গৌতম বুদ্ধ কি বেদ পাঠের শিক্ষা দিতেন?
হিন্দু ব্রাহ্মণদের ধর্মপ্রচারের প্রধান হাতিয়ার হলো মিথ্যাচার। সেটারই অংশ হিসাবে তারা দাবি করে আসছে গৌতম বুদ্ধ নাকি তাদের ধর্মই প্রচার করতেন, আর তাদেরই বেদগ্রন্থগুলো প্রচার করতেন। আসুন সেই পবিত্র মিথ্যাচারগুলো ত্রিপিটক দিয়েই খণ্ডন করি।
ত্রিপিটক অনুযায়ী বেদ কী? বেদজ্ঞ কাকে বলে?
অবশ্যই ত্রিপিটকের বিভিন্ন জায়গায় বেদ শব্দটি এসেছে, কিন্তু আগে বুঝতে হবে বেদ মানে কী বোঝানো হয়েছে।
“বিদ্বা” অর্থে বিদ্বান, বিদ্যাগত, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, মেধাবী। বেদ বা পরিজ্ঞান বলতে চারি মার্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রজ্ঞেন্দ্রিয়, প্রজ্ঞাবল, ধর্মবিচয় সম্বোধ্যঙ্গ, মীমাংসা, বিদর্শন, সম্যক দৃষ্টি। সেই বেদসমূহ দ্বারা (তাঁরা) জন্ম-জরা-মরণের অন্তগত, অন্তপ্রাপ্ত; সীমাগত, সীমাপ্রাপ্ত; প্রান্তগত, প্রান্তপ্রাপ্ত; অবসানগত, অবসানপ্রাপ্ত; ত্রানগত, ত্রানপ্রাপ্ত; লীনগত, লীনপ্রাপ্ত; শরণগত, শরণপ্রাপ্ত; অভয়গত, অভায়প্রাপ্ত; অচ্যুতগত, অচ্যুতপ্রাপ্ত; অমৃতগত, অমৃতপ্রাপ্ত; নির্বাণগত, নির্বাণপ্রাপ্ত; অথবা বেদসমূহের অন্তগত হন বলে বেদজ্ঞ, বেদসমূহ দ্বারা অন্তগত বলে বেদজ্ঞ, সপ্ত ধর্ম বিদিত বলে বেদজ্ঞ। (সেই বেদজ্ঞের) সৎকায়দৃষ্টি বিদিত হয়, বিচিকিৎসা বিদিত হয়, শীলব্রত-পরামর্শ বিদিত হয়, রাগ বিদিত হয়, দ্বেষ বিদিত হয় এবং পাপজনক অকুশল ধর্ম, পুনজন্ম প্রদানকারী সংক্লেশ, ভয়ানক দুঃখবিপাক, ভবিষ্যতের জন্ম-জরা-মরণ বিদিত হয়।[1]খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/৪. শুদ্ধ-অষ্টক সূত্র বর্ণনা, ভার্স ২৭, ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটি বাংলাদেশ
বেদ বা প্রজ্ঞান বলতে চারি মার্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চবল, ধর্মবিচয় সম্বোধ্যঙ্গ, বীমাংসা, বিদর্শন ও সম্যক দৃষ্টি। (তাঁরা) সেই বেদ বা পরিজ্ঞান দ্বারা জন্ম-জরা-মৃত্যুর অন্তগত, অন্তপ্রাপ্ত; পারগত, পারপ্রাপ্ত; সীমাগত, সীমাপ্রাপ্ত; অবসানগত, অবসানপ্রাপ্ত; ত্রানগত, ত্রাণপ্রাপ্ত; লেণগত, লেণপ্রাপ্ত; সরণগত, শরণপ্রাপ্ত; অভয়গত, অভয়প্রাপ্ত; অচ্যুতগত, অচ্যুতপ্রাপ্ত; অমৃতগত, অমৃতপ্রাপ্ত; এবং নির্বাণগত ও নির্বাণপ্রাপ্ত। তাঁরা বেদের অন্তগত বলে বেদজ্ঞ, বেদের দ্বারা অন্তগত বলে বেদজ্ঞ, সপ্ত ধর্মে বিদিত হওয়ায় বেদজ্ঞ।[2]খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/৯. মাগণ্ডিয়া সূত্র বর্ণনা, ভার্স ৮১, ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটি বাংলাদেশ
“বিদ্বা” বিদ্বান, বিদ্যাগত, জ্ঞানী, বিভাবী, মেধাবী। ‘বেদ’ বলা হয় চারি মার্গে জ্ঞান… সব বেদনায় বীতরাগী, সব বেদ অতিক্রমকারীকে বেদজ্ঞ বলা হয়।[3]খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/১৫. আত্মদণ্ড সূত্র বর্ণনা, ভার্স ১৮২
“বিদ্বান” বলতে বিদ্যাগত, জ্ঞানী, অভিজ্ঞ, মেধাবী। “যেই” বলতে যা যেরূপ… মানুষ। বেদ বা পরিজ্ঞান বলতে চারি মার্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চবল, ধর্মবিচয় সম্বোধ্যঙ্গ, পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা, বিদর্শন ও সম্যক দৃষ্টি। (তিনি) সেই পরিজ্ঞান দ্বারা জন্ম-জরা-মৃত্যুর অন্তগত, অন্তপ্রাপ্ত; পারগত, পারপ্রাপ্ত; সীমাগত, সীমাপ্রাপ্ত; অবসানগত, অবসানপ্রাপ্ত; ত্রাণগত, ত্রাণপ্রাপ্ত; লেণগত, লেণপ্রাপ্ত; শরণগত, শরণপ্রাপ্ত; অভয়গত, অভয়প্রাপ্ত; অচ্যুতগত, অচ্যুতপ্রাপ্ত; অমৃতগত, অমৃতপ্রাপ্ত এবং নির্বাণগত ও নির্বাণপ্রাপ্ত। পরিজ্ঞানে অন্তর্গত বলে বেদজ্ঞ বা পারদর্শী, পরিজ্ঞানের দ্বারা অন্তর্গত বলে পারদর্শী, সপ্ত ধর্মে বিদিত হওয়ায় বেদজ্ঞ বা পারদর্শী।[4]খুদ্দকনিকায়ে চূলনির্দেশ/পারায়ণ-বর্গ বর্ণনা (নির্দেশ), ভার্স ২৯
অথবা চারি মার্গের পূর্বভাগে বিদর্শন, এগুলোকে বোধির অনুধর্ম বলা হয়—সম্বোধিকামীর যথানুধর্ম।[5]খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/১৬. সারিপুত্র সূত্র বর্ণনা, ভার্স ১৯৮
“পরিজ্ঞান” (ক্ষদো) বলতে চারি মার্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চবল… ধর্মবিচয় সম্বোধ্যঙ্গ, বীমাংসা, বিদর্শন ও সম্যক দৃষ্টি। ভগবান সেই পরিজ্ঞান দ্বারা জন্ম-জরা-মৃত্যুর অন্তগত, অন্তপ্রাপ্ত; পারগত, পারপ্রাপ্ত; সীমাগত, সীমাপ্রাপ্ত; অবসানগত, অবসানপ্রাপ্ত; ত্রাণগত, ত্রাণপ্রাপ্ত; লেণগত, লেণপ্রাপ্ত; শরণগত, শরণপ্রাপ্ত; অভয়গত, অভয়প্রাপ্ত; অচ্যুতগত, অচ্যুতপ্রাপ্ত; অমৃতগত, অমৃতপ্রাপ্ত এবং নির্বাণগত ও নির্বাণপ্রাপ্ত। (তিনি) বেদের অন্তর্গত বলে বেদগূ; সপ্ত ধর্মে বিদিত বলে বেদগূ; (তিনি) সৎকায়দৃষ্টি বিদিত হন, বিচিকিৎসা বিদিত হন, শীলব্রত-পরামর্শ বিদিত হয়, রাগ, দ্বেষ, মোহ ও মান বিদিত হন, পাপমূলক অকুশলধর্ম, সংক্লেশ, পুনর্জন্মদায়ক ভয়ানক দুঃখবিপাক ও ভবিষ্যৎ জন্ম-জরা-মৃত্যু সম্বন্ধে বিদিত হন।[6]খুদ্দকনিকায়ে চূলনির্দেশ/পারায়ণ-বর্গ বর্ণনা (নির্দেশ), ভার্স ১৮
বৌদ্ধধর্মের বেদ বনাম হিন্দুধর্মের বেদ
আমরা ইতোমধ্যেই ত্রিপিটকের মধ্যে দেখেছি যে, বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী বেদ মানে হচ্ছে জ্ঞান, আর জ্ঞানীকে বেদজ্ঞ বলা হয়, সর্বোচ্চ জ্ঞানীকে বেদগূ বলা হয়। বৌদ্ধধর্ম বিভিন্ন রকমের বেদ বা পরিজ্ঞানের কথা বলে।
হে ভিক্ষুগণ, কিরূপে ভিক্ষু পানীয় জানে না? হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু তথাগত-প্রবর্তিত ধর্মবিনয় উপদিষ্ট হইলে উহাতে অর্থবেদ (অর্থজ্ঞান-উদ্দীপনা) ও ধর্মবেদ (ধর্মজ্ঞান-উদ্দীপনা) লাভ করে না, ধর্মস্ফূর্ত প্রফুল্লতা লাভ করে না। এইরূপেই, হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু পানীয় জানে না।[7]মধ্যমনিকায়, মূল পঞ্চাশ, ৪. মহাযমক বর্গ, ৩৩. মহাগোপালক সূত্র, ভার্স ২ এর অংশবিশেষ
“হে ভিক্ষুগণ, আমি তোমাদের পরিজ্ঞান [সর্বতোভাবে জানা] ও পরিজ্ঞেয় [সর্বতোভাবে জানা উচিত] বিষয়ে দেশনা করব। তা শুন। হে ভিক্ষুগণ, পরিজ্ঞেয় বিষয়গুলো কিরূপ? হে ভিক্ষুগণ, রূপ পরিজ্ঞেয় বিষয়, বেদনা পরিজ্ঞেয় বিষয়, সংজ্ঞা পরিজ্ঞেয় বিষয়, সংস্কার পরিজ্ঞেয় বিষয়, বিজ্ঞান পরিজ্ঞেয় বিষয়। হে ভিক্ষুগণ, ‘পরিজ্ঞেয় বিষয়গুলো’ একেই বলা হয়। হে ভিক্ষুগণ, পরিজ্ঞান কিরূপ? হে ভিক্ষুগণ, যেই রাগক্ষয়, দ্বেষক্ষয় ও মোহক্ষয়। হে ভিক্ষুগণ, একেই বলা হয় ‘পরিজ্ঞান’।”[8]১. স্কন্দসংযুক্ত, ৩. ভার বর্গ, ২. পরিজ্ঞান সূত্র, ভার্স ২৩
আর অন্যদিকে হিন্দুধর্মে বা ব্রাহ্মণ্যবাদী ধর্মে বেদ হলো ঋষিদের লেখা ৩টি[9]মনুসংহিতা ১/২৩ মতান্তরে ৪টি[10]বৃহদারণ্যক উপনিষদ ২/৪/১০ মন্ত্রসংবলিত এবং ব্যাখ্যাসংবলিত (ব্রাহ্মণ গ্রন্থ)[11]Purva Mimamsa Sutra Of Jaimini 2/1/32-33 পুস্তক। যথাঃ ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ (মতভেদ আছে)।
সিলিন্ডারাকৃতির কিছু দেখলেই যেমন হিন্দুরা শিবলিঙ্গ বলে ঝাপিয়ে পড়ে, সেইরকমভাবেই ত্রিপিটকে ‘বেদ’ শব্দটি দেখে ঝাপিয়ে পড়েছে।
বৌদ্ধধর্মে সংস্কৃত ভাষায় ধর্মপ্রচারের নিয়ম নেই
এরপর ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে বললেন, ভিক্ষুগণ, বুদ্ধবচন ছন্দে আরোপিত সংস্কৃত ভাষায় পরিবর্তন করতে পারবে না। যে পরিবর্তন করবে তার দুক্কট অপরাধ হবে। হে ভিক্ষুগণ, আমি অনুজ্ঞা করছি, স্বীয় স্বীয় ভাষায় বুদ্ধবচন শিক্ষা করবে।[12]বিনয়পিটকে চূলবর্গ/ ৫. ক্ষুদ্র বিষয় অধ্যায়, ভার্স ২৮৫
অথচ, দয়ানন্দভক্ত হিন্দুরা দাবি করে গৌতম বুদ্ধ নাকি তাদের জেন্দা তথা সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদগ্রন্থগুলি প্রচার করেছেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কীভাবে বেদজ্ঞ হয়?
“হে ভিক্ষুগণ, কিভাবে বেদজ্ঞ হয়? হে ভিক্ষুগণ, ভিক্ষু যে ছয় স্পর্শায়তনের সমুদয় (উৎপত্তি), অস্তগমন (বিলয়), আস্বাদ, আদীনব (দোষ/উপদ্রব) ও নিঃসরণকে (মুক্তিকে) যথাযথভাবে সম্যক প্রজ্ঞার দ্বারা জানে; ভিক্ষুগণ, এভাবে ভিক্ষু বেদজ্ঞ হয়।”[13]ষড়ায়তন-বর্গ/১. ষড়ায়তন-সংযুক্ত, ১২০৩, ১০. রুদ্রক সূত্র, ১০৩.২
“সপ্ত বিষয় জেনে একজন লোক বেদজ্ঞ হয়। সপ্ত বিষয়-সৎকায়দৃষ্টি, বিচিকিৎসা (সন্দেহ), শীলব্রত পরামর্শ, রাগ, দ্বেষ, মোহ, মান এসব দূরীভূত করে বেদজ্ঞ হয়।”[14]৭. সপ্তক নিপাত/৯. বর্গ সংগৃহীত সূত্র/শ্রমণ বর্গ, ৬. বেদজ্ঞ সূত্র, ৯০
আর হিন্দু ধর্মানুযায়ী বেদজ্ঞ বলতে যারা ৪ টি বেদ গ্রন্থে অভিজ্ঞ তারা।
বেদবিরোধী গৌতম বুদ্ধ এবং ত্রিপিটক
গৌতম বুদ্ধ আর তার শিষ্যরা ব্রাহ্মণদের বেদগ্রন্থের কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন না। বর্ণভেদে তারা বিশ্বাস করতেন না। এগুলোকে তারা মিথ্যা আখ্যা দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, হিন্দুদের ঋগ্বেদ ও শুক্লযজুর্বেদের পুরুষসুক্ত দেখা যাক। ঋগ্বেদ ১০ম মণ্ডলের ৯০ সুক্তে আছে,
১১। পুরুষকে খণ্ড খণ্ড করা হইল, কয় খণ্ড করা হইয়াছিল? ইহার মুখ কি হইল, দুই হস্ত, দুই উরু, দুই চরণ, কি হইল?।
১২। ইহার মুখ ব্রাহ্মণ হইল, দুই বাহু রাজন্য হইল; যাহা উরু ছিল, তাহা বৈশ্য হইল, দুই চরণ হইতে শূদ্র হইল।[15]ঋগ্বেদ ১০/৯০/১১-১২, রমেশচন্দ্র দত্ত
একই কথা শুক্লযজুর্বেদেও আছে,
ব্রাহ্মণ এ প্রজাপতির মুখ উৎপন্ন হয়েছিলো, ক্ষত্রিয় এর বাহুদ্বয় থেকে, উরুদ্বয় থেকে বৈশ্য এবং পাদদ্বয় থেকে শুদ্র উৎপন্ন হয়েছিলো।[16]শুক্লযজুর্বেদ ৩১/১১, বিজনবিহারী গোস্বামী
এ হলো ব্রাহ্মণদের বর্ণপ্রথার ভিত্তি। না, না এখানে আবার তাকিয়াবাজি শুরু করে এই অনুবাদকে জাল বলতে আসবেন না যেনো! ঠিক এই কথাই ব্রাহ্মণ্যবাদীরা হাজার বছর ধরে প্রচার করে আসছে, সেটাই দেখবো। বেদের এসব কুঃসংস্কারের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন বৌদ্ধরা।
এদিকে গৌতম বুদ্ধ কী বলছেন দেখিঃ[17]দীর্ঘ-নিকায় (তৃতীয় খণ্ড), পাটিক বর্গ, অগ্গঞ্ঞ সূত্রান্ত, ১-৯, পৃ ৭৬-৭৮, মহাবোধি সোসাইটি, কলিকাতা
অর্থাৎ, বোঝা গেলো “ব্রহ্মার (প্রজাপতি) মুখ থেকে ব্রাহ্মণদের জন্ম হওয়া” – এই কাহিনি সুদীর্ঘকাল ধরে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা প্রচার করে এসেছে। যেটা তাদের বেদসংহিতায় দেখা যায়। আর বৌদ্ধরা সেটাকেই মিথ্যা বলে এসেছে।
এখানে বলাই আছে ব্রাহ্মণ্যবাদ ত্যাগ করে, গৌতম বুদ্ধ একটি নাম নিয়েছেন, তা হলো শ্রমণ, সবাইকে সে নামই ব্যবহার করতে বলেছেন। আর সব ছাত্র/ছাত্রীদেরকে এসব বৈদিক কুসংস্কার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। অন্যান্য বুদ্ধরাও ব্রাহ্মণদের কথাকে নিছক প্রচলিত/প্রবাদ হিসাবেই নিতেন। যেমন এখানে কাত্যায়ন বুদ্ধের কথাই দেখা যাক,[18]মধ্যম-নিকায়, খণ্ড ২, মধ্যম পঞ্চাশ, ৪. রাজবর্গ, ৮৪. মধ্যম সূত্র, ৩১৭-৩১৯, অনুবাদকঃ ধর্ম্মাধার মহাস্থবির, শ্রীত্রিপিটক প্রকাশনী প্রেস, পৃ ২২৮-২২৯
ব্রাহ্মণদের এসব মিথ্যাচার-অপবাদ প্রচার করেন নি যে সেটাই প্রমাণিত হচ্ছে এখানে।
গৌতম বুদ্ধ পুরাতন জ্ঞান প্রচার করেন নি
এমন কোথাও প্রমাণ নেই যে গৌতম বুদ্ধ তার আগে লিখিত ঋগ্বেদ-যজুর্বেদ-সামবেদ প্রচার করেছেন। সব বৌদ্ধরাই জানে তিনি নতুন জ্ঞান প্রচার করতেন।[19]https://www.buddhanet.net/bud_lt10.htm
গৌতম বুদ্ধের ব্রাহ্মণীকরণ
আমরা এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো যে কীভাবে ব্রাহ্মণরা গৌতম বুদ্ধকে মহাভারত-পুরাণে ঢুকিয়েছে। এবং সেই অছিলায় একের পর এক বৌদ্ধবিহার দখল করেছে।
Footnotes
⇧1 | খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/৪. শুদ্ধ-অষ্টক সূত্র বর্ণনা, ভার্স ২৭, ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটি বাংলাদেশ |
---|---|
⇧2 | খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/৯. মাগণ্ডিয়া সূত্র বর্ণনা, ভার্স ৮১, ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটি বাংলাদেশ |
⇧3 | খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/১৫. আত্মদণ্ড সূত্র বর্ণনা, ভার্স ১৮২ |
⇧4 | খুদ্দকনিকায়ে চূলনির্দেশ/পারায়ণ-বর্গ বর্ণনা (নির্দেশ), ভার্স ২৯ |
⇧5 | খুদ্দকনিকায়ে মহানির্দেশ/১৬. সারিপুত্র সূত্র বর্ণনা, ভার্স ১৯৮ |
⇧6 | খুদ্দকনিকায়ে চূলনির্দেশ/পারায়ণ-বর্গ বর্ণনা (নির্দেশ), ভার্স ১৮ |
⇧7 | মধ্যমনিকায়, মূল পঞ্চাশ, ৪. মহাযমক বর্গ, ৩৩. মহাগোপালক সূত্র, ভার্স ২ এর অংশবিশেষ |
⇧8 | ১. স্কন্দসংযুক্ত, ৩. ভার বর্গ, ২. পরিজ্ঞান সূত্র, ভার্স ২৩ |
⇧9 | মনুসংহিতা ১/২৩ |
⇧10 | বৃহদারণ্যক উপনিষদ ২/৪/১০ |
⇧11 | Purva Mimamsa Sutra Of Jaimini 2/1/32-33 |
⇧12 | বিনয়পিটকে চূলবর্গ/ ৫. ক্ষুদ্র বিষয় অধ্যায়, ভার্স ২৮৫ |
⇧13 | ষড়ায়তন-বর্গ/১. ষড়ায়তন-সংযুক্ত, ১২০৩, ১০. রুদ্রক সূত্র, ১০৩.২ |
⇧14 | ৭. সপ্তক নিপাত/৯. বর্গ সংগৃহীত সূত্র/শ্রমণ বর্গ, ৬. বেদজ্ঞ সূত্র, ৯০ |
⇧15 | ঋগ্বেদ ১০/৯০/১১-১২, রমেশচন্দ্র দত্ত |
⇧16 | শুক্লযজুর্বেদ ৩১/১১, বিজনবিহারী গোস্বামী |
⇧17 | দীর্ঘ-নিকায় (তৃতীয় খণ্ড), পাটিক বর্গ, অগ্গঞ্ঞ সূত্রান্ত, ১-৯, পৃ ৭৬-৭৮, মহাবোধি সোসাইটি, কলিকাতা |
⇧18 | মধ্যম-নিকায়, খণ্ড ২, মধ্যম পঞ্চাশ, ৪. রাজবর্গ, ৮৪. মধ্যম সূত্র, ৩১৭-৩১৯, অনুবাদকঃ ধর্ম্মাধার মহাস্থবির, শ্রীত্রিপিটক প্রকাশনী প্রেস, পৃ ২২৮-২২৯ |
⇧19 | https://www.buddhanet.net/bud_lt10.htm |