খ্রিস্টানদের কি নাজাত আছে? কুরআন-বাইবেল কী বলে?

আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রশংসা এক মাত্র মহান আল্লাহর।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে যাচ্ছি। কারন এ বিষয় টা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, তা নিয়ে পথভ্রষ্ট খ্রিস্টানরা প্রচুর মিথ্যাচার করে। তারা বলে যে মুসলমানদের নাকি কোনো নাজাত নেই। তারা কেউ স্বর্গে যেতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে এসব হলো খ্রিস্টানদের ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। কারন পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র ইসলাম ধর্ম ও কুরআনেই সরাসরি মানুষদের নাজাতের নিশ্চয়তা দেয়। আর খ্রিস্টানদের বাইবেল অনুযায়ী সকল মানুষ তো দূরের কথা খ্রিস্টানরাও নাজাত পাবে না। কারন বাইবেল অনুযায়ী নাজাত পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। তাই আজ আমরা খ্রিস্টানদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবো যে একজন খ্রিস্টানও নাজাত পাবে না।
তো আসুন আমরা সরাসরি আমাদের লেখার মধ্যে প্রবেশ করি।
আমরা আজ সরাসরি বাইবেল থেকে কিছু রেফারেন্স দাড় করাবো যেখান থেকে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ হয়ে যাবে যে খ্রিস্টানদের কোনো নাজাত নেই।
বাইবেল অনুযায়ী খ্রিস্টানদের কোনো নাজাত নেই
- কারো কাছে একটি পয়সা থাকলেও সে স্বর্গে যাবে না বা নাজাত নেই।
আমি তোমাকে সত্যি বলছি, শেষ পয়সাটা না দেওয়া পর্যন্ত তুমি সেখান থেকে কিছুতেই ছাড়া পাবে না।[1]মথিঃ ৫.২৬
- ইহুদি বা যিহুদাদের থেকে বেশি ধার্মিক না হতে পারলে সে স্বর্গে যেতে পারবে না বা তার নাজাত নেই।
আমি তোমাদের বলছি, ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীদের ধার্মিকতার চেয়ে তোমাদের যদি বেশী কিছু না থাকে তবে তোমরা কোনমতেই স্বর্গ-রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।[2]মথিঃ ৫.২০
- খুন করলে তার বিচার হবে মানে তার নাজাত সরাসরি বাতিল।
তোমরা শুনেছ, আগেকার লোকদের কাছে এই কথা বলা হয়েছে, ‘খুন কোরো না; যে খুন করে সে বিচারের দায়ে পড়বে।[3]মথিঃ ৫.২১
- নিজের ভাইকে গালি দিলে সে নরকের আগুনে জ্বলবে, নাজাত বাতিল।
কেউ তার ভাইকে বলে, ‘তুমি অপদার্থ,’ সে মহাসভার বিচারের দায়ে পড়বে। আর যে তার ভাইকে বলে, ‘তুমি বিবেকহীন,’ সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে…[4]মথিঃ ৫.২২
- কেউ নিজের ভাইয়ের উপর রাগ দেখালে তার বিচার হবে মানে নাজাত বাতিল।
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ তার ভাইয়ের উপর রাগ করে সে বিচারের দায়ে পড়বে[5]মথিঃ ৫.২২
- স্বর্গ গরিবদের জন্য ধনীদের জন্য না। তার মানে পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিস্টাদের নাজাত নেই।
অন্তরে যারা নিজেদের গরীব মনে করে তারা ধন্য,কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।[6]মথিঃ ৫.৩
- ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী না চললে নাজাত নেই। কারন বর্তমান খ্রিস্টানরা ঈশ্বরের ইচ্ছা না বরং পৌলের ইচ্ছা অনুযায়ী চলে তাই তাদের নাজাত নেই।
ঈশ্বরের ইচ্ছামত চলতে গিয়ে যারা অত্যাচার সহ্য করে তারা ধন্য, কারণ স্বর্গ-রাজ্য তাদেরই।[7]মথিঃ ৫.১০
- নিজের কোনো হাত দিয়ে অন্যায় সংগঠিত হলে সে হাত কেটে ফেলতে হবে মানে নাজাত বাতিল।
যদি তোমার ডান হাত তোমাকে পাপের পথে টানে তবে তা কেটে ফেলে দাও। তোমার সমস্ত দেহ নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং একটা অংশ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।[8]মথিঃ ৫.৩০
- কাউকে ক্ষমা না করলে ঈশ্বর তাকেও ক্ষমা করবে না মানে নাজাত বাতিল।
তোমরা যদি অন্যদের দোষ ক্ষমা কর তবে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা তোমাদেরও ক্ষমা করবেন। কিন্তু তোমরা যদি অন্যদের ক্ষমা না কর তবে তোমাদের পিতা তোমাদেরও ক্ষমা করবেন না।[9]মথিঃ ৬. ১৪-১৫
- খ্রিস্টানরা যিশু কে প্রভু প্রভু করলেই স্বর্গে যাবে না মানে নাজাত নেই ও নাজাত বাতিল।
যারা আমাকে ‘প্রভু, প্রভু’ বলে তারা প্রত্যেকে যে স্বর্গ-রাজ্যে ঢুকতে পারবে তা নয়, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা যে পালন করে সে-ই ঢুকতে পারবে।[10]মথিঃ ৭.২১
- মা-বাবা, ভাই-বোন, সন্তান, স্ত্রী মানে সবাই কে ত্যাগ করে যিশু কে গ্রহন না করলে তার নাজাত নেই।
যে আমার কাছে আসবে সে যেন নিজের বাপ-মা, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে, ভাই-বোন, এমন কি, নিজেকে পর্যন্ত আমার চেয়ে কম প্রিয় মনে করে। তা না হলে সে আমার শিষ্য হতে পারে না।[11]লুকঃ ১৪.২৬
- যে লোক নিজের ক্রুশ নিজে বয়ে যিশুর কাছে আসবে না তার নাজাত নেই।
যে লোক নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে আমার পিছনে না আসে সে আমার শিষ্য হতে পারে না।[12]লুকঃ ১৪.২৭
- সমকামীরা পাপী মানে পশ্চিমা বিশ্বের তিন ভাগ খ্রিস্টানের মধ্যে দুই ভাগ খ্রিস্টানের নাজাত নেই।
পুরুষেরাও ঠিক তেমনি করে স্ত্রীলোকদের সংগে তাদের স্বাভাবিক ব্যবহার ছেড়ে দিয়ে পুরুষদের সংগে কামনায় জ্বলে উঠেছে; পুরুষ পুরুষের সংগে লজ্জাপূর্ণ খারাপ কাজ করেছে। ফলে তারা প্রত্যেকেই তার অন্যায় কাজের পাওনা শাস্তি নিজের মধ্যেই পেয়েছে।[13]রোমীয়ঃ ১.২৭
- রোমীয়ঃ ১ অধ্যায়ে যতগুলো বিধান আছে তা কেউ না মানলে সে শাস্তি পাবেই মানে নাজাত বাতিল
ঈশ্বরের এই বিচারের কথা তারা ভাল করেই জানে যে, এই রকম কাজ যারা করে তারা মৃত্যুর শাস্তির উপযুক্ত।[14]রোমীয়ঃ ১.৩২
- যে অন্য কে বিধান মানতে বলে কিন্তু নিজে মানে না সে দোষী আর ঈশ্বর তাকে শাস্তি দিবেই মানে নাজাত নেই।
যে কাজের জন্য তুমি অন্যদের দোষ দিচ্ছ সেই একই কাজ যখন তুমি নিজেও কর তখন কি ঈশ্বরের শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে বলে মনে কর।[15]রোমীয়ঃ ২.৩
- খ্রিস্টানদের রক্ত রক্ত বলে কোনো লাভ নেই কারন তাদের বিচার দিনে বিচার হবে মানে নাজাত বাতিল।
তাহলে দেখা যায়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজের বিষয়ে ঈশ্বরের কাছে হিসাব দিতে হবে।[16]রোমীয়ঃ ১৪.১২
- মদ খেলে সে দোষী মানে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো খ্রিস্টানের নাজাত নেই।
কিন্তু যদি কেউ সন্দেহ করে কোন কিছু খায় তবে সে দোষী, কারণ সে তার বিশ্বাস মত কাজ করছে না। বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোন কিছু করাই পাপ।[17]রোমীয়ঃ ১৪. ২১-২৩
- যে ভালো কাজ করতে জানে কিন্তু করে না সে পাপী মানে নাজাত বাতিল।
তাহলে দেখা যায়, সৎ কাজ করতে জেনেও যে তা না করে সে পাপ করে।[18]যাকোবঃ ৪.১৭
- কেউ ঈশ্বরের কথা অমান্য করলে সে পাপী মানে নাজাত নেই।
যারা পাপ করে তারা ঈশ্বরের কথা অমান্য করে। পাপ হল ঈশ্বরের কথা অমান্য করা।[19]১ যোহনঃ ৩.৪
- যারা অন্যের দোষ ধরে বিচার দিনে তাদেরও দোষ ধরা হবে মানে নাজাত বাতিল।
তোমরা অন্যের দোষ ধরে বেড়িয়ো না যেন তোমাদেরও দোষ ধরা না হয়, কারণ যেভাবে তোমরা অন্যের দোষ ধর সেইভাবে তোমাদেরও দোষ ধরা হবে, আর যেভাবে তোমরা মেপে দাও সেইভাবে তোমাদের জন্যও মাপা হবে।[20]মথিঃ ৭.১-২
- সূচের ছিদ্র দিয়ে উট যাবে কিন্তু ধনীরা স্বর্গে যাবে না মানে পশ্চিমা বিশ্বের কোনো খ্রিস্টান স্বর্গে যাবে না মানে নাজাত নেই ।
ধনীর পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢুকবার চেয়ে বরং সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।[21]লুকঃ ১৮.২৫
- ধনীদের জন্য স্বর্গে যাওয়া অনেক কঠিন মানে নাজাত বাতিল।
সেই নেতার দিকে তাকিয়ে যীশু বললেন, “ধনীদের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে ঢোকা কত কঠিন।[22]লুকঃ ১৮.২৪
- মূসার বিধানের মধ্যে কেউ একটি বিধান লঙ্ঘন করলে সে স্বর্গ রাজ্যের সব চাইতে ছোট হবে মানে নাজাতের নিশ্চয়তা নেই বললেও চলে।
তাই আদেশগুলোর মধ্যে ছোট একটা আদেশও যে কেউ অমান্য করে এবং লোককে তা অমান্য করতে শিক্ষা দেয় তাকে স্বর্গ-রাজ্যে সবচেয়ে ছোট বলা হবে।[23]মথিঃ ৫.১৯
- যারা লোক দেখানো কাজ করে তারা স্বর্গ রাজ্যের পিতা মানে ঈশ্বরের কাছে থেকে কোনো পুরস্কার পাবে না মানে নাজাত বাতিল।
সাবধান, লোককে দেখাবার জন্য ধর্মকর্ম কোরো না; যদি কর তবে তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার কাছ থেকে কোন পুরস্কার পাবে না।[24]মথিঃ ৬.১
- যারা ধর্ম সম্পন জোর করে তাদের মুক্তি বা নাজাত নেই।[25]মথিঃ ৬. ১৯ ও ২৪
দেখুন আমরা সুস্পষ্ট ভাবে বাইবেল থেকে রেফারেন্স ভিত্তিক তুলে ধরলাম যে খ্রিস্টানদের নাজাত নেই। বরং তারা সবাই নরকে যাবে। আর তাদের হাতে গুনা কিছু সংখ্যক মানুষ নাজাত পেতে গেলেও আসমান আর জমিন এক হতে হবে তার আগে না। তো আসুন আরো কিছু পয়েন্ট তুলে ধরি।
খ্রিস্টানদের মধ্যে যারা
- মূর্তিপূজারী
- লোভী
- মদ খোর
- ধোঁকাবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি
এরা কেউ স্বর্গে যাবে না।[26]১ করিন্থীয়ঃ ৫.১১[27]২ করিন্থীয়ঃ ৬.৯[28]প্রকাশিত বাক্যঃ ২১.৮[29]প্রকাশিত বাক্যঃ ২২.১৫
তো আসুন এবার আমরা দেখবো যে কুরআন মুসলমানদের নাজাতদের সম্পর্কে কি বলে। কারন কুরআন আমাদের বার বার জান্নাতের কথা বলেছে। আর কুরআন অনুযায়ী স্বর্গ বা জান্নাতে যাওয়া অনেক সহজ। আর কুরআন আমাদের ৫৭ বার জান্নাতের কথা বলেছে। তো আসুন আর দেরি না করে আমরা সরাসরি আমাদের লেখার মধ্যে প্রবেশ করি।
কুরআন মুসলমানদের নাজাত সম্পর্কে কি বলে?
মহান আল্লাহ সকলের নাজাতের জন্য চারটি শর্ত দিয়েছেন যথাঃ
○ وَ الۡعَصۡرِ﴿۲﴾ اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ٪﴿۳﴾
অর্থঃ ১. কসম যুগের (সময়ের)।
২.নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মাঝে নিপতিত।
৩. কিন্তু তারা নয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আর পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে হকের এবং উপদেশ দিয়েছে ধৈর্যের।[30]সুরা আসরঃ ১-৩
তো আমরা সুরা আসরের তিন নং আয়াত থেকে একজন মানুষ কি ভাবে বা সকল মানুষ কি ভাবে মুক্তি বা নাজাত পেতে পারে সেটা সুস্পষ্ট আমরা বুঝতে পেরেছি। কারন আমরা উপরের সুরা আসর থেকে চারটি পয়েন্ট পেয়ে থাকি তা হলোঃ
- বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে / ইমান আনতে হবে।
- ইমান আনার পরে সৎকাজ করতে হবে।
- পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিতে হবে।
- ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত তাফসিরঃ
১. বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে / ইমান আনতে হবে।
আমরা আমাদের প্রথম পয়েন্টে পাচ্ছি যে আমাদের ইমান বা বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। তো এখন আমরা কার কার বিশ্বাস স্থাপন করবো সেটাও মহান আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন দেখুনঃ
- সুরা বাকারাঃ ২৮৫ ও ২৮৬
- সুরা বাকারাঃ ৩
- সুরা বাকারাঃ ১৭৭
২. ইমান আনার পরে সৎকাজ করতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন আমাদের ইমান বা বিশ্বাস স্থাপন করার পরের দায়িত্ব হলো সৎকর্ম করা বা ভালো ভালো কাজ করা। এখন ভালো ভালো কাজ কি সেটাও মহান আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন দেখুনঃ
- সুরা বানী-ইসরাঈলঃ ২৩-৪০
- সুরা ফুরকানঃ ৬৩-৭০
- সুরা লোকমানঃ ১৩-২০
- সুরা আহকাফঃ ১৫
- সুরা তাওবাহঃ ১১১
- সুরা সফঃ ১০-১২
- সুরা মুমিনুনঃ ১-১১
- সুরা মাআরিজঃ ২৬-৪৪
৩. পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দিতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের তিন নাম্বার পয়েন্টে শিক্ষা দিচ্ছেন যে আমরা যেন সবাই সবাইকে সত্যের উপদেশ দেয়। তো এখন আমরা কি ভাবে উপদেশ দিবো আর উপদেশ দেওয়ার সময় কি কি বলতে হবে সব জানিয়ে দিচ্ছেন মহান আল্লাহ দেখুনঃ
- সুরা বাকারাঃ ১৬৯
- সুরা ইমরানঃ ১০৪
- সুরা ইমরানঃ ১১০
- সুরা ইমরানঃ ১১৪
- সুরা তাওবাহঃ ৭১
- সুরা হাজ্জঃ ৪১
- সুরা নাহলঃ ৯০
৪. ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের চার নাম্বার পয়েন্টে এসে ধৈর্যের কথা জানিয়ে দিচ্ছেন। কারন উপরে তিনটি পয়েন্ট মানতে গেলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার বা আমার ধৈর্য দরকার, সেটাও মহান আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন দেখুনঃ
- সুরা বাকারাঃ ৪৫
- সুরা বাকারাঃ ১৫৩
- সুরা ইমরানঃ ১২০
- সুরা ইমরানঃ ১২৫
- সুরা ইমরানঃ ১৮৬
- সুরা ইমরানঃ ২০০
- সুরা আনফালঃ ৪৬
- সুরা ত্ব-হাঃ ১৩০
- সুরা আনকাবুতঃ ৫৯
- সুরা লুকমানঃ ১৭
- সুরা গাফিরঃ ৫৫
- সুরা ইনসানঃ ২৪
মুসলমানদের নাজাত বা মুক্তির সম্পর্কে মহান আল্লাহর জানিয়ে দেওয়া কুরআনের কিছু অমূল্য বানী:
আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ করেছে তাদেরকে শুভ সংবাদ দিন যে, তা দের জন্য রয়েছে জান্নাত, জার তলদেশে নদী প্রবাহিত।[31]সুরা বাকারাঃ ২৫
বলুন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এসব বস্তু থেকে উৎকৃষ্টতর কোন কিছুর সংবাদ দেব? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর পবিত্র স্ত্রীগণ এবং আল্লাহ্র নিকট থেকে সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ্ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা।[32]সুরা ইমরানঃ ১৫
কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম।[33]সুরা ইমরানঃ ১৯৮
অবশ্যই আমাদের রবের রাসূলগণ সত্য নিয়ে এসেছিলেন।’ আর তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, “তোমরা যা করতে তারই জন্য তোমাদেরকে এ জান্নাতের ওয়ারিস করা হয়েছে।’[34]সুরা আরাফঃ ৪৩
আর যারা ভাগ্যবান হয়েছে তাঁরা থাকবে জান্নাতে, সেখানে তাঁরা স্থায়ি হবে ,যতদিন আকাশমণ্ডলী ও যমীন বিদ্যমান থাকবে, যদি না আপনার রব অন্যরূপ ইচ্ছে করেন এটা এক নিরবিচ্ছিন্ন পুরস্কার।[35]সুরা হুদঃ ১০৮
স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং এটা তাদেরই পুরস্কার যারা পরিশুদ্ধ হয়।[36]সুরা ত্বাহাঃ ৭৬
নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত;।[37]সুরা লুকমানঃ ৮
যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তাদের কৃতকর্মের ফলসরূপ তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে জান্নাতের বাসস্থান।[38]সুরা সিজদাহ্ঃ ১৯
আর এটাই জান্নাত, তোমাদেরকে যার অধিকারী করা হয়েছে, তোমাদের কাজের ফলস্বরূপ।[39]সুরা ফাতিরঃ ৭২
আর তাদের সবরের পুরস্কারস্বরূপ তিনি তাদেরকে প্রদান করবেন উদ্যান ও রেশমী পোশাক।[40]সুরা ইনসানঃ ১২
তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।[41]সুরা ইমরানঃ ১৩৬
তাদেরকে প্রবিষ্ট করব জান্নাতে যার তলদেশে নহর সমূহ প্রবাহিত। এই হলো বিনিময় আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহর নিকট রয়েছে উত্তম বিনিময়।[42]সুরা ইমরানঃ ১৯৫
আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ। সেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। সেখানে তাদের জন্য থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্ত্রীগণ। তাদেরকে আমি প্রবিষ্ট করব ঘন ছায়া নীড়ে।[43]সুরা নিসাঃ ৫৭
যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, আমি তাদেরকে উদ্যানসমূহে প্রবিষ্ট করাব, যেগুলোর তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়। তারা চিরকাল তথায় অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সত্য সত্য। আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে?[44]সুরা নিসাঃ ১২২
অতঃপর তাদেরকে আল্লাহ এ উক্তির প্রতিদান স্বরূপ এমন উদ্যান দিবেন যার তলদেশে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হবে। তারা তন্মধ্যে চিরকাল অবস্থান করবে। এটাই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান।[45]সুরা মায়িদাহঃ ৮৫
আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে নির্ঝরিনী প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটিই মহান সফলতা।[46]সুরা মায়িদাহঃ ১১৯
আল্লাহ ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনে কানন-কুঞ্জের, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণ। তারা সে গুলোরই মাঝে থাকবে। আর এসব কানন-কুঞ্জে থাকবে পরিচ্ছন্ন থাকার ঘর। বস্তুতঃ এ সমুদয়ের মাঝে সবচেয়ে বড় হল আল্লাহর সন্তুষ্টি। এটিই হল মহান কৃতকার্যতা।[47]সুরা তাওবাহঃ ৭২
কিন্তু যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের জন্যে নির্মিত রয়েছে প্রাসাদের উপর প্রাসাদ। এগুলোর তলদেশে নদী প্রবাহিত। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ করেন না।[48]সুরা যুমারঃ ২০
ঈমান এজন্যে বেড়ে যায়, যাতে তিনি ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করান, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেথায় তারা চিরকাল বসবাস করবে এবং যাতে তিনি তাদের পাপ মোচন করেন। এটাই আল্লাহর কাছে মহাসাফল্য।[49]সুরা ফাতহঃ ৫
অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নেই এবং যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়। পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন।[50]সুরা ফাতহঃ ১৭
আরো রেফারেন্সঃ
১. সুরা নিসাঃ ৮৫
২. সুরা মায়িদাহঃ ১১৯
৩. সুরা আনআমঃ ৬
৪. সুরা তাওবাহঃ ৮৯
৫. সুরা ইউসুফঃ ৯
৬. সুরা ফুরকানঃ ১০
৭. সুরা আনকাবুতঃ ৫৮
৮. সুরা হাদীদঃ ১২
৯. সুরা মুজাদালাঃ ২২
১০. সুরা তাগাবুনঃ ৯
১১. সুরা তালাকঃ ১১
১২. সুরা তাহরীমঃ ৮
১৩. সুরা বুরুজঃ ১১
১৪. সুরা বাইয়িনাঃ ৮
১৫. সুরা নিসাঃ ১৩
কুরআনের একটি আয়াত নিয়ে খ্রিস্টাদের মিথ্যাচার ও তার জবাব
মিথ্যাচার ১: আপনারা মুসলমানরা সব সময় বলেন যে আপনারা নাজাত বা মুক্তি পাবেন। কিন্তু সুরা আহকাফঃ ৯ অনুযায়ী তো আপনাদের নবীই নাজাত পাবে না তো আপনারা কি ভাবে নাজাত পেতে পারেন৷
জবাবঃ আলহামদুলিল্লাহ। আপনারা প্রশ্ন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আসলে ভুলটা আপনার না বরং ভুলটা হলো আপনার বুঝার ক্ষেত্রে । কারন সুরা আহকাফঃ ৯ নাযিলের প্রেক্ষাপট দেখলে ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদিস দেখলে সব কিছু পরিস্কার হওয়া যায়। আর সুরা আহকাফঃ ৯ নাজাত বা মুক্তির সাথে কোনো সম্পৃক্ত আয়াত না। আপনাদের দাবিকৃত আয়াত হলোঃ
বলুন, ‘রাসূলদের মধ্যে আমিই প্রথম নই। আর আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে।[51]সুরা আহকাফঃ ৯
আপনারা যে কথা দিয়ে মুহাম্মদ সাঃ এর নাজাত সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন সে কথাটুকু হলো, আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে।
আসলে এ কথা বলার কারন হলো যে,, আর আমি জানি না যে, আমার সাথে ও তোমাদের সাথে কেমন আচরণ করা হবে’ অর্থাৎ দুনিয়াতে কী করা হবে, তা আমার অজানা।
আমি মক্কায় থাকব, না এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হবে, আমার সাধারণ মরণ হবে না কারো হাতে মৃত্যু হবে? এটাও জানা নেই আগামী কাল আমার অথবা তোমাদের সাথে কী আচরণ করা হবে? তবে পরকাল সম্পর্কে আমি নিশ্চিতরূপে বিদিত যে, মুুমিনরা জান্নাতে আর কাফিররা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কোন সাহাবীর মৃত্যুর সময় তার ব্যাপারে সু-ধারণা প্রকাশ করা হলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : আল্লাহ তা‘আলার শপথ! আমি আল্লাহ তা‘আলার রাসূল হওয়া সত্ত্বেও এ কথা জানিনা যে, আমার ও তোমাদের সাথে কী ব্যবহার করা হবে।
- সহীহ বুখারী হা. ৩৯৩৯
- তাফসিরে ফাতহুল মাজিদঃ খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ২৫৯
- তাফসির ইবনে কাছিরঃ খন্ডঃ ১৬, পৃষ্ঠাঃ ৬৯১
- তাফসির ইবনে আব্বাসঃ খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ৩১২
আর রাসূল (সাঃ) জান্নাতে যাবে সেটা সরাসরি একদম পরিস্কার। আপনারা যে দাবি করেছেন যে তার নাজাত নেই এটা সম্পন্ন মিথ্যা। কারন তিনি জান্নাতে যাবেনই দেখুনঃ
- বুখারীঃ ৪৭১৮
- মুসলিমঃ ১৯৭
- মুসলিমঃ ৫৮৩৪
- তিরমিজিঃ ৩৯৪১
- মুসনাদে আহমাদঃ ২.৪৪১
- মুসনাদে আহমাদঃ ২.৫২৮
- ফাতহুল বারি ইবনে হাজার আজকালানিঃ ৩.১৩৯
আর মুহাম্মাদ সাঃ অন্যদের কেউ জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছেন দেখুনঃ
- তিরমিজিঃ ১৯৭
- তিরমিজিঃ ৩৭৬৮
- সিলসিলাতুল সহীহ্হাঃ ২১৬০
- সিলসিলাতুল সহীহ্হাঃ ৮৫২
তো মহান আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক টা বুঝার ও তা মেনে চলার তৌফিক দান করুক। কারন সত্য জিনিসটা অনেক কঠিন। তা কেউ সহজে গ্রহন করতে চাই না। কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান থেকে বলবো আমাদের দায়িত্ব শুধু মাত্র প্রচার করা। আর কে মানলো নাকি মানলো না সেটা তাদের উপর।
Footnotes
⇧1 | মথিঃ ৫.২৬ |
---|---|
⇧2 | মথিঃ ৫.২০ |
⇧3 | মথিঃ ৫.২১ |
⇧4, ⇧5 | মথিঃ ৫.২২ |
⇧6 | মথিঃ ৫.৩ |
⇧7 | মথিঃ ৫.১০ |
⇧8 | মথিঃ ৫.৩০ |
⇧9 | মথিঃ ৬. ১৪-১৫ |
⇧10 | মথিঃ ৭.২১ |
⇧11 | লুকঃ ১৪.২৬ |
⇧12 | লুকঃ ১৪.২৭ |
⇧13 | রোমীয়ঃ ১.২৭ |
⇧14 | রোমীয়ঃ ১.৩২ |
⇧15 | রোমীয়ঃ ২.৩ |
⇧16 | রোমীয়ঃ ১৪.১২ |
⇧17 | রোমীয়ঃ ১৪. ২১-২৩ |
⇧18 | যাকোবঃ ৪.১৭ |
⇧19 | ১ যোহনঃ ৩.৪ |
⇧20 | মথিঃ ৭.১-২ |
⇧21 | লুকঃ ১৮.২৫ |
⇧22 | লুকঃ ১৮.২৪ |
⇧23 | মথিঃ ৫.১৯ |
⇧24 | মথিঃ ৬.১ |
⇧25 | মথিঃ ৬. ১৯ ও ২৪ |
⇧26 | ১ করিন্থীয়ঃ ৫.১১ |
⇧27 | ২ করিন্থীয়ঃ ৬.৯ |
⇧28 | প্রকাশিত বাক্যঃ ২১.৮ |
⇧29 | প্রকাশিত বাক্যঃ ২২.১৫ |
⇧30 | সুরা আসরঃ ১-৩ |
⇧31 | সুরা বাকারাঃ ২৫ |
⇧32 | সুরা ইমরানঃ ১৫ |
⇧33 | সুরা ইমরানঃ ১৯৮ |
⇧34 | সুরা আরাফঃ ৪৩ |
⇧35 | সুরা হুদঃ ১০৮ |
⇧36 | সুরা ত্বাহাঃ ৭৬ |
⇧37 | সুরা লুকমানঃ ৮ |
⇧38 | সুরা সিজদাহ্ঃ ১৯ |
⇧39 | সুরা ফাতিরঃ ৭২ |
⇧40 | সুরা ইনসানঃ ১২ |
⇧41 | সুরা ইমরানঃ ১৩৬ |
⇧42 | সুরা ইমরানঃ ১৯৫ |
⇧43 | সুরা নিসাঃ ৫৭ |
⇧44 | সুরা নিসাঃ ১২২ |
⇧45 | সুরা মায়িদাহঃ ৮৫ |
⇧46 | সুরা মায়িদাহঃ ১১৯ |
⇧47 | সুরা তাওবাহঃ ৭২ |
⇧48 | সুরা যুমারঃ ২০ |
⇧49 | সুরা ফাতহঃ ৫ |
⇧50 | সুরা ফাতহঃ ১৭ |
⇧51 | সুরা আহকাফঃ ৯ |
ভাই, বাইবেলে এই বক্তব্য গুলো কি কনটেস্ক্ট অনুসারে হতে পারে না,যেমন অমুসলিরা কুরআনের আয়াত নিয়ে করে, আপনিও কি তাই করছেন?
খ্রিষ্টানদের দাবি তারা যিশুর রক্তের মাধ্যমে নাজাত প্রাপ্ত, তাদের আর কোন হিসাব নেই তারা স্বর্গবাসী। অথচ বাইবেলে ভিন্ন কথা বলা হয়েছে, বরং বাইবেলে বিষয়গুলোকে আরো কঠিন করা হয়েছে। সেটাই মূলত উপস্থাপন করা হয়েছে।
কিন্তু ইসলামে কোথাও বলা হয় নি রাসূলের কারনে আমরা একেবারে নাজাত প্রাপ্ত বা রাসূলের কারনে আমরা সরাসরি জান্নাতি ও আমাদের কোন হিসাব নিকাশ নেওয়া হবে না। অবশ্যই রাসূলের কারনে আমরা সঠিক দ্বীন পেয়েছি কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা শুধু মুসলিম হলেই জান্নাতি হয়ে যাব, বরং আমাদেরকে বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। [এই জাতীয় একটা আয়াতও আছে রেফারেন্সটা ঠিক মনে আসছে না] আবার ইসলামে এটাও বলা হয়েছে পাপ করে আল্লাহর কাছে প্রকৃত রূপে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন, এছাড়া মুসলিমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদের গুনাহের জন্য শাস্তি ভোগ করলেও পরে তাদের শাস্তি দেওয়া শেষ হলে তাদেরকে জান্নাতে পাঠানো হবে। কিন্তু বাইবেলে এই জাতীয় কোন কথা আছে বলে আমার মনে হয় না।
এছাড়া লেখক জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটা বিষয় বিচার বিবেচনা করে, চিন্তা ভাবনা করে, বিস্তারিত পড়ে তারপরই তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছেন, তথ্য যদি যদি আসলে গ্রহনযোগ্য না হত তাহলে তিনি উল্লেখ করতেন না। তিনি আরো বলেছেন যদি তারপরও উনার ভুল থেকে থাকে তাহলে দয়া করে সেগুলো বিস্তারিত দলিল প্রমান সহ খন্ডন করে কমেন্টে উল্লেখ করতে পারেন, অথবা সরাসরি উনার সাথে আলোচনা করে উনার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারেন। যদি উনার আসলেই ভুল হয়ে থাকে তাহলে তিনি সেটা সুধরে নিবেন ইনশাআল্লাহ, আপনি যদি সঠিক হয়ে থাকেন তাহলে প্রয়োজনে লিখাটি সরিয়ে ফেলবেন এটাও বলেছেন তিনি।
উনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন –