হিন্দুধর্ম

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

আপনি কী পোস্ট পড়তে এসেছেন নাকি মজা নিতে?

হিন্দুদের দাবি হচ্ছে হিন্দুদের মতো বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ আর নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, হিন্দুদের বিশ্বাস ও তাদের ধর্মগ্রন্থ মতে তাদের জন্ম হয়েছে তাদের পিতার বীর্য এবং তাদের মায়ের ঋতুস্রাবের রক্তের সাথে মিশে?

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

আসুন দেখি এই অদ্ভুত সায়েন্টিফিক নিষেক প্রক্রিয়া!

বীর্য + মাসিকের রক্ত = নিষেক!

বরাহপুরাণে দেখা যায় যে নারীর মাসিকের রক্ত আর পুরুষের বীর্য মিলিত হয়ে সন্তানের জন্ম হয়, তার হাত-পা বেড়ে উঠে![1]বরাহপুরাণ ১২৫/১৪

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

…এই যে ভাস্কর পূর্ব্বদিকে সমুদিত এবং পশ্চিম দিকে অস্তগত হইতেছেন; এই যে শোণিত ও শুক্র জীবদেহে বিদ্যমান থাকিয়া গর্ভকোষে গমন পূর্ব্বক প্রাণিরূপে পরিণত হইতেছে; এই যে জীব গর্ভবাসে গমন পূর্ব্বক দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করিয়! যেমন ভূমিষ্ঠ হইতেছে, অমনি সমস্ত বিস্মৃত হইতেছে ; এই যে জীব স্ব স্ব কর্ম আশ্রর করিয়া একেবারে চৈতন্য রহিত ও স্পৃহাশূন্য হইয়া ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করি তেছে ; এই যে শুক্র ও শোণিতের সংযোগে জীবের অঙ্গগুলি চরণ, হস্ত, মস্তক, কটী, পৃষ্ঠ, বক্ষঃস্থল, দন্ত, ওষ্ঠপুট, নাসিকা, কর্ণ, নেত্র, কপাল, ললাট ও জিহ্বা প্রভৃতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সকল সমুদ্ভুত হইতেছে…

আমরা হিন্দি অনুবাদও দেখিয়ে দিচ্ছি,

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

বায়ুপুরাণে উল্লেখ আছে,[2]বায়ুপুরাণ ১৪/১৭-২৪ প্রথমে শুক্র (পুরুষের শুক্রাণু) এবং শোণিত (নারীর রক্ত) কললাকার (মিশ্রণ) ধারণ করে। তারপর তা বুদবুদে রুপান্তরিত হয়।…৩৩ ভাগ রক্ত আর ১৪ ভাগ বীর্য মিলে নিষিক্ত হয়ে গর্ভে।

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

গর্ভ কালে প্রথমতঃ মিলিত শুক্রশোণিত কললাকার ধারণ করে; পরে কালবশে তাহা বুদ্বুদাকার প্রাপ্ত হয় । চক্রম্যস্ত মৃৎপিণ্ড যেমন চক্রাবর্ত্তে বিঘূর্ণিত ও কুলালকর দ্বারা পরিবর্তিত হইয়া ঘট শরাবাদি নানাকার ধারণ করে, আত্মাও তদ্রুপ বায়ু দ্বারা পরিচালিত হইয়া কালবশে অস্থিযুক্ত বিবিধ মনঃসম্পন্ন মানুষরূপ সমুৎপন্ন হয়েন। বায়ু সেই সকল আশ্রয় করিয়া থাকে। বায়ু হইতে জলের উৎপত্তি হয়। জল হইতে প্রাণ এবং প্রাণ হইতে শুক্র জন্মে। ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ রক্ত ও চতুৰ্দ্দশ ভাগ শুক্র একত্র মিলিত হইয়া সমুদায় অর্থ পল পরিমাণে গর্ভাশয়ে নিষিক্ত হইলে তদুৎপন্ন গৰ্ভ পঞ্চ বায়ু দ্বারা আবৃত হয়। ক্রমে পিতৃশরীর অনুসারে তাহার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ও রূপ জন্মে। মাতার ভুক্তপীত দ্রব্যের রস, নাভিবক্ত দ্বারা গর্ভস্থ জীবে প্রবিষ্ট হয়। তাহাতেই দেহিগণের প্রাণধারণ হইয়া থাকে।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে উল্লেখ আছে,[3]ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, (পঞ্চানন তর্করত্ন), প্রকৃতি খণ্ড, ৩৬/১১৭-১৪১ [English, Brahma Vaivarta Purana 35:117-141, Tr. Rajendra Nath Sen] স্ত্রীর যোনিতে পুরুষের শুক্র প্রবেশ করা মাত্রই শুক্র-রক্তের মিলন হয়। রক্তের পরিমাণ বেশি হলে মায়ের মতো, আর বীর্যের পরিমাণ বেশি হলে বাবার মতো সন্তান হবে। রবি-মঙ্গল-বৃহস্পতিবার যৌনমিলন হলে ছেলে আর অন্যান্য দিনে হলে কন্যা জন্মাবে। এরকম আরও সায়েন্স জানতে নিজেই দেখুনঃ

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

যোনিমধ্যে পুরুষের শুক্র পতিত হইবামাত্র শুক্র শোণিতে মিলন হয়; শোণিত অধিক হইলে মাতৃ আকার ও শুক্র অধিক হইলে উৎপন্ন জীব পিতার আকার প্রাপ্ত হয়। যুগ্মদিন ও রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি – বারে শুক্রশোণিতের যোগ হইলে পুত্র আর অযুগ্ম দিনে বা অন্যান্য বারে হইলে কন্যা হইয়া থাকে। যাহার প্রথম প্রহরে জন্ম হয়, সে অল্পায়ু, দ্বিতীয় প্রহরে হইলে মধ্যায়ু, তৃতীয় প্রহরে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘায়ু, আর চতুর্থ প্রহরে যাহার জন্ম, সে লক্ষণানুরূপ সম্পূর্ণ দীর্ঘজীবী হইয়া থাকে ; আর সকলেই পূর্ব্বকৰ্ম্মানুসারে সুখী বা দুঃখী হয়। যা দৃশ ক্ষণে জন্ম, প্রসবও তাদৃশক্ষণে হইয়া থাকে, এজন্য বিচক্ষণগণ, প্রসবক্ষণের বিচার করেন। এক রাত্রিতে শুক্রশোণিত পরস্পর মিশ্রিত হইয়া পরে দিন দিন পরিবর্ধিত হয় ও সপ্তম দিনে বদরাকার এবং এক মাসে গণ্ডুতুল্য হইয়া থাকে। অনন্তর তৃতীয় মাসে হস্তপদাদিশূন্য মাংসপিণ্ডের সমান হুইয়া পঞ্চম মাসে উহা সৰ্ব্বাবয়বযুক্ত দেহী হয়। তৎপরে ষষ্ঠ মাসে সেই দেহে জীবসঞ্চার হইলে, সেই দেছী তখন সমস্ত তত্ত্ব জানিতে পারে এবং পিঞ্জরবদ্ধ পক্ষীর ন্যায় অল্প স্থানে স্থিতিনিবন্ধন অশেষ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকে। জীবগণ মাতৃগর্ভমধ্যে অতি অপবিত্র স্থানে অবস্থান করত মাতৃভুক্ত অন্নজলাদির অবশিষ্ট অংশ ভোজন করে এবং কঠোরজননী-জঠর নিবাস জন্য যাতনায় হাহাকারশব্দে পরাৎপর পরমেশ্বর হরিকে চিন্তা করে। এইরূপে চারিমাস পর্য্যন্ত বিষম যন্ত্রণা অনুভব করত প্রসবকাল উপস্থিত হইলে, প্রসব বায়ুদ্বারা প্রেরিত হইয়া গর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হয়। এই প্রকারে ভূমিষ্ঠ হইবামাত্র চক্রী ভগবানের মায়াচক্রে জন্মান্তরীয়ভাব বিস্মরণ হেতু দিক্‌, দেশ, কালাদি দৈহিক ধৰ্ম্মে অনভিজ্ঞ হইয়া মল-মুত্রাদিযুক্ত অঙ্গে শৈশব অতিবাহিত করে। সেই শৈশবকালে অসামর্থ্য হেতু শোণিতভোজী মশকাদি নির্ধারণে অক্ষম, পরাধীন জীব—কাঁটা দিদ্বারা দৃষ্ট হইয়। দুঃখে বারংবার রোপন করে।

এর উল্লেখ আছে শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণে,[4]শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/২-৫, গীতা প্রেস

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

শ্রীভগবান বললেন -হে মাতা ! জীবের যখন মনুষ্য প্রজাতিতে জন্মগ্রহণের সময় হয়, তখন ঈশ্বরের প্রবর্তনায় নিজ পূর্বকর্মানুসারে দেহপ্রাপ্তির জন্য পুরুষের শুক্রকণা আশ্রয় করে নারীর উদরে প্রবেশ করে থাকে। ওই বীর্য গর্ভে প্রবিষ্ট হয়ে একরাত্রে (প্রথম রাত্রে স্ত্রীর শোণিতের সাথে কলল অর্থাৎ মিশ্রণ হয়, এই অবস্থায় পাঁচ রাত্রি পরে সেটি বুদবুদাকার (গোলাকার ধারণ করে, দশ দিনে কুলফলের মতো কিছুটা শক্ত হয় এবং তারপরে মাংসপেশী অর্থাৎ মাংসপিণ্ডের আকার…

মৎস্যপুরাণে উল্লেখ আছে,

The menstrual flow of a woman suddenly develops conception as soon as it mingles itself with the semen virile of man, through the sap of the flowers of herbs.[5]Matsya Purana 39.10, Tr. Taluqdar of Oudh, Edited by B.D. Basu

পদ্মপুরাণেও একই কথা এসেছে,[6]পদ্মপুরাণ, (২) ভূমিখণ্ড, অধ্যায় ৬৬, শ্লোক ২৮-৩০

English, Padma Purana 2.66.22-38 N.A. Deshpande

বীর্য এবং মাসিকের রক্ত মিশে নারীর গর্ভধারণ – হিন্দুধর্মের বিজ্ঞান

ঋতুকালে নির্দ্দোষ শুক্র যখন যোনিমধ্যে প্রবেশ করে, তখন তাহা বায়ুসংসৃষ্ট হইয়া স্ত্রীরক্তের সহিত একত্ব প্রাপ্ত হয়। শুক্র পরিত্যাগকালে কারণসমন্বিত জীব স্ব স্ব কর্ম্মে নিয়ন্ত্রিত হইয়া যোনিমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া থাকে। শুক্র স্ত্রীরক্তে মিশ্রিত হইয়া একাহ মধ্যেই কলল হয়।

এ সম্পর্কে আরও জানুন।[7]ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ ২.৩.৭২.৪১-৪৭

Brahmanda Purana 2.3.72.42-47, Tr. G.V. Tagare
[8]Skanda Purana V.iii.159.33-53, Tr. G.V. Tagare

ঋতুস্রাব চলাকালেই সেক্স করতে হয়!

যেহেতু হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে নিষেক হয় মাসিকের রক্তের সাথে, ঋতুস্রাব চলাকালীন। তাই হিন্দুদের সেক্সটাও মেয়েদের ঋতুস্রাব চলাকালীনই করতে হবে। এটাই তাদের উৎকৃষ্ট সময়!

এমন বহু উদাহরণই পাবেন হিন্দুধর্মে! ঋতুবতী অবস্থায় হিন্দু নারীদের সেক্স করতেই হবে। এটাকে ❝ঋতুরক্ষা❞ বলে। হোক সে বিবাহিত, না হোক অবিবাহিত। ঋতুবতী হয়েছে অথচ তার বিয়ে না দিলে পিতা-মাতা-বড় ভাই নরকে যাবে। পড়ুনঃ

Read More…
বেদে কি বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ? নাকি বাধ্যতামূলক?

মূল কথায় আসি, ঋতুরক্ষা না করা হিন্দু নারীদের জন্য পাপ। ঋতুস্নানের ১৬ দিন হয়ে গেছে অথচ স্বামীর সাথে সেক্স হয় নি, তখন অন্য পুরুষ দিয়ে হলেও ঋতুরক্ষা করতে হবে। মহাভারতে শর্মিষ্ঠার উক্ত কাহিনি পাওয়া যায়ঃ[9]মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ৮৩ – যযাতি হইতে যদু প্রভৃতির জন্ম । যযাতির প্রতি শুক্রের শাপ, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ [Google Books]

শর্ম্মিষ্ঠা কহিলেন, “হে চারুহাসিনি! একদা কোন ধর্ম্মপরায়ণ ও বেদবেদাঙ্গ পারগ ঋষি আমার কুটীরে আগমন করিয়াছিলেন। আমি ঋতুরক্ষার্থে প্রার্থনা করাতে তিনি আমার মনোবাঞ্ছা পরিপূর্ণ করেন। আমি অন্যায়তঃ কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থ করি নাই।……ধর্ম্মশাস্ত্রে কথিত আছে, যে পুরুষ ঋতুরক্ষার্থিনী স্ত্রীলোক কর্ত্তৃক প্রার্থিত হইয়া তদীয় ঋতুরক্ষা না করে, সে ভ্রূণহত্যাপাতকে লিপ্ত হইয়া নিরয়গামী হয়।…

স্ত্রীর ঋতুরক্ষা করা স্বামীর দায়িত্ব।[10]মহাভারত, শান্তিপর্ব, অধ্যায় ৬১, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ [Google Books]

আমরা জানি নিয়োগ প্রথায় অন্য পুরুষের সাথে শুইয়ে সন্তান উৎপাদন করতে হয়। সেটা করতে হয় স্ত্রীর যখন ঋতুস্রাব চলবে তখন।

যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতায় দেখুন,[11]যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ১/৬৭-৭০

নিয়োগ প্রথা - ধর্মীয় পতিতাবৃত্তির ইতিবৃত্ত

গরুড়পুরাণে এসেছে,[12]গরুড়পুরাণ, পূর্বখণ্ড, অধ্যায় ৯৫, শ্লোক ১৬-১৭, রসিকমোহন

নিয়োগ প্রথা - ধর্মীয় পতিতাবৃত্তির ইতিবৃত্ত

মহাভারতেও দেখা যায়, অম্বালিকার সাথে ব্যসদেবের নিয়োগ হয় যখন অম্বালিকার মাসিক চলে,[13]মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ১০৬

নিয়োগ প্রথা - ধর্মীয় পতিতাবৃত্তির ইতিবৃত্ত

নিয়োগ প্রথা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত লিখা পড়ুনঃ

Read More…
নিয়োগ প্রথা - ধর্মীয় পতিতাবৃত্তির ইতিবৃত্ত

আবার হিন্দুধর্মের কিছু গ্রন্থে লেখা আছে যে ঋতুকালে যৌনসহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। এ মর্মে আমাদের এই পোস্ট দেখুনঃ

Read More…
ঋতুবতী নারী - হিন্দুধর্মে নারীর অবস্থান

বিজ্ঞানপড়ুয়ারা জানি, মাসিকের সময় হওয়া যৌনমিলনে নিষেক হয় না। খুব রেয়ারলি হতে পারে, তবে সেটা মাসিকের পর হয়। গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষের শুক্রাণু নারীর দেহে ৫ দিন পর্যন্ত অনিষিক্ত অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারে। এই বেঁচে থাকার মাঝে যদি নারীর মাসিক শেষ হয় এবং নারীর ডিম্বাশয় নিষেকের জন্য উপযোগী হয় তবে।[14]https://www.naturalcycles.com/cyclematters/can-i-get-pregnant-on-my-period কিন্তু হিন্দু সায়েন্স অনুসারে, ঋতুবতী অবস্থায় সেক্স করতে হবে, এবং পুরুষের শুক্রাণু নারীর রক্তের সাথে প্রথম রাত্রেই মিলিত হবে, নিষিক্ত হবে।

হিন্দুদের জন্ম নিয়ে সংশয়

হিন্দু ভাইয়েরা! আপনার বাবা আপনাকে জন্ম দেওয়ার জন্য আপনার মা ঋতুবতী হওয়ার কালে যৌনমিলন করতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার জন্মানোর চান্স কম। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, ঋতু অবস্থা যখন থাকতো না, সে সময়ে অন্য কোনো বীর্যের সন্তান কিনা?

নিয়োগ প্রথাতেও একই সিস্টেম রাখা হয়েছে যাতে করে উক্ত নারীর সহজে সন্তান না হয়, বেশি সংখ্যক বার পরপুরুষ গিয়ে উক্ত নারীকে সম্ভোগ করতে পারে।

শোণিত অর্থ কী?

হিন্দু অ্যাপোলোজিস্টদের বলছেন, শোণিত বলতে আয়ুর্বেদে ডিম্বাণু বোঝায়।

আমরা দেখেছি এখানে পুরাণের শ্লোকগুলোতে অনুবাদকেরা শোণিত লিখেছেন বাংলা অনুবাদের ক্ষেত্রে। আর ইংরেজি অনুবাদকেরা অনুবাদ করেছেন Blood. যেমন স্কন্দপুরাণে আছে,

When auspicious and inauspicious acts become equal in magnitude and when semen and blood become mixed due to the intercourse of a man and a woman, a creature is born undoubtedly.[15]Skanda Purana V.iii.159.33-53, Tr. G.V. Tagare https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/the-skanda-purana/d/doc425888.html

উপরে উল্লেখিত শ্লোকগুলোর ক্ষেত্রে বায়ুপুরাণ, পদ্মপুরাণের মূল সংস্কৃতে এসেছে ‘রক্ত’ শব্দটি। রক্ত শব্দ কখনো ডিম্বাণু বোঝায় এমনটা কি দেখাতে পারবেন কেউ? এখানে রক্ত ও শোণিত উভয় অর্থই ব্যবহৃত হয়েছে। যা দ্বারা আমরা আমাদের রক্তই বুঝে থাকি।

তাছাড়া মৎস্যপুরাণে ‘menstrual flow’ এর কথা এসেছে, এটা দিয়েও মাসিকের রক্তই বোঝায়। পদ্মপুরাণে স্পষ্ট লেখা আছে ঋতুকালে স্ত্রীর যোনিতে প্রবেশ করে রক্তের সাথে মিশ্রিত হয়, যাকে কলল বলা হয়। এখন ঋতুকালে স্ত্রীরক্ত বলতে আপনি কী বুঝবেন?

এখন পুরাণে যেহেতু Red Blood উদ্দেশ্য, তাই আয়ুর্বেদেও মূলত এই রক্তকেই ডিম্বকোষ ভাবা হয়েছে।

ইসলামের সাথে তুলনামূলক পর্যালোচনা

ইসলাম মতে, নারী পুরুষের বীর্য আলাদা। [16]আবু দাউদ ২৩৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=57555 তাদের সংমিশ্রণেই ভ্রুণ তৈরি হয়।

আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সংমিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে তাকে পরীক্ষা করার জন্য, এজন্য তাকে করেছি শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী।[17]কুর’আন ৭৬:২

আর ঋতু অবস্থায় যৌনমিলন[18]https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/8885071/ ইত্যাদি ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে।[19]কুর’আন ২:২২২

Footnotes

Footnotes
1 বরাহপুরাণ ১২৫/১৪
2 বায়ুপুরাণ ১৪/১৭-২৪
3 ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, (পঞ্চানন তর্করত্ন), প্রকৃতি খণ্ড, ৩৬/১১৭-১৪১ [English, Brahma Vaivarta Purana 35:117-141, Tr. Rajendra Nath Sen]
4 শ্রীমদ্ভাগবত ৩/৩১/২-৫, গীতা প্রেস
5 Matsya Purana 39.10, Tr. Taluqdar of Oudh, Edited by B.D. Basu
6 পদ্মপুরাণ, (২) ভূমিখণ্ড, অধ্যায় ৬৬, শ্লোক ২৮-৩০

English, Padma Purana 2.66.22-38 N.A. Deshpande

7 ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ ২.৩.৭২.৪১-৪৭

Brahmanda Purana 2.3.72.42-47, Tr. G.V. Tagare

8 Skanda Purana V.iii.159.33-53, Tr. G.V. Tagare
9 মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ৮৩ – যযাতি হইতে যদু প্রভৃতির জন্ম । যযাতির প্রতি শুক্রের শাপ, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ [Google Books]
10 মহাভারত, শান্তিপর্ব, অধ্যায় ৬১, অনুবাদঃ কালীপ্রসন্ন সিংহ [Google Books]
11 যাজ্ঞবল্ক্যসংহিতা ১/৬৭-৭০
12 গরুড়পুরাণ, পূর্বখণ্ড, অধ্যায় ৯৫, শ্লোক ১৬-১৭, রসিকমোহন
13 মহাভারত, আদিপর্ব, অধ্যায় ১০৬
14 https://www.naturalcycles.com/cyclematters/can-i-get-pregnant-on-my-period
15 Skanda Purana V.iii.159.33-53, Tr. G.V. Tagare https://www.wisdomlib.org/hinduism/book/the-skanda-purana/d/doc425888.html
16 আবু দাউদ ২৩৭ http://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=57555
17 কুর’আন ৭৬:২
18 https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/8885071/ ইত্যাদি
19 কুর’আন ২:২২২

ইন্দো আর্য

❝গোবর খেলে করোনা সারে।❞ – গোবেদ ১/৬৯/৬৯ করোনা থেকে বাঁচতে গোবর খেয়েছিলাম। গোরুর কৃপায় এখন আমার HIV পজিটিভ।
3.3 4 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
Back to top button
FromMuslims We would like to show you notifications for the latest updates.
Dismiss
Allow Notifications