ভারতহিন্দু কর্তৃক ধর্ষণ

বিহারে দুই বছর ধরে স্কুলে ধর্ষণের শিকার মুসলিম কিশোরী, অভিযুক্ত গ্রেফতার

ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী, একজন মহিলা শিক্ষক কক্ষে থাকতেন যেখানে অভিযুক্তরা তার জন্য অপেক্ষা করত

বিহারের সাহারসা জেলার একটি স্কুলে দুই বছর ধরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার পুলিশ এ কথা জানায়।

ওই স্কুলের পরিচালকের ছেলে সম্রাট বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি দুই বছর ধরে সংখ্যালঘু (মুসলিম) সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রীকে বারবার ধর্ষণ করে আসছিল।

ভুক্তভোগীর বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্তের সঙ্গে স্কুলের এক মহিলা শিক্ষিকা থাকতেন। শিক্ষক ভুক্তভোগীকে এমন একটি ঘরে নিয়ে যেতেন যেখানে অপরাধী অপেক্ষা করত।

নির্যাতিত মুসলিম মেয়েটি জানায়, বিশ্বাস নিয়মিত তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে অনিতা নামে এক নারী হিন্দু শিক্ষিকার সহায়তায় ধর্ষণ করত। অনিতা তাকে একটি ঘরে নিয়ে যেতেন, বাতি বন্ধ করে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দিতেন এবং বিশ্বাস তাকে ধর্ষণ না করা পর্যন্ত পাহারা দিতেন।

“অপরাধীর ভয় এবং লোকলজ্জার কারণে ভুক্তভোগী কিছুই প্রকাশ করেননি, যা অপরাধীকে অপরাধের পুনরাবৃত্তি করতে উত্সাহিত করেছিল। নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, “তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি এবং ভেবেছিল যে নির্যাতিতা স্কুলে যেতে আগ্রহী নয়।”

ক্রমাগত শ্লীলতাহানির কারণে ভুক্তভোগী হতাশায় পড়ে যান এবং প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হন। অবশেষে, তিনি তার পরিবারের কাছে তার উপর হওয়া নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেন।

পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ ভার্মা জানিয়েছেন, “নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে POSCO আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং পুলিশ পাটনা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার আরও তদন্ত চলমান অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, স্কুলের পরিচালক জানিয়েছেন যে বিষয়টি বিচারাধীন এবং যদি অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হয় তবে তাকে অবশ্যই কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

    Source
    The Siasat DailyDOAM - Documenting Oppression Against Muslims
    0 0 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    0 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button