হিন্দুত্ববাদ

‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় এবার ট্রেনের নিচে ফেলা হলো মাদ্রাসা শিক্ষককে

‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল এবার কলকাতায়। হুগলির এক মাদ্রাসার শিক্ষক মুহাম্মদ শাহরুখ হালদার ২০ জুন (২০১৯) আপ ক্যানিং লোকালে শিয়ালদা আসছিলেন। শাহরুখের অভিযোগ, সে সময়েই ‘হিন্দু সংহতি সংঘ’-এর ফেট্টি মাথায় পরা প্রায় ১৫ -২০ জন তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে জোর করে এবং তা বলতে অস্বীকার করলে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। প্রথমে চড়, ঘুসি চলে। পরে তাঁকে হঠাৎ চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঢাকুরিয়া স্টেশন পেরোনোর সময়ে থেকেই মারধর চলে। পার্কসার্কাস স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পরে তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষক হতাশ হয়ে জানিয়েছেন, ওই ট্রেনে একজনও তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।

পার্কসার্কাস স্টেশনে লোকজন এসে তাঁকে মাথায় পানি দেন এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। শাহরুখের ডান চোখে আঘাত রয়েছে যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই তপসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ট্রেনে এই ঘটনা ঘটায় বালিগঞ্জ জিআরপি-তেও অভিযোগ জানানো হয়৷

তবে ঘটনার পরে হিন্দু সংহতি সংঘের পক্ষ থেকে দেবতনু ভট্টাচার্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, এমন কিছুই করা হয়নি। বরং এই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তাঁদের সমর্থকরা দিচ্ছিলেন বলে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়াও হয়েছে। তাঁদের এক সমর্থক আহতও হয়েছেন। আর জয় শ্রীরাম কেউ না বললে, তাঁকে আঘাত করা তাঁদের ‘কালচারের মধ্যে পড়ে না। ’

দু-চার দিন আগেই ঝাড়খণ্ডের খরসাবত জেলায় চোর সন্দেহে তবরেজ আনসারি নামের এক যুবককে বৈদ্যুতিক থামের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। একটানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে তাঁকে অকথ্য অত্যাচারের পরে মারা যায় সেই ২৪ বছরের যুবক। ঝাড়খণ্ডের মতো পশ্চিমবঙ্গেও অসহিষ্ণুতার আঁচ এসে পড়ছে!

    0 0 votes
    Article Rating
    Subscribe
    Notify of
    0 Comments
    Oldest
    Newest Most Voted
    Inline Feedbacks
    View all comments
    Back to top button