[51]বাঙ্গালী হিন্দুর পদবী – উইকিপিডিয়া[52]তফসিলী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ইতিহাস (লেখকঃকার্তিক ঠাকুর).

    Footnotes

    Footnotes
    1শুক্ল যর্জুবেদ ১৪/২৭-২৯, অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    2শুক্ল যর্জুবেদ ৩১/১১, ঋগ্বেদ ১০/৯০/১১-১২, অর্থববেদ কান্ড-১৯/অনুবাক-১/সূক্ত-৭/মন্ত্রঃ ১-১১, অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    3কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৬/১, ৩/৫/৭ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    4কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৪/৩/৪ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    5অর্থববেদ কান্ড-৪/অনুবাক-২/সূক্ত-১/মন্ত্র-১ অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    6, 15কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৮/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    7, 11কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৫/১১,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    8কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৩/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    9, 13কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/৫/৭,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    10শুক্ল যর্জুবেদ ১৫/৪৬
    12কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৬/২,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    14কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৬/১০,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    16, 49শুক্ল যর্জুবেদ ৮/৪৬,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    17অর্থববেদ কান্ড-১১/অনুবাক-১/সূক্ত-৩/মন্ত্র-৮,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী,শুক্ল যর্জুবেদ ৩/২/৮
    18শুক্ল যর্জুবেদ ১৭/৬৮,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    19কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৭/৬,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    20শুক্ল যর্জুবেদ ২২/২১,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    21শুক্ল যর্জুবেদ ৩৮/১৮, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    22কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/৪/১৫, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    23অর্থববেদ কান্ড-৭/অনুবাক-১০/সূক্ত-১/মন্ত্র-১,২ ,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    24শুক্ল যর্জুবেদ ১০/৩, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    25শুক্ল যর্জুবেদ ৩/৫/৭,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    26শুক্ল যর্জুবেদ ২/৩/৩,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    27কৃষ্ণ যর্জুবেদ ২/১/১০
    28কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৫/২,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    29শুক্ল যর্জুবেদ ১১/৮০-৮১,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    30শুক্ল যর্জুবেদ ১৮/৪৩,কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/৪/৭ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    31শুক্ল যর্জুবেদ ২০/২৪, অনুবাদক- শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    32শুক্ল যর্জুবেদ ৩১/১৬,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    33কৃষ্ণ যর্জুবেদ ১/৩/১,৬, শুক্ল যর্জুবেদ ৫/২৬,৬/২
    34কৃষ্ণ যজুর্বেদ ২/৪/১৫
    35শুক্ল যর্জুবেদ ১০/১০-১১, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    36শুক্ল যর্জুবেদ ২০/১৬, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    37শুক্ল যর্জুবেদ ২৩/২৯-৩১অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    38শুক্ল যর্জুবেদ ৩০/১০,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    39শুক্ল যর্জুবেদ ৩০/৪-৫ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    40শুক্ল যর্জুবেদ ৩৮/১০,অনুবাদক-দূর্গাদস লাহিড়ী
    41অর্থববেদ কান্ড-১৯/অনুবাক-৭/সূক্ত-৬/মন্ত্র-৩ অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    42কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৫/৬/১০,অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    43শুক্ল যর্জুবেদ ১৮/৪৭, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    44শুক্ল যর্জুবেদ ২৬/১, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    45অর্থববেদ কান্ড-৪/অনুবাক-৪/সূক্ত-৫/মন্ত্র-৩, অনুবাদক-শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামী
    46ঋগ্বেদ ১০/১৯১/২,অনুবাদকঃ রমেশ চন্দ্র দত্ত
    47ঋগ্বেদ ৮/৩০/৩ অনুবাদকঃ রমেশ চন্দ্র দত্ত
    48Rig veda book 1, Hymn Cxxviii, verse 1 https://www.sacred-texts.com/hin/rigveda/rv01128.htm
    50কৃষ্ণ যর্জুবেদ ৩/১/৯,অনুবাদকঃ শ্রী বিজনবিহারী গোস্বামি
    51বাঙ্গালী হিন্দুর পদবী – উইকিপিডিয়া
    52তফসিলী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ইতিহাস (লেখকঃকার্তিক ঠাকুর).
    5 1 vote
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    guest
    0 Comments
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button
    FromMuslims We would like to show you notifications for the latest updates.
    Dismiss
    Allow Notifications